Mimma's Hobby

  • Home
  • Mimma's Hobby

Mimma's Hobby মানুষের স্ট্যাটাসে থাকে ব্যক্তিত্ব,
আর ইনবক্সে থাকে চরিত্র ❣️

আপনি জানেন কি ⁉️স্যাকারিন আবিষ্কারের চিত্তাকর্ষক কাহিনি!১৮৭৯ সাল। ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন রুশ রসায়নবিদ রসায়নবিদ কনস্টান...
03/02/2025

আপনি জানেন কি ⁉️
স্যাকারিন আবিষ্কারের চিত্তাকর্ষক কাহিনি!

১৮৭৯ সাল। ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন রুশ রসায়নবিদ রসায়নবিদ কনস্টানটিং ফালবার্গ। এ সময় অজ্ঞাতেই তাঁর হাতে মেখে যায় কিছু রাসায়নিক দ্রব্য। এগুলো তিনি খেয়ালই করেননি।

কাজ করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়। ডিনারের কথা তার মনেই ছিল না। রাত অনেক গভীর হলে মনে পড়ে ডিনারের কথা। তৎক্ষণাৎ এক টুকরো রুটি নিয়ে তাতে কামড় বসান।

কিন্তু মুখে দিয়েই অবাক তিনি! রুটি বেশ মিষ্টি লাগছিল। কেন? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলেন। রুটিতে চিনি ছিল না এটা নিশ্চিত। পরে হাত মুখে দিয়ে বুঝতে পারেন, মিষ্টির উৎস হলো হাত।

অর্থাৎ হাতে লেগে থাকা অজ্ঞাত কেমিক্যাল।

কী কী নিয়ে কাজ করছিলেন, সেগুলো ভালো করে যাচাই করার পর ফালবার্গ অবশেষে আবিষ্কার করে ফেললেন পৃথিবীর কৃত্রিম সুইটনার। পরে এর পেটেন্ট রাইটও নিয়ে নেন নিজের নামে। অচিরেই স্যাকারিন চিনির বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সূত্র: ব্রিটানিকা

সময়টা যোসেফ স্টালিন এর শাসন আমল ১৯২২ সালের দিকে রাশিয়া ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ!!!দুর্ভিক্ষ পুরো সমাজের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছিল।সেই...
03/02/2025

সময়টা যোসেফ স্টালিন এর শাসন আমল ১৯২২ সালের দিকে রাশিয়া ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ!!!
দুর্ভিক্ষ পুরো সমাজের ভিত্তি নড়িয়ে দিয়েছিল।
সেই প্রেক্ষাপটে লেখা বই তাসখন্দ - রুটির শহর।
এই গল্পটি রুশ গৃহযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে লেখা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো মিশকা নামে এক কিশোর, যে তার ছোট বোন আন্নাসহ দিনের পর দিন চরম দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে।

তাদের গ্রামে দুর্ভিক্ষের কারণে খাবারের অভাব ছিল মর্মান্তিক।

তাঁদের মতো অনেক শিশু জানতে পারে যে তাসখন্দ নামে একটি শহর আছে, যাকে মানুষ "রুটির শহর”নামেই জানে, কারণ সেখানে প্রচুর রুটি পাওয়া যায়।

মিশকা এবং অন্যান্য বাচ্চারা এই তাসখন্দ শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে তারা খাদ্যের খোঁজে পাড়ি জমায়। এই যাত্রাপথটি ছিল অত্যন্ত কঠিন এবং বিপদসংকুল। পথে ধ্বংসপ্রাপ্ত সমাজের ভয়াবহ দৃশ্য এবং ব্যক্তিগত কষ্ট তাদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

তাসখন্দে পৌঁছে তারা সত্যিই দেখে যে সেখানে খাদ্য অপেক্ষাকৃত সহজলভ্য, তবে শিশুরা এই শহরেও নিজেদের টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে বাধ্য হয়। বইটি শিশুদের দুঃসাহসিকতা, আশা, ক্ষুধার সাথে সংগ্রাম এবং বিপদময় পরিস্থিতিতে মানবতার জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি।

"তাসখন্দরুটির শহর" শিশুকিশোরদের চোখ দিয়ে তখনকার সমাজের জটিলতা এবং মানুষের বেঁচে থাকার লড়াইকে তুলে ধরে। এটি সাহিত্যের একটি অত্যন্ত মানবিক এবং চিরন্তন কাহিনি যা পড়লে তৎকালীন রুশ সমাজের দুর্দশা ও সংকট স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়।

বিশ্বাস করেন বা না করেন, এটি একটি বুলেটের আপেল ভেদ করে যাওয়ার একটি বিশেষ ছবি।ছবিটি তুলতে কয়েক মিলিয়ন ফ্রেম/সেকেণ্ড এর ক্...
03/02/2025

বিশ্বাস করেন বা না করেন, এটি একটি বুলেটের আপেল ভেদ করে যাওয়ার একটি বিশেষ ছবি।ছবিটি তুলতে কয়েক মিলিয়ন ফ্রেম/সেকেণ্ড এর ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়েছে!

