Kazi Block

Kazi Block Book Your Life

মনে পড়ে নেপালে ইউএস বাংলা বিমানের সেই দুর্বিষহ দুর্ঘটনার কথা?ইনি ইয়াকুব আলি। বেঁচে যে ক'জন ছিলেন, তার মধ্যে তিনি একজন। ব...
04/01/2025

মনে পড়ে নেপালে ইউএস বাংলা বিমানের সেই দুর্বিষহ দুর্ঘটনার কথা?

ইনি ইয়াকুব আলি। বেঁচে যে ক'জন ছিলেন, তার মধ্যে তিনি একজন।

বাড়ি মুন্সিগঞ্জ। বাসা শেখের টেক ঢাকা।

চিকিৎসাধীন ছিলেন।

টানা ৯ মাস কাউকেই চিনতে পারেননি। পরে স্বাভাবিক হয়েছেন কিছুটা। ব্যবসায় মন দিতে পেরেছেন, তবে শারীরিক সুস্থতা আসেনি, আসবে না তার ভাষায় দ্বিতীয় মৃত্যু পর্যন্ত।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারে এই আলাপচারিতা

বললেন, ঘটনার আগে আর পরে তার কিছু মনে নেই, মনেও পড়ে না।

বললেন, তিনি এখন ভবিষ্যৎ দেখেন আর মুখে রাখেন হাসি। কারণ, এটি তার বোনাস জীবন।

24/11/2024

ফুল ফুটেছে গন্ধে সারা মন...

19/11/2024

মুক্তির...

Surrealism...
07/11/2024

Surrealism...

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট...কুবি...
04/11/2024

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট...

কুবি...

The sun is an artist, darkness is its canvas... MCJ, CoU
04/11/2024

The sun is an artist, darkness is its canvas...

MCJ, CoU

শুভেচ্ছা নেবেন।অনেক দিন পর ফিরে এলাম কাজী ব্লকে। বিভিন্ন ব্যস্ততায় সময় দেওয়া হয়ে উঠেনি৷ নতুন কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হবো এখন...
14/09/2024

শুভেচ্ছা নেবেন।

অনেক দিন পর ফিরে এলাম কাজী ব্লকে।

বিভিন্ন ব্যস্ততায় সময় দেওয়া হয়ে উঠেনি৷

নতুন কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হবো এখন থেকে।

পাশে থাকুন।

যে সকল সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পূর্ণেন্দু বিখ্যাত হয়ে আছেন সাহিত্যে, 'কথোপকথন' কবিতামালা তার অন্যতম। সকল খণ্ড তথা পাঁচের সমাহা...
14/07/2024

যে সকল সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পূর্ণেন্দু বিখ্যাত হয়ে আছেন সাহিত্যে, 'কথোপকথন' কবিতামালা তার অন্যতম। সকল খণ্ড তথা পাঁচের সমাহার বইটি।

তিনি কবি। বিরহ, প্রেম, ক্ষোভ-বিক্ষোভের কবি। সাধারণের মধ্যে অসাধারণত্বের কবি। তবে 'কবি'র বাইরে তিনি একজন চলচ্চিত্রকার, প্রচ্ছদশিল্পী। শেষজীবনে বঙ্কিম নিয়ে করেছেন গবেষণা। তাই গবেষকও।

পূর্ণেন্দুর 'কথোপকথন' যেন আমার আর আপনার কথা। প্রেমে পড়ার কথা, প্রেমের কথা, বিচ্ছিন্নতার শহরে ছিন্নভিন্ন হওয়া মানবমনের প্রেমে পরামাশ্রয়ের কথা।

'কবিতা' পড়লে মনে হয়, আরেহ এই তো আমিও বলতে পারতাম।

'...জ্বর হয়েছিল? বাড়িতে তো ছিল টেলিফোন।
জানালে পারতে। থার্মোমিটার সাজতাম।..'

