AABJ

AABJ Try to give new Information to Public

28/02/2023

আমরা এমন একটি সময়ে রয়েছি যখন বিশ্বব্যাপী মানসিক চাপ বাড়ছে। বড়দের মতো অনেক শিশু এই মুহূর্তে সংগ্রাম করছে।

আমরা বিশ্বে কঠিন অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে আরও অনেক বিষয় রয়েছে, যা শিশুদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। ওইসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- বাড়িতে নেতিবাচক পরিস্থিতি, স্কুলে সহিংসতা বা পরীক্ষা। এমনকি একটি বড় বাড়িতে স্থানান্তর হওয়া বা নতুন বন্ধু তৈরি করার মতো ইতিবাচক পরিবর্তনও শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ তৈরি করছে।

একজন অভিভাবক হিসেবে, অতিরিক্ত চাপের লক্ষণগুলো খুঁজে বের করে এবং কীভাবে তা সামাল দিতে হয় তা শিখতে সহায়তা করার মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে চাপের সময়ে সাহায্য করতে পারেন।

মানসিক চাপের কারণ কী?
বড়রা যেভাবে মানসিক চাপ অনুভব করে শিশুরা সবসময় সেভাবে তা করে না। যেখানে বড়দের ক্ষেত্রে কাজ-সম্পর্কিত মানসিক চাপ খুব সাধারণ ঘটনা, সেখানে বেশিরভাগ শিশু চাপ অনুভব করে যখন তারা হুমকির সম্মুখীন হয় এবং কঠিন বা বেদনাদায়ক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:

নিজেদের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা বা অনুভূতি
বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর মতো তাদের শরীরিক পরিবর্তন
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে পরীক্ষা ও বেশি বেশি হোমওয়ার্ক বা বাড়ির কাজের চাপ
স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে মনোমালিন্য ও সামাজিকতা
বাড়ি বদল, স্কুল পরিবর্তন বা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের মত বড় পরিবর্তন
দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, পরিবারে আর্থিক সমস্যা বা প্রিয়জনের মৃত্যু
বাড়িতে বা বাড়ির আশেপাশের অনিরাপদ পরিবেশ।


শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মানসিক চাপ
শিশুদের মধ্যে মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে যখন তারা নতুন বা অপ্রত্যাশিত কিছুর সম্মুখীন হয়।

ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে, ঘরে নির্যাতনের শিকার হওয়া, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ বা প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো বাড়িতে উদ্বেগজনক ঘটনা মানসিক চাপের সাধারণ কারণ। স্কুল হল আরেকটি সাধারণ কারণ– নতুন বন্ধু তৈরি করা বা পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনা শিশুদের হতবিহ্বল করে দিতে পারে।

শিশুদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, তাদের মানসিক চাপের কারণও বাড়তে পারে। কেননা, তখন তারা বন্ধুদের নতুন দল, বেশি বেশি স্কুলের কাজ এবং বেশি মাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও বিস্তৃত পরিসরে বিশ্বের নানা প্রান্তের সংবাদ পড়ার সুযোগ বৃদ্ধির মতো জীবনের বড় বড় পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। অনেক কিশোর-কিশোরী জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মতো সামাজিক সমস্যার কারণেও মানসিক চাপে পড়ে।

এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, শিশুরা 'স্পঞ্জের' মতো এবং তাদের চারপাশে যা ঘটছে সেটাই তারা গ্রহণ করে। যখন তাদের বাবা-মা চাপে থাকে, তারা সেটা লক্ষ্য করে এবং সেই মানসিক অবস্থার প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা যাই হোক না কেন।

শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সবসময় নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য মানসিক বুদ্ধিমত্তা বা শব্দভাণ্ডার থাকে না। যদিও বয়স এবং বিকাশের স্তরের কারণে সত্যিকার অর্থে কী ঘটছে তা বোঝার ক্ষেত্রে ছোট শিশুদের ঘাটতি থাকতে পারে। তাদের কাছে একটি নতুন বা ভিন্ন পরিস্থিতি কেবল ভিন্ন, অস্বস্তিকর, অপ্রত্যাশিত, এমনকি ভীতিকর মনে হতে পারে।