হারল্ড "ডক" এডগারটন এমন একটি ছবি তোলেন, যেখানে একটি .৩০ ক্যালিবার বুলেট আপেল ভেদ করছে—একটি মুহূর্ত যা চোখে দেখা প্রায় অসম্ভব। এই ছবি তোলার জন্য তিনি স্ট্রোবোস্কোপিক আলো ও মাইক্রোফ্ল্যাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, যা প্রতি সেকেন্ডে কয়েক মিলিয়ন ফ্রেমের সমতুল্য তথ্য ধারণ করতে পারত। অন্ধকারে তোলা এই ছবির জন্য তিনি মাইক্রোফোন ও ইলেকট্রনিক ডিলে সার্কিটের মাধ্যমে সঠিক সময়ে ফ্ল্যাশ ট্রিগার করেন। মাত্র এক মাইক্রোসেকেন্ডের ফ্ল্যাশ দিয়ে এমন একটি মুহূর্তকে বন্দি করা সম্ভব হয়েছিল, যা সামান্য চোখের পলকে ঘটে যায়। তাঁর এই যুগান্তকারী কাজ আজও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।

তথ্যসূত্র: BBC News

অ্যানাকোন্ডা সাপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সাপগুলোর মধ্যে একটি। সুইস ফটোগ্রাফার ফ্রাঙ্কো বানফি ব্রাজিলের মাটো গ্রো...
02/02/2025

অ্যানাকোন্ডা সাপ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী সাপগুলোর মধ্যে একটি। সুইস ফটোগ্রাফার ফ্রাঙ্কো বানফি ব্রাজিলের মাটো গ্রোসো অঞ্চলের কাদা জলাভূমিতে গিয়ে এই বিশাল সাপের ছবি তুলেছেন। তিনি ক্যামেরা নিয়ে পানিতে ডুবে এই ভয়ংকর সাপের কাছে পৌঁছান। অ্যানাকোন্ডা সাপ ৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং এর ওজন ২০০ কিলোগ্রামের বেশি হয়। বানফি এই সাপের ছবি তোলার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কারণ যদিও অ্যানাকোন্ডা মানুষ আক্রমণ করে না, তবুও এটি খুবই শক্তিশালী শিকারী। তার তোলা ছবি গুলো আমাদের এই সাপের অজানা রহস্য এবং সৌন্দর্য দেখায়, আর এটি পরিবেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও তুলে ধরে।
✍️ Abdullah Bin Mahbub

Source: Banfi, F. (2020). Anaconda: The King of the Amazon. National Geographic.

ইতিহাদ রেল আবুধাবি এবং দুবাইকে সংযোজনকারী প্রথম হাই-স্পিড যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক ট্রেন। যাত্রীদের মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে দ...
02/02/2025

ইতিহাদ রেল আবুধাবি এবং দুবাইকে সংযোজনকারী প্রথম হাই-স্পিড যাত্রীবাহী বৈদ্যুতিক ট্রেন। যাত্রীদের মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে দুটি আমিরাতের মধ্যে ভ্রমণ করতে সাহায্য করবে।
৩৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলা এই ট্রেনটি ছয়টি স্টেশনের মধ্য দিয়ে যাবে:

১: রিম আইল্যান্ড
২: সাদিয়াত
৩: ইয়াস আইল্যান্ড
৪: আবুধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
৫: আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাছাকাছি)
৬: দুবাইয়ের আল জাদ্দাফ এলাকা।

এই অত্যাধুনিক পরিবহন বিকল্পের পাশাপাশি, ইতিহাদ রেল একটি নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেনও চালু করবে।

 #আশ্চর্য_সরস্বতীএটি দেবী সরস্বতীর এক আশ্চর্য মূর্তি। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন মূর্তিতে দেবীর শরীরে উপবীত আছে। এই মূর...
02/02/2025

#আশ্চর্য_সরস্বতী
এটি দেবী সরস্বতীর এক আশ্চর্য মূর্তি। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন মূর্তিতে দেবীর শরীরে উপবীত আছে। এই মূর্তি প্রাচীন ভারতবর্ষের এক ভুলে যাওয়া প্রথার দিকে ইঙ্গিত করে। দেবীর এই মূর্তি দেখে জানা যায়, প্রাচীন কালে ভারতীয় সমাজে উপবীত অর্থাৎ পৈতে শুধুই পুরুষের একার ছিল না, তা ছিল লিঙ্গ নিরাপেক্ষ। সেই সময়ে এই প্রথা নিজের যোগ্যতা দ্বারা সমাজে স্তর উত্তোরণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার হত।
যতদূর জানা যায় এই নারীদের মধ্যে দুটি ভাগ ছিল- ব্রহ্মবাদিনী এবং সদ্যোদ্বাহা। ব্রহ্মবাদিনী অর্থাৎ যারা বিবাহ না করে সারাজীবন শাস্ত্রচর্চা করতেন। সদ্যোদ্বাহা যারা তারা সংসারধর্ম পালন করতেন।
দেবী সরস্বতীর এই অর্থবহ মূর্তিটি তামিলনাড়ুর থানজাভুরে বৃহদীশ্বর মন্দিরের গায়ে ভাস্কর্য হিসেবে খুঁজে পাওয়া গেছে। চোল রাজবংশের রাজা রাজেন্দ্র চোলের রাজত্বকালে এই মন্দির ১০০৩ থেকে ১০১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়।

কপি পোস্ট।

মিশরের রাজধানী কায়রোতে রয়েছে ইজিপ্সিয়ান মিউজিয়াম। যেখানে রাখা রয়েছে এযাবৎ খুঁজে পাওয়া হায়রোগ্লিফিক ভাষায় লেখা প্...
02/02/2025

মিশরের রাজধানী কায়রোতে রয়েছে ইজিপ্সিয়ান মিউজিয়াম। যেখানে রাখা রয়েছে এযাবৎ খুঁজে পাওয়া হায়রোগ্লিফিক ভাষায় লেখা প্যাপিরাস, বিভিন্ন ধাতুর তৈরি মুদ্রা, সারকোফেগাস, মমি, ওবেলিক্স, টুম্ব ইত্যাদি। কিন্তু মিউজিয়ামের তালিকা সংগ্রহ, নথি দেখে বোঝা যায় কিছু একটা মিসিং আছে। আর সেই মিসিং বিষয়টি হলো মিশরের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া একশো বছর। হ্যাঁ, মিশরের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় একশো বছর। সেই একশো বছরে মিশরে কী ঘটেছিল তার কোনো হদিশ পাওয়া যায় না কায়রো মিউজিয়ামে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন উঠে আসে...

কেন মিশরের ইতিহাস থেকে এই একশো বছরের ইতিহাস হারিয়ে গেল?
কারা রাজত্ব করতো সেই সময়ে?
কারা ছিল সেই সময়ের ফ্যারাও?
কী অবদান ছিল তাদের মিশরীয় সভ্যতায়?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজবো নতুন সিরিজে, খোঁজ করবো ব্ল্যাক ফারাওদের পদচিহ্ন...

ছবিটি অবশ্যই AI জেনারেটেড।

Copy

 #প্রাচীনতম_মানুষপ্রাচীনতম মানুষ! কথাটা শুনতে বড্ড হাস্যকর মনে হয়। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বুকে হেঁটে আসা মনুষ্যপ্রজাতির মধ্...
01/02/2025

#প্রাচীনতম_মানুষ
প্রাচীনতম মানুষ! কথাটা শুনতে বড্ড হাস্যকর মনে হয়। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর বুকে হেঁটে আসা মনুষ্যপ্রজাতির মধ্যে প্রথম সেই মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা আজ কি আর সম্ভব? না, সেই প্রাচীনতম মানুষের সম্পর্কে জানা আজ হয়তো আর সম্ভম নয়। কারণ তার কোনও অস্তিত্ব হয়তো আজ আর পৃথিবীর বুকে বর্তমান নেই। তবে আজ অবধি খুঁজে পাওয়া প্রাচীনতম মানুষের অস্তিত্ব সম্পর্কে কিন্তু জানা সম্ভব হয়েছে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
অবশেষে জনসমক্ষে এলো প্রাচীনতম হিউম্যান ডি.এন.এ.র অ্যানালিসিস রিপোর্ট। না না, আফ্রিকা নয় ইউনাইটেড কিংডমের দুটি প্রাচীন আর্কিওলজিকাল সাইটে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল সেই ডি.এন.এ.র নমুনা। ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত। কারণ ইতিমধ্যেই আমাদের একটা ধারণা রয়েছে যে প্রাচীনতম আধুনিক মানুষের অবস্থান ছিল আফ্রিকা মহাদেশে।
তবে কি সেই আবিষ্কারের সত্যতা এবার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়ালো?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে সেই নমুনা এবং তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টা একটু জেনে নেওয়া যাক।
ইউনাইটেড কিংডমের দুটি প্রাচীন আর্কিওলজিকাল সাইট থেকে খুঁজে পাওয়া আজ অবধি সবচেয়ে পুরনো কিছু মানুষের হাড়ের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে। এরা প্রকৃত অর্থেই মানুষ ছিল। তার আগের কোনও প্রজাতি নয়। ইউ. সি. এল. ইন্সটিটিউট অফ আর্কিওলজি এবং ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংগঠিত হচ্ছিল। ইউ. কে'র দুটি প্রাচীনতম আরকিওলজিকাল সাইট গবস কেভ এবং কেন্দ্রিক কেভ থেকে আর্কিওলজিস্টরা নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন ২০১২ সাল নাগাদ।
প্রথমেই নমুনাগুলোর কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করে তাদের বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন গবেষকরা। তাদের আশ্চর্য করে দিয়ে পরীক্ষার ফলাফল জানায় গবস কেভ'এ খুঁজে পাওয়া নমুনার বয়স আনুমানিক সাড়ে ষোল হাজার বছর আর কেন্দ্রিক কেভ'এ খুঁজে পাওয়া নমুনার বয়স প্রায় চোদ্দ হাজার বছর। অর্থাৎ সময় অনুযায়ী এই আধুনিক মানুষরা বেঁচেছিল প্রথম বরফ যুগের সময়। এ এক আশ্চর্য এবং অবিশ্বাস্য আবিষ্কার ছিল। তবে গবেষকদের অবাক হওয়ার তখনও আরো অনেক কিছুই বাকি ছিল।
পেলিওলিথিক হিউম্যান অরিজিনের এই নমুনা থেকে এরপর শুরু হল ডি.এন.এ. এক্সট্রাকশন করার কাজ। পরীক্ষা নিরীক্ষার এই অংশটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন। এত প্রাচীন কোনও হিউম্যান স্যাম্পল নিয়ে এই ধরণের পরীক্ষা গবেষকরা ইতিপূর্বে করে দেখেননি। প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগে গেল ডি.এন.এ. সঠিকভাবে এক্সট্রাকশনের কাজটা করতে। তবে সেই পরীক্ষার ফলাফল দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে গেলেন গবেষকরা। ইউনাইটেড কিংডমের প্রাচীনতম আধুনিক মানুষদের কোনও ডি.এন.এ. স্যাম্পেলের সঙ্গেই সেই ডি.এন.এ.র মিল খুঁজে পাওয়া গেল না। কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে গবেষকরা এরপর শুরু করলেন প্রাপ্ত ডি. এন. এ.র সিকোয়েন্সিং করার কাজ। প্রায় দু'বছর পর প্রকাশিত হলো ডি. এন. এ. সিকোয়েন্সিং'এর ফলাফল।
ডি. এন. এ. সিকোয়েন্সিং'এর সেই ফলাফল ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত। যে দুটি আরকিওলজিকাল সাইট থেকে স্যাম্পেল নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল তার মধ্যে কেন্দ্রিক কেভের নমুনা ছিল দুটি পৃথক প্রজাতির মানুষের। আর সেই মানুষরা আধুনিক যুগের মানুষদের থেকে ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। ডি. এন. এ. রিপোর্ট বলছে, সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন প্রজাতির মানুষ মাত্র দু'হাজার বছর সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর দুটি ভিন্ন প্রান্ত থেকে মাইগ্রেট করে এক জায়গায় পৌঁছেছিল। এই ফলাফলের অর্থাৎ তাদের মাইগ্রেশনের কোনও কারণ এখনো পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই সব কিছু জানার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে গেল।

এই দুটি ভিন্ন প্রজাতির মানুষ আসলে কারা?
তারা কোথা থেকে এসেছিল।
কেনই বা এসেছিল?
সেই বরফ যুগে তারা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মাইগ্রেট করলই বা কীভাবে?
সত্যিই কি তারা প্রাচীনতম মানুষদের কোনও প্রজাতি ছিল?

স্যাম্পেল নিয়ে আরও গুরুতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। আমরাও এই সব প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

কপি।

পৃথিবীর বুকে এক অবিশ্বাস্য সৃষ্টি! 🏜️🌀এই দৃশ্য যেন কোনো পরকীয় গ্রহের এক রহস্যময় নগরী! কিন্তু না, এটি আমাদেরই পৃথিবীর এক...
31/01/2025

পৃথিবীর বুকে এক অবিশ্বাস্য সৃষ্টি! 🏜️🌀

এই দৃশ্য যেন কোনো পরকীয় গ্রহের এক রহস্যময় নগরী! কিন্তু না, এটি আমাদেরই পৃথিবীর এক বিস্ময়কর ভূ-গঠন, যা প্রকৃতির নিজস্ব শিল্পকর্ম। এই অদ্ভুত স্তম্ভের মতো গঠনটি ফ্রান্সের লোয়ার উপত্যকার "Les Orgues d'Ille-sur-Têt", যা "অর্গান পাইপ রক ফর্মেশন" নামে পরিচিত।

কীভাবে গঠিত হল এই ভয়ংকর সুন্দর প্রাকৃতিক স্থাপনা?

প্রায় ৪ মিলিয়ন বছর ধরে বাতাস, বৃষ্টি ও ক্ষয়প্রক্রিয়ার ফলে এই আশ্চর্য শৈলগঠন তৈরি হয়েছে। নরম বেলেপাথর ধীরে ধীরে ক্ষয়ে গিয়ে কঠিন স্তম্ভগুলো রেখে গেছে, যা দেখতে ঠিক যেন কোনো প্রাচীন মন্দিরের খিলান বা কোনো হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ!

কিন্তু রহস্য কোথায়? 🤯

অনেকে বিশ্বাস করেন, এই জায়গার গভীরে লুকিয়ে আছে এক অজানা শক্তি! স্থানীয়রা বলেন, এখানে রাতের বেলায় শোনা যায় অদ্ভুত সুর—ঠিক যেন কোনো অদৃশ্য হাত একটি বিশাল প্রাচীন অর্গান বাজিয়ে চলেছে! কেউ কেউ মনে করেন, এই গঠন আসলে এক হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার নিদর্শন, যা একসময় রহস্যময় কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল!

এটি কি শুধুই প্রকৃতির খেলা, নাকি সত্যিই কিছু লুকিয়ে আছে?

বিজ্ঞান বলবে এটি শুধু প্রাকৃতিক ক্ষয়ের ফল, কিন্তু স্থানীয়দের বিশ্বাস অন্যরকম! তারা মনে করেন, এই স্তম্ভগুলোর নিচে লুকিয়ে আছে অজানা সুড়ঙ্গ, হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের চিহ্ন এবং হয়তো এমন কিছু, যা আজও মানুষের চোখের আড়ালে!

আপনার কী মনে হয়? এটি কি শুধুই ভূতত্ত্বের খেলা, নাকি কোনো অজানা ইতিহাসের চিহ্ন?

নিউ মেক্সিকোর আহ-শি-স্লে-পাহ ওয়াইল্ডারনেস এরিয়া... অনন্য মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপের মাঝে মহাজাগতিক শিলা গঠনের ফাঁক দিয়ে অত...
31/01/2025

নিউ মেক্সিকোর আহ-শি-স্লে-পাহ ওয়াইল্ডারনেস এরিয়া...

অনন্য মরুভূমির ল্যান্ডস্কেপের মাঝে মহাজাগতিক শিলা গঠনের ফাঁক দিয়ে অত্যাশ্চর্য সূর্যাস্ত এক অন্য জগতের অনুভূতির কথা বলে।

২৫৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আশেপাশে তৈরি ফারাও খাফরের এই মূর্তিটি বেশ আকর্ষণীয় এবং বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রাচীন মিশরের ও...
31/01/2025

২৫৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের আশেপাশে তৈরি ফারাও খাফরের এই মূর্তিটি বেশ আকর্ষণীয় এবং বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি প্রাচীন মিশরের ওল্ড কিংডমের সময়ে রাজত্ব করা চতুর্থ রাজবংশের একটি উল্লেখযোগ্য শিল্পকীর্তি। গিজার বিখ্যাত গ্রেট পিরামিড এবং স্ফিংসের কাছে ফারাও খাফরের যে মন্দিরে রয়েছে এটি সেখানে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।

মূর্তিটি সেই সময়ের দুষ্প্রাপ্য অত্যধিক শক্ত ডায়োরাইট নামক পাথর থেকে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছিল। তৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ফারাও খাফরের মাথার ঠিক পিছনে বাজপাখির অবয়বের দেবতা হোরাসের একটি মূর্তি রয়েছে। একনজরে দেখে মনে হবে হোরাস যেন খাফরের পিঠে চড়ে রয়েছে। সেখানে বসে দেবতা হোরাস যেন তার ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখছে।
ইজিপ্টলজিস্টদের মতে এই ব্যাপারটাই সবচেয়ে তাৎপর্যের।

এর থেকে পরিষ্কার যে ফারাও হিসেবে খাফরেকে সেই সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হতো, প্রায় একজন দেবতার মতো। প্রাচীন মিশরীয়রা একটা সময় মনে করত তাদের ফারাওরা পৃথিবীতে দেবতা হোরাসেরই সমগোত্রীয়। মূর্তিতে খাফরের মুখ অসম্ভব রকম শান্ত এবং মহিমান্বিত যা বোঝায় তিনি একজন শক্তিশালী এবং শাশ্বত শাসক, সম্পূর্ণরূপে দেবতাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

কপি।

সেরামিকের এই মূর্তিটি প্রাচীন কালের আপার ইজিপ্টের থিবস নগরের একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইট ড্রা-আবু-আল-নাগাতে খুঁজে পাওয়া গিয়...
31/01/2025

সেরামিকের এই মূর্তিটি প্রাচীন কালের আপার ইজিপ্টের থিবস নগরের একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইট ড্রা-আবু-আল-নাগাতে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ২৪ সেমি।

১৫৫০ থেকে ১২৯৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান। সম্ভবত অষ্টদশ রাজবংশের রাজত্বকালে এটি তৈরি হয়েছিল। মূর্তিটিতে যে দেবীকে দেখা যাচ্ছে তার অস্তিত্ব আজও অজানা। মূর্তিতে রহস্যময়ী দেবী নিজে তার স্তন ধারণ করে রয়েছেন। মূর্তিতে দেবী শরীরের নাভি-সহ পিউবিক ত্রিভুজ প্রকাশিত। সম্ভবত তা নারীর গর্ভধারণের পবিত্রতাকে ইঙ্গিত করছে।

১৯০৬ থেকে ১৯১১ সালের মধ্যে লর্ড কার্নারভন এবং হাওয়ার্ড কার্টার এই অঞ্চলে খননকার্য চালিয়েছিলেন। সেই সময়তেই এটি খুঁজে পেয়েছিলেন তারা।
বর্তমানে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রতে এটি সংরক্ষণ করে রাখা আছে। বলা হয় তারা ইজিপসিয়ান এন্টিকুইটি সার্ভিসের কাছ থেকে ১৯১২ সালে এটি কিনে নিয়েছিল। তবে তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

কপি।

মধ্যযুগের ব্যতিক্রমী ভারতীয় স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন হল এই জল মহল! আক্ষরিক অর্থে যার নামের মানে 'জলের প্রাসাদ', সেই জ...
31/01/2025

মধ্যযুগের ব্যতিক্রমী ভারতীয় স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন হল এই জল মহল! আক্ষরিক অর্থে যার নামের মানে 'জলের প্রাসাদ', সেই জল মহল রাজস্থানের জয়পুর শহরে অবস্থিত। এটি জয়পুরের মান সাগর হ্রদের মাঝখানে অবস্থিত একটি সুবিশাল প্রাসাদ। ১৬৯৯ সালের শেষ দিকে প্রাসাদটির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়েছিল বলে ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে। তবে স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী এর ভিত্তি অন্তত আরও দুশো বছর পুরোনো। পরে প্রসাদের ভবন এবং এর আশেপাশের হ্রদটির আরও সৌন্দর্য্যয়ন করা হয়। আঠেরো শতকের গোড়ার দিকে অম্বরের মহারাজা দ্বিতীয় জয় সিং'এর আমলে নতুন করে এটির সংস্কার করা হয়...

বন্ধুরা কেউ এটি চাক্ষুস করে থাকলে নিজেদের অভিজ্ঞতা অবশ্যই জানাবেন... 🙏

কপি।

আইএম ৬৭১১৮ একটি প্রাচীন ব্যাবিলনীয় মাটির ট্যাবলেট, যা প্রায় ৩,৭০০ বছর পূর্বে নির্মিত হয়েছিল। ট্যাবলেটটিতে একটি আয়তক্...
31/01/2025

আইএম ৬৭১১৮ একটি প্রাচীন ব্যাবিলনীয় মাটির ট্যাবলেট, যা প্রায় ৩,৭০০ বছর পূর্বে নির্মিত হয়েছিল। ট্যাবলেটটিতে একটি আয়তক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের জন্য পিথাগোরাসের উপপাদ্যের প্রয়োগ দেখা যায়। এটি প্রমাণ করে যে পিথাগোরাসের জন্মের অনেক আগে থেকেই ব্যাবিলনীয়রা এই জ্যামিতিক জ্ঞান সম্পর্কে অবগত ছিলেন।

ট্যাবলেটটির উপরে একটি আয়তক্ষেত্র অঙ্কিত রয়েছে যার ভেতরে কর্ণের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশ করা হয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে প্রাচীন ব্যাবিলনীয়রা সমকোণী ত্রিভুজের তিন বাহুর মধ্যে সম্পর্ক (অর্থাৎ, কর্ণের বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল সমান হয় লম্ব ও ভূমির বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফলের যোগফলের) সম্পর্কে জানতেন।

এই আবিষ্কারটি পিথাগোরাসের উপপাদ্যের উৎস সম্পর্কে নতুন আলো ফেলেছে। পিথাগোরাসের (খ্রিস্টপূর্ব ৫৭০–৪৯৫) সময়ের প্রায় এক হাজার বছর আগেই ব্যাবিলনীয়রা এই জ্যামিতিক নীতি ব্যবহার করেছিলো। তবে এটি তখন "পিথাগোরাসের উপপাদ্য" নামে পরিচিত ছিল না।

আইএম ৬৭১১৮ ট্যাবলেটটি বর্তমানে ইরাকের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। এটি প্রাচীন সভ্যতায় গণিতের উন্নত জ্ঞান এবং প্রয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।

সোর্স: Wikipedia
কপি।

 #ক্লিওপেট্রার_খোঁজে আজ সপ্তম পর্ব কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের সময় গণনার নিয়ম পরিবর্তনের সঙ্গে ক্লিওপেট্রার কি যোগাযোগ থাকত...
30/01/2025

#ক্লিওপেট্রার_খোঁজে
আজ সপ্তম পর্ব

কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের সময় গণনার নিয়ম পরিবর্তনের সঙ্গে ক্লিওপেট্রার কি যোগাযোগ থাকতে পারে?
খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে রোমান সেনেটের বিরোধীরা একজোট হয়ে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেন যা বদলে দিলো রোমান-ইজিপ্সিয়ান তথা পৃথিবীর ইতিহাস। বদলে দিলো ক্লিওপেট্রার ভবিষ্যৎ।সেনেটের প্রধান জুলিয়াস সিজার বছর দু'এক ধরে মিশরের রানী ক্লিওপেট্রার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন।তার যাবতীয় সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হচ্ছিলো ক্লিওপেট্রার দ্বারা।মিশরে বেশ কিছুদিন থাকার ফলে সিজার নিজে চোখে দেখেছিলেন সেখানকার সভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্যের উৎকর্ষ।তিনি অনুভব করেছিলেন রোমান সাম্রাজ্য তুলনায় অনেক পিছিয়ে।মিশরের সেই উৎকর্ষ তিনি রোমান সাম্রাজ্যে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন।শুরুতেই নিয়ম করে বদলে দিলেন সময় গণনার নিয়ম।আগে রোমান সাম্রাজ্যে চাঁদের পৃথিবীর চারপাশে ভ্রমণের উপর নির্ভর করে সময় গণনা করা হতো।সিজার নিয়ম করলেন এখন থেকে(খ্রিস্টপূর্ব-৪৫) রোমান সাম্রাজ্যে সময় গণনা হবে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার উপর নির্ভর করে।এই পরিবর্তন রোমান সেনেট কিন্তু সহজে মেনে নিতে পারলো না।আবার ক্লিওপেট্রাও তখন রোমেই সিজারের অতিথি হিসাবে অবস্থান করছেন। সিজারের সঙ্গে তার সম্পর্ক তখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।এমনকি সিজারিয়ান যে মহান জুলিয়াস সিজারের সন্তান এবং তার উত্তরসূরি তাও তখন প্রকাশিত।সমস্ত কিছুকে আটকাতে রচিত হলো এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র।
সেনেট ভবনের মধ্যেই গোপনে হত্যা করা হলো মহান জুলিয়াস সিজারকে।রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়।সিজার পরবর্তী রোমান সম্যাজ্য বিভক্ত হয়ে গেলো তার কাছের মানুষদের মধ্যে।উঠে এলো দুটি নাম।সিজারের অনুগত মার্ক এন্টোনি এবং তার ভ্রাতুষ্পুত্র অক্টেভিয়ান।মিশরে তখন চাপা গুঞ্জন শোনা যেত যে অক্টেভিয়ান আসলে সিজারেরই অবৈধ সন্তান।

চলবে...
কপি

আজ অবধি খুঁজে পাওয়া একমাত্র মমি যাকে আনৱ্যাপ করার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা করেনি। প্রথম থেকেই এই মমিটির ওপর থেকে লিনেন অপসারণ ক...
30/01/2025

আজ অবধি খুঁজে পাওয়া একমাত্র মমি যাকে আনৱ্যাপ করার চেষ্টা বিজ্ঞানীরা করেনি। প্রথম থেকেই এই মমিটির ওপর থেকে লিনেন অপসারণ করতে অস্বীকার করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কারণ হিসেবে এর অত্যন্ত নিখুঁত সংরক্ষণের কথা বলেছিলেন তারা। আসলে সমগ্র বিশ্বে এমন কোনও মানুষ বা প্রযুক্তি নেই যা আনৱ্যাপ করার পর কোনো মমিকে আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে পারে।
১৯১৯ সালে মিশরের ভ্যালি অফ দ্য কিংস'এ , বিখ্যাত মিশরবিদ হাওয়ার্ড কার্টার "বশিরি" নামক এই মমিটি আবিষ্কার করেছিলেন। এর সংরক্ষণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে কার্টার সাহেব নিজেও এটি নিয়ে বিশেষ কাজ করেননি। পরবর্তীকালে বাইরে থেকে স্ক্যান করে দেখা যায় ভেতরেও মমিটি একেবারে ইনট্যাক্ট রয়েছে। আর ঠিক এই কারণেই আজও প্রত্নতাত্ত্বিকরা একে আনৱ্যাপ করার অর্থাৎ শরীরের ওপর থেকে লিনেন সরিয়ে ফেলার দুঃসাহস দেখাননি। এটি একটি ব্যতিক্রম হয়েই রয়েছে।

 #ক্লিওপেট্রার_খোঁজে আজ ষষ্ঠ পর্ব রোমান সাম্রাজ্য তথা পৃথিবীর ইতিহাস।বদলে দিলো মিশরের ভবিষ্যৎ।সমস্ত কিছু জানতে আমাদের আব...
29/01/2025

#ক্লিওপেট্রার_খোঁজে
আজ ষষ্ঠ পর্ব

রোমান সাম্রাজ্য তথা পৃথিবীর ইতিহাস।বদলে দিলো মিশরের ভবিষ্যৎ।
সমস্ত কিছু জানতে আমাদের আবার ফিরে আসতে হবে আধুনিক কালের মিশরে।১৯৫৫ সাল পর্যন্ত প্রত্নতাত্ত্বিকরা ভূমধ্য সাগরের অতলে তলিয়ে যাওয়া ক্লিওপেট্রার রাজধানী আলেক্সান্দ্রিয়া খুঁজে পাওয়া সমস্ত নিদর্শন ভালো ভাবে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন।ইজিপ্টোলজিস্টরা প্রায় সবকটি হাইরোগ্লিফ পাঠোদ্ধার করলেন।কিন্তু খ্রিস্টপূর্ব ৪০ এর পর থেকে আর কোনও তথ্যই তারা খুঁজে পেলেন না, যেন হঠাৎ করেই সেই সময়ের পৃথিবী থমকে গিয়েছিলো।হঠাৎ করেই যেন কালের অন্ধকারে হারিয়ে গেলেন আমাদের রহস্যময়ী রানী।ঐতিহাসিকরা এবার খুঁজতে শুরু করলেন সমসাময়িক রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস।যেহেতু জুলিয়াস সিজারের সঙ্গে ক্লিওপেট্রার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাই তাদের ধারণা হলো রোমান ইতিহাসে নিশ্চয়ই ক্লিওপেট্রার উল্লেখ থাকবে।লন্ডন মিউজিয়ামে গিয়ে ১৯৬২ সালে খুঁজে পাওয়া গেলো হারিয়ে যাওয়া এক যোগসূত্র।
এক প্রাচীন নথিতে উল্লেখ পাওয়া গেলো দুরকম ক্যালেন্ডারের।আর সেই দুটি ক্যালেন্ডারের রোমান সেনেট দ্বারা স্বীকৃতির প্রমানও পাওয়া গেলো।প্রথম ক্যালেন্ডারটিতে তারিখ গণনা হতো চাঁদের পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরার সময় মেনে।এই ক্যালেন্ডারটি বেশ পুরানো এবং খ্রিস্ট পূর্ব ৪৫ সাল পর্যন্ত রোমান সাম্রাজ্যে সময় গণনার জন্য ব্যবহৃত হতো।আর দ্বিতীয়টিতে তারিখ গণনা হতো পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরার সময় মেনে।খ্রিস্টপূর্ব ৪৫ সালের পর থেকে রোমান সাম্রাজ্যে এই ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে সময় গণনার উল্লেখ খুঁজে পাওয়া যায়।ঐতিহাসিকরা পড়লেন মহা ধন্দে।মাত্র পাঁচ থেকে সাত বছরের ব্যবধানে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষের সময় গণনার পদ্ধতির এই আমূল পরিবর্তন কেমন করে সম্ভব? ১৯৬৮ সাল নাগাদ ইজিপ্টোলজিস্টরা খুঁজে পেলেন এক যুগান্তকারী যোগাযোগ।কায়রো মিউজিয়ামে খুঁজে পাওয়া গেলো এমন এক হাইরোগ্লিফ যা পাঠোদ্ধার করে তারা প্রমান করলেন প্রাচীন মিশরে সময় গণনার জন্য সূর্য্যের চারপাশে পৃথিবীর ভ্রমণকালকে একক হিসাবে ধরা হতো।তারা দাবি করলেন প্রাচীন মিশরের এই সময় গণনার পদ্ধতিই আধুনিক কালেও ব্যবহৃত হয়।এই ঘটনার সঙ্গে ক্লিওপেট্রার হারিয়ে যাওয়ার এক প্রচ্ছন্ন যোগাযোগ আবিষ্কার করলেন ঐতিহাসিকরা, তবে তখনও তা তাদের কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল।প্রমান করা যায়নি কিছুই।
কিন্তু রোমান সাম্রাজ্যের সময় গণনার নিয়ম পরিবর্নের সঙ্গে ক্লিওপেট্রার কি যোগাযোগ থাকতে পারে?

চলবে...

তীরের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে। তারপর এতো সহস্র বছর কেটে গেছে। অথচ সেই ক্ষত সমেত মাটির নিচে ভ...
29/01/2025

তীরের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে। তারপর এতো সহস্র বছর কেটে গেছে। অথচ সেই ক্ষত সমেত মাটির নিচে ভবিষৎকে নিজের গল্প বলার জন্যে যুগ যুগ ধরে অপেক্ষায় ছিলেন এই আনাসাজি নারী। আধুনিক আরিজোনা এবং নিউ মেক্সিকোর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে বসবাস করতো এই আনাসাজি জনগোষ্ঠী। অনেকে এদের পুয়েবলো আদিবাসী বলেন।
প্রথম পুয়েবলো পিরিয়ড অর্থাৎ আনুমানিক নশো থেকে সাড়ে সাতশো খ্রিস্ট পূর্বাব্দর মধ্যে কোনো এক সময়ে সম্ভবত অন্য জনগোষ্ঠীর আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল এই নারীর। তার মাথার খুলিটি বিদীর্ণ করে ঢুকে গিয়েছিল তীরের ফলা যা আর বের করা সম্ভব হয়নি। আজ এতো বছর পর তার খুলিতে এমবেডেড তীরের মাথার সাথে আবিষ্কৃত হয়েছে সেই নারীর কংঙ্কাল। ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট বলছে মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল কুড়ি বছরের আশেপাশে।
কলোরাডোর মেসা ভার্দে ন্যাশনাল পার্ক মিউজিয়াম কংঙ্কালটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

Address


Telephone

+8801944247824

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mimma's Hobby posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share