Noob Gaming

07/12/2023

20/10/2023

Wow🙀

16/08/2023

-----স্যার ডে*ড*বডির পি*রি**য়ড হচ্ছে!

----হোয়াট!তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে,, ডেডবডির পিরিয়ড হয় কিকরে??

---আমি সত্যি বলছি স্যার,সেই কারণেই আপনার কাছে ছুটে আসলাম।

---তুমি কি নিজে থেকে দেখেছো,নাকি??

---আমি নিজের চোখে দেখেছি স্যার।

---ওহ,নো। এটা কিকরে পসিবল।আচ্ছা তুমি চলো আমার সাথে।গিয়ে দেখতে হয় ব্যপারটা।

---ওকে স্যার,চলুন।আপনি নিজেই দেখে নিন।।আমরা কি করবো বুঝতে পারছি না।

---চলো তাড়াতাড়ি,কুইক।

ডঃ আরফান তার নার্সের সাথে ছুটে চললেন।
এই হাসপাতালে বিগত আট বছর ধরে জব করছেন তিনি।সে তার লাইফে কোনোদিন এমন কেইস ফেইস করতে হয় নি।
একটা মানুষ মারা গেলে তার শরীরের সমস্তরকমের কার্যক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়,তার শরীর ধীরে ধীরে পঁচতে আরম্ভ করে।
সেখানে একটা মৃতদেহের মাসিক বা মেনস হওয়ার ব্যপারটা কতোখানি অস্বাভাবিক শুধু একজন ডাক্তার বুঝতে পারে,
এমন কথা কোনো মানুষ শুনলে চমকে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।
নার্সের সাথে কেবিনের দিকে ছুটে চলছেন ডঃ আরফান।

এতোপর তারা পৌঁছেও গেলেন।।

অপারেশন থিয়েটারে একটা পঁচিশ বছর বয়সী মেয়ের লাশ পড়ে আছে।যাকে চার ঘন্টা আগে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কিছু টেকনিক্যাল প্রবেলেমের কারনে তাকে মর্গে শিফট করা সম্ভব হয় নি।
নার্সরা মর্গ শিফট করতে আসলেই এই অস্বাভাবিক ব্যপারটা লক্ষ্য করে।

হুড়মুড় করে অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে ঢুকে পড়লো ডঃ আরফান।
একজন নার্স বাইরে বেরিয়ে আসছিলো, অসাবধানতবশত সে ডাক্তারের সাথে একটা জোর ধাক্কা খায়।

---সরি স্যার, সরি।আই'ম এক্সট্রিমলি সরি।

---ঠিক আছে,আসলে ভুলটা আমারই।এভাবে ছুটে আসা ঠিক হয় নি।

ডক্টর নার্সকে সামলে নিয়ে ডেডবডির দিকে ঘুরে তাকাতে লাগলেন।
মূহুর্তেই হতভম্ব হয়ে গেলেন তিনি,
সত্যি তো!
নার্সের কথায় খানিকটা ডাউট থাকলেও এইবার নিজের চোখে দেখে পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গেলো তার কাছে।

---আচ্ছা,নাম কি ওনার?

---ওনার নাম পারমিতা।

---সাথে কারা আছে?

---যারা এসেছিলো তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,

---আচ্ছা,উনি মারা গেলেন কিভাবে?ওনার মৃত্যুর কেইস টা কি?

---দেখুন স্যার,উনি ওনার কেসটা একটু জটিল।উনি এমনি মারা গেছেন না কেউ মার্ডার করছে সেটা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে।।
ওনাকে প্রথমে যখন নিয়ে আসা হয় প্রথমে দেখে বেঁচে আছেন এরকমই মনে হচ্ছিল,পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে আসার পরে দেখা যায়, সি ইজ নো মোর।অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।

---বুঝতে পেরেছি,কিন্তু একটা কথা বলো এর মেনস কিভাবে হচ্ছে।আচ্ছা তুমি কোনোদিন শুনেছো মৃত নারীর মাসিক হয়

---নো স্যার,,,আর শোনা তো দূরের কথা,এটা কেউ ভাবতে পারেও বলে জানা ছিলো না।

মেয়েটার মুখের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ডঃ আরফান,
কি অদ্ভুত মায়াবী মুখ।
ঠোঁটের কোনায় কোথাও একটু যেন হাসি লুকিয়ে আছে।দেখলে মনেই হয় না এ একটা ডেডবডি,দিব্যি জ্যান্ত মানুষ।

----স্যার,দেখুন।এতো আবারো মেনস শুরু হয়েছে!

নার্সের কথা শুনেই ডক্টর আরফান সাহেব তার চোখ দুটো বড়ো করে ডেডবডির শরীরের নিচের অংশে তাকলেন।

গল্প:পারমিতা
পর্ব----০১

পরবর্তী পর্ব পেতে পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন
NOOB GAMING

11/08/2023

ফলো দিয়ে ছোট্ট একটা ম্যানশন দিয়ে জানিয়ে দিন,নোটিফিকেশন আসার সাথে সাথে ব্যাক চলে যাবে ১০০%
ফলো না দিয়ে দয়া করে ম্যানশন দিবেন না প্লিজ🙏 ফলো দিয়ে দয়া করে ম্যানশন দিবেন তার আগে নয়🙏
একটিবার বিশ্বাস করেই দেখুন প্লিজ🙏🥺Count me in!🥹
Noob Gaming

10/08/2023

Follow to follow
Noob Gaming

07/08/2023

!!Goat affect Power ''💪

04/08/2023

" বড় ভাবী উ'ল/ঙ্গ হয়ে মেজ ভাইয়ার সাথে লেপ্টে আছে।ভাইয়ার হাত ভাবীর বু'ক স্পর্শ করছে "

তারাও আমাকে দেখে আ/ত/ঙ্কি/ত হয়ে গেলো।
ভাবী আমাকে দেখে বিছানার চাদর দিয়ে নিজের লজ্জা স্থান ধাকতে লাগলো। মেজ ভাই দৌড়ে তার নিজের রুমে চলে গেলো।

,,,,,, ছিঃ ছিঃ ছিঃ ভাবী তুমি কিনা শেষ পর্যন্ত আমার ভাইকে এভাবে ঠকালে

,,,,,অতুল আমি এসব জেনে বুঝে এসব করি নি জানি না কিভাবে কি হয়ে গেলো। কাউকে কিছু বইলোনা

,,,,,,,আমি তোমার মুখে আর একটা শব্দও শুনতে চাই না। জা কথা হবে ভাইয়া বাড়িতে আসলে হবে

আমিও নিজের রুমে চলে আসলাম। আমি কিছুতেই ভাবতে পারছি না ভাবী কিভাবে এমনটা করতে পারে ভাইয়া ভাবীকে নিজের চেও বেশি ভালোবাসে জেনেও কিভাবে পাড়লো এমনটা করতে ছিঃ। আর মেজো ভাইও বা এটা কিভাবে করতে পারলো নিজের ভাবীর সাথে সে কিভাবে পাড়লো মেজ ভাবীকে ঠকাতে

বাবা মা সহ আমরা তিন ভাই ও এক বোন আমি সবার ছোট। বড়ো বড়ো দুই ভাই এবং আপুর বিয়ে হয়ে গেছে।

আজকে আমাদের একটা আত্নীয় বাড়িতে অনুষ্ঠানের ইনভাইট আছে সবাই চলে গেছে বড় ভাবীর শরীর খারাপ ছিলো তাই জায়নি আর মেজ ভাই অফিসের জরুরি কাজ আছে বলে থেকে গেছে। আমি ভার্সিটি থেকে এসে জাবো কিন্তু ভার্সিটি থেকে বাড়িতে ফিরে ভাবীর শরীর কেমন আছে খোঁজ নেওয়ার জন্য তার রুমে যেতেই এইসব দেখলাম।

কিছুক্ষণ পড় ভাবীর ঘর থেকে মেজ ভাইয়া ডেকে পাঠালো অনিচ্ছা সত্ত্বেও গেলাম। গিয়ে দেখি ভাবী মাথা নিচু করে বসে

