E-Orange News Update

  • Home
  • E-Orange News Update

E-Orange News Update সঠিক খবর সকলের জন্য উন্মুক্ত।

Disclaimer-
The story, all names, characters, and incidents portrayed in this production are fictitious and are products of the Admin's imagination. No identification with actual persons (living or deceased), places, buildings, and products is intended or should be inferred and in entirely coincidental.

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-৩)ই-অরেঞ্জ এর অর্থ কোথায় গেলো -সময়- জানুয়ারি হতে জুন ২০২১১। ই-অরেঞ্জ হতে Bajaj Col...
24/06/2022

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-৩)

ই-অরেঞ্জ এর অর্থ কোথায় গেলো -
সময়- জানুয়ারি হতে জুন ২০২১

১। ই-অরেঞ্জ হতে Bajaj Collection (Bajaj Bike)
বাইক অর্ডার ও ডেলিভারি - ২৬০২৮
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৩৮৬.৭৩ কোটি টাকা
২। ই-অরেঞ্জ হতে All Zone (Yamaha Bike)
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ৪৮২১
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ১৮৮.৯৫ কোটি টাকা
৩। ই-অরেঞ্জ হতে Hero Bangladesh (Hero Bike)
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ১৮৮
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ২.২৪ কোটি টাকা
৪। ই-অরেঞ্জ হতে Bike Valley (Honda Bike)
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ৪৫০৫
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৭৩.৮৭ কোটি টাকা
৫। ই-অরেঞ্জ হতে Lifan Motorcycle Bangladesh
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ১২১
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ২.১৩ কোটি টাকা
৬। ই-অরেঞ্জ হতে TVS Bangladesh (TVS Bike)
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ৫৯৯
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৯.৩৪ কোটি টাকা
৭। ই-অরেঞ্জ হতে Runner
বাইক অর্ডার ও ভেলিভারি- ১৯
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - .১৯ লক্ষ টাকা

সর্বমোট ৩৬২৮১ টি বাইকের ভেলিভারি করতে ৬৬৩.৪৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়।
ডিসেম্বর ২০২০ থেকে জুন ২০২১ ৭টি ক্যাম্পেইন হয়েছিল।
গ্রাহকদের হতে জমা এসেছে ডবল টাকা ভাউচার ক্যাম্পেইন আকারে - ৭৪০.৩৭ কোটি টাকা।
তাহলে কী বুঝলাম -
আমরা যারা ৩৬২৮১ টি বাইকের অডার করেছিলাম তারা প্রকৃত অর্থে জমা দিয়েছি ৩৩১.৭৫ কোটি টাকা আর পেয়েছি ৬৬৩.৪৯কোটি টাকার সমমূল্যের বাইক। তাহলে অতিরিক্ত অর্থ আসলো কোথা থেকে? ক্যাম্পেইন থেকে জমা এসেছে ৭৪০.৩৭ কোটি এবং FIFO অনুযায়ী ৬৬৩.৪৯ কোটি টাকার ডেলিভারি করা হয়েছে। তাহলে ব্যবসায়িক ক্ষতি বা খরচ হলো কতো বা দায় তৈরি হলো কতো? যত টাকা অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে বাইকের জন্য ৩৩১.৭৫ কোটি টাকা (৭৪০.৩৭-৬৬৩.৪৯=৭৬.৮৮ কোটি টাকা; ৭৪০.৩৭-৩৩১.৭৫-৭৬.৮৮=৩৩১.৭৫ কোটি টাকা)। গ্রাহকদের অর্থ গ্রাহকদের কাছেই গেলো কিন্তু এরপরও।।। এক পক্ষ পেলো সময়মতো ডেলিভারি আরেক পক্ষ আরো পাবার আশায় এসে ডেলিভারি পেলো না। ব্যবসায় চলতে হবে তবেই বাকিরাও হয়তো পণ্য না হয় অর্থ ফেরত পেতে পারতো।
একমাত্র সমাধান হচ্ছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-২)ই-অরেঞ্জ এর মালিকানা বীথি ও আমান এর কাছে আসার পরে-সময়- এপ্রিল হতে জুন ২০২১১। ই-অরে...
23/06/2022

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-২)

ই-অরেঞ্জ এর মালিকানা বীথি ও আমান এর কাছে আসার পরে-
সময়- এপ্রিল হতে জুন ২০২১
১। ই-অরেঞ্জ হতে Bajaj Collection (Bajaj Bike)
বাইক অর্ডার - ২০৬৪৪
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৩০১.৫৪ কোটি টাকা
২। ই-অরেঞ্জ হতে All Zone (Yamaha Bike)
বাইক অর্ডার - ৪৭০৫
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ১৮৪.৪১ কোটি টাকা
৩। ই-অরেঞ্জ হতে Hero Bangladesh (Hero Bike)
বাইক অর্ডার - ১৬৬
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ১.৯০ কোটি টাকা
৪। ই-অরেঞ্জ হতে Bike Valley (Honda Bike)
বাইক অর্ডার - ৪০৯৭
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৬৫.৪৭ কোটি টাকা
৫। ই-অরেঞ্জ হতে Lifan Motorcycle Bangladesh
বাইক অর্ডার - ৮৮
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ১.৫২ কোটি টাকা
৬। ই-অরেঞ্জ হতে TVS Bangladesh (TVS Bike)
বাইক অর্ডার - ৩৫২
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৫.৪০ কোটি টাকা
৭। ই-অরেঞ্জ হতে Runner
বাইক অর্ডার - ১৯
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - .১৯ লক্ষ টাকা

সর্বমোট ৩০০৭১ টি বাইকের ভেলিভারি করতে ৫৬০.৪৭ কোটি টাকা বীথির পরিচালনা সময়ের প্রদান করা হয়।
এপ্রিল ২০২১ থেকে জুন ২০২১ ৩টি ক্যাম্পেইন হয়েছিল।
গ্রাহকদের হতে জমা এসেছে ডবল টাকা ভাউচার ক্যাম্পেইন আকারে ৫৬১ কোটি টাকা।
তাহলে কী বুঝলাম -
যারা ৩০০৭১ টি বাইকের অডার করেছেন ও ভেলিভারি পেয়েছেন তারা প্রকৃত অর্থে জমা দিয়েছেন ২৮০.২৩ কোটি টাকা আর পেয়েছেন ৫৬০.৪৭ কোটি টাকার সমমূল্যের বাইক। তাহলে অতিরিক্ত অর্থ আসলো কোথা থেকে? ক্যাম্পেইন থেকে জমা এসেছে ৫৬১ কোটি এবং FIFO অনুযায়ী ৫৬০.৪৭ কোটি টাকার ডেলিভারি করা হয়েছে। তাহলে ব্যবসায়িক ক্ষতি বা খরচ হলো কতো বা দায় তৈরি হলো কতো? ৫৬১-২৮০=২৮১ কোটি টাকা। গ্রাহকদের অর্থ গ্রাহকদের কাছেই গেলো কিন্তু এরপরও।।। এক পক্ষ পেলো সময়মতো ডেলিভারি আরেক পক্ষ আরো পাবার আশায় এসে ডেলিভারি পেলো না। ব্যবসায় চলতে হবে তবেই বাকিরাও হয়তো পণ্য না হয় অর্থ ফেরত পেতে পারতো।
একমাত্র সমাধান হচ্ছে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-১)আসুন সবাই একটি অংক দেখিধরি, একটি বাইকের দাম ১০০ টাকা। ই-অরেঞ্জ এর অফার কিভাবে গ্রাহ...
15/06/2022

বিশেষ সংবাদ সকলের জন্য (বাইক হিসাব-১)

