Get Your Act Right

24/09/2023

(গল্প টা পড়ুন)

আমার বিয়ে হয়েছিল ১৬ মার্চ রাতে। সেদিনই গায়ে হলুদ হয়। গায়ে হলুদ দিতে এসে আমার মেজো ননদ আমার কপাল ছুঁয়ে বললেন – আহা, মেয়েটার তো জ্বর।
ওকে আলতো করে হলুদ দাও সবাই। হলুদ মাখানোর সময় আর সেটা কারো মনে থাকলো না। এরপরে সাত বৌ মিলে পিতলের কলসির মুখে আমপাতা রেখে আমার মাথায় পানি ঢাললো । আমি কেঁপে কেঁপে শেষ হলাম।
সন্ধ্যার পরে আমাকে বৌ সাজানো হলো।

বয়স কম। মাত্র ক্লাস টেনে পড়ি। এতো সাজার জিনিস কেমন করে কোথায় ব্যবহার করে তাও জানি না। যে সাজাচ্ছে সেও খুব অভিজ্ঞ না। গালে পাউডার দিয়ে চমৎকার করে আমায় কাজল টেনে দেয়া হলো। আই লাইনার দেয়ার ব্যাপারটা ঠিক বোঝা গেল না বলে দেয়া হলো না। কপালে টিপ দিয়ে তার চারপাশে চমৎকার নকশা এঁকে দিল আমার বোনের এক বান্ধবী। সমস্যা শুরু হল শাড়ি পরা নিয়ে। ব্লাউজ পিস কাটতে হবে। বিয়ে বাড়িতে কেঁচি খুঁজে পাওয়া গেল না।

তাই ব্লাউজ পিস সহই শাড়ি পরানোর সিদ্ধান্ত হল। আমি পেটের কাছে বেঢপ ভাবে কুঁচি গুজে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
সবাই নিচের কুঁচি ঠিক করছে। কেউ আমার পেটের টুপলির দিকে খেয়ালই করলো না।
এদিকে চুলে সেফটিপিন লাগিয়ে ওড়না পরিয়ে দিলো একজন। আমার শাশুড়ি এসে গহনা পরিয়ে দিলেন। ঝুমকা, হার, বালা, সাথে লালের উপরে আঁকাবাঁকা সোনালি কাজ করা চুড়ি।

আমি মাথা নিচু করে বসে আছি। বারবার চুলে টান পড়ছে সেফটিপিনের। বিরক্ত লাগছে। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। হাজার হোক আজ আমি নতুন বৌ।
বিয়ে পড়ানোর সময় আম্মা আর মামা চিৎকার করে কাঁদলেন। আমি জ্বর আর রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে চুপচাপ আছি। হঠাৎ দেখি আমার ছোট ভাইটা ঝিলিমিলি কাগজ নিয়ে দৌঁড়াচ্ছে আর বলছে ‘ আপার বিয়ে, আপার বিয়ে।
অবুঝ ভাইয়ের আনন্দ দেখে কেন জানি আমার চোখে পানি এসে গেল। আমি কেঁদে কেঁদে চোখের কাজল লেপ্টে ফেললাম। বাইরে ক্যাসেটে জোড়ে গান বাজছে ‘একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখি, সুখের সমুদ্র শুকিয়ে গেছে। ‘

আমার চোখের পানি এবার প্রবল তোড়ে বের হতে লাগল।
রাত দশটার মাঝেই বিয়ে, খাওয়া দাওয়া সব শেষ। আগে থেকেই কথা হয়ে আছে।
আমার এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত আমি আমাদের বাড়িতেই থাকবো । তারপর বিয়ের অনুষ্ঠান হলে আমি সংসার শুরু করবো। এর মাঝে আমার বর হঠাৎ কোন উপলক্ষে বাসায় আসতে পারবেন। কিন্তু থাকবেন না।
রাত সারে দশটার মাঝে পুরো বাড়ি ফাঁকা। আমি আর নানু রঙিন কাগজ আর ফুল দিয়ে সাজানো রুমে শুয়ে পড়লাম। প্রায় মাঝরাতে শুনি কলিংবেল বাজছে। কী ব্যাপার এতো রাতে কে এলো?

