Bodrul in sight

  • Home
  • Bodrul in sight

Bodrul in sight Enthusiast Digital Content Creator. Love spreading positive vibes and worthy human values. Hello there! Myself Bodrul Islam (Shaon) currently in under-graduation.

I'm a passionate learner. Love to learn from digital contents, especially videos. That's why I started my youtube channel "Bodrul Islam" to share my journey of learning in video form! Channel contents are based on soft skills development. To me video is one of the most effective way to communicate. Whether it's learning, teaching or sharing any thoughts. The page shows my effort for sprea

ding positive vibes. Like the show "D TALES", where I talk with people of various passion & profession. They share their story. Hoping their success will inspire others whereas their struggle may give lesson. Planning to launch a vlog series where I'll cover local foods & bright local cultures. Stay tuned!

16/07/2024

আমার এক্সট্রা একটা লাইফ থাকলেও আমি শহীদ আবু সাইদের মতো সাহস দেখাইতে পারতাম না।

বেসিক নিড মেটাতেও কেন উচ্চতর শিক্ষা জরুরি? দেশের ক্রান্তিকালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি ধরনের ডাইনামিক পরিবর্তন আনা জর...
13/07/2024

বেসিক নিড মেটাতেও কেন উচ্চতর শিক্ষা জরুরি? দেশের ক্রান্তিকালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি ধরনের ডাইনামিক পরিবর্তন আনা জরুরি? Bodrul in sight (Special Edition)

শিকার প্রাণীর সহজাত প্রবৃত্তি। যার মাধ্যমে শিকারি প্রানীরা খাদ্য সংগ্রহ করে। বিশেষ করে মাংসাশী ও সর্বভুক প্রানীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিটি শিকার করতে জানা। মানুষের জন্যও তাই।

জীববিজ্ঞানের একটি শাখা Ethology আলোচনা করে প্রাণীর আচরণ নিয়ে। কিভাবে বিভিন্ন প্রানী পারস্পরিক যোগাযোগ করে, খাবার খোঁজে কিংবা শিকারি প্রাণীদের এড়িয়ে জীবন বাঁচায়!

মানব ইতিহাসে মাছ শিকার করা অন্যতম আদিম পেশা ও কলা হিসেবে বিবেচিত। যা এখনো টিকে আছে। ধরা যাক সামুদ্রিক মাছ টুনা শিকার করবো আমরা। প্রচলিত ছিপ-টোটা নিয়ে সমুদ্রে নেমে গেলে কাজ হবে? হবে হয়তো কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু টুনা মাছের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে যদি এদের চলাচলের প্যাটার্ন, রাস্তা ট্র্যাক করা যায়! তাহলে সুক্ষ ও কার্যকর ভাবে শিকার করা সম্ভব হবে! যাতে Ethology কাজে আসবে!

আবার একদম নির্বংশ করে দিলে টুনা মাছ খেতে পারবো না, পরিবেশেরও প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। এসবের প্রভাব আলোচনা করে Ecology!

কি পরিমাণ টুনা মাছ, কোন সময়ে ধরা থেকে ছাড় দিলে বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হবে না জানার জন্য দরকার Physiology শাখা!

বাংলাদেশের পলিসি লেভেলে এর একটা বাস্তব প্রয়োগ দেখা যায় ইলিশ মাছ আহরণের ক্ষেত্রে। নাহ, আমি টনকে টন ইলিশ মাছ ধরে ভারতে গিফট পাঠানোর কথা বলছি না। বলছি ডিম ওয়ালা ইলিশ যে সময় নদীতে বিচরন করে সেসময় বিশেষ বিশেষ জায়গায় মাছ ধরা নিষেধ করা, জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞার কথা।

এ তো গেলো অতীত ও বর্তমানের কথা। ভবিষ্যতের বাংলাদেশে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার পড়াশোনা কি কি কাজে আসবে?
ইতোমধ্যে অনেকেই জেনে থাকবেন, রুলিং পার্টির অন্যতম সফলতা সমূদ্র সীমায় বিজয়ের ফলে বিশাল সম্ভাবনাময় সমুদ্র সীমানা বেড়েছে। সেই সমুদ্রে সামুদ্রিক মাৎস্য সম্পদ আহরণের জন্য বিদেশী কোম্পানিকে আহ্বান জানিয়েছে সরকার। কারণ আমাদের সেসব প্রযুক্তি সক্ষমতা নেই।

কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশে আছে লাখ লাখ বেকার। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়ার জন্য জমি বিক্রির টাকা হাতে রেখেছে, বা লোন নিবে বলে ঠিক করে রেখেছে।

আমাদের আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান যেখানে আছে মাৎস্যবিজ্ঞানে উচ্চতর জ্ঞান আহরণের জন্য ডেডিকেটেড “মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ”। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে মাৎস্য সম্পদের মতো কৃষিতে ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য ডেডিকেটেড “কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ”!

