SAHIH - সহিহ্

  • Home
  • SAHIH - সহিহ্

SAHIH - সহিহ্ I'm Never alone Allah always there with me

30/07/2023

সুবহানাল্লা
26/07/2023

সুবহানাল্লা

26/07/2023
সুবহানাল্লাহ
21/07/2023

সুবহানাল্লাহ

23/03/2023
20/03/2023

প্রয়োজনীয় কয়েকটি দুআ । ইনশাআল্লাহ্ সবাই চেষ্টা করবেন শিখার ।

১. খাওয়ার পূর্বের দুআ :
بِسْمِ اللَّهِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ।
অর্থঃ আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৫৩৭৬)

২. খাওয়ার পরের দুআ :
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اَطْعَمَنَا، وَسَقَانَا، وَجَعَلَنَا مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আতআমানা ওয়াসাকানা ওয়াজাআ'লানা মিনাল মুসলিমীন।
অর্থঃ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মসুলমান বানিয়েছেন। (আবু দাউদ, হাঃ ৩৮৫০)

৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুআ :
اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ اَمُوتُ وَاَحْيَا
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনারই নামে মরে যাই আবার আপনারই নামে জীবন লাভ করি। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৬৩১২)

৪. ঘুম থেকে জাগ্রত হবার পর দুআ :
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي اَحْيَانَا بَعْدَ مَا اَمَاتَنَا وَاِلَيْهِ النُّشُورُ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।

অর্থঃ সব প্রশংসা ওই আল্লাহর জন্য, যিনি মৃত্যুর পর আমাদের জীবন দান করেছেন এবং তার দিকেই আমাদের পুনরুত্থান। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৬৩১২)

৫. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দুআ :
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللَّهِ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আ’লাল্লাহি, লা-হাওলা ওয়া লা- কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি।
অর্থঃ আমি আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা করছি। আল্লাহ ব্যতিত কোনো অভিভাবক ও শক্তি নেই। (তিরমিজি, হাঃ ৩৪২৬)

৬. বাড়িতে প্রবেশর সময় দুআ :

اَللَّهُمَّ اِنِّي اَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ، وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ، بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا،

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলাজি ওয়া খাইরাল মাখরাজি বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়া আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।
অর্থঃ হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আগমন ও নির্গমনের অনিষ্ট হতে মঙ্গল চাই। তোমার নামেই আমরা প্রবেশ করি এবং বের হই। (আবু দাউদ, হাঃ ৫০৯৬)

৭. মসজিদে প্রবেশের দুআ :
اَللَّهُمَّ افْتَحْ لِي اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

নিয়মঃ মসজিদে প্রবেশ করার সময় প্রথমে ডান পা দিয়ে এ দোয়া পাঠ করতে হয়।
উচ্চারণঃ আল্লাহুমাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্য রহমতের দরজা খুলে দিন। (আবু দাউদ, হাঃ ৪৬৫)

৮. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দুআ :
اَللَّهُمَّ اِنِّي اَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

নিয়মঃ মসজিদ হতে বের হবার সময় প্রথমে বাম পা দিয়ে এ দোয়া পাঠ করতে হয়।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাদলিকা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অনুগ্রহ চাই। (আবু দাউদ, হাঃ ৪৬৫)

৯. টয়লেটে প্রবেশের দুআ :
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবাইছ।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ জ্বিন ও দুষ্ট নারী জ্বিনের অনিষ্ট থেকে। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৬৩২২)

১০. টয়লেট থেকে বের হওয়ার দুআ :
ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ اَللَّهُمَّ

উচ্চারণঃ গুফরানাকা আল্লাহুম্মা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি ক্ষমা চাচ্ছি। (আবু দাউদ, হাঃ ৩০)

১১. রাগ দমনের দুআ :
اَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণঃ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজিম।
অর্থঃ আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (সহীহ বুখারি, হাঃ ৬১১৫)

১২. ভালো কিছু দেখলে যা বলতে হয় :
উচ্চারণঃ মাশাআল্লাহ।
অর্থঃ আল্লাহ যা চান। (সূরা কাহাফ, আয়াতঃ ৩৯)

১৩. অপছন্দ কিছু দেখে যা বলতে হয় :

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহি আলা কুল্লি হাল।
অর্থঃ সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ৩৮০৩)

