20/10/2023
হযরত ইসা (আ:) যখন পৃথিবীতে আগমন করেন তখন পৃথিবীর অবস্থা
মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from TS TV BN, TV Channel, .
(1)
হযরত ইসা (আ:) যখন পৃথিবীতে আগমন করেন তখন পৃথিবীর অবস্থা
মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী
✳হুজুরের বউ✳
।
(শেষ পর্ব)
।
।
শাফাতঃ উহুঁ! আমি টাকা নেবোনা! অন্য কিছু চাই!
সুমাইয়াঃতাহলে কি নিবা?
অবাক কন্ঠ সুমাইয়া।
শাফাতঃ প্রতিদিন ফজরে জাগিয়ে দিবে আমায়।
(আপনারা যা ভাবছেন ভুল ভাবছেন)
-সুমাইয়াঃওকে আমার স্বামী! দিবোনে যদি তাতে তুমি খুশি হও"
বলে শাফাতের নাক টেনে দিলো সুমাইয়া।দুজনের মুখেই মুচকি হাসি। কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো নিষ্পলক একে অন্যের দিকে।
সুমাইয়াঃ এ্যই হুজুর! কি দেখছো অমন করে!
শাফাতঃ আমার রূপবতী বউকে দেখছি!
সুমাইয়াঃ ঢং! নতুন করে দেখার কি আছে?
শাফাতঃ তোমাকে যত দেখি ততই মুগ্ধ হই!বিয়ের আগে ও পরে প্রেমের পার্থক্য যে এখানেই!
- সুমাইয়াঃ-সে আবার কেমন?
শাফাতঃ শোনো, বিয়ের আগে যারা প্রেম করে তাদের আকর্ষণ ও ভালোবাসা দিন দিন হ্রাস পায়..আর বিয়ের পরের হালাল প্রেম ভালোবাসা দিন দিন শুধু বৃদ্ধিই পায়।আর স্বামী স্ত্রী যদি পরস্পর প্রেম ভালোবাসার নজরে তাকায় তো আল্লাহ্ পাকও তাদের রহমতের দৃষ্টিতে দেখেন।
সুমাইয়াঃ তাই! আলহামদুলিল্লাহ!
শাফাতঃ হুম! যারা বিয়ের আগে অবৈধ প্রেম ভালোবাসায় জড়ায় তারা যদি জানতো বিয়ের পরে স্ত্রীর সাথে হালাল প্রেম ভালোবাসা কত মধুর ও প্রশান্তিময় তাহলে তারা বিয়ে করে বউয়ের সাথেই প্রেম করতো।
-সুমাইয়াঃ এই জন্যেই তো হালাল প্রেম করার জন্য এই হুজুরকে আমি বিয়ে করছি "
বলে আবার শাফাত এর নাক টেনে দিলো সুমাইয়া।
খাটে মুখোমুখি বসে শাফাত সুমাইয়ার হাত দুখানা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললোঃ প্রিয়তমা!
এ রাতটা আমাদের বাসররাতও বলতে পারো।কারন আমাদের বাসায় তোমার এই প্রথম আগমন।আজ পরিপূর্ণভাবে তুমি সংসার লাইফে প্রবেশ করেছো, তাই তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
সুমাইয়াঃ তুমি আমার স্বামী, আর স্বামীর কথা পালন করা স্ত্রীর জন্য অবশ্য কর্তব্য।
বলো, আমি তোমার সব কথা শুনবো,ইনশাআল্লাহ্!
শাফাতঃ আলহামদুলিল্লাহ! খুশি হলাম,তাহলে শোনো,
এতদিন তুমি ছিলে একটা বাড়ির মেয়ে আর আজ থেকে তুমি একটা বাড়ির বউ, একজনের স্ত্রী। আজ থেকে তোমার জীবন কাঠামো অন্যরকম ভাবে শুরু করতে হবে। তোমার হাতে তুলে দেয়া হল একটা সংসারের চাবিকাঠি। আজ থেকে তোমার অনেক দায়িত্ব। তুমি ভয় পেও না। এই সংসার যুদ্ধে তুমি একা নও, আমি আছি তোমার পাশে। আমরা দুজনে মিলে গড়ে তুলব একটি সুন্দর সুখি পরিবার।"
সুমাইয়া মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনছে আর উপলব্ধি করছে স্বামীর প্রতিটি কথা।
শাফাত একটু থেমে আবার বলা শুরু করে।
- প্রিয়তমা আমার!
এ বাড়ির সবার সাথে তোমাকে মিলে মিশে চলাফেরা করতে হবে.. ছোট বড় সবার সাথে বিশেষ করে আমার মা বাবার সাথে তোমাকে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। এমন সম্পর্ক গড়ে তুলবে যাতে সবাই তোমাকে এ বাড়ির বউ মনে না করে এ বাড়ির মেয়ে মনে করে। তোমার ভালবাসার মায়াজাল দিয়ে ধরে রাখবে সবাইকে।
দেখবে তোমার জীবন খুব সহজ হয়ে যাবে।
প্রিয়তমা আমার!
আমরা শুধুই ভাল স্বামী স্ত্রী হব না,
আমরা খুব ভাল বন্ধুও হব।
সুখে দু:খে দুজন দুজনার সাথী হবো।শেয়ার করবো।সংসার জীবনে অনেক রাগ অভিমান হতে পারে তাই বলে আমরা ভুল বুঝে একে অপরকে ছেড়ে দুরে চলে যাব না। বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। অল্প রাগ, হালকা অভিমান, একটু ঝগড়া, খুনসুটি হতেই পারে। তবে এর পরিমাণ হবে তরকারিতে পরিমিত লবনের মতই।
শাফাত একটু থেমে আবার বলতে লাগলোঃ আমার বাবা মা এখন যথেষ্ট বয়স্ক। তারা বয়সের কারনে হয়তো একটু রাগারাগি করতে পারে। তখন তুমি তাদের সামনে মাথা নত রেখে নরম স্বরে কথা বলবা।কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে।
"গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ এই নয় যে তুমি পরাজিত, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
যদি তুমি তাদের রাগের সময় ভাল ব্যবহার কর তাহলে তারা আর কখনই তোমার সাথে রাগবে না। যদি তুমি আব্বু আম্মুকে মন থেকে ভালবাসো তাহলে তারা তোমাকে অনেক দু’আ করবে যা অমুল্য।
তোমাকে রান্না করতে হবে। সময়ে
আমিও হেল্প করবো তোমাকে।কখনও হিংসা করবেনা।স্নেহ
ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায়, হিংসা দিয়ে নয়।
আরেকটি কথা, একটা মেয়ের কাছে স্বামীর সুখের চেয়ে বড় কিছু নেই। এমন কিছু করবে যেন এই ঘর টাকে দুনিয়ার জান্নাত মনে হয়।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বা।
তুমি সুন্দরী হতে পারো কিন্তু সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য নয়।তাই বাইরে সংযত হয়ে পর্দা করে চলাফেরা করবে।
তুমি শুধু তোমার স্বামীর।তোমার তুমিত্বকে তুমি হেফাজত করবে আমার জন্য।
এবার তোমার কিছু বলার থাকলে বল।
শাফাত মাথা উঠিয়ে সুমাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে সুমাইয়া কাঁদছে।
শাফাত সুমাইয়ার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো - কাঁদছ কেন?
