19/03/2023
বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত দোয়ার আদবসমূহ
» দোয়ার শুরু ও শেষে আল্লাহর প্রশংসা (হামদ-সানা) এবং রাসুল (সাঃ)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৪৭৬)
» দোয়ার আগে কোনো নেক আমল (নামাজ, সদকা ইত্যাদি) করে নেওয়া অথবা সালাতুল হাজত পড়ে নেওয়া। নিজ নেক আমলের অছিলা দিয়ে দোয়া করা। (বুখারি, হাঃ ৫৯৭৪)
» শুধু দুনিয়ার জন্য দোয়া না করা। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ২০১)
» কাকুতি-মিনতিসহ গোপনে দোয়া করা। (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৫০)
» অন্তরে ভয় ও আশা নিয়ে দোয়া করা। (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৫৬)
» শুধু মুসিবতের সময়কেই দোয়ার জন্য নির্দিষ্ট না করা। (সূরা ইউনুস, আয়াতঃ ১২, তিরমিজি, হাঃ ৩৩৮২)
» স্বাভাবিক ভাব ও সাধারণ দোয়া করা, অর্থাৎ ভাষায় ইচ্ছাকৃত ছন্দ ও মাধুর্যতা না আনা। (বুখারি, হাঃ ৬৩৩৭)
» দোয়ায় হঠকারিতা না করা, কারণ দোয়া হলো আবেদন, দাবি নয়।
» নিজের অকল্যাণ আর অপরের অমঙ্গলের দোয়া না করা। (বুখারি, হাঃ ৬০১০)
» পাপের শাস্তি দুনিয়াতে না চাওয়া; বরং ক্ষমা চাওয়া। (মুসলিম)
» জান-মাল ও সন্তানসন্ততির জন্য বদদোয়া (অভিশাপ) না করা। (মুসলিম)
» নিজের মৃত্যুর জন্য দোয়া না করা। (বুখারি, হাঃ ৫৬৭২)
» একই দোয়া বারবার (অন্তত তিনবার) করা। ক্রন্দন করা কিংবা ক্রন্দনের অবস্থা আনয়ন করা।
» গুনাহসমূহ থেকে তওবা করে দোয়া করা।
» নিজের দীনতা-হীনতা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করা। দোয়ার মধ্যে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা।
» দোয়ায় সব মুসলমানকে শামিল করা। প্রথমে নিজের জন্য, অতঃপর পিতা-মাতা, অতঃপর স্ত্রী-সন্তান, অতঃপর সব মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়া করা।
» সম্মিলিত দোয়ার ক্ষেত্রে শুধু নিজের জন্য দোয়া না করে সব মুসল্লিকে দোয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা। অর্থাৎ ‘আমি’-এর পরিবর্তে ‘আমরা’ এবং ‘আমার’ এর পরিবর্তে ‘আমাদের’ শব্দ ব্যবহার করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৫৭)
» দোয়াকারী ও দোয়া শ্রবণকারী উভয়ের জন্য ‘আমিন’ বলা।
» দোয়ার মধ্যে মাসনূন দোয়াসমূহের শব্দাবলি অবলম্বন করা।
» নিজের ছোট-বড় সব প্রয়োজন একমাত্র আল্লাহর কাছে চাওয়া।
» আসমাউল হুসনারঅছিলা দিয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। (আরাফ, আয়াতঃ ১৮০)
» ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৪৭৫)
» ‘আমিন’ বলে দোয়া শেষ করা। (আবু দাউদ, হাঃ ৯৩৮)