Mashfique Miraz

  • Home
  • Mashfique Miraz

Mashfique Miraz Young, Wild & Free

২০২১ তো প্রায় শেষ! কার ভালো গেল কিংবা খারাপ গেল সেইটা জিজ্ঞেস করবো না।সামনের বছরের জন্য কি রেজোলিউশন সেট করলেন? বাকেট লি...
31/12/2021

২০২১ তো প্রায় শেষ! কার ভালো গেল কিংবা খারাপ গেল সেইটা জিজ্ঞেস করবো না।

সামনের বছরের জন্য কি রেজোলিউশন সেট করলেন? বাকেট লিস্ট বানালেন? এখনো কিছুই করেননি? আসেন দেখি কি করা যায়!

আমার বাকেট লিস্ট + আপনি কি করতে পারেন তার একটা ধারণা দেই? আপনার এক্সট্রা কিছু থাকলে কমেন্ট করেন,অন্যদেরকেও তাদের লিস্ট বানাতে সাহায্য করি চলুন।

১. ইংরেজি শব্দ শেখা। সারাজীবন এই জিনিসটাকে আমরা সৎ ভাই মনে করি। আমিও করতাম! ইংলিশে ব্যাচেলর করার কারণে আমার অবশ্য জোর করেই পড়তে হতো এসব। এখন এর উপকারিতা টের পাচ্ছি। আসেন দেখি কি করলে সে আপনার সারাজীবনের বন্ধু হয়ে যাবে। প্রতিদিন ৫টা করে ইংরেজি শব্দ শিখবেন। পরেরদিন সেগুলাই আবার রিপিট করবেন। GRE Big Book কিনে নিয়েন নীলক্ষেত থেকে। মাসে ৭৫টা হলে এক বছর পরে কত হবে হিসাব করে নিয়েন। আজকে মজার একটা শব্দ শিখলাম 'Felicity' ! মানে সুখ। ১ বছর পর শব্দটার মানে টের পাবেন!

২. অংক আরেক সৎ ভাই! ১-১২ পর্যন্ত ম্যাথ নতুন করে শিখেন। ৬ মাসে শেষ করবেন। পরের ৬ মাস রিপিট। কাজে লাগবে!

৩. বই পড়া জিনিসটা আমরা ভুলেই যাচ্ছি দিন দিন। সফল মানুষরা সুযোগ পেলেই বই পড়েন। ১২ মাসে ১২টা নতুন বই পড়বেন। গুগল করে আপনার লিস্টে বই যোগ করেন। ( আমার বাকেট লিস্টে টপমোস্ট প্রায়োরিটি এবার, আবেগে ৪৩টা বই লিস্টে এড করে ফেলেছি, দেখা যাক কয়টা শেষ করতে পারি! )

৪. টিউশনি করান আপনারই লাভ হবে অথবা অন্য কোন কাজ করে টাকা জমান মাসে কম করে হলেও ২০০০ টাকা + এক্সট্রা ৫০০ টাকা বা আরো বেশী। এক্সট্রা ৫০০ কেন? পরে বলছি।

৫. DIY বা Do It Yourself এর নতুন ভিডিও দেখেন মাসে ৫টা। ইউটিউবে পাবেন। বছর শেষে ৬০টি নতুন জিনিস শিখবেন, যেটা অনেকেই জানে না। মজার ব্যাপার না? 😉

৬. মাসে নতুন ৫টা গান শুনুন + Imdb টপ চার্টের একটা মুভি দেখুন।

৭. ২ মাস পরপর নতুন কোন জায়গায় ঘুরতে যান। টাইট বাজেটে ঘুরবেন। অনেক কিছু শিখতে পারবেন। রাতে নিঝুম আকাশে চাঁদ বা তারা দেখা, ট্রাকে করে অনেক দূরে যাওয়া এগুলোর মজা তখন পাবেন। ট্যুর ব্যাপারটাকে আমরা আসলে বিলাসিতা বানিয়ে ফেলেছি, তাই এর আসল মজাটা পাই না। ট্রাভেলিং আপনাকে একদম "ডাউন টু আর্থ" বানিয়ে ফেলবে, ট্রাস্ট মি। আপনি, আমি, আমরা যে কতোটা ক্ষুদ্র তা ঘুরতে বের না হলে বুঝতে পারবেন না। আমি ২০২০ এর আগে ৪৭ জেলা কাভার করেছিলাম, এই বছর আলহামদুলিল্লাহ ৬৪ কাভার করে ফেলেছি। আমার জন্য অনেক বড় এচিভমেন্ট এটা, ৬৪০০০ গল্প আছে আমার ঝুলিতে। আপনার ঝুলিতে কয়টা?

৮. কম্পিউটারে এর নতুন যেকোন ৩ টা কাজ শিখুন। এক্সেল, ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, ফটোশপ যেটা আপনার ভালো লাগে।

৯. খারাপ অভ্যাস থাকলে কমিয়ে দিন। একেবারে ছাড়ার চেষ্টা করবেন না কিন্তু! যেমনঃ আমার বাকেট লিস্টে এবার স্মোকিং কমিয়ে দিবো এটা যোগ করেছি। ইভেন এই লেখাটা লেখার আগেও ২টা সিগারেট খেয়েছি। প্রতি ২ মাস অন্তর অন্তর সপ্তাহে একটা করে কম খাবো। বছর শেষে দেখা যাবে সপ্তাহে মাত্র একটা খেতে পারবো। পরের বছর একেবারে ছেড়ে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আপনিও চেষ্টা করুন।

১০. আগেরবারের চেয়ে একাডেমিক রেজাল্ট ভালো করার চেষ্টা করুন। কে কি রেজাল্ট করেছে সেটা না দেখে নিজের রেজাল্ট ইম্প্রুভ করুন। নিজের সাথেই নাহয় যুদ্ধটা শুরু হোক মাই ফ্রেন্ড।

১১. নিজের নেটওয়ার্ক বাড়ান। মানুষের সাথে মিশুন, নতুন বন্ধু বানান, বিভিন্ন ক্লাবে জয়েন করুন, নতুন আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করুন; তাদের নিয়ে গ্রুপ করুন। এই সাজেশন দেয়াটা খানিকটা হিপোক্রেসী হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও সহজে মানুষের সাথে মিশি না/কথাও কম বলি কিন্তু বছরখানেক ধরে অন্তত কথা বলে মানুষের সাথে বন্ধুক্তপূর্ণ সম্পর্কটা রাখার চেষ্টা করছি,

"Great minds discuss ideas, Average minds discuss events, Small minds discuss people"!

So, choose what you want to be!