শিশুদের মাঝে মানসিক চাপের লক্ষণ ও উপসর্গ
যখন শরীর চাপের মধ্যে থাকে তখন এটি অ্যাড্রেনালিন ও কর্টিসলের মতো হরমোন তৈরি করে, যা আমাদেরকে জরুরি পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করে, এটি 'ফাইট বা ফ্লাইট' প্রতিক্রিয়া হিসেবেও পরিচিত। এটি একটি শিশুর মন ও শরীরের ওপর অনেক প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন:

শারীরিক প্রভাব
দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘাম ও হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও ঘুমাতে অসুবিধা
বমি বমি ভাব, বদহজম বা হজমের সমস্যা
খুব বেশি বা খুব কম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস
অস্বস্তি ও ব্যথা এবং প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া।
আবেগীয় ও মানসিক প্রভাব
বিরক্তি ও রাগ, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া বা পরিবার ও বন্ধুদের থেকে সরে যাওয়া
দায়িত্বে অবহেলা করা, কার্য সমাধানে কম দক্ষতা বা মনোযোগ দিতে অসুবিধা হওয়া
ক্রমাগত দুঃখ বোধ করা বা অশ্রুসিক্ত হওয়ার মতো মানসিক যন্ত্রণা।
এই লক্ষণগুলো প্রায়ই আরও মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দিতে পারে। আপনার সন্তানকে এ ধরনের মানসিক অবস্থা সামাল দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা এমনটি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা মোকাবেলা করতে পারে।

আপনার সন্তানকে পরিস্থিতি সামাল দিতে সাহায্য করার উপায়
শিশুরা যখন মানসিক চাপ অনুভব করে, তখন তা সামাল দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে বাবা-মা তাদের সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বড়দের মতো, শিশুদেরও মাঝে মাঝে নিজেদের প্রতি সদয় হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে হয়।

কারণগুলো চিহ্নিত করুন:
আপনার সন্তান কখন চাপ অনুভব করে তা বুঝতে এবং সেই সময়ের কথা মনে রাখা শুরু করতে সহায়তা করুন। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোর পন্থাগুলো খেয়াল করুন। তখন কী ঘটছিল? মানসিক চাপ অনুভব করার ঠিক আগে তারা কী ভাবছিল, অনুভব করেছিল বা করছিল? তাদের চাপ অনুভব করাতে পারে– এমন অসুবিধাগুলো তারা শনাক্ত করতে পারলে আপনি তাকে সঙ্গে নিয়ে একত্রে মানসিক চাপ প্রতিরোধ করার বা দ্রুত এটি সামাল দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে পারবেন
ভালোবাসার সঙ্গে উত্তর দিন:
আপনার সন্তানকে অতিরিক্ত ভালোবাসা, সময় এবং তার প্রতি মনোযোগ দিন। মানসিক চাপ তাদের স্বাস্থ্য, আচরণ, চিন্তা বা অনুভূতিকে প্রভাবিত করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করুন। তাদের কথা শোনার কথা স্মরণে রাখুন, সদয়ভাবে কথা বলুন এবং তাদের আশ্বস্ত করুন।
রোল মডেল হোন:
আপনি যেভাবে মানসিক চাপের পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন সে সম্পর্কে আপনার সন্তানের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে, আপনি আপনার সন্তানকে মানসিক চাপ সামাল দেওয়ার অভ্যাস খুঁজে পেতে উৎসাহিত করতে পারবেন, যা তাদের জন্য কাজে আসবে।
ইতিবাচক চিন্তার প্রচার করুন:
শিশুদের, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিজেদের সম্পর্কে খারাপ চিন্তা করা সহজ। আপনি যদি "আমি কোনো কিছুতেই ভালো নই", "আমি নিজেকে পছন্দ করি না" বা "আমি বাইরে যেতে ভয় পাই"- এর মতো কথা শুনতে পান, তাহলে তাদের জিজ্ঞাসা করুন যে তাদের এই অনুভূতির কারণ কী এবং তাদের এমন সব সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিন যখন তারা কোনো কাজ সম্পন্ন করেছিল, আর কীভাবে তা করেছিল। আপনার কাছ থেকে এমন ইতিবাচক কথা শুনলে, তারা যে মানসিক চাপের পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে সে বিষয়টি বুঝতে পারবে ও আত্মবিশ্বাসী হবে।
ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করুন:
ঘুম এবং ভালো খাওয়া-দাওয়া মানসিক চাপের মূল উপশমকারী। বিশেষজ্ঞরা ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য রাতে ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। কিশোর-কিশোরীদের রাতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ভালো ঘুমের জন্য রাতে স্ক্রিন ব্যবহার সীমিত করুন এবং বেডরুমে ডিজিটাল ডিভাইস রাখা এড়িয়ে চলুন। আপনার শিশু যত ভালো পুষ্টি ও বিশ্রাম পাবে, তত বেশি সে মানসিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।
আপনার সন্তানকে ঘরের বাইরে যেতে, খেলাধুলা করতে এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। যোগ ব্যায়াম ও গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার মতো ব্যায়াম ও কার্যকলাপ মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।

