ত্রিদেব

  • Home
  • ত্রিদেব

ত্রিদেব সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা ?

গরুর দুধ বয়ে গেলে যারা বলে নষ্ট,গরুর রক্ত বয়ে গেলে কোথায় তাঁদের কষ্ট??😑😔
17/06/2024

গরুর দুধ বয়ে গেলে যারা বলে নষ্ট,

গরুর রক্ত বয়ে গেলে কোথায় তাঁদের কষ্ট??
😑😔

🙂"কেউ পছন্দ না করলে,,😊                    🙂কি যায় আসে,,🙂  😇"ঈশ্বর তো,,🙂                     ❤️ পছন্দ করেই বানিয়েছে,, ❤️🦋...
15/06/2024

🙂"কেউ পছন্দ না করলে,,😊
🙂কি যায় আসে,,🙂
😇"ঈশ্বর তো,,🙂
❤️ পছন্দ করেই বানিয়েছে,, ❤️
🦋✧ℍ𝕠𝕣𝕖 🙏𝕜𝕣𝕚𝕤𝕙𝕟𝕠✧🦋

ভালো তো তাকেই বাসা উচিতযিনি ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন..🌼❤🙏💙হর হর মহাদেব 🙏🕉️
10/06/2024

ভালো তো তাকেই বাসা উচিত

যিনি ভালোবাসা সৃষ্টি করেছেন..🌼❤🙏💙
হর হর মহাদেব 🙏🕉️

তুমি ফিরে যাও কৃষ্ণ নামের দিকে...☺️                 সৌভাগ্য ফিরবে তোমার দিকে...🥰সবাই একবার বলুন...                      ...
09/06/2024

তুমি ফিরে যাও কৃষ্ণ নামের দিকে...☺️
সৌভাগ্য ফিরবে তোমার দিকে...🥰

সবাই একবার বলুন...
🌺🙏হরে কৃষ্ণ🙏🌺

🌿হাজারো ব্যস্থতার মাঝেওযে কৃষ্ণ নাম করে,🌿🎋তার ওপর ভগবানের কৃপা দৃষ্টি বর্ষিত হোক।🎋🙏🌺হরে কৃষ্ণ🌺🙏
08/06/2024

🌿হাজারো ব্যস্থতার মাঝেও
যে কৃষ্ণ নাম করে,🌿
🎋তার ওপর ভগবানের কৃপা দৃষ্টি বর্ষিত হোক।🎋
🙏🌺হরে কৃষ্ণ🌺🙏

🌺.."জয় নৈহাটির বড়মা"..🌺 🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂bhagya lashkmi today episode bhagya laxmi today episode full bhagya lakshmi serial upd...
08/06/2024

🌺.."জয় নৈহাটির বড়মা"..🌺
🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂
bhagya lashkmi today episode
bhagya laxmi today episode full
bhagya lakshmi serial update
bhagya lakshmi today episode news
bhagya lakshmi today episodes live
bhagya laxmi today episode full
bhagya laxmi aaj ka episode live
bhagyalakshmi today episode
Police
bhagya lakshmi aaj ka episode live
bhagyalakshmi latest episode
bhagyalakshmi latest promo
bhagyalakshmi kal ka episode
bhagyalakshmi yesterday full episode
bhagya lakshmi tomorrow full episode
bhagya laxmi new episode

𝐃𝐚𝐲 𝟏: 𝐊𝐚𝐭𝐡𝐦𝐚𝐧𝐝𝐮 𝐭𝐨 𝐁𝐢𝐫𝐭𝐚𝐦𝐨𝐝𝐡* Depart early in the morning from your location via Sindhuli BP Highway.* Have lunch on th...
08/06/2024

𝐃𝐚𝐲 𝟏: 𝐊𝐚𝐭𝐡𝐦𝐚𝐧𝐝𝐮 𝐭𝐨 𝐁𝐢𝐫𝐭𝐚𝐦𝐨𝐝𝐡
* Depart early in the morning from your location via Sindhuli BP Highway.
* Have lunch on the way.
* Explore the Terai road.
* Stay at Birtamodh.
* Have dinner at the hotel.
𝐃𝐚𝐲 𝟐: 𝐁𝐢𝐫𝐭𝐚𝐦𝐨𝐝𝐡 𝐭𝐨 𝐓𝐚𝐩𝐥𝐞𝐣𝐮𝐧𝐠
* Have an early morning breakfast at the hotel and head towards Taplejung.
* Enjoy the journey with sightseeing opportunities.
* Explore the ways of Taplejung.
* Have lunch on the way.
* Stay at Taplejung.
* Have dinner at the hotel.
𝐃𝐚𝐲 𝟑: 𝐓𝐚𝐩𝐥𝐞𝐣𝐮𝐧𝐠 𝐭𝐨 𝐓𝐡𝐮𝐥𝐨𝐩𝐡𝐞𝐝𝐢 – 𝐏𝐚𝐭𝐡𝐢𝐯𝐚𝐫𝐚
* Take a jeep to Thulofedi early in the morning (self-cost for jeep, which is 400 for going and 400 for coming back).
* Trek about 5km from Thulofedi towards Pathivara.
* After visiting Pathivara, return back to the hotel.
* Have dinner at the hotel.
* Stay at the hotel.
𝐃𝐚𝐲 𝟒: 𝐓𝐚𝐩𝐥𝐞𝐣𝐮𝐧𝐠 𝐭𝐨 𝐊𝐚𝐧𝐲𝐚𝐦
* Have an early morning breakfast at the hotel.
* Have lunch on the way.
* Explore Kanyam and the Ilam District.
* Have dinner at the hotel.
* Stay at Kanyam.
𝐃𝐚𝐲 𝟓: 𝐊𝐚𝐧𝐲𝐚𝐦 𝐭𝐨 𝐊𝐚𝐭𝐡𝐦𝐚𝐧𝐝𝐮
* Have breakfast at the hotel.
* Head back to Kathmandu.
* Have lunch on the way.
* Reached Kathmandu
𝐏𝐚𝐜𝐤𝐚𝐠𝐞 𝐈𝐧𝐜𝐥𝐮𝐝𝐞 :-
✅ Lunch
✅ Dinner
✅ Breakfast
✅ Room Accommodation ( sharing Basis)
✅ Transportation ( bus or jeep as per your preference)
𝐍𝐨𝐭 𝐈𝐧𝐜𝐥𝐮𝐝𝐞𝐝 𝐢𝐧 𝐏𝐚𝐜𝐤𝐚𝐠𝐞 :-\
𝐏𝐚𝐜𝐤𝐚𝐠𝐞 𝐧𝐨𝐭 𝐈𝐧𝐜𝐥𝐮𝐝𝐞𝐝
❌ Snacks & cuisines
❌ Drinking beverages (Beer, Mineral Water)
❌ Personal expenses
❌ Travel Insurance
❌ Overstay due to any natural calamities/strikes
𝐅𝐨𝐫 𝐦𝐨𝐫𝐞 𝐨𝐫 𝐁𝐨𝐨𝐤𝐢𝐧𝐠 𝐂𝐨𝐧𝐭𝐚𝐜𝐭
𝐒𝐚𝐧𝐬𝐡𝐫𝐞𝐞 𝐈𝐧𝐭𝐞𝐫𝐧𝐚𝐭𝐢𝐨𝐧𝐚𝐥 𝐓𝐫𝐚𝐯𝐞𝐥 𝐀𝐧𝐝 𝐓𝐨𝐮𝐫𝐬 (𝐏𝐯𝐭. 𝐋𝐭𝐝.) 𝐊𝐚𝐭𝐡𝐦𝐚𝐧𝐝𝐮
Note: Schools and colleges are planning to go on a tour. Remember, we offer special discounts for schools and colleges. These special discounts will be provided for schools and colleges
𝐏𝐥𝐞𝐚𝐬𝐞 𝐩𝐫𝐨𝐯𝐢𝐝𝐞 𝐭𝐡𝐞 𝐨𝐩𝐩𝐨𝐫𝐭𝐮𝐧𝐢𝐭𝐲 𝐭𝐨 𝐬𝐞𝐫𝐯𝐞, 𝐘𝐨𝐮𝐫 𝐒𝐚𝐭𝐢𝐬𝐟𝐚𝐜𝐭𝐢𝐨𝐧 𝐢𝐬 𝐨𝐮𝐫 𝐀𝐜𝐡𝐢𝐞𝐯𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭

আজ ১৯ শে জ্যৈষ্ঠ, ত্রিকালদর্শী মহাযোগী বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস ✨লোকনাথ বাবার ১৩৪ তম তিরোধান তিথীতে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণ...
02/06/2024

আজ ১৯ শে জ্যৈষ্ঠ, ত্রিকালদর্শী মহাযোগী বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস ✨

লোকনাথ বাবার ১৩৪ তম তিরোধান তিথীতে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম 🙏🌺
🙏🌺জয় বাবা লোকনাথ 🌺🙏

🪔 মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে,তখন, শ্বাস থাকে.কিন্তু,নাম থাকেনা.👉 আবার,,যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে,তখন, নাম থাকে.কিন্তু,শ্বাস থ...
31/05/2024

🪔 মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে,
তখন, শ্বাস থাকে.
কিন্তু,
নাম থাকেনা.

👉 আবার,,
যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে,
তখন, নাম থাকে.
কিন্তু,
শ্বাস থাকেনা.

🪔 আর,,
এই শ্বাস এবং নামের ভিতর যে যাএা,
সেটাই হলো জীবন.

🚩 তাই,,
সময় থাকতে ভগবানের শ্রীচরণে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে, ভগবানের নির্দেশ ভক্তিভরে পালন করুন.

♨️ শেয়ার করে সকল সনাতনীদের কাছে পৌঁছে দিন কৃপা করে.

©️ সুবীর দেবনাথ.

হর কৃষ্ণ রাম 🙏

Today,s Best photo ❤❤❤❤❤❤
26/05/2024

Today,s Best photo
❤❤❤❤❤❤






























বিশ্বাসের অর্থ এটা নয় যে,,আমি যা চাইবো ,,     ভগবান সেটাই করবেন।বিশ্বাসের অর্থ এটাই,,ভগবান সেটাই করবেন,,যেটা আমার জন্য ...
24/05/2024

বিশ্বাসের অর্থ এটা নয় যে,,
আমি যা চাইবো ,,
ভগবান সেটাই করবেন।
বিশ্বাসের অর্থ এটাই,,
ভগবান সেটাই করবেন,,যেটা আমার জন্য
মঙ্গলকর হবে।।

মাগো রক্ষা করো সব বিপদ থেকে 🙏
জয় মা কালী 🌸🙏

🌸জয় নৃসিংহ দেবের জয়🌸
22/05/2024

🌸জয় নৃসিংহ দেবের জয়🌸

তারিখ : ৮ জৈষ্ঠ্য শুক্লাপক্ষ ১৪৩১            (২২ মে ২০২৪) রোজ : বুধবার। উপবাস : শ্রী নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত। পারন : পর দিব...
21/05/2024

তারিখ : ৮ জৈষ্ঠ্য শুক্লাপক্ষ ১৪৩১
(২২ মে ২০২৪)
রোজ : বুধবার।
উপবাস : শ্রী নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত।
পারন : পর দিবস সকাল ৯টা ৫০ মিনিট এর মধ্যে।

*এক নৃসিংহ চতুর্দশী = ১০,০০০ দূর্গা অষ্টমীর উপবাস*
*এক নৃসিংহ চতুর্দশী= ১০০০ একাদশীর সমান।*

তাই এই সুযোগ কেউ বাদ দিবেন না।নিজে পালন করুন অন্য পালন করতে বলুন।🙏

"জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব তাঁর পরম ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষাহেতু এ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

☀️জেনে_রাখুন☀️
─────────────────
📜যারা_পালন_করবেন_না_তাঁদের_উদ্দেশ্যেঃ

শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, "আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন তাঁরা নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে।"
একথা স্বয়ং নৃসিংহদেব তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদকে বলেছেন।

তিনি ভক্ত প্রহ্লাদককে বলেছেন-"-বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মমসন্তুষ্টি কারণম।
মহাগুহ্যম ইদম্ শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভবভীরুভিঃ।। অর্থাৎ আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে চতুর্দশী ব্রত কর্তব্য।জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়-ভীত মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।।

{জয় নৃসিংহ, শ্রী নৃসিংহ, জয় জয় শ্রী নৃসিংহ }🙏

শ্রীশ্রী #নৃসিংহ_চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম -

*পরমেশ্বর ভগবান শ্রী বিষ্ণুর চতুর্থ অবতার শ্রীনৃসিংহ দেবের পবিত্র আবির্ভাব তিথিতে উপবাস ব্রত ভক্তিভরে পালন করুুন।

°গোধূলি পর্যন্ত নির্জলা উপবাস থাকতে হবে। নির্জলা থাকতে না পারলে ফল প্রসাদ পেতে পারেন। গোধূলি লগ্নে নৃসিংহদেবকে দুধ, দই, ঘি, মধু, মিছরির জল এবং ফলের রস দিয়ে অভিষেক করাতে পারেন (নৃসিংহদেবের চিত্রপটে অভিষেক করা যাবে)। অভিষেকের পরে নৃসিংহদেবকে ফলমূল, সবজি রান্না করে ভোগ দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন। একাদশীর দিন যে অনুকল্প গ্রহণ করা হয় সেটাই ব্রতের দিন গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু ব্রতের দিন অন্ন, রুটি, লুচি, পরোটা গ্রহণ করা যাবে না। তবে অবশ্যই নৃসিংহদেবকে "পনকম্ " নিবেদন করতে পারেন। "পনকম্" হলো শীতল জল, তাল-মিছরি, লেবুর রস এবং আদা দিয়ে তৈরি একরকম পানীয় যা নৃসিংহদেবের অত্যন্ত প্রিয়। ব্রতের দিন সম্ভব হলে নৃসিংহদেবের ১০৮টি নাম পড়ে নৃসিংহদেবের চরণে ১০৮টি তুলসীপাতা চন্দনে মাখিয়ে অর্পণ করতে পারেন। নৃসিংহদেবের ব্রতকথা শ্রবণ করুন। জপমালায় বেশি বেশি জপ করুন, গীতা -ভাগবত পাঠ করুন। পাঠ করতে অক্ষম হলে শুদ্ধ কৃষ্ণ ভক্তের নিকট থেকে শ্রদ্ধাসহকারে বিনীতভাবে কৃষ্ণকথা শ্রবণ করুন। বাড়িতে শ্রীমদ্ভাগবত থাকলে শ্রীমদ্ভাগবতের ৭ (সপ্তম) স্কন্ধের ৮ম অধ্যায় শ্রীনৃসিংহদেবের আবির্ভাব লীলা পাঠ করুন। অথবা শুদ্ধভক্তের নিকট থেকে শ্রবণ করুন। ব্রতের দিন নৃসিংহদেবের প্রণাম মন্ত্র এবং স্তব পাঠ করুন। মনে রাখবেন নৃসিংহদেব অত্যন্ত কৃপালু।তিনি ভক্তের মনোবাসনা অবশ্যই পূরণ করবেন। তিনি অত্যন্ত করুণাময়। তিনি তাঁর ভক্তকে সর্ববিপদ থেকে রক্ষা করেন, যেমন----তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেছিলেন।

