মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার,জয় বাংলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার,নাজমুল হবিগঞ্

  • Home
  • মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার,জয় বাংলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার,নাজমুল হবিগঞ্

মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার,জয় বাংলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার,নাজমুল হবিগঞ্ স্মৃতিরক্ষার্থে:ভারতীয়তালিকা ২৫৮৪৫লাল মুক্তিবার্তা০৫০৩০১০১৬৫গেজেট১৫৫ সমন্বিত তালিকা (প্রথমপর্ব)১৭৬৫

22/05/2023
৮ ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে,
22/05/2023

৮ ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে,

16/04/2022

নববর্ষ পহেলা বৈশাখের ছুটি বাতিল করে পাকিস্তানীরা
ঢাকা শহরের ২৪০টি রাস্তার নাম পরিবর্তন করে ইসলামীকরণ
=============
প্রেসনােট
১৬ জুন

পাকিস্তানীরা ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইতিপূর্বে নববর্ষ পহেলা বৈশাখের ছুটি বাতিল করা হয়। কাগজগুলােতে উল্লেখ করা হয় “আজ বৃহস্পতিবার প্রাদেশিক সরকারের যে ছুটি ছিল, জরুরী অবস্থার দরুণ তা বাতিল করা হয়েছে। এতে ঢাকা এবং সারা দেশে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। আরাে উল্লেখ্য ঢাকা শহরের ২৪০টি রাস্তার নাম পরিবর্তন করে ইসলামীকরণ করা হয়, যেমন:

আদি নাম পরিবর্তিত নাম
(১) লালমােহন পােদ্দার লেন— আব্দুল করিম গজনভী স্ট্রিট
(২) শাখারী নগর লেন- গুল বদন স্ট্রিট
(৩) এলিফ্যান্ট রােড- আল আরবিয়া রােড
(৪) নবীন চাদ গােস্বামী রােড- বখতিয়ার খিলজী রােড
(৫) বেইলী রােড- বুআলী রােড
(৬) কালীচরণ সাহা রােড- গাজী সালাউদ্দিন রােড
(৭) রায়েরবাজার- সুলতানগঞ্জ
(৮) এস কে দাস রােড- সিরাজউদ্দীন রােড
(৯) মাদারটেক- মাজারটেক।
(১০) শশীভূষণ চ্যাটার্জী লেন- সৈয়দ সলীম ফ্রিট
(১১) ইন্দিরা রােড- আনার কলি রােড
এভাবে প্রাচীন নামগুলােকে পরিবর্তন করা হয়।

রেফারেন্স: ১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি- সাইদুজ্জামান রওশন