সুমাইয়া স্বামীর হাত দুখানা মুঠোয় পুরে নিলো।তারপর গালে ঠেকিয়ে অশ্রু মাখা কন্ঠে স্বামীকে বললোঃ
আপনি আমার উপর বিশ্বাস রাখবেন। আমার পাশে থাকবেন সবসময়। ভালবাসা দিয়ে সুখ দু:খে বুকে আগলে রাখবেন। আজ থেকে এই সংসারের দায়িত্ব আমার।
নিজের মনের মত সাজিয়ে আপন করে নেয়ার চেষ্টা করবো এই সংসারকে আমি। আপনার ভালবাসায়, আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়াতে এই সংসারকে সবসময় সুখি রাখতে চেষ্টা করব।
ইনশাআল্লাহ্!
জীবনে কাউকে বলিনি আজ বলছি
“আমি আপনাকে খুব খুব ভালবাসি"
” আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার আপনার মত স্বামী পাওয়া।
শাফাতঃ আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি জান!" আমি তো অনেক কিছুই বললাম। তোমারও তো কিছু কথা থাকতে পারে। বলো সোনা।
সুমাইয়া বলতে লাগলো এবারঃ
--"আমাকে খুব ভালবাসতে হবে।কখনও অবহেলা করতে পারবেন না। আপনার বুকে ঠাঁই দিবেন। প্রতিদিন রাতে আমি আপনার বুকে মাথা রেখে ঘুমাব বাধা দিতে পারবেন না। সারাক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখবেন। প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে আমার ঠোটে একটা করে চুমু দিয়ে যাবেন। আপনাকে মাঝে মাঝে মুখে তুলে খাওয়াতে দিবেন।
আমি ভুল করলে আদর সোহাগ দিয়ে ভুল সংশোধন করে দিবেন।
আমাকে কুরআন শিখাবেন, দ্বীন শিখাবেন।
আমাকে পর্দা করতে,দ্বীনের উপর চলতে সহযোগিতা করবেন।
নামাজ না পড়ে ঘুমিয়ে গেলে মুখে পানি ছিটিয়ে দিবেন।
আমি রাগ করলে আমার মনটা বুঝার চেষ্টা করবেন। আদর, ভালোবাসা দিয়ে রাগ ভাঙাবেন।
আপনার কাছ থেকে আমি বেশি কিছু চাই না ,আমার ছ
বের হচ্ছিলাম বাসা থেকে,
এমন সময় বাবা বললো: তোমার কাছে কি ৫০০টাকা হবে?
হঠাৎ কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভুতি হলো,
বাবার দিকে তাকিয়ে মনে পড়ে গেল সেই ক্লাস টু'র একটি কথা;
আব্বুকে বলেছিলাম : আব্বু পাঁচ টাকা দিবা?
আব্বু: কেন? কি করবে পাঁচ টাকা দিয়ে?
আমি: আইস্ক্রিম খাবো।(তখন দুই টাকায় দুইটা রঙিন আইস্ক্রিম অথবা অথবা একটা বরফের সাথে নারকেল দেয়া আইস্ক্রিম পাওয়া যেতো)।
আব্বু পাঁচ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিয়েছিলেন। বাবা-মা আসলেই অদ্ভুত ক্যারেক্টার,তারা সারাজীবন চেষ্টা করেছেন তাদের সর্বোচ্চটা আমাদের জন্য করার জন্য। সময় কতটা দ্রুত চলে যায়,আজ আব্বু বয়োবৃদ্ধ.... । কেমন যেন খুব কান্না পেল, জানিনা।
পকেট হাতড়ে ১০০ টাকা বাদে যা ছিল সবটা আব্বু কে দিয়ে দিলাম।
আব্বু:আরে পাগল এত দিয়ে আমি কি করবো??'''
আমি: তুমি বাইরে যাবে, তোমার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবা,চা নাস্তা খাবা আর কি____বলেই উল্টো ঘুরে হাঁটতে শুরু করলাম, চোখের পানি এড়াতে।
আপনজন জন্য সময়মতো কিছু করতে না পারলে কিসের চাকরি, কিসের ব্যবসা,এসব দিয়ে কি হবে??'''কিসের প্রাচুর্য, সবই তো ক্ষণস্থায়ী। আমি মনে করি আমার বলে কিছু নেই,সব সাময়িক আমাকে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।সব কিছুই ঠিকঠাক রয়ে যায়, থাকে না শুধু মানুষগুলো।
তাই যাদের মা-বাবা আছেন তাদেরকে আল্লাহ পাক নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন,আর যাদের বেঁচে নেই আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন.....
আমিন
"
"
রাতে খাওয়ার পর গল্প শোনার জন্য জড়ো হয়েছে আয়েশা ,সামিয়া আদনান। দরজার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সুরাইয়া।
সুরাইয়া তুমি গল্প শুনবে এদিকে আসো বলে উঠল আয়েশা।
আয়েশার ডাকে সুরাইয়া এসে আমাদের মজলিসে বসল।
আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছি।
আমি গল্প বলা শুরু করলাম।
কিছুক্ষণ পর আমজাদ এসে আমাদের গল্পে বসল।ও এসে গল্পের আগা গোড়া কিছুই বুঝতেছে না। আমজাদ বলল ভাইয়া গল্প আবার প্রথম থেকে শুরু করেন।
:না পারবো না
আমার কথা শুনে আমজাদ মাটিতে পড়ে কাঁদতে লাগলো।
আমজাদের বয়স সাত বছর ও আমার গল্পের খুব ভক্ত তাই ওর এই পাগলামী। যাইহোক আমি একরাশ বিরক্তি নিয়ে আবার গল্প বলতে শুরু করলাম।
গল্পের মাঝে দেখি কখনো সুরাইয়ার মন খারাপ হয়ে যায় যখন রাজপুত্র ভীষণ বিপদে পড়ে। সুরাইয়ার মন ভালো করার জন্য গল্পের রূপ তখন পরিবর্তন করে ফেলি। এইভাবে গল্প শেষে সবাই যার যার রুমে চলে যায়। ঘুম নামক সুখপাখিটা আজ আমার চোখে ঘুমের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে না।চোখে ভাসছে ঐ মায়াবী মুখচ্ছবি। হঠাৎ ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে আমি এক দ্বীপে গিয়ে পৌঁছলাম এক শাহজাদীকে উদ্ধার করতে কিন্তু আমাকে এমন সময় এক ভয়ানক জ্বীন এসে উড়িয়ে এমন এক মরু সাহারায় নিয়ে গেছে। যেখান থেকে বের হওয়ার তামাম পথ রুদ্ধ। চিৎকার করলেও কোন সাহায্য আসবে বলে মনে হয় না।এমন সময় আমার বড্ড বেশি পিপাসা লাগল। পিপাসায় আমি কাতরাচ্ছি ঠিক এমন সময় জনৈকা শাহজাদী নিয়ে এসেছে আমার জন্য শারাবান তহুরা। জনৈকা শাহজাদীকে দেখতে অবিকল ঐ চেহারার মতো যেই চেহারাটা এতক্ষণ আমার সামনে বিচারণ করছে। হঠাৎ করে আয়শার পানির ছিটাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। আয়শার বাচ্চা দাঁড়া বলে তাড়া দিতে গিয়ে দেখি সুরাইয়া পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে।ওরে দেখার সাথেই আমার রাগ পড়ে গেল।আড় চোখে তাকাই সুরাইয়ার দিকে।এ যেন চর্ম চোখে স্বপ্নের শাহজাদীকে এক পলক দেখে নেওয়ার কসরত.....