ব্রতের পর দিন সকালে ভগবানকে অন্ন, বিভিন্ন দ্রব্যাদি রান্না করে ভোগ দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন।

ভক্তদের অবগতির জন্য শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব ও প্রণাম মন্ত্র নিচে প্রদত্ত হলো---
স্তবঃ- ----
জয় নৃসিংহ শ্রীনৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ।।
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণম ভদ্রং
মৃত্যুর্মৃত্যুং নমাম্যহম্।।
শ্রীনৃসিংহ, জয় নৃসিংহ, জয় জয় নৃসিং।
প্রহ্লাদেশ জয় পদ্মমুখ পদ্মভৃঙ্গ ।।

প্রণাম মন্ত্রঃ
নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদাহ্লাদ দায়িনে।
হিরণ্যকশিপো র্বক্ষঃ শিখাটঙ্ক নখালয়ে।।
ইতো নৃসিংহঃ পরতো নৃসিংহ
যতো যতো যামি ততো নৃসিংহো।
বহির্নৃসিংহো হৃদয়ে নৃসিংহো
নৃসিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে।।
তব কর কমলবরে নখমদ্ভূতশৃঙ্গম্
দলিতহিরণ্যকশিপু তনুভৃঙ্গম।
কেশব ধৃত-নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে।।

ভক্তবৎসল, তাঁর শরণাগত ভক্তের সর্ববিঘ্ন বিনাশক পরমেশ্বর ভগবান নৃসিংহদেবের জয় হোক। 🙏🙏
জয় ভক্তশ্রেষ্ঠ শুদ্ধভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজ।🙏🙏






#নৃসিংহদেব

নামেই শক্তি        নামেই ভক্তি নামেই মুক্তি হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏
21/05/2024

নামেই শক্তি
নামেই ভক্তি
নামেই মুক্তি
হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏

- অল্প বয়সে তুমি ভগবান কে বেঁচে নাও..       ...মোহ ত্যাগ করো°|°🥀♥️- বৃদ্ধ বয়সে ভগবান তোমাকে বেঁচে নিবে!🙂- জয় শ্রী কৃষ...
19/05/2024

- অল্প বয়সে তুমি ভগবান কে বেঁচে নাও..
...মোহ ত্যাগ করো°|°🥀♥️

- বৃদ্ধ বয়সে ভগবান তোমাকে বেঁচে নিবে!🙂
- জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏
রাধে রাধে🙏🥀♥️

ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?সবাই জানা ধরকার সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলোহিন্দুধর্ম মতে- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর ...
19/05/2024

ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?
সবাই জানা ধরকার সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো

হিন্দুধর্ম মতে- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?

বহু দেব-দেবী এবং বহু ভগবানের চাপে পড়ে প্রায় সব হিন্দুই এই অস্পষ্টতায় ভুগে যে, আসলে তাদের সৃষ্টিকর্তা কে ? এই অস্পষ্টতা থেকে অনেক হিন্দুর মনে হীনম্মন্যতারও সৃষ্টি হয়, তাদের মনে হতে থাকে হিন্দু ধর্ম ভূয়া এবং এক পর্যায়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বা যাকাতের টাকার লোভে পড়ে বা খ্রিষ্টান মিশনারীদের হাতে পড়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য, এই ধর্মান্তরের চক্র থেকে বাঁচতে, প্রতিটি হিন্দুর, হিন্দুধর্ম সম্পর্কে আপ টু বটম একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার, আসলে তার ধর্ম কী ও কেনো ? ধর্ম সম্পর্কে এই স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই, হিন্দুরা তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করবে, হীনম্মন্যতায় না ভুগে বরং আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগবে এবং কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ধর্ম ত্যাগ করবে না, উল্টো, অন্যদেরকেই হিন্দু বানানোর চেষ্টা করবে।
হিন্দুধর্মের প্রকৃত সত্য বা তত্ত্বকে জানবে, তখন সে নাস্তিকতা বা অন্যধর্মে কনভার্ট হওয়ার চিন্তা ছেড়ে আরও শক্তভাবে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরবে,
যার প্রমান আমি নিজে; তার কারণ, হিন্দু ধর্ম নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি আজ পর্যন্ত এমন একটা বিষয় পাই নি, যেটা নিয়ে কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে বা তার কোনো কিছু অমানবিক এবং বিশ্বসভ্যতা ও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ, তাহলে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাকে হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে কেনো ? বরং হিন্দু হিসেবে যে আমার জন্ম হয়েছে, এটা নিয়ে এখন আমি প্রাউড ফিল করি,

যা হোক, ফিরে যাই আজকের আলোচনায়- হিন্দুধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?

হিন্দু শাস্ত্রের প্রধান দুটি শব্দ হলো- ঈশ্বর এবং ভগবান। আমরা প্রায় কোনো হিন্দু, ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্য জানতাম না বা এখনও জানি না বলে সৃষ্টিকর্তা কে, এই প্রশ্নের উত্তরে অস্পষ্টতায় ভুগতাম বা এখনও ভুগি। কারণ, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান অনেক বা বহু, কিন্তু বহু ভগবান তো আর সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন। আবার, ঈশ্বর ও ভগবান, এই দুটো শব্দের পার্থক্য অনেক হিন্দুই জানে না বলে বা দুটো শব্দের অর্থ একই মনে করেও অনেকে ঝামেলার মধ্যে পড়ে; কারণ, ভগবান যেহেতু বহু, সেহেতু তখন ঈশ্বরও বহু হয়ে যায়, কিন্তু ঈশ্বর তো আর বহু নয়, ঈশ্বর একজন বা এক।

তাহলে ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?

যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুন যার মধ্যে থাকে, তাকে বলা হয় ভগবান;
আর সকল গুণ যার মধ্যে থাকে তাকে বলে ঈশ্বর।
কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষে এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব নয়,
শুধু অবতার রূপে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষেই কেবল এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব; এছাড়াও প্রায় সব দেবতা এই ছয়টি গুনের অধিকারী, এই জন্যই বলা হয়- ভগবান রামচন্দ্র, ভগবান পরশুরাম, ভগবান ইন্দ্র, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবং আরো অনেককে।
কিন্তু পরমেশ্বর বা ঈশ্বর বলা হয় শুধু মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ এবং পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মকে।
তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভগবান উপাধির অধিকারী শুধু অবতারগন এবং দেবতারা; তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হচ্ছে কেনো ?
হিসাবটা খুব সহজ, অন্যান্য সব অবতার ছিলো বিষ্ণুর আংশিক অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ছিলো পূর্ণ অবতার।
তাই কৃষ্ণের মধ্যে সকল গুণ ছিলো বলেই সে ঈশ্বর এবং যার মধ্যে সকল গুণ থাকে, তার মধ্যে তো ছয়টি গুন থাকবেই, তাই সে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর।
ব্যাপারটি এমন- সকল ক্ষমতার যিনি অধিকারী, তিনি প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু যারা আংশিক ক্ষমতার অধিকারী তারা মন্ত্রী।
তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো- সকল মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী নয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মাত্রই যেকোনো মন্ত্রী। ঠিক তেমন, সকল ভগবান ঈশ্বর নয়, কিন্তু ঈশ্বর মাত্রই ভগবান।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হলেও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর হয়, বিষ্ণু তো পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মের তিনটি রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর- এর একটি রূপ মাত্র ?