কী চমৎকার এক্সপ্রেশন অনুভূতির। শব্দ কবিতাকে নয়, বরং শব্দকে করায়ত্ব করে কবিতাকেই শাসনভার অর্পণ করেছেন পূর্ণেন্দু।

'...সেই সব সময়কে খুব ভালো লাগে,
যখন তুই আর আমি
দুজনে মিলে লাখখানেক কিংবা লাখখানেকের সঙ্গে মিলে
তুই আর আমি একজন।'

এই প্রেমের বয়ান শাশ্বত, মানবপ্রেমের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে 'একাকার' হয়ে উঠার কবিতা, মানবপ্রেমে যা 'লাইলি-মজনু' হয়ে উঠা, সুফিতত্ত্বে তা পরামাত্মার সঙ্গে মিশে গিয়ে 'এক' হয়ে ওঠা। প্রেমের বসবাস তাই দুইজনে নয়, দুই দুই গুণে একজনে।

পূর্ণেন্দুর কবিতায় তাই বিখ্যাত হয়ে আছে শুভঙ্কর আর নন্দিনীর প্রেম। যারা একে অপরকে পায়নি ইহতে, তবে যেন পেয়ে গেছে আত্মায়...

পূর্ণেন্দু'র কারিশমা এখানেই, পড়তে পড়তে যেন ইচ্ছা করবে এখনই শুভঙ্করের কাছে নিয়ে যাই নন্দিনীকে, কিংবা শুভঙ্করকে নন্দিনীর কাছে...

তারপর মন বলে উঠবে 'থাক, এই বিচ্ছেদেও আছে একাকারের কবিতা, মিললেই হারাবে শুভঙ্কর-নন্দিনী, হারাবে কবিতা...''

পূর্ণেন্দু তাই বলছেন

'কবিতাকে
শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে বেঁধে রাখতে
আর ভালো লাগে না আমার।
আমি চাই
হাই জাম্পের মতো লাফিয়ে উঠুক
ফুটবলের মতো পায়ে পায়ে। ..
কবিতা হয়ে উঠুক
উইকেট-ভাঙার..অথবা কোনো বেপরোয়া কব্জির
উল্কামুখী ছক্কা।'

হাই প্রেশারের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে টানা বেড রেস্টের সঙ্গী হলো বইটি।সন্ত্রাসবাদ/জঙ্গিবাদ নিয়ে যে ক'টা রিপোর্ট, বই ও জার্নাল...
07/07/2024

হাই প্রেশারের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে টানা বেড রেস্টের সঙ্গী হলো বইটি।

সন্ত্রাসবাদ/জঙ্গিবাদ নিয়ে যে ক'টা রিপোর্ট, বই ও জার্নাল আর্টিকেল পড়া হয়েছে তা ছিল বর্ণনামূলক, নির্দিষ্ট দিকের বিশ্লেষণ ও কাহিনীনর্ভর।

কিন্তু কোনো তাত্ত্বিক কাঠামোয় ও তত্ত্বে যুক্ত বা বিযুক্ত হওয়ার মতো কাঠামোগত ও ধারণাগত প্রস্তাবসহ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের বিশ্লেষণ নিয়ে এটি আমার পড়া প্রথম কোনো বই।

হওয়ারই কথা। এটি লেখকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভের সারসংক্ষেপ। লেখক কমনওয়লেথ বৃত্তিতে পিএইচডি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পোস্ট ডক করছেন ব্রাসেলসে।

বইয়ের প্রচ্ছদে লেখা যে তিনটি উপশিরোনাম তা-ই বইয়ের ফোকাস, তিনটি অনুঘটক।

সম্পর্ক মানে আমি, তুমি, সে, তাহারা-রক্তের, আত্মার। প্রযুক্তি মানে ইন্টারনেটের কল্যাণে পাওয়া বিভিন্ন মাধ্যম। বয়ান মানে কন্টেন্ট-লিখিত, অলিখিত, রেকর্ডেড।

এই তিনটিই বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদে কীভাবে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে-তারই বর্ণনা।

সুলিখিত। কিছু বানান ও ব্যাকরণত ঝামেলা ছাড়া। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বর্ণনা ও বিশ্লেষণ আছে বইয়ের শেষের দিকে। পাঁচ জঙ্গির জঙ্গি হওয়া ওঠা নিয়ে-ইনভলভমেন্ট ও এনগেইজমেন্ট ফেজে।

ভালো লেগেছে চমৎকারভাবে গবেষণার সীমাবদ্ধতা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যহীনতা, সন্ত্রাস দমন নিয়ে প্রশ্ন প্রভৃতি বিষয় এনে জোর দিয়েছেন 'ক্রিটিকাল টেররিজম স্টাডিজ' এর প্রয়োজনীয়তার কথা-যা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় তা প্রায় অসম্ভব বলেও লেখক স্বীকার করেছেন।