অনেকই আবার আমার বন্ধুদের মাধ্যমে আমার কাছ থেকে টাকা ঋণ নিতো।
ওহ এবার বিষয়টা পুরোপুরি মাথায় এসেছে।
:কি ফাহাদ ভাই? জিঞ্জেসা করল তাকী
:তাকী ভাই আমাদের তিন জনের মধ্যে আব্রাহাম একটু ভদ্র টাইপের ছিল।ও পড়াশোনায়ও খুব ভালো ছিল।আমরা যদি কখনো কোন মেয়ের সাথে টাংকি মারার চাইতাম কিন্তু পরতাম না আব্রাহাম কান ধরে নিয়ে আসতো ।বলতো ক্লাসের বই পড়তে ভালো না লাগে তাহলে উপন্যাস পড়ে।কত সুন্দরী মেয়েরা নোট নেওয়ার নামে তার বইয়ের ভাঁজে লাভ লেটার রেখে গেছে তার কোন ইয়াত্ত নেই। সবাই ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ঘটনাক্রমে কলেজ ক্যাম্পাসে একদিন ফুফাতো বোন পরিচয়ে তামান্না নামে একটি মেয়ের সাথে আব্রাহামের সাক্ষাৎ হয়। প্রথমে কথাবার্তায় এবং পরে সম্পর্ক প্রেমের হয়। সবদিকেই দুজনের অবনতি দেখা দেয়। তামান্নার বাড়ির লোকজন বিষয়টি সামান্য টের পায়। তামান্নার আব্বুর চাকরিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি হওয়ায় পরিবার সবাই চট্টগ্রামে চলে আসে।
এদিকে তামান্নার বিচ্ছেদ বেদনায় ব্যাকুল হয়ে পড়ে আব্রাহাম। কিছুদিন পর সে ফেসবুকে তামান্নার সাথে যুক্ত হয়। পরস্পর চ্যাটিং ভিডিও কলে কথা চলতে থাকে। ছোট স্কীনে তামান্নার ছবি বারবার দেখাতে আব্রাহাম আরো অস্থির হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে সে নেশা করতে থাকে।
তাকী ভাই কথায় আছে না যে ভদ্র ছেলেটা যদি খারাপ হয়। তাহলে সব নষ্টের মূল হোতা হয় সে। আব্রাহামও ঠিক সেই রকম হয়। অল্পক্ষণে সে কলেজের মধ্যে ত্রাস হয়ে যায়।বড় বড় সন্ত্রাসীরাও আব্রাহামকে ভয় পায়।সাঙ্গ পাঙ্গ ও বেশ জুটিয়েছে । কলেজের স্যাররা এখন তার কথার উপর কথা বলে না। খারাপ হলেও আমাদের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করা নাই। মাঝে মধ্যে ভালো কাজও করে দেয় তাও আবার খারাপের মাধ্যমে। আমি আব্রাহামের মাধ্যমে বরিশালের একজনের কাছে এক লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ করে না। একদিন আমি আব্রাহামকে বললাম
:কিরে টাকাগুলো কি আনার ব্যবস্থা করবি?
:আরে তোর কি এই টাকার খুব বেশি প্রয়োজন। এগুলো তো তোর অতিরিক্ত না হলেও চলে।
:তাই বলে কি আর এতগুলো টাকা গস্তা যাবে।
: আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চল একদিন বরিশাল থেকে ঘুরে আসি। সাথে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতেও যাবি।
: তাহলে তো ভালোই হয়। আগামী ২০ ই জানুয়ারি চল।
আমাদের যাওয়ার সিদ্ধান্ত পাকাপাকি হয়ে যায়। আমরা প্রভাতে রওয়ানা হয়ে যাই। বরিশালে যাওয়ার পর প্রথমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছা করে আব্রাহাম।
ওর কথামত আমি আব্রাহাম ও বরিশালের পাঁচজন রওয়ানা হই। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ একটা নির্জন এলাকায় নিয়ে আসে ওরা এসময় আব্রাহাম প্রশাব করার নাম নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তারপর বাকি ঘটনা তো আপনি অবগত তাকী ভাই।
এবার বুঝে আসছে এই সব কিছুর পিছনে আব্রাহামের হাত রয়েছে।
: ফাহাদ ভাই আমার মনে হয় সন্দেহ করা ঠিক হবে না। বিষয়টা তো এইরকম হতে পারে যে আব্রাহাম বিপদ বুঝে আর এদিকে আসি নাই হয়তো বা ওরা তাকে ভয় দেখিয়েছে যে এদিকে আসলে তার অবস্থাও খারাপ করে দিবে।কারন সে মাস্তান হলেও তো ঢাকার বরিশালের তো না।
এইসময় নার্স এসে জানিয়ে দিল আগামীকাল রুগী বাসায় ফিরে যেতে পারবে।
: ফাহাদ ভাই আপনি তো এখন পুরোপুরি সুস্থ আশা করছি বাসায় একাকি ফিরে যেতে পারবেন।
আমারও অনেকদিন সময় পার হয়ে গেল। লেখাপড়াও আছে।
:না তাকী ভাই এইরকম কথা বলবেন না।
আপনার ওসিলায় যেহেতু এই অধমের জীবন ফিরে পেয়েছে। তাই একটু কষ্ট করে হলেও বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। যদিও আর কিছুদিন নষ্ট হয়।
তাছাড়া ড্যাডি আম্মি শুনলেও বকা দিবে আমাকে। কেন আমি আপনাকে নিয়ে আসলাম না।
: ফাহাদ ভাই আমি যেতে পারি কিন্তু একটা শর্ত আছে।
:কি শর্ত তাকী ভাই?
: আমার বর্তমানে কিছু বলবেন না।
যদি কিছু বলা লাগে তাহলে আমি চলে আসার পর বলবেন।
: আচ্ছা ঠিক আছে তা না হয় না বললাম।
:সুরা ওয়াকিয়া পড়ছি।
: সুরা ওয়াকিয়া পড়লে কী হবে?
: হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি সুরা ওয়াকিয়া পড়বে তার কখনো রিজিকের কষ্ট হবে না। তাছাড়া কুরআনের একটা অক্ষর পাঠ করলে দশটি নেকি পাওয়া যায়।
:আহ আমি যদি কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারতাম... এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল ফাহাদ।
: ফাহাদ ভাই আপনি তো এখন ও চেষ্টা করলে শিখতে পারেন।
:তাকী ভাই আপনি তো কুরআনের হাফেজ। আপনি কি এই অধমকে একটু কষ্ট করে কুরআন পড়া শিখিয়ে দিবেন??
: হ্যাঁ অবশ্যই। এখন কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে এই কয়েক দিনে ইনশাআল্লাহ শিখিয়ে দেব।
তো অনেক দীর্ঘ কথা বললাম ফাহাদ ভাই। এখন আপনি আপনার এই নাটকীয় ঘটনার রহস্য কি?