তাহলে সমস্যা কোথায়? কেন আমরা বিদেশীদের দিকে সম্পূর্ণভাবে চেয়ে আছি? একাধিক কারণ আছে। এর মধ্যে থট প্রসেসের একটা প্রবলেম হচ্ছে আমাদেরকে বোঝানো হয়েছে, “কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হলে বিসিএসে কোটা পাওয়া যায়। একবার বিসিএস লেগে গেলেই লাইফ সেট।”
আবার Agri. Engg. সিলেবাসে (আমি যেটা পেয়েছি সেটার কথা বলছি) ফিশারিজ টেকনোলজি নিয়ে তেমন কিছু পাইনি। বেশিরভাগই মাঠফসল কেন্দ্রিক।

আরেকটা গুরুতর কারণ সিস্টেমের স্বচ্ছতা ও জাবব্দিহিতার অভাব। গভমেন্ট কিংবা ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউটগুলোকে এখন আর পয়সা দিয়ে বিশ্বাস করতে পারিনা আমরা!

কি করা যেতে পারে?
বাস্তবসম্মত যৌক্তিক পলিসি তো আমার একার পক্ষে দেয়া সম্ভব না। তবুও সোশ্যাল এক্সপেকটেশন ও সিস্টেমের এপ্রোচে পরিবর্তন আনা দরকার। যাতে করে কৃষি খাতে প্র্যাক্টিকেল প্রবলেম গুলো সল্ভ করে পাওয়া আইডিয়া গুলো নিয়ে “প্রযুক্তি পণ্য ও সেবা কোম্পানি” দাঁড়ায়। যেগুলোর সক্ষমতায় দেশ ছাড়িয়ে “বিদেশে প্রযুক্তি রপ্তানি করা” থাকবে।

বোনাস হিসেবে দেশে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীদের থেকেও উপরি আয় হবে। অক্সফোর্ড, এমআইটি যেমনটা করছে।

*******************************************চলবে

Policy
Bodrul in sight || thinking loud

06/07/2024

আমিও কোটার পক্ষে। বুঝিয়ে বলছি...

গত ৪, জুলাই ২০২৪ তারিখে বাকৃবি ক্যাম্পাসে হওয়া কোটাবিরোধী আন্দোলনে আমিও সামিল হয়েছিলাম।

কিন্তু অনেক ভেবেচিন্তে বুঝতে পারলাম, আমিও কোটার পক্ষে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৫৬% কোটা বিদ্যমান।

আমার ভিন্ন একটা দাবি আছে। বিদ্যমান ৫৬% সে কোটা ৯৫% না হলেও অন্তত ৯০% করা হোক। যাস্ট একটু পরিবর্তন করে কোটার নাম হোক "Merit Quota" বা মেধা কোটা। যাতে বেনিফিশিয়ারি হয় সিংহভাগ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলা বা ইংরেজি (এমনকি হিন্দি, চাইনিজ, রাশিয়ান, এরাবিক) নামে 'কোটা"-র নামকরণ করা হোক আমার আপত্তি নেই।

জাতির সূচনালগ্নের সাহসী সন্তানদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোটাধারীদের জবের জন্য ডেস্পারেশন প্রমাণ করে চাকরীর কি ক্রাইসিস চলছে দেশে।

সে হিসেবে কোটা বহাল রেখে যদি তাদের চাকরীর নিশ্চয়তা দিতে হয়, তাঁর অর্থ দাঁড়াবে দেশের নাগরিকদের যৌক্তিক মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। মোটাদাগে সরকার বিরোধীতা ( “Criticism of Government” is not wrong, but taught to be wrong by the ruling parties) হবে কোটা বহাল রাখা।

এর চেয়ে ভালো চাকরী করতে না বলে বিদেশে প্রবাসী হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। হ্যাঁ, অনেকেরই ইচ্ছার বিরুদ্ধে হবে সেটা। But, who cares!

ওহ ভালো কথা, প্রবাসী হইতে চাইলেও সমস্যা। অতি সম্প্রতি প্রকাশিত "জনপ্রিয় স্ক্যান্ডাল" মালয়েশিয়ায় প্রবাসী পাঠানোয় নিয়োজিতদের সিন্ডিকেটে নির্বাচিত সংসদদের জড়িত থাকার ব্যাপারটা ভুলবো কিভাবে!

উদ্যোক্তা হওয়ার কথা সাজেস্ট করতে চাইবেন এইবার। কিন্তু বড় বড় গ্রুপ হয়ে গেছে প্রবল পরাক্রমী! হোক পোলট্রি সেক্টর অথবা ডেইরি সেক্টর! এরপর আছে কোম্পানি খুলতে গেলে ১৬-১৭ বা তারও অধিক লাইসেন্স নিতে যাওয়ার সময় পড়া ভোগান্তি। উদ্যোক্তা বান্ধব হলে এই লাইসেন্সগুলো “তথ্য কেন্দ্র”-র মতো এক ছাদের নিচে আনেন! এগুলোতে ট্রান্সপারেন্সি আর জবাবদিহিতা আনেন!

আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে দেখবেন জনাব মতিউরের মতো লোক ইনসাইডার ইনফরমেশন পেয়ে ফুলে ফেঁপে উঠছে, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছে অযাচিত অনিশ্চয়তা!

