Islamic Films TV

  • Home
  • Islamic Films TV

Islamic Films TV Alhamdulillah

এক ভাইয়ের আইডি থেকে কপি করলাম)  আমরা কেন মাযহাব মানি?ছোট বেলা থেকে না জেনেই হানাফী মাজহাব পালন করে বড়  হয়েছি। নামাজ শিক্...
26/06/2024

এক ভাইয়ের আইডি থেকে কপি করলাম)

আমরা কেন মাযহাব মানি?

ছোট বেলা থেকে না জেনেই হানাফী মাজহাব পালন করে বড় হয়েছি। নামাজ শিক্ষার যে বই গুলো বাসায় ছিল - সব ছিল নিউজপ্রিন্টের। ভিতরে খালি মাসআলা ছিল। কুরআন হাদিসের কোন রেফারেন্স ছিলোনা। ছিল ব্র্যাকেটে ফতোয়ায়ে আলমগিরি,বেহেশতী জেওর,মালাবুদ্দা মিনহু-র রেফারেন্স, যা কি জিনিস জানতাম না।

বড় হলে আহলে হাদীস ও সালাফিদের বই পড়লাম। কুরআন ও হাদিসের প্রচুর রেফারেন্স দেয়াতে খুব ভালো লাগলো। তারা বললো: তুমি এসব মাযহাব ছাড়। সহীহ হাদিস মেনে ইবাদত করো। অন্ধ তাকলীদ করো না।

হানাফীরা ইমাম আবু হানিফা রহ. ও অন্যান্য মুকাল্লিদরা বাকী ইমামদের ফিকহ মানে, এর চেয়ে সহীহ হাদিস মানো । একটু এক্সট্রিম কেউ কেউ তাকলীদকে শিরক বললো, বললো বুদ্ধি থাকলে তাকলীদ করতে হবে কেনো। এরকমই আরো কিছু কথা সুন্দর সুন্দর কথা ।

আমার কথা গুলো বেশ মনে ধরলো। হানাফী থেকে আহলে হাদীস হতে ইচ্ছা জাগলো । মাযহাবের তাকলীদ বাদ দিয়ে সহীহ হাদিসের উপর আমল করা শুরু করলাম। হাতে টাকা ছিল - জোগাড় করলাম সিহাহ সিত্তাহ, বাংলা-আরবী। আরবী স্কিপ করে বাংলায় সহীহ হাদিস পড়া শুরু করলাম।
কিন্তু ওযু ও গোসল অধ্যায়ই শেষ করতে পারলাম না। নামাজ তো আরো পরে।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর ওযুর বিভিন্ন ধরণের বর্ণনা আছে। কোনটা মেনে ওযু করবো ? ছোট একটা জিনিসই ধরি। কিছু জায়গায় অঙ্গ দুবার করে ধোয়ার কথা বলা আছে , কিছু জায়গায় তিনবার, কিছু জায়গায় একবার। আমি যদি দুবার করে ধৌত করি তাহলে একটা সহীহ হাদিস আমি মান্য করছিনা, তিন বার ধুলে অন্য আরেকটি সহীহ হাদিস মান্য করছিনা ।

প্রশ্ন ১: আমি এই যে কিছু সহীহ হাদিস মানতে যেয়ে অন্য সহীহ হাদিস মান্য করছিনা, সেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে রেফারেন্স দিয়ে কেউ যদি বলে আমি সহীহ হাদিস মানিনা সেটা কি ঠিক হবে ? এর মানে কি আমি সহীহ হাদিস অমান্যকারী ?
এখন আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। আমি পড়ালেখা করেছি, বই পড়ার উৎসাহ আছে, ইসলামের প্রতি ঝোক আছে। এদের কথা ধরেন : আমাদের বাসার বুয়া বা বিল্ডিং এর কেয়ারটেকার পড়াশোনা করতে পারেনা। আমার বন্ধু কয়েকজন যারা পড়ালেখা জানলেও ইসলামী বই অধ্যায়ন করেনা কারণ ইসলামের প্রতি আগ্রহ নেই এদের কেউ ওযু পারেনা।

প্রশ্ন ২: তাদের কে শিখানোর জন্য যদি আমি যদি বুখারীর ও অন্যন্য হাদিস গ্রন্হের ওযু অধ্যায়ের সহীহ হাদিস গুলি সিরিয়ালি তাদের কাছে শুধু বাংলায় রিডিং পড়া শুরু করি, তারা কি সেগুলি বুঝে ঠিক মতো আমল করতে পারবে ?

প্রশ্ন ৩: যদি তারা না বুঝে তাহলে তো আমাকে তাদের দেখিয়ে দিতে হবে কিভাবে ওযু করতে হয় । তখন আমি বুখারীর ও অন্যন্য হাদিস গ্রন্হের ওযু অধ্যায়ে উল্লেখিত বাংলা সহীহ হাদিস গুলি সমন্বয় করে বা সেখান থেকে বেছে নিয়ে আমার বুঝ অনুযায়ী তাদের শিখাবো। এতে কি তারা সহীহ হাদিস মানলো নাকি আমার বুঝ ও ব্যাখ্যা মানলো ? এই ব্যাখ্যাই কি ফিকহ না ?

প্রশ্ন ৪: যখন আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি, তখন আমার হাদিসের টেক্সট ও রেফারেন্স দেয়া কি আমার জন্য জরুরি হবে ? বাস্তবেই কি তারা প্রত্যেকটির শিক্ষার পিছনের হাদিসের রেফারেন্স চাবে ? নাকি বলবে শুধু ওযু শিখিয়ে দাও ? এটি কি আমার উপর বিশ্বাস করে অন্ধ তাকলীদ করা নয় কি ? যদি রেফারেন্স দিয়েও দি তাও কি তারা সহীহ থেকে জাল হাদিস পার্থক্য করতে পারবে ?

প্রশ্ন ৫:একটি হাদিস যে আমি সহীহ হাদিস কিভাবে বুঝছি ? ব্র্যাকেটে লেখা আছে বলে। আমার সামর্থ্য নাই হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়ন করে সহীহ যঈফ আলাদা করার। কেউ তাহকীক করে লিখে দিয়েছে। সেটাই চোখ বন্ধ করে মেনে নিচ্ছি। কেউ বুখারী অনুবাদ করে দিয়েছে, আমিও মেনে নিচ্ছি সেটা সঠিক অনুবাদ, কারণ আমার পক্ষে আরবি বুঝে অনুবাদের ত্রুটি ধরা সম্ভব না । এই তাহকীক ও অনুবাদ যে সঠিক মেনে নেয়া হচ্ছে সেটা কি অন্ধ তাকলীদ নয় ?

প্রশ্ন ৬: ওযুর মতো অতি সহজ ব্যাপারে আমার যদি এই অবস্থা হয়, নামাজের মতো অতি জটিল ব্যাপারে কি আমার পক্ষে সহীহ হাদিস পড়ে নামাজ শিক্ষা করা কিভাবে সম্ভব ? যদি আমার পক্ষেই সম্ভব না হয় ৭ বছরের ছেলে কিংবা পড়ালেখা না জানা বুয়ার পক্ষে কিভাবে সম্ভব ?

