Defence বাংলা

  • Home
  • Defence বাংলা

Defence বাংলা বাংলা ভাষায় বিশ্বের সর্বপ্রথম মিলিটারি পোর্টাল

বিখ্যাত চীনা অনলাইন প্রতিষ্ঠান আলী এক্সপ্রেসে সম্প্রতি দুটি মিসাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়! মিসাইল গুলো রাশিয়ার তৈরি ৩...
07/08/2022

বিখ্যাত চীনা অনলাইন প্রতিষ্ঠান আলী এক্সপ্রেসে সম্প্রতি দুটি মিসাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়! মিসাইল গুলো রাশিয়ার তৈরি ৩০০ মিলিমিটার 9M544 মডেলের গাইডেড। যার রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার। পরে অবশ্য এডটি মুছে ফেলা হয়।

আপনি জানেন?আমেরিকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান  গান ভায়োলেন্স যাদের কাজ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক হামলা বা বন্দুক দিয়...
07/08/2022

আপনি জানেন?

আমেরিকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান গান ভায়োলেন্স যাদের কাজ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বন্দুক হামলা বা বন্দুক দিয়ে সংহিতার বিষয় গুলো হিসাব করে থাকে। তাদের হিসাবে ২০২১ সাল সব অতীত রেকর্ড ছাড়িয়েছে! মানে ২০২১ সালের ৬ জুলাই অবধি বন্দুক দিয়ে নিহতের সংখ্যা মোট ২২৬৫৩ জন!

২০১৪ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি হামলার হিসাব করে রাখে তাদের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ও সহিংসতা দেখলে বিষয়টা চমকে উঠে যাওয়ার মতো।

২০১৪ সালে নিহত - ১২৪১৮
২০১৫ সালে নিহত - ১৩৫৩৭
২০১৬ সালে নিহত - ১৫১১২
২০১৭ সালে নিহত - ১৫৬৮০
২০১৮ সালে নিহত - ১৪৭৯০
২০১৯ সালে নিহত - ১৫২০৮
২০২০ সালে নিহত - ২৪,৫৮৬
২০২১ সাল নিহত - ২২,৬৫৩
২০২২ সাল ৬ আগস্ট পর্যন্ত রেকর্ড - ২৬৫৫০
মানে ২০১৪ সাল থেকে মোট নিহতের পরিমাণ - ১,৮৫,০৫৩ জন মানে ইরাক ও আফগান ও সিরিয়ার মতো ভয়ানক যুদ্ধেও প্রতি বছর এত সংখ্যক মানুষ নিহত হয়না যতটা খোদ আমেরিকাতে বন্দুকের সহিংসতায় হয়। এখানে আহতের হিসাব সংখ্যায় আনা হয়নি।

সূত্র- গান ভায়োলেন্স আমেরিকা

নাইজেরিয়া তুর্কী থেকে ৬ টি টি-১২৯ এটাক হেলিকপ্টারের ডেলিভারি পেয়েছে। গতকাল হেলিকপ্টার গুলো ডেলিভারি পায় নাইজেরিয়া।
30/07/2022

নাইজেরিয়া তুর্কী থেকে ৬ টি টি-১২৯ এটাক হেলিকপ্টারের ডেলিভারি পেয়েছে। গতকাল হেলিকপ্টার গুলো ডেলিভারি পায় নাইজেরিয়া।

06/04/2022

আমেরিকার জ্যাভেলিন, ব্রিটিশ NLAW ও ইউক্রেনের stugna নামক ATGM এর মাইর থেকে রাশান আর্মার ভ্যাহিকেলগুলোর রক্ষার জন্য হুজুরের " #পানি_পড়া" নিচ্ছে পরাশক্তি রাশিয়া 😂🦊🤣

ছোটবেলায় যখন বারবার ফেল করতাম, তখন আম্মু হুজুরের কাছ থেকে পানি পড়া নিয়ে এনে খাওয়াইতো 😪😪

ভিডিওটি দেখে ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ছে। রাশিয়ার ব্যাথায় নিজেকে সমব্যাথী মনে হচ্ছে এবং পুতিনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে মনে চাচ্ছে 😪😪
ুজুরের_পানি_পড়া_Is_Real 💝💖

সময়টা ১৯৩৯ সাল যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জার্মানী যখন পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে।নিচের ছবিটাতে একজন সোভিয়েত এবং...
06/04/2022

সময়টা ১৯৩৯ সাল যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জার্মানী যখন পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে।
নিচের ছবিটাতে একজন সোভিয়েত এবং নাজি জার্মান সৈন্যকে দেখা যাচ্ছে। পিছনে বন্দী আছে পোলিশ প্রিজনার অফ ওয়ার।

স্কোপ ব্যবহারের দিন শেষনতুন টিপ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ 🐶🦊
05/04/2022

স্কোপ ব্যবহারের দিন শেষ
নতুন টিপ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ 🐶🦊

ইউক্রেনের বুচায় শত শত সিভিলিয়ানের লাশ পাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে রাশিয়ার উপর যদিওবা রাশিয়া সরাসরি অস্বীকার করছে সেখানে গণহত্...
05/04/2022

ইউক্রেনের বুচায় শত শত সিভিলিয়ানের লাশ পাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে রাশিয়ার উপর যদিওবা রাশিয়া সরাসরি অস্বীকার করছে সেখানে গণহত্যা হয়নি।

কিন্তু একটি গণকবর থেকেই ৩০০+ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে শিশু ছিলো ৪৯ জন! লাশ গুলো পচে গিয়েছে বুচার মেয়রের দাবী রুশ বাহিনী ৩১ তারিখে শহর থেকে পিছু হটে। কিন্তু লাশ গুলো নিশ্চয়ই একদিন বা দুইদিনের মধ্যে পচে যায়নি। আরও গণকবর আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধ হলে গনহত্যা প্রধান অস্ত্র এখানে কেউ আমেরিকার বা রাশিয়ার পক্ষে থাকবে বলেই তাকে দায় মুক্তি দিবে এমন মানসিকতা পরিবর্তন করা উচিৎ। যদি রাশিয়ার দোষ চাপানোর জন্য ইউক্রেন করেছে তবে এটাও সুন্দর যুক্তি যা পাকিস্তানিরা এখনো দেয় মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থান আর্মির উপর দোষ চাপাতে মুক্তিরা বাঙালি হত্যা করেছে!

আর কাশ্মিরে হিন্দু পন্ডিতদের গনহত্যা করা হয়েছিল বিধায় পুরো কাশ্মীরকে খেয়ে ফেলবে মোদি ভারত!