আসুন সবাই একটি অংক দেখি
ধরি, একটি বাইকের দাম ১০০ টাকা।
ই-অরেঞ্জ এর অফার কিভাবে গ্রাহক এর কাছে পৌছাতো এটা দেখা যাক -
বাইকের দাম ১০০/-
ই-অরেঞ্জ গ্রাহকের কাছ হতে পায় ৫০/-
-------------
অবশিষ্ট থাকে ৫০/-
(যা পরবতী অফার হতে সংস্থান করা হত)
এই অবশিষ্ট ৫০/- টাকা হচ্ছে -
গ্রাহকের জন্য লাভ ও লোভ
মার্চেন্ট এর জন্য ই-অরেঞ্জ ছিল সর্বাধিক ভাল‌ প্রতিষ্ঠান কারণ একমাত্র ই-অরেঞ্জ মার্চেন্টদের অগ্রিম টাকা পরিশোধের মাধ্যমে পণ্য নিতো।
ট্রেড কমিশনের মাধ্যমে কিছুটা খরচ সমন্বয় করা হতো এরপরেও খরচ একটু কমতো সাথে দায়ও তবে আয় থাকতো না।

সময়-জানুয়ারি হতে মার্চ ২০২১
১। ই-অরেঞ্জ হতে Bajaj Collection (Bajaj Bike)
বাইক অর্ডার - ৫৩৮৪
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৮৫.১৮ কোটি টাকা
২। ই-অরেঞ্জ হতে All Zone (Yamaha Bike)
বাইক অর্ডার - ১১৬
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৪.৫৪ কোটি টাকা
৩। ই-অরেঞ্জ হতে Hero Bangladesh (Hero Bike)
বাইক অর্ডার - ২২
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৩৩ লক্ষ টাকা
৪। ই-অরেঞ্জ হতে Bike Valley (Honda Bike)
বাইক অর্ডার - ৪০৮
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৮.৩৯ কোটি টাকা
৫। ই-অরেঞ্জ হতে Lifan Motorcycle Bangladesh
বাইক অর্ডার - ৩৩
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৬১ লক্ষ টাকা
৬। ই-অরেঞ্জ হতে TVS Bangladesh (TVS Bike)
বাইক অর্ডার - ২৪৭
ব্যাংক হিসাবে ট্রান্সফার - ৩.৯৪ কোটি টাকা

সর্বমোট ৬২১০ টি বাইকের জন্য ১০৩.০১ কোটি টাকা সোনিয়ার পরিচালনা সময়ের প্রদান করা হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ৬২১০ টি বাইকের জন্য আমরা গ্রাহকবৃন্দ কত টাকা ই-অরেঞ্জ কে দিয়েছিলাম?
যেহেতু ডবল টাকা ভাউচার ছিল, অতঃপর ৫১.৫০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। জমা দিলাম ৫১.৫০ কোটি টাকা আর বাইক পেলাম ১০৩.০১ কোটি টাকার। তাহলে অতিরিক্ত ৫১.৫০ কোটি টাকা কোথা থেকে আসলো।
ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ ৪টি ক্যাম্পেইন হয়েছিল।
গ্রাহকদের হতে জমা এসেছে ১৮০.১৩ কোটি টাকা।
তাহলে কী বুঝলাম -
সর্বমোট ১৮০.১৩ কোটি টাকা থেকে শুধুমাত্র বাইক ভেলিভারি করতে খরচ হয়েছে ১০৩.০১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গ্রাহকদের অর্থ গ্রাহকদের কাছেই গিয়েছিল।
৫১.৫০ কোটি টাকা ৬২১০ টি বাইক যারা অর্ডার করেছেন তাদের জন্য প্রদান করা হলো। দেখুন ঠিক এই মুহূর্তে ই-অরেঞ্জ এর দায় কত যদি এই প্রশ্ন করা হয় তার উত্তর কি?
১৮০.১৩ থেকে ১০৩.০১ কোটি নাই যেখানে মূল টাকা ৫১.৫০ কোটি। সরাসরি ফেরত দেয়া যাবে ৭৭.১২ (১৮০.১৩-১০৩.০১) কোটি টাকা। তাহলে ১৮০.১৩-৭৭.১২-৫১.৫০ = ৫১.৫০ কোটি টাকা কোথায় গেলো। ই-অরেঞ্জ বাড়তি যেই ৫১.৫০ কোটি খরচ করলো ৬২১০ অডারকৃত বাইকের গ্রাহকদের জন্য সেটাই তাদের একদিকে খরচ অন্যদিকে দায়। দায় কারণ এই ৫১.৫০ কোটি টাকা একই অথবা অন্যান্য গ্রাহকদের জমা করা। এটাই ছিল তৎকালীন উল্লেখযোগ্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় মডেল।
সার্বিক পর্যালোচনা করলে ঠিক এই সময়ে কি কোনো প্রতারণা হয়েছিল? না হয়নি। সোনিয়া সোহেল কি টাকা পাচার করেছিল? না করেনি।
যে কেউ দেখলে মনে করবে ৫১.৫০ কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে? আসলে কী তাই?????
সমস্যায় জর্জরিত প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে জড়িয়ে গেছে ব্যবসায়িক ক্ষতি অথবা দায়ের মধ্যে। তাহলে ই-অরেঞ্জ এর সমাধান কী?
একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রতিষ্ঠান চালু করতে হবে।

ই-অরেঞ্জ ও মানি লন্ডারিং বর্তমান বিশ্ব এখন অনলাইন এর উপর ভিত্তি করে চলছে। আমরা ইচ্ছে করলেই এখন বহির্বিশ্বের যে কোন দেশের...
12/06/2022

ই-অরেঞ্জ ও মানি লন্ডারিং

বর্তমান বিশ্ব এখন অনলাইন এর উপর ভিত্তি করে চলছে। আমরা ইচ্ছে করলেই এখন বহির্বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোনো পণ্য অনলাইন থেকে অর্ডার করে নিমেষেই হাতে পেতে পারি নিজ বাসায় বসে। গ্লোবালাইজেশনের এই সময়ে ই-কমার্স এক অনন্য সংযোজন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা পিছিয়ে থাকার উপায় নেই। অতএব আমরাও প্রযুক্তির উপর আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ নির্ভরশীল করে ফেলেছি। এই নির্ভরশীলতা আমাদের জীবনকে শুধু সহজই করেনি বরং কিছুটা জটিলও করে তুলেছে। জটিল শব্দটা এ জন্য বললাম কারন অনলাইন অর্ডার মানে হলো এখানে ইকেট্রনিক অর্থ ট্রান্সফারের বিষয়টি সরাসরি জড়িত আর যেখানে অর্থ ট্রান্সফারের বিষয় থাকে সেখানেই চলে আসে মানি লন্ডারিং এর বিষয়টি। কারন আমরা যদি বহুল প্রচলিত আমাজন বা দারাজ হতে কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করি, এবং সেই অর্থ আমাকে বিদেশে রেমিট করতে হয়। আর এখানেই মানি লন্ডারিং বিষয়টি সামনে আসে।