তার মানে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে 'ক্রিটিকাল অ্যানালিসিস' এর ইঙ্গিত দেওয়া যায়, প্রশ্ন উত্থাপন করা যায়, কিন্তু বিশ্লেষণের সম্ভাব্যতা নেই। এই বইয়ের সীমাবদ্ধতা এখানেই, যা লেখক উল্লেখ করেছেন।

এই সীমাবদ্ধতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে লেখা বই ও জার্নালের 'গ্যাপ' সহজেই বের করা যায়।

আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদকে মোটাদাগে দুইভাগে করা যায়। এক. বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে থেকে বা বজায় রেখে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। দুই. ক্ষমতাকেই পরিবর্তন বা সমূলে উৎপাটন করে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্রকাঠামো বা ধরন তথা খেলাফত প্রতিষ্ঠা। যাকে বলা হচ্ছে জঙ্গিবাদ।

দুটোই রাজনৈতিক। কিন্তু উদ্দেশ্য ভিন্ন। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রায় লেখা ও গবেষণা দ্বিতীয়টি নিয়ে।

প্রথমটি নিয়ে নেই বললেই চলে। অথচ প্রথমটির বিশ্লেষণ জরুরি।

জঙ্গিবাদ সৃষ্টিতে যে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট তার গড়ার নেপথ্যে প্রথমটির ভূমিকা কতটুকু তার পর্যালোচনা জরুরি।

শ্রদ্ধেয় আলী রিয়াজ স্যার বইটির মূখবন্ধ লিখেছেন। আছে প্রথম আলো'র টিপু সুলতান ভাইয়ের প্রতিবেদন এবং বাংলা ট্রিবিউনের নূরুজ্জামাম লাবু ভাইয়ের প্রতিবেদন ও 'বইসহ শতাধিক রেফারেন্স।

বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশনী।

বাংলাদেশ স্টাডিজ, কন্টেম্পোরারি অ্যাফেয়ার্স, সন্ত্রাসবাদ, প্রযুক্তি ইত্যাদি যারা পড়ান চোখ বন্ধ করে বইটি পাঠ্য করতে পারেন।

বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা চোখ বন্ধ করে বইটি নিয়ে নিতে পারেন, বিশেষ করে ফার্মেসির...সোশ্যাল সায়েন্স আর কমার্সের এরা চোখ খোলা...
04/07/2024

বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা চোখ বন্ধ করে বইটি নিয়ে নিতে পারেন, বিশেষ করে ফার্মেসির...

সোশ্যাল সায়েন্স আর কমার্সের এরা চোখ খোলা রেখে...

সব গবেষণার প্রকৃতি একই, ধরন ভিন্ন।

তাই বইটি বলা যায় সব ডিসিপ্লিনের জন্যই।

লেখক সবে মাত্র পিএইচডি করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন স্টেট থেকে। আগে থেকেই গবেষণা করতেন ও পড়াতেন। পিএইচডি শেষে মাঠে নামলেন গবেষণা জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়ার। লেখকের আরেকটি বই আছে 'একটি গবেষণাপত্রের আদ্যপান্ত'...

বিজ্ঞান শাখায় বইটি সিলেবাসভুক্ত হওয়ার সকল যোগ্যতা আছে।

বইটির শুরু গল্পাকারে। তাই ইন্টারেস্টিং। ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর, ইন্ডেক্সড জার্নাল প্রভৃতি নিয়ে ধারণা খুব সহজে পরিষ্কার করেছেন।

তারপর দর্শন থেকে 'ন্যাচারাল সায়েন্স' কীভাবে এলো, কীভাবেই বা গবেষণার সূত্রপাত-আছে তার দারুণ বর্ণনা। দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীদের কাজ, লেখা, আর্টিকেলের বিবরণ আছে।

এছাড়া আছে ম্যানুস্ক্রিপ্ট লেখা, সংশোধন, জার্নাল খোঁজা, সাবমিটের আগে-পরের কাজ, কাভার লেটার লেখা প্রভৃতি। আবিষ্কার প্যাটেন্ট করার নিয়ম ও পন্থা নিয়েও আছে অধ্যায়। আছে লিটারেচার খোঁজার প্ল্যাটফর্ম ও পদ্ধতি।

শেষের দিকে দেওয়া হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ গবেষণার নমুনা, রেফারেন্সিং, কোডিং, রাইটিং ইত্যাদির অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েব সাইটের বর্ণনা...