রাশিয়ার একটি Ka-52 হেলিকপ্টার অক্ষত অবস্থায় দখল করেছে ইউক্রেন ।
04/04/2022

রাশিয়ার একটি Ka-52 হেলিকপ্টার অক্ষত অবস্থায় দখল করেছে ইউক্রেন ।

ভারতীয়দের কখনো হেলমেট, অক্সিজেন মাস্ক ও জি স্যূট দরকার হয় না 😎🦊😎
04/04/2022

ভারতীয়দের কখনো হেলমেট, অক্সিজেন মাস্ক ও জি স্যূট দরকার হয় না 😎🦊😎

অপারেশন আউটসাইড দ্যা বক্স উক্ত অপারেশনটি ইসরাইলী গোয়েন্দা বাহিনী সিরিয়াতে অবস্থিত পারমাণবিক প্রকল্পে চালায়। সিরিয়ার প্রে...
04/04/2022

অপারেশন আউটসাইড দ্যা বক্স

উক্ত অপারেশনটি ইসরাইলী গোয়েন্দা বাহিনী সিরিয়াতে অবস্থিত পারমাণবিক প্রকল্পে চালায়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ ৯০ এর দশকের শুরুতে গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি প্রজেক্ট হাতে নেন। তবে খুব বেশিদুর এগুতে পারেননি। তার এই কাজই পুনরায় শুরু করেন তার ছেলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তিনি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য সাহায্য নেন উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার। তবে মূলত উত্তর কোরিয়া তাকে প্রযুক্তি ও অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করে ও সিরিয়া পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রায় দ্বারপ্রান্তে ছিল।

সিরিয়ার হাইসিকিউরিটি গোপন মিলিটারি ঘাঁটি দেইর আর জোনে জোড়ে সরে চলছিল এই পারমাণবিক বোমা তৈরির সমস্ত কার্যক্রম। ইসরাইলী আরেক গোয়েন্দা সংস্থা আমান প্রথম টের প্রায় সিরিয়া গোপনে পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে। এরপরে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে মোসাদ এই অপারেশন শুরু করে। ২০০৪ সালে সিরিয়ার কিছু বিজ্ঞানী উত্তর কোরিয়া যায় তাদের উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক সম্পর্কে জ্ঞান নেওয়া। উত্তর কোরিয়া তাদের দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দেয় ও সিরিয়ার পারমাণবিক রিয়াক্টর এবং বোমার ডিজাইন তৈরি করে দেয়। সিরিয়া পুরো কাজটি করতো কোন ইলেক্সট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার না করে কেবলমাত্র গোপন কোডের চিঠির মাধ্যমে যাতে কেউ তাদের এই পারমাণবিক বোমার খবর জানতে না পারে। ২০০৫ সালে সিরিয়া নিজেও অনেকটা বুঝে যায় যেঁ ইসরাইল তাদের উপর গোপনে নজরধারি করছে তাই তারাও আরও বেশী সতর্ক অবলম্বন করে। তারা এইবার উত্তর কোরিয়া না গিয়ে লন্ডনে যায় সেখানে সিরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পের প্রধান ইব্রাহিম অটোমান পরিচয় গোপন করে লন্ডনের একটি দামী হোটেলে উঠেন উদ্দেশ্য হল উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানী চোন ছিবুর সাথে গোপনে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে গোপনে বৈঠক করা।

কিন্ত মোসাদ তাদের এই তথ্য আগেই জেনে যায় ও উক্ত হোটেল শনাক্ত করে ইব্রাহিম ও চোনের বৈঠক হয় ৩ বার। তাদের আলোচনা শেষ হলে সকল তথ্য আসে মোসাদের হাতে কারণ মোসাদ আগে থেকেই উক্ত জায়গায় গোপন ডিভাইস দিয়ে রেখেছিল। কিন্ত যা মোসাদের জন্য খুব বেশী দরকারি ছিলোনা। শেষে ইব্রাহিম একটি বিশেষ কাজে লন্ডনে সিরিয়ার দূতাবাসে যান কিন্ত তিনি তার লেপটবটি রেখে যান হোটেলের রুমে সেই সুযোগেই মোসাদ এজেন্টরা তার রুমে ডুকে তার কম্পিউটার ঘেঁটে তাজ্জাব বনে যায় কারণ ইসরাইল যা মনে করেছিল সিরিয়া তার চেয়ে বেশী অগ্রগামী ছিল। উক্ত কম্পিউটার থেকেই যাবতীয় তথ্য চলে আসে মোসাদের হাতে যাতে সিরিয়ার নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের ও বোমার পুরো ডিজাইন ছিল। তবে এটি কোন জায়গায় সেটি নিশ্চিত করে বলা ছিলোনা যাই হোক ডিজাইন যেঁ মোসাদ চুরি করে নিয়ে গেছে তা কিন্ত ইব্রাহিম টেরই পায়নি। শেষে ২০০৬ সালের শেষদিকে মোসাদ আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইকে জানায় সিরিয়ার এই গোপন পারমাণবিক প্রকল্প সম্পর্কে। এতে সিআইএ নিজেও তাজ্জব বনে যায় কারণ তাদের কাছেও সিরিয়া যেঁ পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে এমন কোন তথ্যই ছিলোনা।

বুশ প্রশাসন তখন ইসরাইলকে সিরিয়াতে অভিযানের বিষয়ে তাদের পূর্ণ সমর্থন দেয়। মোসাদ তখন সিরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্প কোথায় এর জন্য অভিযান আরম্ভ করে সিরিয়াতে থাকা এজেন্টরা নিশ্চিত করে উক্ত জায়গাটি সাইকিউরিটি গোপন মিলিটারি ঘাঁটি দেইর আর জোনে। তবুও মোসাদ নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের কয়েকজন প্রশিক্ষিত এজেন্টকে পাঠায় যারা সিরিয়া সীমান্ত পারি দেয় সিরিয়ান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পোশাক পরে। শেষে মিলিটারি ঘাঁটি দেইর আর জোনের আশেপাশের এলাকাতে কিছুদিন অবস্থান করে ও সেখান থেকে মাটি,পানি,মানুষের চুল অন্যান্য জিনিষ নিয়ে গিয়ে নিশ্চিত হয় যেঁ সেখানে রেডিয়েশন অনেক বেশী মানে সিরিয়াতে বোমা তৈরির অনেক কাছাকাছি তা নিশ্চিত হয়। এরপরে ইসরাইল স্যাটেলাইট দিয়ে নিশ্চিত হয় পারমাণবিক রিয়াক্টরের অবস্থান কোথায়। যাতে দেখা যায় দুটি রিয়াক্টর আছে যা উত্তর কোরিয়ার তৈরি পারমাণবিক বিয়াক্টরের মতন হুবহু দেখতে।

৬ সেক্টেম্বর ২০০৭ রাতেই ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মোসাদের বাকি কাজ বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে ইসরাইলী বিমান বাহিনী। আগে থেকেই সিলেক্ট করা পাইলট ইসরাইলী বিমানবাহিনীর ১০ টি এফ-১৫ বিমান ও ৮ টি এফ-১৬ বিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। উক্ত বিমানে ছিল আমেরিকার তৈরি ২২ কিলোমিটার রেঞ্জের লেজার গাইডেড মার্ক-৬৫ বোমা যা যেঁকোন বড় বিল্ডিং ধ্বংস করতে বিশেষভাবে তৈরি। ইসরাইলী বিমানবাহিনী সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্সকে ফাঁকি দিতে বিশেষভাবে তৈরি জ্যামার ব্যবহার করে সেখানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অনেক উন্নত ছিল কারণ এটা সিরিয়ার অন্যতম প্রধান মিলিটারি ঘাঁটি যাতে পারমানু বোমা বানানো হচ্ছিল। ইসরাইলী বিমানগুলি প্রথমেই হামলা করে পারমাণবিক রিয়েক্টরে এতে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। মোট ১৮ টি বিমান থেকে ৫০ এর বেশী বোমা ফেলে পুরো প্রজেক্ট ধ্বংস করে দেয় ইসরাইল। সিরিয়ান এয়ার ডিফেন্স গুলি তখন অন্ধের মতন মিসাইল ছুরলেও তা কোন ইসরাইলী বিমানের ক্ষতি করতে পারেনি।