মামা ভয় পাচ্ছেন। বিয়ে বাড়ি গহনা, টাকা পয়সা থাকাই স্বাভাবিক। সুতরাং ডাকাত পড়েছে হয়তো। কেউ দরজা খুলছে না। এমন সময়ে মোটর সাইকেলের দুইবার হর্ণ শোনা গেল। আম্মা যা বোঝার বুঝে গেলেন। মামাকে বললেন – দরজা খোল জামাই এসেছে।
নানু আমাকে তড়িঘড়ি করে আবার শাড়ির প্যাকেট বানালেন। পেটের কাছে টুপলি আর মাথায় ঘোমটা। শাড়ির নিচে পরনে সালোয়ার কামিজ।

ব্যাপার আর কিছুই না। আমার বর তার দুলাভাইকে গিয়ে রাতে ধরেছেন। ‘দুলাভাই আমি বিয়ে করেছি। বৌকে তো ঠিকমত দেখিইনি। আমাকে ওই বাসায় রেখে আসো।
উনি যত না বলেন, আমার বর তত জোড়ে চিৎকার করেন। আমার বর ভাশুর রেগে বললেন – মান সম্মান আর রাখলি না। যা শ্বশুর বাড়ি। তাড়িয়ে দিলে খুব ভালো হয়।
আমার বর গান গাইতে গাইতে মোটরবাইক স্টার্ট দিলেন। ননদ জামাই বাধ্য হয়ে সাথে এসেছেন।

দুলাভাই চুপচাপ সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছেন। আমার বর তাকে শিখিয়ে দিচ্ছেন – বলো, আজকেই শেষ। আগামীতে অনুষ্ঠান হবার আগ পর্যন্ত আর আসতে চাইবো না। এই প্রমিজ করছি। আমার মোটর বাইকের কসম। ( পরবর্তী জীবনে উনি এমন প্রমিজ আরো কয়েক হাজার বার করেছেন )

দুলাভাই তাকে হালকা বকতে বকতে চলে গেলেন। রুমে উনি , আমি আর নানু। নানু ‘আমি একটু শরবত নিয়ে আসি। ‘ বলে দরজায় হ্যাজবল লাগিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
আমি চুপচাপ বসে আছি। কতক্ষণ কাটল ? এক মুহূর্ত নাকি এক বৎসর?

আমার বর আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
আমি চোখ বন্ধ করে শক্ত হয়ে সোফায় বসে আছি। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। উনি হঠাৎ বললেন ‘ আমি আসলে একটা জিনিস পরীক্ষা করতে এসেছি। তোমার চোখ তো খুব সুন্দর তার মাঝে তোমার ভ্রু যেন পাখির ডানা । এতো কালো কারো ভ্রু হয়?
তুমি কি ভ্রুতে আই ব্রো পেন্সিল লাগাও?
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম – না, আমার ভ্রু এমনিতেই কালো।

উনি বললেন – ঠিক আছে দেখা যাক। পাশে ছিল পানির গ্লাস উনি গ্লাসে দুই হাতের বুড়ো আঙুল ডুবিয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন, ভ্রুতে ঘসা দিয়ে দেখবেন আমি কালো রঙ লাগিয়েছি কি না ! বাসর ঘরে একজন অপরিচিত লোক। যদিও লোকটা বর। আমার দিকে দুই হাত বাড়িয়ে একদম মুখের সামনে যখন নিয়ে আসলো। আমি প্রাণ ফাটিয়ে এক চিৎকার দিলাম।
নানু নানু এই লোকটা আমার গলা টিপে ধরতে চাইছে। বাঁচাও নানু নানু। দরজা খুলে নানু দৌঁড়ে এলেন। আমার আম্মা তখন আমার মামাকে বকা শুরু করলেন। আমি বলেছিলাম এতো অল্প বয়সে বিয়ের দরকার নেই। এখন হলো তো !

