29/11/2023
হযরত আবু হুরায়রা ( রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরশাদ
করিতে শুনিয়াছি,
বনী ইসরাঈলে দুই বন্ধু ছিল। তাহাদের মধ্যে একজন গুনাহ করিত এবং দ্বিতীয় জন খুব এবাদত করিত। এবাদতকারী যখনই গুনাহগারকে গুনাহ করিতে দেখিত তখন তাহাকে বলিত, তুমি গুনাহ হইতে ফিরিয়া যাও।একদিন তাহাকে গুনাহ করিতে দেখিয়া বলিল, তুমি গুনাহ হইতে ফিরিয়া যাও। উত্তরে সে বলিল, আমাকে আমার রবের উপর ছাড়িয়া দাও ( আমি বুঝিব এবং আমার রব বুঝিবে)। তোমাকে কি আমার উপর পাহারাদার বানাইয়া পাঠানো হইয়াছে? আবেদ ( রাগান্বিত হইয়া) বলিল, আল্লাহর কসম! আল্লাহ তায়ালা তোমাকে মাফ করিবেন না। অথবা ইহা বলিয়াছে যে, আল্লাহ তায়ালা তোমাকে জান্নাতে দাখেল করিবেন না। অতঃপর দুইজনই মারা গেল এবং ( রুহজগতে) উভয়েই আল্লাহ তায়ালার সামনে একত্রিত হইয়া গেল। আল্লাহ তায়ালা আবেদকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি আমার সম্পর্কে জানিতে ( যে, আমি মাফ করিব না)? অথবা মাফ করার বিষয়টি যাহা আমার ক্ষমতায় রহিয়াছে উহার উপর কি তোমার ক্ষমতা ছিল ( যে, তুমি মাফ করা হইতে আমাকে ফিরাইয়া রাখিবে?) আর গুনাহগার লোকটিকে বলিলেন, আমার রহমতে জান্নাতে চলিয়া যাও। ( কেননা সে রহমতের আশাবাদী ছিল।) আর দ্বিতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ
আবেদ সম্পর্কে ( ফেরেশতাগণকে) বলিলেন, তাহাকে
জাহান্নামে লইয়া যাও। ( আবু দাউদ )
ফায়দাঃ উক্ত হাদীসের উদ্দেশ্য এই নয় যে, গুনাহের উপর সাহস করা হইবে। কেননা, এই গুনাহগার লোকটির ক্ষমা আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানীতে হইয়াছে। ইহা জরুরি নয় যে, প্রত্যেক গুনাহগারের সহিত একই আচরণ করা হইবে। কেননা নিয়ম তো ইহাই যে, গুনাহের উপর শাস্তি হয়।💛
উক্ত হাদীসের উদ্দেশ্য ইহাও নয় যে, গুনাহ ও নাজায়েজ কাজে বাধা দেওয়া হইবে না। কেননা, কুরআন ও হাদীসের শত শত জায়গায় গুনাহের কাজে বাধা দেওয়ার হুকুম রহিয়াছে এবং বাধা না দেওয়ার উপর ধমকি আসিয়াছে। অবশ্য অর্থ এই যে, নেককার না আপন নেকীর উপর ভরসা করিবে, আর না বদকারের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিবে, আর
না তাহাকে তুচ্ছ জ্ঞান করিবে।❣️