13/04/2022

টিক্কা খান কি একাত্তরে পকিস্তানের ক্ষমতা নিতে চেষ্টা করেছিলো? একাত্তরের ১৫ আগস্টের 'বিপ্লবী বাংলাদেশ' পত্রিকার সংবাদটি নিম্নরূপ -
=======
জেনারেল টিক্কা খাঁ কর্তৃক পাকিস্তানের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র
১৩ই আগষ্ট। ঢাকা থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, জেনারেল টিক্কা খাঁ বর্তমানে এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তার মতে পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খাঁ দুর্বল ও ভীরু চিত্তের মানুষ। তাই আজ পাকিস্তানের সবচেয়ে যখন দুঃসময় তখন ইয়াহিয়ার মত ভীরু চিত্তের লোক পাকিস্তানের সংহতি রক্ষা করতে পারবে না, এবং কঠিন হস্তে সামরীক শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে জেনারেল ইয়াহিয়া অনুপযুক্ত ব্যক্তি।
কিন্তু জেনারেল টিক্কা নিজেকে পাক প্রেসিডেন্টের গদী লাভের যতই উপযুক্ত মনে করুন না কেন বাধাও কম নয়। এক : টিক্কা নিজে থাকেন ঢাকায়। রাজধানীর নিত্য হাল-চাল এবং সামরীক বাহিনীর একটা বিশেষ অংশের সঙ্গে তার নিত্য যোগাযোগ সম্ভব নয়। দুই পাকিস্তানের স্থল ও নৌবাহিনীর দুই প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়ার নিজের লোক। অর্থাৎ তাদের উপরে প্রেসিডেন্টের প্রভাব ও নেক নজর কম নয়।
অন্যদিকে সিন্ধু এবং বেলুচের সামরিক শাসনকর্তা জেনারেল টিক্কার সমর্থনে রয়েছে। অতএব শক্তি ও সুযোগের প্রতিক্ষা।
এদিকে ঢাকা থেকে সামরীক বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে প্রকাশ। জেনারেল ইয়াহিয়ার ঢাকা পরিদর্শনের পর তার তিনটি তারিখ গত হয়েছে তিনি আসেন নি। বিগত আগষ্টের তিন চার তারিখের মধ্যে পুনরায় ঢাকায় এসে বিভিন্ন রণাঙ্গন পরিদর্শনের কথা ছিল, কিন্তু এবারেও তিনি সাহসীকতার পরিচয় দিতে পারেন নি।
এ ব্যাপারে জেনারেল ইয়াহিয়ার অভিযোগ জেনারেল টিক্কা আজ ছ-মাস যাবৎ চেষ্টা করেও এবং সামরীক শক্তির পূর্ণাঙ্গ ব্যাবহার করেও বাংলা দেশ ত দূরের কথা ঢাকার আশ পাশ থেকেও মুক্তি বাহিনীর গেরিলা তৎপরতা দমনে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাদের এই পরস্পর বিরোধী উক্তি এবং মানসিক প্রতিক্রিয়া পর্দার অন্তরালে গোপন ষড়যন্ত্রে উভয়কে লিপ্ত করেছে।
জেনারেল টিক্কার বেগম যেখানে কোথাও যেতে নারাজ, সেখানে গত জুলাই মাসের আট তারিখ, এবং সতের ও সম্ভবতঃ আঠাশ উনত্রিশের দিকে অর্থাৎ একমাসে তিনবার ঢাকা-করাচী করাচী-রাওলপিন্ডি করে বেড়িয়েছেন। এটা যথেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
পাক সামরীক রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহল থেকে জানা যায়, জেনারেল টিক্কা খাঁর ব্যক্তিগত গোপন খবর নিয়েই নাকি মিসেস টিক্কা পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে বিশেষ কয়েকজন সামরীক অফিসারের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে এসেছেন।
জেনারেল ইয়াহিয়ার মতে জেনারেল টিক্কা সাহসী শক্তিমান, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে তিনি ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন অতএব টিক্কা খাঁর পরিবর্তে কোন যোগ্য ব্যাক্তিকে বাংলাদেশের সামরিক শাসনকর্তা হিসাবে নিয়োগের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কিন্তু জেনারেল টিক্কাকে চটাতে তিনি সাহস করছেন না।
অপর দিকে জুলাই মাসের প্রথম থেকে বাংলাদেশের সামরিক গভর্ণর টিক্কা খাঁর গতিবিধিও গোয়েন্দা কাহিনীর মত হয়ে উঠেছে।
তিনি নিজে কাউকেই প্রায় দর্শন দিচ্ছেন না। টিক্কা রূপী এক নকল টিক্কাকে দিয়ে আমদরবারের সাক্ষাৎ পর্ব সমাধা করা হয়েছে।
আসল টিক্কা পর্দার অন্তরালে বসে নকল টিক্কার পুতুল নাচ দেখছে। তাই পাক সামরিক শাসন যন্ত্রের মধ্যে শক্তি পরীক্ষা এবং ষড়যন্ত্রের মুখোস শিঘ্রই বিশ্বের সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়বে।