১৪. পছন্দনীয় কিছু দেখে যা বলতে হয় :

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী বিনিয়‘মাতিহি তাতিম্মুস সালিহাত।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যাঁর করুণায় নেক কাজসমূহ পূর্ণতা লাভ করে। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ৩৮০৩)

১৫. উপকারীর জন্য দুআ :

جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرً
উচ্চারণঃ জাযাকাল্লাহু খাইরান।
অর্থঃ আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। (তিরমিজি, হাঃ ২০৩৫)

১৬. ভবিষ্যতে কোনো কিছু করার আশা ব্যক্ত করার দুআ :
উচ্চারণঃ ইন-শা-আল্লাহ।
অর্থঃ যদি আল্লাহ চান। (সূরা কাহাফ, আয়াতঃ ২৩-২৪)

19/03/2023

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলতেন, আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৮৯৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

19/03/2023

|| যে কাজে রোযা ভঙ্গ করা যায়, যে কাজে রোযা ভঙ্গ হয় না ||

|| যে সব অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করা যায় ||

১। অসুস্থ অবস্থায় রোযা রাখলে যদি রোগ বৃদ্ধির আশংকা থাকে, তবে রোযা থাকলেও
এমতাবস্থায় রোযা ভাঙ্গা জায়েয।
২। রোযাদার মহিলার যদি রোযা রাখার ফলে দুধ কমে যাওয়ার আশংকা থাকে এবং
শিশুর কষ্ট হয়, তখন উক্ত মহিলা রোযা ভঙ্গ করতে পারবে।
৩। বয়স বেশি হওয়ার কারণে অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়লে।
৪। রোযা রাখলে গর্ভের সন্তানের যদি ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।
৫। ক্ষুধা তৃষ্ণায় মৃত্যুর আশংকা থাকলে।
৬। মুসাফির অবস্থায় থাকলে।
৭। সাপে দংশন করলে।
৮। মহিলাদের হায়েয-নেছাফ হলে রোযা ভঙ্গ করবে।

|| যে সব কাজে রোযা ভঙ্গ হয় না ||

১. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।
৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
৪. বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।
৫. চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
৬. ইনজেকশন নেয়া।
৭. ভুলক্রমে পানাহার করা।
৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া।
৯. নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
১০. শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।
১১. ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা।
১২. মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে
শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো ।
১৩. ঘুমের মাঝে স্ব*দোষ হলে।
১৪. স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে কোনো কসরত ছাড়া বী*র্পাত হলে।
১৫. স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বী*পাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার
উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।
১৬. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়),
পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।

19/03/2023

সাহরীর ও ইফতারের বিবরণ )

সাহরীর বিবরণ

রােযার নিয়তে শেষ রাতে কিছু খাওয়াকে সেহরী বলে। সেহরী খাওয়া সুন্নাত। সেহরীর
সময় একটি খােরমা বা সামান্য পানি পান করলেও সেহরীর সুন্নাত আদায় হয়ে
যাবে।
কোন কারণে যদি রাতে ঘুম থেকেক উঠতে না পারে, তাহলে সেহরী না খেয়ে রােযা
রাখলেও রােযা হয়ে যাবে। সেহরী না খাওয়ার কারণে রােযা না রাখলে গােনাহ হবে।
সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত সেহরী খাওয়া জায়েয। সুবহে সাদেক হয়ে গেলে, আর
কিছুই খাওয়া জায়েয না। খেলে রােযা নষ্ট হয়ে যাবে।

ইফতারের বিবরণ

পরিচয়ঃ সারা দিন রােযা রাখার পর সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে যে আহার বা পানাহার
করে রােযা ভঙ্গ করা হয় তাকে ইফতার বলে।

সময়ঃ সুর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে ইফতারের সময়। তবে বেশি সময় থাকে না।
তাই যথাসন্ভব সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে।

ফযীলত: মহান আল্লাহ তাআলা রােযার মধ্যে যেমন ফযীলত দান করেছেন, রােযার
ইফতারের মধ্যেও তেমন ফযীলত দান করেছেন।