ফলে সফলভাবে অপারেশন শেষ করে ফিরে যায় ইসরাইল উক্ত হামলায় উত্তর কোরিয়ার ১০ জন বিজ্ঞানী, সিরিয়ার ২২ জন বিজ্ঞানী ও ৬ জন রুশ পারমাণবিক গবেষক নিহত হয়। সেই সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রায় ৫২ জন সিরিয়ান সেনা নিহত হয়। হামলার ইসরাইলী বিমান গুলি প্রমাণ হিসাবে হামলার রেকর্ড ভিডিও করে নিয়ে যায়। উক্ত হামলার পরে সিরিয়া,উউতর কোরিয়া ও রাশিয়া এমনকি ইসরাইল নিজেও চুপ থাকে। নিজেদের এত বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার পরেও চুপ থাকার কারণ হল তারা যদি স্বীকার করে ইসরাইল হামলা করেছে তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হবে যেঁ সিরিয়া পারমানু বোমা বানাচ্ছে ও রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া তাদের সাহায্য করছে। তাই সিরিয়া সরকার এই রকম হামলার বিষয়ে পুরোপুরি অস্বীকার করে। শেষে ২০১৮ সালে ইসরাইল সরকার নিজেই ভিডিও প্রকাশ করে তারা সিরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসরাইলী ভিডিও প্রকাশের পর সিরিয়া সরকারও স্বীকার করে নেয় ২০০৭ সালে তাদের পারমাণবিক প্রকল্প ধ্বংস হয়ে যায়।

আর এইভাবেই সিরিয়ার পারমাণবিক বোমা তৈরির স্বপ্ন আর পূর্ণ হয়না তা স্বপ্নই থেকে যায়।

অপারেশন মোল ক্রিকেট -১৯১৯৮২ সালে দক্ষিণ লেবালনে আকাশ যুদ্ধে জরিয়ে পরে সিরিয়া ও ইসরাইলী বিমান বাহিনী। উক্ত যুদ্ধে সিরিয়া ...
03/04/2022

অপারেশন মোল ক্রিকেট -১৯

১৯৮২ সালে দক্ষিণ লেবালনে আকাশ যুদ্ধে জরিয়ে পরে সিরিয়া ও ইসরাইলী বিমান বাহিনী। উক্ত যুদ্ধে সিরিয়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের নতুন কেনা মিগ-২৩ এম সিরিজের বিমান ইউস করে। কিন্তু এতে কোন সুফল বয়ে আনেনি সিরিয়া উক্ত যুদ্ধে ১৫০ টির বেশী মিগ-২৩ ও মিগ-২১ ও সু-২৪ বিমান প্রয়োগ করে। বিপরীতে ইসরাইলও প্রায় শতাধিক এফ-১৬ ও এফ-১৫ বিমান মোতায়েন করে।

যুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে সিরিয়া। বিশেষ করে ৪০ ব্যাটারি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল মোতায়েন করে সিরিয়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ইসরাইলী হামলায় রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুলো বিশাল ধরা খায়। সিরিয়ার প্রায় ৩৫ ব্যাটারি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নষ্ট করে দেয় ইসরাইল যার মাঝে এস-২০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ছিলো।

উক্ত ৩ দিনের আকাশ যুদ্ধে ইসরাইলের দুটি এফ-১৫ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিরিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের আঘাতে ও একটি হেলিকপ্টার শুট হয়। বিপরীতে সিরিয়ার প্রায় ১২০ টির বেশী বিমান শুট করে ইসরাইলী এফ-১৫ ও এফ-১৬ বিমান গুলো যার বেশির ভাগই ছিলো মিগ-২৩ বিমান এবং সু-২৪ উক্ত যুদ্ধে সিরিয়ার বিমান শক্তি আর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

03/04/2022

আকাশ ভরা তারা, ইউক্রেনে রাশিয়ার __ মারা সারা
কিয়েভ থেকে একটু দূরে ইরপিনে দখলদার রাশিয়ানদের মায়ের ভোগে পাঠিয়ে দিল মুক্তিকামী ইউক্রেনীয় সেনারা। বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ানদের এতবড় মাইর আর কেউ দেয়নি, জায়গায় জায়গায় ট্যাংক t72, আইএফভি bmp, ট্রাক, এপিসি ছাতু বানিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয়রা।
পুতিন এ যুদ্ধ চালিয়ে গেলে রাশিয়ার ভাগ্যে আরেকটা আফগান আসতে হয়ত বেশি দেরি করবে না। রুশ সেনাদের লাশ ফেলে দক্ষিণ কিয়েভ থেকে পালিয়ে গেছে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ার একটি সু-৩৪ শ্যুট ডাউন করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী!
03/04/2022

ইউক্রেনের খারকিভে রাশিয়ার একটি সু-৩৪ শ্যুট ডাউন করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী!

03/04/2022

একই স্থানের যুদ্ধে ইউক্রেনের বিটিআর-৪ এপিসির ৩০ মিলিমিটার গান দিয়ে দুটি টি-৭২, একটি বিটিআর -৮০ এপিসি এবং বিএমপি-১ উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

এপিসি দিয়ে ট্যাংক উড়িয়ে দেওয়াটা আসলেই ট্যাংকের জন্যই অপমানজনক! আসলে রুশভক্তরা যেভাবে আকাশে তুলেছিল রাশিয়ার সেনাদের বাস্তবে দুই দেশের মুখোমুখি যুদ্ধের ভিডিও গুলো প্রকাশিত হয় সেইগুলো কিন্তু উল্টো কথাই বলে।

অপারেশন নিকেল গ্রাস: যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিশ্চিত ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছিলঅক্টোবর, ১৯৭৩। মধ‍্যপ্রাচ‍্যে শু...
03/04/2022

অপারেশন নিকেল গ্রাস:

যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিশ্চিত ধ্বংস থেকে রক্ষা করেছিল