এদিকে আমার বর বিস্ময়ে স্তব্ধ। আর নানু ! সেতো হেসেই কুটপাট। আমার বরকে শুনলাম একবার বিড়বিড় করে বলছে – বাচ্চাকাচ্চা বিয়ে করে কী বিপদেই না পড়লাম।
সারারাত আমি নানুকে জড়িয়ে ধরে খাটে ঘুমালাম। আমার বর বাধ্য ছেলের মতো সোফায় শুয়ে গান গেয়ে গেয়ে সময় কাটালো। তারপর ভোর না হতেই মোটরবাইক নিয়ে চলে গেল। আমি তখন ঘুমের রাজ্যে কে গেল আর কে থাকলো কী বা যায় আসে ।

ঘটনা ২ – বিয়ের চারদিন পরে আমার বর আবার আসলো আমাদের বাসায়। আমি তার মোটরবাইকের আওয়াজ শুনেই বাসা থেকে পালালাম। বান্ধবীর বাসায় গিয়ে বসে থাকলাম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামছে। আমার দুই ভাই বোন চার দফায় এসে ধমক খেয়ে ফিরে গেছে। এদিকে আমার বান্ধবীর স্যার এসে গেছে পড়াতে । এখন কী করি ! বাধ্য হয়ে গুটিগুটি পায়ে ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরছি। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দৌঁড়ে গিয়ে আম্মার রুমে ঢুকে পড়তে বসবো। আমাকে ঢুকতে হবে ড্রয়িংরুম দিয়ে। আমার বরও ভেবে রেখেছে । আমি রুমে ঢোকামাত্র সে দরজা লক করে দেবে।
( বরদের মাথায় এমন হাজারো কুবুদ্ধি গিজগিজ করে )
আমি বেল বাজানো মাত্র সে দরজা খুলেছে। আমি দিয়েছি দৌঁড় আর সে চেয়েছে দ্রুত দরজা বন্ধ করতে। ফলাফল -
দরজা এসে ঠাশ করে আমার কপালে লাগলো বাড়ি। সাথেসাথে কপাল ফেঁটে দরদর করে রক্ত ঝরতে লাগলো। রক্তে আমার কপাল বুক ভেসে যাচ্ছে। আমি মাথা ঘুরে পরে গেলাম। সে সিনেমার নায়কের মতো আমায় কোলে নিয়ে দৌঁড়ে হাসপাতালের দিকে ছুটলো।

এদিকে রাস্তার লোকজন ভিড় করে আমাদের দেখছে। কেউ কেউ বলছে – আহারে বিয়ে হয়েছে মাত্র তিন/চার দিন। এর মাঝেই মেরে মেয়েটার মাথা ফাটিয়ে দিলো? জালিম একটা !
বিয়ের চারদিন পরে আমার বর আবারো হতভম্ব হলেন। আমার কপালে যখন ডা. ব্যান্ডেজ করছে। উনি দেখি তখন বিড়বিড় করে বলছে। আরে ধুর – বিয়ে করা যে এতো ঝামেলার কে জানতো?
মানুষ নাকি তিন চারটি বিয়ে করে আর আমি একটাই সামলাতে পারি না।

আমার কেটে গিয়েছিল ঠিক কপালের বা পাশে। সিনেমায় যেমন নায়িকাদের কাটে।
ফেরার পথে রিক্সায় দুজন পাশাপাশি বসে ফিরছি। উনি রিক্সায় আমার হাত ধরতে চাইলে আমি এক ঝটকায় আরো সরে বসলাম। বাসার সামনে সবাই দাঁড়িয়ে ছিল। রিক্সা থামা মাত্র আমি লাফ দিয়ে নেমে বাসায় ঢুকে গেলাম। আমার রুমের লাগোয়া বাথরুমে দেখি একটু পরে উনি শার্টের যেখানে যেখানে রক্ত লেগেছে। নিজেই ধুচ্ছে আর গান গাইছে। ‘ একি হলো, কেন হলো, কবে হলো জানি না। শুরু হলে হলো, শেষ হলো কী যে হলো জানি না তো । ‘

অণুগল্পঃ বাসর
লেখনীতেঃ নিতু ইসলাম

(গল্প টা আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্য জানাবেন এবং পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ)