যদি বিস্তারিত জানতেন তাহলে অনেক খুশি হতাম।
:সে এক দীর্ঘ কাহিনী বলে শ্বাস নেয় ফাহাদ তারপর বলতে শুরু করে ঘটনা...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি অনেক বন্ধু বান্ধব পাই। তাদের জন্য অজস্র টাকা পয়সা খরচ করতাম আমি। আমার টাকার জন্য কি না জানি না বন্ধু বান্ধব সব সময় লেগেই থাকত আমার সাথে। খেলা ধুলা, ফাজলামি ও লেখাপড়ায় আমরা তিনজন খুব ঘনিষ্ট হয়ে যাই।কেউ কাউকে ছাড়া যেন কিছুই বুঝি না। তিন জন সব দিক থেকেই অলরাউন্ডার থাকায় কলেজের মধ্যে খুব সাড়া পড়ে যায়।সবাই আমাদের ' থ্রী ইন ওয়ান'' নামে পরিচিত হয়ে থাকেন উঠি। এটা কেমন জানি তিন দেহে এক প্রাণ। আব্বু আম্মু আমার জন্য আর ছোট বোন শান্তার জন্য একটা ইন্ডাস্ট্রিজ লিখে দেন। এগুলোর কোন হিসাব নিকাশও নেন না তারা। শান্তারটা দেখাশোনার ভার পরে আমার উপর।
তাকী যেন তার মনের মধ্যে জমে থাকা চির সত্য কথা গুলো বলার মতো একজন সাথী পায়।তাই তাকী গলা খাঁকারি দিয়ে আবার বলা শুরু করলো:- ইসলাম বিদ্বেষীরা অপপ্রচার চালায় হুজুররা ভীত টাইপের হয় কিন্তু আপনিই তো দেখলেন। মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র কিন্তু এইরকম। তারা যেইখানে জনকল্যাণমূলক কাজ দেখে সেই কাজে কখনো তারা পিছপা হয় না। মানুষের খেদমত করতে তাঁরা তাঁদের জীবনটা উৎসর্গ করে দিতে প্রস্তুত থাকে সদা সর্বদা।
আপনি আবার বলতে পারেন কই হুজুরদের এই সব জনকল্যাণমূলক কাজ তো সংবাদে প্রচার হয় না।
এই কথার উত্তর হলো হুজুররা যেই কাজ করে সেগুলো শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য করে কোন মানুষের বাহ বাহ পাওয়ার জন্য করে না। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় সাধারণ দশ কেজি চাল আর দুই কেজি ডাল দিতেও ক্যামেরা ছাড়া সম্ভব হয় না।
তাকীর কথাগুলো ফাহাদ মনোযোগ দিয়ে শুনছে। ফাহাদের আগ্রহ দেখে তাকী অবিরাম কথা বলে যায়:- ফাহাদ ভাই আমাদের এই ক্ষুদ্র একটা দেশকে পৃথিবীতে সম্মানের আসনে কারা বসিয়েছেন জানেন কি?
:না
: এই মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেরাই কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রকে পিছিয়ে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায়। শুধু কি একবার??? না বরং ২০১২ সাল থেকে আজ অবধি কেউ বাংলাদেশকে দ্বিতীয় করতে পারেন নাই। ফাহাদ ভাই আপনিই বলুন কেউ কি পেরেছে এই রকম বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে সমুন্নত করতে???
তারপরও অনেকে বলে মাদ্রাসায় পড়ুয়ারা কি করলো দেশের জন্য!!!!!
ফাহাদ আপনি যদি কোথাও একটা সাধারণ চাকুরীর জন্য বিজ্ঞাপন দেন। দেখবেন সেখানে সার্টিফিকেটের স্তুপ জমে যাবে।
কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছেলেরা পড়াশোনা শেষ করে আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা করে একটা দ্বীনি খেদমতে লিপ্ত হয়ে যান।তারা বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করে মা-বাবার কাছে বোঝা হয়ে থাকেন না।
এরমধ্যেই মসজিদের সুউচ্চ মিনার থেকে ভেসে আসে মুয়াজ্জিনের সুমধুর কন্ঠে আজানের ধ্বনি।তাকী ফাহাদকে বেডে পৌঁছে দিয়ে নামাজ পড়তে মসজিদের অভিমুখে অগ্রসর হয়। ফাহাদ বেডে বসে হারিয়ে যায় চিন্তার সাগরে। বারবার ভাবতে থাকে তাকীর কথাগুলো। ফাহাদের কাছে যেন অন্ধকারের অমানিশা কাটতে থাকে। বিড়বিড় করে বলতে থাকে হ্যাঁ আমরাই ভুল পথে ছিলাম।যাক তারপরও সত্যির সন্ধান তো পেলাম। কিন্তু না এতটুকু জানালেই হবে না আমার আরো জানতে হবে।তাকী ভাই অনেক মহৎ মানুষ তার মতো মানুষকে হাতছাড়া করা যাবে না। ফাহাদের এইসব চিন্তার ছেদ ভাঙলো তাকীর উপস্থিতি। নামাজ আদায় করে তাকী অন্যান্য অজিফা পাঠ করত সুরা ওয়াকিয়া পড়তে পড়তে রুমে প্রবেশ করে।
ফাহাদ তাকীকে জিজ্ঞেসা করে
:তাকী ভাই আপনি কি পড়ছেন?
:সুরা ওয়াকিয়া পড়ছি।
: সুরা ওয়াকিয়া পড়লে কী হবে?
: হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি সুরা ওয়াকিয়া পড়বে তার কখনো রিজিকের কষ্ট হবে না। তাছাড়া কুরআনের একটা অক্ষর পাঠ করলে দশটি নেকি পাওয়া যায়।
:আহ আমি যদি কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারতাম... এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল ফাহাদ।
: ফাহাদ ভাই আপনি তো এখন ও চেষ্টা করলে শিখতে পারেন।
:তাকী ভাই আপনি তো কুরআনের হাফেজ। আপনি কি এই অধমকে একটু কষ্ট করে কুরআন পড়া শিখিয়ে দিবেন??
: হ্যাঁ অবশ্যই। এখন কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে এই কয়েক দিনে ইনশাআল্লাহ শিখিয়ে দেব।
তো অনেক দীর্ঘ কথা বললাম ফাহাদ ভাই। এখন আপনি আপনার এই নাটকীয় ঘটনার রহস্য কি?
যদি বিস্তারিত জানতেন তাহলে অনেক খুশি হতাম।
:সে এক দীর্ঘ কাহিনী বলে শ্বাস নেয় ফাহাদ তারপর বলতে শুরু করে ঘটনা...
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর বেফাক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে অতি শীঘ্রই। প্রকাশিত নোটিশ হতে জানা য....
আমার ফাহাদ, পিতা কবির চৌধুরী,বাসা ঢাকা মিরপুরে। তিন ভাই,এক বোন। আব্বু একটা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আম্মু সরকারী কলেজের শিক্ষকা। এখন দু'জনেই অবসর গ্রহণ করছেন। ঢাকার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তারা মাঝে মধ্যে দেখা শুনা করেন। ভাই বোনদের মধ্যে আমি তৃতীয়।বড় ভাই সৌদি আরবে এবং মেঝো ভাই সিঙ্গাপুর থাকে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র।সবার ছোট বোন হচ্ছে তাসকিয়া আক্তার ''শান্তা’'।সে একটা সরকারী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অবশ্যই চার ভাই বোনের জন্য আব্বু গুলশান, যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, ও বনানীতে একেকটা করে বাড়ি তৈরি করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। মিরপুরের বাসায় শুধু আব্বু আম্মু আর শান্তা থাকে। আমি তো প্রায় যাত্রাবাড়ী থাকি।
:তাকী ভাই আপনার পুরো ঠিকানা কিন্তু এখন গোপন রেখেছেন। যতটুকু বললেন, ততটুকু তো শুধু অধ্যয়ন স্থানের অস্থায়ী ঠিকানা। স্থায়ী ঠিকানা এবং বিস্তারিত অবস্থা জানালে উপকৃত হতাম।
: না, ফাহাদ ভাই! দুনিয়া তো কারো জন্য স্থায়ী ঠিকানা নয়। শুধু মাত্র কয়েক দিনের জন্য একটু......