সেই সরকারের আমলের সেন্ট্রালাইজড “হাওয়া ভবন”-এর কথা শোনা যায়। সেই সেন্ট্রালাইজড “হাওয়া ভবন” এই সরকারের আমলে এসে এখন নতুন রুপে ডিসেন্ট্রালাইজড হয়েছে। ব্যাংক, পুলিশ, রাজস্ব প্রভৃতি বিভাগের সম্মানিত দুর্নীতিবাজগণ (সম্মানিত বললাম নাহলে আবার মানহানির মামলা হতে পারে) জায়গায় জায়গায় “ডিসেন্ট্রালাইজড হাওয়া ভবন” পরিচালনা করছেন। দিনশেষে সব রসুনের এক ***।

আসলে সরকার/প্রশাসন হিসেবে আপনারা বলতেছেন কি আর চাইতেছেন কি? খুব সম্ভবত আপনারা নিজেরাও জানেন না।

তবে আমি আপাতত চাকরীতে ৯০-৯৫% মেধা কোটা চাচ্ছি। কারণ যার যার ন্যায্যটা সে সে পাইলেই হইলো।

Political satire || Bodrul Shaon

লিভিং লেজেন্ড Sonam Wangchuk ভারতের অন্যতম ইউনিক প্রকৃতি সমৃদ্ধ লাদাখে বাস করেন।তাঁর কাজ দেখলে, কথা শুনলে অনুমান করা যায়...
02/07/2024

লিভিং লেজেন্ড Sonam Wangchuk ভারতের অন্যতম ইউনিক প্রকৃতি সমৃদ্ধ লাদাখে বাস করেন।

তাঁর কাজ দেখলে, কথা শুনলে অনুমান করা যায় কেনো 3 idiots এর প্রধান আকর্ষণ "ফুংসুক ওয়েংডু"-র মতো চরিত্র তার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল!

Extreme Heat Waves A Solution to the Pollution of Cooling IndiaTo make a pledge to heal the planet visit: https://www.ilivesimply.orgAll income from this Yo...

30/06/2024

বেঁচে থাকলে বৃদ্ধকালটা কেমন হবে?

এরই একটা ছোট্ট ঝলক দেখতে পারবেন আপনার ব্যাচ ভার্সিটি ক্যাম্পাস ছাড়ার পরও আপনি ক্যাম্পাসে থাকলে।

কলিজার ত্বকে স্প্রিং না থাকলে যতবারই আপনার চিরচেনা জায়গাগুলোর সামনে দিয়ে যাবেন, ততবারই ছোট ছোট চিড় ধরবে কলিজায়।

চোখে হাই পাওয়ারের চশমা থাকলেও সদ্য অতীত হওয়া স্মৃতিগুলো জীবন্ত ঝকঝকা ছবির মতো ভাসবে। সদ্য অতীত বললাম কারণ পৃথিবীর বয়সের তুলনায় পৃথিবীতে আমাদের বয়স নগন্য। এই পৃথিবী অনেককে বুড়ো হতে দেখেছে। অবশ্য কতিপয় লোক বুড়ো হননি। তারা চিরতরুন ছিলেন? নাহ, তাদের যাত্রা স্বল্পতর ছিল।

কদিন আগের কাটানো নির্ভার সময়গুলো পাল্লায় তুলে মাপতে শুরু করবেন। এরই মধ্যে খেয়াল করবেন আড্ডার কয়েকটা মুখের ছবি হারিয়ে গেছে। হয় দুনিয়া থেকে, নাহলে মন থেকে।

কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস একবারে এসে চোখটা পানিতে ফুলে উঠবে, আপনি সামলে নিবেন। কেও দেখে ফেললে বলে দিবেন, "ইস, চোখে আবার ঝাল পোকাটা পড়লো!"

আপনার উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়বে। জগতের স্বাভাবিক নিয়মে সে চাপ নিতেই হবে আপনাকে। ছেলে হলে ছেলের দায়িত্ব পালন করতে হবে, মেয়ে হলে মেয়ের। এভাবে বাবা, মা, ভাই, বোনের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দেখবেন এগুলোতে পয়সা পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত গতির অর্থনীতির জগতে কর্পোরেট ব্রেইনওয়াশড কতিপয় আপনাকে বোঝাবে, “Hustle Culture” এবং কর্পোরেট ল্যাডারে উপরে উঠতে সেলফ গ্রাইন্ডিং এর অসীম মাহাত্ম্য!

