Dipak Mahanty-Utkal Barta

  • Home
  • Dipak Mahanty-Utkal Barta

Dipak Mahanty-Utkal Barta অজানাকে -জানা:: অচেনাকে -চেনা::

আগামীকাল আদিবাসী সমাজ সহ মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক দিন। তারই উপর আমার এই কলম...
29/06/2024

আগামীকাল আদিবাসী সমাজ সহ মুক্তিযুদ্ধের একটি ঐতিহাসিক দিন। তারই উপর আমার এই কলম...

28/06/2024
26/06/2024

বন্ধু

দীপক মাহান্তি

আজ দু একজনের সাথে ফেসবুকে কথা হতে হতে মনে হলো এই যে কথা বলছি, মেসেজ করছি কিন্তু এরা কারা! এদের সাথে কি কখনো দেখা হবে? এরা কি বিপদে-আপদে সুখে-দুখে কেউ কারো পাশে দাঁড়াবে? কেন বলছি কথা! কোথায় থাকেন কি করেন ইত্যাদি ইত্যাদি জেনেই বা কি লাভ? লাভ-ক্ষতির বিচার ধরলে বলা যেতেই পারে অকারণে সময় নষ্ট।

কিন্তু এটাই সব নয় অনেক সময় দেখা যায় ফেসবুকের মাধ্যমেও ভালো বন্ধু পাওয়া যায় কথা বলার সঙ্গী পাওয়া যায়। দেখা হয়,হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি হয়,আজকাল গ্রুপ বানিয়ে অনেকেই নিজেদের একটা খোলামেলা পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেন একটা ভালো লাগা থাকে একটা ভালোবাসা থাকে কিন্তু সেটা হাতে গোনা।
আসলে বন্ধু কারা!..
বন্ধু । বড্ড জটিল এই শব্দটা । আবার সহজভাবে নিলে খুবই সহজ এবং সরল।

বন্ধু কাকে বলে বা বন্ধু মানে আসলে ঠিক কী, এ কথা জিজ্ঞাসা করলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন রকম উত্তর আসে । কেউ বলে বন্ধু তো বন্ধুই। কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি দিয়ে বন্ধুকে মাপা যায় না। ঠিক তাই। বন্ধু মানে এমন একজন যাকে নির্দ্বিধায় মনের সব কথা বলা যায়, যার সঙ্গে নিজের কষ্ট ভাগ করা যায়, যে পাশে থাকলে পৃথিবী জয়ের সাহস পাওয়া যায়। বন্ধু মানে একই সুরে গান, বন্ধু মানে অকারণ মান-অভিমান। বন্ধু মানে হতাশার সাগরে একটুখানি আশা, বন্ধু মানে এক বুক ভালোবাসা। দিন শেষে কিন্তু বন্ধুরাই থেকে যায়।

ভার্চ্যুয়াল জগতের অসংখ্য মানুষের ভিড়ে নতুন সবকিছু দারুন মনে হলেও বন্ধুত্ব কতটা হয় সেটা বেশ প্রশ্নচিহ্নের মধ্যেই থেকে যায়। ফেসবুকে বেশি বন্ধু থাকা মানেই যে আপনি খুব বন্ধুবৎসল বা সবাই আপনাকে পছন্দ করে মোটেও সে রকম নয় ব্যাপারটা। লাইক দেওয়া কমেন্ট করা মানেই আপনাকে পছন্দ করছে ব্যাপারটা তাও কিন্তু নয়। অনেকেই কোন কাজ থাকেনা , ছবি দেখতে দেখতে লাইক দিয়ে চলে যায় । কষ্ট করে ছবি দিয়েছে একখানা লাইক একখানা ভালবাসার চিহ্ন পাঠিয়ে দে। ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধার জন্য ডিসলাইক এর কোন অপশন রাখেনি। তাই আপনার অপছন্দ হলোও আপনি অসহায় কিছুই করতে পারবেন না।

কিছু কিছু তো আবার আমি কথা বলি না, আমি কম কথা বলি মার্কা আতেল । ফেসবুকে এসে তারা শুধুই নিজেদের ছবি মার্কেটিং করে। ফেসবুকে এত বন্ধু করে কি হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন ১৫০ বন্ধুর বেশি তোমার মস্তিষ্ক মনেই রাখতে পারবে না। বাকি কিছু পরিচিত পরিচিত জন কিছু জানাশোনা। সব মিলিয়ে দুই হাজারের কাছাকাছি।

তাহলে এই যে আমার পাঁচ হাজার বন্ধু, ওরা কারা?
হতাশ হবেন না। ওরা হলো, ভার্চ্যুয়াল বন্ধু। যা থাকার মতো, আসলে যা নেই। তাই নিজের মত করে বন্ধু করুন তাদের সাথে গল্প করে মনে আনন্দ থাকুন। যারা আতেল মার্কা কথা বলে, অদ্ভুত এক ইগো নিয়ে চলাফেরা করে, সব সময় ব্যস্ততার ভান করে তাদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে নিজের পরিমণ্ডলকে আরো সুস্থ স্বাভাবিক করে আনন্দে মেতে উঠুন।

গত বছর গ্রামের বাড়ির ধানের জমিতে কিছু কাজ করানোর জন্য জেসিবি লাগিয়েছিলাম। সেখানে এক দুর্লভ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলা...
25/06/2024

গত বছর গ্রামের বাড়ির ধানের জমিতে কিছু কাজ করানোর জন্য জেসিবি লাগিয়েছিলাম। সেখানে এক দুর্লভ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম।
আসলে এই ধান ক্ষেতের আলগুলোতে প্রচুর ইদুর থাকে। এরা পুরো আলগুলোকে ক্ষত-বিক্ষত করে রাখে। ধান লাগানোর আগে যত্ন না নিলে ক্ষেতে জল থাকে না। ফলে ব্যাপক বড় সমস্যা দেখা দেয়। সেই সব ঠিক করার জন্য এবং কিছুটা সমতল করার জন্য জেসিবি লাগিয়ে ছিলাম।
আমি ছিলাম পুরো দিন। আলগুলো খুঁড়তেই বড় বড় ইঁদুর বেরিয়ে আসে। এখানকার আদিবাসী ছোট ছোট ছেলে গুলো ইঁদুর ধরতে জেসিবির পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ায়। সেদিন একটা আল থেকে অন্তত 12 খানা ইন্দুর তারা ধরে ফেলেছিল। বেস হৃষ্ট-পুষ্ট মোটাসোটা ধেড়ে ইঁদুর। বাচ্চা ছেলেগুলোর সে কি আনন্দ। এগুলো আবার ছাল ছাড়িয়ে তারা কেটে কেটে টুকরো করে ভেজে খায়। আমার সামনে দু'তিনটের ছাল ছাড়িয়ে ফর্সা করে দিল। আমাদের অনেকেরেই ইন্দুর মাংসের নাম শুনলেই হয়তো রি রি করে উঠবে বমি বমি পাবে। কিন্তু এরা ভালোবাসে ওই মাংস। ওদের কথাতে এর মাংস খুব সুস্বাদু হয়। একদিন খেয়ে দেখলে হয় কি বলেন?