,,,কি জন্য আমাকে ডেকেছো তোমারা(আমি)

,,,প্লিজ অতুল তোর ভাইকে কিছু বলিছ না তাহলে আমার সংসারটা ভেঙে যাবে (ভাবী আমার সামনে হাত জোর করে কেঁদে কেঁদে বললো)

,,,,,এসব নোংরামির আগে মনে ছিলো না। এখন আমাকে বললে কিছুই হবে না যা করার ভাইয়া বাড়িতে এসে করবে

,,,দেখ অতুল ভালোভাবে বলছি শোন না হলে কিন্তু এর ফল খুব খারাপ হবে বলে দিলাম (মেজ ভাই)

,, ছিঃ ভাইয়া লজ্জা করেনা তোর তোকে আমার নিজের ভাই বলতেও লজ্জা লাগছে এতো কিছুর পরেও তুই আমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিস

,,ভাই আমি তোমার পায়ে ধরছি তুমি এসব তোমার ভাইকে বলো না তাহলে আমাকে খুন করে ফেলবে। আর কোনোদিন এসব করবো না(ভাবী)

ভাবীকে দেখে মায়া হলো ভাইয়ার কথাও মনে পড়লো এসব যদি ভাইয়া জানে তাহলে আত্মহত্যা করবে তা চেয়ে বরং এবারের মতো ভাবীকে মাফ করে দি

,,শুধুমাত্র ভাইয়ার কথা ভেবে তোমাদের মাফ করে দিলাম। কিন্তু আবার জদি এসব করো তাহলে ভাইয়াকে জানাতে বাধ্য হবো

আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। আমি আর ইনভিটিসনে গেলাম না।
রাতে সবাই আসলো

, অতুল তুমি গেলে না কেনো(বড় ভাই)

কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না

,,কিরে বল

,,এমনি ইচ্ছা করে যাই নাই

,,,এই নাও তোমাদের জন্য চা নিয়ে আসলাম (বড় ভাবী)

,,আরে তুমি কেনো অসুস্থ শরীরে এসব করতে গেলে। আর আমরা তো এই মাত্র এলাম(মা)

,,আরে মা আমি এখন ঠিক আছি আপনার এতো দুর থেকে তাই আরকি

আমি ভাবীর ব্যাবহার দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ আগে যা ঘটলো তারপরও এতো স্বাভাবিক।
রাতে শুয়ে ছিলাম হঠাৎ একটা চিৎকারের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো চিৎকারের আওয়াজতা মনে হয় স্টোর রুম থেকে এলো ছুটে গেলাম সেখানে।
স্টোর রুমের দরজা খুলতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার সুইচ বোর্ড খুজ লাইট জ্বালিয়ে জা দেখলাম তাতে আমার শিরদাঁড়া থেকে শীতল প্রবাহ বয়ে গেলো। আমার মেজ ভাইয়ের নিথর দেখ পরে আছে ফ্লোর রক্তাক্ত হয়ে গেছে। মনে হয়ে তাকে কেউ খুন করেছে
তাহলে চিৎকারতা মেজ ভাইয়ের ছিলো।

_____চলবে_____

পাপি
পর্ব_১

পরবর্তী পর্ব পেতে পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন Noob gamer

02/08/2023

#ধর্ষিতা_বউ

বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে!! আমি রোমে ঢুকেই দেখি নীলা জানালার পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছে!! আমি জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে নীল?? ও বললো আজকের এই দিনেই আমি আমার সন্মান হারিয়ে ছিলাম!! আমি নীলাকে আমার বুকে জড়িয়ে নিলাম আর বললাম এই সব ভেবে কী লাভ বলেন তো!!! যা হওয়ার তা হয়ে গেছে!! এতে আপনার ত কোন দোষ নেই!!
!!!!
!!!
!!!!
নীলা সেদিন খুব কেঁদে ছিলো!!! আর আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ছিলো!!! আমি সেদিন নীলার নিশ্বাস এর শব্দটা শুনতে পাচ্ছিলাম!! নীলার প্রত্যেকটা নিশ্বাস এর বাতাস আমার বুকে এসে লাগছিলো!!! আমার সেদিন অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছিলো!!! নীলাকে বললাম যান গিয়ে শুয়ে পরুন!!! নীলা গিয়ে শুয়ে পরলো!!! আমি বারান্দায় অনেক্ষন দাড়িয়ে ছিলাম!!!
!!!
!!!
!!!
আর মনে মনে ভাবলাম কাল আমি আমার মনের কথা নীলাকে বলে দেব!! বলে দেব যে আমি তুমাকে ভালবেসে ফেলছি!!! আমার আর দর সই ছিলো না!!! কখন সকাল হবে আর কখন নীলাকে আমি আমার মনের কথা জানাবো!!খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পরলাম!! আর মার্কেটে চলে গেলাম!!! নীলার জন্য একটা নীল শাড়ী কিনলাম!!! ভেবে ছিলাম এই শাড়িটা ওর হাতে দিয়ে আমি আমার মনের কথা গুলো খুলে বলবো!!
!!!
!!!
!!!
কিন্তু আমি নীলাদের বাড়িতে গিয়ে অবাক হলাম!! আমি গিয়ে দেখি একটা ছেলে নীলাদের বাড়িতে এসেছে!!! ছেলেটা বাইরে দাড়িয়ে!! আর এক পাশে নীলা দাড়িয়ে কাঁদছে??? আমি নীলার দিকে এগিয়ে গেলাম আর নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম কী হয়েছে নীলা?? আর আপনি এই ভাবে কাঁদছেন ই বা কেন?? আর এই ছেলেটাই বা কে?? কেউ কোন কথা বলছে না!!!
!!!
!!!
!!!
আমি নীলার বাবার দিকে এগিয়ে গেলাম আর জিজ্ঞেস করলাম অন্তত আপনি বলুন কী হয়েছে?? আর এই ছেলেটা কে?? আর নীলা কেনই বা কাঁদছে??? নীলার বাবা যা বললো তা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো!!! নীলার বাবা বললো এটা সেই ছেলে যাকে নীলা ভালবাসত!!! আর যে নীলার এত বড় সর্বনাশ করেছিলো!!
!!!
!!!
!!!
আমি জিজ্ঞেস করলাম ও এখানে কেন এসেছে?? নীলার বাবা বললো ও নীলাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে!!! এই কথাটা শুনে আমার বুকটা কেঁপে উঠলো!!! নীলার বাবা বললো যদি নীলার সাথে ওর বিয়েটা দেওয়া যাই তাহলে অন্তত নীলা নিজেকে অপরাধি ভাববে না!!! ও ওর স্বামী ই ভাবতে পারবে!!! নীলার বাবার কথা গুলো শুনে আমি আমার চোখের জলকে কোন ভাবেই আটকে রাখতে পারছিলাম না!!
!!!
!!!
!!!
আমি আমার হাতের শাড়িটা লুকিয়ে ফেললাম!! আমি বার বার চোখের জল মুছতে ছিলাম!! নীলা আমার দিকে একটু করোন সুরে তাকাচ্ছিল!!! কিন্তু আজ আমার বড্ড খারাপ লাগছে!!! নীলার বাবা বললো ছেলেটার সাথে নীলার বিয়ে দিতে ওনার কোন সমস্যা নেই!!! আমি এখন শুধু নীলার দিকে তাকিয়ে আছি!! হয়তো নীলাও ওর বাবার কথায় রাজি হয়ে যাবে!!!
!!!
!!!
!!!
কিন্তু এটা ভেবে খারাপ লাগছে নীলাকে আমি আমার ভালবাসার কথা জানাতে পারলাম না!!! আমি নিজের মাথাটা নিচু করে আছি!!!! নীলার বাবা নিলাকে বললো তুমার কী মত মা???? নীলা ছেলেটার দিকে এগিয়ে গেলো!!! আমি ভাবলাম জড়িয়ে ধরবে হয়তো!!! তাই পিছন ঘুরে চলে আসতে থাকলাম!!! কিন্তু পিছন ঘুরেই চড়ের একটা শব্দ শুনতে পেলাম!!! সামনে তাকিয়ে দেখি!!!
!!!
!!!
!!!
নীলা ছেলেটার গালে একটা চড় বসিয়ে দিয়েছে!!!! আর বলছে কুত্তার বাচ্চাঁ আমার সর্বনাশ করে এখন আমাকে বিয়ে করতে এসেছিস!!! তুই কী করে ভাবলি আমি তোর মতো একটা জানোয়ার কে বিয়ে করবো!!!!! নীলা ওর বাবাকে বললো বাবা পুলিশ এ ফোন দাও!!! আর ওকে পুলিশ এ দিয়ে দাও!! পুলিশ এসে ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গেলো!!!
!!!
!!!
!!!
নীলা এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো!!! আর বললো কী ভেবেছেন?? আমি ওই লম্পটটাকে বিয়ে করবো??? আমি ত বিয়ে করে ফেলেছি!!! নীলা আরো বললো আমার জন্য যে শাড়িটা এনেছেন ওটা দেবেন না আমাকে?? আমি অবাক হলাম আর বললাম আপনি কী করে জানলেন??? নীলা বললো আমি সবই জানি!!! আমি আরো জানি আপনি আমাকে এখন কিছু একটা বলবেন???
!!!!
!!!
!!! আমি নীলাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আর কেঁদে কেঁদে বললাম আমি আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি নীলা!!‌!!! আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না!!! নীলা ও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আর বললো আমিও!!! ঠিক এ ভাবেই সারা জীবন আমাকে জড়িয়ে রাখবেন আপনার বুকে!!!এ ভাবে আমাদের ভালবাসার পুরনো অধ্যায় এর সমাপ্তি ঘটলো!!!! আর শুরু হলো আমাদের ভালবাসার নতুন অধ্যায়!!!