এগুলোতে যদি মন খারাপ হয়ে যায়, একটা ভালো খবর দিই। আপনি এখনো বুড়ো হননি। আপনার এখনো সময় আছে, অগোছালো জীবন গুছিয়ে নেয়ার। আপনি জগত পরিবর্তন করতে পারবেন না, তবে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার অন্যায্য, ক্ষতিকর, অসীম চাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে আনুন। এরপর আপনার কিসে খুশি, কতটুকুতে খুশি খুঁজে বের করুন। কিছু বিকল্প রাখুন। প্রয়োজনে ধৈর্য ধরুন। আপনি আস্তিক হলে ধৈর্য ধরা সহজ হবে।

আপনি এখনো বুড়ো হননি এই খুশিতে একটা কাজ করতে পারেন। একটা বনরুটি কিংবা বিস্কুট কিনে রাস্তার কুকুর কিংবা বিড়ালটাকে খাওয়াতে পারেন।

আমার সাথে
-দেশের পশুখাদ্যে বিদেশ নির্ভরতা ও
-প্রচলিত কৃষি জমির ব্যবহার কমাতে

সাইকেল রাইড ও “উচ্চফলনশীল ঘাসের কাটিং রোপন” আয়োজনেও যুক্ত হতে পারেন। ভালো কিছু করার আনন্দ পাবেন।
…………………………………………………………চলবে

Life as an oldy
Bodrul in sight || thinking loud

Energy saving ft Passive cooling/heating: Journey towards success… Life in sightহিটওয়েভে ঠান্ডা থাকা, এনার্জি সেভিং ইত্য...
23/06/2024

Energy saving ft Passive cooling/heating: Journey towards success… Life in sight

হিটওয়েভে ঠান্ডা থাকা, এনার্জি সেভিং ইত্যাদি কারণে "প্যাসিভ কুলিং" নিয়ে ঘাটছি বেশ কিছুদিন যাবত! একইভাবে শীতে শৈত্যপ্রবাহের নিস্তারে "প্যাসিভ হিটিং" ব্যাপারটাও ঘুর ঘুর করছে মাথায়।

কুলিং বা হিটিং শব্দের সাথে প্যাসিভ বা গৌন শব্দটা কেন?
ছোট একটা প্রচলিত গল্পের মাধ্যমে উদাহরণ দিই। এক ছিল কিপ্টা। তাকে একবার প্রশ্ন করা হলো,
-তোমার যখন গরম লাগে, কি কর?
-ফ্যানের নিচে যেয়ে বসি।
-ফ্যানের নিচে বসেও যদি গরম না কমে, তাহলে কি করো?
-ফ্যানের সুইচ টিপে ফ্যানটা চালু করি!

ফ্যান ছেড়ে দিলে তো হলোই, সরাসরিই কুলিং বলতে হবে সেটাকে (আজকের লেখার জন্য)। মজার ব্যাপার হলো গল্পের কিপ্টাই কিন্তু একটা মাত্রা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব ও যৌক্তিক কাজ করছে। ফ্যানের নিচে বসলে যদি গরমের অনুভূতি সত্যিই কমে, তাহলে সেটা প্রযুক্তিগত “প্যাসিভ কুলিং” না হলেও “সাইকোলজিক্যাল প্যাসিভ কুলিং” বলাই যায়।

এখন গরম লাগলে ফ্যান না ছেড়ে যদি প্রাকৃতিক বাতাসে বসা যায়? তাহলে সেটা আজকের উদাহরনে প্যাসিভ কুলিং। এখন বাইরে বাতাসে বসার পরিবর্তে যদি বাইরের বাতাস কোন ব্যবস্থায় ঘরে আনা যায়! তাহলে সেটাকেও আজকের জন্য প্যাসিভ কুলিং বলবো।

মরুর দেশ গুলোর প্রাচীন স্থাপনাতেও প্যাসিভ কুলিং ব্যবস্থার নজির পাওয়া যায়। এমনকি তারা রেডিয়েটিভ কুলিং সিস্টেম (শুনতে জটিল, কিন্তু সিম্পল সিস্টেম। আরেকদিন বলবো এটা নিয়ে ইনশাআল্লাহ্‌) ব্যবহার করে বরফও বানাতেন।

আধুনিক কালে বহু স্থাপনায়ও প্যাসিভ কুলিং ব্যবস্থা এডপ্ট করা হয় জানা/অজানায়, ছোট বা বড় আকারে। যেমনঃ উইপোকার ঢিবির কুলিং ব্যবস্থার অনুকরনে স্থপতি Mick Pearce জিম্বাবুয়েতে Eastgate নামের একটা বহুতল commercial building ডিজাইন করেছেন। যেটা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে! আরও জানতে কমেন্টে দেয়া লিংক থেকে National Geographic চ্যানেলের ভিডিওটা দেখতে পারেম।

উল্লেখ্য প্রাকৃতিক ব্যবস্থার অনুকরণে কোন কিছু ডিজাইন করলে সেটাকে Biomimicry বলে।

আজকেও NightHawkInLight ইউটিউব চ্যানেলের দারুণ একটা ভিডিও সাজেশনে আসলো। ম্যাটারিয়েলের পরিচিত একটা বৈশিষ্টের খুবই প্র্যাক্টিকেল একটা ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম।

PCM (Phase Change Material) নিয়ে বলবো অল্প। Phase বা দশা পরিবর্তন পরিচিত সব বস্তুর সাধারণ বৈশিষ্ট। এর সিম্পল উদাহরণ পানি-বরফ-বাষ্প, এই তিন সাধারণ অবস্থায় রুপান্তর।

পানি বরফ হওয়ার জন্য তাপ ছাড়ে, বরফ পানি হওয়ার জন্য তাপ গ্রহণ করে।

এই পরিবর্তনের সময়ে তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না পানি বা বরফের। ছোটবেলার বিজ্ঞান বইয়ে পড়া Latent Heat বা সুপ্ত তাপই বর্ণনা করলাম আদতে!