বইটির অবাচনিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজের অর্জিত গবেষণাজ্ঞানকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে লেখকের তীব্র ইচ্ছা প্রতিফলিত।

এ থেকে কুবি'র কথিত গবেষক (সবাই নয়) শিক্ষা নিতে পারেন, গবেষণার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, সহযোগিতা চাইলে যারা এমন ভাব দেখান, এইটা এমন একটা জ্ঞান যা ভগবান কেবল তাকে দিয়েছেন পৈতৃক সম্পত্তি রূপে, যা ভাগ করা যাবে না...শেয়ার করা যায় না...আমরা আমজনতা তা বুঝবো না...

এরা জার্নালে 'গবেষক', বাস্তবে 'নোংরা রাজনীতিবিদ' ও হীনম্মন্য 'মানুষ'...

গবেষণায় ভালো করতে হলে লেখক 'কোলাবেরশন' ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন...

যার পরোক্ষ থিম, গবেষণা জোরের বিষয় নয়, জ্ঞানসৃজনের আনন্দের বিষয়...

প্রকাশক: অন্বেষা...

ছবিটি ঐতিহাসিক।কারণ, এটিই পৃথিবীর একমাত্র ছবি হিসেবে গণ্য, যেখানে জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানীরা একই ফ্রেমে এসেছেন। বলা হয় 'সবচেয়...
04/07/2024

ছবিটি ঐতিহাসিক।

কারণ, এটিই পৃথিবীর একমাত্র ছবি হিসেবে গণ্য, যেখানে জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানীরা একই ফ্রেমে এসেছেন। বলা হয় 'সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত ছবি।'

মোট ২৯ জন। আইনস্টাইনকে চেনা যায়। বাকিদের কম।

একজন নারীকে দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানী মেরি কুরি ওরফে মাদাম কুরি। দুইবার নোবেল পাওয়া-ফিজিক্সে ও কেমিস্ট্রিতে...প্রথম কোনো নোবেল পাওয়া নারী...

মেরি কুরিসহ ছবিতে থাকা ১৭ জন আগে পরে নোবেল পেয়েছেন...

সলভে সম্মেলন, ১৯১১। ব্রাসেলস বেলজিয়াম।

নিজ নিজ জ্ঞানতত্ত্ব নিয়ে এঁরা হাজির হয়েছিলেন সম্মেলনে। সেই সময় তোলা।

সম্মেলনটি জ্ঞানবহুল, ঘটনাবহুল। কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আইনস্টাইনের সঙ্গে উত্তপ্ত বিতর্ক হয় বিজ্ঞানী বোরের সঙ্গে।

এই 'কাইজ্জাও' ইতিহাসে স্থান লাভ করে আছে

'আইনস্টাইন-বোর বিতর্ক'...

মার্শাল ম্যাকলুহান সম্পর্কে যে কথাটি বলা হয়, তা প্যারাফেইজ করলে দাঁড়ায়, ‘মার্শাল ম্যাকলুহানকে বমি করাও যায় না, গেলাও যায়...
03/07/2024

মার্শাল ম্যাকলুহান সম্পর্কে যে কথাটি বলা হয়, তা প্যারাফেইজ করলে দাঁড়ায়, ‘মার্শাল ম্যাকলুহানকে বমি করাও যায় না, গেলাও যায় না।’

মানে, যোগাযোগ কিংবা যোগাযোগ প্রযুক্তি আলোচনায় তাঁর আলোচনা সাম্যবাদী তথা সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেমন অস্বস্তিকর, আবার তাঁকে ‘ইগ্নোর’ করাও যায় না। ‘অস্বস্তিকর’ কারণ, প্রযুক্তিকে তিনি বানিয়েছেন ‘ঈশ্বর’। যা ঘটছে, হচ্ছে-সব দোষ বা আশির্বাদ প্রযুক্তির।

এখানে মানুষের শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ণ ইত্যাদি সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। ‘ইগ্নোর’ করা যায় না প্রযুক্তি নিয়ে তাঁর তত্ত্ব ও তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে। এ তত্ত্ব আবার বেশ কিছুটা জটিল, যতটা না পড়তে, ততটা বুঝতে।

