Minhazul Islam

Home
Minhazul Islam

Hey,Its Minhazul Islam Royel.

20/10/2023

🤎

20/09/2023

Paolo Coelho is an inspirational writer. He attempts to impart life lessons through literature in his writing. 😇

The story "VERONICA WANTS TO DIE" centers a young women who attempts a su***de because of the lacking of fascination in her life. The author tried to convey the meaning and value of life. Later, she discovered something inspiring about life.
We do not want to appreciate the moments we live. Where every day is a miracle, we should be grateful to God for allowing us to live another day. 💛

More on, why we want to waste our little moments by making others happy, thinking about what other will think about us, how they will judge us.

Should not we live our own life ? Pursue our own way of living ?

The society believes in norms. Are those norms applies for all ? Who are we to set norms for other ?

🤖🤖

27/10/2022

প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস-

তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।

এ সংসারে নিত্য খেলায় প্রতিদিনের প্রাণের মেলায়

বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য-পরিহাস-

মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ

11/07/2022

-শোনো, মিলি,চাঁদ দেখে মানুষ আনন্দ পায়। অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়া চাঁদকে দেখে সে ভাবে একদিন তাকেও কোনো সূর্য আলো দিবে আর সে জ্বলবে।সূর্যের আলো কখোনো দেখতে ছাদে উঠতে বলেছো। চলুন না দেখে আসি,আজ কেমন সুন্দর মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলছে সূর্যটা। কেমন পূর্ণিমার চাঁদের মতোন পূর্ণ হয়ে আলো চড়াচ্ছে। কখোনোই না। দেখেছো শুধু ক্লান্ত সূর্যকে সমুদ্রে ডুবে যেতে,ঘুম ঝেড়ে ওঠা নবীন সূর্যকে।পরিণিত সূর্যকে হিংসে হয় তোমার ?

-চলুন না ছাদে যাই,চাঁদ টা কেমন সুন্দর লুকোচুরি খেলছে,দুজন বসে দেখি।যাবেন?

মিলির এ প্রশ্নের জবাবে উপরের কথাগুলো বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমিও বলতে পারিনি। পারিনি লোভ সামলাতে,এই লুকোচুরি খেলার মাঝে মিলির সাথে সময় কাটাতে। আমিও বসেছিলাম অবুঝের মতোন দেখতে চাঁদকে। চাঁদ কতটুকু সুন্দর ছিলো তা জানিনা,জানতেও ইচ্ছে হয়নি,যা পেয়েছি,মিলির সাথে ছাদের রেলিং এ পা ঝুলিয়ে আমার কাধে মাথা রেখে চুপটি করে কাটানো সময়।মিলি বরাবরই গভীর যেকোনো কিছুকেই ভয় পেতো। তবে,কখোনোই আমার চোখের দিকে তাকিয়ে, সেখানে ভয় পায়নি। তবে কি সেখানে গভীরতা কম ছিলো।তাই কি……..

09/04/2022

The novel is about a journey started by a young boy Santiago, Who wanted to be a traveler but eventually, becomes a shepherd. Because, a shepherd can travel a lot. Days were going well in a static way until he had a weird dream which created the plot of the whole novel. The target, the goal to achieve. He was blessed with a dream by God . He takes a chance to grab it. As he was in dilemma, a little spark made a fire for the road by an old man. Young, energetic Santiago was not enough experienced to face a new world. He was not familiar with it. Soon he got fooled by a con and lost all his belongings. Taking the initiative to start a completely new master plan is not easy for anyone. Naturally, we do not want to move from our easy zone but Santiago took the initiative. Which is much appreciated. Naturally, we starve for an easy and small target to fill in life. But wasting no time he started to pursue a bigger opportunity. He lose hope after a single obstacle but he did not stop. Though he started to collect money to go back. To gather the money worked so hard. He is skilled with natural education. He knew how to adapt to a critical situation. How to eradicate the problem and reach the pinnacle. His best characteristic is he tries to learn from everything. He thinks about the events and does . What could be done in a particular situation? What can enhance his chance . Which can reduce the time to solve a situation. He also learned that not the result, but the path is the main element to enjoy in our life. We people want to pursue something in our life. When we get to the last mark we lose our hope. On the other hand, we have a fear that our aim in life can be demolished. We always say to our-self's that we want to do it. But we want don’t know if we really want it to or not. It becomes clear when we reach that point to make a decision. If we really want to make it happen, the time cannot stop us. Try to solve your problem with your own techniques. Don’t follow others techniques. At last he takes his new path which is the most difficult and comprehensive one. He saw the new diversity of the earth. He is also alert this time. He learned from his past. Which generally people don’t do. We don’t learn from our past. Mainly it says about our willpower. Nature and the brutal world try to dominate us. But it is us who have to believe that there is no stop. We can do anything if we want to. What an alchemist do is understand the hidden part of nature. They don’t only face the fact but also solves it.

Reading a lot of book in life and gathering a lot of knowledge are not enough. If we never practically imply those knowledge anywhere. We think are wise, when we try to do it practically we face difficulties. And understand that only reading is not enough. Santiago learned from the desert, we start for journey with a lot of hope but we don't know what will happened in the way. We only hope for the best. If we face any difficulties in the planning way we may change the path. If we want it very badly the path will take us to our destination. The path is not abstract. But the destination is. After reaching the end of the desert. He met a new girl. New inspiration. He found his real love. New ways of thinking. This made him think about the plan. He wanted a secure life. Which was looking so smooth but it could be not a secure life. He made a consideration and again began to pursue his real journey. In the very end he learned the voice of the nature. Became an alchemist. Lastly he found the treasure he found. But did not forget that he have to give some part to the gypsum. But it is not mentioned what he did after getting it.

23/09/2021

হানিসা- ৮

23/09/2021

হানিসা -7

Part ৮ -
https://www.facebook.com/105533771346988/posts/335086275058402/

23/09/2021

হানিসা -৬

গরমের দিনেও একটা চাদর পরে ঘুরছি। চেহারার হালও কমবেসী ভালো না। মানুষ এক নজর দেখেই বুঝে যাচ্ছে যে আমার শরীর ঠিক নাই। পড়াতে গিয়েও তার ব্যতিক্রম হলো না। নিশা মা বুঝে গেলো যে আমার শরীর খারাপ।

-তোমার কি শরীর খারাপ?

-একটু

-(মাথায় হাত দিয়ে) তোমার ত অনেক জ্বর

-ও কিছু না। বাইরে রোদ তাই গরম হয়ে আছে

-লুকচ্ছো কেন। তোমার ত জ্বর। আজ তোমার পড়াতে হবে না। আমি নিশাকে বলে দিচ্ছি

-নাহ আন্টি আমি অল্প পড়িয়ে চলে যাব

-তোমাকে না বারন করেছি আন্টি বলতে

-সরি আপু

-পারবে ত? জোর করে করো না

-জ্বি পারব

আপু আমাকে নিশার ঘরের সামনে দাড় করিয়ে নিশা কে ডাকল। এখন বিকেল ৪ টা। নিশা ঘুমাচ্ছে। আপু ডাকল

-নিশা,নিশা

এই নিশা

ওদিক থেকে কোনো উত্তর আসছে না

মনে হয় ঘুমোচ্ছে......