এই ধারণা ই হিন্দুধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণার সকল জটিলতার মূল। আমরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি ভাগে এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতাকে বন্টন করে দিয়েছি এবং নানা আজগুবি গল্পের পুরাণ কাহিনী লিখে, সেই তিনজনের মধ্যে নানা ঝগড়া বিবাদও লাগিয়ে দিয়েছি, ফলে তারা তিনজন সম্পূর্ণভাবে আলাদা তিনটি সত্ত্বাতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়।

ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা, যখন পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন ধ্বংস করেন, তখনই তার নাম শিব বা মহেশ্বর। এই তিনটি নাম, তিনটি আলাদা আলাদা সত্ত্বা নয়, একই ঈশ্বরের আলাদা তিনটি নাম মাত্র। এর প্রমান আছে গীতার অনেক শ্লোকে, যেগুলো আপনারা কিছু পরেই জানতে পারবেন; তার আগে দেখাই- অনেকের ধারণা মতে, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতার অধিকারী বিষ্ণুর অবতার হলেও- শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর ?

একটু আগেই বলেছি, ব্রহ্মকে যদি আমরা ‘ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর’ এই তিনভাগে ভাগ করি, তাহলেই আমরা ঝামেলায় পড়বো এবং এই অংক কোনোদিনই মেলাতে পারবো না। আবার এটাও বলেছি, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, আলাদা আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, তারা এই ব্রহ্মের তিনটি আলাদা নাম মাত্র। এখন আমি যে সূত্রের কথা বলছি, সেই সূত্র দ্বারা অংকটাকে সমাধান করার চেষ্টা করুন, দেখুন অংকটা মিলে কি না ?

ব্রহ্মের শক্তি ১০০%, ব্রহ্ম যখন সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করেন, তখন তার নাম হয় ব্রহ্মা; আমি যেহেতু বলেছি- ব্রহ্মা, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ নয়, ব্রহ্মা, ব্রহ্মেরই অপর নাম; সেহেতু ব্রহ্মের ১০০% শক্তি চলে এলো ব্রহ্মার কাছে। একইভাবে ১০০% শক্তি যাবে ব্রহ্মের পালনকারী রূপ বিষ্ণু এবং ধ্বংসকারী রূপ শিবের কাছে। তার মানে ব্রহ্মা, বিষ্ণু বা মহেশ্বর, যে নামই বলি না কেনো প্রত্যেকেই ব্রহ্ম এবং সবার শক্তি ১০০%, এই সূত্রে বিষ্ণুর শক্তিও ১০০%, যা পূর্ণ শক্তি। এখন এই বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হিসেবে কৃষ্ণের মধ্যেও থাকবে ১০০% শক্তি, এই সূত্রেই কৃষ্ণ, পূর্ণব্রহ্ম বা পরমেশ্বর।

অংকের মাধ্যমে উপরে যা বললাম, এখন দেখুন গীতার মধ্যে সেই কথাগুলোর সমর্থন আছে কি না ? খুব বেশি কিছু না বুঝলেও, শুধু যদি কৃষ্ণের বিশ্বরূপের থিয়োরিটা ভালো করে বোঝা যায়, তাহলেই কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কৃষ্ণই সবকিছু এবং সবকিছুর আশ্রয় কৃষ্ণের মধ্যেই; কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মধ্যে যা কিছু নাই, তার পূজা প্রার্থনা ও আরাধনা করার কোনো প্রয়োজন নেই।

কিন্তু আমরা এই মূল থিয়োরি না বুঝে, শুধু বহু দেবতার ই নয়, নির্বোধের মতো- যারা অবতার নয়, অবতার বলে শাস্ত্রে যাদের স্বীকৃতিও নেই, সেইরকম- বহু ব্যক্তিরও পূজা করে চলেছি । একটা কথা মনে রাখবেন, শাস্ত্রের অবতারিক স্বীকৃতির বাইরে সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠা ব্যক্তিগন আপনার গুরু হতে পারে, আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে, আপনার শ্রদ্বার পাত্র হতে পারে, সম্মানের পাত্র হতে পারে, কিন্তু দেবতার স্থানে বসিয়ে সে পূজার যোগ্য নয়। যে সব ব্যক্তি দেবতার মতো বসে পূজা নেন এবং যারা তার পূজা করেন, তারা উভয়েই চরম অপরাধ করে চলেছে এবং তারা উভয়েই পাপী।

লোকনাথ, রামকৃষ্ণ, প্রণবানন্দ, অনুকূল চন্দ্র, হরিচাঁদ, এবং আরও যারা ছোট খা্টো নাম না জানা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাগন- সবাই এই থিয়োরির অন্তর্ভূক্ত; এরা সবাই মানুষকে ধোকা দিয়ে, বিভ্রান্ত করে, পৃথিবীতে নিজেদের অমর হওয়ার পথ তৈরি করেছে মাত্র।
পূজা পাওয়ার যোগ্য শুধু মাত্র অবতার এবং দেবতাগন; কারণ, এরা আপনাকে মুক্তি দিতে পারে বা মোক্ষ লাভ করাতে পারে।
যে মানুষ নিজেই মুক্তিপ্রার্থী, যার নিজের মুক্তিলাভ ই নিশ্চিত নয়, সে কিভাবে আপনাকে মুক্তি দেবে ? কোনো উকিল, ব্যারিস্টার, জজ কি আইনের বাইরে গিয়ে আপনার ফাঁসির দণ্ড থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ? তারা তো শুধু আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে; আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সেই রাষ্ট্রপতির ই আধ্যাত্মিক রূপ হলো ঈশ্বররূপ শ্রীকৃষ্ণ, আপনি তার পূজা করেন, তার আদর্শকে ধারণ করেন, আপনি অন্য কারো পূজা করতে যাবেন কেনো ? আর তাদের পূজা করলে কি আপনি মুক্তি পাবেন ? থিয়োরি এবং বাস্তবতা কি তাই বলে ?

