01/06/2024
ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ওমানে ও বাংলাদেশে মৃত্যুদন্ড সাজা পাওয়ার আইনের আওতাধীন।
মোঃ আবুল কাশেম, ষ্ট্যাফ রিপোর্টার, দৈনিক বাংলার দূত, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।
ওমানের অর্থ আইন, শ্রম আইন, আবাসন আইন, ইমিগ্রেশন আইন, দেশ বহির্গমন আইন লঙ্ঘনকারী ওমান প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে আরপিও (রয়াল পুলিশ অফ ওমান) কর্তৃক ওমানে ধরপাকড় ও পাকড়াও করার মত বাংলাদেশের অর্থ আইন, শ্রম আইন, আবাসন আইন, ইমিগ্রেশন আইন, দেশ হতে বহির্গমন আইন লঙ্ঘনকারী বিদেশী ও বাংলাদেশীদেরকে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ধরপাকড় ও পাকড়াও করার প্রস্ত্ততির খবরে ভোলা জেলার প্রবাসী পরিবারগুলোর মধ্যে নানান জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। টাকার লালসায়ী দালাল চক্রের প্রেমের, আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের প্রেমের কপাল ভালো করার প্রেমের ও ভাগ্য বদল নামক বহুজাতিক প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভোলা জেলার অনেক লোক দেশ বিরোধী ও দেশের আইন বিরোধী কাজে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৩ নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৬ নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪৯৭ নং ধারা বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১০৮(ক) নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১২৬ নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১২৫ নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১২৩(ক) নং ধারা, বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১১৫ নং ধারা ও বাংলাদেশ দন্ডবিধির ১০৯ নং ধারার অপরাধজনক কাজ করে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন আইন, পাসপোর্ট আইন, নাগরিকত্ব আইন, অর্থ আইন, আবাসন আইন লঙ্ঘন করে ওমানে গিয়েও সেই দেশের অর্থ আইন, শ্রম আইন, আবাসন আইন, ইমিগ্রেশন আইন, দেশ বহির্গমন আইনসহ বহু আইন লঙ্ঘন করার খবর পাওয়া গেছে। রয়াল পুলিশ অফ ওমান (আরপিও/RPO) সূত্র জানিয়েছে যে, ওমানে অবস্থানরত অবৈধ ও বেআইনী বাংলাদেশী বাসিন্দাদেরকে ধৃত: করে আইনগত সাজা মৃত্যুদন্ড প্রদানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা বাংলাদেশের ভোলা জেলার কিনা তা তারা জানে না। তবে প্রয়োজন হলে তারা ইন্টারপোল পুলিশের সহযোগিতায় সেই দেশের অপরাধকারীদেরকে বাংলাদেশ থেকেও ধরে নিয়ে যাবে। কেননা তারা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছে যে, ওমানে অনুপ্রবেশকারী কিছু কিছু ভোলাইয়া বাংলাদেশী ওমানে অবস্থান নিয়ে ওমানের অর্থ আইন, ওমানের শ্রম আইন, ওমানের আবাসন আইন, ওমানের ইমিগ্রেশন আইন, ওমান বহির্গমন আইন লঙ্ঘন করেছে। এবং বিভিন্ন চলাফেরার মধ্য দিয়ে ফৌজদারি আচরনের উদ্ভব ঘটিয়েছে। বেআইনিভাবে ওমানের সমুদ্র সীমা অতিক্রম করে সোমালিয়ান জল দস্যুদের সাথে যোগ সাজশ করেছে। আন্তর্জাতিক জলসীমা আইন লঙ্ঘন করেছে। রোহিঙ্গাদের মত ভূ-মধ্যসাগর দিয়ে আরো বাংলাদেশিদেরকে ওমানে অবৈধ/বেআইনী অনুপ্রবেশ ঘটানোর কাজে নিয়োজিত আছে। এই জন্য চক্রান্ত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে, আরাকানের সেনাবাহিনীর মত, বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে একটি পোপন বা অন্ধকার রাতের অভিযান পরিচালনা করানোর চেষ্টা করছে। তারা আরো জানিয়েছে যে, এই ব্যাপারে তারা (আরপিও/RPO) বাংলাদেশ সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ঐ অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে বাংলাদেশ সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশে মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী বেসরকারি কোন উদ্যোগ দেখে নাই। বাংলাদেশ সরকারই বা কেন এত বর্বরতা পোষা সরকার তারও কোন হিসেব মিলাতে পারছে না। তবে তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত বেআইনী বিদেশীদের তালিকা ও সংখ্যা তৈরীর খবর পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশ হাইকোর্টের জারিকৃত রুলের অধীন। তবে কয়েক জন ওমান প্রবাসী ভোলাইয়া বাংলাদেশীর পারিবারিক লোকজনের সাথে আলাপ করলে ওমান প্রবাসীদের পারিবারিক লোকেরা জানায় যে, ওমানে গিয়ে তাদের পারিবারিক লোকেরা এত খারাপ কাজে ধরা পড়বে তা কখনো বুজতে পারে নাই। অন্যদিকে ওমানের আরেক খবর হতে জানা যায় যে, এই ধরনের খারাপ, অবৈধ ও বেআইনী কাজে আটক করার জন্য ওমান সরকার বাংলাদেশীদের জন্য বারো ক্যাটাগরির ভিসা চালু করেছে। যা দিয়ে ওমান যেতে ইচ্ছুক আদমেরা ওমানে পলাতক, অবৈধ, বেআইনী বাংলাদেশী প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগের ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে এবং যাতে ওমানি আইন- শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে (ওমানে পলাতক, অবৈধ, বেআইনী, শ্রম-অর্থ-আবাসন আইন লঙ্ঘনকারী ও ফৌজদারী আচরনের উদ্ভবকারী বাংলাদেশীদেরকে) খুব সহজে ধৃত: ও সনাক্ত করে মৃত্যুদন্ড সাজা প্রদান করতে পারে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারও বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এমন একটি আইন তৈরী করা উচিত — যে আইনের দ্বারা বিদেশে (ওমানে) অবস্থানরত পলাতক, অবৈধ, বেআইনী, ফৌজদারী আচরনের উদ্ভবকারী ও শ্রম-অর্থ-আবাসন আইন লঙ্ঘনকারী বাংলাদেশীরা দেশে বা বিদেশে তাদের কৃত অপরাধের জন্য বাংলাদেশে মৃত্যুদন্ড সাজা পায়। ছবিতে — ওমানে চলমান পুলিশি অভিযানে ধর-পাকড়কৃত বাংলাদেশী।