আরো কয়েকবার ডাকরেন আপু। কিন্তু তুবও ওপারর থেকে কোনো সারাশব্দ আসছে না।

-আপু বাদ দিন। মনে হয় ক্লান্ত

-নাহ ও ক্লান্ত না। ও পড়া ফাকি দেওয়াতে ওস্তাদ।ইচ্ছে করে করছে এসব

আমি দাড়িয়ে থাকলাম চুপচাপ

অনেকক্ষণ পর দরজা খুল্লো নিশা

-কি হয়েছে

-তোমার টিচার এসেছে

-কেনো?

-চুপ বেদায়ব এতক্ষণ পর দরজা খুলে ন্যাকামো করা হচ্ছে। যাও ফ্রেস হও তাড়াতাড়ি.....

আমি প্রথম কোনো মেয়ের বেডরুমে ঢুকলাম।প্রাইভেট পড়ানোর জন্য রিডিং রুম থাকে বলেই আমার জানা ছিলো। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম দেখলাম।যদিও এটি আমার প্রথম প্রাইভেট পড়ানো। রুমটা অনেক ডেকোরেশন করা। সাজানো স্টিকার্স।টেডি বিয়ার,একটা কাচের প্রশস্থ জিনিসে সাজানো অনেক পুতুল। কি জিনিস তা বুঝলাম না। আগে কখোনো দেখিনি।অনেকখন বসে থাকার পর প্রায় ৩০ মিনিট পর নিশা আসল।

-বলো

-তুমি বড়দের তুমি করে বলো?

-হ্যা। কোনো সমস্যা?

-নাহ

-তুমি কি আমাকে ফিক্সড পড়াবে নাকি শুধু দু মাস?

-কেনো বলত?

-আমার প্রশ্নর ওপর প্রশ্ন করবে না.. উত্তর দাও

-দু মাস

-তাহলে ঠিক আছে। তোমার কাছে আমি পড়তে পারব না

-কেনো?

-তোমাকে আমার পছন্দ হয়নি

-ওহ

সাধারণত মানুষ যদি কাউকে বলে যে তার পছন্দ হয়নি তাহলে সে কারণ জানতে চায়। আমি চাইলাম না।

-তোমার কোন বিষয় সবচেয়ে ভালো লাগে?

-পদার্থ

-হমম ওকে।

-আজ পড়াবে?

-হ্যা কেনো?

-আমি পড়ব না, ভালো লাগছে না

-ঠিক আছে, মনে ওপর জোর দিয়ে পড়তে নেই।আমি আজ চলে যাচ্ছি

-নাহ বসো আম্মু বকবে

-তাহলে কি করব?

রশিদ মেসেজ পাঠিয়েছে।ওর আইডি খোলা হয়ে গেছে।ভাবছিলাম এখান থেকে গিয়ে সবার প্রথমে আইডি টা ভালো করে দেখব।

-কার মেসেজ

-বন্ধুর

-ওহ কি নিয়ে?

মনে হলো অনেকটা দাবী নিয়ে প্রশ্ন করল।যার উত্তর আমাকে দিতেই হবে এবং অবস্যই সত্যিটা

অনেকটা বাধ্য হয়ে বল্লাম যেনো আমাকে আদেশ করা হয়েছে। ওর নামটা আমাকে গোলাম করে দিয়েছে।

-ফেক আইডি খোলার জন্য

-কিহ... ইনট্রেস্টিং ত। তুমিও এসব করো।

-তুমিও মানে কি

-হ্যা,তোমাকে দেখে মনে হয় না এমন তুমি

-কেমন মনে হয় আমাকে?

-একদাম সাদাসিধা,কিন্তু এখন মনে হচ্ছে

-এখন কি মনে হচ্ছে?

-কাহিনি বলো

ও উত্তর দিতে চায় না শুধু প্রশ্ন করে।তাই আমি উত্তরের আশা আর করিনি তখন।আমি তখন অল্প করে ফেক আইডির কাজ টা বল্লাম

-ওয়াও লাভ স্টোরি।কিন্তু তোমাকে দিয়ে হবে না

-কেনো?

-তুমি আর যাই হোক এত কিছু করতে পারবে না। ধরা খাবে

-কেনো

-তুমি আগে কখোনো কোনো মেয়ে সাথে কথা বলেছ?

একটু ভেবে দেখলাম আমলে না।আমি কোনো মেযের সাথে আগে কথা বলিনি

-নাহ

-তাহলে কীভাবে বুঝবে কি লিখতে হবে

-দেখি

গল্প শোনাতে গিয়ে বেশ সময় কেটে গেছে।কিন্তু পগাশুনার কিছুই হয়নি। এ নিশা আর ওই নিশার মধ্যে অনেক পার্থক্য। ও অনেক শান্ত এটা চনচল।সারাদিন কথা বলতে চায়। আরো পার্থক্য আছে বানানে। ওর নামের বানান নিশা আর এর নামের বানান ''নিসা''।নিসার সাথে কথা বলার সময় আমি নিশাকে কল্পনা করছিলাম।আমরা যাকে চাই বা মনের ভিতরে রাখি তাকে আদর্শ বস্তু হিসেবে অন্য গুলোর সাথে তুলনা করি। যেমনটা অপরিষ্কার কিছু দেখলে আমরা পরিষ্কার কল্পনা করে পার্থক্য করি।

-অনোক সময় হয়ে গেলো আজ উঠি

-হমমম যাও, কবে আসবে?

-সপ্তাহে তিন দিন করে

-ওকে

যে মেয়ে আমাকে পছন্দই করেনি সে আমাকে জিগেস করছে আমি কবে আসব। মাত্র ১ ঘন্টা কি তার বেশি হবে এর মাঝেই এত পরিবর্তন

মানুষের পরিবর্তন হতে সময় লাগে না। এজন্যই বলে ''মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেচে থাকলে বদলায়''। বিদায় নিলাম ওখান থেকে।আবার রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে আসলাম।আশ্চর্য বিষয় আমি নিশা কে না নিসা কে ভাবছি।ওর পরিবর্তন আমাকে ভাবতে বাধ্য করছে ওকে নিয়ে ভাবতে।এটা নতুন এক অনুভূতি। আমি নিজেকে আরো বেশি পাগল ভাবতে শুরু করি।আমি করছিলাম তার কিছুই আমার মাথায় কাজ করছিলো না।এদিকে ফেক আইডির কি নিয়ে কি করব বুঝছিলাম না। রশিদ অনেক কিছুই করেছে। রুমে ফিরে ঢুকে দেখলাম কোথা থেকে একটা মেয়ের ছবি দিয়েছে।অনেক সুন্দরী, দেখে যে কেউ প্রেমে পড়তে বাধ্য।আর অনেক সুন্দর করে প্রোফাইলটা সাজিয়ে রেখেছে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এটা ফেইক আইডি।আমি জানতাম রশিদ পারবে। এ বিষয়ে ওর অনেক অভিগতা আছে। প্রায়ই দেখা যায় ওকে এসব কাজে।ও আবার অনেক মেয়েদেরকে ফ্রেন্ড ও করে রেখেছে। তা না হলে মেয়ের প্রমাণিত করা যাবে না। অবাক হলেও সত্যি যে আইডি খোলার একদিন পূরণ না হতেই ৩০০+ ফ্রেন্ড রিকুয়েক্টে ভর্তি হয়ে গেছে। কি অবাক করা বিষয়।আমার সারা জীবনেও মনে হয় এত রিকুয়েস্ট আসেনি যা এসেছে এই আইডি একদিনে। আমি আরমানকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিতে গেলাম। নাহ কাজ আগেই করা হয়ে গেছে আরমান ফ্রেন্ড লিস্টে আছে। কীভাবে আছে জানি না। কাজটা যে অনেক পাকা হাতে হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে।এখন কি করব ভাবছিলাম।দেখলাম এক গাদা মেসেজ রিকুয়েস্টে ভর্তি।কিছু কিছু মানুষ ত কবিতা লেখে রেখেছে। সবাই কত বোকা।অবশ্য তাদেরও দোষ নেই আমি হলে নিজেও বুঝতাম না যে এটা কোনো ফেইক আইডি।কয়েকটা মেসেজ পড়ে মজা লাগল

-তোমাকে আমি চিনি, তুমিও আমাকে চিনো আমার সাথে কথা বলা যাবে?