!!!!!
!!!!!


সমাপ্ত...।।🤍

02/08/2023

- হুজুর! তাড়াতাড়ি থানায় আসুন।
- কেনো কি হয়েছে কি? আবার নতুন করে কি হলো? এতো জরুরি তলব।
- হুজুর একটা ছেলে এসেছে। বলছে সে নাকি এই ৪ টে মৃত্যুর ব্যাপারে খবর দেবে কি সব।
- সেকি? দাঁড়া দাঁড়া যাচ্ছি। বসিয়ে রাখ।
কিছুক্ষন পর বড়বাবু আসতেই ছেলে টিকে আগে পাছ তলা দেখলো পরনে একটা গেঞ্জি কাপড়ের ফুল প্যান্ট গায়ে একটা হাফ হাতা গেঞ্জি, বয়স আনুমানিক ২২ কি ২৩ হবে। হাতে একটা বড়ো আর্ট পেপার মোড়ানো অবস্থায় আছে। বড়ো বাবু জিজ্ঞেস করলো -
- কি নাম তোর? বল কি কি জানিস এই মৃত্যু গুলোর বিষয়ে।
- আজ্ঞে বাবু আমি বিকাশ, আমি সব জানি।
- কিভাবে? তুই কি চিনিস এনাদের সকলকে?
- হ্যাঁ বাবু আমি চিনি, কারণ আমি এদেরকে নিজের হাতে খুন করেছি।
- কি? (সাথে সাথে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালো বড়ো বাবু)
- হ্যাঁ বাবু। আমি মেরেছি ওই মানুষ রূপী জানোয়ার গুলোকে?
- কিন্তু কেনো? ওদের সাথে তোর কি সম্পর্ক?
- সম্পর্ক যে অনেক আছে বাবু। ওরা যে আমার একটা মূল্যবান জিনিস নিয়ে নিয়েছে।
- মূল্যবান জিনিস? কি সেটা?
- আমার কলম।
- কলম?
- হ্যাঁ কলম।
- একটা কলমের জন্য তুই ৪ টে মানুষ কে মেরে দিলি!
- ৪ টে নয় তো বাবু ৩ টে। আর একটা তো...

সাত দিন আগে...

মল্লিক বাজারের সব দোকান বন্ধ। পুরো বাজার জুড়ে ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা আছে। চারিদিকে পুলিশ গিজগিজ করছে কারণ শহরের নাম করা এক চিত্রশিল্পী অরুণ রায় (বয়স ৪৭) আজকে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পুলিশ এই মৃত্যু টাকে আর স্বাভাবিক ভাবতে পারছে না। কারণ দুমাস আগে বিদিশা গুপ্তা নামে একজন ২৭ বছরের মেয়ে আর তার ঠিক পনেরো দিন পর সৌগত দত্ত বয়স ৩৭,তারাও একই ভাবে মারা যান। বিদিশা এবং সৌগত বাবু দুজনেই ছিলেন চিত্রশিল্পী। আর তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে ডাঃ রতন হালদার আর তার এক সপ্তাহ পরে অরুণ রায়। দুমাসের মধ্যে চার চারটি মৃত্যু পুলিশ তথা পুরো শহরকে ভাবিয়ে তুলছে। পুরো শহর যেনো থমথমে হয়ে আছে। আর পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এই প্রতিটি মৃত্যুর মধ্যে একটা মিল আছে আর সেটা হলো প্রত্যেকেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ব্রীজ থেকে গঙ্গায় লাফ দিয়ে জলে ডুবে মারা গেছেন। আরো একটা অদ্ভুত মিল পাওয়া গেছে কিন্তু সেটা তিন জন চিত্রশিল্পীর কাছে মানা যায়! কিন্তু সেই একই জিনিস যখন ডাক্তারের বাড়িতেও পাওয়া গেছে সেখানেই সন্দেহটা হয়েছে পুলিশের। সেটা হলো একটা চিত্র, যাতে দেখা যাচ্ছে একজন অর্ধনগ্ন মেয়ে যৌনসম্পর্কের সাগরে নিমজ্জিত হয়ে আছে, কিন্তু সেই চিত্রের ওপর একটা করে কলম রাখা।
আজ অরুণ বাবুর বাড়ির লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে জানা গেলো যে অরুণ বাবু আর সৌগত বাবু মাঝে মাঝে নিজেদের বাড়িতে আড্ডা দিতেন। আর সৌগত বাবু মারা যাওয়ার পর থেকে উনিও একটু আপসেট থাকতেন; হঠাৎ কি হলো বাড়ির লোক কিছুই জানে না। বাড়ির সবাই এটাকে বন্ধু শোকে আত্মহত্যা বলেই ধরে নিয়েছে। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ যায়নি। কিন্তু কয়েক দিন তদন্ত করার পর কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় কেসটা ক্লোজ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে ওপর মহল থেকে। ঠিক সেই সময় উপস্থিত হয়েছিল বিকাশ।

বর্তমান সময়...
- কি 'আর একটা তো' কি? বল
- আর একটা তো সত্যি সত্যি আত্মহত্যা ছিল সেটা তো আমি আটকাতে পারি নি। কিন্তু...
- কিন্তু কি?
- কিন্তু আমি যে আমার কলমটা হারিয়ে ফেললাম।
(এই বলে বিকাশ একটা চিঠি তার বুক পকেট থেকে বার করে বড়ো বাবুর হাতে দিলো)
চিঠি তে লেখা আছে...