প্রশ্ন ৭: যদি সম্ভব না হয় তাহলে আমাকে এমন একজনের আলিমের দারস্ত হতে হবে যিনি সব হাদিস পড়ে বুঝে আমাকে নামাজের নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিবেন,তাইনা ? হাদিস গুলির সমন্বয় করে যদি উনি ব্যাখ্যাই করেন তাহলে ফিকহ তো ফিকহই হয়ে গেলো । এই ক্ষেত্রে আমি কি সহীহ হাদিস মানছি নাকি ফিকহ ? এই ফিকহ মানার মাধ্যমে আমি কি বাস্তবে আমি সমন্বয়কৃত সহীহ হাদিসই মানছি না ?

প্রশ্ন ৮: আমি যদি আরেকজন আলিমের কাছে যাই এবং একই অনুরোধ করি হাদিস ঘেটে নিয়ম কানুন বানিয়ে দেয়ার জন্য । উনিও সব হাদিস ঘেটে আমাকে নিয়ম বানিয়ে দিলেন। প্রথম আলিমের নিয়ম গুলি আর দ্বিতীয় আলিমের নিয়ম গুলি কি হুবুহু একই হবে ? নাকি তাদের দুজনের সমন্বয় পদ্ধতি আলাদা হতে পারে ?
একজনের কাছে এক হাদিস বেশি সহীহ অন্য জনের কাছে কম সহীহ লাগতে পারে না ? দুজন একই হাদিসের অর্থ কে দুই ভাবে নিতে পারে ? তারা কি আরবি ইবারত ভিন্ন ভাবে পড়তে পারেনা ? হাদিসের শত শত কিতাবের উনি হয়তো কিছু পড়েছেন অন্যজন কিছু ? রাবী দুর্বল কিনা এই নিয়ে ইখতেলাফ আছেনা ? কারো কারো মতে বুখারী সব চেয়ে সহীহ, কারো মতে মুয়াত্তা ইমাম মালিক, এরকম অচেনা ?
আরো কত কারণ আছে, হাদিস শাস্ত্র কি অংকের মতো যে রেজাল্ট একটাই হবে ? তাহলে দুজনেরই সহীহ হাদিস মানা সত্ত্বেও দুজনের নামাজের নিয়ম দুই ধরণের হতে পারেনা ? আমার কি সেই যোগ্যতা আছে যে আমি বলতে পারবো প্রথম জন বেশি ঠিক না দ্বিতীয় জন ?

প্রশ্ন ৯: ধরেন আমি প্রথম আলিমের কাছে যাওয়ার পর উনি আমার অনুরোধে সকল হাদিস ঘেটে আমার জন্য নামাজের নিয়ম বানিয়ে দিয়েছেন। এখন আমার ভাই যদি তার কাছে যেয়ে একই অনুরোধ করে তাহলে কি তিনি এই কাজটি হাদিস ঘাটার কাজটি কি আবার করবেন ? নাকি আমাকে যে নিয়ম গুলি উনি দিয়েছেন সেগুলিই আমার ভাইকেও দিয়ে দিবেন ? আমার ভাই আজ থেকে ১০ বছর পর গেলে একই নিয়মি তো পাবেন ওই আলিম থেকে তাইনা (কারণ যে হাদিস দেখে নিয়ম তৈরী করেছেন সেই হাদিস তো আর ১০ বছরে পরিবর্তন হয়নি) ? ৫০ বছর পর কেউ গেলে ? এখানে কি নামাজের নিয়ম পরিবর্তন হওয়ার খুব বেশি সুযোগ আছে ? ১৩০০ বছর পর ? নাকি প্রত্যেকবার শুরু থেকে হাদিস ঘাটতে হবে ?
যদি পরে আমরা প্রথম আলিমের বের করা নিয়ম কে মাজহাব বা ফিকহে X ও দ্বিতীয় আলিমের বের করা নিয়ম কে মাজহাব বা ফিকহে Y নাম দি , তাহলে X ও Y ফলো করা কি ১৩০০ বছর পর হারাম হয়ে যাবে, যেখানে এটি ১৩০০ বছর আগে সহীহ ছিল ?

প্রশ্ন ১০: নামাজ তো আর নতুন জিনিস না। এটি ইসলামের শুরু থেকে চলছে। তাহলে এই হাদিস ঘাটাঘাটি করে নামাজের নিয়ম বের করার কাজও তখন থেকেই হওয়ার কথা। তখন থেকেই যদি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বা ইমাম মালিক (রহঃ) বা ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বা ইমাম আহমদ (রহঃ) যদি এই হাদিস ঘাটাঘাটি করে নামাজের নিয়ম বের করার কাজটি করে গিয়ে থাকেন, নামাজের নিয়ম তো আর পরিবর্তন হয়নি, তাহলে এখন সেগুলি মানতে সমস্যা কোথায় ?
নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেব এই যুগে এসে হাদিস ঘাটাঘাটি করে যে নিয়ম বের করেছেন তা ওগুলোর উপর প্রাধান্য পাবে কেন ? ওই চার ইমামের কারো যোগ্যতা কি ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের চেয়ে কম ছিল ?

প্রশ্ন ১১: এখন যদি কেউ বলেন যে সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ (দঃ) এর ওফাতের পর সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে দুটি বিষয় হতে পারে।
হয়তো প্রধান সাহাবীরা যেসব এলাকায় গিয়েছিলেন বা ছিলেন সেসব জায়গায় নামাজ সম্পর্কিত সব হাদিস ছিল। এই ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার কাছে কুফায় বা ইমাম মালিকের কাছে মদিনায় নামাজ সংক্রান্ত সব হাদিস ছিল। এই ক্ষেত্রে তারা এসব বেছেই নামাজের নিয়ম বানিয়েছেন। ওই নিয়ম ফলো করতে আপত্তি কোথায় ?
অথবা . সাহাবীরা যেসব এলাকায় গিয়েছিলেন সেখানে নামাজ সম্পর্কিত সব হাদিস ছিলোনা, কিছু হাদিস ছিল।

তাই কোনো এক এলাকায় যেমন ইমাম আবু হানিফার কুফায় কিংবা ইমাম মালিকের মদিনায় সব হাদিস ছিলোনা। পরে সব হাদিস একত্রিত হয়েছে। তাই সব হাদিস বাছাই করে বানানো ল্যাটেস্ট আলবানী সাহেবের নামাজের নিয়ম বেশি শুদ্ধ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে ওই সব এলাকায় আংশিক হাদিস থেকে বানানো আংশিক নামাজের নিয়ম পালন করে যদি সালাফ তথা তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈনরা শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম হয় তাহলে ওই আংশিক নিয়ম পালন করলে আমরা কেন ধরা খাব কিংবা সাওয়াব কম পাবো ?