24/09/2023

খুব ছোটবেলায় সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ কচঁলাতে কচঁলাতে দেখতাম আব্বু বাথরুমে গেলে আম্মা এদিক ওদিক তাকিয়ে আব্বুর পকেট থেকে টাকা সরিয়ে রাখতো। চোখ বড় বড় করে যখন বলতাম আম্মা তুমি কি আব্বুর পকেট থাকে টাকা চুরি করো? আচমকা আম্মা আঁতকে উঠতেন। তারপর মুখে আঙুল দিয়ে ফিসফিস করে বলতেন, "চুপ চুপ তোর আব্বু শুনতে পাবে।" ব্যপারটা আমার কাছে খারাপ লাগতো। তুমি না বলে কেন টাকা নিবা? আব্বু চাইলেই তো টাকা দিবে তোমায়। কিন্তু সাহস করে বলতে পারতাম না।

বাজার থেকে চালের বস্তা আনার পর রান্নার সময় মেপে মেপে যখন চাল নিতেন তখন সেখান থেকে এক মুঠ চাল একটা ডিব্বার মধ্যে রাখতেন। চালের বস্তা যখন শেষ হয়ে যেতো বা কোনো কারণে চাল আনতে দেরি হলে আম্মা সেই চাল রান্না করতেন।

মাছ মাংসের ক্ষেত্রেও তা। আব্বু বাজার থেকে মাছ মাংস আনলে এক টুকরো বা দুই টুকরো করে রেখে দিতেন ফ্রিজে। সেগুলো জমে যখন অনেকগুলো হতো সেদিন আম্মা বিরিয়ানি রান্না করতেন। খাবার টেবিলে বসে যখন আব্বু জিজ্ঞেস করতো, "কি ব্যপার আজ বিরিয়ানি? কিন্তু আমি তো আজ বাজার থেকে মাংস আনিনি।"
আম্মা চোখ রাঙানি দিয়ে বলতেন, "এতো কথা বলো কেন? রান্না করেছি খাও। এতো কিছু জিজ্ঞেস করো কেন?" তারপর আব্বু কোনো কথা না বলে চুপচাপ খেয়ে উঠে যেতো।

ইদের সময় আব্বু যখন আম্মার কাছে টাকা দিতো ইদের শপিং করার জন্য তখন আম্মা তিন ভাগের এক ভাগ টাকা রেখে দিতো নিজের কাছে। আর দুই ভাগ টাকা দিয়ে ইদের শপিং করতো। খুব রাগ হতো তখন। ভাবতাম সব টাকা আম্মা নিজের জন্য রাখে। নিজের জন্য ভালো ভালো কাপড় কিনে।

আমার সকল ধারনা ভুল প্রমাণিত হয় আমি সাবালিকা হওয়ার পর। কোনো এক বোর্ড পরীক্ষায় আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লাম। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললেন অপারেশন করতে হবে। আব্বুরও ব্যবসা লস। টানাটানি চলছে সেই সময় পুরো চিকিৎসার টাকা আম্মা দিলো। আমি তখনো জানতাম না এসব টাকা আম্মার। পরে অবশ্য জেনেছিলাম।

তারও কয়েক বছর পরের কথা গ্রাম থেকে খবর এলো আমাদের জমির পাশের জমি বিক্রি হবে। দুই জমির এক লাইল। আব্বু কিনবে না কিনবে না করেও বললেন কিনবো। সব টাকা যোগার করার পর দেখা গেলো আরো আড়াই লক্ষ টাকা সর্ট। হুট করে একসাথে এতোগুলা টাকা কেউ দিতে রাজি হলো না। সেই সময় আম্মা দিলো আড়াই লক্ষ টাকা। একজন চব্বিশ ঘণ্টা সংসারের পিছনে ছুটে চলা নারীর আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া চাট্টিখানি কথা না। সবাই অবাক হয়েছিল কিন্তু সবার আড়ালে হেসেছিল আব্বু। আমার জহুরির চোখ সেটা ধরে ফেলেছিলো। আব্বু সেই জমি আম্মার নামে কিনলেন।

আমার বিয়ের দিন আমাকে সাজানোর পর আম্মা রুমে এলেন এবং সবাইকে বের করে দিলেন সেখান থেকে। দুটো বালা আমার হাতে পড়িয়ে দিতে দিতে বললেন, "তোমার গুণধর বাপ বহু বার ব্যবসায় লস খাইসে। তার খেসারত দিতে হয়েছে আমাকে। প্রথম বার লস হয় তুমি ভূমিষ্ট হবার পর। সে সময় নিজের ধারদেনা দেওয়ার জন্য সে আমার শখের গয়না গুলো বিক্রি করে। আমি তোমাকে বুকে জড়িয়ে কান্না করেছিলাম। টানা একমাস তোমার গুণধর বাপের সাথে কথা বলি নাই আমি অভিমানে। এরপর ব্যবসায় যখন লাভ হলো তখন তার থেকেও বেশি গয়না আমাকে গড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো? সেগুলো আর তো পাইনি। ছোটবেলায় বলতে না আম্মা তুমি কি আব্বুর পকেট থেকে চুরি করো? এই চুরির টাকায় তোমার মা অনেক কিছু করেছে। এই বুদ্ধি তোমার নানু আমায় দিয়েছে। সংসারের মেয়েদের টাকা উড়ালে হবে না। বরং সঞ্চয়ী আর হিসেবি হতে হয়। মানুষের অবস্থান কই থেকে কই চলে যায় বলা তো যায় না। সংসার কিন্তু মেয়েরাই ধরে রাখে। সংসারের উন্নতি আর অবনতি একটা মেয়ের হাতে থাকে। আশা করি তুমিও আমার মতো হবে।"

এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় আব্বুর সাথে বারান্দায় বসে শ্বশুরবাড়ির গল্প করছি। আর আম্মা রান্নাঘরে খিচুড়ি রান্না করছে। গল্পের এক ফাঁকে আব্বু তার মোটা ফ্রেমের কালো চশমাটা চোখ থেকে নামালেন। আর বললেন, "আমার দৃষ্টিতে তোমার আম্মা একজন আদর্শ নারী। ব্যবসায়িক খাতে অভিজ্ঞ হওয়ার পরও অসতর্কতার জন্য আমি বহুবার লস খেয়েছি। তোমার আম্মা আমাকে ততবারই সাপোর্ট করেছে। টানাটানির দিনও গেছে আমাদের তখন তুমি খুব ছোট। অন্য সব নারী হলে অভাব দেখলে দৌড়ে পালাতো কিন্তু সে আমাকে মেন্টালি সাপোর্ট করে গেছে। আমার পকেট থেকে যে তোমার মা রোজ সকালে টাকা রাখে এই ব্যপার টা আমি জানি। আমি যে জানি সেটাও তোমার মা জানে। তাইতো সব সময় আমি আমার পকেটে পঞ্চাশ কিংবা একশো টাকা রাখতাম তোমার মায়ের জন্য। সে আমার পরিপূর্ণতা। সে না থাকলে কবেই তলিয়ে যেতাম। একজন স্বামীর একজন স্ত্রীর সাপোর্ট পাশে থাকা যে কি বলে বোঝাতে পারবো না। আমি চাইবো তুমিও নিজেকে তোমার মায়ের মতো গড়ে তুলো। যেন তোমার স্বামীও একদিন তোমাকে নিয়ে গর্ব করে। তোমার আম্মাকে আমি মাঝে মাঝে বলি এতো কিছুর পরও আমাকে ছেড়ে কেন গেলে না? তোমার আম্মা কি বলে জানো?"

আমি আব্বুর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম।
তারপর তিনি বললেন, "বলে তোমাকে বিয়ে করেছি তোমার হাড়মাস জ্বালিয়ে খাওয়া না অব্দি তোমার রেহাই নেই।" বলেই তিনি হা হু হাসতে লাগলেন তৃপ্তির হাসি। সেই হাসিতে ছিলো মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার উপচে পড়া আনন্দ।

____________________সমাপ্ত__________________

#অণুগল্প : #আদর্শ_নারী
রূপন্তি_রাহমান (ছদ্মনাম)

(কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।ধন্যবাদ)

❤️

20/09/2023

সাকিব ভাই কে নিয়ে আপনার মতামত কি?