রােযাদারগণ ইফতার সামগ্রীসমূহ সম্মুখে নিয়ে যখন ইফতার করার জন্য অপেক্ষা
করতে থাকে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে একটি দানাও তুলে মুখে দেন না, তখন মহান আল্লাহ
বান্দার এ মহান আল্লাহ ভীরুতা দেখে অত্যন্ত সন্তষ্ট হন। রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
তােমরা যখন ইফতার কর, তখন খুরমা দ্বারা ইফতার কর। কারণ এর মধ্যে বরকত
আছে। খুরমা না থাকলে যে কোন ফল অথবা পানি কিংবা দুধ দ্বারা ইফতার করা
যায়।
অপরকে ইফতার করানার ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযান
মাসে কোন রােযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায়, সেটা তার গুনাহ মােচন এবং দোযখের
আগুন থেকে মুক্তির কারণ হবে।
অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি রােযাদারকে কিছু খেজুর বা সামান্য পানির
শরবত কিংবা এক ঢোক দুধ দ্বারা ইফতার করায়, তা তার জন্য ক্ষমার কারণ হয়।
এ রমযান মাসের প্রথম ভাগে মহান আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহ মােচন এবং
শেষভাগে জাহান্নাম হতে মুক্তির কারণ হয়।

19/03/2023

বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত দোয়ার আদবসমূহ

» দোয়ার শুরু ও শেষে আল্লাহর প্রশংসা (হামদ-সানা) এবং রাসুল (সাঃ)-এর প্রতি দরুদ শরিফ পাঠ করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৪৭৬)

» দোয়ার আগে কোনো নেক আমল (নামাজ, সদকা ইত্যাদি) করে নেওয়া অথবা সালাতুল হাজত পড়ে নেওয়া। নিজ নেক আমলের অছিলা দিয়ে দোয়া করা। (বুখারি, হাঃ ৫৯৭৪)

» শুধু দুনিয়ার জন্য দোয়া না করা। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ২০১)

» কাকুতি-মিনতিসহ গোপনে দোয়া করা। (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৫০)

» অন্তরে ভয় ও আশা নিয়ে দোয়া করা। (সূরা আরাফ, আয়াতঃ ৫৬)

» শুধু মুসিবতের সময়কেই দোয়ার জন্য নির্দিষ্ট না করা। (সূরা ইউনুস, আয়াতঃ ১২, তিরমিজি, হাঃ ৩৩৮২)

» স্বাভাবিক ভাব ও সাধারণ দোয়া করা, অর্থাৎ ভাষায় ইচ্ছাকৃত ছন্দ ও মাধুর্যতা না আনা। (বুখারি, হাঃ ৬৩৩৭)

» দোয়ায় হঠকারিতা না করা, কারণ দোয়া হলো আবেদন, দাবি নয়।

» নিজের অকল্যাণ আর অপরের অমঙ্গলের দোয়া না করা। (বুখারি, হাঃ ৬০১০)

» পাপের শাস্তি দুনিয়াতে না চাওয়া; বরং ক্ষমা চাওয়া। (মুসলিম)

» জান-মাল ও সন্তানসন্ততির জন্য বদদোয়া (অভিশাপ) না করা। (মুসলিম)

» নিজের মৃত্যুর জন্য দোয়া না করা। (বুখারি, হাঃ ৫৬৭২)

» একই দোয়া বারবার (অন্তত তিনবার) করা। ক্রন্দন করা কিংবা ক্রন্দনের অবস্থা আনয়ন করা।

» গুনাহসমূহ থেকে তওবা করে দোয়া করা।

» নিজের দীনতা-হীনতা ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করা। দোয়ার মধ্যে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করা।

» দোয়ায় সব মুসলমানকে শামিল করা। প্রথমে নিজের জন্য, অতঃপর পিতা-মাতা, অতঃপর স্ত্রী-সন্তান, অতঃপর সব মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়া করা।

» সম্মিলিত দোয়ার ক্ষেত্রে শুধু নিজের জন্য দোয়া না করে সব মুসল্লিকে দোয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা। অর্থাৎ ‘আমি’-এর পরিবর্তে ‘আমরা’ এবং ‘আমার’ এর পরিবর্তে ‘আমাদের’ শব্দ ব্যবহার করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৫৭)