১২. ভলান্টিয়ারিং করুন। টাকা না পেলেও অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হবে। অনেক অভিজ্ঞতা হবে। ফ্রিতে মানুষকে সাহায্য করুন। অনেক ফায়দা হবে ম্যান! এখানে একটা সমস্যা আছে, জাস্ট বায়োতে এড করার জন্য কামলা খাটবেন না, আসলেই কিছু শিখতে পারবেন এমন কোথাও ভলান্টিয়ারিং করুন। কিছু শিখতে পারবেন না বুঝার সাথে সাথেই আলবিদা বলে নতুন কোথাও ট্রাই করুন।

১৩. নিজের ঝুলিতে নতুন স্কিল যোগ করুন। সাতার, ড্রাইভিং, সাইক্লিং, ফটোগ্রাফি, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, গিটার, বাশি বা হালের ক্রেজ ডিজিটাল মার্কেটিং যা মন চায় শিখুন। আইকিউ,ইকিউ বাড়ান। কই পাবেন? গুগল করুন! ❤

১৪. বিজনেস ম্যাগাজিন, Wikipedia, Crashcourse, Ted Talks দেখুন। বাসায় একটা বাংলা, আরেকটা ইংরেজি দৈনিক রাখুন। ইংরেজি বুঝেন না? না বুঝলেও, যা বুঝেন পড়েন। একটা রিপোর্ট পড়ে সেটাকে নিজের মত করে লিখুন। বছর শেষে পার্থক্য টের পাবেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাথেই প্রতিদিন কথা বলুন। ইম্প্রুভমেন্ট নিজেই টের পাবেন।

১৫. এখনি নিজের বায়ো তে আপনার ব্লাড গ্রুপ লিখুন। ৪ মাস পরপর রক্ত দিন। ভয় পাবেন না,আপনার কিছুই হবে না। বরং শান্তি পাবেন।

১৬. নামাজ পড়ুন,অন্য ধর্মের হলে নিজের রিচুয়্যাল গুলো পালন করুন। সব কাজে উপরওয়ালার সাহায্য পাবেন।

১৭. মাসে একদিন নতুন কিছু রান্না করুন, না পারলে শিখে নেন। প্রতিদিন হাটার এবং ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।

১৮. Interview Skill, Presentation Skill, Formal Attitude, Formal Atticates রপ্ত করুন। গুগল কিংবা ইউটিউবে পাবেন।

১৯. সপ্তাহে একদিন অন্তত পরিবার কে সময় দিন। বাসার কাজ নিজ হাতে করুন। পুরোনো বন্ধুদের ফোন করুন। তাদের খোঁজখবর নিন।

২০. বন্ধু, প্রিয় মানুষ, শিক্ষক, পরিবার সবার জন্মদিন লিখে রাখুন। ফেইসবুকে উইশ না করে,সামনাসামনি বা ফোনে উইশ করুন। (এটা মাস্ট করবেন প্লিজ, জন্মদিনের দিন মানুষ সবচেয়ে অসহায় বোধ করে। একটু কথা বলার মাধ্যমে সম্পর্কটা আরো সুন্দর করা সুযোগ কেন মিস করবেন?)

২১. পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংক একাউন্ট, TIN সার্টিফিকেট আছে? না থাকলে দ্রুত করে ফেলুন।

২২. ওজন বাড়ানোর বা কমানোর টার্গেট নিন। প্রতি ৩ মাসে বিজনেস প্ল্যান বানান নিজের একটা। ইম্পলিমেন্ট না করতে পারলেও বানানোর চেষ্টা করুন। আশেপাশের মানুষের সাথে শেয়ার করুন। লস হবে না। আইডিয়া শেয়ার করলে কোনো লস নাই!

২৩. বিদেশী বন্ধু বানান। অনেক সাইট আছে যেখানে বন্ধু বানাতে পারবেন। যেমনঃ Penpalworld, নিজের দেশ সম্পর্কে জানান, তারটা জানুন। অনেক লাভ হবে আপনার, আমি বিজনেস মাইন্ডেড মানুষ। অনেক ক্লায়েন্টও পেয়েছি এভাবে :3 প্রতি মাসে একটা দেশ সম্পর্কে গুগল করে বিস্তারিত জানুন।

২৪. মাসে দুইদিন বিভিন্ন স্ট্রিটফুড টেস্ট করুন। পেট খারাপ হলেও করুন! 😛

২৫. নতুন একটা ভাষা শেখার চেষ্টা করুন। কিভাবে শিখবেন? " ডুইলিংগো, মেমরাইজ" এপ নামিয়ে ধুমিয়ে শেখা শুরু করুন। ওই ভাষার যেকোন দেশের মানুষকে বন্ধু বানিয়ে তার সাথে প্রেক্টিস করুন। আস্তে আস্তে শিখে যাবেন!

২৬. নিজের পছন্দের গিয়ার/গ্যাজেট কিনুন। যেমনঃ আমার ফটোগ্রাফি'র শখ!

- সব একসাথে করতে পারবেন না। আমিও নিজেও ৪-৫টার বেশী লিস্টে এড করিনি। এখানে যা যা বললাম সেখান থেকে যতগুলো পারবেন বাকেট লিস্টে এড করুন। এই বছর করবো বলে কোন কথা রাখবেন না। কোন মাসের কোন দিন শেষ করবেন আগেই ঠিক করে রাখুন। না পারলে পরের মাসে করবেন কিন্তু অবশ্যই সময়েরটা সময়েই করবেন। প্রতি মাসের শেষদিন লিস্টের যে কাজগুলো করেছেন সেগুলো টিক দিবেন। বছর শেষে একটা কেক বানাবেন এবং লিখবেন " Resolutions Done! " আর আয়নার সামনে অন্য নিজেকে খুঁজে পাবেন! দুই আঙুল দিয়ে ভিক্টরি সাইন দেখাবেন। কতটা শান্তি পাবেন তা তখনই বুঝবেন। Live life to the fullest ধন্যবাদ 😴

*আর হ্যা প্রতি মাসে ৫০০+ টাকা কেন আলাদা করে রাখতে বলেছিলাম জানেন? এই দুইশো টাকা কিছুই নাহ! বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা এক প্যাকেট সিগারেটেই দুইশো টাকা খরচ হয়ে যায়। এই টাকাটা গরিব কাউকে দান করবেন। হয়তো কোন পথশিশুকে খাবার কিনে দিলেন, কোন রিকশাচালককে ১০০ টাকা বেশী দিলেন। এখন শীতকাল, কাউকে নাহয় আরো কিছু টাকা যোগ করে গরম কাপড় কিনে দিলেন। বিনিময়ে কি পাবেন? একটা হাসি পাবেন, পবিত্র হাসি! যা আপনি অন্য কারো কাছে পাবেন না। এই হাসির দাম হাজার হাজার বিটকয়েন! জীবনের শেষদিন এই হাসিমুখগুলোই আপনার অর্জন মনে হবে।