অক্টোবর, ১৯৭৩। মধ‍্যপ্রাচ‍্যে শুরু হয়েছে আরেকটি আরব–ইসরায়েলি যুদ্ধ। মিসরীয় সেনাবাহিনী সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে এবং সুয়েজ খালের পূর্ব তীরে ৩০ কোটি (বা ৩০০ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার ব‍্যয়ে নির্মিত ইসরায়েলের দুর্ভেদ‍্য ট‍্যাঙ্কবিরোধী প্রতিরক্ষা সীমা 'বার–লেভ লাইন' মাত্র ২ ঘণ্টায় অতিক্রম করে ইসরায়েল–অধিকৃত সিনাই উপদ্বীপে অগ্রসর হচ্ছে। সিরীয় সেনাবাহিনীর সেরা ইউনিটগুলো ১৯৬৭ সালের যুদ্ধবিরতি রেখা অতিক্রম করে ইসরায়েল–অধিকৃত গোলান মালভূমিতে অগ্রসর হয়েছে। শত শত ইসরায়েলি ট‍্যাঙ্ক মিসরীয় ও সিরীয় সৈন‍্যদের সোভিয়েত–নির্মিত ট‍্যাঙ্ক–বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের প্রথম তিন দিনেই মিসরীয় ও সিরীয় সৈন‍্যরা সোভিয়েত–নির্মিত গতিশীল 'এসএ–৬' ও কাঁধে বহনযোগ্য 'এসএ–৭' বিমান–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং 'জেডএসইউ–২৩–৪' বিমান–বিধ্বংসী কামান ব‍্যবহার করে ৮০ টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। মিসরীয় যুদ্ধবিমান অবিরাম বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি বিমানঘাঁটি, রাডার স্থাপনা আর ক্ষেপণাস্ত্র সাইটগুলোর ওপরে।

ইসরায়েলিরা তীব্র বিস্ময় আর আতঙ্কের সঙ্গে মিসরীয় সৈন‍্যদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছিল। মাত্র ৬ বছর আগে ১৯৬৭ সালের ৫–১০ জুনে ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল মিসর, জর্দান আর সিরিয়ার সমন্বয়ে গঠিত আরব জোট। এই যুদ্ধে দুই পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করলেই ইসরায়েলের সামর্থ‍্যের একটি স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠবে।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ১৮,২০৬ জন আরব (১৫,০০০ মিসরীয়, ৬৯৬ জন জর্দানীয়, ২,৫০০ সিরীয় ও ১০ জন ইরাকি) সৈন‍্য নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছিল, এর বিপরীতে ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছিল ২৭৭৬ থেকে ৩৯৮৩ জন। এই যুদ্ধে ৫,৪৬২ জন (৪,৩৩৮ জন মিসরীয়, ৫৩৩ জন জর্দানীয় ও ৫৯১ জন সিরীয়) সৈন‍্য ইসরায়েলিদের হাতে বন্দি হয়েছিল, এর বিপরীতে আরবদের হাতে ইসরায়েলি সৈন্য বন্দি হয়েছিল মাত্র ১১১৫ জন। এই যুদ্ধে আরবরা ৪৫২টিরও বেশি বিমান হারিয়েছিল, আর ইসরায়েল হারিয়েছিল মাত্র ৮৬টি বিমান। সর্বোপরি, এই যুদ্ধে ইসরায়েল মিসরের কাছ থেকে সিনাই উপদ্বীপ (প্রায় ৬০,০০০ বর্গ কি.মি.) ও গাজা উপত্যকা (৩৬৫ বর্গ কি.মি.), জর্দানের কাছ থেকে পূর্ব জেরুজালেম–সহ সমগ্র পশ্চিম তীর (৫,৬৫৫ বর্গ কি.মি.) এবং সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি (প্রায় ১,৮০০ বর্গ কি.মি.) দখল করে নিয়েছিল।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলিদের তুলনায় আরবদের ১৮.৫ গুণ বেশি সৈন‍্য নিহত ও ৩৬৪ গুণ বেশি সৈন‍্য বন্দি হয়েছিল! যুদ্ধে আরবদের হারানো বিমানের সংখ‍্যা ছিল ইসরায়েলিদের হারানোর বিমানের প্রায় ১০ গুণ! তদুপরি, এই যুদ্ধে ইসরায়েল দখল করে নিয়েছিল প্রায় ৬৭,৮২০ বর্গ কি.মি. ভূমি, যা ইসরায়েলের বর্তমান আয়তনের তিনগুণেরও বেশি! এই যুদ্ধের ফলে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ইসরায়েলের 'কৌশলগত গভীরতা' (strategic depth) দক্ষিণ দিকে ৩০০ কি.মি., পূর্ব দিকে ৬০ কি.মি. এবং উত্তর দিকে ২০ কি.মি. বৃদ্ধি পেয়েছিল!

এত বড় বিজয় অর্জনের ফলে ইসরায়েলিরা, বিশেষত ইসরায়েলি সরকার ও সশস্ত্রবাহিনী, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। আরব রাষ্ট্রগুলোর সৈন‍্যসংখ‍্যা থেকে শুরু করে অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ সবকিছুই ছিল ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি, কিন্তু ইসরায়েলিদের বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, তাদের উন্নততর প্রযুক্তি, দ্রুততর সৈন‍্য সমাবেশের ক্ষমতা এবং উন্নত অভ‍্যন্তরীণ যোগাযোগ ব‍্যবস্থার কারণে আরবদের যেকোনো আক্রমণ তারা সহজেই প্রতিহত করতে পারবে।

কিন্তু ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পরবর্তী বছরগুলোতে আরব রাষ্ট্রগুলো (প্রধানত মিসর ও সিরিয়া) ইসরায়েলের কাছ থেকে দখলকৃত ভূমি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ব‍্যাপক উদ‍্যোগ গ্রহণ করে। সোভিয়েত সামরিক উপদেষ্টাদের সহায়তায় মিসরীয় ও সিরীয় সৈন‍্যদের প্রশিক্ষিত করা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসর ও সিরিয়াকে ৬০০টিরও বেশি অত‍্যাধুনিক বিমান–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব‍্যবস্থা, ৩০০টি 'মিগ–২১' যুদ্ধবিমান, ১,২০০টি ট‍্যাঙ্ক এবং আরো লক্ষ লক্ষ টন যুদ্ধসামগ্রী সরবরাহ করে। ১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবরে যখন ইসরায়েলিরা ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব 'ইওম কিপুর' (Yom Kippur) উদযাপন করছিল, মিসরীয় সৈন‍্যরা তখন ইসরায়েলের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে আক্রমণ চালায়।

যুদ্ধের প্রথম তিন দিনে মিসরীয় বাহিনীর বিস্ময়কর সাফল‍্য এবং যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরায়েলিদের ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলি সরকারকে আতঙ্কিত করে তোলে। এই তিন দিনে উভয় পক্ষেরই প্রচুর যুদ্ধসামগ্রী ধ্বংস হয়ে গেলেও আরবদের তুলনায় ইসরায়েলিদের ট‍্যাঙ্ক, বিমান বা অন‍্যান‍্য যুদ্ধসামগ্রীর মজুদ ছিল অত‍্যন্ত কম। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের বেশি দিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ছিল না এবং ইসরায়েলিরা আশঙ্কা করছিল যে, আরবরা এই যুদ্ধে বিজয়ী হলে ইসরায়েলকে দখল করে নিশ্চিহ্ন করে দেবে।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর কাছে সহায়তা প্রার্থনা করে, কিন্তু তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো হুমকি দিয়েছিল যে, যেসব রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সহযোগিতা করবে তাদের ওপর 'তেলঅস্ত্র' ব‍্যবহার করা হবে, অর্থাৎ তাদেরকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও গড়িমসি করতে থাকে।

