01/06/2024
গল্পের নাম :- অদ্ভুত ভালোবাসা
লেখিকা:- মেহেজাবিন জামান মেহের,,,
পর্ব:-০১
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
প্রায় চার বছর পর আবারো নিজের দেশে পা রাখলাম আমি আদ্রিয়ান চৌধুরী রিহান
তাও নিজের ইচ্ছায় তো একদম ই আসি নি আমি দেশে এক কথায় বাধ্য হয়ে এসেছি কারণ আমার ছোট বোন সোহানা চৌধুরী রাহা এর বিয়ে
আপাতত বাসায় যাবো না কিছু দিন আমার এপার্টমেন্ট এ থাকবো এর পর চৌধুরী বাড়িতে যাবো ,,,, বিয়ের আর ১০ দিন এর মত আছে
আমার ভাবনায় ফোঁড়ন কাটে আমার p.a আদনান এর কথায়
---sir আমরা কি প্রথমে চৌধুরী বাড়িতে যাবো নাকি এপার্টমেন্ট এ,,,,,,, ( গাড়ি ব্রেক করে বলে )
---- তোমার কি মনে হয় আমরা এখন কোথায় যেতে পারি ( তীক্ষ সুরে)
---- এ,,এপার্টমেন্ট এ,,,,,,,,
----- তাহলে কথা না বলে কাজ করো,,,,,
আদনান আর কোনো কথা না বলে গাড়ি চালাতে থাকে
রিহান মনে মনে ভাবে
---- আচ্ছা আমি যে জিনিস টার জন্য দেশ ছেড়েছি ওই জিনিস টা কি ঠিক আছে ?? হবে ঠিক,,,,,, আর আমাকে ছাড়া তো ভালো থাকাই কথা ছিলো,,
__________
রাস্তা দিয়ে আমি (সিহা) আর আমার বান্ধবী নেহা হাটছি
হঠাৎ নেহা থেমে যায় আর বলে
------ আচ্ছা সিহা চিঠিতে কি লেখা আছে ওটা তো পড়
------- তুই পড় ( ওর হাতে দিয়ে)
নেহা চিঠি টা পড়া শুরু করলো
প্রানের প্রিয় নুর,
নামের মতোই পুরো নুরো বতী তুমি,,,,
------ আর পড়া লাগবে না ( চিৎকার করে বলে উঠে সিহা)
----- আস্তে আস্তে পাশে রাস্তা আছে
আসে পাশে চেয়ে সিহা বলে
----- থাক কেউ শুনেনি আসে পাশে কোনো মানুষ ,মুরগী বা গাড়ি কিছুই নেই
------ যখন চিৎকার করলি তখন ছিলো আচ্ছা সব বাদ যে চিঠি দিছে তার নাম কি জানিস?? ( ভ্রু উচু করে)
------আমি কিভাবে জানবো ছোট একটা পিচ্চি চিঠি টা দিয়ে বললো এটা আপনার আপা ,,,,!!
------ নাম হচ্ছে জা,,,হাঙ্গীর
----- ছেহ্ এমন নামে কারো কে তো দেখি নি College এ ,,,, ?
-------এই যুগে কি আর এমন নাম কেউ রাখে ,,,,
---- তা যাই হোক চল বাসায় যাই নয়তো আম্মু এসে পরবে আর এটা তুই নিয়ে যা
---- এটা নিয়ে ১৫ টা চিঠি আছে আমার কাছে ,,
---রেখে দে পরে এটা বেচে গাট্টা খাইস ফ্রী ট্রিড আর চলো,,
আমি আর নেহা বাড়ির দিকে হাটা ধরি
______
এপার্টমেন্ট এ এসে রিহান ফ্রেশ হয়ে কফি নিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে ( ওর room মিরর system like বাহিরে কি চলছে তা দেখা যাবে কিন্তু ভিতরে কিছুই দেখা যাবে না)
রিহান মনে মনে ভাবছে
----- আসার সময় যে মেয়ে টার voice শুনলাম কেনো ওকে চিনা লাগলো উফফ i can't,,,
রিহানের ভাবনাব ফোড়ন কাটলো phone এর রিংটোন এ phone টা হাতে নিয়ে দেখে রাহা call করেছে,,,, কিছু সময় নিয়ে call টা রিসিভ করে
রাহা চিৎকার করে বলে
----- কি রকম ভাই তুই একমাত্র বোন এর বিয়ে আর তুই London এ বসে আছিস বোনের জন্য কোনো মায়া নাই নাকি ,,,,, ( রাগী সুরে)
---- মায়া আছে বলে call টা রিসিভ করেছি ,,, ( পুরা কথা শেষ হওয়ার আগে)
---- মানে মায়া না থাকলে call রিসিভ করতি না ভাইয়া ( রাগে ফসফস করে)
---- এগুলা বলার জন্য call করেছিস,,,,নাকি অন্য কিছু বলবি,,,
---- না ভাই আমার তুই একটু জলদি আয়,, বাবার উপর আর কত রাগ করে থাকবি,,
রিহান একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে,
---- কাজের কথা বল রাহা ,,,
---- আচ্ছা আমাদের থুক্কু আমার ছোট ভাবিটা তো এখন বড় হয়ে গেছে তাই না,, তাকে দেখার জন্য ই নাহয় আয়,,,
পিছনে থেকে রেহানা ( রাহার আম্মু) বলে
---- কাজ হয়েছে?? ( হাসি দিয়ে)