-হেই কিউটি তুমি মেসেজ না দিলে কিন্তু আমি আবার একটা মেসেজ দিব। তাই অবশ্যই উত্তর দিবে

-আমি তোমার ছবি দেখার পর ই ফেসবুকে আইডি খুলেছি প্লিজ আমাকে এ্যাড করো নাহলে আমি কিন্তু আর ফেসবুক চালাবো না

হা া হা হা এমই সব আজব আজব মেসেজ এসেছে। অনেকে ত সরাসরি লিখেছে, ক্রাস, লাভ ইউ,ইলু ইলু। আরো নানান সব

এর মাঝে আমি আরমানের মেসেজ আশা করেছিলাম কিন্তু আরমান

Part 7 - https://www.facebook.com/105533771346988/posts/335083101725386/

23/09/2021

হানিসা -৫

বন্ধুর রুমে গেলাম

-বন্ধু রশিদ

-কিরে হঠাত আসলি যে। কি খবর কোনো সমস্যা?

-নাহ তেমন কিছু না

-তাহলে?

-আজব ত। তোর কাছে আসতে পারব না?

-নাহ সে কেনো পারবি না। আলবদ পারবি। কিন্তু তোকে দেখে মনে হলো কিছু বলবি বা কাজে এসেছিস

-নাহ নাহ সেরকম কিছু না।

-বিস্কিট খাবি?

-আছে নাকি দে

-কফি?

কফির কথা শুনে ধুক করে উঠল। মনে হলো কফি খেতে গিয়ে দুপুরের খাওয়া হারামের পথে

-নাহ বিস্কিট দিলে দে

-আচ্ছা অপেক্ষা কর

আমি জানি রশিদ শুনবে না। ঠিকই কফি বানিয়ে নিবে। রশিদ হলে থাকে না। রুম নিয়ে আছে বিনোদপুরে। এখানে প্রতিদিন ক্লাস করে। রসায়নে পড়ে। এপ্লাইড ক্যমিস্ট্রি। আমরা সবাই একটা সংগঠন থেকে বন্ধু হয়েছি। যেখানে প্রায় সবাই ই আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্টের। যে কাজের জন্য আসলে এসেছি বলব কি না রশিদকে ভাবছিলাম

রশিদ কফি আর বিস্কিট এনেছে সাথে চানাচুরও আছে ।

-কি চিন্তা কর হে

-ওরে বাবা! এ ত দেখি এলাহি কান্ড ঘটিয়েছ বন্ধু। এত কিছু

-আরে ধুর ছিলোই সব। তুই কি বলবি বলত

-আচ্ছা বল ত তোর কেন মনে হচ্ছে যে আমি তোর কাছে কোনো কাজে এসেছি?

-তোকে দেখে যে কেউ বলে দিবে। যে তোর মাথায় সিরিআস কিছু চিন্তা চলছে

-কীভাবে?

-এই যে তাড়াতাড়ি করে সব খাচ্ছিস। তারাই তাড়াতাড়ি খায় যাদের মাথায় অনেক চিন্তা থাকে। মনে করে এর বেশি ঝামেলা নেওয়া যাবে না আর খাওয়াকে সে ঝামেলা মনে করে। এবার বল কি বলতে এসেছিস

-বাপরে তুসি রসায়ন থেকে পুরো সাইকলজি তে চলে গেলি । কিহ নতুন সিলেবাস নাকি । ।

-আরেহ না সেদিন এক লেখকের বইয়ে পড়লাম আরকি। তুই কি এইসব প্রপ্নশ্চ না করে মূল কাহীনিতে আসবি?

-হুম তাহলে ত তোকে বলতেই হচ্ছে। খুলে দে ফেক আইডি

-সিরিআস....

-হমমমম

-হঠাত সিদ্ধান্তের পরিবর্তন। গ্রেট শিন করার ইচ্ছা?

-সে অনেক কথা অত তুই বুঝবিনে

-খুলে দিব কিন্তু শর্ত আছে

-কী?

-নিশাকে ভাবী হিসেবে চাই

-চেষ্টা করব

-শোন বেশী কিছু করতে যাবি না। করার আগে আমাকে বলবি। নাহলে আবার কি করতে কিসে ফেসে যাবি। অনেক নেসসেটিভ ম্যাটান এগুলা।

-জানি

-নাহ তুই জানিস না। আমি এগুলো অনেক করেছি কিন্তু সেগুলো মজা করার জন্য কিন্তু তোর ব্যাপারটা সিরিআস। কিছু করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে

-তুই কি খুলবি কি খুলবি না

-আহা রাগ করছিস কেনো

-আমাকে একটু সময় দে। ছবি সহ ডিটেইলস দিয়ে আইডি কীভাবে ঠিক করতে হয় আমার জানা আছে। আমি পাসওয়ার্ড তোকে টেক্সট করে দিব

-বেশ

-তাহলে কেমন চলছে বল। টিউশনি শুরু হলো

-এখোনো শুরু হয়নি। শুধু দেখা করে এসেছি।

রশিদের ওখান থেকে বের হয়ে হলে আসার সময় শরীরটা খারাপ করতে লাগল। কয়েকদিন দুপুরে না খাওয়া। রোদের মাঝে হাটাহাটি করে শরীর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। শরীর থেকে গরম রিডিউস হচ্ছে। না খাওয়ার জন্য শরীরের ভিতেরর কোষগুলো থেকে ক্যালরি বার্ন হচ্ছে বেশী। মানে সোজা কখায় জ্বরের আভাস পাচ্ছি। কিন্তু ওষুধ কিনব কিনা ভাবছি। হলে গিয়ে কোনো কিছু না করে শুয়ে পরলাম। কয়েকদিন নিশা কোনো মেসেজ দেয়নি। হঠাত ফোনে দেখলাম টাকা এসেছে বিকাশে। নিশা পাঠিয়েছে মনে হয়। সেদিনের বিলের টাকা। টাকার বিষয়ে ভাবার মত তেমন সময় পেলাম না। চোখ বন্ধ হয়ে আসল।

রাত ১০ টা........

ঘুমোনোর পর একটু শরীর ভালো লাগছে। এখন চোখে আর ঘুম নেই। ফেসবুকে দেখলাম নিশা মেসেজ দিয়েছে

-পেয়েছ?

বুঝলাম টাকার কথা লেখেছি। আমি উত্তর দিলাম ''হমম''

-অনেক কষ্ট দিলাম না?

-তেমন একটা না

-কেমন আছো?