এই পরিস্থিতিতে ৮ অক্টোবর ইসরায়েল মরিয়া হয়ে মিসরের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব‍্যবহারের প্রস্তুতি নেয় এবং এই উদ্দেশ্যে ১৩টি ২০ কিলোটন ওজনের পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করে। 'জেরিকো–১' স্বল্প পাল্লার ব‍্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ও পারমাণবিক বোমা বহনকারী 'ম‍্যাকডোনেল ডগলাস এফ–৪ ফ‍্যান্টম' যুদ্ধবিমানের মাধ‍্যমে এই বোমাগুলো মিসরীয় ও সিরীয় লক্ষ‍্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা হত। এছাড়া, সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের ওপরে কামানের সাহায‍্যে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

কিন্তু সত‍্যিকার অর্থে মধ‍্যপ্রাচ‍্যে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করার কোনো ইচ্ছে ইসরায়েলের ছিল না, কারণ ইসরায়েল মিসর বা সিরিয়ার ওপর পারমাণবিক আক্রমণ চালালে মিসর ও সিরিয়ার মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলে পাল্টা পারমাণবিক আক্রমণ চালাতে পারে এমন সম্ভাবনা নিশ্চিত ছিলো। অর্থাৎ, সেসময় ইসরায়েলের দৃষ্টিতে পরিস্থিতি ছিল এরকম: পারমাণবিক অস্ত্র ব‍্যবহার না করলে আরবরা ইসরায়েলকে ধ্বংস করে ফেলবে, আর পারমাণবিক অস্ত্র ব‍্যবহার করলে আরবদের মিত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের সামনে একটি মাত্র পথ খোলা ছিল, সম্মুখযুদ্ধে আরবদের পরাজিত করা। আর এজন্য প্রয়োজন ছিল অস্ত্রের, যা ইসরায়েলের মজুদে ছিল না।

এজন্য চতুর ইসরায়েলিরা এমনভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সহায়তা করতে বাধ্য হয়। ইসরায়েলি সরকার গোপনে মিসরের ওপর পারমাণবিক আক্রমণের প্রস্তুতি নেয় ঠিকই, কিন্তু এই খবরটি ইচ্ছাকৃতভাবে গণমাধ্যমে ফাঁস করে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনোমতেই মধ‍্যপ্রাচ‍্যে একটি পারমাণবিক যুদ্ধ চাচ্ছিল না, কারণ ইসরায়েল মিসরের ওপর পারমাণবিক অস্ত্র ব‍্যবহার করলে আরবদের বিশ্বে মার্কিন প্রভাব রাতারাতি বিলুপ্ত হয়ে যেত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব ব‍্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেত। এজন্য ওয়াশিংটন ইসরায়েলকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

অবশ‍্য এই সিদ্ধান্তের পিছনে আরো কারণ ছিল। মিসরীয় বাহিনী সোভিয়েত–নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র ব‍্যবহার করত, আর ইসরায়েলি বাহিনী ব‍্যবহার করত মার্কিন–নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র। মিসর ও সিরিয়ার কাছে ইসরায়েল পরাজিত হলে এর অর্থ হতো সোভিয়েত অস্ত্রের কাছে মার্কিন অস্ত্রের পরাজয়, যা বিশ্বব‍্যাপী মার্কিন অস্ত্রব‍্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারত। ফলে ওয়াশিংটন তেল আভিভকে সামরিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলের ভৌগোলিক দূরত্বের প্রেক্ষাপটে নৌ ও আকাশপথে ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমে ইসরায়েলি বেসামরিক বিমান সংস্থা 'এল আল ইসরায়েল এয়ারলাইন্স লিমিটেডে'র (সংক্ষেপে 'এল আল') বিমানে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হয়। ১০ অক্টোবর 'এল আল'–এর ৮টি বিমান ৫,৫০০ টন সামরিক সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছে দেয়।

কিন্তু 'এল আল'–এর ধারণক্ষমতা ছিল সীমিত, এজন্য ইসরায়েলিরা মার্কিন বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলকে সহযোগিতা করলে আরবদের বিশ্বে এই বিমান সংস্থাগুলোর ব‍্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এই আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বেসামরিক বিমান সংস্থা ইসরায়েলকে সহযোগিতা করতে রাজি হয়নি।

এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসরকে নৌ ও আকাশপথে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে শুরু করেছিল। ফলে ইসরায়েলকে সহায়তা করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সম্মানের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় এবং মার্কিন সরকার মার্কিন বিমানবাহিনীকে ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার নির্দেশ দেয়। মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন এ ব‍্যাপারে নির্দেশ দেন, 'Send everything that can fly!'

অপারেশন নিকেল গ্রাসের সময় ইসরায়েলকে সরবরাহকৃত অস্ত্রশস্ত্রের ৭৮% এই মডেলের বিমানে করে নেয়া হয়েছিল; সি-৫ বিমানে করে। মার্কিন বিমানবাহিনীর মিলিটারি এয়ারলিফট কমান্ডকে (বর্তমান এয়ার মোবিলিটি কমান্ড) এই অভিযান পরিচালনা নির্দেশ দেয়া হয়। এই অভিযানের নামকরণ করা হয় 'অপারেশন নিকেল গ্রাস' (Operation Nickel Grass)। এসময় মিলিটারি এয়ারলিফট কমান্ডের কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল লেস্টার টি. কিয়ার্নি জুনিয়র এবং ভাইস–কমান্ডার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কেল্টন এম. ফারিস। আর অপারেশন নিকেল গ্রাসের সার্বিক পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন কর্নেল এডওয়ার্ড জে. নাশ।

মার্কিন বিমানবাহিনীর 'লকহিড সি–১৪১ স্টারলিফটার' ও 'লকহিড সি–৫ গ‍্যালাক্সি' মডেলের পরিবহন বিমান এই এয়ারলিফটে ব‍্যবহার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ২০টিরও বেশি রসদ ঘাঁটি থেকে যুদ্ধসামগ্রী এই বিমানগুলোতে তোলা হয় এবং সেগুলোকে ইসরায়েলে প্রেরণ করা হয়। এসব সরঞ্জামের একাংশ সরাসরি মার্কিন যুদ্ধ–রিজার্ভ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

১৪ অক্টোবর রাত ১০টা ১ মিনিটে একটি মার্কিন 'সি–৫' পরিবহন বিমান ৯৭ টন কামানের গোলা নিয়ে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আভিভের লোদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৩২ দিন ধরে মার্কিন 'সি–১৪১' ও 'সি–৫' পরিবহন বিমানগুলো অবিরাম ইসরায়েলে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে অবতরণ করতে থাকে। প্রতি ২ ঘণ্টায় ৩টি 'সি–১৪১' বিমান এবং প্রতি ৪ ঘণ্টায় ৪টি 'সি–৫' বিমান এভাবে অবিরত ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে থাকে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ১২টি 'সি–১৪১' এবং ৪টি 'সি–৫' বিমান এই কাজে নিয়োজিত ছিল। ২১ অক্টোবরের পর থেকে এয়ারলিফটে নিয়োজিত বিমানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় এবং ১৭টি 'সি–১৪১' ও ৬টি 'সি–৫' বিমান এতে অংশ নেয়।

