15/07/2023
সে দিনের এ দিনে!
(২০ বছরে কালজয়ী "খায়রুন সুন্দরী")।
১৬ জুলাই ২০০৪ সাল। সারাদেশ বন্যায় প্লাবিত! সময়টা অস্থির, অশ্লীলতার করালগ্রাস, তার আগের বছর অর্থাৎ ২০০৩ সালের ঈদুল আযহায় অশ্লীলতার বিরুদ্ধে একহাত তুলে ইমপ্রেসের প্রযোজনায় প্রথম পরিচালিত সিনেমা "কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি" দিয়ে বোদ্ধামহলের ভূয়সী প্রশংসা কুড়ালেন এবং জাতীয় পুরস্কার এর একাধিক শাখায় পুরস্কৃত হল। সেই সৌভাগ্যদেবী থাকার কারনে প্রযোজক ঝুঁকি নিতে ভয় পাননি! আর ভয় পাননি বলেই প্রবল বন্যার মাঝেও ব্যবসায়ে অলটাইম ব্লকবাস্টার সিনেমার তালিকায় চলে গেল, আর সে সিনেমাটি হয়ে রইল বাংলা চলচ্চিত্রের ফোক ফ্যান্টাসি সিনেমায় বেদের মেয়ে জোসনার পর সর্বকালের ২য় সেরা সফল ফোক সিনেমা।
শ্রুতিমধুর গান, গ্রামীণ প্রেক্ষাপট, প্রাণবন্ত অভিনয়, মৌহিনীরূপে মৌসুমী আর বাস্তব ঘটনার এ এক অপূর্ব মেলবন্ধন। সেই সিনেমার নাম "খায়রুন সুন্দরী"। যেটা ছেলে বুড়ো থেকে আমজনতার কাছে একটি জনপ্রিয় সিনেমার নাম যা আজ ২০ বছরে পদর্পণ করছে।
গল্প, প্রেক্ষাপট অথবা সফলতার কাহিনী তো সবার জানা, তাই আজ বলব কিছু ভিন্ন কথা যা খায়রুন সুন্দরী উপাখ্যান হয়ে আছে!
১. যুগান্তর পত্রিকার খবরে প্রকাশ--- হলে গিয়ে সিনেমাটি না দেখতে পেরে আত্নহত্যা করেছিল এক প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে!
২. একই পেপারের নিউজ ছিল --- মৌসুমীতে সব হয়, সারাদেশে বন্যা আবার অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সুস্থ সিনেমার জয়জয়কার!
৩. ফোক বা সুন্দরী সিরিজের একাধিক সিনেমা নির্মাণের হিড়িক এই খায়রুন সুন্দরীর মহা সাফল্যের পর পর। ---জমেলা সুন্দরী, রসিয়া সুন্দরী, স্বামী হারা সুন্দরী, বউ বন্ধক,গোলাপজান ইত্যাদি ইত্যাদি।
৪. একই বছর সেপ্টেম্বরে মাদারীপুরের শিবচরে লোকালয়ে বন্যার পানি তখনও সরেনি, সিনেমা হলের সামনে মহিলা, পুরুষদের লম্বা লাইন হাটু সমান পানিতে দাঁড়িয়ে পরবর্তী শো এর জন্য!
৫. ২০০৫ সালের সেই জুলাইতে টঙ্গীর পাশাপাশি ৩ টি সিনেমা হলে (আনারকলি, চম্পাকলি,ক্যাপরী ) একযোগে চলেছিল টানা কয়েক সপ্তাহ!
এছাড়াও দেশের অসংখ্য সিনেমা হলে মুক্তির পরের বছরও তুমুল জনপ্রিয়তায় চলেছে।
কালজয়ী খায়রুন সুন্দরী সময়ের স্রোতে সংখ্যাত্বত্তে হয়ত যুগ যুগান্তর পার করবে তবু দেখার রেশ রয়ে যাবে নতুন হয়ে। কারন খায়রুন সুন্দরীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের অনেক দর্শক মুগ্ধ হয়েছিল, যেমনটি বিমোহিত হয়েছিল কেয়ামত থেকে কেয়ামতের মোহিনী মৌসুমীর মাধ্যমে।