@ দীপক মাহান্তি

24/06/2024

#কথায় এখন মানুষ ভিজে # #

"কথায় চিড়ে ভেজে না" আপ্তবাক্য টি সবাই শুনে থাকবে কিন্তু বর্তমান সময়ে" কথায় মানুষ ভিজে যাচ্ছে"। এর বড় উদাহরণ বিভিন্ন রকম দুর্নীতিবাজ মানুষ বছরের পর বছর একই গল্প দিয়ে মানুষের মন ভিজিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে। এই যে ভোটের আগে বিভিন্ন নেতার বিভিন্ন কথায় আমরা ভিজে ভোট দিয়ে দিই তারপর সে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সব ভুলে যাই। গরীবি হটাও সবচেয়ে বড় উদাহরণ। যারা গরীব হঠানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তারাই কোটিপতি হয়ে উঠেছেন। যারা দুর্নীতি হটাও স্লোগান দেন তারাই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। কথায় কথায় যারা মানুষ মারে, ঘৃনা করে তাদের দিকে তাকিয়ে আমরাও বোকার মত নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করি, মারামারি করি।

এই যে একশ্রেণীর মানুষ সবজান্তা তারা প্রতিদিন বিভিন্ন চ্যানেলে এসে রাজনীতি অর্থনীতি বিদেশনীতি,সমাজনীতি পররাষ্ট্রনীতি সমস্ত বিষয়ে কথা বলে নিজেদের বুদ্ধি জাহির করার চেষ্টা করেন এটা অনেক সময় অনেকের কাছে বিসদৃশ ঠেকলেও কিন্তু তাতেও তাদের পরোয়া নেই। আমরাও অনেকেই এদের কথার সাথে সাথ দিয়ে নিজেদের ভাবনা চিন্তা গুলো গুলিয়ে ফেলি। বুঝতেই পারিনা এই কথা বলাতেও যে তাদের পিছনে কোন না কোন স্বার্থ জড়িত আছে। আমরা বুঝতেই পারিনা এসব বলার জন্যও তারা পয়সা রোজগার করেন। তারা জানে হাজার বার মিথ্যে কথাটাকে সত্যি বললে সেটা মানুষ সত্যি বলেই ভাববে। এবং সেটাই তারা চায়।

তবে এটা ঠিক ভালো মানুষ সেজে যারা “মানুষ ভেজে খান” তাদের একদিন না একদিন লেজেগোবরে অবস্থা হবেই।। “জিভ” দিয়ে নয় 'জীবন বাজি' রেখে যারা কাজ করে দেশ রক্ষা করে হিরো তাদেরই বলা দরকার। গর্ব করতে গেলে তাদেরকে নিয়েই গর্ব করা দরকার। অনুপ্রাণিত হতে গেলে সৃষ্টিশীল মানুষগুলোর কাজকর্ম দিয়েই নিজেকে অনুপ্রাণিত করা দরকার।
নিজের বুদ্ধি নিজের বিবেক নিজের পরিস্থিতিকে দেখে সবাই চলার চেষ্টা করা দরকার। অযথা হাঙ্গামা করে পরের কথায় নেচে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া লেগে অশান্তি ডেকে নিজেদেরকে সস্তা না করাই ভালো।

@ দীপক মাহান্তি

মেয়ের সাথে....
23/06/2024

মেয়ের সাথে....

বড্ড প্রিয় জিনিস.. আমি আর আমার মেয়ে একটা গোটা সাবাড় করা কোন ব্যাপারই না....
21/06/2024

বড্ড প্রিয় জিনিস.. আমি আর আমার মেয়ে একটা গোটা সাবাড় করা কোন ব্যাপারই না....

পৃথিবীর সব বাবারা ভালো থাকুন দীপক মহান্তি বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, আস্থা, ভরসা, বিশ্বস্ততা আর প...
19/06/2024

পৃথিবীর সব বাবারা ভালো থাকুন

দীপক মহান্তি

বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, আস্থা, ভরসা, বিশ্বস্ততা আর পরম নির্ভরতার নাম বাবা। কয়েকদিন আগে পেরিয়ে গেলো ফাদার্স ডে। সামাজিক মাধ্যমে বাবার সাথে ফটোতে ছড়াছড়ি দেখলাম। পাশ্চাত্য যেভাবে মাদার্স ডে পালন করা হয় সেভাবে ফাদার্স ডে ও পালন করা হয়। আমাদের দেশে আমরা কষ্ট করে মাতৃদিবস পালন শুরু করেছি কিন্তু ফাদার্স ডে এখনো সেভাবে শুরু হয়নি। আমি নিশ্চিত আগামী দু এক বছরের মধ্যেই এরও একটা ব্যাপক রূপ নেবে। বাবা ডাকটা সবচেয়ে সুন্দরও মধুর। জীবনে সব কিছু বিসর্জন, বহু ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে ছায়ার মতো আগলে রাখেন একমাত্র বাবা।

জীবনের সব ক্ষেত্রে বাবা থেকে বেঁচে থাকার শক্তি পায় সন্তান। প্রতিটি সন্তানের কাছে বাবা মানে শক্তি সাহস আর অনুপ্রেরণা। বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে।
কয়েকটি শব্দে বাবাদের সংজ্ঞা দেওয়া মুশকিল। বলা চলে নিখাদ ভালবাসা এবং স্নেহের সঠিক সংজ্ঞা বাবা। ভিন্ন ভাষা ও সমাজে ডাকা হয় আলাদা নামে। কিন্তু প্রায় সব বাবারাই তাদের সন্তানের কাছে বটবৃক্ষসম। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তারা। প্রতি বছর, বিশ্বজুড়ে পালিত হয় 'পিতৃ দিবস' বা 'ফাদার্স ডে' (Father's Day)। পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সময়ে এই দিন উদযাপন হলেও, জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ভারতে পালিত হয় 'ফাদার্স ডে'। পিতৃ দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, পিতৃ দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল।