প্রশ্ন ১২: সুন্নাহর বিস্তার এর একমাত্র মাধ্যম কি হাদিস ? এছাড়া কোন মাধ্যম নেই ? ওযুর কথাই ধরুন না। যখন সাহাবীরা তাদের সন্তান বা তাবেঈদের ওযু শিক্ষা দিতেন তখন কি শুধু হাদিস বর্ণনা করতেন ?
নাকি হাতে কলমে নবীজির (সঃ) এর কাছ থেকে শেখা ওযুর মতো করে ওযু করে অন্যদের শিক্ষা দিতেন ?

তাহলে তাবেঈ বা তাবেঈ-তাবেঈনদের সংস্পর্শে এসে প্র্যাকটিকাল নামাজ শিক্ষার পদ্ধতি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) কিংবা ইমাম মালিকের (রহঃ) বেশি জানার কথা নাকি নাসিরুদ্দিন আলবানী সাহেবের।
আলবানীর কাছে তো শুধু হাদিস আছে , কিন্তু ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালিকের কাছে হাদিসের সাথে সাথে প্র্যাকটিকাল শিক্ষাও তো ছিল। কার নামাজের নিয়ম বেশি শুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?

প্রশ্ন ১৩ঃ- ইমাম চতুষ্টয়ের বানানো নামাজের নিয়ম প্রায় ১৩০০ বছর ধরে মুসলিম উম্মাহ ফলো করে আসছে। উম্মাহর ইতিহাসের বাঘা বাঘা আলিম এগুলি মেনে নামাজ পড়েছেন । এমন সময় যখন ইসলাম দুনিয়াতে বিজয়ী ছিল, যখন মুসলিমদের ঈমান আমল ও ইখলাস বর্তমান মুসলিমদের চেয়ে বেশি ছিল। আর নাসিরুদ্দিন আলবানীর তৈরী নামাজের নিয়ম অপেক্ষাকৃত অনেক কম মানুষ অনেক কম দিনের জন্য ফলো করছে, যখন মুসলিমদের ঈমান, আমল ও আখলাক সব চেয়ে নিচে। প্রথমোক্ত গ্রূপের বহু মুসলিমদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি নাকি দ্বিতীয় গ্রূপের কম মুসলিমদের ?

প্রশ্ন ১৪: কুরআনে বলা আছে শুধু মাত্র বাপ্ দাদারা করতো বলে কোন কিছু করা উচিত না। কিন্তু তা কি মুশরিক বাপ্ দাদাদের ব্যাপারে বলা হয়নি ? বাপ্ দাদা যদি মুসলিম হয় তাহলে তো তাদের মান্য করতে কোনো দোষ আছে ?

যেমন নবী ইয়াকুব (আঃ) মৃত্যুর সময় তার পুত্রদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন তারা তার পরে কার ইবাদত করবে । তার ছেলেরা উত্তর দিয়েছিলেন তাদের বাপ্ দাদাদের উপাস্যের। বাপ্ দাদা সঠিক রাস্তায় থাকলে সেই রাস্তা দিয়ে হাটা যাবেনা এমন কথা কি বলা আছে ? নূহ (আঃ) এর ছেলে যদি এই যুক্তি দিত যে বাপ্ দাদা মেনে আসছে বলে আমরা মানবোনা এটা কি সঠিক হতো ?
এসব প্রশ্নের উত্তর আমাকে সালাফী হতে দিলোনা।

আমি হানাফীই থাকলাম। এবং মন ভরে দুআ করলাম সেই সব আলিমদের যারা আমাদের জন্য নিজেদের সারা জীবন বিলিয়ে দিয়ে সহজ ফিকহের কিতাব লিখে গিয়েছেন, যা মাত্র ১০০/২০০ টাকা দিয়ে কিনে কিংবা আলিমের সোহবতে শিখে আমল করে আমরা অমূল্য অফুরন্ত অনিঃশেষ জান্নাতের জন্য কাজ করতে পারি।

বিঃ দ্রঃ ইমাম আজম আবু হানীফা রহ. একজন তাবেয়ী ছিলেন।

(সংগৃহীত)

ডেল কার্নেগীর কিছু উক্তি-
23/06/2024

ডেল কার্নেগীর কিছু উক্তি-

🌿 রাসূল (সা:) বলেনযার আচার-ব্যবহার সুন্দর, আমি তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি।[ হাদীস- সুনানে আবু দাউ...
23/06/2024

🌿 রাসূল (সা:) বলেন
যার আচার-ব্যবহার সুন্দর,
আমি তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি।
[ হাদীস- সুনানে আবু দাউদ ]

🔰যদি কেউ বিশ্বাসী হয়ে সৎকর্ম করে,
তবে তার কর্ম-প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না এবং
নিশ্চয়ই আমি তা লিখে রাখি।

[২১ নং সূরা আল-আম্বিয়া,পারা-১৭,
আয়াত নং-৯৪]

📗 রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
কোনো ব্যক্তি ভাল কাজের পরিকল্পনা করলো কিন্তু বাস্তবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারলো না তবুও সে তার ভাল পরিকল্পনার জন্য ছাওয়াব পাবে।

[ হাদীস:সহীহ মুসলিম নং-৩৫৪ ]

📗 হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত,
এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন,
‘তুমি ১টি দিনার আল্লাহর রাস্তায়
খরচ করেছ,
১ টি দিনার দাস মুক্তির কাজে ব্যয় করেছ, ১ টি দিনার মিসকিনকে দান করেছ,
আর ১টি দিনার তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ।
এর মধ্যে যে দিনারটি তুমি তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ;
তার সওয়াব সবচেয়ে বেশি।’
[হাদীস:সহীহ মুসলিম নং-২৩৫৮]

নারী সংবাদ কর্মী প্রশ্ন করেন: পুরো আধঘণ্টা সাক্ষাৎকারে আপনি একবারও আমার দিকে তাকাননি, এর কারণ কী? তিনি উত্তর দেন: এতে নত...
22/06/2024

নারী সংবাদ কর্মী প্রশ্ন করেন:
পুরো আধঘণ্টা সাক্ষাৎকারে আপনি একবারও
আমার দিকে তাকাননি, এর কারণ কী?
তিনি উত্তর দেন: এতে নতুন কি আছে, বি বি?
শরীয়ত আমাকে আপনাকে ঢেকে রাখার ক্ষমতা দেয়নি,
তবে অবশ্যই আমাকে চোখ নামিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
আপনার মাথার দোপাট্টা আমার কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত নয়,
কিন্তু আমার চোখের যত্ন নেওয়া আমার কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
এটা আপনাকে অপমান করার সমস্যা নয়,
আমার শরীয়তের আবদ্ধ থাকার সমস্যা।

ইমারাতে ইসলামিয়া আ/ফ/ গানি/ স্থানের একজন মন্ত্রী।
©️
আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকেও চোখের দৃষ্টি
হেফাযত করার তাওফিক দান করুন,
আমিন আমিন আল্লাহুম্মা 🤲🤲

রাসেল ভাইপার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য দিলেন চিকিৎসককালবেলা ডেস্ক আপডেট : ২১ জুন ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম|অনলাইন ডা. ফরহাদ উদ...
21/06/2024

রাসেল ভাইপার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য দিলেন চিকিৎসক
কালবেলা ডেস্ক
আপডেট : ২১ জুন ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম|অনলাইন
ডা. ফরহাদ উদ্দীন হাসান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায়, বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে, গত কিছুদিন যাবত বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাসেল ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।

প্রচলিত আছে এ সাপ কামড়ালে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আসলেই কি এতটা ভয়‌ঙ্কর রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ?