এখন আসা যাক, বাংলাদেশের ই-কর্মাস এবং মানি লন্ডারিং, এই বিষয়টি সবসময় আমাদের জন্য উদ্বেগজনক ছিল, যেটা গত জুন মাসে, ২০২১ হতে ভয়াবহ রুপ ধারন করে। কারন গত জুনে ই-কর্মাস সেক্টরে দৃশ্যত একটা অস্থিরতা শুরু হয়, তখনই সামনে আসে আমাদের ই-কর্মাস প্লাটফর্মগুলো কি মানি লন্ডারিং এর সাথে যুক্ত কিনা? কিছু বলার পূর্বে জানা দরকার
মানি লন্ডারিং কি?
মানি লন্ডারিং হলোঃ
যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেই সম্পদের আংশিক বা র্পূণ অংশ রুপান্তর বা এমন কোন বৈধ জায়গায় বিনিয়োগ করা হয় যাতে করে সেই বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে র্অজিত আয় বৈধ বলে মনে হয়, তাকে মানি লন্ডারিং বলা হয়।
বাংলাদেশের ই-কমার্স এর প্লাটফর্ম গুলো গ্রাহকের কাছ হতে কয়েকটি উপায়ে অর্থ গ্রহন করতো। যেমন- ব্যাংক কার্ড, ও এমএফএস (বিকাশ/নগদ) এর মাধ্যমে; বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং অন্যান্য সোর্স হতে দেখা যাচ্ছে যে, সর্বমোট প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যে। সেটা নিয়ে আমাদের রেগুলেটারী সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন ছিল এবং তারা এ বিষয়ে বিস্তরিতভাবে কাজ শুরু করে। এবং তারই একটি প্রতিফলন আমরা গত ২২/০৪/২০২২ইং তারিখে দেখতে পেলাম। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক, মহামান্য হাইকোর্টকে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন ই-কমার্স গুলোর মানি লন্ডারিং বিষয়ে। উক্ত রির্পোট অনুয়ায়ী ঐ সময় পর্যন্ত ৫০ টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করবেন তারা এবং ইতিমধ্যে ১৭ টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কাজ শেষ করেছেন এবং ১৭টি থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। বাকী ১৪ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এর বিষয়টি অভিযোগ আকারে আসেনি। এই ১৪ টির মধ্যে একটি হলো ই-অরেঞ্জ।

মানি লন্ডারিং ও ই-অরেঞ্জ
গত অক্টোবর, ২০২১ সালে অন্যান্য ই-কমার্সের মতো ই-অরেঞ্জ এর বিরুদ্ধেও মানি লন্ডারিং বিষয়টি সামনে আসে এবং এদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা দায়ের করা হয় কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ অথবা যোগাযোগ ব্যতীত যেখানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের হিসাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। পত্রিকার সুত্র ধরে আমরা দেখতে পাই, প্রায় ২৩২ কোটি টাকার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার এজহার অনুযায়ী, ডেলিভারি বন্ধের আগে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা অলজোন(All Zone) নামক স্বনামধন্য একটি বাইক ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে, যাকে ই-অরেঞ্জ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেখানো হয়েছে, যদিও অলজোন শুধুমাত্র ই-অরেঞ্জ এর বাইক সরবরাহকারী ছিল কোন ধরনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নয়। অলজোন ইয়ামাহা বাইক সরবরাহ করতো যা সর্বজন স্বীকৃত। অলজোন শুধু ই-অরেঞ্জ এর সরবরাহকারী ছিল এমন নয়, এটি আরো বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারী ছিল। ই-অরেঞ্জ হতে একই মালিকানায় থাকা রেড অরেঞ্জ এবং অরেঞ্জ বাংলাদেশ লিমিটেড এই দুই প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে বলে বলা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য হচ্ছে, ই-অরেঞ্জ ও রেড অরেঞ্জ একই মালিকানায় নয়। অরেঞ্জ বাংলাদেশ লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫/১৬ সালেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ বলে পাওয়া যায় এবং এর কোনো ব্যাংক হিসাবও নেই। তবে অরেঞ্জ বাংলাদেশ একটি একমালিকানা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায় যা সোনিয়ার মালিকানাধীন এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে সুনামের সাথে ২০১৯ সাল থেকে কাজ করছে। যার কর্মী সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০। এখন সকলেই বেকার। এই পরিবারগুলো না খেয়ে ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর দায় কার?
মামলার এজাহার অনুযায়ী ইঅরেঞ্জ হতে রেড অরেঞ্জ এ ৯৯ লক্ষ টাকা এবং অরেঞ্জ বাংলাদেশ লিমিটেডে (হয়তো ধরে নিচ্ছি অরেঞ্জ বাংলাদেশ বোঝানো হয়েছে) ১৫ লক্ষ টাকা স্থানান্তর হয়েছে। যদিও কোন ব্যাংক বিবরণী সর্ব সাধারনের জন্য প্রদর্শন করা যায় না তবুও একমাত্র ই-অরেঞ্জ এর সিটি ও ব্র্যাক ব্যাংকের বিরবণী আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে অহরহ পোস্টিং হতে দেখেছি যা খুব দুঃখজনক এবং সেখান থেকে দেখা যায় ই-অরেঞ্জ হতে ধার হিসাবে মোট যে অর্থ রেড অরেঞ্জ এবং অরেঞ্জ বাংলাদেশে গিয়েছিল তা প্রায় সর্ম্পূন অর্থ পুনরায় ই-অরেঞ্জ ব্যাংক হিসেবে ফেরত এসেছে এবং বাকীটা দিয়ে রেড অরেঞ্জ ও অরেঞ্জ বাংলাদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করেছে ই-অরেঞ্জ যা সময়মতো ভেলিভারি করা হয়েছে ই-অরেঞ্জে।

এজাহার অনুযায়ী আরও দেখা যায়, কিছু ব্যক্তি বর্গের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যেহেতু তারা নগদ টাকা উত্তোলন করেছেন, সেইজন্য ঐ পরিমাণ টাকা লন্ডারিং করা‌ হয়েছে। তারা সকলেই ছিল এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বা শুভাকাঙ্খি। এখন প্রশ্ন হলো-
নগদ টাকা উত্তোলন মানেই কি সে টাকা মানি লন্ডারিং করেছে বা অর্থ আত্বসাৎ করেছে? ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী যে কেউ নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারে, অর্থ উত্তোলন করার সময়‌ কাউন্টারে যিনি থাকেন তার নাম ব্যাংক কর্মকর্তা লিখে রাখেন। এর মানে কী? যার নাম লিখা হলো তিনি টাকা লন্ডারিং করলেন নাকি এমনকি হতে পারে না যি তিনি নগদ অর্থ তুলে অফিসে জমা দিলেন এবং ঐ অর্থ নগদ পেমেন্ট দেয়া হলো মার্চেন্টদের। সব মার্চেন্ট তো ব্যাংক চেক না নিতে পারে। এবং ব্যাংক গুলো সকল লেনদেন রিপোর্ট নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে। ই অরেঞ্জ ব্যাংক বিবরনী থেকে দেখা যায় কতিপয় ব্যক্তিবর্গ যারা নগদ উত্তোলন করেছেন ফেব্রুয়ারী, মার্চ এবং এপ্রিল মাসে যা বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়ম অনুয়ায়ী রিপোর্ট করার কথা ওই মাসে কিন্তু মামলা হলো অক্টোবর মাসে, খুবই অবাক করা ব্যাপার!!!!!!! এজাহার অনুযায়ী প্রায় ২৬ টি একাউন্টে অর্থ ট্রান্সফার হয়েছে, গ্রাহকদের নিশ্চয় মনে আছে ই-অরেঞ্জ কাছ হতে আমরা শুধু বাইক ছাড়াও অন্যান্য প্রোডাক্ট ডেলিভারি নিয়েছি। এবং সে সমস্ত সরবরাহকারী অর্থ যদি ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর হয়ে থাকে, সেটা কি মানি লন্ডারিং? মার্চেন্ট পেমেন্ট কে লন্ডারিং বলা হলে কিছু বলার নেই।
মানি লন্ডালিং সংঙ্ঘা অনুযায়ী:
১) ই অরেঞ্জ কি অবৈধ উপায়ে গ্রাহকের টাকা ব্যাংকে জমা করেছে?
উত্তর : না
২) ই অরেঞ্জ ব্যাংকের টাকা কি বিদেশে পাচার হয়েছে? উত্তর : না
৩) ই অরেঞ্জ কি গ্রাহকের টাকায় অবৈধ সম্পদ করেছে? উত্তর : না
যদি সমস্ত উত্তর না হয়, তবে সোনিয়া মেহজাবিন ভুল করেছেন কেন মালিকানা হস্তান্তর করেও গ্রাহকদের কথা এবং আমান সাহেবের অনুরোধে পরবর্তী তিন মাস তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন? জনাব মাশুকুর রহমান কি ভুল করেছেন তার স্বামী হয়ে? শেখ সোহেল রানা কি ভুল করেছেন তার ভাই হয়ে? বীথি আক্তার কি ভুল করলেন প্রতিষ্ঠান কিনে? আমান কি ভুল করলেন দায়িত্ব নিয়ে?