গভীর শ্বাস (পেট ফুলে উঠবে) খুবই প্রশান্তিদায়ক এবং এটি আমাদের ফুসফুসের গভীরে অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। এখানে একটি সহজ ৩ ধাপের প্রক্রিয়া রয়েছে, আপনার পেটে হাত রাখুন। ৫টি গভীর শ্বাস নিন, ৫ সেকেন্ড ধরে শ্বাস নিন এবং ৫ সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়ুন, আপনার নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। বুঝিয়ে বলুন যে, আপনার শিশু যখন শ্বাস নেয়, তখন তারা একটি বেলুনের মতো নরমভাবে তাদের পেট ফোলায় এবং যখন তারা বাতাস ছাড়ে তখন আবার বেলুন থেকে ধীরে ধীরে বাতাস বের হয়।

বড়দের মতো শিশুদের মাঝে মাঝে নিজেদের প্রতি সদয় হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে হয়। মানসিক চাপ একটি মানবিক অভিজ্ঞতা যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং কয়েকটি সহজ কৌশল ব্যবহার করে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে।

কখন পেশাদারদের সাহায্য চাইতে হবে
যদি আপনার সন্তান মানসিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়ে, তাহলে একজন প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি বিবেচনা করুন, যিনি সাহায্য করতে পারেন। পরামর্শের জন্য আপনার পারিবারিক চিকিৎসক বা একজন পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলুন। তারা আপনাকে বিদ্যমান চিকিত্সার বিষয়ে পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন। যেমন, একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে সময় কাটান, যিনি মানুষকে মানসিক চাপ সামাল দিতে এবং ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্যের অভ্যাস গড়ে তুলরতে সহায়তা করেন।

আপনার সন্তানের জন্য পেশাদারদের কাছে সাহায্য চাইতে ভয় পাবেন না। যদি মানসিক চাপ আপনার সন্তানের জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সাহায্য নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা ভালো অনুভব করতে শুরু করে।

ইউনিসেফ
UNICEF
Source: ইউনিসেফ

08/02/2023

সাধারনত ৪ ধরনের শেয়ার রয়েছে শেয়ার বাজারে.

যেমন: A, B, N, Z

A - ক্যাটাগরির কোম্পানি:
যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) সম্পন্ন করেছে এবং যে সকল কোম্পানি গত ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছরে কমপক্ষে ১০% বা তার বেশি হারে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ ঘোষণা করে থাকে।

B - ক্যাটাগরির কোম্পানি:
যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) সম্পন্ন করেছে এবং যে সকল কোম্পানি গত ইংরেজি ক্যালেন্ডার বছরে কমপক্ষে ১০% বা তার বেশি হারে ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

N - ক্যাটাগরির কোম্পানি:
পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি N শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত এবং এ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর তাদের প্রথম AGM এবং লভ্যাংশ ঘোষণা অনুযায়ী অন্যান্য বিভাগে স্থানান্তরিত হবে।

Z -
ক্যাটাগরির কোম্পানি: যে সকল কোম্পানি নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয় এবং ডিভিডেন্ড দেয় না। ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ব্যবসয়িক কার্যক্রম বন্ধ এবং যাদের পুঞ্জিভুত ক্ষতি পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হয়, ঐসব কোম্পানিগুলি Z শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