:তা বুঝলাম তবে.....?
: তবে মানে। এই স্বল্প সময়ের জন্য আপনি আশ্চর্যবোধ করছেন?
: হ্যাঁ, তেমন লাগছে।
: প্লিজ কারন জানতে পারি?
: হ্যাঁ.. জানতে পারেন। কিন্তু না জানলে ভালো হয়।কারন এতে আবার আপনি মনে কষ্ট পেতে পারেন।
: যদি আপনার গোপনীয় কোন কথা না হয় তাহলে বলতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আমি কোন কষ্ট পাব না
: আমার এই আশ্চর্য হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো:- আপনার এতদিনের উঠাবসায় আমি মনে করেছিলাম আপনি হয়তো বা ডিগ্রি নিয়ে কোন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। কারন আমরা জানি মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্ররা ভীতু, কাপুরুষ, এবং অসামাজিক হয়।তারা কট্টরপন্থী ও গোড়া মৌলবাদী হয়। তাঁরা সমাজের কোন উপকারে আসে না। তারা দেশ ও জাতির জন্য কোন কিছুই করতে পারে না। না পারে নিজের দেশকে বিশ্বের সামনে উঁচু করতে। তাছাড়া তারা ঠিক মত বাংলা লেখতে পারা তো দূরের কথা শুদ্ধ করে বাংলা বলতে পারেনা আর ইংরেজি ভূগোল তো বাদই দিলাম। আমরা আজীবন হুজুরদের সম্পর্কে এইসব জেনে এসেছি।
: ফাহাদ ভাই আপনার প্রশংসা করতে হয় কারণ আপনি সব কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেন। কোন কথা বলতে আপনার দ্বিধা নেই।
এখন আপনি যদি শুনতে চান তাহলে আমি এই ব্যাপারে বলতে পারি
: হ্যাঁ তাকী ভাই। শুনতে চাই বলে তো বললাম।
: ফাহাদ ভাই আপনি আমার একটা কথার উত্তর দেন। আপনার অভিযোগগুলো কি আপনি শুধু শুনেছেন না কি বাস্তবে দেখেছেন?
: না তাকী ভাই এগুলো শুধু লোকমুখে শোনা।আর বাস্তবে এটা কখনো প্রমাণ করে দেখিনি।
: তাহলে শোনেন ফাহাদ ভাই ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামকে ছোট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
দেখুন আপনি যেই বিষয়টি অভিযোগ করলেন এটা আপনার শোনা এবং আপনি যাদের থেকে শুনেছেন তারা কি এই বিষয়টা কখনো খতিয়ে দেখেছেন। না কি শুধু লোক মনে শোনা?
: আসলে তাকী ভাই!বাংলা একটা প্রবাদ আছে না ''হুজুগী বাঙালি'' আমরা হলাম সবাই হুজুগী বাঙালি। কোন কথা শুনলেই বাছ বিচার না করে প্রচার করতে শুরু হয়ে যাই
এখন যুবকটি কিছুটা সুস্থ তাকীকে পাশে পেয়ে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠে। এবং বলে ভাই আপনি কে? আমি এইখানে কিভাবে আসলাম?
: ভাই আপনি এত ব্যস্ত হচ্ছেন কেন?
আপনার এখনও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। শুয়ে পড়ুন। সবকিছু পরে জানতে পারবেন। যুবকটি আবার শুয়ে পড়ল।তাকী তার কপাল আস্তে আস্তে মালিশ করে দিতেই সে হারিয়ে গেল ঘুমের রাজ্যেয়।
এখন যুবকটি প্রায় সুস্থ হয়তো বা কিছুদিন পরই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারবে।
এখন তার হাঁটতে তেমন সমস্যা হয় না।একে অপরকে জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে পড়ে।
************
পড়ন্ত বিকেল বেলা সূর্য তার চিরচেনা অভ্যাস অনুযায়ী পশ্চিম দিকে ঢোলে পড়েছে। পাখিরা কিচিরমিচির শব্দ করে তার গন্তব্যে স্থানের উদ্দেশ্য উড়াল দিচ্ছে।
এইরকম একটা পরিবেশে হাসপাতালের পাশের বাগানে পায়চারি করছে তাকী আর ঐ যুবকটি।
আর গল্প করছে এরই ফাঁকে নিজ নিজ পরিচয় এবং দূর্ঘটনায় ঘটে যাওয়া সব ঘটনা অবহিত হতে লাগল।
প্রথমে তাকী বলল আমার নাম মুহাম্মদ তাকী। আমি খুলনা দারুল উলুম মাদ্রাসায় লেখাপড়া করি। মাদ্রাসার দশদিন ছুটি পেয়ে বন্ধুরা সহ ঘুরতে আসি কুয়াকাটায়। আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। হঠাৎ একটা গাছের আড়াল থেকে আর্তনাদে থমকে দাঁড়াই। ততক্ষণই অপ্রস্তুত ভাবে দৌড়ে গিয়ে দেখি আপনাকে পাঁচ জন সন্ত্রাসী ছুরিকাঘাতে ধরাশায়ী করে ফেলেছে। এইভাবে পূর্বাপর সকল ঘটনা খুলে বললো।
তাকীর কথা শুনে যুবকটি একটু আধটু মনে হতে লাগলো। পরক্ষনেই সে ডুকরে কেঁদে উঠে তাকীকে জড়িয়ে ধরে বলল ভাই আপনি আমার জীবন বাঁচিয়েছেন আপনার প্রতিদান আমি জীবনেও শোধ করতে পারবো না।
: ভাই আপনি এত বড় ভুল করছেন কেন? আমার তো প্রাণ রক্ষা করার কোন ক্ষমতা নেই। অর্থ্যাৎ কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করতে পারে না। বরং সবকিছুর মালিক তো আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা মৃত্যু দেন যাকে ইচ্ছা জীবন দেন ।এইসব কিছু তো তার হাতে রয়েছে। মানুষ তো ওসিলা মাত্র। আর আমার মতো অধম সেই কর্তব্যটুকু পালন করেছে। যাইহোক এখন আপনার পরিচয় এবং এই নাটকীয় ঘটনার পটভূমি জানালে খুশি হব।
শীতের এই সময়টায় কুয়াকাটায় থাকে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সমুদ্র বিলাসী মানুষগুলো এই সময় দলবেঁধে এইখানে আসে। স্বচ্ছ লোনা জল , বালুময় পথ,আর দৃষ্টি সীমা জুড়ে জলতরঙ্গ। পৃথিবীর যেন তার সব সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই দ্বীপে রয়েছে।
তাকী ও তার বন্ধুরা কিছুদিনের জন্য ঘুরতে এসেছে কুয়াকাটায়।তাকী চলতে চলতে হঠাৎ করে বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।তাকীর যেন এদিকে মোটেও খেয়াল ছিল না। সম্বিত ফিরে পেয়ে তাকী ভাবল হায় আমি কোথায় চলে এসেছি। আর এই দিকটায় না কি দস্যুদের আবাসভূমি। আবার কোন সমস্যায় পড়তে হবে না তো। এইসব চিন্তার মাঝে অকস্মাৎ করে করে কিসের আওয়াজ পেয়ে থমকে যায় তাকী। কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে কর্ণদ্বয় সজাগ রেখে চপলা হরণীর ন্যায় এদিক সেদিক চোখ বুলিয়ে নিতে একটা বড় গাছের আড়াল থেকে বিকট আওয়াজ ভেসে আসে- কে আছো..... আমাকে বাঁচাও..... বাঁচাও.. ক্ষণিকের মধ্যেই আওয়াজ স্তিমিত হয়ে এলো। এখন শুধু অস্পষ্ট আওয়াজে শুনা যাচ্ছে আমার যা কিছু আছে সব তোমরা নিয়ে নাও। তারপর আমাকে প্রাণে মেরো না।
তাকীর বিষয়টা বুঝতে বাকী রইল না। কিন্তু সে এখন কি করবে বুঝতে পারছে না।করন সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় অধিক আর সে তো একা এবং নিরস্ত্র। অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে বিপদের মুখে পড়তে হবে না তো?