এবার আসি এই মামলা আমাদের গ্রাহকদের কিভাবে প্রভাবিত করলো?-
# এই মামলার কারণে আমরা ধরেই নিয়েছি অর্থ পাচার হয়েছে বাস্তবতা হচ্ছে অর্থ পাচার হবার কোনো সম্ভাবনা বা সুযোগ বা চিন্তা কারোরই ছিল নাহ। এটা শুধু আমি বলছি নাহ স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক ভাবে তাই বলেছে।
# এই মামলার কারণে পরবর্তীতে আরো বেশ কিছু মামলা হয়েছে সন্দেহবশত এর ফলে এই প্রতিষ্ঠানের সমাধান বা কার্যক্রম চালু হবার সম্ভাবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
# এই মামলার পরেও অতি উৎসাহী অনেকে মিলে হাইকোর্টে রীট করেছেন কিন্তু কেউ প্রতিষ্ঠানের চালু করার জন্য কিছু করেননি।
# যে সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্দেহ আছে লন্ডারিং এর ব্যাপারে এখনও ওদের কোনো মামলা হয়নি।
# এই মামলা আমাদের অর্থ ফেরত পাবার সকল আশা নষট করে দিচ্ছে। কে কাজ‌ করবে? একই লেনদেন করে কারো এই মামলা হলো নাহ কেবল সবচেয়ে সময়মতো ভেলিভারি দিয়েও ই-অরেনজ এর সবাই মানি লন্ডারিং মামলায় আজ জেল হাজতে।
আরো আশ্চর্যের হচ্ছে কারো ই-অরেনজ চালু হোক এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই।
পরিশেষে বলতে হয়, আমরা কী পেলাম, প্রতিষ্ঠানের চালু করার জন্য কারো কোনো প্রচেষ্টা নেই। এই মামলা থেকে কখনো বের হয়ে কারোর কি ইচ্ছা থাকবে কাজ করার। তাও আবার অদ্ভুত মিশানো মামলা ২৩২ কোটি টাকার।
আমাদের আওয়াজ হোক প্রতিষ্ঠানটি চালু হোক। সংশ্লিষ্ট সকলের আশু মুক্তি হোক।

আমরা আসলে কী চাই? (শেষ অংশ)আমরা ভালো নেই। ভালো থাকার কথাও না। সামগ্রিক ভাবে ই-কমার্স সমস্যা নিয়ে জড়িয়ে আছে। কোনটা ছেড...
03/06/2022

আমরা আসলে কী চাই? (শেষ অংশ)

আমরা ভালো নেই। ভালো থাকার কথাও না। সামগ্রিক ভাবে ই-কমার্স সমস্যা নিয়ে জড়িয়ে আছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা নিয়ে ভালো থাকা। আমার আলোচনা চলছিল ই-অরেনজ কে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। একবাক্যে বললে আমরা আসলে কী চাই?
আমাদের লক্ষ্য সকল আটকে পড়া অর্থ অথবা পণ্য ফেরত পাওয়া। এই লক্ষ্য অর্জনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ই-অরেনজ যদি চালু করা যায়।

আমাদের উদ্দেশ্য কী?
ই-অরেনজ চালু করতে পারা-
আমাদের সকলের উচিত হবে এই একটি উদ্দেশ্যে কাজ করা। আর তা হচ্ছে ই-অরেনজ কে আবার চালু করতে পারা। এটাই একমাত্র উপায় আমাদের ক্ষতি কমাবার। চালু করতে হলে লাগবে আমান‌‌ ও বীথি কে। কারণ তারাই বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের মালিক। মনে রাখতে হবে আমান শুধু কর্মকর্তা নয়। আমান নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন না করে বীথির নামে করেছেন। আমানের কাছে আছে ই-অরেনজ এর সার্ভার আইডি ও পাসওয়ার্ড। এটা না হলে আমরা গেটওয়ের অর্থ ফেরত পাবার উপায় থাকবে না। বুঝতে হবে আমান কেনো বলছে সে‌ শুধু কর্মকর্তা?
আবারো বলছি সোহেল একটা সমস্যা তবে ই-অরেনজ এর জন্য সে সমাধান হতে পারে নাহ। অনেকেই মনে করতে পারেন বা দৃশ্যত মনে হয় তিনি ই-অরেনজ এর অর্থ নিয়েছেন অথবা অর্থ পাচার করেছেন। এপ্রিল থেকে বীথি ‌আমান এর অনুমোদন ব্যতীত কোনো অর্থ ই-অরেনজ হতে বের হয়নি তাহলে সোহেল কিভাবে অর্থ সরিয়ে নিলো। এরপরও সরকারি সংস্থাগুলো সোহেলকে নিয়ে কাজ করছে।

একটা গল্প বলি- সেলিম সাহেবের হঠাৎ করে‌ অর্থ দরকার। তিনি তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাবেন। অনেক ভেবে চিন্তে সেলিম সাহেব তার কষ্টের দুইটা ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি বিক্রয় করে দিলেন আজাদ সাহেব এর কাছে। আজাদ সাহেব, পরিচিত ছিলেন সেলিম সাহেবের ভাই হারুন এর। মালিকানা বদল করা হলো। কাগজপত্র ঠিকঠাক করা হল। আজাদ সাহেব ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিলেন। এরমধ্যে ঐ ফ্ল্যাটটিতে একটি অপরাধ ঘটে। পুলিশ আসলো। ভাড়াটিয়া কে জিজ্ঞেস করা হলো এর মালিক কে?আজাদ সাহেব বললেন আমি‌ কেউ নাহ। আমার বোন এটার মালিক। থাকে দেশের বাইরে। হারুন সব জানে, সেও দেশের বাইরে। পুলিশ মামলা করলো। আত্মসমর্পণ করলো সেলিম সাহেব ও তার স্ত্রী এবং তারা জেল হাজতে। আজাদ সাহেব জেল এ‌ আসলেন ও জামিন নিয়ে বের হয়েও গেলেন।
প্রশ্ন- মামলা করা কী খুব সহজ? যে কাউকে আসামি করে দেয়া যায়। সত্যকার আসামি কি সামনে আসলো?

