01/05/2019
জীবনভর স্মৃতির ডায়েরীতে আমাদের কিছু মুহুর্ত থাকে,
ভোরের আলোয় ভালো লাগার কিছু মোহনীয় আজন্ম শান্তিময় ঘুম জড়ানো সকাল থাকে,
তার পেছনে সোনালি সকালের গল্পের একটা গল্প থাকে, গল্পের ভিতরে একটা মায়ার মানুষ ও নিশ্চয় থাকে!
তপ্ত দুপুরে শুকিয়ে মরুভূমি হওয়া কটকটে হওয়া নালীর তৃষ্ণা মেটানোর পেছনে লেপ্টে যাওয়া একটা আইসক্রিম খাওয়ার গল্প থাকে ঠোঁটের জলে, নিত্যান্ত একটা রোদ্দুর গল্পের এপিঠ -ওপিঠ থাকে।
সারা দিবা কার্য শেষে ঘরে ফেরার লগ্নে ক্লান্তিকর রুপ নিয়ে ও সে সূর্যমণি অন্তরাল ছুঁয়ে গোধুলীর মায়া বিছায় এ শহুরে,
পড়ন্ত সূর্যের হেলা পড়া বেলাশেষে দৃষ্টিগোচর করার দুটো পাখি থাকে,
পাশাপাশি হাটে তারা হাতে হাত রেখে, একপাখি অন্যপাখিকে ভালবেসে ভাজ করা কপাল ছুঁয়ে টিপ পড়িয়ে চুমো দেয় এঁকে কিংবা কাশফুল দেয় কেশকালো চুলের খোপায় গুজে।
নিয়মতান্ত্রিক সন্ধ্যা এলে প্রিয়তমার বানানো চায়ের কাপে চুমো দিয়ে আলো দ্বীপ জ্বালিয়ে মনে,
প্রিয়তমাকে নিয়ে কবিতা বুনে,
তুমি কি গুনেছো কখনো, পেরেছো কি গুনে শেষ করতে আধাঁরি বাস আকাশে ঠিক কতটিশত কুটি তারা মিঠিমিঠি জ্বালে আলো,
আমি ও না গুনতে চেয়েছি অনেকবার পারিনি গুনতে, আমার ভালবাসা তোমার প্রতি ততোটাই পরিমাণ করার কোন যন্ত্র আবিষ্কার হয়নাই, হবে না ও জানি,ঠিক কতোটা বাসি ভালো।
একাপ শেয়ারিং চুমুতে কিছু সন্ধ্যা থাকে, থাকে কিছু তরুমন বৃক্ষাদি পত্র ভেদ করে আসা ইট পাথরের শহরে ছাঁদের কার্নিশ ছুঁয়ো জোৎস্নার অমৃত আলো, জোৎস্নায় কিছু অসুখ মোড়ানো গায়ে লাগানো মানুষ থাকে, ছাঁদের কার্নিশ একসাথে কাধে মাথায় রেখে জোৎস্না বিলাস করা কিছু মানুষের প্রিয় অসুখ থাকে। চাঁদের মায়াকাননে চেয়ে চেয়ে কবিতা শুনার কিংবা শুনার কিছু মানুষের অসুখ থাকে, থাকে লিখার ও!
নৈঃশব্দ্য রজনীতে ঘুমন্ত যখন সমস্ত শহর চাকতির ন্যায় চাঁদের রুপালি আলো দেয় উঁকি দেয় হাসি হাসি,
ঘুমন্তবস্থায় যখন তুমিএকাবার চাই জানালে খুলে চাঁদের পানে, আরেকবার তোমার মায়াকাড়া মুখাবরণে, দেখি আর ভাবি তোমায় ভালো লাগে বেশি, ভালবাসি ভালবাসি তোমায় ভালবাসি।
পুনশ্চ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটা তুমি থাকে, সেই তুমিটাকে ভুলে যাবার নয়, ভুল করে ও ভুলে থাকা যায় না এসব তুমিটাকে, এসব তুমিটা শুধু মনে ধারণ করার জন্য।