পরক্ষনেই ভাবে না এটা হতে পারে না যে আমার সামনে থেকে একটা তরুতাজা প্রাণ ঝড়ে যাবে!!
হঠাৎ কে যেন তাকীর মনকে বলে দিয়ে যায় তাকী এখন চিন্তা করার সময় নেই। একজন বনী আদমকে সাহায্য করতে তোমাকে ঝুঁকি তো নিতেই হবে।যাও সামনে অগ্রসর হও আল্লাহর মদদ পাবে।
বিলম্ব না করে দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেল। গিয়ে দেখে পাঁচজন লোক একজন যুবককে ছুরিকাঘাতে ধরাশায়ী করে ফেলেছে।তাকী বিদ্যুৎগতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল দস্যুদের উপর। কয়েক দিন গত হলো তাকী নিজের নিরাপত্তার জন্য কুংফু ট্রেনিং এর কোর্স শেষ করছে। এখন সেই ট্রেনিং প্রয়োগ করতে লাগলো।তাকীর আক্রমণের তোরে সন্ত্রাসীরা বেশিক্ষণ টিকতে পারলো না পিছু হটতে বাধ্য হলো।
তাকী দেখলো যুবকের ক্ষতস্থান থেকে অঝরো রক্ত ঝরছে। তাকে এই মুহূর্তে হাসপাতালে নিতে হবে।বালুময় পথ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেতে পারে।আর গাড়ি এদিকে আসবে কী করে। এই ভেবে তাকী যুবককে পাঁজাকোলা করে হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওয়ানা করল। দীর্ঘ সময় চলার পর রোডে এসে পৌঁছায়। একটা অটো রিকশা তাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছায়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করায়। কিন্তু ডাক্তার এসে খবর দেয় রুগীর অবস্থা খারাপ। এই মূহুর্তে রক্ত লাগবে আর রক্ত না হলে রুগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। অতিরিক্ত রক্ত হাসপাতালে নেই।আর অল্প যা আছে তা আবার রুগীর গ্রুপের সাথে মিল নেই।
তাকী ভাবল আমার নিজের রক্তর গ্রুপ তো পরিক্ষা করতে পারি।তাকীর রক্ত পরীক্ষা করার পর দেখা গেল উভয়ের রক্তের গ্রুপ এক। প্রথমে তাকীর থেকে ডাক্তাররা রক্ত নিতে রাজি ছিল না কারন সেই সময় তাকীর স্বাস্থ্য তেমন ভালো ছিল না কিন্তু তাকীর জোরাজুরির কারনে ডাক্তার রক্ত নিতে বাধ্য হয়।
যুবকের চিকিৎসার জন্য তাকীর চিন্তিত হতে হলো না কারন তাকীর কাছে তখন পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা ছিল।
ডাক্তারের চিকিৎসা আর তাকীর নিরালাস খেদমতের কারনে আস্তে আস্তে যুবক সুস্থ হতে থাকে। এখন মাঝে মধ্যে একটু আধটু করে চোখ মেলে আর পাশে তাকীকে তার খেদমত করতে দেখে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থাকে।
*****প্রভুর প্রেম***
প্রভু তোমার প্রেম ঝিকমিক সোনার মতো,
ঐ প্রেমের মমতায় থাকি ধ্যানরত।
ফুল-ফলহীন গাছ নেই কোন মূল্য,
প্রভু তোমার প্রেম বিহীন জীবন গাছ সমতুল্য।
সকল মানুষের জীবনে প্রেম আসে,
স্থায়ী সুখের আশায় তারা প্রেম ধরে কষে।
মানুষের প্রেম ধোঁকা, কেননা তারা সৃষ্টি,
তুমি তো সৃষ্টিকর্তা তোমার প্রেম উৎকৃষ্ট।
তোমার প্রেমের তৃষ্ণার্ত হয়ে দরবেশরা যায় বন জঙ্গলে,
জানি তোমার প্রেম আসবে তাদের মঙ্গলে।
আলোবিহীন যেমন অন্ধকারে থাকি,
তোমার প্রেম বিহীন এ জীবন ফাঁকি।
***দুই হাজার একুশ***
আর নয় দলা দলি রেষারেষির ক্ষোভ,
সকালে ভুলে যাই স্বার্থের লোভ।
একতার তুলি দিয়ে আঁকি গোটা বিশ্ব,
খোদার সন্তেষ্টু হোক উদ্দেশ্যে।
ভাই ভাই বন্ধনে ভুলে যাই আক্রোশ,
দ্বন্দ্বের অবসান দুইহাজার একুশ।
এমন দ্বীনি পুলিশদের মেহনতে পরিবর্তন হচ্ছে বহু যুবক।
Short Film : Dini Police
*****অমর বানী*****
গুনাহ ছাড় কিতাব ধর, সুন্নাত নিয়ে মরো।
শয়তান তোমার পিছু লাগা আমল যাতে ছাড়ো।
কু-দৃষ্টি, কু-ধারণা বিদ্আত যদি করো,
ওলি হতে পারবে নাকো যতই চেষ্টা করো।
সুন্নাত হলো পরশ পাথর ওলি হওয়া যায়,
সুন্নাত হলো কষ্টিপাথর ওলি চেনা যায়।
ওলি হওয়া বড় সোজা যদি মানা যায়,
হিম্মত করলে তাহাজ্জুদে খোদার পরিচয় ।
দুনিয়াটা ধোঁকার ঘর কেউ হবে না কারো,
আজকের থেকে আমল গুলো শক্তভাবে ধরো।
মাদ্রাসাটা মায়ের পেট যদি বনতে পারো,
সঠিক ভাবে বাহির হবে ধোঁকা বাজি ছাড়ো।
গাফেল হয়ে ধোকায় পড়ে গুনাহ যদি করো,
নতুন করে তওবা পড়ে কুতুববিনী ধরো।
তওবা তোমার শেষ হবে না যতক্ষণ না মরো,
তওবা তোমার সঙ্গী সাথী এখন থেকে ধরো।
গুনাহ যখন সামনে আসে লা-হাওলা পড়ো,
গুনাহর সাথে লা-হাওলা থাকবে নাকো কারো।
সুন্নাত তোমার জীবনভর চব্বিশ ঘন্টাই গড়ো,
সব কাজে সুন্নাত হলে ওলি বনতে পারো।
******সফল জীবন***"
ওহে! তুমি যদি পেতে চাও সফল জীবন,
কথা মত শিক্ষকের করিও জীবন গঠন।
অবহেলা শিক্ষকের কথা করেছে যে জন,