এই দুনিয়ায় নিজের শিল্প সত্তাকে প্রকাশ করতে গেলে নাকি অন্যের কাছে নিজেকে বলিদান দিতে হয়। আজ আমি সেটাই করলাম। সৌগত দা আমার সিনিয়র, সে আমাকে ডিস্ট্রিক্ট আর্ট এক্সিভিশনে চান্স করিয়ে দেবে বলে নিয়ে গেছিলো অরুণ দার কাছে। সেখানে যাওয়ার পর অরুণ দা বলে যে এই সমস্ত জায়গায় নিজেকে তুলে ধরতে গেলে তাদের খুশি করতে হবে। কিন্তু আমি তাদের এই কুরুচিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা দুজন মিলে আমাকে ধর্ষণ করে আর সেই সময় দুজন মিলে একে একে আমার যৌনসঙ্গমকালের এই ছবিটি আঁকে। এটা নাকি এবারের এক্সবিশনের সর্ব সেরা ছবি। তারা আমাকে শাসিয়ে গেছে যদি আমি কাওকে এই কথা বলি তাহলে আমার বাড়ির লোকদেরও শেষ করে দেবে। তাই এই অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমার শিল্প সত্তাকে বলি দিয়ে একজন ধর্ষিতা না হয়ে একজন শিল্পী হিসেবে মৃত্যু বরণ করে নিজেকে গঙ্গা মায়ের কাছে বিসর্জন দিলাম। আর আমার বুকে জমে থাকা কষ্ট যন্ত্রনা এই কলমের ভারে দমিয়ে দিলাম। তাই আমার যে নগ্ন ছবিটি এঁকেছিল ওরা, সেই নগ্ন ছবিতেই আমি বুকের যন্ত্রণা ঢেকে দিলাম।

- (খানিকক্ষণ চুপ থেকে বড়ো বাবু নম্র গলায় বিকাশকে প্রশ্ন করলো) তুই কে?
- আমি? ( একটু মৃদু হেসে বললো) ওই যে কলমের মালিক।
- মানে?
- মানে? মানে হলো আমার একমাত্র কলম, আমার দিদি। আমি তাকে যা বলতাম সে তার কলমে এঁকে দিতো। তাই সেই তো আমার কলম হলো বলুন?
- (নির্বাক শ্রোতার মতো শুনে গেলেন বড়ো বাবু । কিছুক্ষন পরে একটু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন) কিন্তু দুজনকে মারলি বুঝলাম কিন্তু ডাঃ রতন হালদারকে কেনো মারলি? আর সবার বাড়িতে একই ছবি কি করে পাওয়া গেলো?
- দিদির রিপোর্টটা তো উনি করেছিলেন। উনি রিপোর্টে লিখেছিলেন যে দিদি নেশা করে বাড়ি ফিরছিল সেই সময় ব্রিজ থেকে গঙ্গায় পড়ে গিয়ে মারা যান। সেখানে ধর্ষনের কথার কোনো প্রসঙ্গই ছিল না। কারণ তাকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিল ওই জানোয়ার দুটো। তাহলে বলুন উনিও আমার কলম হারানোর জন্য দোষী হলেন কিনা? আর ছবি? সেটা তো দিদি এঁকে দিয়ে গেছে আমি শুধু তাদের বাড়ি নানান ছদ্মবেশে পৌঁছে দিয়েছি।

থানার প্রত্যেকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বিকাশের দিকে। সবাই যেনো আজ নির্বাক শ্রোতা। ঠিক সেই সময় বিকাশ হাতের বড়ো কাগজটা টেবিলে পেতে কলমটা সেই একই জায়গায় রেখে বড়ো বাবুকে বললো..
- এই দেখুন আমার সেই হারিয়ে যাওয়া কলম কি ভাবে আমার দিদির বুকের কষ্ট গুলো দমিয়ে রেখেছে। এই কলমটি সরাবেন না তাহলে আমার দিদির বুক ভরা চিৎকার ভেসে যাবে বাতাসের সাথে মিশে দূর থেকে দুরান্তে।

01/08/2023

আচ্ছা ভাইয়া তুই কি আমার সাথে Se.x নামক
জিনিসটা করবি?

নিজের চাচাতো বোনের হঠাৎ এমন কথা শুনে বিছানা
থেকে লাফ দিয়ে উঠলো শাহরিয়ার।নিজের চাচাতো
বোনের মুখ থেকে এমন কথা কখনোই আশা করেনি
সে।কপাল থেকে জড়ে পড়া ঘাম দ্রুত মুছে,ধমক দিয়ে
শাহরিয়ার তার চাচাতো বোন ফারিয়াকে বলল,

শাহরিয়ারঃ- ছিহ! এসব কি বাজে কথা বলছিস তুই?

ফারিয়াঃ তুই করবি কিনা বল?(একটু রেগে)

শাহরিয়ারঃ- আরেক বার এরুপ কথা মুখে উচ্চারন
করলে, ঠাঠিয়ে কিন্তু দুটো থাপ্পর বসিয়ে দিবো?

ফারিয়াঃ- আচ্ছা তুই তো নেট চালাস তাহলে নিশ্চয়ই
পর্ন ভিডিও দেখেছিস এবং চটি গল্পও পড়েছিস?তোর
কি ইচ্ছে করেনা, কারো সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়তে
? তোর কি নিজের যৌবন-টাকে একটু শান্তিতে ভরিয়ে
দিতে ইচ্ছে করেনা?তাহলে আয় আমার কাছে?'দুজনে
মিলে অনেক মজা করবো। তুইও বেশ মজা পাবি আর
আমিও।কাছে আস ভাইয়া।কেউ দেখবেনা। কারন এই
মূহুর্তে তুই বা আমি ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই।

শাহরিয়ারঃ- ছিহ তুই এতটা নিচু মনের মেয়ে?আমার
ভাবতেও ঘৃণা হচ্ছে।ছিহ তুই এসব পাপ কাজ.....দূর!
প্লিজ চলে যা আমার দু চোখের সামনে থেকে?

ফারিয়াঃ আহা পাপ বলছিস কেনো?তুই কি পর্ন গুলো
দেখিস না বা চটি গল্প পড়িস নি?'তারা যদি লেখতে বা
এসব করতে পারে, তাহলে আমরা কেনো'ই বা পারবো
না? আর তুই নিজেকে এত ভালো ছেলে মনে করছিস কেনো? তোর ইনবক্স চেক করলেই তো দেখা যাবে "না
জানি ক'টা মেয়ের সাথে লুটুরপুটুর করেছিস।তাই এত
ন্যাকা না সেঁজে কাছে আয়,চলনা আমরা দুজনে মিলে
অনেক মজা করি?

শাহরিয়ারের বুঝতে আর একটুও বাকি রইলো না, যে
তার চাচাতো বোন ফারিয়া, নেট দুনিয়ার ওই অন্ধকার
পৃথিবীতে ডুবে গিয়েছে।পর্নও চটি রোগে আক্রান্ত হয়ে
গেছে। যেখান থেকে বের হওয়া অতটাও সহজতর নয়
নিজেকে আর এক মুহূর্তের জন্যেও আটকাতে পারেনি
শাহরিয়ার। সঙ্গে সঙ্গেই কোষে ফারিয়ার দু-গালে দুটো
থাপ্পর বসিয়ে দেয়। সাথে সাথেই পাঁচটি আঙ্গুলের দাগ
বসে পড়ে ফারিয়ার ফর্সা গাল জোড়ায়।

শাহরিয়ারঃ- তুই আমার চাচাতো বোন! সেটা ভাবতেই
আমার আজ প্রচুর ঘৃণা হচ্ছে। হ্যাঁ আমিও নেট চালাই।
তাই বলে এটা তুই ভেবে নিস'না আমি হাজারো মেয়ের
সাথে লুটুর-পুটুর করি।পর্ন ভিডিও দেখি এবং চটি গল্প
পড়ে বিভিন্ন পাপ কাজে নিজেকে লিপ্ত করি। হ্যাঁ মাঝে
মধ্যেকিছু খারাপ ছবি বা ভিডিও চোখে পড়ে।সেগুলো
আমি এরিয়ে যাই। তাই বলে সেগুলো দেখি না।আমার
আত্ববিশ্বাস আছে নিজের প্রতি, যে আমি ইন্টারনেটের
অপব্যাবহার কখনো করবো না।কখনো'ই নেট দুনিয়ার
কোনো অন্যায় এবং পাপ কাজে জড়াবো না।
|
আমাদের এমন কিছু দেখা বা শোনা একদমই উচিত
নয় যেটা দেখে বা শুনে আমরা অন্যায় ও পাপ কাজে
লিপ্ত হবো।তোকে আমি পরিষ্কার করে বলছি, এইসব
অন্ধকার পৃথিবী ছেড়ে প্লিজ আলোর পথে চলে আয়।
তাছাড়া কিছু দিনের জন্য আমাদের বাড়িতে বেড়াতে
এসেছিস "সো" ভালো ভাবেই থাক। ভবিষ্যতে আবার
এমন কিছু করলে চাচাচাচিকে কিন্তু আমি সব কিছুই
বলতে বাধ্য হবো?