» দোয়াকারী ও দোয়া শ্রবণকারী উভয়ের জন্য ‘আমিন’ বলা।

» দোয়ার মধ্যে মাসনূন দোয়াসমূহের শব্দাবলি অবলম্বন করা।

» নিজের ছোট-বড় সব প্রয়োজন একমাত্র আল্লাহর কাছে চাওয়া।

» আসমাউল হুসনারঅছিলা দিয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব। (আরাফ, আয়াতঃ ১৮০)

» ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করা। (তিরমিজি, হাঃ ৩৪৭৫)

» ‘আমিন’ বলে দোয়া শেষ করা। (আবু দাউদ, হাঃ ৯৩৮)

19/03/2023

যাদের দোয়া কবুল হয়

দোয়া বা প্রার্থনা দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যম। তবে দোয়া হতে হবে সঠিক পন্থায়। চাইতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট। তাই মানুষের সমস্যা সমাধানে বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমাকে ডাকো; আমি তোমাদের উত্তর দেব (তোমাদের প্রার্থনা কবুল করবো)। এই আয়াতের আলোকে মানুষের সব ধরনের প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করা একান্ত কর্তব্য। কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা দোয়া করলে, সে দোয়া বিদ্যুৎ বেগে আল্লাহর দরবারে পৌছে যায়। আর আল্লাহ তাআলাও সে দোয়া কবুল করেন। যা তুলে ধরা হলো-

» পিতা-মাতার দোয়া সন্তানের জন্য।
» সন্তানের দোয়া পিতা-মাতার জন্য।
» মুসাফিরের দোয়া।
» বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া।
» মজলুম (অত্যাচারিত-নির্যাতিত-নিপীড়িত) ব্যক্তির দোয়া। (আবু দাউদ, হাঃ ১৫৩৬)
» হাজির দোয়া (হজের সময় ও হজ সম্পাদনের পর ৪০ দিন পর্যন্ত)
» মুজাহিদের দোয়া।
» অসুস্থ ব্যক্তির দোয়া।
» মুসলমান ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে অন্য মুসলমানের দোয়া। (মুসলিম, হাঃ ৬৮২২)
» রোজাদারের দোয়া ইফতারের সময়। (তিরমিজি, হাঃ ২৫২৬)
» অসহায় ও দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া। (সূরা নামল, আয়াতঃ ৬২)
» ইমামে আদিলের (সুশাসক ও ন্যায়বিচারক) দোয়া। (তিরমিজি, হাঃ ২৫২৬)
» বন্ধুর জন্য বন্ধুর দোয়া।
» নেককার ব্যক্তির দোয়া।

সর্বোপরি বান্দার সকল দোয়াই আল্লাহ কবুল করবেন, যদি বান্দা শিরকমুক্ত থেকে একনিষ্ঠ মনে কায়মনোবাক্যে কাকুতি মিনতির সহিত আল্লাহর দরবারে দোয়া করে

19/03/2023

কি কি দোয়া করবেন ||

» নিজের গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করবেন।
» গুনাহ থেকে বেছে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» সুন্নাহ মেনে চলা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» আল্লাহর হুকুম মেনে চলা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» নিজের হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের উপর টিকে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» মােনাফেকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» নিজের পরিবারবর্গের জন্য দোয়া করবেন।
» পিতামাতার জন্য দোয়া করবেন।
» সন্তান সন্ততির জন্য দোয়া করবেন।
» সন্তান সন্ততি স্বামী-স্ত্রী নিজের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» বদ নজর থেকে বাচার জন্য দোয়া করবেন।
» বিপদ, বলা মছিবত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» বিদাত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» শিরক থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» লােক দেখানাে ইবাদত থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» ঈমান বৃদ্ধির জন্য দোয়া করবেন।
» ঈমানী শক্তি বৃদ্ধির জন্য দোয়া করবেন।
» সকল অবস্থায় খাটি ঈমানদার হয়ে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» ঈমানী মৃত্যুর জন্য দোয়া করবেন।
» বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» জান্নাতুল ফিরদাউস এর জন্য দোয়া করবেন।
» জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» কবরের আজাব থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের সম্প্রসারণে নিজের সামিল হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের জন্য বুককে সম্প্রসারণ করার জন্য দোয়া করবেন।
» আপনার প্রয়ােজন পুরনের জন্য দোয়া করবেন।
» রােগমুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» হালাল রিজিক সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» হারাম কাজ থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» সহজে ঋণ পরিশােধ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» কাফেরদের উৎপীড়ন থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া করবেন।
» নিজেকে অন্যের উপর বােঝা স্বরূপ না হওয়ার দোয়া করবেন।
» অন্যের কাছে অপদস্ত না হওয়ার দোয়া করবেন।
» ঈমানী মৃতযুর জন্য দোয়া করবেন।
» বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» জান্নাতুল ফিরদাউস এর জন্য দোয়া করবেন।
» জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» কবরের আজাব থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» সকাল বিকাল জিকির করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» প্রতিদিন কোরান তিলওয়াত করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» নবীজীর শাফায়াত নসীব হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» দজ্জালের ফিতনা থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» সকল রকম ফিতনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
» মনে যাতে মুমিনদের প্রতি হিংসা উৎপাদন না হয় সে জন্য দোয়া করবেন।
» সন্তান সন্ততি স্বামী-স্ত্রী নিজের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করবেন।
» ছেলে মেয়েদের ইসলামী শিক্ষা দেওয়া সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
» ছেলে মেয়েরা যাতে ইসলামের উপর থাকে সেজন্য দোয়া করবেন।
» আত্মীয়-স্বজনদের জন্য দোয়া করবেন।
» যারা আপনার কাছে দোয়া চেয়েছে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
» যে সমস্ত আত্মীয় স্বজন মারা গেছে তাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের পথে থাকা সহজ জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের সঠিক পথে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
» ইসলামের সম্প্রসারণের জন্য দোয়া করবেন।

