06/06/2021
সংসারীরা বর্তমানে বহু বিবাহ করেন, Divorce এর পর, কিন্তু একই স্ত্রী কে তিনবার বিয়ে করে বিয়ের Hattrick করেন কি ? জগৎ বরেণ্য চরিত্র, দেশের সম্পদ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসু র তিনবার বিবাহ দিয়েছেন তাঁর পিতৃ বংশের লোকজন , একই মহিলার সঙ্গে !
ডঃ শিশির বোস ও সুগত বোস সম্পাদিত NETAJI Collected Works Vol.7 এ বিয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছে ২১.১২.১৯৩৭
এমিলি চরিত্র টি শেখর বসুকে নিজ মুখে বলেছেন, তাদের বিবাহের সময় ১৯৪১ খ্রীঃ ৷ শ্রী বসু তাঁর নেতাজী সহধর্মিনী গ্রন্হে এই তথ্য দিয়েছেন ৷
অনিতা পাফ Wikipedia জানাচ্ছে তথাকথিত এমিলির বিবাহ হয় ১৯৪২ খ্রীঃ
এবার আসুন বিবাহ রহস্য কাহিনীতে ৷ হ্যাঁ ৷ রহস্যই বটে ৷ অনেক হিংসাত্মক চরিত্র আমরা দেখেছি কিন্তু এই রকম কদর্য চরিত্র , এতটা হিংসাত্মক , ধ্বংসাত্মক চরিত্র জানিনা জগতে আর কটা বা ক'জন আছে !!
চলুন তাহলে আজ কিছুটা রহস্য উন্মোচন করা যাক, শ্রদ্ধেয় নেতাজী গবেষক ও চিকিৎসক ডঃ মধূসুদন পাল মহাশয়ের ' বিবাহ গল্প কথা শয়তানদের গুপ্ত গাথা ' গ্রন্হের মাধ্যমে ৷
সুভাষচন্দ্র ১৯৩০-১৯৩৭, বৃটিশ রাজশক্তির নির্দেশে, ইউরোপে নির্বাসিতের জীবন যাপন করেন ৷ সেখানেই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দাদা, বিঠলভাই প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় ৷
ক একদিন পরেই , সুভাষ চন্দ্রের গুণমুগ্ধ হয়ে যান বিঠলভাই আর এই সময়েই সুভাষচন্দ্র ও বিঠলভাই , যুগ্মভাবে, ভিয়েনা থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গান্ধির ' ভুল রাজনৈতিক পদক্ষেপে' এর সমালোচনা করে বিবৃতি দেন ৷
স্বভাবতই অহিংসার পূজারি, ভারতের স্বঘষিত মুকুটহীন সম্রাট ,গান্ধি , বিষয়টাকে মোটেও হজম করতে পারেন নি ৷ নেহেরুও ত ওঁৎ পেতে বসেই ছিলেন কিভাবে সুভাষ কাঁটা কে তার পথ থেকে সরানো যায় , সেই সুযোগের অপেক্ষায় !
নেতাজী ও বিঠ্ঠালভাইয়ের যৌথ সমালোচনামূলক ইস্তেহারে, জ্বলে গেলেন সবাই গান্ধী নেহেরু ত বটেই , বল্লভভাই প্যাটেলও ৷ শুরু হলো তাদের ষড়যন্ত্র ৷
বিঠ্ঠালভাই প্যাটেলের সহকারী কে ছিলেন জানেন ? এমিলি শেঙ্কেল ৷ বিঠ্ঠালভাই , সুভাষচন্দ্র কে এতটাই স্নেহ করতেন , ভরসা করতেন যে, তাঁর নিজের সঞ্চিত ক এক লক্ষ টাকা , তিনি সুভাষচন্দ্রের নামে উইল করে দেন একটি শর্তে —তাঁর দেওয়া অর্থ সুভাষ খরচ করবেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের কথা , ইউরোপে প্রচার করার জন্য ৷
বিঠ্ঠালভাই এর অনুপ্রেরণায় সুভাষ ইউরোপে বসে লিখেছেন তাঁর প্রথম গ্রন্হ —' Indian Struggle '(1920-1934) ৷ সুভাষচন্দ্রের আর্থিক অবস্হা তখন অতটা স্বচ্ছল নয় যে লেখার সুবিধের জন্য, একজন সহকারী রাখবেন ৷ বিঠ্ঠালভাই এসব জানতেন ৷ তাঁরই নির্দেশে এবং ব্যবস্হাপনায় , পারিশ্রমিকের বিনিময়ে, সুভাষচন্দ্রের হাতে লেখা পান্ডুলিপি টাইপ করে দিতেন এমিলি ৷