উপরের আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রীকে একবার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, পরে আবার রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী বললাম। আসলে বাংলাদেশ-ভারতের ভেজাল গনতন্ত্রের কারণে উদাহরণের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এরকম বলতে হলো। আমেরিকান গনতন্ত্র হলে শুলু রাষ্ট্রপতি বললেই হতো। বাংলাদেশ ভারতের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কিছু কিছু কাজ আবার প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন না, করেন রাষ্ট্রপতি, সেটাও আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে, মারার জন্য হাতে তরোয়াল তুলে দিয়ে বলেছে, আমি অর্ডার না দিলে মারবি না, বোঝেন অবস্থা ! তুই যদি নিজের হাতেই মারবি, তাহলে তরোয়ালটাও নিজের হাতে রাখ না! এজন্যই বললাম ভেজাল গনতন্ত্র।

যা হোক, ঈশ্বর হিসেবে কৃষ্ণই যে সব কিছু, এবার সেই প্রমানগুলো তুলে ধরছি গীতার আলোকে-

গীতার ১০/৬ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,

“মহর্ষয়ঃ সপ্ত পূর্বে চত্বারো মনবস্তথা।
মদভাবা মানসা জাতা যেষাং লোক ইমাঃ প্রজাঃ।।”

এর অর্থ – সপ্ত মহর্ষি, তাদের পূর্বজাত সনকাদি চার কুমার ও চতুর্দশ মনু, সকলেই আমার মন থেকে উৎপন্ন হয়ে আমা হতে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই জগতের স্থাবর জঙ্গম আদি সমস্ত প্রজা তাঁরাই সৃষ্টি করেছেন।

আমরা জানি যে, ব্রহ্মার মন থেকে উৎপন্নদের মনু বলা হয়, কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, চতুর্দশ মনু তার মন থেকেই উৎপন্ন, তার মানে ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ।

আবার দেখুন, অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তার দেহে কাকে ধারণ করেছিলেন-

গীতার ১১/১৫ নং শ্লোকের মধ্যে বলা আছে,

“ব্রহ্মাণমীশং কমলাসনস্থনম”

অর্থাৎ, অর্জুন, শ্রীকৃষ্ণের দেহে কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মাকে দেখতে পাচ্ছেন।

আবার, ১০/২৩ এর প্রথম শ্লোকে বলা আছে,

“রুদ্রানাং শঙ্করশ্চাস্মি”

এর মান হলো- রূদ্রদের মধ্যে আমি শিব।

অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে শিব এখানে তা প্রমানিত।

এছাড়াও দেখুন, শ্রীকৃষ্ণই যে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তার প্রমান,

গীতার ১৩/১৭ নং শ্লোকে বলা আছে,

“অবিভক্তং চ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতম।
ভূতভর্তৃ চ তজজ্ঞেয়ং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ।।”

এর অর্থ- পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক (বিষ্ণু), তবু তাকে সংহার কর্তা ( শিব) ও সৃষ্টিকর্তা (ব্রহ্মা) বলে জানবে।

শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণই যে ব্রহ্ম, সেই কথা বলা আছে গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোকে,

“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।
শাশ্বতস্য চ ধর্মস্য সুখস্যৈকান্তিকস্য চ।।”

এর অর্থ- আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।

এছাড়াও গীতার ১০/৩১ নং শ্লোকে বলা আছে,

“রামঃ শস্ত্রভৃতামহম্” এর অর্থ- আমিই রাম।

এবং গীতার ১০/২৪ নং শ্লোকে বলা আছে

“সেনানীনামহং স্কন্দঃ”এর অর্থ- সেনাপতিদের মধ্যে আমি কার্তিক।

এসব ছাড়াও সকল দেবতার পূজার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি গীতার ৯/২৩ নং শ্লোকে বলেছেন,

“যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম।।”

এর অর্থ- হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে।

---। সুতরাং হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই বিশ্বজগতের সকল কিছুর স্রষ্টা পরম ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর, মানবরূপে যিনি শ্রীকৃষ্ণ।!!!
🙏Hare krishna👏
#বিকাশ_দাসシ゚
゚viralシ
#সেয়ার_করুন_সবাই

🍂হরে কৃষ্ণ 🍂👉আমরা জানি না যে এই সৃষ্টির বিনাশ হবার পর আবারো নতুন করে কিছু সৃষ্টি হবে কি না,, 🥹🙏,,!!👉আমরা জানি না যে আজ র...
18/05/2024

🍂হরে কৃষ্ণ 🍂

👉আমরা জানি না যে এই সৃষ্টির বিনাশ হবার পর আবারো নতুন করে কিছু সৃষ্টি হবে কি না,, 🥹🙏,,!!

👉আমরা জানি না যে আজ রাতের পর কালকের সকালের সূর্য টা দেখতে পাবো কি না,, 😔🙏,,!!

👉আমরা জানি যে এই মানব জন্মের পর আবারো আর কোনে জন্ম হবে কি না,, 😭😭,,!!

👉আমরা জানি না যে এরপর আর কৃষ্ণ সেবা করার মতো সৌভাগ্য হবে কি না,, 😊🙏,,!!

🍂তাই এখন যখন কৃষ্ণ সেবা করার মতো সুযোগ আছে তাহলে আমরা সময় নষ্ট করছি কেন,,🤔🤔,,!!

👉আমরা জানি যে এই জীবন টা ভগবানের দান তাহলে এই জীবন টা বৃথা করবো কেন,, 🙄,,!!

👉এই মূল্যবান সময় নষ্ট করছি কেন,,😅,,!!

🍂 তাই আসুন সবাই ধর্মের পথে চলি এবং কৃষ্ণ সেবায়

🌸 নিজের জীবন টা না দিতে পারলেও কিছু টা সময়

ভগবানের সেবায় লাগিয়ে দিই,, 😊🙏,,!!

🍂রাধে রাধে🍂

🙏🏻🥰 সনাতনী পরিবার 🥰🙏🏻

ভগবান শিব নিজেই বিশাল শক্তিশালী ছিলেন বলেই  মা দুর্গার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়ে বলেছিলেন যাও মহিষাসুরকে মেরে আসো। দূর্বল ...
17/05/2024

ভগবান শিব নিজেই বিশাল শক্তিশালী ছিলেন বলেই মা দুর্গার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়ে বলেছিলেন যাও মহিষাসুরকে মেরে আসো। দূর্বল পুরুষ হলে বলত ---- "মেয়ে মানুষেৱ হাতে ত্ৰিশূল!"
অসুর মারতে যায় তার সাথে কি সংসার করা যায়?" কালী ঠাকুর রেগে গিয়ে প্রলয় শুরু করলে শিব তাকে থামাতে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলেন। বলেননি কখনো " যে মেয়ে রাত বিরেতে খড়্গ হাতে অসুর কুপিয়ে বেড়ায় সেই মেয়ের দ্বারা সংসার হয়?" নিজে শক্তিশালী ছিলেন বলেই স্ত্রীর শক্তিকে মর্যাদা ও উৎসাহ দুইই দিয়েছিলেন ।।❤️🙂

অস্ত্র যদি না ধরো ⚔️রাষ্ট্র হারিয়ে ফেলবে 🌏➡️    🌐শাস্ত্র যদি না ধরো 🪔📚📜📖সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলবে 🛕🔱🕉️➡️   🚫আর তাই আসুন সব...
15/05/2024

অস্ত্র যদি না ধরো ⚔️
রাষ্ট্র হারিয়ে ফেলবে 🌏➡️ 🌐
শাস্ত্র যদি না ধরো 🪔📚📜📖
সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলবে 🛕🔱🕉️➡️ 🚫

আর তাই আসুন সবাই মিলে সনাতন ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে রক্ষা করি। শ্রীমদভগবত গীতা, শ্রীমদ্ভাগবত এর পাশাপাশি বেদ-পুরান-আদি শাস্ত্র গ্রন্থগুলো পড়ার চেষ্টা করি 🙏🙏

