06/08/2024
|6 aug, 5:53 pm|
আমি যেদিন প্রথম ফিলিস্তিন ও তার ওপর নৃশংস অত্যাচার, অন্যায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পারি, সেদিন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি।
তারপর থেকে এই পর্যন্ত দিনে-রাতে আমি প্রার্থনা করে যাচ্ছি ভালোবাসার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্যে।
তবে এই ব্যাপারটির গভীরতা একটি মহাসাগরের মতো যেটাকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন। আমি সর্বদা ভেবেছি কোনদিন আসবে স্বাধীনতা? কোনদিন তাদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে?
যখন খেতে বসি, ঘুরতে যাই, পড়তে বসি, গল্প গুজব করি, আনন্দ-উদযাপন, সুখ-দুঃখের জীবনে এগিয়ে চলছি, তখনি ফিলিস্তিনের কথা স্মরণ হয়ে যায়। হৃদয়ে যে যন্ত্রণা অনুভব হয় তা লিখায় প্রকাশ করা যায় না।
আমার অনেক বড় একটি স্বপ্ন হচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দেখা। কিন্তু জানা নেই ভবিষ্যত, জানা নেই মহান সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা শুধু জানি স্বাধীনতা আসবেই। আক্ষেপ হলো সেদিন পর্যন্ত আমি থাকব না হয়ত। একটি প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ কেমন হয় তা কখনো জানা হবে না দেখা হবে না।
এতসব ভাবতে ভাবতে যখন উপলব্ধি করলাম আমার নিজ জন্মভূমি-ই কতগুলো পরাধীনতার শিকলে বেঁধে গিয়েছে, ধীরে ধীরে গাজার একটি ছোটো দৃষ্টান্তে পরিণত হচ্ছে তখন বুঝতে পারলাম আমিও তো স্বাধীন নই।
যাই হোক, আজ পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার স্বাদ নিতে পেরে আমি মহা কৃতজ্ঞ। আক্ষেপ আমার একটু হলেও কেটেছে। এই জীবনে আমি একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাকে আকড়ে ধরার দৃশ্য স্বচোখে দেখেছি।
আগাম ভবিষ্যতে যখন ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে, সেদিন সমগ্র পৃথিবী তার মুক্তি খুঁজে পাবে।
ধীরে ধীরে সত্যের রঙ ছড়িয়ে পড়বে সবখানে।
- S.eleven