এই যে বললাম, তাপ গ্রহণ/বর্জন করে কিন্তু তাপমাত্রা চেঞ্জ হয় না! এই বৈশিষ্ট্যর জন্যই যখন PCM বস্তু দিয়ে তৈরি কিছু আমাদের দেহের সংস্পর্শে থাকবে (যেমনঃ বরফ), বৈশিষ্ট্যভেদে সেটা আমাদের দেহের তাপ কমাবে/বাড়াবে। যেমন বরফ বা বরফ ভরা বোতল গায়ের স্পর্শে রাখলে বরফ পানি হবে, কিন্তু তাপমাত্রা পরিবর্তন হবে না!

ছোটবেলায় একরকম মুখস্ত করেছি, বুড়া বয়সে এর সম্ভাব্য প্রয়োগ সম্পর্কে অল্প অল্প ধারণা পাচ্ছি।

মজার ব্যপার হচ্ছে PCM এর ব্যবহার প্যাসিভ কুলিং ও হিটিং উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে।

আমি আশাবাদী প্রযুক্তি দিয়ে এনার্জি সেভিং করে অথবা এনার্জি প্রোডাকশন বাড়িয়ে ভূমিকা রেখে সফল হওয়ার যে প্রতিজ্ঞা করেছি, ইনশাআল্লাহ্‌ একদিন পূরন হবে।

ওহ, প্যাসিভ কুলিংয়ে PCM এর ব্যবহার নিয়ে যে ভিডিওটা দেখেছি তার লিংক কমেন্টে দেয়া থাকবে। বলাবাহুল্য ভিডিওর আইডিয়াটা যাস্ট একটা ধারণা দেয়। Not necessarily এই ভিডিওতে তৈরি PCM দিয়েই আমাদের প্রয়োজনীয় এক/একাধিক ব্যবহার্য বস্তু তৈরি করা যাবে!

আমার পরিকল্পনাটা বলেই দিই। এমন একটা সিস্টেম ডেভেলপ করবো, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার থাকবে বর্তমানে ব্যবহৃত এনারজি/বিদ্যুত/তাপ কনজিউমিং ব্যবস্থার বিকল্প বা পরিপূরক হিসেবে। হিন্ট দিয়ে রাখি, বাসাবাড়িতে সিমালটেনাসলি আইস ব্যাটারি ও স্যান্ড ব্যাটারির সংযুক্তির সম্ভাব্য উপযোগীতা নিয়েও স্টাডি করবো। এই স্টাডি আমার ক্যারিয়ার ভবিষ্যৎ (বিজনেস) এর সাথে একসাথে অথবা ভিন্ন পথে হাঁটতে পারে। আগেও বলেছি আমার কাছে সাক্সেস আর ক্যারিয়ার দুইটা ভিন্ন বিষয়।

ইনশাআল্লাহ্‌, সময় নিয়ে লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করবো। ঠিক কি পরিমাণ এনার্জি সেভ করা যেতে পারে, সেটা বলবো। টার্গেট পূরন করতে পারলে আমার শিক্ষাজীবন সফল ধরে নিবো।

Journey Towards Success
Life in sight || Bodrul Shaon

বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং, আইস ব্যাটারি ও পাম্পড হাইড্রোঃ ইউটিউব এলগরিদম লিটারেলি আমার মাইন্ড রিড করেছে!সমস্যাঃ ঢাকার পানীয়...
15/06/2024

বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং, আইস ব্যাটারি ও পাম্পড হাইড্রোঃ ইউটিউব এলগরিদম লিটারেলি আমার মাইন্ড রিড করেছে!

সমস্যাঃ ঢাকার পানীয়তে ভেজাল বরফ
বাংলাদেশে খাদ্যে যেসব বরফ ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে ঢাকার স্ট্রিটফুডে, তার গুনগত মান ও উৎস নিয়ে যৌক্তিক কারনেই আমরা চিন্তিত। এই বরফ গরম কালে ব্যবহার করা হয় মূলত খাবার/পানীয় ঠান্ডা করতে।

উদাহরণস্বরূপ শরবত ঠাণ্ডা করতে বরফ দিয়ে দেয়া হয়। অথবা আখের রস ঠাণ্ডা করতে (অথবা পরিমাণে বাড়াতে) বরফ ব্যবহার করা হয়।