ইতিহাস বলছে, ফাদার্স ডে-র ধারণাটি প্রথম এনেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সোনোরা স্মার্ট ডড । তাঁর বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট,আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সৈনিক ছিলেন । মা মারা যাওয়ার পর তাঁকে এবং তাঁদের ৫ ভাইবোনকে একা হাতে মানুষ করেছিলেন উইলিয়াম । পড়াশোনা শেষ করে সোনোরাই 'ফাদার্স ডে' গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন । এরপর ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন একটি বিবৃতি পত্রে স্বাক্ষর করে প্রত্যেক জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহকে পিতৃ দিবস বা ফাদার্স ডে হিসাবে ঘোষণা করেন ।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে পালিত হয় পিতৃ দিবস । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে পালন করা হয় পিতৃদিবস । অন্যদিকে, পর্তুগাল, স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি-র মতো দেশে পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৯ মার্চ । তাইওয়ানে ও থাইল্যান্ডে পালন করা হয় যথাক্রমে ৮ অগস্ট ও ৫ ডিসেম্বর ।
প্রাণীজগতে সেরা বাবাদের পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকলে প্রথম পুরস্কার জুটত ক্যাটফিশের। কারণ এমন আত্মত্যাগী বাবা খুব একটা দেখা যায় না। মাগুর মাছের মতো দেখতে মা ক্যাটফিশরা একবারে প্রায় ৫০টির মতো ডিম পাড়ে। ডিম পেড়েই মা ক্যাটফিশের দায়িত্ব মোটামুটি শেষ। এর পরের দায়িত্ব আক্ষরিক অর্থেই মুখে তুলে নেয় বাবা ক্যাটফিশ । শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাতে ছোট ছোট স্বচ্ছ ডিম বাবা ক্যাটফিশ মুখে নিয়েই ঘুরে বেড়ায়। এভাবে একটানা প্রায় দুই মাস মুখের মধ্যেই থাকে ডিমগুলো। তত দিন তার খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে কিছুটা মুক্তি পেলেও তার দায়িত্ব শেষ হয় না। কারণ বড় না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাদের শিকার ধরা, আত্মরক্ষা শেখানো আর দেখাশোনার দায়িত্বও বাবা ক্যাটফিশের।সেরা বাবাদের তালিকায় আরও আছে দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট বানর মারমাসেট। সন্তানদের কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, খাওয়ানো, খাবার জোগাড় করা কিংবা নিরাপত্তার দায়িত্ব বাবা মারমাসেটের। সন্তানের জন্য কষ্ট স্বীকার করে দক্ষিণ মেরুর বাবা পেঙ্গুইনরাও। পেঙ্গুইনদের অনেক প্রজাতির মধ্যে একটির নাম এমপেরর পেঙ্গুইন। ডিম পাড়তে গিয়ে মা পেঙ্গুইনরা অনেক দিন না খেয়ে থাকায় তাদের শরীর শুকিয়ে যায়, শক্তিও প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। তাই ডিম পেড়েই খাওয়ার সন্ধানে টানা দুই মাসের জন্য সাগরে ছুটে যায় মা। তাহলে ডিমের কী হবে! সে জন্য আছে বাবা পেঙ্গুইন। হিমশীতল বরফে টানা দুই মাস ঠায় দাঁড়িয়ে কোলের মধ্যে নিয়ে ডিমে তা দেয় বাবা। খাওয়ার জন্য নড়াচড়ার উপায় নেয় তাদের। মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে মেরুঝড়সহ সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাবা। সাগর থেকে মা ফিরলে তবেই মুক্তি বাবা পেঙ্গুইনের।
মা'য়ের পরে বাবা-ই একমাত্র মানুষ যিনি সব বাধা সরিয়ে তিলে তিলে নিজেকে ক্ষয় করে সন্তানকে গড়ে তোলেন।বাবা শব্দটা দুই অক্ষরবিশিষ্ট; কিন্তু এর ভেতরে সীমাহীন গহিনে রয়েছে হৃদয়ের স্পন্দন। বাবার হাজারও ত্যাগ তিতিক্ষা এবং কত সহস্র যে ভালোবাসা লুকানো থাকে, তা প্রতিটি সন্তান ভালো করে জানে। পৃথিবীর সব জন্তু-জানোয়ার মানুষের বাবারা ভালো থাকুন।

ছোটবেলার কথা মনে পড়লেই কেমন যেন মন উদাস হয়ে যায়। যত ভাবি ততই মনে হয় কোনদিকে চলেছি আমরা কোথায় গিয়ে ঠেকবো।  এতো দ্রু...
18/06/2024

ছোটবেলার কথা মনে পড়লেই কেমন যেন মন উদাস হয়ে যায়। যত ভাবি ততই মনে হয় কোনদিকে চলেছি আমরা কোথায় গিয়ে ঠেকবো। এতো দ্রুত সামাজিক পরিবর্তন, অর্থনৈতিক পরিবর্তন যা আমাদের ছোটবেলায় কল্পনাও করতে পারতাম না

দুঃখ ছিল দারিদ্র ছিল কিন্তু ছিল অপার আনন্দ। প্রতিদিন সকাল বেলায় নিয়ম করে পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বিছানা ছাড়তে হতো আটটার মধ্যে সকালের খাবার। আগের রাতের রুটি বেঁচে থাকলে চিনি ও জল দিয়ে তাকে গলাধঃকরণ করতে হতো। কোনোদিন মুড়ির সাথে অন্য কিছু দিয়ে কোনরকমে খেয়ে নেওয়া। চা-এর বালাই ছিল না । বড়রা মাঝেমধ্যে চা খেলোও ছোটদের দেওয়া হতো না। এই ছোটটা প্রায় 16- 17 বছর অব্দি চলত। কারেন্ট ছিল না । হারিকেনের বা লম্ফের আলোয় পড়াশোনা তাতে তেল লাগবে। তেল এর পয়সা টুকু জোগাড় হওয়া খুব মুশকিল তাই রাত্রিবেলায় সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে বিছানায় চলে যেতে হতো । গ্রামের বেশির ভাগ মানুষও এই জন্য দিনের বেলায় সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে বাধ্য হতো।

বাইরে খেতে যাওয়া ছিল চরম বিলাসিতা। আমার দীর্ঘ শৈশব জীবনে কখনো বাইরে খেতে গেছি বলে মনে পড়ে না। জন্মদিন বা অন্য কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে হত সে ক্ষেত্রে ওই ছোটখাটো কিছু রান্না টান্না পায়েস কিন্তু বাইরের খাবার নৈব নৈব চ।

যৌথ ফ্যামিলি বাড়িতে বাবাকে প্রচন্ড ভয় পেতাম দাদু-দিদা বন্ধুর মতো ছিলেন। সমস্ত পিসিরা কাকা কাকিমা তারাও বন্ধুর মতো আচরণ করতেন । একসাথে বাবা কাকা জেঠুর ছেলে মেয়ে মিলে হৈ হৈ ব্যাপার। খেলাধুলার কোন নির্ধারিত সময় ছিল না যখনই সুযোগ তখনই খেলা। বাড়ি ভর্তি ছেলেমেয়ে নিজের বা তুতো ভাই বোন তাই যেকোন রকম খেলার পাটনার জুটে যেত। সূর্যাস্ত ছিল বাড়ি ফেরার আর্লাম। হাত পা ধুয়ে সন্ধ্যেবেলায় গোল হয়ে মাঝে হারিকেন বা লম্ফ রেখে পড়তে বসা। মনে মনে পড়ার ব্যাপারই ছিলনা। উচ্চস্বরে পড়তে হতো যাতে পড়ছি বলে বাড়ির বড়রা বুঝতে পারে। জোরে পড়ার প্রতিযোগিতা চলত। ফলে পড়াশোনার চেয়েও বেশি আনন্দ হতো। চোখে ঘুম নেমে আসতো মাঝে মাঝে ভাইবোনেরা টোকা দিয়ে জাগিয়ে দিত।