পাইনি সে এ ধরাতে কোথাও সম্মান।
শিক্ষককে করে নাও তুমি সবার চেয়ে আপন,
প্রকৃত মানব হবে তুমি সবার মাঝে তখন।
জগৎ জুড়ে খ্যাতি যারা করেছে আহরন,
আশেক ছিল শিক্ষকের তারা সারাটা জীবন।
হুসাইন মাদানী তাদের একজন,
সাথে করেছেন শিক্ষকের দ্বীপ গ্রহণ।
কথা মত শিক্ষকের করলে জীবন গঠন,
তোমায় দেখে হাজার মানুষ হবে সংশোধন।
হারাম বিবাহ
মহান খোদা হুকুম করেন ছেলেদের উপরে,
চৌদ্দজনকে বিবাহ করা হারাম জানো সবে।
মা,খালা, শাশুড়ি, ফুফু,দুধ মা যারা।
বোন,দাদি, নানি, নাতনি, দুধ বোন যারা।
নিজের মেয়ে, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে যারা।
ছেলের স্ত্রীর সাথে কিন্তু বিবাহ করা মানা।
এদের যারা বিবাহ করে হালাল মনে করে,
কুরআন ও হাদীসে কাফের তাদের বলে।
মহান খোদা হুকুম করেন মেয়েদের উপরে,
চৌদ্দ জনকে বিবাহ করা হারাম জানো সবে।
বাবা,মামা, শশুর, চাচা,দুধ বাবা যারা।
ভাই, দাদা, নানা,নাতি,দুধ ভাই যারা।
নিজের ছেলে, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে যারা।
মেয়ের স্বামীর সাথে কিন্তু বিবাহ করা মানা।
এদের যারা বিবাহ করে হালাল মনে করে।
কুরআন ও হাদীসে কাফের তাদের বলে।
শিশুর পণ
দ্বিনি ইলম না শিখে মা প্রানে মরে গেছি,
শিখবো এবার দ্বিনি ইলম পণ করেছি আমি।
মুসলমানি কোন শিক্ষা না জানি মা আমি।
একটা একটা করে বলি শুনো মাগো তুমি।
না জানি মা কুরআন হাদীস না নামাজ,
কেমন করে গড়বো আমি ইসলামি সমাজ।
কালিমা তো একটাও ও মা আমি জানিনা, তাইতো মাগো দ্বীনের কাজে কদম রাখি না।
তাশাহুদ আর দোয়াই কুনূত তাওতো জানিনা,
আদব কায়দা নবীর সুন্নত মোটেও জানিনা।
মুসলমান নামে মাত্র কাজে কিছুই নাই,
জাহান্নাম ছাড়া মোদের কোনই গতি নাই।
তাই সাজিয়ে দাও মাগো মক্তবেতে যাই,
জান্নাতে নিবো তোমায় কুরআনের অছিলায় ।
জান্নাত
জান্নাত জান্নাত কত সুন্দর,
ঝিলমিল করে সেথা হিরামনির ঘড়।
কুল কুল বহিতেছে ফটিক নহর,
জান্নাত জান্নাত কত সুন্দর,
ঝিলমিল করে সেথা হিরামনির ঘড়।
রং রং গাছ ভরা রং রং ফুল,
ঝির ঝির বাতাসে দোলে দুল দুল।
লাল নীল গাছ ভরা ফলে থরে থর,
নেই সেথা শীত ও তাপ নেই বৃষ্টি ঝড়।
দুঃখ বলে সেই দেশে কোন কিছু নাই,
আছে শুধু সেই দেশে সুখ যাহা চাই।
কুরআন শিক্ষা
কুরআন শিক্ষা কর মুসলিম কুরআন শিক্ষা কর,
টিভি বিছিয়ার ছেড়ে দিয়ে খোদার কুরআন পড়।
যার সিনাতে আছে কুরআন নাইতো তাহার ডর,
কুরআন ছাড়া হৃদয়খানি শয়তানেরই ঘড়।
কুরআন মোদের মাথার মুকুট কুরআন মোদের মূল,
খোদার কুরআন ছেড়ে দিলে হারাবে দুকূল।
১৫ ই র*ম*জা*ন কি ঘটতে যাচ্ছে!
বর্ননা কি নির্ভরযোগ্য?
এই বর্ননার নির্ভরযোগ্য কোন ভিত্তি নেই।
কোনো এক জুমাবার হবে ১৫ রমজানে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়াজ হবে। হাদিসটি হলো—দায়লামি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো এক রমজানে আওয়াজ আসবে’। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?’ নবীজি (স.) বললেন, ‘না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় ৭০ হাজার মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।’
এ জাতীয় আরো কিছু বর্ননা রয়েছে,,,,,
(১)
قال العقيلي رحمه الله :
ليس لهذا الحديث أصل من حديث ثقة ، ولا من وجه يثبت
ইমাম উকাইলি বলেন, এই বর্ননার নির্ভরযোগ্য কোন ভিত্তি নেই।
" الضعفاء الكبير " (3/52)
(২)
ইবনুল জাওযী এটাকে জাল বর্ননা বলেছেন।
هذا حديث موضوع على رسول الله صلى الله عليه وسلم
" الموضوعات " (3/191)
(৩)
وقال الذهبي : قلت : ذا موضوع
ইমাম যাহাবী এটাকে জাল বলেছেন।
(৪)
وقال الدارقطني : منكر الحديث
ইমাম দারাকুতনী এটাকে মুনকার হাদীস বলেছেন,
(৫)
قال الشيخ الألباني رحمه الله - : موضو ع
আলবানী রহিমাহুল্লাহ এ জাতীয় বর্ননা কে জাল বলেছেন,
" السلسلة الضعيفة " (رقم/6178، 6179)
আল্লাহ ভালো জানেন।
গারদে থাকাকালীন সময়ে প্রথম যে ব্যক্তির সাথে আন্তরিকতা গড়ে উঠেছিলো তার নাম সুমন .।
সুমন প্রথম দিন আমার কাছে এসে বললো :- জনাব আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
: অবশ্যই। আপনি যে কোন কথা বলতে পারেন কোন সমস্যা নেই। বললাম আমি
: মানে বলছিলাম আপনাকে দেখলে তো ভদ্রলোক মনে হয়। আপনার কারাগারে আটক হওয়ার পিছনে কারণ টা একটু জানতে চাই।
আমি বললাম সত্যের পক্ষে লেখার কারণে।
: কিন্তু আপনি কি কারনে গারদে এসেছেন?