শিক্ষক, কবি ও লেখক আফরোজা সোমা ‘বাহবা’র দাবিদার। ‘জটিল’ ম্যাকলুহানকে ‘সহজ’ করার তাঁর এই উদ্যোগ তথা বই প্রকাশ এক প্রশংসনীয় ও সাহসী কাজ। ম্যাকলুহান নিয়ে আফরোজা সোমার এই লেগে থাকা আমাকে মুগ্ধ করে। এই বই পড়ে ম্যাকলুহানের তত্ত্ব নিয়ে আমার নিজের কিছু ভুল ধারণা ছিল, তা দূর হয়েছে। সোমাকে ধন্যবাদ।

বইয়ের নামকরণ, ম্যাকলুহানের ‘আন্ডারস্ট্যাডিং মিডিয়া...’র অনুকরণে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ম্যাকলুহান’। নামকরণ কতটা সফল? ‘জটিল’কে সহজ করার দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ সফল বলা যায়। তবে, পূর্ণাঙ্গ ‘ম্যাকলুহান’কে বোঝার ক্ষেত্রে ততটা নয়। কেন?

বইটিতে আছে ম্যাকলুহানের আলোচিত তত্ত্ব ও তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ তথা মানব ইতিহাস, মিডিয়াম ইজ দ্যা ম্যাসেজ, হট মিডিয়া-কুল মিডিয়া, গ্লোবাল ভিলেজ, নয়া প্রযুক্তির প্রভাব প্রভৃতি নিয়ে আলাপ। আছে দুইটি সাক্ষাৎকার। তত্ত্ব ও তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গী বোঝা ও বোঝানোর ক্ষেত্রে স্বয়ং ম্যাকলুহানের ভাষ্যকে সহজীকরণ, বর্তমান নয়া প্রযুক্তি তথা বাস্তব জীবন থেকে উদাহরণ টানা প্রভৃতি প্রচেষ্টা এক কথায় অসাধারণ। পড়তে পড়তে ম্যাকলুহানকে ‘কনসেপচুয়ালাইজ’ করা যায় সহজে।

এক্ষেত্রে লেখক সফল। কিন্তু ‘ম্যাকলুহানকে’ ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ করার মওকা তথা সমালোচনার ক্ষেত্র বইতেই আছে, তবে বিশদ নয়, ক্রিটিকাল নয়। হওয়াটা বাঞ্চনীয় ছিল বইয়ের নামকরণের স্বার্থে।

পাঠক হিসেবে আমার অভিমত, বইতে তত্ত্ব নিয়ে বেশ সহজ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সাক্ষাৎকারের ভাষা বেশ জটিল। দোষ, অনুবাদকের নয়, ম্যাকলুহানের। লোকটা জটিল করেই বলেন সবকিছু। তবে সোমার ভাষার দখল এতটা বিস্তৃত যে, আরো সহজ করা যেত কি না, ভাবছি।

তত্ত্বের আলাপ আগে ‘যোগাযোগ’ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা লেখক ও মূখবন্ধে শ্রদ্ধেয় ফাহমিদুল হক স্যার উল্লেখ করেছেন। আমার জানা মতে, আফরোজ সোমা ম্যাকলুহান নিয়েই ছিলেন, আছেন। তাই, ম্যাকলুহান নিয়ে তার লেখা আমাকে বেশ আকৃষ্ট করে। অন্টারিও টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি ‘ঐতিহ্য’ প্রকাশিত সাম্প্রতিক ঈদ সংখ্যা ‘চানরাত’-এ প্রকাশিত হয়েছিল। আমার পরামর্শ, পরবর্তী সংস্করণে এর উল্লেখ থাকলে ‘সেলফ প্ল্যাজিয়ারিজম’ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কয়েকটি বানান বিভ্রাট আছে, যা স্বাভাবিক, পরবর্তী সংস্করণে ঠিক হবে আশা রাখি।

‘ম্যাকলুহান পাঠ’ আমার পছন্দ। তবে তাঁকে আমি ‘ভবিষ্যৎদ্রষ্টা’ কিংবা ‘অলঙ্ঘনীয়’ মানতে নারাজ, যেমনটা বলা হয় তাঁর ব্যাপারে, যদিও একসময় আমি তা মানতাম। যে সময়ে ম্যাকলুহান এ তত্ত্ব দিচ্ছেন, সে সময় ইন্টারনেট আসেনি, দিয়েছেন গ্লোবাল ভিলেজের ধারণা। কিন্তু একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবে না, যে সময়ে তিনি এ তত্ত্ব দিচ্ছেন, সে সময় তিনি প্রযুক্তির বিবর্তনের ‘যৌবন কাল’ কিংবা এর প্রায় শেষের দিকে অবস্থান করছিলেন। প্রিন্টিং প্রেস, রেডিও, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন এসে গেছে, বাতি এসে গেছে। সুতরাং আন্দাজ করার যথেষ্ট উপাদান ও কাল-সময় তাঁর ছিল। সুতরাং ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নয় বরং ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ তত্ত্বের জন্য তাঁকে প্রশংসা করা যায়।