দোষ করলে শাস্তি পেতে হতো । বকাঝকার সাথে গালে পিঠে থাপ্পড় এটা খুব সাধারন ব্যাপার ছিল । স্কুল হেঁটে হেঁটে যেতে হতো তবে সে যাওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ। গল্প করতে করতে কখন স্কুলে পৌঁছে যেতাম বোঝাই যেত না । স্কুলে টিফিন খাওয়ার কোন ব্যাপারই ছিল না । আবার ছুটির পর ছুটতে ছুটতে বাড়ি আসা এসেই কাপড় জামা ছেড়ে মায়ের হাতের শুকনো কিছু খাবার খেয়ে খেলার জন্য দে ছুট। স্কুলে প্রচন্ড অনুশাসন ছিল । মাস্টারমশাইদের প্রচুর ভয় পেতাম। বাড়ির কাজ করে না নিয়ে গেলে মাস্টারমশাইরা যতটা বকা দিতেন তারচেয়েও বেশি মার খেতাম বাড়ির লোকের কাছে। টিউশনি তখনও ছিল তবে খুব কম টাকার আমরা টিউশনি পড়তাম।

গ্রীষ্মবন্ধ বা পুজোর সময় মামা বাড়ি যাওয়ার আনন্দই ছিল আলাদা । মামা দিদা- দাদুর কাছে আবদার করে বিভিন্ন জিনিস খাওয়া সেখানে কোন বকাঝকা কোন শাসন থাকত না । এছাড়াও বিভিন্ন ছুটিতে উৎসবে অনুষ্ঠানে
মায়ের সঙ্গে বা কাকার সাথে দাদার সাথে পিসিদের বাড়ি মাসিদের বাড়ি যেতে হতো।
কোথাও যেতে গেলে ট্রেনে বা বাসে । সবাই ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ পেতো না কিন্তু আমাদের বাড়ির পাশেই যে স্টেশন তাই টাটা কিংবা আসানসোল বর্ধমান যেতে ট্রেনেই যাওয়া হতো। সেই ট্রেনে যাওয়ার আনন্দই ছিল আলাদা। ট্রেনের জানালার পাশে বসে প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে দেখতে যাওয়া গাছগুলো কেন ট্রেনের পিছন দিকে ছুটছে এটা বুঝতেই অনেক সময় লেগেছিল।

জিনিস ছিল অনেক কম কিন্তু সুখ ছিল অনেক বেশি । ফাস্টফুড ছিলনা, ছিল মায়ের হাতের তৈরি করা কিছু পদ যা খেতে অমৃতের মতো লাগতো। অপার আনন্দ নিয়ে বড় হয়েছি। হাফ প্যান্ট পরতাম তার পিছন টা পুরো ছেঁড়া থাকতো। লোকে বলতো দুটো জানালা বসানো আছে পিছনের দিকে। বেশিরভাগ সময় খালি গায়ে ফলে সর্দি নিত্য সঙ্গী ছিল । পুকুরে স্নান করতে গিয়ে এক দেড় ঘন্টা ধরে লাফানো ঝাপানো সাঁতার কাটার প্রতিযোগিতা। মা বা দাদা গিয়ে পুকুর থেকে বাবার নামে ধমক দিয়ে তুলে নিয়ে আসতো।
জীবনেরপ্রথম সাইকেল শেখা । তখন ছোট সাইকেলের প্রচলন ছিল না । বড় সাইকেল অনেক উঁচু তাতে প্রথমে হাফ প্যাটেল তারপর পুরো, নাগাল না পেয়ে পড়ে যাওয়া এ ছিল জল ভাত। মোটরসাইকেলও খুব কম বয়েসে শিখে ফেলেছিলাম। অদ্ভুত নেশা ছিল বাড়িতে একটা সাইকেল দাঁড় করানো দেখলেই তাকে নিয়ে টুক করে চুপি চুপি বেরিয়ে পড়তাম। প্রচুর মার খেয়েছি এর জন্য।
টিভি মোবাইল ফোন অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট নেটফ্লিক্স কিছুই ছিল না। ছিল শুধু ছুটোছুটি হুটোপুটি ঝগড়াঝাঁটি আর অপার আনন্দ।
আজ এই বয়সে ভাবতে বসে অবাক হয়ে যাই এত তাড়াতাড়ি এত পরিবর্তন হয়ে গেলো।

@ দীপক মাহান্তি

‘দ্য শো মাস্ট গো অন’......একদিকে মেয়ে  বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুর বাড়িতে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে হাসিমুখে বিভিন্ন মানু...
16/06/2024

‘দ্য শো মাস্ট গো অন’......

একদিকে মেয়ে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুর বাড়িতে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে হাসিমুখে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলছে অন্যদিকে তার প্রাণপ্রিয় বাবার দেহ ঠিক সেই সময়েই শ্মশানে দাউ দাউ করে জ্বলছে এই অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী থাকলাম দুদিন আগে এক প্রীতি ভোজের অনুষ্ঠানে।

যখন ছোটবেলায় '‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ কথাটা প্রথমবার শুনেছিলাম, খুব ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে একটু বড় হতেই কথাটার পিছনে ভাবনাটা যখন বুঝেছিলাম, তখন কথাটাতে একটা শ্রদ্ধা এসেছিল। একজন শিল্পীর মান, সম্মান, জীবন, স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত জীবন, জীবিকা, আত্মীয়-পরিজন যার সঙ্গে যা খুশি হয়ে যাক, শো বন্ধ হওয়া চলবে না। সোজা কথায়, শিল্পের জন্য, শিল্পগ্রাহকদের জন্য শিল্পীর আত্মত্যাগের একটা চরম নিদর্শন। বোম্বে সিনেমা জগতের বিখ্যাত অভিনেতা রাজ কাপুরের 'মেরা নাম জোকার' ছবিতে ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ কথাটি ব্যবহৃত হয়েছিল এবং ব্যাপকভাবে ভারতবর্ষে সাড়া ফেলেছিল। সারা পৃথিবীতেই কথাটি ব্যবহার করা হয।