সত্য সাথে নিয়ে আমাদের লড়াই করা উচিত, যদি উদ্দেশ্যহীন ভাবে আমরা কাজ‌ করি বা কথা বলি তাহলে সময় চলে যাবে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে নাহ। আমাদের চিন্তা করে কাজ করতে হবে। উত্তেজিত হয়ে নয়। আইন কে নিয়ে আলোচনা করে বুঝতে হবে কে আসলে ই-অরেনজ নিয়ে কাজ করার কথা। যে বা যারা বর্তমানে মালিকানায় আছে তারাই কি দায়িত্ব এড়াতে পুরাতন মালিকদের দোষারোপ করছে কিনা। যদি অর্থ তছরুপ হতো, এতো দিনে অবশ্যই তা সামনে আসতো। এরপরও বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক ও সিআইডি দেখছে; তবে আমরা ওদের অনুসন্ধান এর দিকে যেমন তাকিয়ে আছি তেমনি ই-অরেনজ কে সচল করার জন্য আওয়াজ তুলতে পারি। মামলা করাটা একটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় কারণ‌ যতো মামলা হতে থাকবে ততোই প্রতিষ্ঠানের চালু হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হতে থাকবে।
আমরা একটাই মনে করছি অথবা কারো‌‌ প্ররোচনায় শুধু এক চিন্তাই করছি যে সোহেল এর ভারত চলে যাওয়া। আমাদের মনে রাখতে হবে ই-অরেনজ এর অর্থ অর্থাৎ গ্রাহকদের অর্থ কী কী ভাবে ব্যবহার হয়েছে। ই-অরেনজ এর অর্থ যদি দেশের বাইরে না যায়, এবং সোহেল, সোনিয়া, মাশুক, আমান, নাজমুল ও বীথি ব্যবহার না করে থাকে তখন কী হবে। অনেক বুদ্ধিমান ভাইয়েরা আছেন তারাই সবচেয়ে ভালো জানবেন ই-অরেনজ এর অর্থ কোথায় গেলো?
ই-অরেনজ, ইভ্যালি, কিউকম সহ বাকি সব ই-কমার্স যেই ব্যবসা মডেল ব্যবহার করছিল তা যে ঝুঁকিপূর্ণ তাতো এখন সবাই জানে ও বুঝতে পেরেছে। সকল প্রতিষ্ঠানের মালিক ও অন্যান্যরা গতবছর যখন আইনের আওতায় আসলো এবং অনুসন্ধানে বের হয়ে আসলো সমস্যা কোথায়। মূল সমাধান হচ্ছে প্রতিষ্ঠান চালু থাকতে হবে। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই ব্যবসা করছিল আর দশটা প্রতিষ্ঠানের মতোই। এখানে অবশ্যই ইভ্যালি রাসেল সাহেবের অবদান অতুলনীয়। তিনি আমাদের জানান দিলেন ই-কমার্স একটি শিল্প। তবে তিনি অবস্থানটা ধরে রাখতে পারেননি অথবা ধরে রাখতে দেয়া হয়নি। ই-কমার্স এ এতো বড়ো অফার, অর্ধেক দামে বাইক পাওয়া, একজন একটা দুইটা নয় যার যতো অর্থ তার ততো অডার দেয়া, প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবগুলোর সঠিক মনিটরিং এর অভাব, কোনো সঠিক রেগুলেটর না থাকা; সবমিলিয়ে একটি ধস, সকলেরই কমবেশি দায় আছে। এখন আমরা নিজেরাই প্রশ্ন করি নিজেকে, আমি কেনো একটি বাইকের জায়গায় দশটি বাইক অডার করলাম?
ইভ্যালি কি চালু আছে। আমরা সবাই রাসেল ভাইয়ের মুক্তি চাই যাতে কাজ করতে পারে। কাজ করবে মুনাফা আসবে আমাদের অর্থ ফেরত দিতে পারবে। আর সেই আমরাই ই-অরেনজ এর জন্য এই চিন্তা না করে উত্তেজিত হচ্ছি, কেনো? আসুন, আমরা সমাধান করতে পারবো। আমান-বীথি হোক আর সোনিয়া-সোহেল-মাশুক হোক,
সত্য জেনে কাজ করি। ই-অরেনজ কে আইনত চালু করতে সবাই এক ও‌ অভিন্ন হই।

মামলা vs ই-অরেনজ এর সমাধান আমরা খুব শক্তিশালী। আমরা সবকিছু পারি। তাহলে আমরা ই-অরেনজ এর সমস্যা সমাধান করতে কেনো পারছি নাহ...
27/05/2022

মামলা vs ই-অরেনজ এর সমাধান

আমরা খুব শক্তিশালী। আমরা সবকিছু পারি। তাহলে আমরা ই-অরেনজ এর সমস্যা সমাধান করতে কেনো পারছি নাহ। একদিনে যেমন একটা সমস্যা তৈরি হয় নাহ ঠিক তেমনি সমাধান ও হয়তো একদিনে হয় নাহ। তবে না বুঝে সমস্যা তৈরি করা যেমন ভুল তেমনি বুঝে শুনে সমাধান না করে আরো সমস্যা তৈরি করা আরো বড় ধরনের ভুল।
প্রশ্ন করুন নিজকে; আপনি, আমি নিজ সিদ্ধান্তে ই-অরেনজ এ পণ্য অডার করেছেন যার হয়তো ভেলিভারি পাননি। তাহলে নিজ সিদ্ধান্তে এখন করণীয় কী সেটা ঠিক করা উচিত। কারো কথায় অথবা আহ্বানে সাড়া দিয়ে কী উদ্দেশ্যে কী করছেন; আপনি কী জানেন বা বুঝতে পারছেন।
সাধু সাবধান, আপনি আমি কী চাই? আমরা সকলেই চাই ই-অরেনজ চালু হোক ব্যবসায় করুক নাকি চাই বন্ধ থাকুক।
সহজ কথা, আমরা কী চাই?
যদি আমরা মামলা করতে চাই। প্রায় ৫০টি মামলা করা হয়েছে। এতগুলো মামলার পর আমরা কিভাবে আশা করি যে ই-অরেনজ নিয়ে আমান-বীথি অথবা সোনিয়া-সোহেল কেউ কাজ করবে? ই-অরেনজ যে অফিসিয়াল কার্যক্রম ছিল দিন দিন‌ তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাদের গুদামঘর, কাস্টমার কেয়ার অফিস, প্রধান অফিস; সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত মালিক ও অন্যান্যদের নিয়ে কথা বলা বা সুযোগ বা পুরো ব্যাপারটা বোঝার আগেই কাল্পনিক ১১০০ কোটি টাকার মামলা দিয়ে এখন পর্যন্ত কী পেলাম? কতো সময় দিলাম অন্যদের, এদের কে‌ দিলাম নাহ।