শাহরিয়ারের কথার জবাবে ফারিয়া আর কিছু বলতে
পারলো না। গালে হাত দিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে
গেলো। ফারিয়া চলে যাওয়ার পরই শাহরিয়ার নিজের
রুমের দড়জা দ্রুততার সাথেই বন্ধ করলো। এবং মনে
মনে ভাবতে থাকে,

শাহরিয়ারঃ- আজকাল কত শত ছেলে-মেয়ে যে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যায় পথে যাচ্ছে,হিসাব ছাড়া!
যদি বিভিন্ন ১৮+ আইডি, গ্রুপ, পেইজ অথবা বিভিন্ন
১৮+সাইটের বিরুদ্ধে একশন নেওয়া হতো বা সেগুলো
নষ্ট করে দেওয়া হতো তাহলে মনে হয় অনেক ছেলে
মেয়ে অন্যায় পথে যাওয়ার হাত থেকে বেঁচে যেতো।
কিন্তু কেউই সে সবের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার একশন
নিচ্ছে না।তাছাড়া আমি অনেক বড় বড় গ্রুপ ও
পেইজের এডমিনকে রিকোয়েস্ট করেছিলাম।যে তারা
যেন বিভিন্ন ১৮+ আইডি পেইজ, গ্রুপে রিপোর্ট মারতে
মারতে নিমিষেই নষ্ট করে দেয়।কিন্তু তারা কেউআমার
এসব কথা কোনো গরুত্বতার আকারে দেখেনি।জবাবে
তারা প্রত্যেকে বলেছিল,আমাদের আর কাজ কাম কি
নাই যে ওদের বিরুদ্ধে লাগতে যাবো?
তারপরেও অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলাম। কিন্তু লাভ
হয়নি।'একটি বার ভেবে দেখুন তো যদি বড় বড় ভালো
গ্রুপ, পেইজ, সাইট, আইডি সবাই যদি সেসব ১৮+
আইডি পেইজ এবং সাইটের বিরুদ্ধে লাগে তাহলে
আমার মনে হয়না ওই সব ১৮+আইডি,পেইজ,সাইটের
চিহ্ন টুকুও পাওয়া যাবে। প্রতিদিন শতশত ছেলে-মেয়ে
কিন্তু নষ্ট হচ্ছে এসব বাজে পেইজ,গ্রুপও বিভিন্ন
সাইটের জন্য।

রাতে খাবার খাওয়ার জন্য ফারিয়াকে ডাকতে গিয়ে
শাহরিয়ার দেখলো, ফারিয়া ওসব ১৮+ভিডিও গুলো
দেখছে।শাহরিয়ার দ্রুত ফারিয়ার কাছ থেকে ফোনটা
কেড়ে নিয়ে বলল,

শাহরিয়ারঃ ছিহ তোকে এতো করে বলার পরেও তুই
আবার এসব দেখছিস?তোর মৃত্যুর ভয় বলতে কোনো
কিছুই কি নেই?এতটা নির্লজ্জ খারাপ কি করে হলি?

ফারিয়াঃ আমার মোবাইল দে বলছি?

শাহরিয়ারঃ না! দিবো না।আর আমি এখুনিই চাচা ও
চাচিকে গিয়ে সবটা বলছি?

কথাটা বলার সাথে সাথে যখন শাহরিয়ার সামনে পা
বাড়াতে যাবে, তার পূর্বেই ফারিয়া দ্রুত রুমের দরজা
বন্ধ করে, নিজ জামার খানিকটা অংশ ছিড়ে ফেলে।

শাহরিয়ারঃ এই তুই এসব কি করছিস?আমাকে যেতে
দে বলছি?আজ আমি তোর এই মোবাইলটা চাচা চাচি
কে দেখিয়েই ছাড়বো।

শাহরিয়ারের কথার জবাবে ফারিয়া তেমন কিছু বলল
না। শুধুই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে লাগলো।
চিৎকার চেঁচা'মেচি শুনে বাসার সবাই দৌড়ে আসলো।
কিন্তু রুমের দড়জা বন্ধ থাকায় কেউ প্রবেশ করতে
পারছিল না।পরবর্তীতে তারা দড়জা ভাঙতে বাধ্য হয়।
ভেতরে গিয়ে সবাই দেখতে পেলো,ফারিয়া রুমের এক
কোণে পড়ে আছে।'ফারিয়া নিজের বাবাকে দেখা মাত্র
জড়িয়ে ধরলো।এবং পরিশেষে কাঁদতে কাঁদতেই বলল

ফারিয়াঃ বাবা....শাহরিয়ার আমার গোসলের ভিডিও
বানিয়ে.....সেটা দেখিয়ে আমার সাথে জোরজবরদস্তি
করে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছিল।

শাহরিয়ারের মাথায় এই মূহুর্তে যেন গোটা আকাশটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। নিজের মেয়ের মুখে এরুপ কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না।সজোরে
একটা লাথি মারলো শাহরিয়ারের বুকে।
শাহরিয়ার কিছু বলতে চাইলেও তাকে বলার মতোন
কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। অতঃপর শাহরিয়ারের
গালে, ঠাটিয়ে কয়েক-টা থাপ্পর বসিয়ে দেওয়ার পর
শাহরিয়ারের বাবা বলল,

শাহরিয়ারের বাবাঃ তোর মতো কুলঙ্গার'কে জন্ম দিয়ে
আমি খুব বড় একটা ভুল করেছি।'এই মুহূর্তে তুই বাড়ি
থেকে বেড়িয়ে যাবি!.......

শাহরিয়ারঃ বাবা আমার কথা-গুলো তো একটা বার
শুনো? ( ছলছল চোখে)

কিন্তু একটা বারের মতোও কেউ শুনে নি শাহরিয়ারের
কথা-গুলো।বাড়ি থেকে দূর দূর করে বের করে দিলো।
রাত প্রায় ১২টা। রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সে
ভাবছে, এখন কোথায় যাবে? কি করবে? মিথ্যা একটা
অপবাধে সে যে আজ সর্বহারা।না চাইতেও চোখ দিয়ে
টপটপ করে শাহরিয়ারের জল গড়িয়ে পড়ছে। কোনো
ক্রমে'ই আটকাতে পারছে না। হঠাৎ শাহরিয়ার দেখতে
পেলো, তার সামনে কেউ একজন যেন দাড়িয়ে আছে।
অতঃপর আরও ভালো করে তাকিয়ে দেখলো,দাড়িয়ে
থাকা মানুষটি আর কেউ নয় স্বয়ং ফারিয়া।

শাহরিয়ারঃ ফারিয়া তুই এখানে?কেনো!কিভাবে?আর
কি চাস আমার কাছ থেকে? সব কিছু তো তুই কেঁড়েই
নিয়েছিস। আমার সুন্দর জীবনকে বরবাদ করে দিলি।

শাহরিয়ারের কথার জবাবে, ফারিয়া এক প্রকার অট্ট
হাসিতে মেতে উঠে বলল,

ফারিয়াঃ তোর এই সুন্দর চেহারা দেখে না সবাই তোর
প্রতি আকৃষ্ট হয়? আজ তোর এই সুন্দর্য'টাই আমি নষ্ট করে দিবো।

কথাগুলো বলার পরপরই ফারিয়া পানির মতো কিছু একটা শাহরিয়ারের মুখে ছুড়ে মারলো।মুখে পড়তেই
শাহরিয়ার বুঝতে পারলো, এটা এসিড জাতীয় কিছু।
সাথে সাথেই যন্ত্রনায় কাতর হয়ে, শাহরিয়ার চিৎকার
দিয়ে উঠলো।প্রতি নিয়তো ছটফট করছে সে।যন্ত্রণায়
শেষমেশ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গড়াগড়ি করতে থাকে।

শাহরিয়ারঃ হে আল্লাহ কি আমার অপরাধ? তুমি বল?
কেনো আমার সাথেই এমনটা হলো......আমি যে আর
সহ্য করতে পারছি না।...'এতটা যন্ত্রণা বেদনা কি করে আমি নিজের উপর সহ্য করবো?আঅআআআ আমি
পারছি না আর!..আআআআআআআআ....!