আমি প্রায় রাত নটার সময় প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে পৌঁছে দেখলাম সবাই আনন্দে খাওয়া দাওয়া করছে হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি সব হচ্ছে, কিন্তু কোথাও যেন যিনি পাত্র বা তার ভাইদের মুখ কেমন যেন ম্লান লাগছিল। প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে পাত্রীপক্ষের কিছু মানুষ আসেন এটাই রেওয়াজ কিন্তু কাউকেই আমি দেখতে পাইনি। আমি তাদেরকে 'কেন এত রাত অব্দি তারা এসে পৌঁছায় নি' এ কথা জিজ্ঞেস করতেই 'একজনের শরীর খারাপ তাই তাদের আসতে দেরি হবে' এটা বলে পাস কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অনেকদিন অনেক মানুষের সাথে মেলামেশা করছি ,চোখের আকার ইঙ্গিত, কথা বলার ধরন দেখে কিছু জিনিস বোঝার ক্ষমতা হয়েছে তাই মনে হল এ কথাটা মধ্যে কোথাও যেন একটা মিথ্যে লুকিয়ে রয়েছে, কোথাও কিছু লুকানো হচ্ছে। চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল কথা যা শুনে আমি কয়েক মিনিটের জন্য স্থানুবৎ হয়ে গেছলাম। পাত্রী যে- সে সেজেগুজে হাসিমুখে সবার সাথে কথা বলছে সে জানেই না তার প্রাণাধিক প্রিয় বাবা হঠাৎ করে দুপুর বেলায় তাদের সবাইকে ছেড়ে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরলোকে চলে গেছেন। তাকে বলা হয়েছে তার বাবার শরীর খারাপ সেই কারণেই পাত্রীপক্ষের লোকজন আসতে দেরি করছে। মাঝে একবার বলা হয়েছে তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে রাস্তাতে তাই তাদের দেরি হচ্ছে। বাবার বাড়িতে ফোন করে বারবার সে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞেস করছে সেখান থেকেও সে একই উত্তর পেয়েছে। ফলে তার মনে খুব একটা সন্দেহ কিছু জাগেনি।

মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সময়ই বাবার শরীর খারাপ ছিল, মেয়ের বিয়ের জন্য সবার কথা অগ্রাহ্য করে তিনি সারাদিন উপবাসও করেছিলেন। মেয়ের শ্বশুর বাড়ি যাওয়া সেটাতেও একটা তার মনে প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়- এই সবকিছু মিলিয়ে তার শরীর একদম সাথ দিচ্ছিল না। বিয়ের পরের-পরের দিন দুপুর বেলায় হঠাৎ করে প্রচন্ড শরীর খারাপ হয়, গ্লুকোজ লেভেল অত্যন্ত নেমে যায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু ততক্ষণে তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিয়েছেন নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে।

এই কথাটা কিভাবে জানানো হবে পাত্রীপক্ষের কেউ বুঝতে পারছিল না। তারা ফোন করে নুতন জামাইকে, সে কথাটা জানাতেই সে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সে হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। যে প্রফেশনে সে চাকরি করে সেখানেও তাকে প্রবল চাপ সামলাতে হয় কিন্তু এ চাপ তো পুরো আলাদা, কাকে কিভাবে প্রকাশ করবে বুঝে উঠতে পারছে না। ভাবতেই পারছিল না তার কি করনীয়! এত জনের নেমন্তন্ন, প্রত্যেকের সন্ধ্যায় আসবে সদ্য বিবাহিত বর কনেকে আশীর্বাদ করতে, তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী প্রায় চারশো লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা, চারদিকে বাজনা বাজছে হইহুল্লোড় এক অসম্ভব ভালো লাগার দিন তার -সেখানে এই খবর হঠাৎ করে যেন সমস্ত কিছু উল্টেপাল্টে দিল, সমস্ত আয়োজনের কেমন একটা ছন্দপতন দেখতে পাচ্ছে। 'কিংকর্তব্যবিমূঢ়'কথাটি সে অনেকবারই শুনেছিল আজ অনুভব করল এই শব্দটার গুরুত্ব কতটা।
মেয়ে পক্ষের পরিবার থেকে বলে দেওয়া হলো যেন মেয়েকে বলা না হয়-এন্ড ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’। যিনি যাওয়ার তিনি চলে গেছেন তিনি আর ফিরবেন না। কিন্তু এতগুলো মানুষ যারা এই অনুষ্ঠানটাতে সন্ধ্যেবেলায় আসবেন, তাদের তো কোন দোষ নেই তারা তো একটা শুভ কাজে সৎ উদ্দেশ্যে আশীর্বাদ জানাতে, শুভেচ্ছা দিতে আসবেন। সুতরাং তাদেরকে কোন কিছুই জানানো চলবে না। নরমাল ভাবে সবকিছু করতে হবে।
আমি বরযাত্রী গিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভদ্রলোককে দেখেছিলাম। তখনই তার শরীরটা একটু খারাপ ছিল বয়স হয়েছিল সুগারের পেশেন্ট কিন্তু এভাবে চলে যাবেন কেউই ভাবেন নি। মেয়েকে পরের দিন সকাল বেলায় তার বাবার বাড়িতে তার নতুন স্বামী পৌঁছে দেয় সেখানেই সে জানতে পারে তারপর কান্নাকাটি আফসোস 'কেন আমায় জানানো হয়নি' আমিতো বাবার মৃতদেহটা দেখতাম! সত্যি এর কোন জবাব নেই একজন মেয়ের পক্ষে এটা মানা বড্ড কষ্টকর। কিন্তু ওই যে ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’।

@দীপক মাহান্তি

আমি লিখব না লিখব না করে লিখেই ফেলছি। জানি এটা পড়ার পরে অনেকেই আমাকে তীর্যক মন্তব্য করতে পারেন অনেকে আবার বলতেই পারেন এস...
15/06/2024

আমি লিখব না লিখব না করে লিখেই ফেলছি। জানি এটা পড়ার পরে অনেকেই আমাকে তীর্যক মন্তব্য করতে পারেন অনেকে আবার বলতেই পারেন এসব কথা এখানে লেখা উচিত নয়। তবে আমিতো আমার মত - তাই ও সবে পরোয়া করিনা। কথাগুলো অনেকেরই মনের কথা। হয়তো তারা লাইক বা কমেন্ট করবেন না কারণ ভদ্রতার মুখোশ দিয়ে তারা বাস করেন ফলে কোথাও যেন তাদের ভদ্রতা তে আঘাত লাগতে পারে।

বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধবীর সাথে কথা বলে আমার একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পারলাম একটা সময় পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন ক্রিয়ার আসক্তি কমে যাচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে সেটা 35 থেকে 40 বছর বয়সের মধ্যেই। বিদেশে এরকম খুব একটা হয় না। তারা বিভিন্ন রকম ভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে এবং অনেক বয়স অবদি যৌন ক্রিয়া করে থাকে। এখানে যে সমস্যাটা হচ্ছে তাতে করে বিশেষত মহিলারা একটা ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে যাচ্ছেন।এমনিতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের প্রায় সাত-আট বছর কোন কোনো ক্ষেত্রে 10 বছর 12 বছর অব্দি ব্যবধান থাকে । ফলে অনেক সময় অনেক নারীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অসহনীয় হয়ে উঠে। কিন্তু সামাজিক ব্যবস্থায় এবং মধ্যবিত্ত মানসিকতার জন্য অনেকেই মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারেন না । এই অতৃপ্তিই হয়তো পরকীয়ার করতে হাতছানি দেয় ।
আজকাল আজকাল সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে দেখবেন একশ্রেণীর নারী পুরুষ মেলামেশা করার একটা সুযোগ পাচ্ছেন। এতে লক্ষণীয়ভাবে কখনোই 20 বা 22 বছরের ছেলে মেয়েরা যুক্ত থাকে না বেশিরভাগেরই বয়স ৩০ থেকে ৫০ ।