'সি–১৪১' ও 'সি–৫' বিমানগুলোর সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে পৌঁছানোর সক্ষমতা ছিল না। বিমানগুলোতে মাঝপথে জ্বালানি পূর্ণ করার (refueling) প্রয়োজন হতো। কিন্তু পশ্চিম ইউরোপের কোনো রাষ্ট্রই আরব তেল অবরোধের ভয়ে মার্কিন বিমানগুলোকে তাদের বিমানঘাঁটি ব‍্যবহারের অনুমতি দেয়নি। অবশেষে বহু দর কষাকষির পর পর্তুগাল তাদের বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বিমানগুলোতে জ্বালানি ভরার অনুমতি দেয়।

মার্কিন 'সি–১৪১' ও 'সি–৫' বিমানগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলের জন‍্য সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে পর্তুগালের আজোরেস দ্বীপে অবস্থিত লাজেস বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে লাজেস বিমানঘাঁটির আকাশপথে দূরত্ব ৩,২৯৭ মাইল। লাজেস বিমানঘাঁটিতে জ্বালানি পূর্ণ করার পর সেখান থেকে মার্কিন বিমানগুলো পৌঁছত ইসরায়েলের তৎকালীন রাজধানী তেল আভিভে অবস্থিত লোদ কিংবা বেন–গুরিয়ন বিমানঘাঁটিতে। লাজেস বিমানঘাঁটি থেকে তেল আভিভের আকাশপথে দূরত্ব ৩,১৬৩ মাইল। অর্থাৎ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে মার্কিন বিমানগুলোকে অতিক্রম করতে হত মোট ৬,৪৬০ মাইল দীর্ঘ পথ!

লাজেস বিমানঘাঁটি থেকে ইসরায়েল পর্যন্ত পথ মার্কিন বিমানগুলোর জন‍্য নিরাপদ ছিল না। মার্কিন বিমানগুলো কী করছে সেটা আরবরা ভালোভাবেই জানত এবং মার্কিনদের আশঙ্কা ছিল, আরব যুদ্ধবিমান ভূমধ‍্যসাগরের ওপরে মার্কিন বিমানগুলোকে আক্রমণ করতে পারে। এজন্য লাজেস বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন ৬ষ্ঠ নৌবহর এই বিমান গুলোকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসত এবং ইসরায়েলের ২০০ মাইলের কাছাকাছি আসার পর ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো মার্কিন পরিবহন বিমানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করত।

এই এয়ারলিফট পরিচালনা করতে গিয়ে মার্কিন মিলিটারি এয়ারলিফট কমান্ডের সমস্ত নিয়ম-কানুন শিথিল করা হয়েছিল। অবিরাম চলাচলের কারণে বিমানগুলোর ক্রুরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ পায়নি, বিমানগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত সরঞ্জাম তোলা হত, বিমানগুলোর দৈনন্দিন সর্বোচ্চ ব‍্যবহারের সীমা মানা হয়নি এবং বিমানগুলোর দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত নিয়মকেও উপেক্ষা করা হয়েছিল। এরপরও বিমানগুলো মোট ৫৬৭টি 'মিশন' সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করে। এই বিমানগুলোতে যেসব ক্রু কাজ করত তারা ইসরায়েলে লাল গালিচা অভ‍্যর্থনা পেয়েছিল।

এয়ারলিফটের মাধ‍্যমে যেসব সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলকে সরবরাহ করা হয়েছিল, সেগুলোর মধ‍্যে ছিল 'এম–৬০' ট‍্যাঙ্ক, 'এম১০৯' ১৫৫ মি.মি. স্বয়ংক্রিয় ক্ষুদ্র কামান (howitzer), 'এজিএম–৬৫ মাভেরিক' আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ‍্য ক্ষেপণাস্ত্র, 'বিজিএম টো–৭১' ট‍্যাঙ্ক–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমিভিত্তিক রাডার ব‍্যবস্থা, গতিশীল ট্র‍্যাক্টর ইউনিট, 'সিএইচ–৫৩ সি স্ট‍্যালিয়ন' হেলিকপ্টার এবং 'এ–৪ স্কাইহক' যুদ্ধবিমানের অংশ। এভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বমোট ৮২,৩৯৫ টন সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলের নিকট হস্তান্তর করে।

এই এয়ারলিফটের মাধ‍্যমে সরবরাহকৃত অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। ইসরায়েলিরা যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের হারানো অস্ত্রশস্ত্র এগুলোর দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে এবং মিসরীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। মার্কিন–নির্মিত মাভেরিক ও টো ক্ষেপণাস্ত্র ব‍্যবহার করে ইসরায়েলিরা মিসরীয় সাঁজোয়া বহরগুলোকে বিধ্বস্ত করে ফেলে। মার্কিন–নির্মিত বৈদ‍্যুতিক প্রতিরক্ষাব‍্যবস্থা (electronic countermeasures) ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে বিমান–বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। এর ফলে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী মিসরীয় বাহিনীর ওপর পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়।

২৫ অক্টোবরের মধ‍্যে ইসরায়েলি সৈন‍্যরা মিসরীয় বাহিনীকে পশ্চাৎপসরণে বাধ‍্য করে এবং সুয়েজ খাল অতিক্রম করে খালটির পশ্চিম তীরে চলে এসে মিসরের ১,৬০০ বর্গ কি.মি. ভূমি দখল করে নেয়। মিসরীয় সেনাবাহিনীর ৩য় সৈন‍্যদল (3rd Army) ইসরায়েলি সৈন‍্যদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং ইসরায়েলি সৈন‍্যরা মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে মাত্র ১০০ কি.মি. দূরে ছিল। সিরীয় রণাঙ্গনে ইসরায়েলি সৈন‍্যরা গোলান মালভূমি থেকে সিরীয় সৈন‍্যদের বিতাড়িত করে এবং সিরিয়ার মূল ভূখণ্ডের ৫০০ বর্গ কি.মি. অঞ্চল দখল করে নেয়। এসময় তারা সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস থেকে মাত্র ৩০ কি.মি. দূরে ছিল। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ‍্যস্থতায় উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

১৯৭৩ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ইসরায়েল গুরুতর সামরিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। মিশর পুরো সিনাই ইসরাইলের কাছ থেকে দখল করে নেয়। আর ইসরাইলের সীমান্তের ৪ কিলোমিটার কাছে চলে আসে। তখন সারা ইসরাইল জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পরে যে মিসর ইসরাইলের ভিতরে ডুকে গেছে। কিন্তু এখানেই বড় ভুল করেছিল মিসর তারা সময় নষ্ট না করে ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে ডুকে গেলে ইতিহাস ভিন্ন হতো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি এসময় এয়ারলিফটের মাধ‍্যমে ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ না করত, ইসরায়েল এই যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজিত হতো এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব নিয়েও শঙ্কা দেখা দিত। এজন্য মার্কিন ম‍্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্টের মতে, অপারেশন নিকেল গ্রাস ছিল এমন একটি এয়ারলিফট যেটি ইসরায়েলকে রক্ষা করে না হলে ইসরাইল হতো মিসরের একটি প্রদেশ।