মুখে এসিড পড়লে যতটা না কষ্ট হয় ততটা কষ্ট পাচ্ছে
শাহরিয়ার। আর যন্ত্রণ বেদনা কষ্ট সহ্য করতে পারে নি
শাহরিয়ার। আস্তে আস্তে শাহরিয়ারের চোখ দু-টো বন্ধ
হয়ে যায়।

তবে এখানেই কি শেষ হয়ে যাবে শাহরিয়ারের গল্প। না
কি ঘুরে দাড়াঁবে।শুরু করবে নতুন এক অধ্যায়।

গল্পঃ- নেট_দুনিয়ার_কিং
পর্বঃ- ১

পরবর্তী পর্ব পেতে পেজে ফলো করে রাখুন ।

21/07/2023

ছেলে : হিজাবটা একটু খুলবে? তোমায় দেখতাম।
মেয়ে:-হ্যাঁ,খুলছি।
ছেলে :-শাড়ি পরেছো?
মেয়ে:-হ্যাঁ।
ছেলে :-কি রঙের?
মেয়ে:-দেখবে?
ছেলে :-হ্যাঁ, দেখবো।
মেয়ে:-আচ্ছা।একটু অপেক্ষা করো।ওপাশের লোকটা যাক।
ছেলে :-তোমায় তো আজ বেশ লাগছে।
মেয়ে:-তাই...
ছেলে :-হ্যাঁ। লজ্জ্বা পেলে?
মেয়ে:-হুমমম,একটু।বোরকাটা খুলি তাহলে।
ছেলে :-হ্যাঁ খোলো।
মেয়ে:-চোখ বন্ধ করো।
ছেলে :-আচ্ছা...!!
মেয়ে:-হুমম,এবার খোলো।
ছেলে :-বাহ্!! দারুন লাগছে তোমায়।
মেয়ে:-হিহি
ছেলে :-সেই শাড়িটা?
মেয়ে:-হ্যাঁ...!! শাড়িটা বের করার সময় তোমার পাঞ্জাবীটা দেখে তোমার কথা মনে পড়ছিলো।
ছেলে :-কেঁদেছো?
মেয়ে:-হুমমম..
ছেলে :-কেনো?
মেয়ে:-তুমি স্বার্থপরের মতো আমাকে ছেড়ে চলে এসেছো।একা একা খুব কষ্ট হয় আমার।আমি যখন চা বানাতে যাই,ভুলে ভুলে তোমার মগেও বানিয়ে ফেলি।গভীর রাতে ঘুমের ভিতর তোমার বালিশের উপর হাত পড়লেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।তোমাকে দেখতে না পেলেই আমার কান্না আসে।
ছেলে :-খুব কষ্ট পেয়েছো তাই না?
মেয়ে:-অনেক।
ছেলে :-সরি..
মেয়ে:-হুহ,সরি বলতে হবে না।
ছেলে :-আচ্ছা শোনো,
মেয়ে:-হুম বলো.
ছেলে :-তুমি আমার হয়ে সবাইকে কিছু কথা বলে দিতে পারবে?
মেয়ে:-কি কথা?
ছেলে :-ওদের সবাইকে বলবে ওরা যেনো একটু সাবধানে চলাচল করে।সড়ক দুর্ঘটনা যেনো আর কারো প্রিয়জন ছিনিয়ে নিতে না পারে।
মেয়ে:-আচ্ছা..... (অশ্রুশিক্ত চোখে)
ছেলে :-উফ..!! এখন কেঁদো না তো।তোমার চোখের কাঁজল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।পায়ে আলতা দিয়েছো?আচ্ছা আমার জন্য বসন্তের ফুল আনোনি?
মেয়ে:-হ্যাঁ এনেছি।
ছেলে :-কই দাও..

তারপর

মেয়েটি -ফুলগুলো কবরের উপর রেখে,ব্যাগ থেকে কোরআন শরীফটা বের করে পড়তে শুরু করলো মেয়েটা।কথা ছিলো এই বসন্তে শাড়ি-পাঞ্জাবী পরে দুজনে বের হবে।কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা তাদের স্বপ্নের মাঝে এপার ওপারের দুরত্ব তৈরী করে দিয়েছে!
#সমাপ্ত 😢💔
~(সত্যি গল্প খুব কষ্টের ছিলো) 😢

সবাই সড়কে চলাচলের সময় দেখে পাড় হবেন । যাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আর কারো প্রিয়জনকে হাড়াতে না হয়।

যারা এখনো আমাদের গ্রূপে জয়েন না হয়ে গল্প পড়ছেন তারা এখনোই আমাদের গ্রূপে জয়েন হয়ে নিন আমাদের গ্রুপ টা পাবলিক করা আমাদের গ্রূপের গল্প গল্প মন ছুঁয়ে যাবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে জয়েন হন 📕-সাহিত্য কুটির-📗

20/07/2023

Keno koro🙄

13/07/2023

্প_আমি_পদ্মজা পর্ব-০১...
___________
ফাহিমা ক্লান্ত হয়ে ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ল। হাত থেকে লাঠি পড়ে গিয়ে মৃদু আওয়াজ তুলে। তার শরীর ঘেমে একাকার। কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম হাতের তালু দিয়ে মুছে, বার কয়েক জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলল। এরপর চোখ তুলে সামনে তাকাল। রিমান্ডে কোনো পুরুষই টিকতে পারে না,সেখানে একটি মেয়ে আজ চার দিন ধরে রিমান্ডে। তাঁর সামনে চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় ঝিমুচ্ছে। চার দিনে একবারও মুখ দিয়ে টু শব্দটি করল না। শারিরীক, মানসিক কত নির্যাতন করা হয়েছে তবুও ব্যথায় আর্তনাদ অবধি করেনি! মনে হচ্ছে, একটা পাথরকে পিটানো হচ্ছে। যে পাথরের রক্ত ঝড়ে কিন্তু জবান খুলে না। তখন সেখানে আগমন ঘটে ইন্সপেক্টর তুষারের। তুষারকে দেখে ফাহিমা কাতর স্বরে বলল, 'সম্ভব না আর। কিছুতেই কথা বলছে না।'
তুষার অভিজ্ঞ চোখে মেয়েটিকে দুয়েক সেকেন্ড দেখল।এরপর গম্ভীর কণ্ঠে ফাহিমাকে বলল, 'আপনি যান।'

ফাহিমা এলোমেলো পা ফেলে চলে যায়। তুষার একটা চেয়ার নিয়ে মেয়েটির সামনে বসল। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, 'আপনার সাথে আজ আমার প্রথম দেখা।'

মেয়েটি কিছু বলল না। তাকালও না। তুষা মেয়েটির দিকে সূক্ষ্ম দৃষ্টি মেলে তাকাল। বলল,'মা-বাবাকে মনে পড়ে?'

মেয়েটি চোখ তুলে তাকায়। ঘোলাটে চোখ। কাটা ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে। চোখের চারপাশ গাঢ় কালো। চোখ দু'টি লাল। মুখের এমন রং রিমান্ডে আসা সব আসামীর হয়। তুষার মুখের প্রকাশভঙ্গী আগের অবস্থানে রেখেই আবারও প্রশ্ন করল, 'মা-বাবাকে মনে পড়ে?'