কপি করলে, ক্রেডিট দিয়েন দয়া করে!
© Mashfique Hasan Miraz

আচ্ছা, ফেইসবুকের নাম 'মেটা' হয়েছে। এটা তো আমরা সবাই জানি। এনাউন্সমেন্ট দেয়ার পরই ওদের লোগোর দিকে চোখ যায়। এতো কমন এবং জে...
30/10/2021

আচ্ছা, ফেইসবুকের নাম 'মেটা' হয়েছে। এটা তো আমরা সবাই জানি। এনাউন্সমেন্ট দেয়ার পরই ওদের লোগোর দিকে চোখ যায়। এতো কমন এবং জেনেরিক লোগো ইউজ করলো কেন? কোথায় যেন দেখেছি মনে হচ্ছে! বড় বড় কোম্পানী কমন জিনিসের মধ্যেই আনকমন কিছু বানায়, এটাই মাথায় ঘুরছে বারবার।

পরে ঘাটতে যেয়ে দেখলাম ভার্জিন মিডিয়া, ভিজুয়্যাল স্টুডিও, এবিসি, লেন্সকার্ট অনেকের লোগোই এমন। ২০০৮ সালের দিকে 'লুপ' এই লোগো কনসেপ্ট বেশ ট্রেন্ডিং ছিলো। যাইহোক, যেহেতু ফেইসবুক এই কাজ করেছে তাই কিছু বলা যাবেনা।

লোগোটা ডিজাইন করেছে এরিক স্পেইক্যারমান নামে এক জার্মান প্রফেসর। যিনি অবশ্যই একজন ডিজাইনার। টুইটারে অবশ্য এই ভদ্রলোক সমালোচকদের একদম ধুয়ে দিচ্ছেন। ফেইসবুক তাকে বিশাল অংকের সম্মানী দিয়েছে, একটু তো সাফাই গাইতেই হবে।

সন্ধ্যায় রেডিটে ঢু মারছিলাম কিছু জানার আশায়, এলসা (জার্মান পেনপ্যাল) জানালো মেটা'র লোগো নিয়ে মজার একটা জিনিস পেয়েছে। ইমেজটা এড করে দিবো পোস্টের সাথে। ইমেজটা দেখার পর বুঝতে বাকি থাকলো না , এই সাধারণের ভেতরেও কি অসাধারণ একটা আইডিয়া আছে। আসলে বড় কোম্পানীরা লাখ লাখ ডলার খরচ করে লোগোর পেছনের গল্পটা কিনে।

আমাদের দেশের ডিজাইনারদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মানী দেয়া হয় না বলেই এমন লোগো/গল্প সম্ভব না। ১০০ টাকায় লোগো আর ৫০০ টাকার ওয়েবসাইট দিনশেষে সেই দামেরই হয়। সহজ জিনিস, সহজভাবে বলাই কঠিন, সেটার দামও অনেক। হুমায়ূন আহমেদ এজন্যই বলেছিলেন "যাঁরা সাধারণ কথা সহজ করে বলতে পারেন তাঁরাই অসাধারণ"

যাদের NID Card নেই এবং কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন এর জন্য এখনো রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন নাই তারা নিচের লিংকের মাধ্যমে National...
17/09/2021

যাদের NID Card নেই এবং কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিন এর জন্য এখনো রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন নাই তারা নিচের লিংকের মাধ্যমে National Birth Certificate এর মাধ্যমে টীকার রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

(শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য)

Registration Link:

If you are not vaccinated yet or registered for vaccine provide your full information. You will receive an SMS very soon.

Country's largest grocery platform Chaldal raised $10 million fund in Series C. It currently has 27 warehouses located i...
15/09/2021

Country's largest grocery platform Chaldal raised $10 million fund in Series C. It currently has 27 warehouses located in four cities. Chaldal plans to expand into 15 new cities with this recently secured fund. The round was led by Taavet Hinrikus, co-founder of Wise; Topia chief product officer Sten Tamkivi; and Xploration Capital, with participation from Mir Group.

Source: Business Inception BD

আচ্ছা, আমি যদি আপনাকে বাচ্চা হাতি বলি, আপনি কি রাগ করবেন?আমরা সবাই আসলে গল্পের সেই বাচ্চা হাতিটা। কোনটা? আসেন গল্পটা বলি...
23/08/2021

আচ্ছা, আমি যদি আপনাকে বাচ্চা হাতি বলি, আপনি কি রাগ করবেন?

আমরা সবাই আসলে গল্পের সেই বাচ্চা হাতিটা। কোনটা? আসেন গল্পটা বলি,

একবার এক লোক একটা জায়গা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, যেখানে অনেক হাতি রাখা আছে। লোকটা বেশ অবাক হয়ে দেখলো, হাতিগুলোকে রাখার জন্য কোনো খাঁচা বা তাদের পায়ে শেকল ব্যবহার করা হচ্ছে না বরং তাদেরকে ছোট্ট একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই রশি তো তারা হ্যাচকা টানেই ছিঁড়ে ফেলতে পারবে।

পুরোপুরি বিভ্রান্ত লোকটি এবার আগ্রহ দমাতে না পেরে হাতিগুলোর প্রশিক্ষকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

সামান্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার পরেও হাতিগুলো কেন সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে এবং পালানোর চেষ্টা করছে না?

প্রশিক্ষক তাকে জানালেন,
যখন তারা ছোট ছিলো তখন ঠিক একই দড়ি দিয়ে তাদেরকে আটকে রাখা হতো, যেটা ওই বয়সে তাদের জন্য যথেষ্ট ছিলো। তখন তারা পালানোর চেষ্টা করেছিলো কিন্তু পারেনি। যথেষ্ট বড় হবার পরেও তাদের মনে তাদের ছোটবেলার সেই না পারার কথা শক্তভাবে গেঁথে যায়। ধীরে ধীরে তাদের মনে এই বিশ্বাসটা চলে আসে যে, তারা এই দড়ি ছিঁড়ে আর পালাতে পারবে না।

গল্পের এই হাতিগুলো কিন্তু আমরা নিজেরাই। ছোটবেলা থেকেই পারবে না/ তোমাকে দিয়ে এটা হবে না/ এটা কি আদ্যও সম্ভব? এই কথা শুনে আমরা বড় হয়েছি এবং আমাদের নিজেদের ভেতরের অসীম শক্তিটাকে বেমালুম ভুলে গিয়ে "আমাকে দিয়ে হবে না" ভেবে দিন পার করছি।