অপারেশন নিকেল গ্রাস ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন‍্য বড় একটি সাফল‍্য। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযান থেকে কয়েকটি শিক্ষা লাভ করে।

প্রথমত, পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর আচরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারে যে, বিশ্বব‍্যাপী সামরিক শক্তি প্রয়োগের সামর্থ‍্য বজায় রাখতে হলে তাদের অন‍্য কোনো রাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা যাবে না। এজন্য মার্কিন বিমানবাহিনী আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় যুদ্ধবিমানে জ্বালানি পূর্ণ করার জন্য একটি বিমানবহর মোতায়েন করে।

দ্বিতীয়ত, এই অভিযানের আগপর্যন্ত মার্কিন গণমাধ্যমে 'সি–৫' পরিবহন বিমানগুলোকে অকার্যকর 'সাদা হাতি' হিসেবে আখ‍্যা দেয়া হয়েছিল। এই অভিযানে সেটি ভুল প্রমাণিত হয় এবং মার্কিন বিমানবাহিনী একটি 'সি–৫' বিমানবহর গড়ে তোলে।

সর্বোপরি, এই অভিযানে মার্কিন বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলো মার্কিন সরকারকে সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এজন্য পরবর্তীতে এরকম পরিস্থিতি যেন না হয় সেজন্য মার্কিন সরকার 'সিভির রিজার্ভ এয়ার ফ্লিট' আইন ব‍্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়, যার মাধ‍্যমে বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলো সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ‍্য হয়। এর ফলে ১৯৯০–১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলো মধ‍্যপ্রাচ‍্যে সৈন‍্য ও রসদপত্র পরিবহন করতে বাধ্য হয়।

তবে অপারেশন নিকেল গ্রাস ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করলেও ইসরায়েলকে সহায়তা করার কারণে তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এবং তেল অবরোধ আরোপ করে। এর ফলে ১৯৭৩ সালের জ্বালানি সঙ্কট আরম্ভ হয়।

সবশেষে একটি তথ‍্য উল্লেখ না করলেই নয়। অপারেশন নিকেল গ্রাস কিন্তু ১৯৭৩ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের একমাত্র এয়ারলিফট বা অস্ত্র সরবরাহ ছিল না। এসময় সোভিয়েত ইউনিয়নও 'আন্তোনভ আন–১২' এবং 'আন্তোনোভ আন–২২ আন্তেই' পরিবহন বিমানের মাধ‍্যমে প্রায় ১৫,০০০ টন সামরিক সরঞ্জাম মিসরকে সরবরাহ করে। এছাড়া, সমুদ্রপথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ৯৩,২১০ টন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

ক্রেডিট - হিমেল রহমান

আপনি কি জানতেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী বা সেনাবাহিনী আছে! যাদের কাজ হল নিজ দেশের বড় বড় ভিআ...
02/04/2022

আপনি কি জানতেন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী বা সেনাবাহিনী আছে! যাদের কাজ হল নিজ দেশের বড় বড় ভিআইপি ও অন্যান্য আর্থিক যেঁকোন কিছুকে নিরাপত্তা প্রদান করা। এইসব বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শতকার ৮৫ ভাগই থাকে সাবেক মার্কিন সেনাবাহিনী,পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনী থেকে আসা। তাছাড়া এইসব বাহিনী দেশের বাইরে মার্কিন স্বার্থে ভাড়াটে সেনাবাহিনী হিসাবে উচ্চ বেতনে চাকরীও করে। আফগানিস্তান,ইরাক ও ইয়েমেনেও কাজ করেছে তবে ইরাকে ও আফগানিস্তানে তাদের কুখ্যাতি আছে। তাছাড়া সৌদি আরব, আরব আমিরাত,কুয়েত, আফ্রিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তারা মোতায়েন আছে ধনকুব ও তাদের বিনিয়োগকে সুরক্ষা দিতে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও প্রবাভশালী প্রাইভেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান হল ব্ল্যাক ওয়াটার এটির সিও হল সাবেক নেভি সিল কমান্ডো প্রিন্স এরিক। এই ব্ল্যাক ওয়াটারের সদস্য সংখ্যা কত সেটি নিয়ে মতভেদ আছে মানে বিষয়টি তারা প্রকাশ করেনা। ইরাক ও আফগানিস্তানে তারা গণহত্যা ও ইয়েমেনে সৌদি আরবের পক্ষে অনেক হুতি নেতাদের গুপ্ত হত্যার মতন কাজে যুক্ত ছিল তারা। তাদের সদস্যদের প্রায় সকলেই মার্কিন কোন না কোন এলিট বাহিনী থেকে আগত যাদের কাজই ছিল মানুষ হত্যা করা। আর এরা এখনো সেই কাজ করে যাচ্ছে। ব্ল্যাক ওয়াটারের মালিক প্রিন্স এরিককে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে যুদ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি সময়ে ব্ল্যাক ওয়াটার হংকং ও চীনে এসেছে তারা চীনের বড় বড় কোম্পানিকে ও ওয়ানবেল্ট এর সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা প্রদানে জন্য চুক্তি করেছে। এই হিসাবে তারা মিয়ানমারে এসেছে এই নিয়ে আমাদের জাতীয় পত্রিকাতে নিউজ ও হয়েছে কয়েকমাস আগে। যা আমরা এতটা গুরুত্ব দেয়নি তবে বিষয়টি উদ্বেগের। কালকে সেই জাতীয় পত্রিকায় ছাপা পুরো লেখাটি দেওয়া হবে মেম্বারদের জন্য।

ছবিতে ব্ল্যাক ওয়াটারের সিও যুদ্ধ ব্যবসায়ী প্রিন্স এরিক। ইরাকে ২০০৭ সালে এই বাহিনী ২২ জন সাধারণ ইরাকীকে বিনা কারণে হত্যা করে কিন্তু রয়টার্স এর দুই সাংবাদিক তাদের অনুসন্ধানী মূলত প্রতিবেদনে প্রথম সারা দুনিয়ার কাছে এদের কাজ প্রথম সামনে নিয়ে আসে। ফলে এর কিছুদিন পরেই আমেরিকান সেনারা সেই দুই সাংবাদিককে এপাচি থেকে মিসাইল মেরে হত্যা করে।

ছবির এই লোকটির ছদ্মনাম ওয়ালি যিনি কানাডিয়াম সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ স্নাইপার ৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ( প...
02/04/2022

ছবির এই লোকটির ছদ্মনাম ওয়ালি যিনি কানাডিয়াম সেনাবাহিনীর একজন দক্ষ স্নাইপার ৷ আশ্চর্যের বিষয় হলো পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ( প্রায় ৩.৫ কিমি ) স্নাইপার কিলের রেকর্ডধারী তিনি ৷ ২০১৫ সালে সিরিয়াতে কুর্দিস্তানে আইএস সন্ত্রাসী নিধনে তার অন্যতম ভূমিকা আছে ৷

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ৷ যুদ্ধ ছড়িয়ে পরলে পোল্যান্ড সীমান্ত হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেন ৷ রাশিয়ানরা একাধিকবার তাকে হত্যার দাবি করলেও তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়নি ৷ বরং প্রতিবার রাশিয়ার ভুয়া দাবির পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিত হয়েছেন ৷ এবার রাশিয়ানরা তাকে হত্যার মিথ্যা দাবি করলে মৃত রাশিয়ান সেনার MRE নিয়ে তিনি এই ছবি পোস্ট করেন ৷

আল মাহমুদ ইমন

আপনি কি জানতেন?১৯৭৪ সালে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের বিমান বাহিনী বিমান হতে আইসিবিএম নিক্ষেপ করার পরীক্ষা চালায় ও সফল হয় । এক...
02/04/2022

আপনি কি জানতেন?