হরে কৃষ্ণ🙏🌼

"শুদ্ধ ভক্ত সর্বদাই ভগবানের সেবায় যুক্ত কখনও তিনি ভগবানের নাম কীর্তন করেন, কখনও তিনি ভগবানের কথা শ্রবণ করেন অথবা শ্ৰীকৃ...
15/05/2024

"শুদ্ধ ভক্ত সর্বদাই ভগবানের সেবায় যুক্ত কখনও তিনি ভগবানের নাম কীর্তন করেন, কখনও তিনি ভগবানের কথা শ্রবণ করেন অথবা শ্ৰীকৃষ্ণ সম্বন্ধীয় গ্রন্থ পাঠ করেন, কখনও বা তিনি শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ রন্ধন করেন, কখনও বা তিনি বাজারে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্য কোন কিছু খরিদ করেন, কখনও তিনি মন্দির অথবা বাসন পরিষ্কার করেন—অর্থাৎ, কৃষ্ণসেবায় কর্ম না করে তিনি এক মুহূর্তও নষ্ট করেন না। এই ধরনের কর্মই হচ্ছে পূর্ণ সমাধি।"
(শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ শ্লোক ১২/২)
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥

হরে কৃষ্ণ প্রেমের বিলাসিনী

Bolo Siya Pati Ram Chandra Ki Joy 🧡🙌🚩🥹
12/05/2024

Bolo Siya Pati Ram Chandra Ki Joy 🧡🙌🚩🥹

আজ ১০মে (২৭ শে বৈশাখ)  #অক্ষয়_তৃতীয়া.🙏 #অক্ষয়_তৃতীয়া_কি....??? যে কারণে অক্ষয় তৃতীয়া পালন করা হয় ও পৌরাণিক কাহিনী….১০ম...
10/05/2024

আজ ১০মে (২৭ শে বৈশাখ) #অক্ষয়_তৃতীয়া.🙏

#অক্ষয়_তৃতীয়া_কি....??? যে কারণে অক্ষয় তৃতীয়া পালন করা হয় ও পৌরাণিক কাহিনী….
১০মে ভোর ৬ টা ১৪ মিনিট থেকে
১১মে ভোর ৫ টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত।

#অক্ষয়_তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ। তাই এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত। খেয়াল রাখতে হয় ভুলেও যেন কোনো খারাপ কাজ না হয়ে যায়। কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে। কোনো কারণে যেন কারো ক্ষতি না করে ফেলি বা কারো মনে আঘাত দিয়ে না ফেলি। তাই এদিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরী। আর এদিন পূজা,জপ,ধ্যান,দান,অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত। যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে। এদিনটা ভালোভাবে কাটানোর অর্থ সাধনজগতের অনেকটা পথ একদিনে চলে ফেলা।

অক্ষয় তৃতীয়ার ফর্দঃ এদিন অনেক বাড়িতেই পুজো করা হয়। অনেকেই জানেন না যে এই পুজোতে কী কী লাগবে। তাই এই পুজোর জন্য যা যা উপকরণ দরকার, তার একটি ফর্দ দেওয়া হল। যেমন- সিদুঁর, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগর্ব্য, তিল, হরিতকী, ফুল, দুর্ব্বা, তুলসি, বিল্বপত্র, ধূপ, প্রদীপ, ধূনা, মধুপর্ক বাটি ২, আসনাঙ্গুরীয় ২, দই, মধু, চিনি, ঘি, পুজোর জন্য কাপড় ১, শাটী ১, নৈবেদ্য ২,কুচো নৈবেদ্য ১, সভোজ্য জলপূর্ণ ঘট ১, বস্ত্র ১, পাখা ১, দক্ষিণা।

অক্ষয় তৃতীয়ায় রোহিনী নক্ষত্র ও শোভন যোগ সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, অক্ষয় তৃতীয়ায় বিষ্ণুর পুজো করলে সম্পদ বৃদ্ধি হয়। একইসঙ্গে বিষ্ণু ও শিবের পুজো করলেও ফল পাওয়া যায়। গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়া সম্ভব না হলে বাড়িতেই গঙ্গাজলে স্নান করার পর বিষ্ণুমূর্তিতে চন্দন মাখাতে হবে। এর সঙ্গে দিতে হবে তুলসিপাতা। সম্ভব হলে বেলফুলও দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি দিয়ে পঞ্চমৃত তৈরি করা যেতে পারে।

পুরাণ অনুযায়ী, মহাভারতে পাণ্ডবরা যখন নির্বাসনে ১৩ বছর কাটিয়ে ফেলেন, তারপর একদিন ঋষি দুর্বাসা তাঁদের আস্তানায় প্রবেশ করেন। দ্রৌপদী তাঁকে অক্ষয় পাত্রে খেতে দেন। এই আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে দুর্বাসা বলেন, ‘আজ অক্ষয় তৃতীয়া। আজ যে ছোলার ছাতু, গুড়, ফল, বস্ত্র, জল ও দক্ষিণা দিয়ে বিষ্ণুর পুজো করবে, সে সম্পদশালী হয়ে উঠবে।’

কোন কাহিনি যুধিষ্ঠিরকে শুনিয়েছিলেন শতানিক?

তখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। ধর্মরাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। কিন্তু সিংহাসনে বসেও মনে শান্তি নেই মহারাজ যুধিষ্ঠিরের। যুদ্ধে এত প্রাণ গিয়েছে, বিপুল অপচয় হয়েছে সহায় সম্পদের। স্বামী, পুত্র, স্বজনহারা মানুষের কান্নায় ধর্মরাজ কাতর হয়ে পড়েছেন। এই পাপের বোঝা কে বহন করবে? মহারাজ যুধিষ্ঠিরের মনের অস্থিরতা বুঝতে পেরে মহামুনি শতানিক তাঁকে শুনিয়েছিলেন সে কাহিনি।

অনেক কাল আগে রাগী ও নিষ্ঠুর এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। ব্রাহ্মণ হলে কি হবে? ধর্ম বিষয়ে তাঁর কোনও আগ্রহ ছিল না। এক বার এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ ক্ষুধার জ্বালায় তাঁর কাছে কিছু খেতে চাইলেন। কিছু দেওয়া দূরে থাক, সেই নাস্তিক ব্রাহ্মণ ভিখারি বলে গালমন্দ করে গরিব ব্রাহ্মণকে দরজা থেকেই তাড়িয়ে দিলেন। খিদে-তেষ্টায় কাতর সেই ব্রাহ্মণ অপমানিত হয়ে চলে যাচ্ছিলেন, কিন্তু সে সময় তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালেন ব্রাহ্মণী সুশীলা। অতিথির কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি বললেন, ‘ভরদুপুরে অতিথি রুষ্ট ও অপমানিত হয়ে ফিরে গেলে সংসারের অমঙ্গল হবে। গৃহের শান্তি-সমৃদ্ধি আর থাকবে না।’ দরিদ্র ব্রাহ্মণকে তিনি বললেন, ‘আপনি এখানেই অন্ন জল গ্রহণ করবেন। আপনার কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’ ব্রাহ্মণপত্নী অতিথি ভিক্ষুকের সামনে ঠাণ্ডা জল এবং অন্নব্যঞ্জন পরিবেশন করলেন। মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে যাওয়ার আগে সন্তুষ্ট ব্রাহ্মণ সুশীলাকে আশীর্বাদ করে বললেন, ‘তোমার এই অন্নজল দান হোক অক্ষয় দান।”