আসলে মানুষের ক্ষমতা অসীম, তারা পারেনা এমন কাজ কমই। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছে, তারা কিন্তু কোনো অসাধারণ মানুষ ছিলেন না। নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস তাদেরকে অসাধারণ করে তুলেছে। এখন থেকে কখনো যদি মনে হয়, আপনি পারবেন না। তাহলে এই বাচ্চা হাতির গল্পটা মনে রাখবেন।

"হাল ছেড়ো না বন্ধু"

"Believing you can become successful is the most important step in actually achieving it"

© Mashfique Miraz

আমরা সবাই টাকা আয় করতে চাই, আর সেটা অনলাইনে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে তখনই, যখন আমরা জামান স্যার টাইপ মানু...
22/08/2021

আমরা সবাই টাকা আয় করতে চাই, আর সেটা অনলাইনে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু সমস্যাটা বাঁধে তখনই, যখন আমরা জামান স্যার টাইপ মানুষের পাল্লায় পড়ে যাই। হ্যাশট্যাগ মোটিভেশনাল স্পিকারদের কথা তো বাদই দিলাম। এই পোস্টে আমি আপনারদের সাথে গত ৮-৯ বছরে অনলাইন দুনিয়ায় আমি যা শিখেছি এবং আমার কাছে লেজিট মনে হয়েছে এমন অনলাইন আয়ের ১০টি উপায় বলে দিবো। যেগুলোর বেশীরভাগই আমি নিজে করেছি এবং বেশ ভালো আয় করতে পেরেছি এবং এখন পারছি। চলুন শুরু করা যাক,

১। ব্লগ লেখাঃ
ব্লগিং কি আসলে? ব্লগিং মানে ভার্চুয়াল ডায়েরী অথবা ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত মতামত লেখা।

এখন প্রশ্ন আসে, কি নিয়ে লিখবেন বা ব্লগিং করবেন। উত্তরটা একেবারে সহজ, আপনার যা ভালো লাগে তা নিয়েই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। এই জিনিসটাকে ব্লগিং এর ভাষায় “নিশ” বলে। ধরে নিলাম আপনার ট্রাভেল ভালো লাগে, তাহলে আপনার নিশ কি হবে? অবশ্যই ট্রাভেলিং!
আয় কিভাবে হবে? অনেকভাবেই হতে পারে,

– আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এড বসাতে পারেন। কেউ ওই এডে ক্লিক করলেই আপনি টাকা পাবেন।

– এফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে (৪ নাম্বার পয়েন্টে বিস্তারিত)

– স্পন্সরশিপের মাধ্যমে।

– নিজস্ব প্রোডাক্ট সেলিং এর মাধ্যমে।

আমার ব্লগে আপনি কোনো এড পাবেন না আপাততঃ কিন্তু এফিলিয়েট লিংক পাবেন। লিংকের থ্রু-তে কিছু কিনলেই আমি পারসেন্টেজ পাবো। কিছুদিন আগে আমাদের “টেক জাংকিস বিডি” গ্রুপে নেমচিপের এফিলিয়েট লিংক শেয়ার করেছিলাম। টোটাল ৩০০ ডলারের এফিলিয়েট সেল ছিলো, ২০% কমিশনে ৬০ ডলার পেয়েছি শুধু লিংক শেয়ার করেই! এটাকে “প্যাসিভ ইনকাম” বলে, সুন্দর না?

আর হ্যাঁ, ব্লগ বানাতে ডোমেইন এবং হোস্টিং লাগবে, যদি এর আগে ডোমেইন/হোস্টিং কিনে না থাকেন তাহলে এই লিংকে গিয়ে namecheap.pxf.io/mashfique একাউন্ট করে ডোমেইন, হোস্টিং কিনে ফেলুন।

২। ড্রপশিপিংঃ
ধরেন, আপনার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। আপনার আশেপাশের সেরা দইয়ের দোকান পরিচিত। বগুড়ার দই নামকরা এটা সবাই জানে কিন্তু আসলটা খুঁজে পায়না কেউ। আপনি কি করলেন, একটা ওয়েবসাইট/ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে মানুষদেরকে জানালেন আপনি বগুড়ার খাটি দই পাঠাতে পারবেন। ঢাকার একজন দই অর্ডার দিলো আপনার ওয়েবসাইট বা পেইজে। আপনি কাস্টমারের ডিটেইলস দইয়ের দোকানদারকে পাঠিয়ে দিলেন, দোকানদার কুরিয়ার করে দিলো।

আপনার লাভ?

– হয়তো প্রতি কেজি দই আপনি ১৫০ টাকা করে কিনতে পারবেন কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটা ২৫০/৩০০ লিখে রেখেছেন। প্রতি কেজি দই সেল করে আপনার লাভ কতো?

ঠিক একইভাবে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট থেকে (আলীএক্সপ্রেস/আলীবাবা/টিমল/জেডি) থেকে প্রোডাক্টের ডিটেইলস নিয়ে ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটায় বেশীদামে প্রোডাক্ট আপলোড করবেন। একটা নির্দিষ্ট এরিয়া টার্গেট করে মার্কেটিং করে কাস্টমার ধরবেন। কাস্টমারের কাছ থেকে ডিটেইলস নিয়ে চাইনিজ সেলারের কাছে পাঠিয়ে দিবেন। দইয়ের মতো অতিরিক্ত টাকাটাই আপনার প্রফিট।

আমি ২০১৭ সাল থেকে ড্রপশিপিং করি। রিসেন্টলি ইনকাম কিছুটা কম হলেও ১৭-১৮ তে বেশ ভালো রেভিনিউ জেনারেট করেছিলাম। কোভিডের পর ইনশাআল্লাহ্‌ আবার সব ঠিকঠাক হবে।

৩। টিউটোরিয়াল বানানোঃ
পেন্ডামিকের কারণে মানুষ পারসোনাল ডেভেলপমেন্টে মনোযোগ দিচ্ছে খুব। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারেন আপনি। ধরে নিলাম, আপনি খুব ভালো ভিডিও এডিটিং/ড্রয়িং/রান্না পারেন। সুন্দর করে একটা মডিউল বানিয়ে কোর্স লঞ্চ করে দিন। একবার কোর্স বানালে সেটা মিনিমাম ২ বছর পর্যন্ত ইজিলি সেল করতে পারবেন, আর কয়েকদিন পরপর আপডেট করলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার স্কিলের উপর বেইজ করে কোর্সের দাম ঠিক করবেন। ধরলাম ভিডিও এডিটিং কোর্স ৩০০০ টাকা। কয়জনের কাছে সেল করতে পারবেন? আনলিমিটেড! জাস্ট একটা কোর্স ৫০০ মানুষের কাছে সেল করতে পারলে কত টাকা? নিজেই হিসাব করে বের করুন!