08/03/2023

আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তারা (সহাবাগণ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহবা ও হাত হতে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে। (সহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ ২, হাদিস নম্বরঃ ১১)

07/03/2023

কবর যিয়ারতের নিয়ম ও দোয়া

বুরাইদাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারাত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা তা যিয়ারাত করতে পারো। কেননা কবর যিয়ারাতের মধ্যে (শিক্ষা গ্রহণের) সুযোগ আছে। (আবু দাউদ, হাঃ ৩২৩৫)

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করে এত কাঁদলেন যে, তাঁর কান্না দেখে আশপাশের সবাই কাঁদল। তারপর রাসূল (সাঃ) বললেন, আমি আমার প্রভুর কাছে অনুমতি চেয়েছি আমার মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হয়নি। অতঃপর অনুমতি চাই মায়ের কবর জিয়ারত করার জন্য। এবার আমাকে অনুমতি দেয়া হলো। অতএব, তোমরা কবর জিয়ারত কর। কেননা এটা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (আবু দাউদ, হাঃ ৩২৩৪)

আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদিন নবীজী (সাঃ) আমার কাছে রাতযাপন করেন সে দিন তিনি শেষ রাতে জান্নাতুল বাকি নামক কবরস্থানের উদ্দেশে বেরিয়ে যান। (মুসলিম)

কবর জিয়ারত আমাদের প্রিয় নবীর (সাঃ) একটি গুরত্বপূর্ণ সুন্নত। দুনিয়ার মোহ ও প্রাচুর্যের চাকচিক্যে ভুলে থাকা মানুষদের মাঝে-মধ্যেই কবরস্থানে গমন করা উচিত। কেননা এটা নিজেদের সংযত করতে, আল্লাহ ও পরকালের কথা স্মরণ করাতে খুবই সহায়ক।

জিয়ারতের উদ্দেশ্যঃ ইমাম ইবনুল কায়িম (রহঃ) বলেছেন, রাসূল (সাঃ) যখন কবর জিয়ারত করতেন, কবরের অধিবাসীদের জন্য দোয়া করা এবং তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্যেই জিয়ারত করতেন। (ফিকহুস সুন্নাহ)

জিয়ারতের নিয়মঃ বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূল (সাঃ) প্রায় সময়ই শেষ রাতে কবর জিয়ারত করতেন। তাই সম্ভব হলে শেষ রাতে কবর জিয়ারত করা উত্তম। কেননা মন তখন অধিক নরম থাকে। তাছাড়া অন্য সময়ও কবর জিয়ারত করা রাসূল (সাঃ) থেকে প্রমাণিত। অধিকাংশ আলেমের মতে, জুতা-স্যান্ডেল পায়ে রেখে কবরের কাছে যাওয়া যায়। তবে ইমাম আহমদের মতে, প্রয়োজন না হলে জুতাসহ যাওয়া মাকরুহ। (ফিকহুস সুন্নাহ)

জিয়ারতকারী কবরবাসীকে সম্বোধন করে সালাম দেবে (আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলালকুবূর) এবং তাদের জন্য মহান প্রভুর কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করবে। এ ক্ষেত্রে হাত তুলে ও না তুলে উভয় অবস্থায় দোয়া করা যাবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বাকি কবরস্থানে পৌঁছে হাত উঠিয়ে দোয়া করেছিলেন। (মুসলিম)

আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলকে (সাঃ) জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। কবরবাসীকে কী বলব? তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা তুমি বলবে, মোমিন ও মুসলমানদের বাসভূমির অধিবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্যে থেকে যারা আগে চলে গেছে এবং যারা পেছনে রয়েছে আল্লাহ তাদের সবার ওপর করুণা বর্ষণ করুন। ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব। (মুসলিম)

এই দোয়াগুলোর সমর্থনে কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করা যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর যারা তাদের পরে এসেছে এবং বলেছে, হে আমাদের রব! আমাদের ক্ষমা কর এবং আমাদের যেসব ভাই ঈমান সহকারে অতিবাহিত হয়েছে, তাদেরও ক্ষমা কর। আর মোমিনদের জন্য আমাদের মনে কোনো বিদ্বেষ সৃষ্টি করো না। হে আমাদের রব! তুমি তো ক্ষমাশীল, মমতাময়। (সূরা হাশর, আয়াতঃ ১০)

জিয়ারতের দোয়াঃ আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলালকুবূর।

অর্থঃ হে কবর বাসীগণ। তোমাদের উপর শান্তিবর্ষিত হোক।

এর পর কবর জিয়ারতের নিয়তে দাঁড়িয়ে সর্ব প্রথম এ দোয়া পড়বে।

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ اَهْلَ الدِّيَارِ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَاِنَّا اِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلَاحِقُوْنَ نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ

উচ্চারণঃ আস-সালামু আলায়কুম আহলাদ দিয়ারি মিনাল মু'মিনিনা ওয়াল মুসলিমিনা ওয়া ইন্না ইন শাআল্লাহু বিকুম লালাহিকুনা নাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আফিয়াহ।

অর্থঃ হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলমান! তোমাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক, আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব আল্লাহ যদি চান। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। (সহীহ মুসলিম, হাঃ ২১৪৭)

এরপর দরূদ শরীফ, সূরায়ে ফাতেহা, আয়াতুল কুরসি, ইখলাছ, নাছ, ফালাক, কাফিরুন, ইয়াসিন ও সূরায়ে মূলক ইত্যাদি সূরা এবং কোরআনের অন্যান্য আয়াত যতটুকু সম্ভব হয় তিলাওয়াত করে তার ছওয়াব তাদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দান করে দিবে। এছাড়াও নফল নামাজ, রোযা, ক্ষুধাতর্কে অন্ন দান, মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করার মাধ্যমেও তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।

মহিলাদের যিয়ারত সম্পকীয়ি নিয়ম °

মহিলাদের কবর যিয়ারতের জন্য কবরস্থানে না যাওয়া উত্তম। তবে যদি একান্তই যাবার ইচ্ছা করে, তাহলে তারা শুধুমাত্র মাতা পিতা, সহোদর ভাইবােন, ছেলে মেয়ে ও স্বামী এক কথায় মোহরেম ব্যক্তিদের কবর ছাড়া গায়রে মোহরেমদের কবরে যাওয়া উচিত নয়।

07/03/2023

|| গোসলের বর্ণনা, ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাব গোসল ||

গোসলের বর্ণনা

গোসল আরবী শব্দ। এর অর্থ ধৌত করা। এ হিসেবে কোন অঙ্গ বা সম্পূর্ণ অঙ্গটি ধোয়া বা সম্পূর্ণ শরীরটি ধোয়া ঐ একই কথা। সব ধরনটিকেই গোসল বলা হয়। কিন্তু প্রচলিত ভাষায় আমরা যাকে গোসল বলি তা হলো, দৈনন্দিন গোসল ফরয হওয়ার জন্য হোক কিংবা ময়লা পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যেই হোক সম্পূর্ণ শরীর ধৌত করার নামই গোসল।