---- হয়েছে তো call কেটে দিছে ( phone এর দিকে চেয়ে)
---- এই ছেলে কে নিয়ে আর পারি না যেমন বাবা তার তেমন ছেলে, ( রাগ করে বলে)
অন্য দিকে,,,
রিহান তাসিল্যে হাসি দিয়ে বলে
---- যার মনে আমার জন্য মায়া নেই তার জন্য ই আসতে বলছে হাউ ফানি,,
এর মধ্যে
----- sir ডেকেছিলেন
----- কালকে রাহা কে এই এপার্টমেন্ট এ নিয়ে আসবে আদনান
-----আচ্ছা sir,,,( কিছুখন থেমে) আর কিছু লাগবে sir
---- যাও,,, ( বাহিরের দিকে চেয়ে)
আদনান চলে যায়
আদনান চলে যাওয়া পর রিহান দরজার দিকে চায় ( এই চার বছরে আর যাই হোক আদনান ওকে ছাড়া কোথাও যায়নি এমনকি সব সময় ওর সাথেই ছিলো একদম ভাইয়ের মত)
রিহান আবার বাহিরের দিকে চেয়ে বলে
----- কেন যে আমি আমার #অদ্ভুত_ভালোবাসা কে পেয়েও পেলাম না ( দীর্ঘ শ্বাস ফেলে) আমার বাবার কেন যে এমন করলো ,,,,
________________
আমি আর নেহা ছাদে দারিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছি সত্যি বলতে গেলে আজকের আকাশ টা একটু বেশি ই সুন্দর লাগছে ( ma shaa Allah) কিছুক্ষন পরে বুঝতে পারলাম আমার পিছে কেউ আছে আমার আর বুঝতে আর কষ্ট হলো না এটা আমার বড় বোন জেরিন
----- কখন এসেছিস University থেকে??
জেরিন বিরক্ত নিয়ে বললো
---- সিহা বুঝলি কেমনে এত আস্তে আস্তে আসলাম তাও
সিহা হাসি দিয়ে বলে
---- প্রতি দিন একি কাজ করলে সবাই বুঝবে
পুরা কথা শেষ হওয়া আগে নেহা বলে
------জানো আজ কি হয়েছে জেরিন আপু ??
---- না বললে কিভাবে বুঝবো??
---- আজ নিয়ে ১৫ টা প্রেম নিবেদন পেয়েছে সিহা ,,,,!
----- আগের ১৪ টার কথা তো বলিস নি আর কোথায় সিহা
সিহা বলে
----- সময় পাইনি আর ওগুলা নেহার কাছে
আবারো একটু বিরক্ত নিয়ে নেহা বলে
----- কাস সবাই জানতো সিহা সিংগেল না
রাগ নিয়ে জেরিন বলে
---- কে বলেছে সিহা সিংগেল না মানি না,,,
নেহা ভ্রু কুছকে বলে
------ না মানলেই কি সব মিথ্যা নাকি??
------ জানি না আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি ( সিহার দিকে চেয়ে)
----- কথা পাল্টাছো?? ( প্রশ্ন করে নেহা ) আচ্ছা সিহা তোর দরকার না একটু হলেও খোজ নেওয়ার??
---- একদমই দরকার নেই ( রাগ নিয়ে বলে জেরিন)
জেরিন চলে যায়
তুমি আকাশের দিকে চেয়ে আছো দেখে নেহা বলে
----- সিহা সত্যি বলতে তোর খোজ নেওয়া উচিত,,
সিহা ওর দিকে চেয়ে বলে
---- নাম টা একটু একটু মনে আছে কিন্তু চেহেরাটা ভুলে গেছি তো তুই বল কিভাবে খোজ নেবো
নেহা খুশি হয়ে বলে
---- কি নাম??
একটু মনে করে
---- রি,,,হা
পুরা কথা শেষ হওয়া আগেই এখানে আমার ছোট বোন আশা এসে বলে
---- আপু আম্মু সন্ধা হয়েছে বলে তোমাকে ডাক দিছে চলো
--- নেহা তুই ও চল ( সিহা বলে)
তোমারা ছাদ থেকে চলে যাও
_____________
রাহা চিৎকার করে বলে
---- আম্মু রিহান ভাইয়া কে দেশে একবারে জন্য রাখার একটা আইডিয়া লাগবে
রেহানা বিরক্ত নিয়ে বলে
----- আমার তো মনে হয় না তোর ভাই কোনো আইডিয়া ফলে এদেশে আসবে বা থাকবে
রাহা কিছু ক্ষন ভাবতে থাকে
তা দেখে রেহানা বলে
--- কি ভাবছিস রাহা
--- ভাবছি আমার ছোট ভাবির একটু খোজ নেবো ভাবির জন্য হলেও ভাই দেশে থাকবে তাই এখন আমাদের ভাবিকে প্রয়োজন,,,
--- তোর বাবা মনে হয় তা করতে দেবে যা ওনি চার বছর আগেই হতে দেই নি ওটা কি এখন হতে দিবে?? ( প্রশ্ন করে)
--- জানি না কিন্তু এই আইডিয়া ছাড়া আমার মনে হয় না ভাই আসবে,,,
---- আচ্ছা তোর ভাই আসলেই হবে তোর বাবা কে আমি মানিয়ে রাখবো
( এটা আমার লেখা প্রথম গল্প, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে)