26/08/2020
বৃষ্টি পড়ছে, বেশ ভালো ওয়েদার, একটা গল্প শোনাই তবে..
দূরে পাহাড়ের কোলে একটা ছোট্ট শহর ছিল, সেখানে একজন যুবক আর যুবতী একে অপরের প্রেমে পড়ে আর তার ঠিক 3 বছর পর বিয়ে করে সুখে শান্তিতে বাঁচতে থাকে। 2 বছরের মাথায় তাদের একটি ফুটফুটে বাচ্চা হয় যার নাম তারা দেয় মেরি। ক্রমশ মেরি বড়ো হয়, তার বাবা মা তাকে স্কুলে ভর্তি করে। স্কুলে তার অনেক নতুন নতুন বন্ধু হয়.. সেই বন্ধুদের মধ্যে তার সবচেয়ে পছন্দ ছিল টম-কে। মেরি টমের সাথে খেলতে ভীষন ভালোবাসতো। তো একদিন স্কুল ছুটির পর টম আর মেরি একসাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মেরির দুটো বাড়ি পরই টমের বাড়ি ছিল তাই এটা ওদের কাছে রোজকার ঘটনা ছিল। একদিন হঠাৎ ওরা দেখে বাড়ি যাওয়ার পথে ব্যাঙ্ক-টায় ডাকাত পড়েছে.. অনেক পুলিশ, আওয়াজ, গুলি সব মিলিয়ে যেন কোনো সিনেমার সিন। এতসবের পর শেষমেশ ডাকাতরা ধরা পড়ে। মেরির বাবা পুলিশ ছিলেন তাই তিনি ঘটনাস্থলে ওদের দুজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হালকা বকুনি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং ডাকাত-দের নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু এদিকে মেরি ও টমের উৎকন্ঠা বাড়তে থাকে ডাকাত-দলের শেষমেশ কি হলো সেটা জানার জন্য। মেরি টমকে আশ্বাস দেয় যে যেহেতু তার বাবা পুলিশে কর্মরত এবং উনিই ডাকাতদের আদালতে নিয়ে গেছেন তাই উনি যখনই বাড়ি ফিরবেন তৎক্ষণাৎ মেরি ওনাকে জিজ্ঞেস করে সবার প্রথমে টমকে জানাবে। ক্রমশ রাত বাড়ে, মেরির মা মেরিকে জানায় তার বাবার ফিরতে দেরি হবে তাই তারা যেন খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়ে। অনেক্ষন এপাশ-ওপাশ করে শেষ পর্যন্ত মেরির একটু চোখ লেগে যায় আর তখনই সে দরজার শব্দ শুনতে পেয়ে তার মা কে ঠেলা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। বাবা ফিরেছে! মেরি ছুটে গিয়ে বাবাকে এক গ্লাস জল দিয়ে জিজ্ঞেস করে যে ডাকাতদের শেষপর্যন্ত কী হল। তার বাবা যেন এই প্রশ্নেরই অপেক্ষায় ছিলেন। উনি আস্তে আস্তে হাতে থাকা গেলাসের জল শেষ করে গম্ভীর গলায় মেরির মা কে দরজাটি লাগিয়ে দিতে বললেন। তারপর হাঁটু মুড়ে মেরির সামনে বসে তার কাঁধে হাত রেখে বললেন, "আমরা হেরে গেছি মা! ডাকাতরা বলেছে যদি তাদের কাজ আমাদের পছন্দ না হয়, আমরা যেন না দেখি। শেষে আমাদের চামারচোদা বলে তারা আদালত থেকে বেরিয়ে গেছে। আমরা হেরে গেছি!"