08/02/2023
31/01/2023

মন্দার মধ্যেও সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত তিন ডজন কোম্পানি
31 January, 2023, 12:05 am
Last modified: 31 January, 2023, 12:12 am
Source: TBS

এরমধ্যে ৮ কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে প্রত্যেকে ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করবে। নতুন এসব বিনিয়োগে আরও কয়েক হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ উদ্যোগ- আরএকে সিরামিকস (বিডি) লিমিটেড। ভবিষ্যতের বাড়তি বাজার চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে – টাইলস ও ফসেট উৎপাদনের নতুন দুটি কারখানা স্থাপনে ৯০২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে তারা।

স্থানীয় ও বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিকূলতার সময়েই– ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-তে নিবন্ধিত প্রায় তিন ডজন কোম্পানি তাদের ২০২২ সালে ঘোষিত সম্প্রসারণ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

চাহিদা ও প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেলেও, কোম্পানিগুলোর পদক্ষেপে স্পষ্ট যে তারা পূর্বঘোষিত পরিকল্পনা থেকে পিছু হটবে না। এসব প্রতিষ্ঠান মোট সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ১০৪ শতাংশ বেশি বলে ডিএসই'র তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে জেনেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আগামী কয়েক বছরেই এসব বিনিয়োগের সুফল পাওয়া যাবে, সেসময় অর্থনৈতিক মন্থর দশাও হয়তো কেটে যাবে এবং চাহিদা বাড়বে। সেই ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ আশাবাদী এবং তার জন্য প্রস্ততও থাকতে চাইছে।

এরমধ্যে ৮ কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে প্রত্যেকে ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করবে। নতুন এসব বিনিয়োগে আরও কয়েক হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ উদ্যোগ- আরএকে সিরামিকস (বিডি) লিমিটেড। ভবিষ্যতের বাড়তি বাজার চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে – টাইলস ও ফসেট উৎপাদনের নতুন দুটি কারখানা স্থাপনে ৯০২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে তারা।

আরএকে সিরামিকসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সাধন কুমার দে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমাদের ফসেট প্লান্ট স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। আগামী বছরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রান্তিক নাগাদ এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবে বলে আমরা আশা করছি'।

তবে বিশ্বের বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, গ্যাসের উচ্চ দাম এবং সরবরাহে ঘাটতির কারণে তারা টাইলস কারখানা স্থাপনে সতর্কভাবে এগোচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সাধন কুমার বলেন, 'আমরা আমাদের প্রজেক্ট প্ল্যান অনুসারে এগোচ্ছি। ২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম শুরু করার কথা। একইসঙ্গে আমরা বর্তমান পরিস্থিতির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছি'।

টাইলসের নতুন কারখানায় দেড় হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। দৈনিক উৎপাদিত হবে প্রায় ১৫ হাজার বর্গমিটার প্রিমিয়াম মানের টাইলস।

গতবছর আরএকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানায়, নতুন কারখানা থেকে বার্ষিক গড়ে ৯৩ কোটি টাকা মুনাফা হবে।

বহুজাতিক আরেকটি কোম্পানি- বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ৪০ একর জমিতে কারখানা স্থাপন করছে। এজন্য তারা বিনিয়োগ করছে ৪৮০ কোটি টাকা। বাজারে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতেই এ উদ্যোগ, বর্তমানে কোম্পানিটির বাজার দখল প্রায় ৫০ শতাংশ।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রুপালী হক চৌধুরী জানান, পরিকল্পনা অনুসারে, নতুন কারখানার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের এপ্রিল নাগাদ এটি চালু হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

এ কারখানায় ডেকোরেটিভ পেইন্ট, শিল্পকাজে ব্যবহৃত রঙ, মেরিন কোটিং, উড কোটিং, নির্মাণকাজে ব্যবহৃত কেমিক্যাল, অ্যাডহেসিভ ও অটোমোটিভ পেইন্ট উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে এসব পণ্যের উচ্চ চাহিদা রয়েছে।