বহু বছর কেটেছে। সেই ক্রোধী ব্রাহ্মণ বৃদ্ধ হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু আসন্ন। তাঁকে নিয়ে যেতে হাজির একই সঙ্গে যমদূত ও বিষ্ণুদূতের দল। মৃত্যুর পর তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে এই নিয়ে বিবাদ শুরু হল দুই দল দূতের মধ্যে। এক দল তাঁকে বিষ্ণুলোকে নিয়ে যেতে চায়। অন্য দলের দাবি, ওই পাপী ব্রাহ্মণের একমাত্র স্থান নরক। এরই মাঝে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর ব্রাহ্মণ একটু জল খেতে চাইলেন। যমদূতেরা তখন ব্রাহ্মণকে অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে বললেন, ‘একদা তুমি তোমার গৃহ থেকে অতিথি ভিখারিকে জল না দিয়ে বিতাড়িত করেছিলে। সুতরাং তুমি জল পাবে না।’ তাঁরা ব্রাহ্মণকে নিয়ে যমরাজের কাছে নিয়ে গেলেন।

কিন্তু যম তাঁর দূতদের বললেন, ‘ওঁর মতো পুণ্যবান ব্রাহ্মণকে আমার কাছে আনলে কেন? বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে এই ব্রাহ্মণপত্নী তৃষ্ণার্ত অতিথিকে অন্নজল দান করেছেন। এ দান অক্ষয়। স্ত্রীর পুণ্যে ইনিও পুণ্যাত্মা। সেই পুণ্যফলে ব্রাহ্মণের স্থান হবে স্বর্গে।’ কাহিনি শেষে শতানিক মুনি যুধিষ্ঠিরকে বললেন, ‘মহারাজ, বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে ব্রাহ্মণকে অন্ন বস্ত্র জল দান করলে যাবতীয় পাপ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। এবং সেই দানের পুন্য অক্ষয় হয়ে থাকে।’ সোজা কথায় অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি তিথি হল অক্ষয় তৃতীয়া। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল, যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোনও শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। যদি ভাল কাজ করা হয় তার জন্য লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য। যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে অক্ষয় পাপের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। তাই শাস্ত্রের নির্দেশ, এ দিনের প্রতিটি কাজ খুব সাবধানে করা উচিত। কোনও খারাপ কাজ, কোনও কটু কথা যেন মুখ থেকে না বের হয়। কোনও কারণে যেন কারও ক্ষতি না হয়। তাই এ দিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরি। পূজা, ধ্যান, দান বা অন্যকে আনন্দ দেওয়া উচিত। যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হয় সতর্ক ভাবে।

তবে শতানিক মুনির গল্পের শেষে আরও একটু আছে। বিষ্ণুলোকে পৌঁছনোর পরে ভগবান বিষ্ণু সেই ব্রাহ্মণকে বলেন, তাঁর স্ত্রী মাত্র এক বার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ব্রাহ্মণকে অন্নজল দান করেছেন। কিন্তু সেই দান বা ‘অক্ষয়ব্রত’ পর পর আট বার করতে হবে। তবেই অক্ষয় পুণ্যলাভ হবে। এই বলে বিষ্ণু ব্রাহ্মণকে কী ভাবে অক্ষয় ব্রত পালন করতে হবে তা বিশদে বলে ফের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেন। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আরও সাত বার অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে বিষ্ণু কথিত পদ্ধতিতে অক্ষয়ব্রত পালন করেন। এই ব্রতের প্রধান উপকরণ হল যব। শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে যব দিয়ে লক্ষী-নারায়ণের পুজো করে ব্রাহ্মণকে অন্ন, বস্ত্র, ভোজ্য, ফল ইত্যাদি দিয়ে বরণ করতে হয়। ব্রতীরা এ দিন যব দিয়ে তৈরি খাবার খান। এ পার-ও পার দুই বাংলাতেই এখনও এই দিনে সেই রীতি মেনে পালন করা হয় অক্ষয়ব্রত। সধবা মহিলারা (এয়ো) সূর্য ওঠার আগেই নদীঘাটে ফুল, দূর্বা, বেলপাতা, সিঁদুর, সরষের তেল প্রভৃতি উপকরণ নিয়ে জড়ো হন। সূর্য এবং গঙ্গাদেবীকে আবাহন এবং পরিবারের মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে স্নান সম্পূর্ণ করেন। গোত্রভেদে কোনও কোনও পরিবারে ‘সরিষা ধোওয়া’ রেওয়াজের প্রচলন রয়েছে। এই সরষে দিয়ে কাসুন্দি তৈরি করা শুরু হয়। ক্রমশ কমে এলেও গ্রামবাংলায় এখনও এই ব্রত পালনের রেওয়াজ রয়েছে। স্মার্ত রঘুনন্দন তাঁর ‘স্মৃতি তত্ত্বে’ অক্ষয়ব্রতের চারটি ভাগ করেছেন। অক্ষয়ঘট ব্রত, অক্ষয়সিঁদুর ব্রত, অক্ষয়কুমারী ব্রত এবং অক্ষয়ফল ব্রত। এই ব্রতগুলি চার বছর একটানা পালন করতে হয়। ব্রাহ্মণ থেকে কুমারী, সধবা, সর্বস্তরের মানুষকে জড়িয়ে অক্ষয়তৃতীয়া লৌকিক ধর্মাচরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

সেই পৌরাণিক যুগ থেকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা যাচ্ছে। বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া তিথিতে ঘটা কিছু তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা একনজরে—
১) এদিনই বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরাম জন্ম নেন পৃথিবীতে।
২) এদিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন।
৩) এদিনই গণপতি গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেন।
৪) এদিনই দেবী অন্নপূর্ণার আবির্ভাব ঘটে।
৫) এদিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়।
৬) এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
৭) এদিনই ভক্তরাজ সুদামা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চালভাজা নিয়ে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সকল দুখ্হ মোচন করেন।
৮) এদিনই দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং সখী কৃষ্ণাকে রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ। শরনাগতের পরিত্রাতা রূপে এদিন শ্রী কৃষ্ণা দ্রৌপদীকে রক্ষা করেন।
৯) এদিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু হয়।
১০) কেদার বদরী গঙ্গোত্রী যমুনত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
১১) এদিনই সত্যযুগের শেষ হয়ে প্রতি কল্পে ত্রেতা যুগ শুরু হয়।
১২) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চন্দনযাত্রা শুরু হয় এই তিথিতে।

অক্ষয়তৃতীয়ার দিন বাড়িতে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করা যায় সহজ কিছু উপায়ের মাধ্যমে—
• অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকাল বেলা স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে যথা সম্ভব কিছু দান করুন। এই দিন দান বা পূণ্য করলে সংসারে অত্যন্ত মঙ্গল হয়।
• এই দিন সোনা, রুপো বা যে কোনও ধাতুর কোনও জিনিস গৃহে ক্রয় করা অত্যন্ত শুভ।
• অক্ষয়তৃতীয়ার দিন রাধাকৃষ্ণের চরণে চন্দনের ফোঁটা দিন।
• এই দিন বিবাহিত মহিলারা সাধ্য মতো কয়েক জনকে আলতা ও সিঁদুর দান করুন।
• অক্ষয়তৃতীয়ার দিন তামার ঘট, নারকেল, সুপারি ও চন্দন কাঠ দান করুন।
• এই দিন সামর্থ মতো কিছু জামা কাপড় দান করুন। এর ফলে অত্যন্ত শুভ ফল ভাল করা যায়।