23/06/2023

What Happened to Titanic Sub: মৃত ঘোষণা পাঁচ যাত্রী, টাইটানিক দেখতে যাওয়া ডুবোজাহাজের কী হয়েছিল?
১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক দেখতে নিয়ে যেত 'ওসেন গেট' সংস্থার ডুবোজাবহাজ টাইটান। শতাব্দী প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সেই সাবমেরিনই পরিণত হয়েছে ধ্বংসাবশেষে। সেই ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচ ধনকুবের যাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কী হয়েছিল টাইটান সাবমেরিনের?
রবিবার পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য রওনা দিয়েছিল টাইটান সাবমেরিন। কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে থেকে সেই যাত্রার সূচনা হয়েছিল। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৬০০ কিমি দূরে অবস্থিত এই নিউ ফাউন্ডল্যান্ড। পরে 'মাদারশিপ' থেকে টাইটান বিচ্ছিন্ন হয়ে সমুদ্রে ডুব দেয়। তবে সেই ডুবের পোনে দু'ঘণ্টা পরই 'মাদারশিপ'-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টাইটানের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয় সময়ে রবিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট নাগাদ টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় মাদারশিপের। তবে টাইটানকে উদ্ধার করার জন্য বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ তিন-চার দিন খোঁজাখুঁজির পর মেলে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মউগার জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ।
মার্কিন উপকূলরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ভিতরের দিকে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে টাইটান। এই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনের ব্যবসায়ী হ্যামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ, তাঁর পুত্র সুলেমান, ওসেনগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট। উল্লেখ্য, টাইটানে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য মাথাপিছু আড়াই লক্ষ ডলার করে নিয়ে থাকে ওসেনগেট। তবে সেই টাইটানের ঠিক কী হয়েছিল?
মনে করা হচ্ছে, জলের চাপের কারণে ডুবোযানটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। এমনিতে ওসেনগেটের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, টাইটান সাবমেরিন ৪০০০ মিটার বা ১৩ হাজার ১২০ ফুট গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। এদিকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৪০০ ফুট গভীরে। এদিকে সেই গভীরতায় জলের চাপ থাকে ৬০০০ পাউন্ড প্রতি ইঞ্চি। যা একটা বড় হাঙরের কামরের থেকেও দেড় গুণ শক্তিশালী। এদিকে মার্কিন নৌবাহিনী জানাচ্ছে, যেই সময় মাদারশিপের সঙ্গে টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, সেই সময়ই তারা একটি জলযানের দুমড়েমুচড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়েছিল।
মনে করা হচ্ছে, ডুবোযানটির কোথাও কোনও ধরনের ছিদ্র বা চিড় থাকলে ওই গভীরতায় জলের চাপে তা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এই জলের চাপে যাত্রীদেরও সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু অনিবার্য। এর আগে ২০১৮ সালে টাইটানের 'ত্রুটি' নিয়ে মুখ খুলে চাকরি হারিয়েছিলেন ওসেনগেট সংস্থার মেরিন অপারেশন বিভাগের ডিরেক্টর ডেভিড লকরিজ। ৬.৭ মিটার লম্বা এই ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষ এখন উদ্ধার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েও ধন্দ রয়েছে।

29/05/2023

If "বড়শিতে বড় মাছ ফাছাইছি" had a real face🤭🤭🤭🤭🤭

24/05/2023

at this its my soul who is crying for YOU ❤️❤️❤️❤️cause my eyes are tired

14/05/2023

10/05/2023

🙂🙂🙂🙂🙂🙂

28/04/2023

🙂🙂🙂🙂🙏🏻

22/02/2023

Lesson: React Hooks - Use State
In this lesson, we'll be learning about the useState hook in React. The useState hook allows us to add state to functional components. State is data that changes over time, such as the content of a form or the score in a game.
Step 1: Import the useState hook

The first step is to import the useState hook from the React library. You can do this by adding the following code at the top of your component file:
Step 2: Declare state using the useState hook

Next, we'll declare state using the useState hook. The useState hook returns an array with two elements: the current state value and a function to update the state. Here's an example:(picture -1)
In this example, we're declaring a state variable called "count" and initializing it to 0. We're also declaring a function called "setCount" that will be used to update the state.