আমার কথা শুনে সুমন একটা বিষাদ ভরা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল:- আমার বিয়ের চার দিন পর ঐ নরপশুগুলো আমার সামনে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। তখন আমার কিছুই করার ছিল না কারণ হাত পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। আমার স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থ থাকার কারণে বিয়ের পরও আমি তাঁর সঙ্গে মিলন করি নেই। কিন্তু ঐ মানুষ নামে হায়নাগুলো সেদিন আমার কোন আহাজারি তাঁরা কানে নেইনি। আমার করার কিছু ছিল না কারণ আমি ছিলাম একা আর ওরা ছিল চারজন। ওদের গনধর্ষণের পরও আমার স্ত্রীর নগ্ন দেহ আমার সামনে তিন ঘণ্টা পড়ে ছিল। আমি বিচারের জন্য আদালতে যাই । এই মামলা করতে করতে আমার প্রায় সব সম্পদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আমি সঠিক বিচার পাই না। আসামিরা দুইমাস পর জামিনে মুক্তি পায়। ওদের মুক্তির খবর শুনে আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করে।😭😭😭😭
এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই বিষয়ে একটা ফয়সালা করতে হবে। বেশ যেই কথা সেই কাজ। একটা মেয়ের মাধ্যমে ওদের চারজনকে কিডন্যাপ করলাম। কারন আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় ওদের চারজনকে কিডন্যাপ করা। কিন্তু ওরা যেহেতু নারী লোভী তাই মেয়ে দিয়েই ওদের ঘায়েল করলাম।
ওদের কিডন্যাপ করার জন্য আমি ব্যাবহার করছিলাম একধরনের মেডিসিন যুক্ত সুগন্ধি রুমাল।
ওদের চোখ খুলে দেওয়ার পর ওরা ওদের আবিষ্কার করলো এক অজানা অচেনা অন্ধকার ঘরের মধ্যে। আমার শরীর তখন রাগে শিরশির করছে।মন চাচ্ছে এখনই ওদের সবগুলোকে মেরে ফেলি। কিন্তু না আমি দেখেছি আমার স্ত্রীর মৃত্যু যন্ত্রনা।আমি ওদের যন্ত্রণা দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারবো । প্রথমদিন আমি ওদের আঙ্গুলের নখগুলো উপড়ে ফেলি। দ্বিতীয় দিন: ওদের চোখে মরিচের গুঁড়া ঢেলে দি। তৃতীয় দিন: ওদের মাথার চুলগুলো টেনে টেনে ছিঁড়ে উপড়ে ফেলি। চতুর্থ দিন: ওদের চোখ উপড়ে ফেলি। পঞ্চম দিনে: জানোয়ারগুলোর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলি। ষষ্ঠ দিন নরপিশাচগুলো অচেতন ছিলো আমি ভাবছিলাম মরে গেছে। সপ্তম দিন চেতনা ফিরে আসলে আমি ওদের চিরতরে শেষ করে দি। আমার কাছে তখন ওরা অনেক হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলো কিন্তু আমি ক্ষমা করি নেই।কারন আমি ওদের কাছে এই রকম হাতজোড় করছিলাম কিন্তু তখন ওরা শুনছিলো না। যাহোক আমি এই সাতদিনের শাস্তি গুলো ভিডিও করে রাখি।তাতে ৫৭মিনিট ৪৫সেকেন্ডের একটা ভিডিও হয়ে যায়। আমি জানতাম এই ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করলে সাথে সাথে ভাইরাল হয়ে যাবে।তাই ফেসবুকে আপলোড করে দি। এবং সাথে সাথে সেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পরের দিন সকালে খবর পাই ১৭জন ধর্ষক আত্মহত্যা করেছে।আগে প্রত্রিকায় যতগুলো ধর্ষণের খবর আসতো তা এখন কমে এসেছে।
: কথার মাঝে আমি জিজ্ঞেসা করলাম তারপর.....
তারপর আর কি আমি গ্রেফতার হই এবং আমার ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়.....
তখন আমি সুমনের দিকে তাকিয়ে..........
Be the first to know and let us send you an email when TS TV BN posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
১৫ ই র*ম*জা*ন কি ঘটতে যাচ্ছে! বর্ননা কি নির্ভরযোগ্য? এই বর্ননার নির্ভরযোগ্য কোন ভিত্তি নেই। কোনো এক জুমাবার হবে ১৫ রমজানে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়াজ হবে। হাদিসটি হলো—দায়লামি বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো এক রমজানে আওয়াজ আসবে’। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?’ নবীজি (স.) বললেন, ‘না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় ৭০ হাজার মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।’ এ জাতীয় আরো কিছু বর্ননা রয়েছে,,,,, (১) قال العقيلي رحمه الله : ليس لهذا الحديث أصل من حديث ثقة ، ولا من وجه يثبت ইমাম উকাইলি বলেন, এই বর্ননার নির্ভরযোগ্য কোন ভিত্তি নেই। " الضعفاء الكبير " (3/52) (২) ইবনুল জাওযী এটাকে জাল বর্ননা ব
মা বাবার খেদমত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী পিরোজপুর মুহতামিম দারুসসালাম রব্বানীয়া মাদ্রাসা #মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী #মুফতি আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী #আহসানুল্লাহ #ইসলামাবাদী #ইসলামাবাদি #mufti Ahsanullah islamabadi #ahsanullah #mofti ahsanullah islamabadi #islamabadi
মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী পিরোজপুর মুহতামিম দারুসসালাম রব্বানীয়া মাদ্রাসা পিরোজপুর সদর #মুফতী আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী #মুফতি আহসানুল্লাহ ইসলামাবাদী #আহসানুল্লাহ #ইসলামাবাদী #ইসলামাবাদি #mufti Ahsanullah islamabadi #ahsanullah #mofti ahsanullah islamabadi #islamabadi
#Islamic# short# film# Islamic natok# new Islamic facebook# bangla Islamic# Natok# akib# natok# akib tv Islamic Akib tv#holy tune# ts tv bn# TS TV BN# bastob# mukhi natok# suder poriniti# free fhayar# ts Islamic tv# jajo tv## mucki hasi# tv# sottor# shondane# নতুন নাটক# ইসলামিক শর্ট ফিল্ম #আকিব ইসলামিক টিভি# নতুন শর্ট ফিল্ম# ইসলামিক ভিডিও# ইসলামিক ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic
বিনোদন ও খেলাধুলা যখন মানুষ দাসত্বের হাতিয়ার– মানুষকে নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল তার চিন্তা ওপর কবজা। এই চিন্তাকে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য রোমের রাজনীতিবিদরা বের করেছিল চমৎকার এক বুদ্ধি। জাকজমকপূর্ণ বিশাল সব স্পোর্টিং ইভেন্টস। কোন অসন্তোষ দেখা দিলেই নতুন কোন উত্তেজক ইভেন্ট হাজির করতো শাসকেরা। উদ্দেশ্য – গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে মানুষের মনোযোগ সরিয়ে রাখা, সহজলভ্য বিনোদনের বন্যায় অনুভূতিগুলোকে অবশ করে দেয়া। গ্ল্যাডিয়েটর টুর্নামেন্ট, চ্যারিয়ট রেইসিং, ড্যামনেশিও অ্যাড বিসটিয়াস - বিশ্বকাপ, লা লিগা, ফর্মুলা ওয়ান, টি-টোয়েন্টি, ইউএফসি। ব্রেড অ্যান্ড সার্কাসেস। (সংক্ষেপিত) ......
#Islamic# short# film# Islamic natok# new Islamic facebook# bangla Islamic# Natok# akib# natok# akib tv Islamic Akib tv#holy tune# ts tv bn# TS TV BN# bastob# mukhi natok# suder poriniti# free fhayar# ts Islamic tv# jajo tv## mucki hasi# tv# sottor# shondane# নতুন নাটক# ইসলামিক শর্ট ফিল্ম #আকিব ইসলামিক টিভি# নতুন শর্ট ফিল্ম# ইসলামিক ভিডিও# ইসলামিক ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic
#Islamic# short# film# Islamic natok# new Islamic facebook# bangla Islamic# Natok# akib# natok# akib tv Islamic Akib tv#holy tune# ts tv bn# TS TV BN# bastob# mukhi natok# suder poriniti# free fhayar# ts Islamic tv# jajo tv## mucki hasi# tv# sottor# shondane# নতুন নাটক# ইসলামিক শর্ট ফিল্ম #আকিব ইসলামিক টিভি# নতুন শর্ট ফিল্ম# ইসলামিক ভিডিও# ইসলামিক ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic ফেসবুক# টি এস টিভি বি এন#islamic
Want your business to be the top-listed Media Company?