বিঠ্ঠালভাই এর মৃত্যুর পর, এমিলি সহকারীর কাজ করতেন সুভাষচন্দ্রের নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ৷ এমিলিকে সুভাষচন্দ্রের ভাই শরৎ চন্দ্র বসুর দ্বিতীয় পুত্র অমিয় নাথও চিনতেন ৷অমিয় নাথ বসুও ঐ সময়ে ব্যারিস্টারী পড়তেন ইউরোপে ৷
বল্লভভাই ,সুভাষ চন্দ্রের বিরূদ্ধে মামলা করে, সুভাষকে দেওয়া বিঠ্ঠলভাইয়ের ক এক লক্ষ টাকা আইনের মার প্যাঁচে আটকে দেন ৷ কিন্তু এতেও তাঁরা থেমে থাকলেন না ৷
সুভাষ চন্দ্রের অমলিন চরিত্রে কালিমা লেপনের জন্য , শুরু করলেন একের পর এক চক্রান্ত ! তাঁরই একটি , নেতাজী-এমিলি বিবাহ ও তাঁদের সন্তান কাহিনী আর এই কাজে জহরলাল সঙ্গে নিলেন প্রথমে শরৎচন্দ্র বসুর মেজ ছেলে অমিয় নাথ বসু কে ৷ প্রথমে অমিয়ই নেতাজী এমিলির বিবাহ কাহিনী প্রচার করতে শুরু করে এবং পরে শিশির বসু ৷
Dr. Pal মহাশয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে একাধিক চিঠির প্রসঙ্গ ৷ একটি চিঠির কথা আমি এই পোষ্টে উল্লেখ করছি ৷ চিঠি টি শিশির বসুর লেখা তার ভাই অরবিন্দ বসুকে , যেখানে তিনি লিখছেন স্পষ্ট যে, এমিলি শেঙ্কেলকে তিনি বলবেন যে তাঁরা তাঁকে টাকা পাঠাচ্ছেন দয়া পরবশ হয়ে , ওনার অধিকারের জন্য নয় ৷
তাহলে এটা কি বুঝতে কারুর অসুবিধে হচ্ছে যে, এমিলি শেঙ্কেলের বোসবাড়ীর টাকাতে কোন অধিকার নেই ?
তাহলে অমিয়, শিশির বসুরা কি করে, কিসের ভিত্তিতে এমিলিকে বোসবাড়ীর বধূ বলে প্রচার করেছেন ???? ১৯৫৩ সালে যে চিঠি শিশির বসু লিখেছেন যদি এমিলি আন্টি তাঁকে পরিচয় পত্র না দেখাতে পারেন , তাহলে অমিয় ও এমিলির গোপন বোঝাপড়া ধরা পড়ে যাবে ৷
গবেষণায় দেখা গেছে শিশার বসুরা হন্যে হয়ে এমিলি ও অনিতার পরিচয় পত্র, জন্মের শংসা পত্র খুঁজতে ব্যস্ত ৷
আমার একটা সহজ প্রশ্ন —এমিলি যদি বধূই হবেন তাহলে বিবাহ র কাগজ খুঁজতে হয় কি করে বা খোঁজার দরকার হয় কেন ? নেতাজীর মতন চরিত্রবান দায়িত্ববান মানুষ , আপনাদের জানাবেন না তাঁর জীবনের এত বড়ো ঘটনা , এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ আছে কি ?
কথা হলো এই ঘৃণিত কাজ বোসবাড়ীর লোক কেন করল আর আজও কেন তা অব্যাহত ? উত্তর একটাই —অজস্র অর্থ ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ভোগ ৷
আমার মনুষ্যত্ব বলে, ভারতের সন্তান হিসেবে , ভারত সরকারের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করা আমার নৈতিক কর্তব্য ৷ আপনার বিবেক যা বলবে আপনি তাই করবেন ৷
ভারত সরকার কে ঘোষণা করতেই হবে নেতাজী আজন্ম ব্রহ্মচারী ৷
We will make you STOP Sugata Bose & Chandra Bose from spreading Nonsense and malaigning Netaji's Pious Character and I promise that. ,
JAI HIND