এখানে ঠান্ডা করার ইন্দ্রিয়গত ইমপ্যাক্ট আছে। যা যেকোন ঠান্ডা খাবার/পানীয় খেলেই অনুভূত হয়। আরেকটা আছে সাইকোলোজিক্যাল (ব্যাক্তিগত অভিমত)। যেটায় চক্ষু নামের ইন্দ্রিয়ের ভূমিকা আছে। এম্নিতে ঠান্ডা পানীয়র চেয়ে বরফওয়ালা ঠান্ডা পানীয় বাড়তি তৃপ্তি দেয় ক্ষেত্রবিশেষ। আপনারা কখনো খেয়াল করে থাকলে জানাবেন। ঠান্ডা পানীয়র চেয়ে বরফ দেয়া ঠাণ্ডা পানীয় বেশি তৃপ্তিকর মনে হয়েছে কি না কখনো।

যাইহোক, বরফ সরাসরি খাবারে বা খাবার প্রস্তুতিতে চোখের সামনে রাখার প্রবনতার জন্যই বরফ ব্যবহার হয় সরাসরি। আবার কাজটা করা বা প্রসেসটা মেইন্টেইন করাও সহজ। বরফকল অথবা যেকোন জায়গার বরফ আনো, টুকরা করে স্টোর করো আর মিশাও!

ফলে দেখা যায় বরফ অথবা বরফ করতে ব্যবহৃত পানি অথবা বরফকলের পরিবেশ অথবা বরফ সংরক্ষণের পদ্ধতির কোন একটিতে সমস্যা হলে সরাসরি জনস্বাস্থে ইমপ্যাক্ট পড়ে।

সমাধান কি?

সরাসরি বরফ দিয়ে ঠান্ডা করায় এই ব্যবস্থাকে “বরফ দিয়ে ডিরেক্ট কুলিং” বলছি, যেখানে কুল করা এবং বরফ ব্যবহার করা মুখ্য। কিন্তু বিকল্প আরেকটা পদ্ধতি গ্রহন করা যায়।

“বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং” ব্যবস্থা। যেখানে কুল করাটা মুখ্য হলেও বরফ ব্যবহার করাটা মুখ্য না।

এই ব্যবস্থাটার সাথে “সঙ্গদোষে লোহা ভাসে” প্রবাদটা যাবে। ব্যবস্থার মূল সূত্র টা কি?

তাড়াহুড়োর সময় ফ্রিজ থেকে বোতল বের করে দেখলেন বরফ জমে গেছে বোতলে। বোতল কাটার অপশন না থাকলে কি করেন? বোতলটা ধুয়ে পানিভরা জগে ডুবিয়ে দেন। তাতে ঠান্ডা বোতলের স্পর্শে পানিটাও ঠান্ডা হয়।

আবার বরফ জমা বোতল অর্ধেক ভরা থাকলে বোতলে নরমাল পানি ঢেলে কিছুক্ষন রেখে দিলে পানিটা ঠান্ডা হয় বরফের স্পর্শে।

“বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং” ব্যবস্থাটা এমনই হবে। যাতে বরফটা একটা তাপরোধী বদ্ধ জায়গায় থাকবে (এতে বরফের পরিবেশ থেকে তাপ নেয়া সর্বনিম্ন হবে)। এবং সেই বরফের ভেতরে তাপের সুপরিবাহী এবং ফুডগ্রেড পাইপ কয়েল আকারে থাকবে। যার একপ্রান্ত দিয়ে নরমাল পানি দিলে অন্য প্রান্ত দিয়ে ঠাণ্ডা পানি বের হবে।

এখানে কারিগরি জটিলতা আসবে নিম্নরূপঃ
-পাইপের কয়েলে বরফ জমে পাইপ ক্লগ হওয়া
-পাইপ পেঁচানো হওয়ায় হাইজিনিক্যালি মেইন্টেইন করা
-একইসাথে ইন্সুলেটিং/তাপরোধী ও কন্ডাকটিং/তাপ সুপরিবাহী বস্তুর সমন্বয়ে ডিজাইন করা। যাতে ভেতরের বরফ পরিচালিত পানি ছাড়া অন্য কিছুর সাথে তাপ পরিবর্তন/হিট এক্সচেঞ্জ করতে না পারে।

পাশাপাশি এমন আদর্শ মেকানিজমের ডিভাইস বানানো গেলেও এর প্রাথমিক খরচ করা ও উদ্যোক্তাদের কনভিন্স করা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে সম্ভাবনার জায়গাটা হচ্ছে “স্বাস্থ্যসম্মত” উপায়ে কুলিং এর ব্র্যান্ডিং করে প্রিমিয়াম চার্জ করতে পারবেন বিক্রেতারা।

এই ব্যবস্থাটা কি আকাশ-কুসুম ভাবনা? সিস্টেম বিবেচনায় অবশ্যই না।

সিমিলার প্রসেসে টিপিক্যাল কুলিং (সেটা হোক এসি অথবা ফ্রিজ) কাজ করে। এবং সেইম প্রসেসে শিকাগো শহরের ঘরের কুলিং সিস্টেম কাজ করে।