এমনিতেই আমরা পরকীয়ার প্রবণ। পরকীয়া মানে বিছানায় শুয়ে যাওয়ার কথা আমি বলছি না। পরকীয়া সেটা বিভিন্ন রকম ভাবে হতে পারে। আমাদের পশ্চিমবাংলায় পরকীয়া বেশ জাঁকিয়ে বসেছে এটার একটা কারণ অবশ্যই অতৃপ্তি হতাশা এবং ডিপ্রেশন । বানর কুকুর বিড়াল যে রকম জন্তু মানুষও তো একটা জন্তু। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে সমাজ বানিয়েছে, সে সমাজের মধ্যে বিভিন্ন রকম নিয়ম-শৃঙ্খলা করে একটা সুশৃংখল জীবন যাপন করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা মানুষ বানিয়েছে প্রকৃতি নয়। জন্তুদের জীবনযাপনের উপর লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তাদের জীবনের জন্য খাদ্য এবং যৌনতা এই দুটোই সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য পায় এবং তারা এ দুটোর জন্যই ঝগড়াঝাটি করে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। মানুষ কিন্তু তার ব্যতিক্রম হতে পারে না । আমরা একটা ভদ্রতার মুখোশ নিয়ে ঘোরাঘুরি করলেও ভিতরে ভিতরে কিন্তু আমরা ওদের মতই। আমরা মানসিকভাবে কি একটা জীবনসঙ্গিনীতে সন্তুষ্ট থাকি! এই প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে দেবেন। অনেকে কটাক্ষ করবেন জানি। কিন্তু একটু ভেবে দেখলে মনে হবে আমরা একটা জীবনসঙ্গীনি তে সম্ভবত সন্তুষ্ট নই। বাইরের অনেক দেশের মানুষ বা তাদের সমাজ এটা অনেক আগে বুঝেছে ফলে তাদের অনেক সময় খুল্লামখুল্লা জীবন-যাপন করতে দেখছি। আমরাও কিন্তু আস্তে আস্তে ও দিকেই এগোচ্ছি। কোনটা খারাপ কোনটা ভালো এই তর্কের মধ্যে না গিয়ে এটা বলতেই পারি এটা হচ্ছে এবং এটাই বাস্তব সেটা মানতে পারলেও বাস্তব না পারলেও বাস্তব।

@ দীপক মাহান্তি

রাধানগর ঘুরে বেশ ভালো লাগলো গতকাল একটা বরযাত্রী তে রাধানগর যেতে হয়েছিল অনেকদিন ধরে এই গ্রামটিতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্...
13/06/2024

রাধানগর ঘুরে বেশ ভালো লাগলো

গতকাল একটা বরযাত্রী তে রাধানগর যেতে হয়েছিল অনেকদিন ধরে এই গ্রামটিতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কোন ভাবে সুযোগ হচ্ছিল না। আমার পরিচিত কেউ ওখানে নেই কিন্তু এবার একটা সুযোগ আশাতে আমি যেতে রাজি হয়ে গেছিলাম। পুলিশ অফিসারের বিয়ে তার জেদের কাছেও আমাকে হার মানতে হয়েছিল।
রাধানগর এক অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত এবং বর্ধিষ্ণু গ্রাম। আয়তনে খুব একটা বড় নয় মোটামুটি ৭০-৮০ ঘরের বাস কিন্তু বেশ ছিমছাম। তালডাংরা থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দূরে চক শ্যামপুর মছলা উপর দিয়ে ধোবাজোরের পাশ দিয়ে গেলে পৌঁছে যাওয়া যায় রাধানগর। জয় পন্ডা নদী গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে। এখান থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাঁচমুড়া বাজার। পাঁচমুড়া গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের পোড়ামাটির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র তা তো সবাই জানেন।
আমি পৌঁছেছিলাম প্রায় রাত্রি সাড়ে দশটার সময়- যা হয় বরযাত্রী নামার পরে নাচ ব্যান্ড পার্টি এসব নিয়ে সবাই ব্যস্ত ছিল আমি তখন যতটা পেরেছি অন্ধকারের মধ্যে গ্রামটাতে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছি। দেখছিলাম প্রত্যেকটা বাড়ি ডিজাইন করে বানানো গ্রামের ভেতরে চওড়া ঢালাই রাস্তা কিন্তু মূল পাঁচমুড়ার রাস্তা থেকে রাধানগর ঢোকার প্রায় কিলোমিটার খানেক রাস্তা সম্ভবত এখনো উন্নয়ন পৌঁছায়নি। কাঁচা রাস্তা এবং অপ্রশস্ত্র একখানা বাস ভেতরে ঢুকতেই অনেকটা হ্যাপা পোহাতে হোল।
এই গ্রামটিতে শুধুমাত্র উৎকল ব্রাহ্মণদের বাস। দুটো ঘর বাদ দিয়ে সবারই পদবী নায়ক। গ্রামের অনেকেই চাকুরিজীবী তারা কলকাতা, বাঁকুড়া পাঁচমুড়া তালডাংরা সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তাই অধিকাংশ সময়ে ঘর গুলোতে তালা দেওয়া থাকে। অনেকগুলো পুকুর রয়েছে গ্রামের- যেখানে প্রচুর মাছ চাষ হয় বছরে প্রায় ১০-১২ লক্ষ টাকা এই পুকুর থেকে তাদের ষোল আনা কমিটি রোজগার করে থাকে। গ্রামের মাঝখানে দোতলা ক্লাব হাউস যেখানে প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের জন্য তারা শুনলাম এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে পুরো ঘরগুলো দিয়ে দেন, পাশে রয়েছে অনেকটা জায়গা এখানে খাওয়ানো বা যে কোন অনুষ্ঠান খুব সহজে করা যায়। রাধানগরবাসী ভবিষ্যৎ ভেবে এই কাজটা করেছেন সেটা হয়তো প্রত্যেকটা গ্রামেরই করা দরকার। অনেক জায়গাতেই ছোটখাটো অনুষ্ঠান করার জন্য আজকাল জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।