-একটু শরীর খারাপ

-কেনো কি হয়েছে

-তেমন কিছু না

-আচ্ছা বিশ্রাম নাও

বলে আর কিছু বল্ল না নিশা। আমি হলের মাঝের বাগানে একটু হাটাহাটি করলাম। এখন সবাই পড়াশুনা করে। চলবে রাত ২-৩ টা পর্যন্ত।খুব ব্যস্ত সবাই।একসাথে থেকেও সময় নেই কারো জন্য কারো। আবার রুমে আসলাম। সকালে এত ঘুমিয়েছি বিশ্বাস হয়না। সকাল ১০ টা বেজে গেছে। আমি খুব ভোরে উঠে হাটাহাটি করি।আজ এত দেরী কীভাবে হলো। তার থেকে অবিশ্বাস্য ঘটনা নিশা আমার রুমমে বসে আছে। প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করিনি। ভেবেছি এখনো স্বপ্ন দেখছি। তাকিয়ে আছি একপলকে নিশার দিকে। সে ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর

-এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো

-তুমি সত্যি?

-হ্যা

-শুয়ে থাকে, তোমার গায়ে জ্বর

আমি আসলে ভুলে গেছিলাম যে আমার জ্বর। কথাটা শোনার পর ভাবলাম জ্বরের মধ্য আবার আমি উল্টা পাল্টা দেখছি না ত। আমি বাধ্য ছেলের মত শুয়ে পড়লাম। দেখলাম টেবিলে বেশ কয়েক ধরণের ফল রাখা।

-ফলগুলো খাবে,বেশী বাইরে যাবে না। আর এইযে ঔষধ গুলো নিয়োমিত খাবে। আমি রিপোর্ট নিবো সবগুলোর

এই প্রথম কোন মেয়ে আমাকে এভাবে কথাগুলো বল্ল।আমি ভুলে গেছিলাম সে আমার বন্ধুর আপনজন। তাকে নিয়ে আমার নামে রটিয়ে পরা কথা। মনে হচ্ছিলো আমার কেই তার দায়িত্ব পালন করছে। এটা শুধু তারই করার কথা অন্য কারো এই কাজ করার অধিকার নেই।

-তুমি এখানে

-আসতে পারিনা?

-আরমান জানে?

-নাহ

কিছুক্ষন চুপ থেকে মাথা নিচু রেখে বল্ল

-আমার কোনো অধিকার নেই?

বলেই ভ্যানিটি ব্যাগ টা কাধে নিয়ে নিশা চলে গেলো। ভ্যানিটি শব্দটির আভিধানিক অর্থ কিন্তু অহংকার। যদিও নিশার মাঝে কোনো অহংকার নেই।

আমি শুধু ভাবছিলাম এ ঘটনা জানার পরও কি আরমান আমাকে বিশ্বাস করবে?

আমার ত আজ অনেক কাজ আছে বাইরে । কিন্তু নিশা ত মানা করে গেলো। কি করব ভাবছিলাম।

নিশার জন্য আমার মায়া কাজ করছে নাকি ভালোবাসা বুঝতে পারছিলাম না। এতকিছুর পরও বের হলাম ডিপার্টমেন্ট কিছু কাজ ছিলো। তাছারা আজ থেকে পড়াতে যাবার কথা। প্রথম দিকে না গেলে খারাপ দেখায়। যার জন্য কষ্ট করে হলেও গেলাম।

Part 6 - https://www.facebook.com/105533771346988/posts/335078628392500/

23/09/2021

হানিসা -৪

বাবা মারা যাবার পর একা জীবন হয়ে গেছে। প্রতি রাতে আর কারো ফোন করতে হবে না ভুলে যাই। ফোন হাতে নিয়ে ফোন করি। কিন্তু ফোনটিও বাজে কিন্তু কেউ ধরে না। কারণ কেউ ধরার নেই।ওপারের সাথে কোনো সংযোগ নেই এই ফ্রিকুয়েন্সির। আমাদের ডাইমেনশনের বাইরে। কোন এক্সিস আমরা জানি না। সব প্রশ্নের উত্তর এখনো মিলেনি।। আমরা শূণ্য আর ইনফিনিটির সমস্যাই এখোনো সমাধার করতে পারিনি।ফোন টা আমার কাছেই আছে বাম হাতে। বাজছে নাম লিখা আছে ''বাজান''। বাবা আমাকে বাজান বলেই ডাকত। ডান হাতের ফোনটা কানে আর বাবার ফোনটা বাম হাতে নিয়ে ধরে বসে আছি। মিথ্যে একটা আশা কেউ ধরবে আর বলনে। ''হ বাজান ক এত দেরি করলু ক্যা। হামি ত শুতপের জাচ্চিলেম।'' ফোনের শব্দ আমার কানে যাবার সাথে সাথেই চোখ দিয়ে পানি পরা শুরু হয়। প্রতিদিন ই করি। কেউ জানে না । ডবল রুমের ঘর হলেও রুমমেট হল ছেরে দিসে। বাবা মারা যাবের আগে কখনো ভাবিনি কি করতে হবে জীবন যাপনের জন্য। এখন ভাবতে হচ্ছে । নিতান্তই গরীব ঘরের ছেলে তবুও ভাবতে হয়নি। কেননা ছাদ ছিলো বলে। এখন ঝরে চলে গেছে এখন আবার বানাতে হবে ছাদ। কার জন্য?

নাহ আমার জন্য না। আমান ছাদ যে ব্যবহার করবে আমার সন্তান আর আমার পরিবার। এটাই করে মানুষ। নিজে আয় করে খায় সন্তানেরা। যদিও মেয়েরা মনে করে তাদের অবদানই বেশী পরিবারে। কারণ তারা সন্তানন লালন পালন করে কিন্তু হিসাব শেষে দুইজন সমান কাজ করে। পরিবারের কাজ যদি ব্যবকলন করি তবে আমরা দুইজনের কাজ পাবো। আবার দুজনের কাজ সমাকলন করলে পরিবারের কাজ পাবো। দুজনই কাজজ করে সন্তানের জন্য তাই কোসাইন (০) ডিগ্রি। যখনই দুজনের মাঝে ঝামেলা হয় তখন কোণ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর পরিবারের উন্নতির বিচ্যুতি ঘটে। যাই হোক আয়ের উদ্দেশ্যে সবার প্রথমে যেটা সবার আগে মনে হয়েছে তা হলো প্রাইভেট পড়ানো। ভার্সিটির নাম শুনলে আরামেই ছাত্র পেয়ে যাব। বড় ভাইদের বল্লাম এ ব্যাপারে একজন ভাইয়ের মাস্টার্স পরীক্ষা তাই দুমাস তার ছাত্রীকে পড়াতে পারবে না। প্রক্সি হিসেবে আমাকে যাওয়ার জন্য বলল। আর বলল ভাইয়ের পড়া শেষ পড়াতেও মনে হয় আর পারবে না ভাই খুবই মেধাবী। প্রথম বার বিসিএস এ ই টিকে গেছে। নিতান্তই কম ছাত্র ছাত্রী পারে এই কাজ। সুপারিশপ্রাপ্ত এখন ভাই চাকরী পেতে সময় লাগবে। সেই ফাকে পড়াশুনা করছে। আমাকে ঠিকানা টা লিখে দিলেন। খুব একটা ঘোড়া হইনি এখানে আসার পর। তাই জায়গাটা পরিচিত নয়। তবে মনে হলো বেশ দূরে।

গেলাম মার্চ মাসের ২৫ তারিকের দিক। খুজে পেতে অনেক বেগ দিতে হলো। অনেক লোককে জিগেস করে করে পৌছালাম। ফোনে টাকা না থাকায় ভাইকে ফোন দিতে পারছিলাম না। ভাই নিজে থেকেই হঠাত ফোন দিয়ে আমাকে ভালো করে চিনিয়ে দিলো। অনেক বড় বাড়ি। ৪ তলা কিন্তু প্রসস্থ বড়। ভেবেছিলাম বাড়ি ভাড়া দেওয়া আর যেকোনো একটা ফ্লাটে বাড়িওয়ালা থাকে। কিন্তু না পুরো বাড়িটাই একটা পরিবারই থাকে। অনেক বড় পরিবার। এত বড় যৌথ পরিবার এখন আর চোখে পরে না।

আমি ভিতরে গিয়েই দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চারা খেলছে।একজন এসে বল্ল

-অনিক ভাই পাঠিয়েছে?