মেয়েটি মাথা নাড়ায়। মনে পড়ে তার! তুষার একটু ঝুঁকে। মেয়েটি অসহায় দৃষ্টি মেলে তাকায়। তুষার মেয়েটির হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে প্রশ্ন ছুঁড়ল, 'নাম কী?'

যদিও তুষার মেয়েটির নাম সহ পুরো ডিটেইলস জানে।তবুও জিজ্ঞাসা করল। তার মনে হচ্ছে,মেয়েটি কথা বলবে। সত্যি তাই হলো। মেয়েটি ভারাক্রান্ত কণ্ঠে নিজের নাম উচ্চারণ করল, 'পদ্ম...আমি...আমি পদ্মজা।'

পদ্মজা হেলে পড়ে তুষারের উপর। তুষার দ্রুত ধরে ফেলল। উঁচু কণ্ঠে ফাহিমাকে ডাকল,'মিস ফাহিমা। দ্রুত এদিকে আসুন।'
ফাহিমা সহ আরো দুজন দ্রুত পায়ে ছুটে আসে।

___________

১৯৮৯ সাল। সকাল সকাল রশিদ ঘটকের আগমনে হেমলতা ভীষণ বিরক্ত হোন। তিনি বার বার পইপই করে বলেছেন, 'পদ্মর বিয়ে আমি এখুনি দেব না। পদ্মকে অনেক পড়াবো।' তবুও রশিদউদ্দিন প্রতি সপ্তাহে, সপ্তাহে একেক পাত্রের খোঁজ নিয়ে আসবেন। মেয়ের বয়স আর কতই হলো? মাত্র ষোল। শামসুল আলমের মেয়ের বিয়ে হয়েছে চব্বিশ বছর বয়সে। পদ্মর বিয়েও তখনি হবে। পদ্মর পছন্দমতো। হেমলতা রশিদকে দেখেও না দেখার ভান ধরলেন। রশিদ এক দলা থুথু ফেললেন উঠানে। এরপর হেমলতার উদ্দেশ্যে বললেন, 'বুঝছো পদ্মর মা,এইবার যে পাত্র আনছি,এক্কেরে খাঁটি হীরা।'
হেমলতা বিরক্তভরা কণ্ঠে জবাব দিলেন, 'আমি আমার মেয়ের জন্য পাত্র চাইনি। তবুও বার বার কেন আসেন আপনি?'
'যুবতী মাইয়া ঘরে রাহন ভালা না।'
'মেয়েটা তো আমার। আমাকেই বুঝতে দেন না।' হেমলতার কণ্ঠে বিরক্তি ঝরে পড়ছে।

রশিদ অনেক চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারলেন না।ব্যর্থ থমথমে মুখ নিয়ে সড়কে পা রাখেন। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পাত্রপক্ষ এসে হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে বলবে, 'মোর্শেদের বড় ছেড়িডারে চাই।'

রশিদ নিজে নিজে বিড়বিড় করে আওড়ান, 'গেরামে কি আর ছেড়ি নাই? একটা ছেড়িরেই ক্যান সবার চোক্ষে পড়তে হইব? চাইলেই কি সব পাওন যায়?'

পূর্ণা স্কুল জামা পরে পদ্মজাকে ডাকল, 'আপা? এই আপা? স্কুলে যাবি না? আপারে..."
পদ্মজা পিটপিট করে চোখ খুলে কোনোমতে বলল, 'না।' পর পরই চোখ বুজে ঘুমে তলিয়ে গেল। পূর্ণা নিরাশ হয়ে মায়ের রুমে আসে।

'আম্মা,আপা কী স্কুলে যাইব না?'

হেমলতা বিছানা ঝাড়া রেখে পূর্ণার দিকে কড়াচোখে তাকান। রাগী স্বরে বললেন, 'যাইব কি? যাবে বলবি।'

পূর্ণা মাথা নত করে ফেলল। হেমলতার কড়া আদেশ, মেয়েদের পড়াশোনা করাচ্ছি অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলার জন্য নয়। শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। পূর্ণাকে মাথা নত করতে দেখে হেমলতা তৃপ্তি পান। তার মেয়েগুলো মান্যতা চিনে খুব। খুবই অনুগত। তিনি বিছানা ঝাড়তে ঝাড়তে বললেন, 'পদ্মর শরীর ভালো না। সারারাত পেটে ব্যাথায় কাঁদছে। থাকুক,ঘুমাক।'

পূর্ণার কিশোরী মন বুঝে যায়,পদ্মজা কীসের ব্যাথায় কেঁদেছিল। সে রাতে নানাবাড়ি ছিল বলে জানতো না।ভোরেই চলে এসেছে। নানাবাড়ি হেঁটে যেতে পাঁচ মিনিট লাগে। পূর্ণাকে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হেমলতা বললেন, 'তুই যা। মাথা নীচু করে যাবি মাথা নীচু করে আসবি।'
'আচ্ছা,আম্মা।'

পূর্ণা রুমে এসে আয়নার সামনে দাঁড়াল। নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। এরপর গত মাসে মেলা থেকে আনা লাল লিপস্টিক গাঢ় করে ঠোঁটে মাখে। চৌদ্দ বছরের পূর্ণার ইদানীং খুব সাজতে ইচ্ছে করে। হেমলতা সেজেগুজে স্কুলে যাওয়া পছন্দ করেন না বলে,পূর্ণা আগে লিপস্টিক মাখেনি।

___________

টিন দেয়ালের কাঠের ঘড়ির কাঁটায় সকাল দশটা বাজল মাত্র। এখনো পদ্মজা উঠল না। হেমলতা মেয়েদের রুমে ঢুকেন। পদ্মজা দু'হাত ভাঁজ করে ঘুমাচ্ছে। জানালার পর্দা ভেদ করে আসা আলতো পেলব রোদ্দুরের স্পর্শে পদ্মজার মসৃণ, পাতলা ঠোঁট, ফর্সা ত্বক চিকচিক করছে। হেমলতা বিসমিল্লাহ বলে,তিনবার ফুঁ দেন মেয়ের শরীরে। গুরুজনরা বলেন, মায়ের নজর লাগে বেশি। নজর কাটাতে বিসমিল্লাহ বলে ফুঁ দিতে হয়। হেমলতার মায়া লাগছে পদ্মজার ঘুম ভাঙ্গাতে। তবুও আদুরে গলায় ডাকলেন, 'পদ্ম। এই পদ্ম...'

পদ্মজা চোখ খুলে মাকে দেখে দ্রুত উঠে বসে। যেদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় সেদিনই হেমলতা ডেকে তুলেন। পদ্মজা অপরাধী কণ্ঠে প্রশ্ন করল, 'বেশি দেরি হয়ে গেছে আম্মা?'
'সমস্যা নেই। মুখ ধুয়ে খেতে আয়।'

পদ্মজা দ্রুত কলপাড়ে গিয়ে ব্রাশ করে,মুখ ধৌত করে। হেমলতা শিক্ষকের মেয়ে। তাই তাঁর মধ্যে নিয়ম-নীতির প্রভাব বেশি। মেয়েদের শক্তপোক্ত নিয়মে রেখে বড় করছেন। পদ্মজা রান্নাঘরে ঢুকে দেখল প্লেটে খাবার সাজানো। সে মৃদু হেসে প্লেট নিয়ে টেবিলে গিয়ে বসল। তখন হেমলতা আসেন। পদ্ম দ্রুত ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকে। হেমলতার দেওয়া আরেকটা নিয়ম, খাওয়ার সময় মাথা ঢেকে খেতে হবে। পদ্মজা নিশ্চুপ থেকে শান্তভঙ্গিতে
খেতে থাকল । হেমলতা মেয়েকে সহজ কণ্ঠে বললেন, 'তাড়াহুড়ো করছিস কেন? মুখ ধুতে গিয়ে চুল ভিজিয়ে এসেছিস।খেয়ে রোদে বসে চুলটা শুকিয়ে নিবি ।'
'আচ্ছা,আম্মা।'
'আম্মা, পূর্ণা, প্রেমা আসে নাই?'
'পূর্ণা আসছে। স্কুলে গেছে। প্রেমা দুপুরে আসব।'
'আম্মা,আব্বা কবে আসবেন?'