এটা করিনি এখনো কিন্তু মোটামুটি একটা অডিয়েন্স বেইজ আছে আমার হাতে। আচ্ছা, আমি যদি ব্লগ বানিয়ে ইনকাম/ ড্রপশিপিং কমপ্লিট টিউটোরিয়াল/ এফিলেয়েট মার্কেটিং কোর্স/ কন্টেন্ট রাইটিং কোর্স/ ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করাই। আপনি করবেন না? অবশ্যই করবেন। কয়েকদিন পর দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ্‌। এটাও কিন্তু প্যাসিভ ইনকাম! একবার কোর্স বানিয়ে অনেকদিন, অনেকজনের কাছে সেল করা যাবে।

৪। এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
প্রথম পয়েন্টে এফিলিয়েট লিংকের কথা বলেছিলাম মনে আছে? এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনি কারো পণ্য বিক্রি করে সেটার কমিশন নিবেন। আমাদের দেশে যেটাকে “দালাল” বলা হয়! অনলাইনে এফিলিয়েট করা খুব সহজ। বাইরের প্রায় সব সাইটেরই এফিলিয়েশন সিস্টেম আছে। ওয়েবসাইট ভিজিট করে ফুটার থেকে এফিলিয়েট হবার আবেদন করবেন। ওরা ভ্যারিফিকেশনের পর আপনাকে ট্র্যাকিং লিংক দিবে। আপনি সেই লিংক মার্কেটিং করে তাদের সেল এনে দিবেন। বুম! ৫%-২০% কমিশন ইজিলি পেয়ে যাবেন। যেমন কয়েকদিন আগে আমি নেমচিপ থেকে পেয়েছি।

এফিলিয়েটের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে “আমাজন এসোসিয়েটস”। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটা ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। পন্যভেদে ৩%-৮% কমিশন দেয় ওরা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনার লিংকের মাধ্যেমে কেউ গিয়ে ওই সাইটে সাথেসাথে প্রোডাক্ট না কিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেকোনো কিছু কিনলেও আপনি কমিশন পাবেন। কারণ যখন কেউ আপনার লিংকের মাধ্যমে আমাজনের ওয়েবসাইটে যাবে, তখন আমাজন সেই ব্যক্তির ব্রাউজারে কিছু কোড সেইভ করে দেয়, যেটাকে “কুকি” বলে। এই কুকির মেয়াদ ৭-৯০ দিন পর্যন্ত থাকে। তারমানে এই সময়ে কিছু কিনলেই কমিশন!

২০১৮ সালের দিকে আমার দুইটা রিভিউ সাইট দিয়ে আমি আমাজন এফিলিয়েট শুরু করি, প্রতিমাসে মিনিমাম ১০০ ডলার থেকে ১৪০০ ডলার পর্যন্ত আসতো। ৮ মাসের মাথায় সাইট দুইটা মোট ২১০০০ ডলারে (একুশ হাজার ডলার! ঠিকই পড়েছেন) সেল করে দেই ফ্লিপ্পায়। সাইট সেল নিয়ে এর পরের পয়েন্টে কথা বলছি। নিশ সাইটের জন্য ৬-৭ মাস এবং অথোরিটি সাইটের জন্য ১০-১২ মাস টানা সময় দিতে পারলে এটা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটা বেস্ট অপশন হতে পারে। এটা কিন্তু একটা প্যাসিভ ইনকাম। সাইট বানানোর পর ৬-১২ মাস কষ্ট করে একবার সেল আশা শুরু করলে বাকি সময় শুধু একটু দেখাশোনা করেই বেশ ভালো আয় করতে পারবেন।

৫। ওয়েবসাইট ফ্লিপিংঃ
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং মানে হচ্ছে, ওয়েবসাইট বিক্রি করে দেয়া। ধরে নিলাম আপনার একটা ট্রাভেল রিলেটেড ওয়েবসাইট আছে। যেখানে প্রচুর মানুষ আপনার ব্লগ পড়ে। আপনি এডসেন্স বা এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেলের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০-৫০০ ডলার আয় করেন। যখন আপনি ওয়েবসাইট ফ্লিপ বা সেল করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটের সেলিং ভ্যালু হবে ২৫-৩০ গুণ বা ৬০০০-১৫০০০ ডলার।
উপরের পয়েন্টকে এক্সাম্পল হিসেবে ধরে নিন এখানে। ফ্লিপ্পা বা এম্পায়ার ফ্লিপার্সের মতো মার্কেটপ্লেসে আপনি ইজিলি আপনার ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন।

আমি এখন পর্যন্ত ৬টা সাইট সেল করেছি। আমাজনের দুইটা বাদে বাকি ৪টা ছিলো নিশ সাইট। যেগুলো এডসেন্সের উপর বেইজ করে ছিলো। আমার সাজেশন শুরুতে নিশ সাইট দিয়েই কাজ করুন, তারপর আস্তে আস্তে অথোরিটি সাইটে যাবেন। কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না? কোর্স আসছে, অপেক্ষা করুন।

৬। ফ্রিল্যান্স রাইটিংঃ
এই যে, এতোক্ষণ ধরে যে সাইটের কথা বলছি। তারজন্য তো কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লাগবে। নিজে একা তো সব লিখতে পারবেন না বা অনেকের রাইটিং স্কিল খুব একটা ভালো না। এদের কন্টেন্ট কারা লিখবে? এদের কন্টেন্ট লিখবে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটাররা। একটু কষ্ট করে গুগল করলেই অনেক ওয়েবসাইট পাবেন যারা কন্টেন্ট রাইটার হায়ার করে বা ফাইভার/আপওয়ার্কের মতো মার্কেটপ্লেসেও দেখতে পারেন।

আয় ডিপেন্ড করবে আপনার লেখার মানের উপর। এক্ষেত্রে আমার সাজেশন দুইটা, নিজের একটা ব্লগ বানিয়ে ফেলুন যেটা আপনার পোর্টফোলি হিসেবে কাজ করবে বা কোথাও ইন্টার্ন হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। আমার এজেন্সী কিন্তু প্রতি ৪-৬ মাস পরপর ইন্টার্ন নেয়। চাইলে আমার সাথেও কাজ করতে পারেন।