-হ্যা

-কিছু বলেছে?

-নাহ তেমন কিছু বলেনি

মুখ বিরবির করে কি বলে বল্ল

-আসো

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম কম বয়সী একটা মেয়ে আমাকে তুমি করে বলছে। আমার পছন্দ না এরকম স্বভাব। কিন্তু কিছু বলাও যাবে না তাই চুপ থাকলাম।এক ঘড়ে আমাকে বসিয়ে রেখে চলে গেলো ত গেলো ৪০ মিনিট পর একজন পয়ত্রিশ এর মত বয়সী সুন্দরী মহিলা এসে আমাকে জিগেস করল

-নিশা কে পড়াতে এসেছ?

-কিহ

-তোমাকে অনিক পাঠিয়েছে না?

-জ্বি

-ছাত্রীর নাম বলেনি?

-নাহ। ওর নাম কি নিশা?

-হ্যা। ও ই ত বল্ল যে তুমি এসেছ আর তোমাকে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে রেখেছে।

-বেশ কয়েকসময় হয়ে গেলো

-আমাকে ত বল্ল মাত্র এসেছ

-সে কি। আমি ত মিনিট চল্লিশ আগে এসেছি

-ওমা দাড়াও তাহলে আমি চায়ের ব্যবস্থা করি আগে

-না না আন্টি ওসব করতে যাবেন না আমি ঠিক আছি

-নাহ নাহ তা কি করে হয়। তুমি শিক্ষক মানুষ

এই বলে উনি যেতে লাগলেন আর একটা কথা বলে গেলেন

-বাবা আমাকে আন্টি না বলে আপু বলবে কেমন...

আমি বাধ্য ছেলের মত বল্লাম ''জ্বী আচ্ছা''

এই ৪০ মিনিট ভাবার কিছু পাইনি কিন্তু এখন ভাবার মত কয়েকটা জিনিস পেয়ে গেছি।

প্রথমত মেয়েটা আমাকে তুমি করে বল্ল সে মেয়েটাই আমার ছাত্রী। আবার তার নাম নিশা। আমি কি কোনো স্বপ্ন দেখছি। আর নাকি নামটা আমার মাথায় ঘুরছে বলে ভুল শুনছি। ভদ্র মহিলা কয়েকবার নাম বলেছে। প্রতিবারই কি ভুল শুনলাম।

দ্বিতীয়ত, আমি মিনিট চল্লিশের আগে এসেছি আর ওই মেয়ে বলেছে আমি মাত্র এসেছি । মেয়েটি কি মিথ্যে কথা বলেছে নাকি টাইম ইজ রিলেটিভ।

তৃতীয়ত, ভদ্রমহিলা আন্টি বলতে মানা করল কেনো? যদিও মেয়েরা বয়স হয়ে গেছে মেনে নিতে পানে না

এইসব ভাবতে ভাবতে আন্টি চা নিয়ে চলে আসল।যদিও সে আমাকে আপু ডাকতে বলেছে। এত বয়সের বড় আমার আপু শুনতে কেমন কেমন লাগে।

-ও কোন ক্লাসে পড়ে জানো?

-জ্বি না

-তাহলে ত অনিক তোমাকে কিছুই বলে পাঠায়নি

-জ্বি আপু আমাকে তেমন কিছু বলেনি

-ঠিকানা দিয়েছিলো ভালোমত. নাকি ওটাও ভালোভাবে বলেনি

-আসলে আমাকে অনেক কষ্টেই খুজে পেতে হয়েছে ঠীকানাটা

-নিশার দাদু বানিয়েছে বাড়িটা। একটু নিরিবিলি পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু নিজের বাড়িতে কোনো নিরিবিলি রাখেন নি ছয় ছয় টা বাচ্চাকাচ্চা নিয়েছেন।

বলেই হেসে উঠলেন তিনি

এ হাসি নিশার মত না। তিনি নিয়মিত হাসেন বোঝা যায়। অনেকটা জোলি টাইপ মানুষ মনে হয়। কেউ সামনে হাসছে আর গোমড়া মুখ করে থাকা টা বেয়াদবি। তাই আমিও মুচকি মেরে হাসলাম। আমরা আগে থেকেই ঠিক করে রাখি আমরা হাসব না কাদব।

-হ্যা, অনেক বড় বাড়ি আপনাদের

-নাও বাবা চা নাও, ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর তোমার সম্পর্কে বলে

বুঝে গেছি আমার ইন্টাভু শুরু। পাশ করলেই টিউশনি

-জ্বি আমি সাংবাদিকতায় পড়ি।

-কিন্তু নিশা ত সাইন্সের পারবে পড়াতে?

-আমি সাইন্সের ই ছাত্র

-তাহলে সাংবাদিকতা?

-খুব কম ইউনিটের ফর্ম তুলতে পেরেছিলাম। আর বুয়েটের পরীক্ষার ফর্মটা মসজিদ থেকে তুলে দিয়েছিলো কিন্তু ঢাকা পৌছাবার মত সামর্থ্য আমার ছিলো না

-ওহ......

-জ্বী। আমি পারব

অনেকটা চোখ জলজল করেই বলেছিলাম

-ঠিক আছে পড়াও। পড়াতে পারলে।তোমার কি অ্যাডভান্স লাগবে?

-নাহ

তবুও দিয়ে দিলেন ১০০০ টাকা সেটাই ছিলো।

Part -5 https://www.facebook.com/105533771346988/posts/334914798408883/?sfnsn=mo

23/09/2021

হানিসা -৩

আমি আগে পৌছাবো তাই সময়ের ৩০ মিনিট আগেই বেরিয়ে গেছিলাম। আগে রাজশাহী শহরে জ্যাম না হলেও এখন ভালোয় জ্যাম হয়। ভাগ্য ভালো ছিলো ৫ মিনিটের বেশী সময় নষ্ট জ্যাম করতে পারেনি। দেখা করার কথা ছিলো ৫ টা তে এখন ৪ টা ৪৫। ১৫ মিনিট আগে এসেছি। অপেক্ষা করতে খুব একটা কষ্ট হবে। হয়ত ভাবতে ভাবতে ২ ঘন্টাও পার করে দিতে পারব। যাকে এতদিন ধরে অপেক্ষা করছি আর কিছুক্ষন কেনো নয়। এসব ভাবতে ভাবতে ঢুকলাম কফিশপে। যদিও প্রথম আসিনি। গ্রামে থাকলেও শহরে আসার পর বন্ধুদের জন্মদিনের ট্রিটে অনেক রেস্টুরেন্ট ঘোরা হয়েছে আমার। তাই কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, সময় কাটাতে হয় আমার জানা আছে। আমার সকল জল্পনা কল্পনাকে ভুল প্রমাণিত করে নিশা আমার আগে এসে উপস্থিত। আমি রীতিমত অবাক। বুঝলাম না আমি খুশি নাকি আমি দুখি। তাহলে কি আমি ওর জন্য অপেক্ষা করতে পারব না? আমাকে নিশা হারিয়ে দিল। এ পরাজয় আমি কীভাবে নিব বুঝতে পারছিলাম না। আমাকে দেখে নিশা দাড়িয়ে পরল। যেমন টা আন্ডার স্টার্ফ রা বসের জন্য দাড়ায়।

-দাড়িয়ে কেনো.. ছি ছি... বসো....দেরি করে ফেল্লাম না

-নাহ খুব বেশি না ১০ মিনিট হলো এসেছি

-১০ মিনিট মানে ত অনেক বোর হয়েছ...সরি

-সরি বলতে হবে না। আমি অভ্যস্থ

-মানে?