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন প্রায় ৪০০০ এর বেশী সর্প দংশনের রোগীর চিকিৎসা দেওয়া ডা. ফরহাদ উদ্দীন হাসান চৌধুরী।

তিনি তার পোস্টে লেখেন-

বাংলাদেশের প্রধান ৩ টি বিষাক্ত সাপ হলো গোখরা (কোবরা), কেউটে (ক্রেইট) এবং রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া। রাসেলস ভাইপার অপেক্ষাকৃত বেশি বিষধর। অতিসম্প্রতি এই সাপটির প্রকোপ বেড়ে গেছে। তবে এই সাপটি নিজ থেকে তাঁড়া করে কাউকে দংশন করে না। মূলত অসাবধানতাবশত কেউ এই সাপের গায়ে পারা দিলে এই সাপটি ছোবল দেয়।

তিনি বলেন, এই সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে মূলত শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বতঃস্ফূর্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, কিডনি বিকল হতে পারে, স্নায়ু অবশ হয়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা হারিয়ে যেতে পারে এমনকি হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। বাংলাদেশে সর্প দংশন প্রতিরোধী যে অ্যান্টিভেনম রয়েছে সেগুলো কোবরা এবং ক্রেইটের বিপরীতে ভালোভাবে কাজ করলেও রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে ভালোমতো কাজ করে না। এই এন্টিভেনমটিতে ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে উপাদান রয়েছে। ভারতীয় রাসেলস ভাইপারের বিষ এবং বাংলাদেশের রাসেলস ভাইপারের বিষের ভিতরে উপাদানগত বৈসাদৃশ্য বেশি হওয়ায় এটি পুরাপুরি কাজ করে না।

ডা. ফরহাদ বলেন, আমাদের দেশের এই সাপটির বিরুদ্ধে একটি কার্যকরী অ্যান্টিভেনম তৈরি করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে একদল গবেষক বিগত প্রায় ৪-৫ বছর নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আশা করি আমরা অদূর ভবিষ্যতে রাসেলস ভাইপারের বিরুদ্ধে কার্যকরী দেশীয় একটি অ্যান্টিভেনম পেতে পারি। বিষাক্ত আর অবিষাক্ত মিলিয়ে আমি জীবনে ৩০০০-৪০০০ এর বেশী সর্প দংশনের রোগী নিজেই চিকিৎসা করেছি। কোবরা, ক্রেইট, রাসেলস ভাইপার সব ধরনের সাপের কামড়ের চিকিৎসা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাসেলস ভাইপারের ক্ষেত্রে ৫০% এর বেশি রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে আসলে, অতিদ্রুত অ্যান্টিভেনম শুরু করলে ও সাপোর্টিভ চিকিৎসা যেমন ডায়ালাইসি, ভেন্টিলেশন ইত্যাদি দিলে রোগী বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করি।

আমরা সাধারণত সাপ কামড় দিলে বাঁধ দেই কিন্তু রাসেলস ভাইপারের কামড় নিশ্চিত হলে আক্রান্ত অংশে গিঁট বা বাঁধ দিতে নিষেধ করা হয় কারণ বাঁধের কারণে মাংসপেশির ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অঙ্গহানি হতে পারে। সাপ মেরে ফেলে সাপের বংশ শেষ করা যাবেনা। ব্রিটিশ আমলে সরকারি উদ্যোগে সাপ মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবং যথারীতি ঘটা করে সাপও মারা হয়েছিলো কিন্তু সর্পদংশনের সংখ্যা বা সাপের বংশ কোনটিই কমেনি।

তিনি বলেন, সাপে কামড়ের চেয়েও বাংলাদেশে আরও বড় স্বাস্থ্য সমস্যা আছে। সেপসিস নামক একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ মানুষ মারা যায়, ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, গতবছর ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৭০০ মানুষ। দেশে সাপের কামড়ে মারা যায় প্রতিবছর ৬০০০ এর অধিক মানুষ। এর বেশিরভাগই প্রান্তিক জনগণ। সচেতনতার অভাবে হাসপাতালে না গিয়ে ওঝার কাছে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষের অপমৃত্যু হয়। সচেতনতা বৃদ্ধি, দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া এবং যথাসময়ে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করাই ভরসা। বর্ষা এবং বর্ষা পরবর্তী সময়ে সাপের কামড় বৃদ্ধি পায় তাই এখন সাবধান থাকাটা বেশি জরুরি।

রাসেল ভাইপাররাসেল ভাইপার আতঙ্করাসেল ভাইপার চিনবেন কীভাবে ?
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
মন্তব্য করুন

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ০৮:২২ পিএম|অনলাইন সংস্করণ
অ- অ+facebook sharing buttonmessenger sharing buttonwhatsapp sharing buttoncopy sharing button
ডা. মুহম্মদ আশিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
ডা. মুহম্মদ আশিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
ইদানীং ভারি বর্ষণ ও বন্যার কারণে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ প্রজাতির সাপ রয়েছে যার মধ্যে ২৭ প্রজাতির সাপ বিষধর। সর্প দংশন পরবর্তী বিষক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে অনেকের। সর্প দংশন সম্বন্ধে অনেক ভুল ধারণা এখনো সমাজে বিরাজমান। প্রয়োজন সচেতনা বাড়ানো ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া এসব কুসংস্কার রোধ করার জন্য।

সাপে কাটার পর কী করবেন?