গ্রামের ঢোকার মুখেই রয়েছে বহু পুরনো বিষ্ণুপুরের রাজাদের আমলের সেই বিষ্ণুপুর ঘরানার মদনমোহনের মন্দির। সামান্য দূরে একটি বড় কালী মন্দির তার পাশেও বেশ দেখলাম স্টেজের মতো করা। পাশেই রাধানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুকুরের পাড়ে অনেকটা খোলামেলা জায়গা বট গাছের নিচে ঢালাই বেদি করা রয়েছে ফলে এখানে বেশ আড্ডা দেওয়া যায়। গ্রামের ভিতরেও ক্লাবের পাশে একখানা ছোট মন্দির আছে। দুই একজন দেখলাম আমাকে চেনেন তারা নিজেরা এসে আমার সাথে পরিচয় করলেন আমার লেখা তারা মাঝে মাঝে পড়েন শুনে আমার ভালো লাগলো। ক্লাবের পাশেই দুগ্ধ সমবায়ের একটি অফিসে রয়েছে। এখান থেকে যে ভালো দুধ উৎপাদন হয় তা বোঝা গেল। প্রতিটা ঘরেরই আশে পাশে দেখলাম গাই বাঁধা রয়েছে। রাধানগর গ্রাম বিখ্যাত ছিল মাছের ডিম এবং মাছের পোনা চাষের জন্য-প্রচুর মানুষ এতে জড়িত ছিলেন এখনো রয়েছেন। জলের সচ্ছলতার জন্য চাষাবাদ খুব ভালো হয়। রাধানগরের গ্রামের মধ্যে এভাবে সুসজ্জিত বাড়ি দেখে ভালো লাগছিল। রাত্রে অনেক কিছুই দেখা হলো না, আবার কখনো দিনের বেলায় সুযোগ পেলে ঘুরে আসব।

@দীপক মাহান্তি

13/06/2024

যে গাছের ফল যতো বেশি মিষ্টি-সেই গাছে ততো বেশি পাথর নিক্ষেপ করা হয়। বারবার মনে আঘাত পেয়ে বুঝেছি আমি সেই মিষ্টি ফল-তাই গর্ব অনুভব করি।

বহুদলীয় ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে আটকে দেয় ...দীপক মাহান্তি গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো জনগণ।গণতন্ত্র মূলত জনগণে...
12/06/2024

বহুদলীয় ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে আটকে দেয় ...

দীপক মাহান্তি

গণতন্ত্রের মূল শক্তি হলো জনগণ।গণতন্ত্র মূলত জনগণের শাসন। জনগণের ইচ্ছা ও সমর্থন দ্বারা নির্বাচিত এবং প্রতিষ্ঠিত শাসনব্যবস্থা, যেখানে একটা দেশের জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। জনগণের ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছে এবং নিচ্ছে। গণতন্ত্রের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন আব্রাহাম লিংকন। তার মতে, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের সরকার, জনগণ কর্তৃক সরকার ও জনগণের জন্য সরকার’। ভারতে কি সেই গণতন্ত্র কমই ধ্বংসের পথে! বিগত লোকসভা নির্বাচনে আমরা যে ভাবে গণতন্ত্রকে ভুলণ্ঠিত হতে দেখেছি, তাকে যেভাবে কন্ঠেরোধ করা হয়েছে তাতে কি মনে হয় না "গণতন্ত্রের ধ্বংস" হতে চলেছে। এমন সব প্রক্রিয়া বা ক্রিয়াকলাপ ঘটানো হয়েছে যা একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার নীতি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল বা ভেঙে দেবেই।

দেখুন গণতন্ত্র কোনো ধর্ম বা ইজম নয়। একটি প্রক্রিয়া মাত্র। গত ৩০০ বছরে তার পদ্ধতিগত অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। গণতন্ত্র একটি বিকাশমান ধারা। কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে তার বিকাশ জড়িত। রাতারাতি কোনো দেশে অবাধ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের বিকাশ বারবার ব্যর্থ হয়েছে, সমাজের কায়েমি স্বার্থ তার জন্য দায়ী। আমাদের রাজ্যে যেভাবে ভোট হয়েছে এবং যেসব মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মিথ্যে ভাষণ শুনেছি তার পরে মনে হতে বাধ্য যে কিছু মানুষ স্বার্থের জন্য এই গণতন্ত্রকে বোধ হয় ধ্বংস করতে চাইছেন।

প্রশ্ন উঠছে ভারতবর্ষের মতো এই বিশাল দেশে এত দলের শাসন ব্যবস্থা কতটা উপযুক্ত! এমনিতেই গণতন্ত্রে বহু দলীয় শাসন ব্যবস্থার অনেকগুলো ভালো গুণ রয়েছে আবার অনেক অসুবিধাও আছে কিন্তু এক্ষেত্রে যেভাবে গণতন্ত্রকে নিজেদের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে যেকোন মানুষ উদ্বিগ্ন হতে পারেন।

গণতন্ত্রে বহুদলীয় ব্যবস্থা একটি সুস্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে একাধিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতা এবং সরকারে প্রতিনিধিত্বের জন্য প্রতিযোগিতা করে। একটি বহু-দলীয় ব্যবস্থার একটি প্রধান সুবিধা হল যে এটি বিভিন্ন ধরনের কণ্ঠস্বর এবং মতামতকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেয়।, একটি বহু-দলীয় ব্যবস্থা দলগুলির মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করে, ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী এবং কার্যকর নীতি নিয়ে আসতে উৎসাহিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কি সেটা আদৌও হচ্ছে! এখানে তো কিছু পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত দলীয় ব্যবস্থা চলছে যারা চায় তাদের নিজেদের পরিবারের মানুষজন যাতে বছরের বছর দলটিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে।
কারণ যে কারণে বহুদলীয় ব্যবস্থা সেগুলো হলো স্থানীয় চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া, স্থানীয় জনগণকে আরও বেশি রাজনৈতিক অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা, আরও রাজনৈতিক শিক্ষা এবং
সমাজের সকল শ্রেণীর বিভিন্ন মতামতের প্রতিনিধিত্ব করা। কিন্তু সেটা হচ্ছে কোথায়! ভোটে জেতানোর জন্য যাকে খুশি প্রার্থী করে দেওয়া তারপর একবার ভোটে জিতে গেলে এলাকাতে তার দেখা না পাওয়া এ যেন নিত্য দিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন এমন মানুষকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠানো হয় যারা পাঁচ বছরে দু চার বারের বেশি সংসদ ভবনেই যান না ব্যক্তিগত কাজে তারা সারা বছর নিয়োজিত থাকেন। মানুষের জন্য তাদের ভাবার সময় কোথায়! একই প্রতিশ্রুতি বছর পর বছর দেওয়া হয় আর মানুষ গিলেও নেয় সেটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।
আসলে বহুদলীয় ব্যবস্থায় জনমতকে বিভ্রান্ত করে,ভোটের বিভাজন,ঝুলন্ত আইনসভা,দুর্বল জোট সরকার,দুর্বল নীতি এগুলো ছাড়া বোধহয় আর কিছুই আমরা পাই না। বহুদলীয় ব্যবস্থাতে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা এবং দক্ষতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে নেতৃত্ব ও নীতিতে ঘন ঘন পরিবর্তন হতে পারে, যা দেশের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে। আরেকটি অসুবিধা হল দল তাদের সমর্থকদের মধ্যে চরম মেরুকরণ এবং বিভাজনের সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন মতের ফলে দেশের অগ্রগতিতে বাধাগ্রস্ত হয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
সম্প্রতি দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এদেশে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয় পুলিশকে। ঘুষের ক্ষেত্রে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ। যে দেশের আইন ও বিচার বিভাগ চলে অসৎ ও দুর্নীতিবাজ লোকদের দিয়ে সেই দেশে জনগণ ভাল কী আশা করতে পারে? দুর্বৃত্তদের দ্বারা এখন কেবল বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা নিহত হচ্ছেন না বরং সরকারের দলীয় লোকও মারা যাচ্ছেন। বেশিরভাগ দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা ঘটছে আইনশৃক্মখলা অবনমনের ফলে। কার্যত প্রশাসনকে দলীয় ব্যবস্থার অঙ্গ করে একশ্রেণীর শাসক নিজেদের কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছে। গণতন্ত্রে মানুষকে চাপ দেওয়া, ভুল বোঝানো, বোকা বানানো, মিথ্যে ভাষনেরজন্য শাস্তি থাকা খুব জরুরী। দেশে এবং রাজ্যে এখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো বা বিরোধী দল মিটিং-মিছিলও করতে পারছে না পুলিশ ও ক্যাডারদের তান্ডবের কারণে। আমরা ক্রমেই বঞ্চিত হচ্ছি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার থেকে। বলা যেতে পারে, গণতন্ত্র এখন অবরুদ্ধ।