মূখবন্ধে ফাহমিদুল হক স্যার বর্তমান নজরদারির অর্থনীতির ব্যাপারে ‘ম্যাকলুহান আগেই বলে গেছেন’ বলে যে কথা বলেছেন, এতেও আমার ঘোর আপত্তি। ম্যাকলুহানের অনেক আগেও ভবিষ্যতের ‘নজরদারির’ বিষয়ে বই আছে, উপন্যাস আছে। জর্জ অরওয়েলের ‘নাইন্টিন এইটি ফোর’ উপন্যাস, যার প্রকাশ ১৯৪৮ সালে এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ম্যাকলুহানের সমসাময়িক ফরাসি দার্শনিক গাই দিবোর্দ -এর কাজেরও উদাহরণ দেওয়া যায়, যার প্রসঙ্গ ‘নব্য উদারবাদ’ নিয়ে ফাহমিদুল হক স্যার নিজের লেখায় এনেছেন।

মার্শাল ম্যাকলুহানের সঙ্গে লেখকের যখন পরিচয়, তখন আমারও পরিচয়। আর এ পরিচয়ের সূত্রপাত খুব সম্ভবত শাওন্তী হায়দার ম্যামের লেকচার ও শ্রদ্ধেয় আলী রিয়াজ স্যারের এক লেখার মাধ্যমে, তারপর ম্যাকলুহানের মূল বইয়ে প্রবেশ, সবগুলোতে নয়।

ম্যাকলুহানকে বাংলায় অত্যন্ত গোছালো ও সহজভাবে আলী রিয়াজ স্যার উপস্থাপন করেছেন এবং তাঁর সমালোচনার ক্ষেত্রটি পরিষ্কার করেছেন। ওই লেখার শিরোনাম ও প্রকাশ কোথায় হয়েছে, এ মুহূর্তে বলতে পারছি না যদিও, তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আফরোজা সোমার বইতে ওই লেখার রেফারেন্স রাখা যায়। ঢাবি’র এমসিজে বিভাগের সেমিনারে লেখাটি পাওয়া যাবে। আলী রিয়াজ স্যারের ম্যাকলুহানের আলাপ আফরোজা সোমার বইটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করি।

ম্যাকলুহানের সাথে ও ম্যাকলুহান নিয়ে ম্যাকলুহানের ছেলে এরিক ম্যাকলুহান ও নাতি এন্ড্রিউ ম্যাকলুহানের বেশ কিছু বই ও লেখা আছে। নিশ্চয় সোমা তা জানেন। পরবর্তী সংস্করণে তাঁদেরকেও সম্পৃক্ত করা হবে বলে আশা রাখি।

আমার পরামর্শ, বইয়ের রেফারেন্স অংশটুকুতে একটা স্টাইল অনুসরণ করা আবশ্যক। ম্যাকলুহানের উক্তিগুলো এসেছে দুইবার, মাঝে ও শেষে। মানে রিডানডেন্সি। বাদ দেওয়া আবশ্যক। উক্তিগুলোর রেফারেন্স বাঞ্চনীয়। কোথাও ইংরেজিকে বাংলিশ করে কোথাও ইংরেজি লেখা হয়েছে। আমার পরামর্শ, এখানে একটি ভারসাম্য আনা দরকার। ইংরেজিকে ইংরেজি ভাষাতেই রাখা উচিত।

পাঠক হিসেবে এসব আমার মন্তব্য।

সত্য কথাটি হলো, বাংলায় ম্যাকলুহান নিয়ে লেখা আলী রিয়াজ স্যারের পর ম্যাকলুহানকে আরো বৃহৎ আকারে আরো সহজে বর্তমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা ও সাহস আফরোজা সোমা দেখিয়েছেন, তা অনবদ্য।

আমি বইটির ও বইয়ের লেখকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে বইটি নেওয়া। গবেষণা নিয়ে এ যাবতকালে আমার পড়া সবচেয়ে নিম্নমানের বই। মনে হয়েছে, লেখ...
30/06/2024