ভয় পাবেন না। শান্ত থাকুন। বেশিরভাগ সাপ অবিষধর। এমনকি বিষধর সাপের দংশনেও অনেক সময় পর্যাপ্ত বিষ নাও থাকতে পারে। প্যানিক অ্যাট্যাকে অনেকে মৃত্যু ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে অসংগত আচরণ, মূর্ছা যেতে পারেন। তাই যথাযথ আশ্বস্ত করুন। বিজ্ঞানভিত্তিক ও কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে এ ব্যাপারে বারবার অভয় দিন। তাতে রোগী বিশ্বাস ও আস্থা ফিরে পারে।

মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে সময় লাগে। ততক্ষণে আপনি হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণত বেশিরভাগ লক্ষণ প্রকাশ পায়- বিষধর সাপ হলে।

দংশিত সাইট (হাত বা পা) নিশ্চল রাখুন। পায়ে দংশিত হলে হাঁটাচলা করবেন না। হাতে দংশিত হলে হাত নাড়াচাড়া করবেন না। বাঁশ, কাঠ বা শক্ত কিছু দিয়ে স্প্লিন্ট দেওয়া যেতে পারে। যেমন দেওয়া হয় হাড় ভাঙলে।

গিরা নাড়াচাড়া বা মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে বিষ দ্রুত রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই যথাসম্ভব শান্ত ও ধীর থাকুন।

সুতা, শক্ত নাইলনের রশি, তার ইত্যাদি দিয়ে গিট দিবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। রক্তসরবরাহ বন্ধ হয়ে হাতে পায়ে পচন ধরে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দেখা দেয় অনেকের। বিকলাঙ্গতা হতে পারে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও।

গামছা বা চওড়া কাপড় দিয়ে হালকা একটি গিট দেওয়া যেতে পারে। তবে এর ফলে বিষ অবরোধ করা যাবে বা গিটের উপকারিতা নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রমাণ নেই।

দংশিত স্থান সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। খালি হাতে ক্ষতস্থান ওয়াশ করবেন না। অন্তত হাতে বাড়তি পলিথিন মুড়িয়ে নিন। অ্যান্টিসেপটিক মলম থাকলে ক্ষতস্থানে লাগানো যেতে পারে।

দংশিত স্থান কাঁটবেন না, সুঁই ফুটাবেন না, গাছ- গাছালীর রস, গোবর, চুলার মাটি কিংবা কোনো প্রকার প্রলেপ দিবেন না। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

মন্ত্রপড়া, পানি পড়া, ওঝা, বৈদ্য এসব অর্থহীন ও অকেজো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করবেন না। এতে সময় ক্ষেপণ হয় এবং এসব জটিলতায় রোগী হাসপাতালে গেলেও বিলম্বের কারণে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন।

মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা বা অ্যাম্বুলেন্স (সম্ভব হলে) এ দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে রোগীকে স্থানান্তর করুন। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ ছাড়া বিষধর সাপের দংশনের ফলে ব্যথা, ফোলা, রক্তক্ষরণ, প্যারালাইসিস, শক, চোখ বুজে আসা, নাকি স্বরে কথা বলা, কথা বলতে অসুবিধা কিংবা মুখ দিয়ে লালা ঝরলে, কিডনি বৈকল্য ইত্যাদি ‘সিন্ড্রোম’ দেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে সাপের বিষের ওষুধ বা অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে।

অভিজ্ঞ ও কনফিডেন্ট চিকিৎসক রোগীর ‘সিন্ড্রোম’ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডোজ (এক ডোজে ১০ ভায়াল, সকল বয়সের রোগীদের ক্ষেত্রে) প্রয়োগ করবেন যথেষ্ট পর্যবেক্ষণে রেখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডোজ ও লাগতে পারে। আবশ্যক প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সব সর্প দংশনে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া অযৌক্তিক ও অযাচিত ব্যবহারের পর কিছু সিরামজনিত জটিলতা হতে পারে।

লেখক : ডা. মুহম্মদ আশিকুর রহমান, আরএমও ও বিভাগীয় প্রধান, জরুরি বিভাগ, সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার।

সাপে কাটা রোগীবিষধর সাপহাসপাতাল
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

: ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُهاللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ اللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ لَآ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ ...
16/06/2024

: ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ ٱللَّٰهِ وَبَرَكَاتُه

اللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ اللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ لَآ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ اللّٰهُ أَكْبَرُ ❁ وَلِلّٰهِ الْحَمْدِ ❁

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক পবিত্র ঈদুল আজহা।
আপনি ও আপনার পরিবারের সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।

تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنْكُمْ صَالِحَ الأَعْمَالِ
🌙 *عيد مبــــــــــــــــــــارك* 🌙
কুরবানী ♦️♦️♦️

হত্যা করে গরু কুরবানী করছেন না তো?
""একটি ছোট্ট ভুল এবং বাতিল হয়ে যাওয়া কুরবানী।""
সকল কুরবানী দাতাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে আমাদের করা, ছোট্ট একটি ভুলের কারনে সম্পূর্নরুপে বাতিল হয়ে যেতে পারে আমাদের অত্যন্ত যত্নের সাথে আদায়কৃত আল্লাহর মহান হুকুম কুরবানী।
★পশু জবেহ সম্পন্ন হবার পর, একটি ছোট তীক্ষ্ণ ছুড়ি দ্বারা জবেহের স্থানে খোঁচা দেয়ার একটা সিস্টেমের সাথে আমরা কমবেশি প্রায় সবাই পরিচিত, আমাদের অনেকেরই ধারনা এই কাজটার মাধ্যমে পশু দ্রুত মারা যায় এবং কষ্ট কম পায়।
এই ছোট্ট একটা ভুলই আমাদের কুরবানী বরবাদ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।
★পশু জবেহ সহীহ হবার শর্ত হলো:-
পশুর অন্তত মূল তিনটি রগ কেটে দেয়া। আর মূল তিনটি রগ কেটে দিলে, রক্তক্ষরনের স্বাভাবিক ফলস্বরুপ পশুটি খুব দ্রুত মারা যায়।
★আমরা একটু অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে, পশুটার মেরুদন্ডের ভেতর তীক্ষ্ণ ছুড়ি ঢুকিয়ে "মেরুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড" বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত মেরে ফেলার চেষ্টা করি। স্পাইনাল কর্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পশুর মস্তিষ্ক, দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর এর ফলে পশুটি হার্ট এটাক করে এবং মারা যায়।
অনেক সময় এভাবে দ্রুত পশুটিকে শান্ত করতে গিয়ে, কুরবানীর উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং পশুটি জবেহ না হয়ে, হত্যা হিসেবে পরিগনিত হয়।
★চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এই পন্থা অত্যন্ত গর্হিত এবং বিপদজনক। স্পাইনাল কর্ড কেঁটে গেলে পশুর দেহের মাংশপেশিতেই রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং ফলশ্রুতিতে গোশত দূষিত হয়ে পরে। এই গোশত ভক্ষনে ক্যান্সার, এইচবিএএস, সহ অন্তত ১৮ প্রকার জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এতএব,
কুরবানী দাতা সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে, ১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে, দয়া করে আপনার কুরবানী কে বরবাদ হয়ে যাবার সুযোগ দিবেন না।
©

তারা কেন কুরবানীকে বেদাত বলে ? ভিনদেশী কিছু বক্তারা প্রচার করে যাচ্ছে "মানুষের নাম বা মৃত ব্যক্তির নাম বা নবীর নামে কুরব...
16/06/2024

তারা কেন কুরবানীকে বেদাত বলে ?