এক বছর হতে চললো বিভিন্ন ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ও পেজ এর এডমিন বা মডারেটর, কী সমাধান করলেন? কিছুদিন পর পর গ্রাহকদের তথ্য নিয়ে মামলা করতে সহায়তার নামে কী করছেন? এটা কী সমাধান? নাকি ই-অরেনজ কে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। ইদানিং আবার শুরু হয়েছে। ধরুন আমরা মামলা করবো। যার যারটা সে করেন। মামলা করার নামে কোনো ব্যবসা হচ্ছে কিনা।
একটু চিন্তা করেন, মামলা করে ই-অরেনজ ফিরে আসার সকল সুযোগ শেষ হয়ে যাবে ও যাচ্ছে। আমাদের মামলা করার প্রবণতা কি কি করতে পারে-
* মামলার সংখ্যা বাড়াবে
* স্বাভাবিক ভাবেই দোষী ও নির্দোষ সকলের জেল হাজতে থাকতে হবে
* যারা আটকে আছেন, এতে করে আমাদের সুবিধা কি হচ্ছে। যদি তারা অর্থ পাচার না‌ করে থাকেন, তাদের কি ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছি আমরা?
* গেটওয়েতে যে টাকা আটকে আছে তার কোনো সুরাহা হচ্ছে নাহ
* অন্যান্যদের অর্থ ফেরত পাবার কোনই সুরাহা হচ্ছে নাহ
* ই-অরেনজ ফিরে আসার সম্ভাবনা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যতো মামলা হবে ফিরে আসার সুযোগ ততোই কমতে থাকবে
সকল গ্রাহক একটি মামলা করা ও কাউকে উৎসাহ দেবার আগে ভেবে দেখুন এই একটি কারণে ই-অরেনজ আবার কাজ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। মামলা না করে ই-অরেনজ কে চালু করার জন্য কী করা যায় সেইটা হতে পারে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই মুহূর্তে। তাকিয়ে দেখুন ইভ্যালি এর জন্য আমরা কী করছি? তাহলে কেনো নয় ই-অরেনজ এর জন্য। কেউ এটা ভেবেন নাহ আমি মামলা বিরোধী বরং আমি সমাধান এর পক্ষে যেটা কিনা সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।
ই-অরেনজ এর সমাধান হবে যদি প্রতিষ্ঠানকে চালু করা যায়। কিন্তু কিভাবে??? একটু জেনে নেই-
১। ই-অরেনজ এর বর্তমান মালিক কে?
উত্তর - চুক্তিপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী বীথি আক্তার হচ্ছেন ই-অরেনজ এর বর্তমান মালিক। আমান উল্লাহ হচ্ছেন তার প্রধান সহযোগী ও ব্যবসায়িক পার্টনার। এপ্রিল ২০২১ থেকে বীথি এই প্রতিষ্ঠানের মালিক।
২। গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের ব্যাপারে কে বা কার সাহায্য দরকার গ্রাহকদের ফেরত দিতে?
উত্তর - চুক্তিপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী বীথি আক্তার হচ্ছেন ই-অরেনজ এর বর্তমান মালিক। আমান উল্লাহ হচ্ছেন ই-অরেনজ এর বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সুতরাং সার্ভার আই ডি ও পাসওয়ার্ড রয়েছে আমান সাহেব এর কাছে। আমান ও বীথি এই দুই জনকেই এগিয়ে আসতে হবে।
৩। ই-অরেনজ এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম কে চালাবে যাতে করে বাকি গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া যায়?
উত্তর - চুক্তিপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী বীথি আক্তার হচ্ছেন ই-অরেনজ এর বর্তমান মালিক। আমান উল্লাহ হচ্ছেন তার প্রধান সহযোগী ও ব্যবসায়িক পার্টনার। আমান উল্লাহ হচ্ছেন ই-অরেনজ এর বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বীথি ও আমান এই দুই জনকেই এগিয়ে আসতে হবে পরিচালনা করার জন্য। চুক্তিপত্র ও লাইসেন্স তাই বলে
কি বুঝতে পারলাম-
আমাদের প্রথম লড়াই হচ্ছে বীথি ও আমান‌কে‌ আইনের আওতায় এনে ই-অরেনজ কে চালু করতে পারা। আইনগত ও ডকুমেনট অনুযায়ী এটাই স্বাভাবিক এবং হবার কথা। আমান পারবে কিনা, করবে কিনা সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করতে চাই নাহ। আমান বীথি কেও বের‌ করতে হবে কাজও করতে হবে। আমাদের সকলের এটা মাথায় আনতে হবে আমান বীথি প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মালিকানায় আছে, আমাদের যতো অডার বাকী আছে সব অডার বীথি আমানের আমলের, সন্দেহ করে পুরাতন মালিক ও পরিবারকে গালাগালি করতে পারবো, মামলা দিতে পারবো কিন্তু সঠিক সমাধান কী হবে? খেয়াল করুন আমান বীথি কে আনলো, প্রতিষ্ঠানের কেনা বেচা হলো, প্রতিষ্ঠানের সমপদ ও দায় সহ দায়িত্ব নিলো, এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত ভেলিভারি করলো, এরপর নাজমুল এর কেলেঙ্কারি ও চাকুরিচ্যুতি, আমান এর যোগদান, অডিট করার নামে ডেলিভারি বনধ করা, অফিস পরিবর্তন চেষ্টা, সোহেল কে ফাসানো যে উনার কাছে সব....
আমরা কল্পনা করে মামলা করলাম, বীথি বর্তমান মালিক ব্যতিত অন্য সবাই জেল হাজতে। ই-অরেনজ সমাধান কে করবে। আমরা কী ও‌ কিভাবে চাই তা ঠিক করে বলছি নাহ। মামলা আমরা করেছি এখন অর্থ আমাদের আটকে আছে, আমাদের কী কেই সমাধান আনতে হবে। আমানের লোক, সোহেলের লোক, নাজমুলের লোক মাঠে ঘুরছে, দয়া করে আপনার টা আপনি ভালো বুঝবেন কি করা উচিত।
অনেক কথার শেষে আরেকটি কথা বলি, আমরা কি সোনিয়া মালিক থাকাকালীন ভালো কিছুই পাইনি? কমসময়ে ও সময়মতো ভেলিভারি, কিছু একটা ভালো কি ছিল নাহ। আমরা তাকে কি ফিরিয়ে দিলাম? তিনি বিক্রয় করে ফেললেন, আমরা অবাক হয়েছি, কষ্ট পেয়েছি কিন্তু কেনো?... আমরা এখনো আমান বীথি কে মানতে পারছি নাহ, তাই বলে কি সোনিয়া খারাপ? আমান বীথি এর নিষ্ক্রিয় থাকাটা কি সন্দেহজনক নয়? ওদের ভুলের জন্য আমরা কি সোনিয়া কে দোষারোপ করা উচিত? সোহেল একটি সমস্যা কিন্তু ই-অরেনজ এর সমাধান নয়। আমান -বীথির নিষ্ক্রিয়তা কে সোহেল এর উপর, সোহেল কে দিয়ে সোনিয়া, সোনিয়া কে দিয়ে মাশুক কে বিচার করা কি ঠিক হবে? সোনিয়া কে যদি আমরা সমাধান মনে করতাম তাহলে এইভাবে মেরে ফেলতে পারতাম নাহ। আমরা ভুলে যাই ভালো টা। মনে রাখি কেবল নিজের কষ্টটা। একটি বার কেউ কি একটা পোসট করেছি, সোনিয়া আপা ফিরে আসুক।
আমরা ই-অরেনজ এর‌ সমাধান চাই, ই-অরেনজ কে চালু করাই হলো সমাধান। মামলা করতে থাকলে সমাধান এর কোনো পথ থাকবে নাহ। এখন ভেবে দেখুন ই-অরেনজ চালু করবেন নাকি বনধ রাখবেন। সবই আমাদের হাতে।

ই-অরেনজ থেকে পণ্য/অর্থ ফেরত চাই_উপায় কী? (৯ম ও শেষ পার্ট)এই বিষয়ে এটাই শেষ পার্ট। আমরা ই-অরেনজ এর সাথে যে কয়েকজন জড়ি...
26/05/2022

ই-অরেনজ থেকে পণ্য/অর্থ ফেরত চাই_উপায় কী? (৯ম ও শেষ পার্ট)

এই বিষয়ে এটাই শেষ পার্ট। আমরা ই-অরেনজ এর সাথে যে কয়েকজন জড়িয়ে আছে বা আমরা সন্দেহ করি সকলের সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করলাম। এখন মূল লক্ষ্য যেটা আমাদের গ্রাহকদের আটকে পড়া অর্থের কী হবে?