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে বইটি নেওয়া।

গবেষণা নিয়ে এ যাবতকালে আমার পড়া সবচেয়ে নিম্নমানের বই।

মনে হয়েছে, লেখক ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছেন বা কয়েকটা অ্যাসাইনমেন্ট একাট্টা করেছেন। মার্ক্স সি।

শুধু 'স্যাম্পলিং' আলোচনাটার বি মাইনাস দেওয়া যায়। হালকা পাতলা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর ট্রাই করেছেন তাই।

বাংলা ভাষাভাষী কারোরই লেখা বাংলা ইংরেজি খুব কমই বই পেয়েছি, যা নবীন বা অগ্রসর কারো জন্য ইফেক্টিভ।

রাগীব হাসানের 'গবেষণায় হাতেখড়ি' বইটি আমাদের এই অঞ্চলের গবেষণার মনস্তত্ত্ব বুঝে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তা খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে।

টাইটেল, রিসার্চ গ্যাপ, অবজেকটিভ, মেথড, থিওরেটিকাল ফ্রেমওয়ার্ক, লিটারেচার রিভিউ, প্রেজেন্টেশন, এনালিসিসিস, সাইটেশন, রেফারেন্স, রিসার্চ আর্টিকেল...

এসব 'কী' তা আছে। এই 'কী' জেনে কাউকে গবেষক বানানো যাবে না বা গবেষণায় আগ্রহী করা যাবে না।

লিখতে হবে 'কীভাবে' নিয়ে...

সহজ ভাষায়, প্রচুর উদাহরণ দিয়ে...

এমন অ্যাসাইনমেন্ট টাইপ বই লিখলে আমার বইয়ের সংখ্যা দুই হাজার হতে আর দুইটা বাকি থাকতো।

সীমাহীন জনপ্রিয় কবিতা-বই ' যে জলে আগুন জ্বলে'র প্রায় ৩৩ বছর পর প্রকাশিত 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না।'কবির সারাজীবনে বই বলতে ...
27/06/2024

সীমাহীন জনপ্রিয় কবিতা-বই ' যে জলে আগুন জ্বলে'র প্রায় ৩৩ বছর পর প্রকাশিত 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না।'

কবির সারাজীবনে বই বলতে এই দুইটিই।

এতে আছে মোট ৪৩ কবিতা। ৪২টি কবির নিজের, বাকি একটা তাঁর বাবার, দুই লাইনের। বাবা ছিলেন প্রথিতযশা শিক্ষক, নেত্রকোণার।

কবিতাও লিখতেন। বাবাকে ধারণ করতে বাবার কবিতা। বাবা ও মাকে উৎসর্গও করেছেন বইটি।

শুরু 'ব্রহ্মপুত্রের মেয়ে'কে নিয়ে

'এক জীবনের সব হাহাকার বুকে নিয়ে
অভিশাপ তোমাকে দিলাম-
তুমি সুখী হবে, খুব খুশি হবে।..

'ওড়না'
তোমার বুকের ওড়না প্রেমের জায়নামাজ'

'থুতু'ও বাদ যায়নি কবির ভাবনা থেকে
'থুতুও অমৃত হয় চুম্বকীয় চিকন চুম্বনে।'

আছে 'লীলা'
'রোদ্দুরে ভেজাবো তোকে শুকাবো বৃষ্টিতে'

কবির তীব্র হাহাকার ফুটে ওঠে 'রাখালের বাঁশি'তে
'কে আছেন?
দয়া করে আকাশটাকে একটু বলেন-
সে সামান্য উপড়ে উঠুক,
আমি আর দাঁড়াতে পারছি না।'

আছে নিঃসঙ্গতার কাব্য
'তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ।'

'সঞ্চয়'...সবাই জমায় টাকা, আমি চাই মানুষ জমাতে।

এই কবিতার বইয়ের প্রায় সবগুলো এক দুই লাইনের। কবি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'ফেসবুকের প্রভাব। মানুষ কম লেখা পড়ে। দেখে বেশি।'

হেলাল হাফিজ আমার কাছে এক সাগর বেদনাহত প্রেমের কান্না, এক নিঃসঙ্গ ঘোর অনুভূতি...

হেলাল পাঠে অনুভূতি নামে তাঁর 'ব্রেকআপ' কবিতার সন্ধ্যার মতো...

' সন্ধ্যা নামছে গাঢ় সন্দেহের মতো'...

বইয়ের ছবিটি সন্দেহপূর্ণ সন্ধ্যায় তোলায়, কুমিল্লায়...

পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ৬৩।এর মধ্যে গবেষণার একদম মৌলিক প্রসঙ্গ তথা সংজ্ঞা, পদ্ধতি, গবেষণা কাঠামো, বিবলিওগ্রাফি....ইত্যাদি......
27/06/2024

পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ৬৩।

এর মধ্যে গবেষণার একদম মৌলিক প্রসঙ্গ তথা সংজ্ঞা, পদ্ধতি, গবেষণা কাঠামো, বিবলিওগ্রাফি....ইত্যাদি...

তবে বইটির মূল ফোকাস সাহিত্য গবেষণা...

পড়তে পারেন...

গবেষণায় যাদের হাতেখড়ি, তাদের জন্য এই বইটি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেমিস্টারে রিসার্চ শুরু, সেই সেমিস্টারের জন্য এই বই...মাত্র...
21/06/2024

গবেষণায় যাদের হাতেখড়ি, তাদের জন্য এই বইটি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সেমিস্টারে রিসার্চ শুরু, সেই সেমিস্টারের জন্য এই বই...

মাত্র ১৫৮ পৃষ্ঠায় লেখক বইটিতে গবেষণার প্রায় সবকিছুই স্পর্শ করে গেছেন...ডিসকোর্স এনালাইসিসের আলাপও বাদ দেননি।

গবেষণা বিষয় কীভাবে নির্ধারণ করবেন, কীভাবে বুঝবেন আপনার গবেষণায় কোন পদ্ধতি যুতসই, পদ্ধতিগুলোই বা কি-সংজ্ঞায়ন, প্রয়োগ...কোয়ালিটেটিভ, কোয়ান্টিটেটিভ, ইন্টারভিউ, সার্ভে...গবেষণা জরিপের প্রশ্ন কীভাবে বানাবেন..ইন্টারভিউ/ফোকাস গ্রুপ যেভাবে নেবেন, প্রস্তাবনা লেখা, মূল প্রতিবেদন লেখা...

বলা চলে, গবেষণার জন্ম থেকে প্রাপ্ত বয়সে গিয়ে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত...সংক্ষেপে মলাটবন্দি করেছেন লেখক...

শেষে গিয়ে আলাপ পেরেছেন, গবেষণায় নৈতিকতা নিয়ে। মোটামুটি বিস্তারিত আলাপ। এই অংশটাই আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।

বইটি শেষ করতে যখন দুই পৃষ্ঠা বাকি, তখন পদ্মাসেতুতে উঠে গেছি। লেখক-শিক্ষক, প্রকৌশলী ও ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী। পদ্মাসেতুর ...
20/06/2024

বইটি শেষ করতে যখন দুই পৃষ্ঠা বাকি, তখন পদ্মাসেতুতে উঠে গেছি।

লেখক-শিক্ষক, প্রকৌশলী ও ইউটিউবার এনায়েত চৌধুরী। পদ্মাসেতুর টেকনিকাল বিষয়গুলো এত সহজে ও উদাহরণের মাধ্যমে বুঝিয়েছেন যে, প্রশংসার দাবি রাখেন।

অন্যান্য নদীর মতো পদ্মা নদীরও প্রাণ আছে। এই প্রাণ সবচেয়ে শক্তিশালী, নিয়ন্ত্রণহীন। নদীর মন আছে। আজকে এই পথে, কাল সেই পথে। নদীর গতিপথ নিয়ত পরিবর্তনশীল। তাই কোনো নদীকে শাসনে আনা যায় না।

নদীর সঙ্গে করতে হয় 'বোঝাপড়া', লবিং- নানানভাবে, নানান পদ্ধতিতে, নানান প্রকৌশলে, নানান অঙ্কে, নানান মেকানিজেমে-টেকনিকে-সায়েন্সে।

প্রতাপশালী পদ্মার সঙ্গে করতে হয়েছে বেশি।

এই 'বোঝাপড়া'র পড়াই এই বইয়ের থিম।

'প্রকৌশলীয়' বলে অন্য ডিসিপ্লিনের কেউ বইটি এড়িয়ে না যাওয়ায় শ্রেয়।

আমাদের ডিসিপ্লিনে যারা 'ইনভায়নেমেন্ট/ক্লাইমেট জার্নালিজম/কমিউনিকেশন' পড়ান

আই স্ট্রংলি রিকমেন্ড দিজ বুক...

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kazi Block posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share