ভিনদেশী কিছু বক্তারা প্রচার করে যাচ্ছে "মানুষের নাম বা মৃত ব্যক্তির নাম বা নবীর নামে কুরবানী করা যাবে না, কিংবা বেদাত"। তাদের মতে কুরবানী দিতে হবে আল্লাহর নামে। অর্থাৎ তারা এক গরুতে ৭ শরীক বা ৭ নাম মানে না। তারা বলে এক গরু ১ নাম, সেটা আল্লাহর নাম।

কিন্তু এখানে মানুষের নাম বা নবীর নাম বলতে বুঝানো হয় কুরবানীদাতার নাম তথা কুরবানীর শরিকদের নাম, কুরবানী গ্রহণকারীর (আল্লাহর) নাম নয়। আল্লাহ হচ্ছেন কুরবানী গ্রহণকারী।

কুরবান ঈদে পশু জবাই করার সময় কুরবানী গ্রহণকারীর নাম এবং কুরবানীদাতার নাম দুটো জিনিস কে তারা এক করে দিয়েছে। বস্তুত দুইটা জিনিস ভিন্ন।

* দাতাই যদি না থাকে তাহলে আল্লাহ কার নামে কুরবানী গ্রহণ করবেন? তারা কৌলশে মানুষের ঈমান নষ্ট করে দিচ্ছে।

সুতরাং আল্লাহর নাম নিয়ে পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নিকট পশুর মালিকের নাম ছাড়া তথা কুরবানীদাতার নাম ছাড়া পশু জবাই করলে সেটা আল্লাহর কাছে কুরবানী হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। মনে মনে হলেও পশুর মালিককে নাম স্থির করতে হবে, মানুষের নাম বা কুরবানীদাতার নাম বেদাত নয়।

আস্সালামু আলাইকুম। আজ থেকে তাকবীরে তাশরীক: শুরু হয়েছে প্রত্যেক মুসল্লীর জন্য যিলহজ্বের নয় তারিখের ফজর হতে তের তারিখের আস...
16/06/2024

আস্সালামু আলাইকুম।
আজ থেকে তাকবীরে তাশরীক: শুরু হয়েছে

প্রত্যেক মুসল্লীর জন্য যিলহজ্বের নয় তারিখের ফজর হতে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামায আদায় করে সালাম ফিরানোর সাথে সাথে (পুরুষের জন্য) উচ্চস্বরে একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। (নারীরা) নিচু স্বরে তাকবীর বলবে।

সে হিসাবে বাংলাদেশে তাকবীর বলা শুরু করতে হবে ১৬ জুন রবিবার ফজরের নামাজ থেকে। তাকবির বলা শেষ হবে ২০ জুন বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর তাকবির বলার মাধ্যমে।

তাকবীরে তাশরীকের জন্য বিভিন্ন শব্দ হাদীসে উল্লেখ হয়েছে। তন্মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বজনবিদিত পাঠ হল,

الله أكبر، الله أكبر،لا إله إلاالله والله أكبر،الله أكبر ولله الحمد.

(আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ)

অর্থঃ আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান৷ আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান৷ আল্লহ মহান এবং সকল প্রশংসা আল্লাহরই জন্য৷

[তাবারানী মুজামে কাবীর হাদীস : ৯৫৩৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৫৬৭৯, ৫৬৯৬, ৫৬৯৭, ৫৬৯৯; ইলাউস সুনান ৮/১৫৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪৫৮]

তাকবির বলার আমলটি প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী-পুরুষ সকলের জন্য ওয়াজিব। পুরুষগণ মসজিদে নামাজ আদায় করলে সেখানে উচ্চস্বরে তাকবির বলায় ভুলে যাওয়ার আশংকা কম। কিন্তু নারীগণ বাসায় থাকে বিধায় প্রতি নামাজের পর ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা কর্তব্য।

আসসালামু আলাইকুম। আগামীকাল ৯ জিলহজ্জ রবিবার ফজর হইতে ১৩ জিলহজ্জ বৃহস্পতিবার আছর পর্যন্ত পত্তেক ফরজ নামাজের পরে আই্যয়ামে ...
15/06/2024

আসসালামু আলাইকুম। আগামীকাল ৯ জিলহজ্জ রবিবার ফজর হইতে ১৩ জিলহজ্জ বৃহস্পতিবার আছর পর্যন্ত পত্তেক ফরজ নামাজের পরে আই্যয়ামে তাশরিকের তাকবীর প্রত্তেক নর-নারীর উপর একবার পড়া ওয়াজিব এবং তিনবার পড়া মুস্তাহাব

আরাফাহ দিবসের রোযার গুরুত্ব عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ...
14/06/2024

আরাফাহ দিবসের রোযার গুরুত্ব
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ ‏"‏.‏ (رواه مسلم والترمذي واللفظ له)
-হযরত আবূ কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আরাফা দিবসের রোযা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি যে, তিনি এর মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছর এবং পরবর্তী বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম, তিরমিযী; হাদীসের ভাষ্য তিরমিযী শরীফের)

আরাফাহ'র রোযা আরাফাহ'র তারিখের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ এ রোযা রাখা হবে ৯ যিলহজ্জ। যে দেশে যে দিন ৯ যিলহজ্জ হবে সে দেশে সেদিনই আরাফাহ'র দিন।

*** এবছর বাংলাদেশে ৯ যিলহজ্জ আগামী ১৬ জুন, রবিবার। বাংলাদেশে যারা আরাফাহ'র রোযা রাখতে চান তারা আগামী রবিবার রোযা রাখবেন।
©

আল্লাহ আমরা সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন
14/06/2024

আল্লাহ আমরা সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন

14/06/2024
The Mataaf6 Dhul Hijjah 1445 | 12 June 2024
13/06/2024

The Mataaf

6 Dhul Hijjah 1445 | 12 June 2024

11/06/2024

আস্সালামু আলাইকুম
================
আজ মঙ্গলবার
১১ জুন ২০২৪
২৮ জৈষ্ঠ ১৪৩০ বাংলা
০৪ জিলহজ ১৪৪৫
----------------------------------
ফজরের ওয়াক্ত শুরু- ৩:৪৪ মিনিট
জোহরের ওয়াক্ত শুরু- ১২:০১ মিনিট
আসরের ওয়াক্ত শুরু- ৪:৩৬ মিনিট
মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু- ৬:৪৫ মিনিট
ইশার ওয়াক্ত শুরু- ৮:১৩ মিনিট
----------------------------------
সেরির সেষ সময়-৩:৪১ মিনিট
আজ সূর্যাস্ত ও ইফতার- ৬:৪৫ মিনিট
আজ সূর্যোদয়- ৫:০২ মিনিট
তিন সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ
-----------------------------------------
১। সুর্য উঠা থেকে ২৩ মিনিট পর্যন্ত
২। ঠিক দুপুরের সময়
৩। সুর্যাস্তের সময়

যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফদ্বীলত ও আ'মালঃ    --মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী     ~সহযোগী অধ্যাপক,  আরবী বিভাগ, ঢাকা...
10/06/2024

যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ফদ্বীলত ও আ'মালঃ
--মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী
~সহযোগী অধ্যাপক, আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
~{-ইমাম ও খতীব সুপ্রিম কোর্ট মাজার জামে মসজিদ-}