ফরয গোসল
মূলতঃ চারটি কারণে গোসল ফরয হয়ে থাকে-

১। জাগ্রত অবস্থায় হোক কিংবা নিদ্রিত অবস্থায় হোক, নারী অথবা পুরুষ যার হোক না কেন, আকস্মিক উত্তেজনার কারণে কিংবা বিপুল আসক্তি হেতু স্ববেগে বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হয়।

২। স্বামী-স্ত্রী সহবাসকালে পুরুষের লিঙ্গের অগ্রভাগের মসৃন গোশত পিণ্ড যাকে 'হাশফা' বলে তা স্ত্রীলিঙ্গের ভিতর প্রবেশ করা মাত্রই স্বামী-স্ত্রী উভয়ের শরীর নাপাক হয়ে যায়, তখন গোসল করা ফরয।

৩। নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে কাপড়, বিছানার চাদর বা শরীরে বীর্য দেখা গেলেও গোসল ফরয হয়ে থাকে। এটা স্বপ্নদোষ অথবা অন্য কোন কারণ ছাড়াও হতে পারে।

৪। মহিলাদের হায়েয অথবা নিফাসের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পাক-পবিত্র হওয়া ফরয, এ গোসলও ফরয গোসলের অন্তভুক্ত।

ওয়াজিব গোসল
সাধারণতঃ ওয়াজিব গোসল দু'প্ৰকার। মাত্র দুটো কারণেই গোসল ওয়াজিব হয়ে থাকে-

১। মৃত লোকদের গোসল দেয়া জীবিত লোকদের উপর ওয়াজিব।
২। কোন কাফির নাপাক হালতে মুসলমান হলে মুসলমান হওয়ার পূর্বে তার গোসল করা ওয়াজিব। ভুলবশতঃ গোসল না করে থাকলে পরে গোসল করবে, মূলতঃ প্রথমে গোসল করা ওয়াজিব ছিল।
সুন্নাত গোসল
প্রকৃতপক্ষে চারটি কারণে গোসল করা সুন্নাত। যেমন-

১। জুমআর নামাযের পূর্বে, যে গোসল দ্বারা জুমআর নামায আদায় করা হয়।
২। দু’ঈদের দিনে।
৩। যেদিন হাজীগণ হজ্জকার্য সমাপ্ত করে বা আরাফার দিনে।
৪। হজ্জ করবে এ নিয়তে ইহরাম বাঁধবার সময় গোসল করার সুন্নত।
মুস্তাহাব গোসল
তিনটি বিশেষ কারণে গোসল করা মুস্তাহাব হয়। যেমন-

১। কাফির ব্যক্তির শরীর পাক থাকা অবস্থায় গোসল করা।
২। নাবালেগ যখনই বালেগ হয়েছে, তা অনুমান করতে পারলে, তখন সাথে সাথে গোসল করা।
৩। শবে বরাত ও শবে কদর ইত্যাদি নফল ইবাদাত করার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব।

07/03/2023

শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য:

ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, শয়তানের কুমন্ত্রণায় বা নফসের তাড়নায় মানুষ বিপথগামী হয় বা পাপাচারে লিপ্ত হয়। মানুষের পাপের শাপমোচনের জন্য আল্লাহ তাআলা তওবা ও ইস্তিগফারের ব্যবস্থা রেখেছেন। বিশেষ কিছু দিবস ও রজনী দিয়েছেন, এর মধ্যে অন্যতম ও বিখ্যাত হলো শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত ‘শবে বরাত’। শবে বরাত কথাটি ফারসি। শব অর্থ রাত, বরাত অর্থ মুক্তি; শবে বরাত মানে মুক্তির রজনী। আরবি হলো ‘লাইলাতুল বরাত’। হাদিস শরিফে একে ‘নিসফ শাবান’ বা শাবান মাসের মধ্যরাত বলা হয়েছে।

গুরুত্ব:

শবে বরাতের সীমাহীন গুরুত্বের বিষয়টি এর নামকরণ থেকে বোঝা যায়। শবে বরাতের অর্থ মুক্তির রাত। কারণ এই রাতের ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একান্ত নৈকট্য অর্জন করতে পারে এবং জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। হজরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন মধ্য শাবানের রাতটি (শবে বরাত) আসে, তোমরা রাত জেগে নামাজ (নফল) আদায় করো এবং দিনে রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের সাথে সাথে মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন। আর আহ্বান করতে থকেন, আছ কি কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। আছ কি কেউ রিজিক প্রার্থনাকারী? আমি তাকে রিজিক দান করব। আছ কি কেউ আরোগ্য কামনাকারী? আমি তাকে রোগ থেকে আরোগ্য দান করব। এভাবে মহান আল্লাহ সূর্যোদয় পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ১৩৮৮)
সুতরাং যে রাতে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য আহ্বান করতে থাকেন এবং অপেক্ষা করতে থাকেন, সে রাতটি যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তাৎপর্য:

শবে বরাতের রাতটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফজিলতপূর্ণ এই রাতে মহান আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন ঠিকই কিন্তু নিঃশর্ত ভাবে নয়। মহান আল্লাহর ক্ষমা পেতে তাকে পাশবিক গুণ বর্জন ও ঈমানের দাবি পূরণ করতে হবে। হজরত কাসির ইবনে মুরাহ আল-হাজরামি মাকহুল থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা শাবান মাসের মধ্য রজনীতে (শবে বরাতে) প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং মুশরিক আর হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ১৩৯০)
হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাঃ) নবী করিম (সাঃ) থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নিসফে শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহতায়ালা সমগ্র সৃষ্টির প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক আর হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাঃ ৫৬৬৫, মুসনাদে শামিয়্যিন, হাঃ ২০৫)
শবে বরাতের ফযিলত

» হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা শাবানের মধ্যবর্তী রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫)
হজরত আওফ ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে ইবনে খুজাইমা হজরত আবু বকর (রাঃ) থেকে এবং আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে এ রকম বর্ণনা করেছেন। (ইবনে মাজাহ, হাঃ ১৩৯০)

» হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ তাআলা এ রাতে বিদ্বেষ পোষণকারী ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যাকারী ছাড়া বাকি সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। (মুসনাদে আহমদ, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ১৭৬)

» হজরত উসমান ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এ রাতে আল্লাহ তাআলা মুশরিক ও ব্যভিচারিণী ছাড়া সবার ইচ্ছা পূরণ করে থাকেন। (শুআবুল ইমান, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩৮৩)

» হজরত আবু সালাবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যখন শাবানের মধ্যরাত আসে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মাখলুকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদিগকে ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং হিংসুকদের হিংসা পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না। (কিতাবুস সুন্নাহ, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩৮২)

» হাদিস শরিফে হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে: নবীজি (সাঃ) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। তিনি আরও বলেন, নবীজি (সাঃ) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনী কালবের ভেড়া বকরির পশমের পরিমাণের চেয়েও বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি, হাঃ ৭৩৯)
শবে বরাতের নামায:
শা'বান মাসে চাঁদের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রে এ নামায পড়তে হয়। দুই বা চার রাকাআত করে এ নামায পড়া হয়। সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা পড়ে এ নামায পড়া যায় এবং যত রাকআত ইচ্ছা পড়া যায়। এ নামাযের ফযীলত অত্যন্ত বেশি।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الَّيْلَةِ الْبَرَاعَةِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ-

উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতাই ছালাতিল লাইলাতুল বারাআতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়তঃ লাইলাতুল বারাআত দুই রাকাআত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।

শবে বরাতে করণীয় :

শবে বরাত উপলক্ষে রোজা রাখা, নামাজ পড়া, নামাজে কিরাত ও রুকু–সিজদা দীর্ঘ করা; কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা; দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; ইস্তিগফার বেশি পরিমাণে করা; দোয়া কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আজকার ইত্যাদি করা; কবর জিয়ারত করা; নিজের জন্য, পিতামাতার জন্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সব মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা।

07/03/2023

শবে-বরাতের নামাজের নিয়্যাত

উচ্চারণঃ নাওয়াইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকায়াতাই ছালাতিল লাইলাতুল বারাআতি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়্তঃ লাইলাতুল বারাআত দুই রাকাআত নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবার।

বিঃদ্রঃ মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়, বরং মুস্তাহাব। তাই যে কোন ভাষায় মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট। (বুখারী, হাঃ ১, রদ্দুল মুহতারঃ ২/৩৭৭)

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SAHIH - সহিহ্ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share