আইস ব্যাটারি

“আইস ব্যাটারি” নামক ব্যবস্থায় ঘরের ছাদে তাপরোধী পাত্রে বরফ জমানো হয় উপযুক্ত সময়ে। পরবর্তীতে দরকার অনুযায়ী সেই বরফ ব্যবহার করে ঘরের ভেতরটা ঠান্ডা রাখা হয়। মেকানিজম ইতোপূর্বে বর্ণিত “বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং” এর মতোই। পার্থক্য হচ্ছে পানির পরিবর্তে এই ব্যবস্থায় বাতাস ঠান্ডা করা হয়। পাশাপাশি পানি জমাট বেঁধে যাওয়া এড়াতে এন্টিফ্রিজ ব্যবহার করা হয় ও সিস্টেমের প্রয়োজনে কিছু বাড়তি মেকানিজম সেট করা হয়েছে।

এখন “আইস ব্যাটারি” কেন বলা হলো?
কারণ একবার বরফ তৈরি করার পর এটা অনেক সময় ধরে সংরক্ষণ করা হয়। ফলে যেসময় বিদ্যুতের চাপ কম ও পরিবেশ অনুকূলে (পরিবেশ উত্তপ্ত থাকলে ফ্রিজিং এ বেশি শক্তি ব্যয় হয়) সেসময় বরফ তৈরি করে রাখতে পারে সিস্টেম, পরবর্তীতে ব্যবহার করা যায়।

আফসোসের জায়গা হচ্ছে সিমিলার মেকানজমে কুলিং এর ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিলাম। আশার ব্যপারটা হচ্ছে ভাবনাটা লজিক্যাল ছিল। আশংকার কথা হচ্ছে ইউটিউব কিভাবে আমার ভাবনার সাথে এলাইন করা একটা প্রযুক্তির সাজেশন দিয়ে দিলো? এলগরিদমটা বুঝলো কি করে?

ইউটিউব কিভাবে আমার মাইন্ড রিডিং করলো?

“এলগরিদমটা বুঝলো কি করে” প্রশ্নটার উত্তর অবশ্য আছে। আমি কুলিং সিস্টেমের চিন্তার খোরাকের জন্য বিভিন্ন ভিডিও খুঁজছিলাম। মাইক্রোফোন ট্যাপ করা ডাটাও এলগরিদমের বিবেচনায় গেছে কি না (পরিচিতদের সাথে প্রায়ই চিন্তাগুলো শেয়ার করি)। সেইসাথে হয়তো রেগুলার সার্চ, Gemini-র ডাটাও ফিড করেছে এলগরিদমকে।

প্রসঙ্গে ফিরি।
কুলিং কিংবা আইস ব্যাটারির আলোচনায় “পাম্পড হাইড্রো” আসলো কোথা থেকে! পাম্পড হাইড্রো বিষয়টা কি?

পাম্পড হাইড্রো

পাম্পড হাইড্রো একরকম কৃত্রিম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা। যেখানে পাহাড়ের উপরের পুকুর/লেক/জলাধার ব্যাটারির মতো কাজ করে। বুঝিয়ে বলছি।

জলবিদ্যুৎ কিভাবে উৎপাদিত হয় তা তো আমরা জানি নিশ্চয়ই। উচু জায়গার বিভব শক্তি অলা পানি যখন প্রবাহিত হয় তখন এর স্রোতে বা ঢালে শক্তি পাওয়া যায়। এই শক্তি বা জলের তোড় ব্যবহার করে টার্বাইন ঘোরানো হয়, যাতে যুক্ত জেনারেটরও ঘুরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

সাধারণত প্রাকৃতিক স্রোতবিশিষ্ট জলাধারে বাধ দিয়ে এমন ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে পাহাড়ের উপর জলাধার বানিয়ে বা ছোট প্রাকৃতিক জলাধারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করার কি প্রয়োজন? জলাধারে পানি কম থাকলে তো পানি শেষ হয়ে গেলেই বিদ্যুৎ উৎপাদন থেমে যাবে!

এক মানুষের চিন্তার যেখানে সমাপ্তি, অন্যজনের শুরু। নিচেও একই আকারের আরেকটা জলাধার থাকে এই ব্যবস্থায়। উপরের পানি নিচে আসার পথে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। পানিটা আবার জমা হয় নিচের পুকুরে।

আবার উপযুক্ত সময় বুঝে পানিটা পাম্পিং করে উপরের পুকুরে তোলা হয়। লাভ কি?

বিদ্যুতের মূল্য দিনের বিভিন্ন সময়ে উঠানামা করে। আবার দিনের বেলা সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে জ্বালানি খরচ ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। আবার বিদ্যুৎ স্টোর করে রাখার ফিজিবল ব্যবস্থা (লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি) ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণত চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রায়ই অপচয় হয়।

এই সময়গুলোতে স্বল্পমূল্যের বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই পুনরায় উপরের পুকুরে পানি ভর্তি করা যায়।

এই রিভার্স পাম্পিং এর জন্যই ব্যবস্থাটার নাম পাম্পড হাইড্রো।

বছর তিনেক আগে যখন এই “পাম্পড হাইড্রো”-র সম্পর্কে জেনেছি আমি আমাদের IWM এর কয়েকজন শিক্ষকের সাথে দেখা করে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাদের ফিল্ড অফ ইন্টারেস্ট বা ফিল্ড অফ এক্সপারটিজ এ “পাম্পড হাইড্রো” কনসেপ্ট না থাকায় আলোচনা এগোয় নি।