-আমি প্রায়ই ১-২ ঘন্টা এভাবে বসে থাকি আরমানের জন্য

-কেনো

-জানি না... কিসের টান

-কেমন আছো

-হঠাত এ প্রশ্ন করছ কেনো

-এমনিতে জানার ইচ্ছে হলো

-তাই

কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর নিশা বল্ল

-তুমি শুনতে চাইছ আবর আমার সেই কথা টা তাই না

-কোনটা বলত

-ওই যে ফেসবুকের ম্যাসেজ

-কীভাবে বুঝলে

হা হা হা হা বলে হাসল

কি অপরুপ হাসি। আমি প্রথম দেখলাম নিশাকে হাসতে। আগে কখনো ওকে হাসতে দেখিনি। আমি মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখছিলাম। কি অদ্ভুদ মানুষের দেখার ভঙ্গি। ওর চেয়েও সুন্দরী মেয়ের হাসি দেখেছি। কত জনার মুখে হাসির সময় টোল পরে যেটা দেখতে খুব অপরুপ লাহে। নিশার এসবের কিছু নেই। মনে হলো শুধু নিশ্পাপ মনে হাসল। হঠাত করে মনে হলো হাসিটা কোথাও দেখেছি। মনে করতে পারছি না। হাসি থেমে বলল

-কী খাবে?

-তুমি বলো

-আমি ট্রিট দিব তাই তুমি বলো

-সে কি তুমি কেনো ট্রিট দিবে আমি দিব

-ছেলে বলে?

বল্লাম না। আসলে আমার জানা নাই কি উত্তর দিতে হবে। সত্যিই ত বলেছে ছেলে বলে কি ট্রিট দিতে হবে। আমরা দুজনই ছাত্র অবস্থায়। কিছু বুঝতে পারছিলাম না কি করব। সব উলট পালট হয়ে যাচ্ছিলো। যা ভেবে এসেছিলাম একটাও সমীকরণ মিলছে না। মনে হচ্ছে সব হ য ব র ল।

-ক্যাপাচিনো খাবে?

-হমম খাওয়া যায়

-ওকে

নিশা ওয়েটার ঢাকছিলো। এত ধীরে যে ওরা শুনতেই পারছিলো না।ইতস্তত বোধ করছিলাম যে ডাকব নাকি ডেকে আবার কোন কথা শুনি।

নিশা ধমক দিয়ে বলল

-ডাকছ না কেনো?

আমি নিমিশেই চমকে উঠে শরীরে ইলেকট্রলাইট সক্রিয় হয়ে নিজে নিজেই স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে ওয়েটার বলে জোরে চিল্লিয়ে উঠলাম কফি শপের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে আবিষ্কার করলাম। আবার উলট পালট হয়ে গেলো। কিছুই মিলছে না। একবার ভাবলাম কেদে ফেলি। নাহ মেয়েদের স্বভাব।আজকাল ত মেয়েরাও মেয়েদের স্বভাবকে জাগ্রত করে না।

আবার নিশার সেই দৃষ্টি জুরানো হাসি।

-তোমার হাসি অনেক সুন্দর

-তাই

-হমম

-তোমার বান্ধবী কেমন আছে?

-কার কথা বলছ?

-স্পেশাল কেও ত আছে তার কথা বলছি

-ভালো। হাসিখুশি তে আছে

-তাই নাকি। তাহলে ত ভালোই প্রেম করছ। কে শুনি নাম

-ও তুমি চিনবে না। আমি ই এখোনো চিনছি ভালো মত

-দেখো চিনতে ভুল করো না কিন্তু

-তা ত অবশ্যই। তা কি জন্য ডেকেছ বল্লে না যে

-কেনো বান্ধবীর বুঝি তাড়া আছে?

-নাহ নাহ তেমন কিছু না

-তাহলে অপেক্ষা করো

ওখানে এমন কিছু ঘটনার আমি সম্মুখ্খিন হয়েছি যা কোনোদিন চিন্তা করতে পারি নি। সেই হাসিমুখ কান্নামুখে ফেরত গেছে। আমার চোখেও ছিলো পানি । কিন্তু আমি তাকে শান্তনা দিতে পারিনি। জানি না কেনো পারিনি। নিশা চলে গেছে।

আমি এখোনো বসে আছি। হঠাত করে এক কলেজে পড়ে হবে, বলে উঠল

-স্যার বিল টা

-কিহ

-বিল স্যার

-কত?

-আটশ চল্লিশ টাকা স্যার

চল্লিশ আর আটশ উচ্চারণ করতে চাপাইয়ের মানুষের মত শ টাকে টেনে নিয়ে বলল

আমার ত মাথায় বাজ পগল বিল শুনে

দুটো কফির দাম ৮৪০/-। রেস্টুরেন্টে আসলোও বিল দেওয়ার এক্সপিরিয়ান্সটা প্রথম হলো আজকে। এর আগে সবাই ট্রিট দিতেই শুধু আনত। যাই হক আমি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম। পকেটে মোটে ছিলো হাজার টাকা। মাস পার দিতে হবে । ভেবেছিলাম ৩০০ এর মধ্যএই খাওয়ার পর্ব সেরে যাবে। ওই যে হিসেব একটাও মিল্লো না। আবার নাকি টিপস হিসেবে দিতে হয় আরো দশ টাকা দিলাম বাকী দেড়শ টাকাই এখন ১০ দিনের সম্বল। হলে খেয়ে বেশ চলে যাবে। আর টুকিটাকিতে খিচুরি হাসান মামার কাছে বাকী নিয়ে চলে যাবে। খাওয়াটা মুখ্য বিষয় নয়। কি আছে খাওয়াতে ওই রোজ এক জিনিস।

আজব হলেও সত্যি আমি তখন নিশার কথা ভুলে গেছিলাম।

টাকার কত শক্তি যাকে আমি এত ভালোবাসি টাকার চিন্তায় তার কথা ভুলে গেলাম।

Part 4 - https://www.facebook.com/105533771346988/posts/334795891754107/

23/09/2021

হানিসা -২

তবে আজ নিশা আসেনি। মনে হয় গতদিনের ফটনার কারণে। কিন্তু গত দিনের ঘটনা ওর জন্য কি নতুন কিছু ছিলো? তবে কেন আসেনি? আরমান কে জিগেস করা যায়। কিন্তু এমনিতেই এত কথা রটিয়ে আছে তারপরও আরমান বন্ধুত্বের খাতিরে আমাকে সন্দেহও করেনি। বরং মানুষকেই বলে তারা ভুল বলছে। তারপরও ইতস্তত বোধ করছিলাম। আবার কি হয়।

সেষ পর্যন্ত নিজেকে থামাতে পারলাম না।হলে ফেরত যাবার পথে

- কিরে আজ নিশা আসল না যে

- মানা করেছি

-কেনো

-গতদিনের জন্য

-ও রাগ করেছে?