আমার শুরুটা এই ফ্রিল্যান্স রাইটিং নিয়ে। এখন আর খুব একটা লেখি না, এজেন্সীতে ৩ জন পার্মানেন্ট রাইটার এবং ২ জন ইন্টার্নই আমার কাজ করে দেয়। একটা সময় প্রচুর লেখালেখি করেছি। এখনো মনে আছে, আমার প্রথম কন্টেন্ট ছিলো “কিভাবে কুকুরের শরীরের যত্ন নিতে হবে!” ১ ডলার পেয়েছিলাম লিখে। ক্লাস টেনে পড়া একজনের জন্য ৭০-৭৫ টাকা অনেক। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি আসলে টাকার জন্য লিখতাম না, লিখতাম শখের বসে কারণ কিছু লিখতে গেলে প্রচুর রিসার্চ করতে হতো। আর এই কাজটায় ভয়াবহ আনন্দ পেতাম আমি। কন্টেন্ট লিখতে ১ ঘন্টা সময় দিলেও, সেটা নিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রিসার্চই করতাম।

নতুন কোনো টপিকে কেউ ফ্রি তে লিখে দিতে বললেও লিখে দিতাম। এতে করে আমার রাইটিং এবং রিসার্চ স্কিল অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে, যেটার ফল আমি পেয়েছিলাম ইউনিভার্সিটি তে। আপনারা যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি। আমি ইংলিশ লিটারেচারে ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়েছি। তাত্ত্বিক পড়াশোনার ঘোরবিরোধী আমি শুধুমাত্র এই দুইটা স্কিলের উপর বেইজ করেই কিছু না পড়েই কোনোমতে পাশ করে বের হয়েছি!

৭। পডকাস্টিংঃ
আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও বাহিরের দেশে পডকাস্টের চাহিদা প্রচুর। মূলত, একটা ভিডিও/ব্লগের অডিও ভার্শনই হচ্ছে পডকাস্ট। মানুষের জীবন দিন দিন একটা নির্দিষ্ট সার্কেলে চলে আসছে, যেখানে সবারই সময় কম। চিন্তা করে দেখুন তো একবার, আপনি ছোট থাকতে বছর বা দিন খুব ধীরে যাচ্ছে বলে মনে হতো না?

আর এখন মনে হয়, “আরেহ, বছর শেষ? এইতো সেদিন নতুন বছর আসলো!”
আসলে সময় ধীরে/দ্রুত কোনোভাবেই চলছে না। সবকিছুই আগের মতো আছে কিন্তু আপনি বড় হয়ে গিয়েছেন এবং সময় পার হবার ব্যাপারটায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। ফিলোসফিক্যাল কথাবার্তা বাদ, কাজের কথায় আসি।

একটা ভিডিও দেখতে বা একটা ব্লগ পড়তে আমাদের সেটায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হয় কিন্তু পডকাস্টে? জাস্ট ইয়ারফোন কানে গুঁজেই আপনি অন্য কাজ করতে করতে একটা ভিডিও/ব্লগের অডিও ভার্শন শুনে ফেলতে পারবেন।

টেক দুনিয়া কিছুটা প্রেডিক্টেবল। তাই আমার প্রেডিকশন, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই আমাদের দেশে পডকাস্ট খুবই জনপ্রিয় হবে। একটা অডিয়েন্স বেইজ ক্রিয়েট করে নিবেন প্রথমে। আপনার শো’য়ের মান ভালো হলে তা এমনিতেই ছড়িয়ে যাবে। তারপর সেই পডকাস্ট স্পটিফাই, গুগল পডকাস্ট, ফেইসবুক, ইউটিউবে (পরের পয়েন্টে লিখছি) শেয়ার করে রেভিনিউ জেনারেট করতে পারবেন।

এখনো বুঝেননি কিভাবে আয় হবে? আসেন একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। আনিকা স্কিন কেয়ারের উপর অনেক কিছু জানে এবং সে খুবই প্যাশনেট এসব নিয়ে। সে স্কিনকেয়ারের উপর একটা পডকাস্ট শুরু করে বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিক্স শেয়ার করবে এবং তার ফ্যান ফলোয়ারদের কোয়েশ্চেনের আন্সার দিবে। একটা সময় সে তার পডকাস্টে বিভিন্ন এড দিতে পারে বা চাইলে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রোডাক্ট সেল করতে পারে। আশাকরি বুঝাতে পেরেছি।

আমি পডকাস্ট করিনি কিন্তু ইচ্ছা আছে করবো। আস্তে আস্তে আমার সব কাজ ডিসেন্ট্রালাইজ করে একটা স্টুডিও সেটাপ করবো এবং ইউটিউব বা পডকাস্ট শুরু করবো। ব্যাপারটা পুরোপুরি প্যাশন থেকে। আপনি প্যাশনেট হলে পডকাস্ট শুরু করতেই পারেন।

৮। ইউটিউবিংঃ
বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার চেয়ে ইউটিউবারের সংখ্যা বেশী কিন্তু তাদের কয়জন সফল? হাতে গোনা কয়েকজন। কেন বলুন তো? কারণ তারা টাকা আয়ের চিন্তা থেকেই ইউটিউবে জার্নি শুরু করে এবং অল্প কয়েকদিনেই হতাশ হয়ে যায়। আপনি যেকোনো কিছু জানলেই সেটা ইউটিউবে শেয়ার করতে পারেন। যেমনঃ ট্রাভেল ভ্লগ, রান্না, আর্টস এন্ড ক্রাফটস ব্লা ব্লা ব্লা।

জাস্ট ৩টা জিনিস মাথায় রাখবেন। ইউনিক কন্টেন্ট, কোয়ালিটি আর ধৈর্য। আপনি সফল হবেন গ্যারান্টি দিলাম আমি।

ফাইজাকে চিনেন না? ওই যে “ক্ষুধা লাগসে” ওর শুরুতেই কিন্তু এতো ফ্যান ফলোয়ার ছিলো না। আর এখন? ও চাইলেই শুধু এড রেভিনিউ বাদ দিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সাথে কোল্যাব করে ভালো আয় করতে পারে। একদিন লাইভে নিয়ে আসবো নে ওকে। ওর মুখেই ওর স্ট্রাগলে গল্প শুনবেন।

আমি নিজেও ট্রাভেলিং এ প্যাশনেট। ট্রাভেল ভ্লগ শুরু করবো ইনশাআল্লাহ্‌। আপনি আপনার প্যাশন খুঁজে বের করে শুরু করে দিন না। বসে থাকলে কিছুই হবে না।

৯। ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টঃ
দিনদিন অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা বেড়েই চলছে। কেউ একটা ব্যবসাও করতে পারছে না আবার অনেকে অনেক ব্যবসা একসাথে সামলাতেও পারছে না। এই সমস্যা সমাধাণের পথ হচ্ছে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হায়ার করা। যে আপনার হয়ে, আপনার কাজ করে দিবে। বিনিময়ে আপনি তাকে টাকা দিবেন। অনেক সেলেব্রেটিরাও এখন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হায়ার করে তাদের সোশাল মিডিয়া একাউন্টগুলো হ্যান্ডেল করার জন্য।