12/04/2022
10/04/2022

9th December 1971

09/04/2022

ভারতীয় রেডিওতে তাজউদ্দীনের ভাষণ প্রচারে বাধা কেন?
========
ইতােমধ্যে আমরা ৬ জন সেক্টর কমান্ডার নির্বাচন করেছি। ১০ এপ্রিলে তাজউদ্দীন সাহেবের যে বক্তৃতা প্রচার করা হবে সেই বক্তৃতাতেও সেক্টর কমান্ডারদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং কে কোন্ সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন তারও উল্লেখ আছে। এদিকে গােলােক মজুমদারের সাথে আগে থেকেই ঠিক করা ছিল যে, সেই বক্তৃতার টেপটা তাকে দিয়ে দেব এবং শিলিগুড়ির ওখান থেকে এই ভাষণ রেডিওতে প্রচার করা হবে। সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী আমি তাকে টেপটা দিয়ে দিলাম। এরই মধ্যে শেখ মণি তাজউদ্দীন সাহেবকে বললেন, ‘মামা, আপনার সঙ্গে একটু কথা আছে।‘ তাজউদ্দীন সাহেব এবং শেখ মণি একটা ঘরে গিয়ে আলাপ করতে লাগলেন। প্রায় ঘন্টাখানেক তারা আলাপ করার পর সেখানে আমাকে ডাকা হল। আমি যাবার পর তাজউদ্দীন সাহেব বললেন, “দেখেন, শেখ মণি বলছে টেপ করা বক্তৃতাটা আজকে যাতে প্রচার করা না হয়, এটা দু-তিনদিন পর হলেও কোন অসুবিধা হবে না। আমরা যখন আগরতলা যাচ্ছি, সেখানে যারা আছে তাদের সাথে আলাপ করে একমত হয়ে এটা করা যাবে।’ শেখ মণি বিপ্লবী সরকারের কথা বলেছিলেন এবং গতরাতেই একটা আলাপ আলােচনার মাধ্যমে যুক্তির মাধ্যমে আমরা সেটা কাটিয়ে উঠে একমত হতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আগরতলাতে যাওয়ার পর এটা নিয়ে আবার একটা ঝামেলার যে আশঙ্কা তা আমি খুব অনুভব করলাম। সেইসাথে যারা সত্যিকার অর্থে তখন যুদ্ধে লিপ্ত তাদের কাছ থেকে আমরা চিঠিপত্র-খবরাখবর পাচ্ছি প্রত্যেকেই চাপ দিচ্ছেন যে সরকার গঠন করতে একদিনও যেন দেরি না হয়। দ্বিতীয়ত, এটা যদি প্রচারিত না হয় তাহলে দিল্লীতে এটা বুঝে ফেলবে যে, আমাদের সরকার গঠন করার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কোন অসুবিধা রয়েছে এবং সেটা ভবিষ্যতে আমাদের যে কোন কাজে তাদের বিশ্বাস সৃষ্টিতে সহায়ক হবে না। এ সমস্ত ভেবে আমি এর প্রতিবাদ করলাম। কিন্তু শেখ মণি খুব উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি তখন সমস্ত যুক্তিগুলাে তাদের দিলাম যে কেন এই সরকার গঠনের কথা এখনি প্রচার করার প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে। সেইসাথে আরাে বললাম যে, আগরতলাতে হােক বা যেখানেই হােক, যাদের সাথে আমাদের দেখা হবে তারা এটা মেনে নিতে বাধ্য। কারণ, আমরা তাে এমন কাউকে নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছি না যে লােকগুলাের নাম আগে ছিল না। যারা যেভাবে কাজ করছিলেন তারা সেভাবেই কাজ করতে থাকবেন। এটা হচ্ছে আমাদের ধারাবাহিকতা, এবং তাজউদ্দীন সাহেব যখন ঢাকাতে ছিলেন তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর মতই কাজ করছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপ্রধানের মতই কাজ করছিলেন। অতএব আমরা এটা নূতন কিছু করছি না যে এটা কেউ অনুমােদন করবে না। এটা তাে আগেই অনুমােদিত হয়ে আছে। তখন শেখ মণি বললেন, ‘আপনি অত বুঝবেন না আমাদের ভেতরের কথা, বঙ্গবন্ধু আমাদের কী অথরিটি দিয়ে গেছেন।’ এই কথাটাই মণি বলতে চাইলেন যে, বঙ্গবন্ধু তাকে একটা অথরিটি দিয়ে গেছেন। তাজউদ্দীন সাহেব আমার আর শেখ মণির মধ্যকার বিরােধটা মিটানাের জন্য বললেন, ঠিক আছে, মণি যখন বলছে যে আগরতলাতে গিয়ে এই সরকার অনুমােদন করানাের জন্য যা কিছু করা দরকার সে তা করবে, তখন তার কথাটা মেনে নিন।আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত মনে বললাম ঠিক আছে, দেখি আমি কী করতে পারি। ইতােমধ্যে বক্তৃতার টেপ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে চলে গেছে, কাজেই এটা। ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা আমি ঠিক জানি না।’ আমি বাইরে এসে গােলােক মজুমদারকে ফোন করলাম। আমি বললাম, “যে টেপটা আমি আপনাকে দিয়েছি সেটা কোথায় ?’ তিনি বললেন, যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে সেটা চলে গেছে।’ আমি বললাম যে, ‘টেপটার সম্প্রচার আপাতত কি স্থগিত করা যায়?’ তখন তিনি বললেন, যদি আপনারা বন্ধ করতে চান তাহলে আমি হয়ত চেষ্টা করলে এখনাে করতে পারি। কিন্তু তা করা কি ঠিক হবে? বরং এটা করলে নানা জায়গায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হবে।’ তখন আমি গােলােক মজুমদারকে বললাম যে, তাহলে যেভাবে এটা নির্ধারিত হয়েছে। সেভাবে চলতে থাকুক।’ এই একটিমাত্র কাজে আমি তাজউদ্দীন সাহেবের কথা অমান্য করেছিলাম। এটা ঠিক হয়েছিল, কি সঠিক হয়নি তা বিচার করবে আগামী ইতিহাস। আর পরবর্তীকালে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেগুলাে দেখলে বােঝা যাবে এটা বন্ধ করার চেষ্টার পেছনে কী চিন্তাভাবনা বা ষড়যন্ত্র ছিল। আমি ফিরে এসে তাজউদ্দীন সাহেবকে বললাম ‘গােলােক মজুমদারকে আপনার ইচ্ছার কথা বলেছি। তিনি হয়ত বা চেষ্টা করবেন এটা বন্ধ করার ব্যাপারে। কিন্তু টেপটা এখন আর তার হাতে নেই।’ এর পরে রাতে আমরা খেতে বসেছি; খাবার টেবিলে শুধু তাজউদ্দীন সাহেব, শেখ মণি আর আমি। কারণ সেই সময় তােফায়েল আহমদ অসুস্থ হয়ে কলকাতাতে চলে গেছেন। মনসুর আলি সাহেবের জ্বর, তিনি শুয়ে পড়েছেন। আমি রেডিওটা অন করে দিয়েছি, এই সময় খবর হয়। রেডিও অন করতেই শুনি একটি ঘােষণা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বেতার ভাষণ প্রচার করা হবে। আমরা তিনজনই তিনজনের চোখের দিকে তাকালাম। কারাে মুখে কোন কথা নেই, আমরা চুপচাপ। আমরা চুপচাপ রেডিও-র ঘােষণা শুনলাম আর খেয়ে নিলাম। সকলেই বুঝলাম যে কী হয়ে গেছে। তারপর এই খবরটাকে নিয়ে পৃথিবীর সব রেডিও, ভারতের রেডিও পরদিন সকালবেলা থেকে সব স্টেশনের মাধ্যমে অনরবত প্রচার করতে লাগল। এদিকে কামরুজ্জামান সাহেব যখন সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন জানান তখন আমি মনসুর আলি সাহেবের সাথেও কথা বলি। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, “আপনি তাজউদ্দীন সাহেবকে বলুন, এই সরকারে আমার সম্পূর্ণ মত আছে। গতকাল যেটুকু পার্থক্য ছিল তা আর কোনদিন আমার কাজের ভেতরে প্রকাশপাবে না।’ এখন থাকলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব আর মােশতাক সাহেব। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব এতে মত দেবেন নিশ্চয়ই, কারণ তাঁকে উপ-রাষ্ট্রপতি করে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘােষণা করা হয়েছে। অতএব তার মত পেতে কষ্ট হবে না। এই চারজন যখন মত দিলেন তখন মােশতাক সাহেব কিছুতেই এটা ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। সেদিক থেকে এই ক্যাবিনেট যে একটা কার্যকর ক্যাবিনেট হবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। পরদিন সকালবেলা প্লেনে করে ময়মনসিংহের উপর যে তুরা পাহাড়, সেই পাহাড়ের কাছে আমরা নামলাম। ওখানে আমরা শুনতে পেলাম যে, সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব এবং আবদুল মান্নান সাহেব একটা রেস্ট হাউসে আছেন, পাহাড়ের নিচে বিএসএফ-এর লােক পাঠানাে হল। প্রায় দেড় ঘণ্টা লাগল তাদের এসে পৌছাতে। আমরা সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব এবং তাজউদ্দীন সাহেব দুজন সেখানেই একান্তে আলাপ করলেন। সমস্ত ঘটনা, যা ঘটেছে, সব বিবৃত করলেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেব ফিরে এসে বললেন যে, তার সম্পূর্ণ মত আছে এবং আমাদেরকে অভিনন্দন জানালেন। তারপর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবকে নিয়ে আমরা আগরতলার পথে রওনা দিলাম।