দেশে নির্মাণ উপকরণ হিসেবে টাইলসের চাহিদা বাড়ছে। এজন্য গাজীপুরে টাইলস কারখানা স্থাপনে ৬৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক।

কোম্পানি সচিব এ. হালিম ঠাকুর বলেন, 'একটি গ্রিনফিল্ড কারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ হাজার বর্গফুট বাড়াতে চায় ফু-ওয়াং সিরামিক'।

'আমরা এজন্য বর্তমান কারখানার আশেপাশে আরও জমি কিনব এবং তিনটি প্রোডাকশন লাইনের ইউনিট স্থাপন করব'।

নতুন বিনিয়োগ শুধু নির্মাণ উপকরণ খাতেই হচ্ছে না।

২০২২ সালে সিম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান- মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস ৯০ টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। দ্বিতীয় ধাপের এ উদ্যোগের আওতায় নতুন যন্ত্রপাতিসহ কারখানা প্রাঙ্গনে একটি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে উচ্চ মানের সুতা উৎপাদন করবে, যা এখন আমদানি করা হয়।

মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস- এর কোম্পানি সচিব হ্যারিস আলম টিবিএস'কে বলেন, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদন শুরু হবে বলে আমরা ধারণা করছি। এটা কোম্পানির মোট আয়ের সাথে আরও ৩০ শতাংশ যোগ করবে'।

তিনি বলেন, দেশে উচ্চ মানের সুতার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এর বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। 'তাই আমরা দেশেই এগুলো উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছি'।

পুঁজিবাজারের প্রধান কোম্পানিগুলোর মধ্যে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ (ব্যাটবিসি) তাদের সাভারের কারখানা সম্প্রসারণে ৫৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ইফাদ করবে ৩০০ কোটি, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন ২৫০ কোটি এবং মীর আখতার ২৫০ কোটি টাকা।

এছাড়া, জ্বালানি সাশ্রয়ী স্পিনিং যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ স্থাপনের জন্য অর্থায়ন ও ক্রয়ের মাধ্যমে টেকসইভাবে বস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে (এডিবির ঋণ নিয়ে) ১১.২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এনভয় টেক্সটাইলস।

৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনস লিমিটেড এরমধ্যেই তাদের দুটি গ্যাস স্টেশনের কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই আরও পাঁচটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) স্টেশন এবং পাঁচটি মাদার-ডটার সিএনজি স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) দুটি মাদার (বৃহৎ আকৃতির) ক্রুড অয়েল ট্যাংকার কেনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ারও কেনা হবে। এজন্য তারা ২৪২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। বিএসসি'র একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এই প্রস্তাব নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে, অনুমতি পেলেই বাস্তবায়িত হবে।

ঝুঁকিসমূহ

কিছু প্রতিষ্ঠান জানায়, স্থানীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে দেরি হতে পারে।

যেমন আরএকে সিরামিকসের সিওও সাধন কুমার দে জানান, সিরামিক তৈরির আবশ্যক জ্বালানি গ্যাস, সাম্প্রতিক সময়ে সরবরাহ কমার সাথে সাথে এর দামও বেড়েছে, এজন্য তারা টাইলস কারখানা স্থাপনে সতর্কভাবে এগোচ্ছেন।

ফু-ওয়াং এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকট জটিল রূপ নেওয়ায়' তারা কয়েক ধাপে বিনিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ডলার সংকট যদি আরও অসহনীয় রূপ নেয়– তাহলে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির এলজি খুলতে আরও দেরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নতুন বিনিয়োগ ঘোষণাগুলোর বিষয়ে ডিএসই কী বলছে?

ডিএসই'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের বাজারমূল্য প্রভাবিত হয় এমন তথ্যগুলোতে তারা নজর রাখেন। তবে জনবল ও সক্ষমতা ঘাটতির কারণে তারা পুরোপুরি নজরদারি করতে পারেন না।

তিনি টিবিএস'কে বলেন, 'কোনো কোম্পানি যদি তাদের নতুন বিনিয়োগের (ঘোষিত) সময় বদলায় বা অন্য কোনো পরিবর্তন করে, সেটা যদি আমাদের নজরে আসে- তাহলে আমরা তাদের কর্মকর্তাদের ডেকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলি'।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AABJ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share