পদ্মজার প্রশ্নে হেমলতা দাঁড়িয়ে পড়লেন। শুকনো গলায় জবাব দেন, 'জানি না। খাওয়ার সময় কথা বলতে নেই।'

হেমলতা চলে যেতেই পদ্মজার চোখ থেকে টুপ করে এক ফোঁটা জল পড়ে পাতে। পদ্মজা দ্রুত হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের জল মুছে। পদ্মজার জীবনে জন্মদাতা আছে ঠিকই। কিন্তু জন্মদাতার আদর নেই। সে জানে না তাঁর দোষটা কী? কেন নিজের বাবা বাকি বোনদের আদর করলেও তাকে করে না? কথা অবধিও বলেন না। দুইবার মাকে জিজ্ঞাসা করেছে সে, 'আমি কী তোমাদের সত্যিকারের মেয়ে আম্মা? সন্তান হয় না বলে কি দত্তক এনেছিলে? আব্বা কেনো আমাকে এতো অবহেলা করেন? ও আম্মা বলো না?'

হেমলতা তখন নিশ্চুপ থাকেন। অনেকক্ষণ পর বলেন, 'তুই আমার গর্ভের সন্তান। আর তোর বাবারই মেয়ে। এখন যা,পড়তে বস। অনেক পড়তে হবে তোর।'

ব্যস এইটুকুই! এর বেশি কিছু বলেন না হেমলতা। পদ্মজার কেন জানি মনে হয়,একদিন হেমলতা নিজ থেকে খুব গোপন কোনো কথা বলবেন। তবে সেটা যেন সহ্য করার মতো হয়। এই দোয়াই সারাক্ষণ করে সে।

'এতো কী ভাবছিস? তাড়াতাড়ি খেয়ে উঠ।'

হেমলতার কথায় পদ্মজার ভাবনার সুতো ছিড়ল। দ্রুত খেয়ে উঠে। আজ আমের আচার বানানোর কথা ছিল।

___________

সন্ধ্যা কাটতেই বিদ্যুৎ চলে গেল। কয়েক মাস হলো গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। আট গ্রাম মিলিয়ে অলন্দপুর। তাঁদের গ্রামের নাম আটপাড়া। প্রতিদিন নিয়ম করে সন্ধ্যারাত থেকে তিন ঘন্টা গ্রাম অন্ধকারে তলিয়ে থাকে। আর সারাদিন তো বিদ্যুৎ-এর নামগন্ধও থাকে না। বিদ্যুৎ দিয়ে লাভটা কী হলো? পদ্মজা,পূর্ণা,প্রেমা তিন বোন একসাথে পড়তে বসেছিল। বাড়ি অন্ধকার হতেই নয় বছরের প্রেমা খামচে ধরে পদ্মজার ওড়না। পদ্মজা মৃদু স্বরে ডাকল,
' আম্মা? আম্মা..."
' আয়,টর্চ নিয়ে যা।'

হেমলতার আহ্বানে পদ্মজা উঠে দাঁড়াল। প্রেমা অন্ধকার খুব ভয় পায়। পদ্মজার ওড়না ছেড়ে পূর্ণার হাত চেপে ধরে। টর্চ নিয়ে রুমে ঢোকার মুহূর্তে পদ্মজা গেইট খোলার আওয়াজ পেল। উঁকি দিয়ে হানিফকে দেখে সে দ্রুত রুমে ঢুকে পড়ল। হানিফ পদ্মজার সৎ মামা।

' বুবু...বাড়ি আন্ধার ক্যান!বাত্তি-টাত্তি জ্বালাও।' হানিফের কণ্ঠ।
' হানিফ আসছিস?'হেমলতা রুম থেকে বেরিয়ে বলেন। হাতে হারিকেন। হানিফ সবকটি দাঁত বের করে হাসল। বলল, 'হ,আমি।'
'আয়,ভেতরে আয়।'
হানিফ বারান্দা পেরিয়ে বড় ঘরে ঢুকে বলল, 'তোমার ছেড়িগুলান কই তে?'
'আছে রুমেই। পড়ছে।'
'এই আন্ধারেও পড়ে!'

হেমলতা কিছু বললেন না। হানিফ এই বাড়িতে আসলে কেন জানি খুব অস্বস্তি হয়। অকারণেই!

'ওদের খাওয়ার সময় হয়েছে। তুইও খেয়ে নে?'
'এইহানেই খামু? না তোমার সরাইখানাত যাইতে হইবো?'

কথাটায় রসিকতা ছিল। গ্রামে থেকেও হেমলতা খাওয়ার জন্য আলাদা রুম নির্বাচন করেছেন সেটা হানিফের কাছে রসিকতাই বটে! হেমলতা প্রশ্নের জবাব সোজাসাপটা না দিয়ে বললেন, 'খেতে চাইলে খেতে আয়।'

পদ্মজা কিছুতেই খেতে আসল না। কেমন জড়োসড়ো হয়ে আছে। মনে হচ্ছে, হানিফকে ভয় পাচ্ছে বা অবহেলা করছে। হানিফ ছয় বছর সৌদিতে ছিল। তিন মাস হলো দেশে ফিরেছে। তিন মাসে যতবার হানিফ এই বাড়িতে পা রেখেছে ততবারই পদ্মজা অজুহাত দিয়ে দূরে দূরে থেকেছে। হেমলতার বিচক্ষণ মস্তিষ্ক মুহূর্তে ভেবে নিল অনেক কিছু। তাই জোর করলেন না। আজই এই লুকোচুরির ফয়সালা হবে। হানিফ পদ্মজাকে দেখার জন্য অনেক ছলচাতুরী করল। কিছুতেই সুযোগ পেল না। বিদ্যুৎ আসার ঘন্টাখানেক পর হানিফ চলে যায়। পূর্ণা, প্রেমা রুমে ঢুকতেই পদ্মজা ঝাঁপিয়ে পড়ে। রুদ্ধশ্বাস কণ্ঠে বলল, 'কতবার না করেছি? লোকটার পাশে বেশিক্ষণ না থাকতে? তোরা কেনো শুনিস না আমার কথা?'

পূর্ণা ও প্রেমা বিস্ময়ে হতবিহ্বল। পদ্মজা কখনো তাদের এমন নিষেধ দেয়নি। তাহলে এখন কেন এমন বলছে?হেমলতা রুমে ঢুকতেই পদ্মজা চুপসে গেল।
'পদ্ম আমার রুমে আয়।'

মায়ের এমন কঠিন কণ্ঠ শুনে পদ্মজার কলিজা শুকিয়ে আসে। হেমলতা নিজের ঘরে চলে যান।

হেমলতা মেয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। পদ্মজা নতজানু হয়ে কাঁপছে। সুন্দরীরা ভীতু আর বোকা হয় তার দৃষ্টান্ত প্রমাণ পদ্মজা। হেমলতার খুব মায়া হয় পদ্মজার সাথে উঁচুকণ্ঠে কথা বলতে। পদ্মজা রূপসী বলেই হয়তো! গোপনে আবেগ লুকিয়ে তিনি বজ্রকণ্ঠে প্রশ্ন করলেন, 'কী লুকোচ্ছিস? হানিফের সামনে কেন যেতে চাস না? সে কী করেছে? '

পদ্মজা ফোঁপাতে থাকে। হেমলতা সেকেন্ড কয়েক সময় নিয়ে নিজেকে সামলান। কণ্ঠ নরম করে বললেন, 'হানিফ ধড়িবাজ লোক! সৎ ভাই বলে বলছি না। আমি জানি। তাঁর ব্যাপারে যেকোনো কথা আমার বিশ্বাস হবে। তুই বল কী লুকোচ্ছিস?'

মায়ের আদুরে কণ্ঠে পদ্মজা আচমকা বাঁধ ভাঙ্গা নদীর মতো হু হু করে কেঁদে উঠল।

চলবে....