এই কাজ আমি করিনি কিন্তু আমার আন্ডারে কয়েকজন কাজ করে। ওরা সবাই আমার পরিচিত। আপনি আশেপাশে খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন আশাকরি। সবচেয়ে সহজ উপায় কারো আন্ডারে কাজ করা বা ইন্টার্নশিপ করা। ইন্টার্নশিপকে অনেকেই খারাপ চোখে দেখে অবশ্য! কেউ আপনাকে কাজ শেখাবে, বিনিময়ে আপনি ফ্রি তে তার কাজ করে দিবেন। আমি এটায় দোষের কিছু দেখি না।

১০। সোশাল মিডিয়া কনসালটেন্টঃ
উপরের পয়েন্টের মতোই কিন্তু এটা জাস্ট সোশাল মিডিয়াকে ফোকাস করে কাজ করবে। এখানে আপনার কিছু প্র্যাক্টিক্যাল নলেজও থাকতে হবে। আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর পুরোপুরি একটা ধারণা রাখতে হবে। বাকিটা কাজ শুরু করলেই বুঝতে পারবেন।

আমার সাজেশন যেকোনো একটা দিকে ফোকাস করুন। ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং, স্পটিফাই মার্কেটিং। হাজার হাজার দরজা খোলা আপনার জন্য। কোন দরজায় কড়া নাড়বেন সেটা আপনি নিজেই ঠিক করুন।

আমি ইন্ডিয়ান দুইজন সেলেব্রেটি এবং বাংলাদেশী একজন ক্রিকেটারের সোশাল মিডিয়া কনসালটেন্ট হিসেবে বেশ অনেকদিন কাজ করেছি। সুতরাং, এতোটুকু আশ্বাস দিতে পারি। কাজ জানলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

শেষকথা, অনলাইন দুনিয়া দিনদিন কম্পিটেটিভ হচ্ছে। শুধু উপরের ১০টা কাজ করেই যে আপনি আয় করতে পারবেন তা না। হাজার হাজার পথ খোলা রয়েছে। এই লেখাটার মূল লক্ষ্য আপনাকে অনলাইন দুনিয়ায় আসার জন্য আগ্রহী করে তোলা। এমন আরো অনেক আইডিয়া এবং কেস স্টাডি পাবেন আগামী বইমেলায় আমার বইয়ে। নাম পরে বলবো!

অনলাইন দুনিয়ায় আসার জন্য আপনাকে কিছুটা আগ্রহী করে তুলতে পেরেছি, তাই না? আসেন এখন একটু ডিমোটিভেট করি। আসলে ব্যাপারগুলো আমি যতো সহজে বললাম, বাস্তব জীবনে তা এতোটা সহজ না। আপনার যদি লাখ লাখ টাকা আয়ের চিন্তা থেকে কাজ করার ইচ্ছা জাগে, তাহলে আপনি এক টাকাও আয় করতে পারবেন না। আবার যদি একসাথে অনেককিছু শুরু করতে চান তাও আপনি বেশীদূর যেতে পারবেন না। আমি নিজে যদি টাকা আসবে এই চিন্তা থেকে এসব করতাম তাহলে আজকের অবস্থানে জীবনেও আসতাম না। আপনার প্যাশন এবং কাজের প্রতি ভালোবাসাই আপনাকে টাকা এনে দিবে। দরকার একটু ধৈর্য।

এবার আমার কিছু ব্যর্থতার কথা বলি।

২০১৩ সালে টাকা’র মোহে পাগল হয়ে আমি আমার প্যাশন হারিয়ে ফেলি। আলটিমেটলি আমার ৫০০ ডলার/মাস এর চাকরি চলে যায়।

তারপর দেখলাম, হ্যাকিং আমাকে পাগলের মতো টানে। টানা ২ বছর সময় দিলাম। নিজেকে সার্টিফাইড ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে গড়ে তুললাম। চাকরিও পেয়ে গেলাম কিন্তু অনেকবার ইথিকস এর বাইরে কাজ করতে হয়েছে, চাকরি ছেড়ে দিলাম। আমার কলিগরাই আমার পেছনে লাগলো। নিজের জমানো সব টাকা হারালাম ওদের জন্য।

নিজেকে সামলে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখলাম। একটু ভুলে ৮ মাস কষ্ট করে বানানো সাইট গুগল প্যানাল্টি দিলো। লাখখানেক টাকা হারালাম।

আবার ইথিক্যাল হ্যাকিং এ মনোযোগ দিলাম। এবারও ইথিকসের বাইরে গেলো কাজ। চাকরি ছেড়ে দিলাম। লাখ টাকার চাকরি, একটুও খারাপ লাগেনি। কারণ নিজেকে জিতিয়েছি, আমার ইথিকসকে সম্মান দিয়েছি। পরিবারের সাথে দূরত্ব বাড়লো, ভালোবাসার মানুষ হারালাম, ইউনিভার্সিটি থেকে ড্রপ আউট হলাম। সর্বোপরি, খেই হারিয়ে ফেললাম এবার। নিজের জমানো সব টাকা একসাথে করে ঘুরতে বের হলাম। ৬৪ জেলা চষে বেড়ালাম, নিজেকে খুঁজলাম। পেয়েও গেলাম। ৬৪ জেলায় ৬৪,০০০ মানুষের গল্প শুনেছি। ফিরে এলাম নিজের মধ্যে।

বুঝলাম এভাবে আর হবে না, আমার একটা দিকে ফোকাস করতে হবে। মার্কেটিং এর ভালোবাসা টের পেলাম, নিজেকে ঢেলে দিলাম মার্কেটিং এর অসম্ভব মজার দুনিয়ায়। ফেরত আসতে পারলাম না আর। এই ভালোবাসাটাকেই এতোদিন খুঁজে ফিরছিলাম। এখন আমি কাজ করি না, আমার পছন্দের কাজ করি। সপ্তাহে ৮০-৮৫ ঘন্টা কাজেও একটুও ক্লান্তি আসে না।

ও হ্যাঁ, মাঝে স্টার্টআপের প্ল্যান করি কিন্তু শুরু শেষ কোনোটাই মন মতো হয় না। বাদ দেই। ভালোবাসার কাছেই ফিরে যাই। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি এখন। আমি জানি আমি কি করছি, আমি জানি আমার পরিকল্পনা কি, আমি জানি কখন আমার থামতে হবে।

এমন হাজারটা ব্যর্থতা আছে আমার জীবনে। আমার সাজেশন, আপনি নিজের প্যাশন খুঁজে বের করুন, টাকার পেছনে দৌড়বেন না। কিছুই পাবেন না।

কমেন্টবক্সে জানিয়ে দিন আপনি কোনটায় আগ্রহী। তারপর সেটা নিয়ে একেবারে এ টু জেড লিখা লিখে ফেলবো। ভালোবাসা সবার জন্য ❤

© Mashfique Miraz

আচ্ছা, আপনার বয়স কত?এই পোস্ট দেখে থাকলে খুব বড় ধরণের সম্ভাবনা আপনার বয়স ৩০ এর নিচে। নিজেকে কি ৩০ বছর বয়সের জন্য তৈরি করছ...
21/08/2021

আচ্ছা, আপনার বয়স কত?