১৯৭৪ সালে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের বিমান বাহিনী বিমান হতে আইসিবিএম নিক্ষেপ করার পরীক্ষা চালায় ও সফল হয় । একটি সি ৫ বিমান থেকে ৪০টন ওজনের Minetinum আইসিবিএম নিক্ষেপ করা হয় । প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রায় সাড়ে ৬কিঃমিঃ উপর থেকে আইসিবিএম ছাড়া হয়।ছেড়ে দেওয়ার সাথে মিসাইল হতে প্যারাসুট বের হয়ে আসে যাতে মিসাইলের নিচে পড়ার গতি কম হয়।এরপর মিসাইলটি ২.৬ কিঃমিঃ উচ্চতায় আসলে রকেট ইঞ্জিন চালু হয় উপরের দিকে উঠতে শুরু করে এবং নির্ধারিত টার্গেটে গিয়ে পতিত হয়।এই পরীক্ষাটি করার কারন হচ্ছে তৎকালীন সোভিয়েতকে দেখানো মার্কিন বিমান বাহিনী বিমান হতেও আইসিবিএম নিক্ষেপ করতে পারে। আমেরিকাই একমাত্র দেশ ছাড়া বিমান থেকে আইসিবিএম হামলা করতে সক্ষম।

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। কারফিউ এ-র প্রতিবাদে  বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় সময় সন...
02/04/2022

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে কারফিউ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। কারফিউ এ-র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনের কাছাকাছি জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর রাতেই কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। জনগণ কারফিউ ভেঙে আন্দোলনে নেমেছে তারা সেনাবাহিনীকে জনগণের সাথে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে রাজাপারসের পরিবারতন্ত্রকে উৎখাত করার আহবান জানিয়েছে। সরকার দমন চালালে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটির জনগণ!

#শ্রীলঙ্কা #আন্দোলন #সরকার

বেলগোরদে ইউক্রেনিয়ান মি-২৪ দিয়ে রাশিয়ার তেলের ডিপোতে হামলা হয়েছে আজকে। রাশিয়ার ৪০ কিলোমিটার ভিতরে ডুকে দুটো ইউক্রেনের হে...
01/04/2022

বেলগোরদে ইউক্রেনিয়ান মি-২৪ দিয়ে রাশিয়ার তেলের ডিপোতে হামলা হয়েছে আজকে। রাশিয়ার ৪০ কিলোমিটার ভিতরে ডুকে দুটো ইউক্রেনের হেলিকপ্টার সফলভাবে রাশিয়ার তেলের ডিপোতে সফল হামলা চালিয়ে আবার নিরাপদে চলেও যায়! সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের পর এই প্রথম কোন দেশ রাশিয়ার সীমানার ভিতরে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। উক্ত তেলের ডিপো থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযানে তেলের সাপ্লাই সরবারাহ করে। আজকে আবার রাশিয়া তাদের বিমানবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক এটাক হেলিকপ্টার এমআই-২৮ দিয়ে অভিযান চালাতে গেলে ইউক্রেনের ম্যানপ্যাডের আঘাতে সেটাও হারিয়েছে ৷

পাকিস্তানের J-10C এর একটি ক্লোজ আপ শট। যেখানে হেড আপ ডিসপ্লেটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
30/03/2022

পাকিস্তানের J-10C এর একটি ক্লোজ আপ শট। যেখানে হেড আপ ডিসপ্লেটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

৪১২৮ সিরিয়ালের এই মিগ-২১ এর মালিক হল ভিয়েতনাম এই বিমানের একটি অনন্য রেকর্ড হল এটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় একটি মার্কিন হেভি...
29/03/2022

৪১২৮ সিরিয়ালের এই মিগ-২১ এর মালিক হল ভিয়েতনাম এই বিমানের একটি অনন্য রেকর্ড হল এটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় একটি মার্কিন হেভি বোম্বার বি-৫২ বিমান ভূপাতিত করেছিল।

১৫ই জানুয়ারি ১৯৭৩ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামে বোমা হামলা চালানোর সময় মার্কিন বিশাল দানব বি-৫২ বোম্বার এই মিগ-২১ দিয়ে শুট হয়। মিগ-২১ বিমানটি প্রায় ১০ হাজার মিটার উচ্চতায় তার ২৩ মিলিমিটার হেভি মেশিনগান দিয়ে বি-৫২ বিমানের ৩ টি ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয়।

এতে উক্ত বিমানের ১৩ জন মার্কিন সেনা ও ক্রু নিহত হয়েছিল।

সৌদি আরবের এই টর্নেডো বিমানের রয়েছে বেশ মজার এক ইতিহাস।১৯৯১ সালে গাল্ফ যুদ্ধের সময় এই বিমানটিকে একটি মিশনে পাঠানো হয়।তো ...
29/03/2022

সৌদি আরবের এই টর্নেডো বিমানের রয়েছে বেশ মজার এক ইতিহাস।

১৯৯১ সালে গাল্ফ যুদ্ধের সময় এই বিমানটিকে একটি মিশনে পাঠানো হয়।তো এক সময় এর জ্বালানী প্রায় শেষের দিকে চলে আসে।রিফুয়েলিং করতে তখন মার্কিন এক ট্যাঙ্কার বিমানের নিকট যায়।কিন্তু ট্যাংঙ্কের ক্রু যে কিনা ফুয়েল সাপ্লাই দিবে সে একজন ফিমেল ছিল।এই ফিমেলকে দেখে টর্নেডোর বিমানের পাইলট সম্ভবত ধর্মীয় কারনে ফুয়েল নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ফুয়েল না নিয়ে পাইলট চলে যায় এবং বেশ কম উচ্চতায় বিমানটি উড়াতে থাকে।একসময় বিমানটির ফুয়েল শেষ হয়ে যায় এবং মরুভূমিতে ত্র্যাস ল্যান্ডিং করে।এরপর সেখানে ২ বছর পড়ে থাকার পর সৌদি বিমান বাহিনী একটি বিমান ঘাঁটির সামনে এভাবে স্থায়ীভাবে রেখে দেয়।বিমানটি পুরো পারফেক্ট বিমান ছিল।বলা হয়ে থাকে এটা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমান যা দৃশ্যনন্দনের জন্য সৌদি ব্যবহার করছে!

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Defence বাংলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Defence বাংলা:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share