ব্যাঙ্গালোর টু গোয়া......ব্যাঙ্গালোরে কয়েকটা দিন কাটানোর পরে গোয়ার উদ্দেশে রওনা দিলাম। ব্যাঙ্গালোর থেকে গোয়া  অনেক ভ...
11/06/2024

ব্যাঙ্গালোর টু গোয়া......

ব্যাঙ্গালোরে কয়েকটা দিন কাটানোর পরে গোয়ার উদ্দেশে রওনা দিলাম। ব্যাঙ্গালোর থেকে গোয়া অনেক ভাবে যাওয়া যায়। হঠাৎ করে পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার জন্য বাসে যেতে হচ্ছে। হঠাৎ করে মেয়ের শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালোরে একদিন বেশি থাকতে বাধ্য হলাম। কোন কিছুই ঠিক করতে পারছিলাম না, ফোন করলাম আমার এক ডাক্তার দাদাকে- সে ফোনে ওষুধ দিয়ে বলল বিকেলের টিকিট তুমি কাটতে পারো ও ঠিক হয়ে যাবে। আশ্বাস পেয়েই টিকিটের খোঁজ শুরু করলাম। এখান থেকে গোয়া ট্রেনে ,ফ্লাইটে, বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায়। ট্রেনের চেষ্টা করে দেখলাম কোন টিকিট নেই, প্লেনে হঠাৎ করে ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গোয়া যাওয়ার জন্য ভলভো এসি সিটার, ভলভো মাল্টি-এক্সেল, এসি সেমি স্লিপার, এসি সিটার বা স্লিপার বা নন-এসি স্লিপার বা সিটার এবং আরও অনেক ধরনের বাস পাওয়া যায়। আমার স্ত্রীর প্রবল ইচ্ছে এসি ভলভো স্লিপারে যাবে। বেঙ্গালুরু থেকে গোয়া রুটে কেএসআরটিসি, কেপিএন ট্রাভেলস, সি বার্ড ট্যুরিস্ট, ভিআরএল ট্রাভেলস, সুগামা ট্যুরিস্ট এবং শ্যামলা বাস সার্ভিস, ইন্টারর্সিটি,অরেঞ্জ বাস সহ অনেক রকম বাস পাওয়া যায়। এগুলোর ভাড়াও বিভিন্ন রকম। দিন দেখে ভাড়া বেশি কম হয়। শুক্রবার শনিবারের ভাড়াটা একটু বেশি হয়। আমি সি বার্ড বাসে অনলাইনে টিকিট কেটে ফেললাম। ব্যাঙ্গালোর থেকে গোয়ার দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। দু তিনটে রাস্তা ধরে যাওয়া যায়। আমাদের বাস ব্যাঙ্গালোর-তুমকুর-দাভাঙ্গের-সিরসি -কারওয়ার- হয়ে পানাজি পৌঁছাবে। কোথায় উঠবো কোথায় নামবো সমস্ত কিছু ঠিক করা ছিল। বাঙ্গালোর শহরে ডেইরি সার্কেল,ইন্দিরানগর,কালসিপাল্যম,আনন্দ রাও সার্কেল,যশবন্তপুর, গোরাগুন্টেপল্যা থেকে ওঠা যায়। আমি আনন্দ রাও সার্কেল যা কেম্পেগৌড়া বাস স্ট্যান্ডের (ম্যাজেস্টিক) খুব কাছে।

এই বাসগুলোতে না চাপলে জানতেই পারতাম না যে এত সুন্দর একটা সার্ভিস রয়েছে। ব্যাঙ্গালোর থেকে গোয়া ভলভোতে, বাসের লাইভ ট্র্যাকিং, চার্জিং পয়েন্ট, জলের বোতল, পড়ার আলো, কম্বল, বালিশ, কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মতো সুবিধাগুলিতো আছেই এমন কি কিছু কিছু বাসে ব্যক্তিগত টেলিভিশন স্ক্রিনও আছে শুনলাম। কয়েকটি অপারেটরের বাস রয়েছে যেগুলি কোনও স্টপ ছাড়াই চলে। বাসের সংস্থা থেকে বার বার মেসেজ পাঠাচ্ছিল। দেখলাম বহু মানুষ এতে যাতায়াত করেন। সিটগুলো দেখলাম অত্যন্ত সুন্দর সিঙ্গেল স্লিপার টিও বেশ বড়। ডবল সিট গুলো অনেকটা জায়গা জুড়ে ফলে সামান্যতম অসুবিধে হয়নি। এছাড়াও উপর তলাতেও একইভাবে রয়েছে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়। রাস্তা এতটাই মসৃণ এবং ভালো যে অতটা রাস্তা কোনরকম বিরক্তি বা ক্লান্তি তে না ভুগে সাড়ে দশ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম। মাঝে একবার খেতে দাঁড়ানো আর একবার সবার বাথরুম করতে বাকি কোথাও আবার সেভাবে দাঁড়ায়নি।
সকালে যখন ঘুম ভাঙছে তখন কারওয়ার বীচ পেরোচ্ছি। সমুদ্র পাহাড় দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম পানাজি। এখানেই নেমে গেলাম -এখান থেকে আমি গাড়ি নিয়ে প্রথমেই গেলাম ডোনা পাওলা সী বিচ। গোয়া ভ্রমণ শুরু হলো আমার। পালোলেম বিচ, কোলভা বিচ, ওল্ড গোয়া, ব্যাসিলিকা অফ বোম জেসুস এবং বাগা বিচ,মাদগাঁও,ভার্না,পাঞ্জিম
মাপুসা গোয়ার বিখ্যাত জেল এছাড়াও আগুদা ফোর্ট, বিখ্যাত ক্যাসিনো ভ্রমণের কথা পরে একদিন.....

@ দীপক মাহান্তি

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dipak Mahanty-Utkal Barta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Dipak Mahanty-Utkal Barta:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share