23/05/2024
আপনার মাঝে ত্রুটি থাকতে পারে, আপনি উদ্বিগ্ন হতে পারেন, বিষাগগ্রস্থ হতে পারেন, এমনকি রাগান্বিতও হতে পারেন। কিন্তু ভুলে যাবেন না -আপনার জীবনই এই বিশ্বে আপনার কাছে সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। স্রষ্টার দেয়া অপূর্ব এ নেয়ামতকে শুধু আপনি রক্ষা করতে পারেন।
আপনি অনেকের দ্বারা প্রশংসিত, তিরষ্কৃত কিংবা প্রিয়ভাজন হতে পারেন। মনে রাখবেন সুখী হওয়া মানে কোনো ঝড় ছাড়া আকাশ, দুর্ঘটনা ছাড়া রাস্তা, পরিশ্রম ছাড়া চাকরি আর হতাশা ছাড়া সম্পর্কের অন্বেষা না।
সুখি হওয়া মানে কোনো মরুভূমির মধ্য দিয়ে চলার মাঝেও নিজের ভিতর একটা মরুদ্যান খুঁজে পেতে সক্ষম হওয়া।
সুখি হওয়া মানে হলো- জীবনের অলৌকিক ঘটনার জন্য প্রতিদিন ভোরে পরম বিধাতাকে ধন্যবাদ জানানো। সুখি হওয়া হলো- বাচ্চার কপালে চুম্বন দেয়া, বাবা-মাকে আলিঙ্গন করা, নিঃস্বার্থ ভাবে অন্যের প্রতি সমব্যথী হওয়া- প্রিয়জনকে গভীর ভাবে ভালোবাসা, বন্ধুদের সাথে কাব্যিক মুহূর্ত কাটানো। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা।
একটা দিন কারো প্রতি কোনো ঘৃণা প্রকাশ করলেন না, কারো প্রতি কোনো কটু কথা বললেন না, কারো মনে কোনো কষ্ট দিলেন না।
সুফি কবি রুমির মতো - "কাউকে ক্ষমা করে দিলেন আর কারো কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিলেন"। দেখবেন হৃদয়ের নিভৃত অলিন্দে সুখের ফল্গুধারা বইছে।
আয়ুতে মানুষের জীবন পূর্ণ হয়না।
ধন-সম্পদ, অর্থ, বিত্ত, ক্ষমতা কিংবা খ্যাতিতে ও জীবন পূর্ণ হয়না। এসব মানব জীবনের নানা অনুষঙ্গ মাত্র।
একজন বাদশার জীবনও অপূর্ণ হতে পারে- যদি তার জীবনে কোনো পূণ্য না থাকে।
আবার একজন ফকিরের জীবনও পরিপূর্ণ হতে পারে-যদি তার জীবন হয় পূণ্যময়। বস্তুগত জীবন মানে শুধুই পণ্য। আর আধ্যত্মিক জীবন মানে শুধুই পূণ্য।
শেষ নিঃশ্বাসের সাথে সাথেই পণ্যের সাথে মানুষের চির বিচ্ছেদ হয়। আর পূণ্য তার চিরকালীন সাথী হয়।
কবি সাদি বলেন- সুখের আশায় যে শুধু পণ্যের সন্ধানে জীবন পার করেছে- সে এক বৃথা জীবন কাটিয়েছে।
মানুষ জীবন পূর্ণ হয়, শুধুমাত্র পূণ্যে। যার জীবনে যত বেশী পূণ্য , তার জীবন তত বেশি পরিপূর্ণ ।
তাই, সীমাহীন লোভের পেছনে ছুটতে ছুটতে জীবন শেষ করার আগে একবার ভাবুন- এক জীবনে কতটুকু পণ্যের আর কতটুকু পূণ্যের দরকার ।