Step 3: Use state in your component

Now that we've declared our state, we can use it in our component. For example, we can display the current count value and add a button to increment it:

09/02/2023

You welcome

22/01/2023

Hope THIS will help you guys... Save it for future ❤️🙏🏿

28/12/2022

Alhamdulillah ❤️❤️❤️❤️ blessing from Allah ❤️

18/12/2022

First Goal

18/12/2022

12/11/2022

Backend Frameworks for 2023 (and Beyond!)

backend frameworks 2023
A discussion for choosing ‘the best’ backend framework can become heated easily, as there are many parameters to consider. What’s the most important aspect? Is it speed, stability, scalability, or performance?

Popularity is another important parameter, but there are many lists online based on usage and popularity among developers, and just focusing on numbers would also end up in a shallow analysis.

So, scroll down this infographic and discover the top trending backend frameworks for 2023 and their coolest features and strong points according to our experts.

Getting Started with SPRING
it’s the most popular Java Framework ever).framework that has become a worldwide standard.

DJANGO for everyone
It’s no surprise that Django is one of the most popular Python frameworks of the moment. In fact, it’s the second most popular framework according to GitHub (the first one is Laravel).

Django is super popular because it allows developers to work fast and with high levels of compatibility (plus it offers great community support, as mentioned in the infographic above)

MORE ABOUT LARAVEL
Laravel is also a powerful tool. It’s the top PHP framework mostly because of the model–view–controller (MVC) pattern. It also features pre-built frameworks that make devs’ lives easier. Whether it’s a small and functional website to an architectural colossus, Laravel can do it right.

WHY IS FLASK SO POPULAR?
Flask is second only to Django in popularity among Python developers. Flask is often defined as a ‘micro-framework’ or ‘lightweight’ framework. It is also one of the preferred frameworks for beginners who are getting started with web applications.

EXPRESS APP DEVELOPMENT!
Most experts agree that one of the main reasons behind the popularity of Express (developed by the MIT) is its simplicity and agility when it comes to building web apps and APIs. Moreover, it allows developers to give backend functionality to JavaScript. Also, it’s open source and 100% free.

09/11/2022

Elaine Alice Rich is an American computer scientist, known for her textbooks on ARTIFICIAL INTELLIGENCE and automata theory and for her research on user modeling. She is retired as a distinguished senior lecturer from the University of Texas at Austin.
Rich is the author of:

Artificial Intelligence (McGraw-Hill, 1983; 2nd ed., with K. Knight, 1991; 3rd. ed, with K. Knight and S. B. Nair, 2009)
Automata, Computability, and Complexity: Theory and Applications (Prentice-Hall, 2008)

31/10/2022

STOP SCROLLING !!
Why You want to spent your money for learn web development when these websites offering you free courses??
1.FREECODECAMP(YOUTUBE CHANNEL)
2.WE3SCHOOL
3.YOUTUBE

28/10/2022

officially brought Twitter... First thing he did is fired Indian CEO. AFTER THEIR NASTY FIGHT MONTHS AGO. ELON IS GENIUS HE LITERALLY taking OVER WORLD. YES DADDY ELON PUN1SHED ME ❤️❤️❤️❤️ I WANNA BE YOUR BABY GIRL SO BAD

28/10/2022

Set your goalz. And start learning according to it. Source :
1.freecodecamp
2.YouTube
3.we3school

28/10/2022

If You know the answer congratulations you are programmer

26/10/2022

Full Stack Dev Roadmap save it for later

25/10/2022

Choose Wisely

23/10/2022

Git is a DevOps tool used for source code management. It is a free and open-source version control system used to handle small to very large projects efficiently. Git is used to tracking changes in the source code, enabling multiple developers to work together on non-linear development.

12/10/2022

Both will work...Don't Worry

09/10/2022

🤗🤗🤗🤗🤭

03/10/2022

Digital Clock Using Html CSS Js

03/10/2022

❤️❤️❤️

01/10/2022

How to become a Full Stack Developer,here is your answer

28/09/2022

Future king now and

28/09/2022

28/09/2022

Prince George