১_ই-অরেনজ এর বর্তমান মালিক কে বা কারা?
বর্তমান মালিক বীথি আক্তার ও প্রধান সহযোগী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমানউল্লাহ চৌধুরী।

২_গেটওয়েতে যে টাকা আটকে আছে সেটা পেতে কাকে লাগবে/দরকার এবং কেনো?
আমান কেই লাগবে তা সে যাই বলুক কারণ সার্ভার আই ডি ও পাসওয়ার্ড আমান ও কাউছার জানে।

৩_ই-অরেনজ এর ব্যবসায় কে চালাবে?
অবশ্যই বীথি ও আমান নিয়ম অনুযায়ী ই-অরেনজ চালানোর কথা তবে তারা কী করবেন সেটা হয়তো জানি নাহ।

নিয়ম ও বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী উপরে যে তিনটি পয়েন্ট লিখলাম তা হওয়া উচিত। তবে এটা হবে নাহ যদি আমান ও বীথি এর কোনো ষড়যন্ত্র থাকে। সোহেল ও সোনিয়া যদি সব হয় তাহলে
১। বীথি কে আমান‌ কেনো আনলেন?
২। বীথি ও‌ আমান‌ কী নিশ্চিত না হয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর দেননি।? তাহলে কেনো স্বাক্ষর দিলেন? কী ছিলো তাদের পরিকল্পনা? সোনিয়া সোহেল কে ফাসানো নাকি ব্যবসায় না‌ চালানো?
৩। ট্রেড লাইসেন্স এ মালিকানা কেনো পরিবর্তন করলেন সশরীরে হাজির হয়ে।
৪। ব্রাক ব্যাংক এ হাজির হয়ে ই-অরেনজ এর হিসাব সিগনেটরী কেনো পরিবর্তন করলেন।
৫। আমান বীথি কে দিয়ে কেবলমাত্র একটি মার্চেন্ট এ অর্থ ট্রান্সফার করলেন কেনো? (AB International)
৬। আমান-বীথি কেনো IPDC এর ৫কোটি টাকার FDR স্বাক্ষর পূর্বক গ্রহন করলেন?
৬। আগস্ট ২০২১, মনে করে দেখুন, আমান সবাই কে বলল সোহেল ই সব, প্রশ্ন হচ্ছে সোহল যদি সব হয় তাহলে তুমি কি? আমাদের ভুল পথে নিয়ে গেলো।
যদি- ই-অরেনজ হিসাব হতে সোহেল এর কাছে কোনো টাকা না যায়; সোহেল কোনো সম্পদ না করে থাকে তখন কী হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বি এফ আই ইউ, সরাসরি কোনো লন্ডারিং ই-অরেনজ এর পাননি। এখন দুদক যদি কোনো অবৈধ সমপদ না পায় যা ই-অরেনজ এর অর্থ দ্বারা হয়েছে তখন কী হবে।
৭। প্রতারনা কি তাহলে সোনিয়া সোহেল এর সাথে হয়নি। আমান বীথি ক্রয় করলেন, যখন সামনে আসার কথা তখন তাদের উপর দোষ চাপালেন। আর আমরা কান কথায় এখনো দৌড়াচ্ছি। চরিত্র হনন করছি কিন্তু সমাধান করছি নাহ বা পথ খুঁজে পাচ্ছি নাহ। মামলা করতে চাচ্ছি। তাহলে আমরা সমাধান চাই নাহ।

আমরা কি ধরেই নিয়েছি ই-অরেনজ বাতিল। নাকি কোনো মহলের কথায় এটাই সবাইকে বোঝাচ্ছি সোহেল ও সোনিয়া এর কারণে ই-অরেনজ এই অবস্থা। তাহলে ইভ্যালি এর কি হয়েছিল? ইভ্যালি এর জন্য আদালত রাসেল ও শামীমা কে বাতিল করেছেন পরিচালনা থেকে আর এখন আমরা মনে করি তারা ফিরে আসলেই ভালো। তাদের বিপক্ষে একটি চরিত্র হনন করিনি। এবার দেখুন সোনিয়া সোহেল মাশুক এদের জন্য কি একবার ও ভালো কোনো কথা বলতে পেরেছি, কেনো পারিনি। প্রশ্ন করে দেখুন নিজেকে। কেনো পারেননি।
কারণ আমরা ভুলে গেছি যে সোনিয়া আমাদের সবাপেক্ষা সময়মতো পণ্য ডেলিভারি করতো। আমান যখন থেকে ই-কমার্স সমস্যা দেখলো, কেবল‌ সোহলকেই টার্গেট করে গ্রাহকদের ভুল বোঝাতে থাকলো। সোহেল এর পেশা আমাদের আরো বেশি উত্তেজিত করলো। প্ররোচনায় আমরা মামলা করে ঝাঁঝরা করলাম, ধ্বংস হলো সোহেল, সোনিয়া মাশুক সহ আরো শত শত পরিবার, তাদের দোষ, বিক্রয় কেনো করলে? একটি বার এটা মাথায় আসলো নাহ যারা কিনলেন তারা কেনো কাজ করবে নাহ?
সবাই ভুলে যাচ্ছেন, আইন অনুযায়ী রাসেল শামীমা যেমন চাইলেও কাজ করতে পারবে নাহ ঠিক তেমনি সোনিয়া সোহেল তারাও পারবে নাহ। পার্থক্য হচ্ছে, আমরা রাসেল শামীমা কে নিয়ে কটুক্তি করি নাহ ও‌ মুক্তি চাই। সমাধান চাই। ইভ্যালি চালু হোক এটা চাই। আর সোনিয়া সোহেল মাশুক কে নিয়ে কটুক্তি করি ও এমন কিছু করছি নাহ যে তারা আমাদের সাহায্য করবে। আমান এভাবে আমাদের সোহেল সোনিয়া মাশুক এদের পিছনে লেলিয়ে দিয়ে নিজেকে কর্মকর্তা বলে মুক্ত হবে। বীথি থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সবাই খুশি। যার দায়িত্ব নেবার কথা তিনি কিছু লোককে কিছু অর্থের বিনিময়ে খুশি করে শুধু অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যাতে করে বর্তমানে যারা পরিচালক তাদের কিছুই সামনে না আসে।
আমাদের হাতেই ই-অরেনজ এর ভাগ্য। কাকে চাই?
হয় আমান‌ বীথি কেই বাধ্য করতে হবে কাজ করতে। আইনত যেটা সমর্থন করে। নতুবা সোনিয়া সোহেল ও মাশুকদের মুক্তি ও কাজ যাতে করে সেটার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর নইলে প্রচলিত মোটা মাথার যারা কথা বলেন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আরো মামলা করলে কী সমাধান হবে??
সবাই সতর্ক ভাবে একটু চিন্তা করুন। মামলা আরো করবো‌ নাকি সমাধান করবো। সোহেল একটা সমস্যা কিন্তু সমাধান নয়। যারা এগুলো বলে সেখানে আপনি চিন্তা করুন যে কেনো বলছে। ইভ্যালি ও কিউকম এতো কম মামলা এরপরও কতো বেগ পেতে হচ্ছে আর ই-অরেনজ এর ৫০টির উপর মামলা, শুধুমাত্র সন্দেহ করে এগিয়ে যাচ্ছি।
কারো কথা নয়, অর্থ লোভ নয়, নিজে কী চাই সেটা শুনুন, ও বলুন।
সমাধান চাই, ই-অরেনজ চালু হোক এটা চাই।

আমরা আসলে কী চাই? (১ম অংশ)এটাই এখন সবচেয়ে দরকার। আমরা আসলে কী চাই, ই-অরেনজ এর। আমরা ই-অরেনজ এর ব্যাপারে কিভাবে পরিচালিত...
25/05/2022

আমরা আসলে কী চাই? (১ম অংশ)