-নাহ

-তাহলে?

-আমার পছন্দ হইনি ওর এখানে আসা

-কেনো?

-জানি না

সারাদিন এত ঝামেলা ভালো লাগে না

-কিসের ঝামেলা

-আর বলিস না খুব পেইন দেয়

-কেমন পেইন

-আর বলিস না পরে বলব তোকে

চলে গেলো কয়েকটা দিন

আমরা আবার হেরে গেলাম ঢাবি এর সাথে। অনেক কাছে চলে গিয়েছিলাম আমরা। খেলতে পারিনি। জানি না কেনো। নিশা খেলা দেখতে আসেনি এ জন্য কিনা জানি না। আমি খেলতে পারি না কেনো ওকে ছাড়া। কি আছে ওর চেহারায়। ওর কি স্থান কাল বক্রতা আছে? আমাকে কি ঢালের দিকে আকর্ষণ করে? বুঝিনা ব্যাপারটা মনে হয় রিলেভিটির চেয়েও জটিল। সবার দোষ আমার নিতে ইচ্ছে করছিলো। নিজেকে দোষি আর অযোগ্য মনে হতে শুরু করেছে।বাবা টাও মারা গেলো। কেউ আর থাকল না আমার সাথে এ পৃথিবীতে। বাবার স্মৃতি কি আমাকে করেছে নাকি নিশা। মাঝে মাঝে যে এসব উলট পালট চিন্তা করি এটাই আমার কাছে পাগলামো মনে হয়। আমি কি ডাক্তার দেখাব। বুঝতে পারছি না। কোনো বন্ধুকে বলতেও ডারছি না। কাকে বলব? কে শুনবে আমার কথা আর কে রাখবে আমার কথা গুলো আপন করে। মানুষ কথা রাখতে পারে না কারো না কারো কাছে আর পৌছাতে হবেই। নিজেকে প্রকাশ করতে হবে। খুশি যতটা প্রকাশ করার ইচ্ছা মানুষের থাকে তার চেয়ে বেশী দুখ প্রকাশের ইচ্ছে থাকে। কেনো যে এমন আজব জীব আল্লাহ বানালো। আল্লাহ ই জানে।

কয়েক মাস পর

এখন আর প্রাকটিস হয় না। গরমের সময় চলে এসেছে গরমে বাস্কেট খেলা যায় না। ঘেমে যায়, ক্লান্ত লাতে। তাছারা কোনো টুর্নামেন্টও নেই সামনে। এর জন্যই ত আমরা এত পিছিয়ে। ৩য় বর্ষে উঠে গেলাম। এখন অনেকেই বিসিএস এর প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করেছে। এক মহাযুদ্ধ আবার শুনলাম।ডাক্তারের জন্য এবার জানি আলাদা পরীক্ষা। সে সব বিশাল ব্যাপার আমার দ্বারা হবে না। আরমান কে নিশার সাথে কম দেখি। আসলে আমি নিজেই এখন অনেক কম বের হই। তবে নিশা ফেসবুক খুলেছে এখন। আমার সাথে এড ও আছে। আরমান খুব কম মানুষের রিকুয়েস্ট ওকে এক্সেপ্ট করতে দিয়েছে। অনেক ডমিনেটিং আরমান। স্বজাত বৈশিষ্ট্য যাকে বলে। এখন নতুণ একটা রুটিন যেগ হয়েছে আমার দিনে ৪-৫ বার ওর আইডি ঘুরে আসা। কোনো ছবি নেই ওর আইডিতে কিন্তু তবুও ঘুরি ওর আইডি। খুব জোর ৪টা পোস্ট করেছে ২ টা গান আর ২ টা খুব ছোটো বার্তা একটা হূমায়ুনের আরেকটা সক্রেটিস। বার বার পরি। বার বার ঘুরে আসি। কত যে ভালো সিস্টেম যে আইডি ঘুরলে মানুষ বুঝতে পারে না। আর যদি বুঝত তাহলে থাক আর না বল্লাম।ওর একটা প্রোফাইল পিকচার দেওয়া একটা আকা ছবি। খুব ভালো ছবি আকে নিশা। আমি বুঝি না ল তে পরা মেয়ে এত চুপ চাপ আর এত ভালো আকতে পারে। ও কি শুধু পড়ার জন্য পড়ছে? আমাদের দেশে ক জন ই বা মন থেকে পড়াশুনা করে। যার করে তারা শুধু পাশ করার জন্য। তবুও ভালো যে ও সে দলে নেই। ছবি টা আমার খুব প্রিয় হয়ে ইঠেছে। অনেক দিন এক জিনিস দেখলে বিরক্ত বোধ আসে কিন্তু আমার ভালা লাগে তৈরি হয়েছে। মন চায় প্রিন্ট করে রুমে টানিয়ে রাখি। কিন্তু তা করতে পারব না। ২-১ দিন কথা হয়েছে ওর সাথে আমার চ্যাট এ তারপর থেকে জানি না আরো টান বেরে গেছে। দিন কে দিন বেরেই যাচ্ছে। বার বার চ্যাটিং পড়ি। কি যে সাহিত্য রস আছে এতে বুঝি না। এখন ওর সাথে দেখা হলে মনে হয় চোখে চোখে কথা হয়। কথা গুলো সব এক। সব গুলো চ্যাটিং এর কথা

-কেমন আছো?

-জানো না?

-নাহ ত

-ওহ

শেষ এটাই। আমার জন্য পাগল করা এক কনভার্সেশন। আরমান অনেক বন্ধু বান্ধবে মেতে থাকে কিন্তু তার মাঝে নিশা একা চুপ চাপ থাকে।

-তুমি এত চুপচাপ থাকে কেনো?

-দেখা করতে পারবে?

-কে আমি

-পারবে না?

-পারব

-আচ্ছা

তারপর একবার আমরা কফি খেতে গেছিলাম এক কফিশপে। কি কথা হয়েছিলো......................................

Part 3 - https://www.facebook.com/105533771346988/posts/334596525107377/?sfnsn=mo