হাদীস শরীফে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের ইবাদত, রোযা রাখা, তাসবীহ -তাহলীলের অনেক ফদ্বীলত বর্ণিত হয়েছে। কোরআন কারীমে আল্লাহ তায়ালা এ দিনগুলোর শপথ নিয়েছেন, বেশি বেশি যিকর করতে নির্দেশ করেছেন। আমরা এই দশ দিন সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরছি।

কোরআন কারীমে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যেমন-‌
وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ
-এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে যেন তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-২৮)
তাফসীরে ইবন কাসীর-এ হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে এখানে أَيَّام مَعْلُومَاتٍ ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে যিলহজ্জের ‘দশ রাত’।
অনুরূপ সূরা ফাজরে আল্লাহ তায়ালা এই দশ রাত্রির কসম করেছেন। আল্লাহ তায়ালা যেসব বিষয়ের কসম করেছেন সেসকল বিষয় ইহকালীন অথবা পরকালীন জীবনে কোন না কোন গুরুত্ব বহন করে। আল্লাহ তায়ালা সূর্যের শপথ করেছেন, চন্দ্রের শপথ করেছেন, তারকারাজির শপথ করেছেন, মক্কা মুকাররামার শপথ করেছেন, কোরআন মাজীদের শপথ করেছেন, প্রিয়নবী হযরত‌ মোহাম্মদ‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের শপথ নিয়েছেন, তেমনিভাবে এই দশ রাত্রিরও শপথ করেছেন-
وَالْفَجْرِ * وَلَيَالٍ عَشْرٍ
-ফজরের শপথ, আর দশ রাত্রির শপথ। (সূরা ফাজর, আয়াত- ১,২)
এ আয়াতের ব্যাপারেও ইমাম তাবারী (র.) বলেন, ‘দশ রাতের শপথ’ এর দ্বারাও যিলহজ্জ এর প্রথম দশ রাত উদ্দেশ্য। এ ব্যাপারে কোরআন বিশেষজ্ঞগণ ইজমা পোষণ করেছেন।
আর ইবন কাসীর তার তাফসীরে সূরা ফাজরের এ আয়াতের ব্যাপারে বলেন, হযরত ইবন আব্বাস (রা.), হযরত ইবন যুবাইর (রা.), মুজাহিদসহ পূর্বাপর প্রায় সবাই এমত পোষণ করেন যে এর দ্বারা যিলহজ্জের ১ম দশ রাত উদ্দেশ্য।
সূরা ফাজরের পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ তায়ালা জোড় ও বেজোড়ের শপথ নিয়েছেন। হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় এ দুটিও যিলহজ্জের প্রথম দশকের সাথে সম্পৃক্ত। যেমন-
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি প্রিয়‌ নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এঁর সূত্রে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় (সূরা ফাজরের আয়াতস্থিত) দশ রাত দ্বারা যিলহজ্জের ১০ রাত আর
والشفع والوتر এর والوتر
(বেজোড়) দ্বারা আরফার দিন (৯ তারিখ) এবং والشفع (জোড়) দ্বারা কোরবানীর দিন (১০ তারিখ) উদ্দেশ্য।
(তাফসীরে কুরতুবী, সূরা ফাজর)

যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ফদ্বীলতের ব্যাপারে বহু হাদীসেও উল্লেখ পাওয়া যায়। এইদিনের আমল আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয়-! হযরত ইবন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত‌ মোহাম্মদ‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
ما من أيامٍ العمل الصالح فيها أحبُّ إلى الله من هذه الأيامِ (يعني أيامَ العشر). قالوا: يا رسول الله، ولا الجهادُ في سبيل الله؟ قال: ولا الجهادُ في سبيل الله إلا رجلٌ خرج بنفسه وماله فلم يرجعْ من ذلك بشيء
-এমন কোনো দিবস নেই যার আমল যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক প্রিয়। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহ তায়ালার প্রিয়‌ রাসূল! আল্লাহ‌ তায়ালার পথে জিহাদ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়? হযরত‌ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ জিহাদ করা থেকেও অধিক প্রিয়, তবে এমন ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহ‌ তায়ালার পথে বের হলো এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এলো না।
(সুনান আবি দাউদ, কিতাবুস সাওম, বাবু মিন সাওমিল আশার)

সর্বোত্তম দিন-;
হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি হাদীসে এসেছে- যিলহজ্জের ১০ দিন সর্বোত্তম দিন। হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হযরত‌ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন “দুনিয়ার দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে ‘দশ দিন’ অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের দশদিন। বলা হলো আল্লাহ‌ তায়ালার পথে (জিহাদে) কাটানো দিনগুলোও এর মতো নয়? হযরত‌ রাসূল পাক‌ সাল্লাল্লাহু‌ আলাইহি‌ ওয়া‌ সাল্লাম‌ বললেন, আল্লাহ‌ তায়ালার পথের দিনগুলোও এর সমান নয়, তবে এই ব্যক্তি ভিন্ন যে নিজের মুখমণ্ডল ধূলো ধূসরিত করল (অর্থাৎ শহীদ হলো)।
(হাইসামী, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা নং-১৭)

ইবন হিব্বান সূত্রে বর্ণিত হয়েছে প্রিয়‌ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
ما من أيامٍ أفضل عند الله من أيام عشر ذي الحجة
-যিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের মতো উত্তম দিন আল্লাহ‌ তায়ালার কাছে আর কোনটিই নয়।
(ইবন হিব্বান, খণ্ড -৯, হাদীস নং-৩৮৫৩)

জিহাদ হতেও উত্তম-;
উপরোক্ত হাদীসে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন, এগুলো উত্তম না যে দিনগুলো জিহাদে কাটানো হয় সেদিনগুলো উত্তম? হযরত‌ রাসূলে‌ পাক‌ সাল্লাল্লাহু‌ আলাইহি‌ ওয়া‌ সাল্লাম বললেন, এগুলো জিহাদে কাটানো দিনের চেয়েও উত্তম।

এ দিনগুলোর আমল পবিত্রতম ও সোওয়াবে সর্বোত্তম-‌;
হযরত ইবন আব্বাস (রা.)প্রিয় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এঁর সূত্রে বর্ণনা করেন,

(ما من عملٍ أزكى عند الله ولا أعظم أجراً من خيرٍ يعمله في عشر الأضحى… (رواه الدارمي
-আল্লাহ তায়ালার কাছে উত্তম কাজসমূহের মধ্যে পবিত্রতম ও প্রতিদানের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় আমল হচ্ছে যা আদহার দশদিনে সম্পাদন করা হয়।
…(দারেমী, খণ্ড-২, হাদীস নং-১৭৭৪)