এটাই এখন সবচেয়ে দরকার। আমরা আসলে কী চাই, ই-অরেনজ এর। আমরা ই-অরেনজ এর ব্যাপারে কিভাবে পরিচালিত হচ্ছি এটাও বিবেচনায় আনতে হবে এবং আনা উচিত। আমরা কাকে অন্ধ বিশ্বাস করবো? কেনো করবো? যাকে করবো সেই যে সঠিক তার কি নিশ্চয়তা? এরচেয়ে বড় কথা আমি কী চাই? আমি কী আমার কথা বলতে পারছি নাকি কারো‌ ইচ্ছা আমার স্বাক্ষর বা অর্থের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা আমাদের অর্থের একটা ব্যবস্থা চাই।
আমরা কি চটি গল্প পড়তে চাই_আমান/সোহেল/মাশুক কে কয়টা বিয়ে করলো, কার কয়জন বান্ধবী আছে; এগুলো যখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে পোসট হয় তখন কিন্তু প্রশ্ন জাগে, ওদের বিয়ে বা বান্ধবী এর সাথে আমাদের অর্থ ফেরত পাবার সম্পর্ক কী? তাহলে নিশ্চয়ই যে বা যারা এই ধরনের রসালো গলপ পোস্ট করে আমাদের বিশ্বাস ও সমাধান এর চেষ্টা কে নিয়ে মজা করছেন এবং এডমিন যারা তাদেরকে নিয়েও প্রশ্ন জাগে যে তাদের ইচ্ছা কি?যে কারো চরিত্র হনন‌ করা আমাদের কাজ হতে পারে নাহ। নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এগুলো করা হয়।

আসুন মূল কথায় যাই। আমরা কী চাই?
মূলত আমরা আমাদের অর্থ ফেরত চাই। অথবা পণ্য ফেরত চাই।
এখন প্রশ্ন হলো আমাদের ঠিক করতে হবে, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী? আমরা জানি আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হই, অর্থাৎ অর্থ ফেরত বা পণ্য ডেলিভারি পাওয়া। তবে আমরা আমাদের উদ্দেশ্য কী সেটা মনে হয় জানি নাহ বা বুঝতে পারছি নাহ। এখানেই অনেক সুযোগ সন্ধানীরা আমাদের সরলতার সুবিধা নিতে পারে। সাবধান। কাউকে না বুঝে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন নাহ।
লক্ষ্য নির্দিষ্ট আছে-

১। অর্থ ফেরত - গেটওয়েতে যে টাকা আটকে আছে সেটা পেতে হলে আমান উল্লাহ ও কাউসার কে লাগবে। বীথি আক্তার থাকলে ভালো হয় তাহলে আমান কোনো অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যেতে পারবে নাহ। আমান ও কাউসার কে লাগবে কারণ ওদের কাছে সার্ভার আই ডি ও‌ পাসওয়ার্ড রক্ষিত আছে। এখানে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে আমানের যে কোনো ষড়যন্ত্র থেকে ইক্যাব, এসএসএল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সকলের একান্ত সহযোগিতা কাম্য। এখানেই আমাদের নজর রাখতে হবে যে আমান যেনো কোনো নাটক করতে না পারে। ইক্যাব, এসএসএল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আমান-বীথি যোগাযোগ ঠিক থাকতে হবে তা না হলে আমান বলবে যে তার সাথে কেউ কাজ করতে চায় না কারণ উনি একজন কর্মকর্তা, মালিক নন।
চুক্তিপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী সোনিয়া, সোহেল, মাশুক ও নাজমুল কেউই ই-অরেনজ এর কেউ নন। তাদের কাছে কিছুই নাই অর্থাৎ সার্ভার আই ডি ও‌ পাসওয়ার্ড, অন্য কোনো ডাটা যা দিয়ে গেটওয়ে অপারেটর এর সাথে যোগাযোগ ও অর্থ ফেরত দেয়ার কাজ করতে পারা। এটাই সত্য ও বাস্তব।
যারা এই সত্য কথাটা বুঝতে চাইবেন নাহ, তারা হয়তো একটি মহলের পক্ষে কাজ করছেন নয়তো না বুঝে গেটওয়ের টাকা ফেরত কার্যক্রম অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আমান বীথি ও চাইবে আমাদের সামনে সোহেল এর কাছে টাকা আছে এটা বলে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা ও‌ সময়ক্ষেপণ। সোহেল ফেরত আসা একটা সরকারি চেষ্টা আর আমাদের গেটওয়ের টাকা ফেরত কার্যক্রম সম্পূর্ন আলাদা। চোখ বুজে আলো দেখা যায় নাহ। আলো দেখতে হলে চোখ ও‌ মনের চোখ দুটো দিয়ে দেখতে হবে।

২। গেটওয়েতে যাদের অর্থ আটকে নেই, তাদের কি হবে?
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমরা সবাই সবকিছু বুঝি, শুধু সত্য সামনে আনতে হবে, এতেই একটু ভয় পাই নাকি গোপন করতে চাই। শুধু ই-অরেনজ কেনো বাকী সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় মডেল একই রকম। একটি ক্যামপেইনের অর্থ দিয়ে আরেকটি ক্যামপেইনের পণ্য কেনা ও ভেলিভারি সময়মতো দেয়া। এর উপর রয়েছে অধিক ডিসকাউন্ট। প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি পর্যাপ্ত মূলধন যোগান না দেন তাহলে একটা ঘাটতি থেকেই যাবে যতোদিন ডিসকাউনট চলতে থাকবে। খরচ বাড়বে, দায় বাড়বে। হয় ব্যবসা চলতে থাকতে হবে, আস্তে আস্তে গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে, বিক্রয় বাড়তে থাকবে, মুনাফা বাড়বে, দায় কমতে থাকবে, ডিসকাউন্ট ও অন্যান্য ব্যয় কমতে থাকবে। এর কোনো একটি সমস্যা হলে এই মডেল ব্যর্থ হয়ে যাবে।
তাহলে কি বুঝলাম, ই-অরেনজ কে সচল করতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা কার দায়িত্ব, যিনি বর্তমানে মালিক ও কর্ণধার। আর সেটা হলেন বীথি আক্তার ও আমান উল্লাহ। আমান কেনো, আমান মালিকানা এর একটি বড় অংশ, আমরা আগেই বলেছি আমান কিভাবে নিজেকে মালিকানা কাগজে না করেও তিনি একদিকে নিরাপদে আছেন অন্যদিকে বীথি কে প্রবাসী বিনিয়োগকারী বলে ই-অরেনজ কিনেছেন এবং সরিয়ে রেখেছেন। ভেবে দেখুন, সোহেল কে আমরা প্রচন্ড সন্দেহ ও পাচারকারী ও মূল দায়ী মনে করি আসলে কী তাই, কাগজে কলমে সোহেল কোথায়ও নেই, এরপরও আমরা মনে করি উনি যেহেতু পালিয়েছেন তাই উনি কিছু করেছেন তাহলে আমান কেনো নয়। আমান বীথি এর সাথে সব জায়গায় আছেন। এমনকি চুক্তিপত্র এর বীথি এর পক্ষে স্বাক্ষী তিনি দিয়েছেন। আমাদের ভুল হচ্ছে কিনা, যে সামনেই আছে সব, কথাও বলছি তার সাথে, তার বুদ্ধি অনুযায়ী অনেকে কাজও করি কিন্তু পর্দা দিয়ে ঢেকে রেখেছি অথবা কেউ সরাতে দিচ্ছে নাহ।
আইন অনুযায়ী, চুক্তিপত্র ও ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী সোহেল সোনিয়া কেউ মালিক নন। ই-অরেনজ চালানোর জন্য আমান ও বীথি কেই সামনে আনতে হবে, প্রয়োজনে সকল মহলকে জানাতে হবে। আর যদি এখনও সোহেল এর পিছনে দৌড়াতে থাকি তাহলে আলেয়া আলোর পিছনে দৌড়ানোর মতোই হবে। একসময়ে আমরা সবাই বলবো কার কথা শুনে দৌড়ালাম। ততক্ষণে যেনো সব শেষ না হয়ে যায়।

আমাদের উদ্দেশ্য কী? পরবর্তী অংশে আলোচিত হবে।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when E-Orange News Update posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share