22/09/2021

হানিসা -১

বাস্কেটবল খেলছিলাম বন্ধুরা মিলে। আমাদের সামনে ঢাবি এর সাথে ফাইনাল খেলা। বরাবরই রাবি কে হারিয়ে চলেছে ঢাবি। তাই এবার কোচের কড়া নির্দেশ হারাতেই হবে ঢাবি কে যেকোনো মর্ল্যেই হোক। এর আগে ৪ বার আমাদের ফাইনাল নষ্ট করেছে তারা। এবার তাই আমরাও হাল ছারব না। দিন রাত প্রাকস্টিস চলছে। দুই দলে ভাগ হয়ে চলছিলো খেলা বিপরীত দল আমাদের চেয়ে শক্তিশালি। অধিনায়ক সহঅধিনায়ক দল। আরমান অধিনায়ক। বেশ ভালো খেলোয়ার ওকে আটকানো অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার আর ওদের ডিফেন্সের তানভীরকে ফাকি দিয়ে বাস্কেট করা অনেক কষ্টের ব্যাপার। আমরা তাই বাস্কেট খেতে খেতে পেট টা ভরিয়ে ফেলেছি। কোচ রীতিমত আমার ওপর খ্যাপা আজ আর রেহাই নেই ৫০ রাউন্ড দৌড় হবে শাস্তি। হঠাত শুরু হলো নাটকীয়তা। শব্দের ভীড়ে শুনতে পেলাম কেউ একজন আসছে। হাই হিলের শব্দ। আমার বুঝতে বাকি রইল না এটা নিশা। ভার্সিটিতে ভর্তি পরিক্ষায় আমার সাথেই সিট ছিলো। অনেক মেধাবী ছাত্রি। পরীক্ষা শুরু আগে আমাকে বলেছিলো সাহায্য করার জন্য। আমি বলেছিলাম যে এ পরীক্ষায় সাহায্য করা যায় না। কোনো কথা না বলে মাথা নারিয়ে বসে গেলো। পুরো পরীক্ষায় একবার ও তাকালো না। দেখলাম ৪০ মিনিট পর বসে আছে। ভাবলাম একটু সাহায্য করব কিন্তু আমার দিকে আর তাকাই নি। পরে জানতে পারলাম ল তে ভর্তি হয়েছে। আর আমার সাবজেক্ট সাংবাদিকতা। একই ভবন আমাদের। তাই মাঝে মাঝেই দেখা হতো। কিন্তু আমান সাথে কথা বলত না নিশা। মনে হয় সেদিনের রাগ এখোনো পুষে রেখেছে ।

ও আসার পর আমাদের দলে অন্য রকম জোস পেলো। একের পর এক বাস্কেট দিয়ে গেলাম আমরা। শেষে জিতেও গেলাম। কোচের হুইসেল আজকের খেলা শেষ। আরমান অনেক উত্তেজিত হয়ে আছে। ও হার সহ্য করতে পারে না। এর জন্য দুইবার তাকে খেলায় বহিস্কার করেছে কতৃপক্ষ। ওর খুব বাজে রাগ। নিশা ওকে উপহাস করার জন্য হাসছিলো। ভুল করে মুখ দিয়ে বলেই দিয়েছিলো '' তুমি ত খেলতেই পারো না, কতগুলো বাস্কেট খেয়েছো। ''

আমার কোনো কথা না বলে হাতের বলটি ছুরে মেরে দিলো আর একটা কষে থাপ্পর দিলো নিশা কে। কিছু বল্ল না নিশা। নিশা উত্তর দেয় না কখোনো। আশ্চর্য় ওর চোখ দিয়ে পানিও পরল না। অভ্যাস আছে মনে হলো আমার। কিন্তু কখন আমার চোখ দিয়ে পানি পরেছে নিজেও বুঝতে পারিনি। আমি তখোনো ড্রিবলিং করছিলাম। আমার ড্রেসিং রুমে কাপর পাল্টাচ্ছিলো। একবার ভাবলাম নিশাকে গিয়ে একটু শান্তনা দেই। কিন্তু আবার মনে হলো ও ত আমার সাথে কথাই বলে না। তবে আমাদের অনেকেই সন্দেহ করে আমি নিশাকে পছন্দ করি। কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলি না এর উত্তরে কারণ আরমান আমাকে বিশ্বাস করে।

আরমান রেগে চলে যাচ্ছিলো তখন নিশা পিছন থেকে দৌড়ে গিয়ে আরমানের হাত ধরে বল্লো সরি।

আজব সম্পর্ক যেখানে সরি বলার কোথা আরমানের সেখানে সরি বলছে নিশা। ড্রিবলিং চালিয়ে যাচ্ছি আর ওদের দেখছি । হঠাত জায়েদ এসে বল কেরে নিলো আর বল্লো হবে না হবে না দেখলেই হবে না। যথারীতি আমি কোনো উত্তর দিলাম না

উত্তর দিলে কথা বলার প্রবণতা মানুষের বেরে যায়। আর বেশীর ভাগ সময়ই কইফিরত যারা দেয় তাদের ই দোষি বলে মনে করে মানুষ। আমি সেই কাতারে যেতে চাইনি।

আমি হানিফ। ভার্সিটি অনেক কষ্টে চান্স পেফেছি বলা যায় ভাগ্যের জোরে। ছোটোবেলা থেকে খেলধূলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। গ্রামের ছেলে হওয়া খুব একটা কিছু বুঝি না। ছোটোবেলা থেকে কাজ করার অভ্যাস। বাবাকে জমিতে সাহায্য করতাম। অনেক সময় রান্না ও করতে হতো। কেনান ছোটবেলায় মা মারা গেছে মায়ের আদর খুব একটা পাইনি এখন এসে পড়াশুনা করছি একটু আধটু। তবুও বেশির ভাগ সময় নিশা কে নিয়েই ভাবতাম। কি অপরুপ মেয়েটা আলাদা একটা মায়া আছে তাকিয়ে পুরো দিন পার করে দেওয়া যায়। চুপ চাপ লাজুক। অথচ তাকে কীভাবে মারল আরমান। এই ভেবেই যখন হলে বারেন্দায় বসে ছিলাম তখন রশিদ এসে বল্ল বন্ধু তুমি কি নিশাকে চাও?

- এ কেমন কথা। ও আমার বন্ধুর

- তাতে কি?

- ওদের সম্পর্ক ২ বছরের

- কত দিনের সম্পর্ক ভেন্ঙে যায়

- আমি পারব না

- আরে তোকে পারতে হবে না। আমি শিখিয়ে দিচ্ছি। তুই একটা ফেক আইডি খুলে আরমানের সাথে প্রেম কর

- যাহ পাগল। কি বলিস এগুলো ছেলরর সাথে কেনো প্রেম করব

- আরেক সত্যিকারের না ত। অভিনয় করবি। নিশার সামনে খারাপ দেখাবি। দিয়ে ওদের সম্পর্ক শেষ। তোর লাইন ক্লিয়ার

- নাহ নাহ। এগুলো করা যাবে না। আর তোকে কে বলেছে আমি নিশাকে পছন্দ করি

- সবকিছু বলতে হয় না বন্ধু।আমি বুঝি। না বিঝলে কিসের বন্ধু

- তোকে এত বেশি বুঝতে হবে না। চল টুকিটাকিতে যাই। চা খেয়ে আসি

- নাহ বন্ধু যাবো না। কিন্তু তুই আমার কথা টা ভেবে দেখ

চলে গেল রশিদ। ভাবলাম সত্যি কি আমি নিশাকে ভালবাসি? এটাই কি ভালোবাসা নাকি ভালো লাগা। এভাবে অন্যের সম্পর্ক ভান্ঙা কি ঠিক? ভাবতে ভাবতে সময় কেটে গেলো বিকেলের। সামনে খেলা আবার প্রাকটিসে গেলাম। আরমান কে দেখলাম হাসিখুশি। আবার আগের দিনের মত বাস্কেট খেতে লাগলাম। চেষ্টা করার ইচ্ছা জাগল না। কেমন জানি নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিলো যে আমার জন্য অন্য কেউ চর- থাপ্পর খাবে। বাস্কেট কে মনে হতে লাগল নিশার গাল। আর বলটা আরমানের হাত।

Part -2
https://www.facebook.com/105533771346988/posts/334595825107447/?sfnsn=mo

Address

Website

facebook.com

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Minhazul Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

Address
Alerts
Claim ownership or report listing
Want your business to be the top-listed Media Company?

Country:

City:

20/10/2023

20/09/2023

27/10/2022

11/07/2022

09/04/2022

23/09/2021

23/09/2021

23/09/2021

23/09/2021

23/09/2021

23/09/2021

23/09/2021

22/09/2021

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share