31/08/2022
আমার এলাকায় বর্তমানে বিএনপির এক্টিভিজম করা হচ্ছে নিশ্চিত মৃত্যু নিয়ে খেলার মত।
বিএনপির মিটিং-মিছিলে কারা যাচ্ছে তা খোঁজ নেয়া হয় ছবি আর ভিডিও ফুটেজ দেখে।তারপর চিহ্নিত করে বিএনপির কর্মীদের বাড়িতে হামলা করা হয়। রাস্তায় মেরে আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।
এরপরেও আমার এলাকার সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা কিছু ছেলে এবং সবেমাত্র ডিগ্রীতে ভর্তি হয়েছে এমন কিছু ছোট ভাইকে দেখি বারবার হামলার শিকার হয়েও এরা ছুটে যায় বিএনপির প্রোগ্রাম গুলোতে।
বয়স কত হবে এদের?
১৮ থেকে ২০ বছর!
এদের জন্মের পর দীর্ঘ ১৬ বছর হতে চলেছে আজ বিএনপি ক্ষমতায় নাই।এরা চাইলেই তার সমবয়সী অনান্য ছেলেদের মত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে ক্ষমতার স্বাদ চেখে দেখতে পারতো। চাইলে এরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে নিশ্চিত মনে কলার উচিয়ে গলির রাস্তার মুখে পুলিশ ভ্যানের পাশে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে পারতো!
কিন্তু ওরা চয়েজ করেছে ক্ষমতায় নাই এমন একটি দলের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতিকে।
চাইলে এরা এখন গলির মুখে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে পারে না। কলেজে ওদের সমবয়সীরা যখন ক্লাস করছে,ছাত্রদলের ছেলে গুলোর জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা টাফ হয়ে যাচ্ছে।
এমন অবস্থা কেবল আমার জেলাতে না,সারা বাংলাদেশের চিত্র এই মুহূর্তে এমন।
এত অত্যাচার, নিপীড়ন চলার পরেও এখনো বিএনপির মিছিল গুলোতে তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের ভীড় অবিশ্বাস্য মাত্রায় দেখা যায়।
এই যে কোন কিছু প্রাপ্তির আশা ছাড়াই গত ১৬ বছরে একটি তরুণ প্রজন্মের মেলবন্ধন নির্মাণ হয়েছে বিএনপির রাজনীতির সাথে, এরা হচ্ছে পিউর গোল্ড। এদের সততা,দেশের জন্য বিএনপির প্রতি এদের ডেডিকেশন পরীক্ষিত। হাজার কোটি টাকা খরচ করে এমন একঝাঁক পরীক্ষিত কর্মী জোগাড় করা সম্ভব না।
বিগত ১৬ টি বছর বিএনপিকে আগুনে পুড়ে খাটি সোনা হতে সাহায্য করেছে।দল থেকে ছিটকে গেছে মৌসুমি নেতা এবং স্বার্থবাজরা।
এখন বিএনপির জেলা কমিটি গুলোতে বিএনপির দায়িত্ব নিচ্ছে পরীক্ষিত একটা প্রজন্ম। যদি আমি ভুল না করে থাকি ৬২ টি জেলা কমিটিতে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এক সময়ের ছাত্রদল করে আসা ছাত্রনেতারা।
এই যে তরুন এবং নতুন একটা প্রজন্ম গড়ে উঠেছে আন্দোলন, নিপিড়ন, মামলা-হামলার মধ্য দিয়ে।
এই প্রজন্ম হয়ে উঠবে বিএনপি নামক ঘরটির শক্ত ফাউন্ডেশন।
শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বি,এন,পি।।
©Rashed Khan