References:
ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলামের সাক্ষাৎকার,
তাজউদ্দীন আহমদ আলোকের অন্ততধারা | সিমিন হোসেন রিমি
সংগ্রামের নোটবুক
ড্রয়িং – গৌরব, সংগ্রামের নোটবুক

09/04/2022

জহির আলম খান, (জেড এ খান), একাত্তরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অফিসার হিসেবে পূর্ব বাংলায় দায়িত্বরত ছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ রাতে আটকের দায়িত্বে ছিলেন যিনি এবং পরবর্তীতে The Way It Was বইতে সেসম্পর্কে লিখেছেন। এটি বাংলাতেও অনুবাদ হয়েছে।

05/04/2022

মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণ হয় তেলিয়াপাড়ায়
স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৪ঠা এপ্রিল ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে। নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে যুদ্ধের সূচনা ঘোষণা করেন জেনারেল এমএজি ওসমানী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরেও ঐতিহাসিক এ স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি। এমনকি চা বাগান কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও নির্মাণ হয়নি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় জেনারেল এমএজি ওসমানীর নেতৃত্বে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তা মিলিত হন। এখান থেকে নেয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টরে। জেনারেল ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ে এখান থেকেই যুদ্ধের সুচনা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার পর সেখানে বুলেট আকৃতির দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধও নির্মাণ করা হয়। এমন ঐতিহাসিক স্থানটি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও রয়ে গেছে চরম অবহেলিত। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার সাধারণ মানুষদের দাবি, দ্রুত এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক।

কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, ক্যাপ্টেন (অবঃ) কাজী কবির উদ্দিন জানান, ২০১১ সালের ৭মে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মুর্শেদ খান বীরবিক্রম এখানে কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা দেন। তা নির্মাণে ১০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ও ধরা হয়েছিল। এজন্য প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করলে বাগানের পরিবেশ নষ্ট হবে এনটিসির এমন দাবির অযুহাতে তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

04/04/2022
24/03/2022
05/03/2022

"এই বাংলায় হিন্দু মুসলমান বাঙালি নন-বাঙালি যারা অাছে তারা অামাদের ভাই তাদেরকে রক্ষার দায়িত্ব অাপনাদের উপর, অামাদের যেনো বদনাম না হয় "
- অসাম্প্রদায়িক চেতনার মহাপুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার,জয় বাংলার হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার,নাজমুল হবিগঞ্ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share