এই পোস্ট দেখে থাকলে খুব বড় ধরণের সম্ভাবনা আপনার বয়স ৩০ এর নিচে। নিজেকে কি ৩০ বছর বয়সের জন্য তৈরি করছেন? নাকি এখনো "আরেহ সময় আছে" ভেবে সময় নষ্ট করছেন? পুরো পোস্টটা আমি একটা ছেলের পারস্পেক্টিভ থেকে লিখছি। মেয়েদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা কাছাকাছি হবে আশাকরি।
ছেলেদের জীবনে ৩টা সময় খুবই ক্রিটিক্যাল। এইচএসসির পর, গ্র্যাজুয়েশনের পর এবং ৩০ বছর বয়সের পর। আমি নিজে প্রথম দুইটা পার করেছি এবং যথেষ্ট ভুল করেছি, শিখেছি। এখনও করছি এবং শিখছি কিন্তু নিজেকে ৩০ এর জন্য প্রস্তুত করছি, যাতে আগেরমতো বাজে অবস্থায় পড়তে না হয়। কি কি করছি সেটাই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

১। Love Yourself: এই ভালোবাসা মানে নার্সিসিজম। সোজা হিসাব একদম। নিজে একদিকে আর দুনিয়া একদিকে। আপনি নিজেকে ভালো না রাখলে আশেপাশের কাউকেই ভালো রাখতে পারবেন না। ৮ ঘন্টা ঘুম, ৩ বেলা ভালো খাবার আর প্রতিদিন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। এই ৩টা করলে আর কিছু লাগবে না আপাততঃ। প্লে-স্টোর থেকে 30 Day Fitness Challenge - Workout at Home এই অ্যাপটা ডাউনলোড করে ফলো করতে থাকুন। ৩ মাস পর আমাকে আপডেট দিয়েন।

"Your relationship with yourself sets the tone for every other relationship you have."

২। Get a 2nd Income Source: আমাদের অনেকের ইনকাম সোর্সই নেই এখনো, সেকেন্ড সোর্স তো দূরের কথা। ভাইরে এই ভুল করবেন না। যেভাবেই হোক প্রথম সোর্স বানান, দ্বিতীয়টা এমনিতেই চলে আসবে। আমি ২০১২ সালে আমার ক্যারিয়ার শুরু করি, ক্লাস টেনে পড়তাম মাত্র :3। কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতাম। এজেন্সী দেয়ার পর এটা এখন আমার সেকেন্ড সোর্স। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে সেকেন্ড সোর্স তৈরি হবে!

“Design your income around your dream lifestyle, rather than your lifestyle around your income.”

৩। Find 3 Real Friends: বন্ধু সম্পর্কটা স্বর্গীয়। এদেরকে ভালোভাবে চিনতে না পারলে আপনি শেষ। ৩ জন মানে ৩ জনই। বেশী হলে ঝামেলা, কম হলেও ঝামেলা। এরা আপনার লাইফে বিশাল ইমপ্যাক্ট ফেলবে। ৩০ এর পর বুঝতে পারবেন এদের মূল্য।

“True friends are those who came into your life, saw the most negative part of you, but are not ready to leave you, no matter how contagious you are to them.”

৪। Live Below Your Means: এটার সাথে ৩০ এর সম্পর্ক? নিজের সামর্থ্যের চেয়ে বেশী কিছু করতে যাবেন না এখন। দামী ফোন, বাইক, পিসি না হলে মরে যাবেন না। খারাপ সময়ে আসলে সামর্থ্যের নিচে বেঁচে থাকার এই প্র্যাক্টিস আপনাকে অন্যদের চেয়ে অনেক বেশী মানসিক শান্তি দিবে।

"The beautiful people in the magazines got the normal ones living beyond their means."

৫। Do What You Love For Work: নিজের যেটা ভালো লাগে সেটাই মন দিয়ে করুন। নিজের ভালোলাগাকে প্রফেশন বানাতে পারলে তো কথাই নেই। বাসার প্রেশারে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন কিন্তু আপনার ভালো লাগে পেইন্টিং? অবসর সময়টা পুরোটা আপনার ভালো লাগার পেছনে ব্যয় করুন। ৩০ এর পর বুঝতে পারবেন কেন করবেন এটা!

"If you do what you love, you’ll never work a day in your life."

৬। Don't Have Kids With The Wrong Person: ভুল মানুষের সাথে জীবন কাটানোর চাইতে একা থাকা ভালো। সারাদিন প্রোফাইল পিকচার দেখে ইনবক্স করে বেরালে বড় ধরণের সম্ভাবনা ভুল মানুষের সাথেই সম্পর্কে জড়ানো। একটা কথা মনে রাখুন,

"ঠিক মানুষটা, ঠিক সময়ে, ঠিক জায়গায়" আপনার কাছে আসবে।

আপনার খুঁজে বের করা লাগবে না। গার্লফ্রেন্ড, বয়ফ্রেন্ড না থাকা দোষের কিছু না বরং নিজেকে প্রস্তুত না করাটা দোষের। যে আপনাকে রাতে ভার্চুয়াল চুমু, হাগ দিয়ে ঘুম পাড়ায় সে কখনোই আপনার ভালো চায় না বরং যে আপনাকে লাইফে কিছু করার সাহস দেয়, স্পেসটা দেয় সেই আপনার ভালো চায়। ফাইন্ড আউট দ্যা ডিফারেন্স, মাই ফ্রেন্ড।

"If you’re searching for that one person that will change your life, take a look in the mirror."

I was too much depressed. Then I met some great people like you. That's when I found a new reason to live. There are more things yet to explore. There is more in life than just be depressed. There are hearts that beat for you when you decide not to care. There are smiles which you cause and you kill. That's when I realize, I have a million reasons to live, laugh, and live compared to one reason to quit 🙂

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mashfique Miraz posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mashfique Miraz:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share