পরিবারে শুভ শক্তির আগমন ঘটাতে, অশুভকে বিনাশ করতে এবং সুখ সম্বৃদ্ধি বাড়াতে এদিন কী কী করবেন?
১. এদিন সকাল সকাল স্নান সেরে নিন। শুদ্ধ পোশাক গায়ে চাপিয়ে যথা সম্ভব কিছু দান করুন। এতে সংসারের মঙ্গল হয়।
২. গণেশ ও লক্ষ্মীর মূর্তিতে সিদুঁর লাগান।
৩. ঈশ্বরকে ফল মিষ্টি নিবেদন করুন।
৪. বিবাহিত হলে এবং সম্ভব হলে কয়েকজন এয়োতিকে আলতা ও সিঁদুর দান করতে পারেন।
৫. তামার ঘট, নারকেল, সুপারি ও চন্দন কাঠ দান করাও অত্যন্ত শুভ।
৬. সোনা, রুপো কিংবা অন্য কোনও ধাতুর জিনিস কিনতে পারলে খুব ভাল।
৭. জামা-কাপড় কিংবা অন্ন তুলে দিতে পারেন দুস্থদের মুখে। এতে সংসারে শান্তি আসে।
৮. সন্ধেয় আবার হাত-মুখ ধুয়ে গণেশের আরতি করুন।
৯. লোভ সংযত করে ঈশ্বরের আরাধণা করার পর পরিবারে প্রসাদ বিতরণ করুন। এতে মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার, আজকের দিনে ভুলেও করবেন না এই সকল কাজ, ভিখারি হতে পারেন মা লক্ষ্মীর রোষে
অক্ষয় তৃতীয়া অত্যন্ত মাহেন্দ্র ক্ষণ শাস্ত্রজ্ঞ বিষয়ে নিপুণ পণ্ডিতরা জানাচ্ছেন৷ মা লক্ষ্মী সংসারে বাঁধা পড়েন সেই দিন বিশেষভাবে পুজো করলে৷ তবে মা লক্ষ্মীর রোষ দৃষ্টিও পড়তে পারে এ দিনটিতে কয়েকটি কাজ করলে৷ আর তার ফলে দেখা দিতে পারে অর্থাভাব৷ সাবধান হয়ে যান সেই কারণে৷ সে সম্পর্কে জেনেনিন
১. স্নান না করে তুলসী পাতা ছিড়বেন না অক্ষয় তৃতীয়ার দিন৷ তুলসী পাতা ভীষণ প্রিয় ভগবান বিষ্ণুর, সেই কারণে মা লক্ষ্মী কূপিত হন এমনটা করলে৷ আশপাশ পরিষ্কার রাখুন এ দিন মা লক্ষ্মীর পুজো করার সময়৷ মায়ের পুজো করুন পরিষ্কার বস্ত্র পরে৷
২. উপবাস ভাঙবেন না ব্রত শেষ হওয়ার আগে৷ উপনয়ন সংস্কার করা ঠিক নয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন৷ অশুভ মনে করা হয় এদিন এমন কাজ করাকে৷ এইদিন কেনা যায় নতুন বাড়ি৷ তবে নির্মাণ কাজ করা যায় না নতুন বাড়ি৷

এই জিনিসগুলি রেখে অক্ষয় তৃতীয়ার পূজা করতে পারেন
প্রদীপ: আপনি যদি অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনার কেনাকাটা করতে সক্ষম না হন তবে কোনও মাটির পাত্র বা প্রদীপ এই দিনটিতে আপনার বাড়িতে আশীর্বাদ আনতে পারে।
নুন: অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নুন খাওয়া এড়ানো উচিত। ব্রতী-দের একেবারেই লবণ খাওয়া উচিত নয়। তবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বাড়িতে সন্ধক লবণ রাখা শুভ বলে বিবেচিত হয়।
সরিষা: সরিষার ব্যবহার প্রায় প্রতিটি ঘরেই হয়। যদি আপনি এক মুঠো খাঁটি হলুদ সরিষা রাখেন তবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আপনার উপর থাকবে।
ফল: অক্ষয় তৃতীয়ার পুজোর জন্য আপনি যেকোনও ফল আনতে পারেন। মরসুম অনুসারে যেকোনও ফল রাখতে পারেন।
তুলা: অক্ষয় তৃতীয়ায় তুলা রেখেও পুজো করতে পারেন।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন শুধু সোনা কিনলেই যে ঘরে লক্ষ্মী বিরাজ করবেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। সোনা ছাড়া আপনি আপনার সাধ্যমত আরও অনেক কিছুই কিনতে পারেন। তাই মা লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে কী কী কিনবেন তা জেনে নিন –
১) বিনিয়োগ করুন কোনও স্কীমে সোনা নয়, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কোনও বিশেষ স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। নিজের, সন্তানের কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এই ধরনের প্ল্যানের দিকে মন দিন।
২) গাড়ি যেহেতু এই দিনটি অত্যন্ত শুভ একটি দিন তাই সোনা ছাড়াও এই দিনটিতে কিনতে পারেন আপনার পছন্দসই একটি গাড়ি। গাড়ি প্রেমী ব্যক্তিরা এই দিনে গাড়ি কিনলে ফিরতে পারে আপনার সৌভাগ্য।
৩) বাড়ি এই দিন কিনতে পারেন বাড়ি। বাড়ি কেনার পরিকল্পনা যদি আগেই থেকে থাকে, তবে এই দিনেই কিনে ফেলুন। এতে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হবেন এবং ঘরে লক্ষ্মী বিরাজ করবেন। সৌভাগ্য ফিরে আসবে আপনার।
৪) জমি-জায়গা ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এই শুভ দিনে কোনও জমি বা ছোট্ট জায়গা কিনতে পারেন। এতেও মা লক্ষ্মী তুষ্ট হবেন। ফিরবে আপনার সৌভাগ্য।
৫) ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অক্ষয় তৃতীয়ার দিন বাড়ির কিছু প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনতে পারেন। যেমন – সোফা, ঘর সাজানোর সামগ্রী, টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, বাসনপত্র ইত্যাদি। এতেও মা লক্ষ্মী তুষ্ট হয়ে বিরাজ করবেন আপনার ঘরে।
৬) কাঁচা সবজি সোনা, বাড়ি, গাড়ি কেনার সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না। তাই এই শুভক্ষণে নিজের সৌভাগ্য ফেরাতে এবং মা লক্ষ্মী-কে সন্তুষ্ট করতে কিনে আনুন কাঁচা শাক-সবজি। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, পাতাওয়ালা সবজি আর্থিক সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনে।
৭) শস্যদানা এই দিনে গৃহস্থলীর প্রয়োজনীয় শস্যদানা কিনতে পারেন। যেমন – চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, বার্লি ইত্যাদি। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এগুলি কিনলে ঘরের সৌভাগ্য ফেরে এবং অশুভ প্রভাব-কে দূরে সরিয়ে রাখে।
৮) ঘি হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, এই দিনে বাড়িতে ঘি কিনলে শুভ শক্তির আগমন ঘটে এবং ঘরে লক্ষ্মী বিরাজ করেন। তাই ঘি কিনে লক্ষ্মী পূজার সময় ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালান। সৌভাগ্য ফিরবে আপনারও।

হরে-কৃষ্ণ🙏

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ত্রিদেব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share