𝐌𝐚𝐬𝐡𝐀𝐥𝐥𝐚𝐡 (2025)

17/11/2024

বাদশা জুলকারনাইন (জুল-কারনাইন) ইসলামী ঐতিহ্যে উল্লেখিত একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যাকে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ এবং শক্তিশালী শাসক। তার নাম "জুলকারনাইন" অর্থ "দুই শিংওয়ালা" বা "দুই যুগের অধিকারী"। তিনি কুরআনের সুরা আল-কাহাফে (আয়াত ৮৩-৯৮) আলোচিত হয়েছেন। ইসলামী বর্ণনায় তাকে জ্ঞানী, ক্ষমতাধর, এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে পথপ্রদর্শিত একজন বাদশা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

জুলকারনাইনের পরিচয়:

1. কুরআনে উল্লেখিত বিষয়:

তিনি পশ্চিমে এবং পূর্বে ভ্রমণ করেছিলেন এবং বিভিন্ন জাতির উপর শাসন করেছিলেন।

তিনি ইয়াজুজ-মাজুজ নামক এক দুষ্ট জাতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রাচীর নির্মাণ করেন, যা তাদের অন্য জাতির ওপর আক্রমণ থেকে বিরত রাখে।

তার ক্ষমতা আল্লাহ প্রদত্ত ছিল, এবং তিনি সর্বদা ন্যায়বিচার করতেন।

2. ইতিহাসে জুলকারনাইনের পরিচয়:
ইসলামী পণ্ডিতরা জুলকারনাইনের ঐতিহাসিক পরিচয় নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তার পরিচয় সম্পর্কে কয়েকটি জনপ্রিয় মতবাদ:

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট (মেসিডোনিয়ার সম্রাট): কিছু পণ্ডিত মনে করেন, কুরআনের জুলকারনাইন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট হতে পারেন, কারণ তিনি পৃথিবীর অনেক অংশ জয় করেছিলেন।

সাইরাস দ্য গ্রেট (পারস্যের সম্রাট): অন্যরা মনে করেন, তিনি সাইরাস দ্য গ্রেট হতে পারেন, যিনি প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং দয়ালু শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

একটি প্রতীকী চরিত্র: অনেকে মনে করেন, তিনি একটি প্রতীকী চরিত্র, যিনি ন্যায়বিচারের উদাহরণ এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী শাসক হিসেবে কুরআনে স্থান পেয়েছেন।

3. ইয়াজুজ ও মাজুজ প্রসঙ্গে:

জুলকারনাইন এক জাতির অনুরোধে ইয়াজুজ ও মাজুজ নামক বর্বর জাতিকে প্রতিরোধ করার জন্য একটি বিশাল প্রাচীর তৈরি করেছিলেন। এই প্রাচীর এখনো কুরআনে অদ্ভুত রহস্য হিসেবে বিবেচিত।

জুলকারনাইনের শিক্ষা:

ন্যায়বিচার ও আল্লাহর পথে পরিচালিত হওয়ার শিক্ষা।

আল্লাহর দেয়া শক্তি ও ক্ষমতাকে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা।

দুর্বলদের রক্ষা করার জন্য প্রয়াস চালানো।

জুলকারনাইন সম্পর্কে কুরআনে বিস্তারিত বিবরণ নেই, তবে তার বর্ণনা ইসলামী সাহিত্য ও ইতিহাসে আলোচিত হয়েছে।

𝐌𝐚𝐬𝐡𝐀𝐥𝐥𝐚𝐡

17/11/2024

17/11/2024

13/11/2024

Address

Website

Alerts

Videos

Shortcuts

Share