ফদ্বীলতের কারণ-;
যিলহজ্জের প্রথম দশকের এতো ফদ্বীলত হওয়ার পেছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো রয়েছে-
১/ তারবীয়ার দিন (يوم التروية) এটি হচ্ছে যিলহজ্জের ৮ম দিন। যেদিনে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মুহরিম অবস্থায় হাজীগণ মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে না।
২/ এই দশকে রয়েছে আরফার দিন। যা অত্যন্ত ফদ্বীলতের এবং মর্যাদার।
হাদীসে এসেছে-;
* আরফাই হচ্ছে হজ্জ।
(الحج العرفة)
* এই দিনে আল্লাহ তায়ালা অধিক সংখ্যক মু’মিন মু’মিনাতকে (মু’মিন নারী-পুরুষ) মাফ করে দেন। (নাসাঈ)
* এ দিনে আল্লাহ তায়ালা আরফার ময়দানে উপস্থিতদের নিয়ে ফেরেশতাদের মাঝে গৌরব করেন।
(মুসলিম শরীফে হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণিত হাদীসে দ্রষ্টব্য)
* এই দিনে রোজা‌ রাখলে আগের ও পরের ২ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
(সহীহ মুসলিম)
৩/ যিলহজ্জের প্রথম দশ দিন গুলোতেই মুজদালিফায় অবস্থান করা হয়।
৪/এ দিনগুলোর মধ্যেই ইসলামের ৫ম স্তম্ভ হজ্জ সম্পাদিত হয়।
৫/ এদিনগুলোর ১০ম দিন থেকে কোরবানীর দিন সূচনা হয়। আর হাদীসের এক বর্ণনা অনুযায়ী এই দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিনসমূহের একটি।
আবূ দাউদে বর্ণিত হয়েছ-
إن أعظم الأيام عند الله يوم النحر، ثم يوم القرّ. رواه أبو داوود
-নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার কাছে দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো কোরবানীর দিন, তারপর এর পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১১ যিলহজ্জ।
ৎ(আবু দাউদ)
যিলহজ্জের প্রথম দশকের এতো ফদ্বীলত বর্ণিত হয়েছে যে, আলিমগণ রামাদ্বানের শেষ দশকের এবং এর মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে বলেন,
عَشْرُ رَمَضَانَ أَفْضَلُ مِنْ حَيْثُ لَيَالِيهِ لِأَنَّ مِنْهَا لَيْلَةَ الْقَدْرِ، وَهِيَ أَفْضَلُ اللَّيَالِي، وَعَشْرُ ذِي الْحِجَّةِ أَفْضَلُ مِنْ حَيْثُ أَيَّامُهُ لِأَنَّ فِيهَا يَوْمَ عَرَفَةَ وَهُوَ أَفْضَلُ الْأَيَّامِ
-রামাদ্বানের শেষ দশক ‘রাতের’ বিবেচনায় সর্বোত্তম কেননা, এর মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল কদর। আর এটা রাতসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম। অন্যদিকে যিলহজ্জের প্রথম দশক ‘দিনের’ বিবেচনায় উত্তম, কেননা এর মধ্যে রয়েছে আরফার দিন যা দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম।
(মিরকাত, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৯৬)
এই দশ দিনের এতো মর্যাদার একটি কারণ হিসেবে উলামায়ে কিরাম বলেন, এই সময়ের মধ্যে সকল প্রকার ইবাদত করা যায়। নামাজ, রোজা, যাকাত, সাদকাহসহ সব আমল অন্য সময়ে করা যায় কিন্তু কোরবানী, হজ্জ করা যায় না। আর এই দশ দিনের মধ্যে নামাজ, রোজা, যাকাতের সাথে সাথে কোরবানী ও হজ্জ সহ অন্যান্য সকল ইবাদত করা যায়। সে জন্যে এর মর্যাদা আলাদা।
(ইবন হাজার; ফাতহুল বারী)

এ রাতসমূহের আমল-;
এ রাতসমূহে আমরা নিম্ন লিখিত আমল করতে পারি-;

বেশি বেশি আল্লাহ‌ তায়ালার যিকর করা~
এ সময়ে যিকর করার জন্য সরাসরি কোরআন শরীফের নির্দেশনা পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ
-তোমরা নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহ তায়ালার নামের যিকর করো।
(সূরা হাজ্জ, আয়াত-২৮)
জমহুর মুফাসসিরীনের মতে এই আয়াত দ্বারা যিলহজ্জের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে‌-!

অধিক পরিমাণ তাসবীহ-তাহলীল করা-;
মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে, প্রিয়া‌ নবী হযরত‌ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
ما من أيام أعظم عند الله، ولا أحب إلى الله العمل فيهن من أيام العشر، فأكثروا فيهن من التسبيح، والتحميد، والتهليل، والتكبير
-এই দশ দিনের মর্যাদার সমতুল্য এবং এই দশ দিনের আমল অপেক্ষা অধিক প্রিয় আমল আল্লাহ‌ তায়ালার কাছে নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনসমূহে অধিক পরিমাণে তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল এবং তাকবীর পাঠ করো।
(আহমদ, ৭/২২৪)

রোজা রাখা-;
যিলহজ্জের প্রথম দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত রোজা রাখা। হযরত‌ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সময়ে রোজা রাখতেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত হাফসা (রা.) বলেন,
أربع لم يكن يدعهن رسول الله صلى الله عليه وسلم صيام يوم عاشوراء والعشر وثلاثة أيام من كل شهر والركعتين قبل الغداة
-হযরত‌ রাসূল সাল্লাল্লাহু‌ আলাইহি‌ ওয়া। সাল্লাম চারটি জিনিস কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, দশ রাত্রির রোজা, প্রত্যেক মাসে তিনটি রোজা আর সকালের দুই রাকাআত নামাজ (ফজরের সুন্নত)।
(সুনান কুবরা লিন নাসাঈ, হাদীস নং ২৭৩৭)

অন্য হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبَّ إِلَى اللهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ، يَعْدِل صِيَامَ كُل يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ، وَقِيَامُ كُل لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ
-হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) প্রিয়ৃ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইরশাদ করেন, আল্লাহ‌ তায়ালার নিকট দিনসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশকের ইবাদত। এর প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমান। আর এর প্রত্যেক রাতের ইবাদত শব-ই কদরের ইবাদতের সমান।
(সুনান তিরমিযী, হাদীস নং ৭৫৮)

রাত জেগে ইবাদত করা-;
যিলহজ্জের দশ রাত্রিসমূহে রাত জেগে ইবাদতের গুরুত্ব অপরিসীম। হানাফী ও হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী এ দশকের রাতসমূহে জাগ্রত থেকে ইবাদত করা মুস্তাহাব।
প্রখ্যাত তাবিঈ হযরত সাঈদ ইবন জুবাইর (রা.) বলেন,
لاَ تُطْفِئُوا سُرُجَكُم لَيَالِيَ العَشْرِ
-তোমরা দশ রাত্রিতে তোমাদের ঘরের বাতিসমূহ নিভিয়ে ফেলো না। অর্থাৎ ঘুমিয়ে পড়ো না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই দশককে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করে আমল করার তাওফীক দান করুন-!
আমিন‌ ইয়া‌ রব.....

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Films TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share