নবায়নযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত তথ্যবহুল রিপোর্টের জন্য সুপরিচিত PV Magazine-মারফতে জানলাম, সম্প্রতি চীন সরকার Fujian প্রদেশের Xiamen এর কাছাকাছি ১.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতার পাম্পড হাইড্রো স্টোরেজ স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে। যেখানে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটা রিভারসেবল পাম্প-টারবাইন জেনারেটর বসানো হবে। রিভারসেবল মানে এসব টার্বাইন দিয়ে পানি প্রবাহিত করলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, আবার বিদ্যুৎ দিলে পানি পাম্প করা যাবে। যেই পাম্পিং উপরে থাকা রিজার্ভার রিভার্স পাম্প করার কাজে ব্যবহার করা হবে।

পরিশেষ

আপনারা প্রশ্ন করতেই পারেন,
“বরফ দিয়ে প্যাসিভ কুলিং” বুঝলাম ঢাকার পানীয় ঠান্ডা করায় কাজে আসবে। “আইস ব্যাটারি”-ও শহরের বাসাবাড়িতে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু পাম্পড হাইড্রোর কথা কেন বলছি? এর কি আদৌ কোন সম্ভাবনা আছে দেশে?

কাপ্তাই লেক থেকে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ দিন দিন কমছে লেকের পানি স্বল্পতায়। সেখানে পাম্পড হাইড্রোর মতো ব্যবস্থার সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতেই পারে!

Possible Improvement of the Existing Systems
Bodrul in sight || thinking loud

(Image courtesy: Climate Reality)

আমি একটা "পার্সোনাল মাইলস্টোন" স্পর্শ করেছি…Life in sightএতোদিনে কেবল সফলতার সংজ্ঞা ঠিক করতে পেরেছি। কোন ধরনের কাজ করতে ...
15/06/2024

আমি একটা "পার্সোনাল মাইলস্টোন" স্পর্শ করেছি…Life in sight

এতোদিনে কেবল সফলতার সংজ্ঞা ঠিক করতে পেরেছি। কোন ধরনের কাজ করতে পারলে নিজেকে সফল ভাববো, কাজের এপ্রোচটা কেমন হবে!

যারা জানেন না তাদের জ্ঞাতার্থে রিপিট করি উত্তরগুলো।

কোন ধরনের কাজ করতে পারলে নিজেকে সফল ভাববো?
বৃহত্তর স্বার্থে ইমপ্যাক্টফুল হবে এমন কিছু করতে পারলে সফল ভাববো।
কাজের এপ্রোচটা কেমন হবে?
ORS বা খাবার স্যালাইন আবিষ্কারের মতো। সহজলভ্য উপাদান ও সিম্পল প্রসেস কিন্তু ফলাফলের ইমপ্যাক্ট ব্যাপক। খাবার স্যালাইন আবিষ্কারের আগে কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের কারণে ক্ষতি হতো ব্যাপক। কিন্তু ঘরের এক মুঠ গুড়, এক চিমটি লবণ ও আধা সের পানি ব্যবহার করে তৈরি খাবার স্যালাইনের উছিলায় কত কমে গেলো কলেরার ক্ষতি! এমনই কিছু করতে হবে, যেটা সহজ কিন্তু ইম্প্যাক্ট ব্যাপক (অবশ্যই ইতিবাচকভাবে ব্যাপক)।

আজকে মাইলস্টোন কিভাবে স্পর্শ করলাম?
আজকেই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি এনার্জি সেক্টরটাতেই ইতিবাচক ইম্প্যাক্ট আনার চেষ্টা করবো। খুঁজবো এমন সব প্রসেস, যাতে এনার্জি কনজাম্পশন কমে আবার এনার্জি কম ব্যবহারের ফলে পূর্বেকার ব্যবস্থার উপযোগিতাও না কমে অথবা এনার্জি উৎপাদন বাড়ে। এই লক্ষ্যে বড় একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চিন্তাগুলোকে পরিবেশবান্ধব রাখা।

এবং আমি আশাবাদী সুস্থ-স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন ভাবে অর্ধযুগ বেঁচে থাকতে পারলে আমার কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ্‌। এর পর আমার আফসোস থাকবে না। যা থাকবে তা কেবল ব্যাক্তি ও পারিবারিক জীবনের দায়বদ্ধতা!

আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমি সফল হতে পারি আমার সফলতার সংজ্ঞায়। আমার এমন একরোখা মনোভাবের জন্য আমার পরিবার কষ্ট করছে। তাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন। পরিবারের বাইরে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।

(ছবিটা আলমগীর তুলে দিছে। আমার হলে লেমন গ্রাস লাগানোর পর ময়লা হাত নিয়েই তোলা।)

Personal Milestone
Life in sight || Bodrul Shaon

ভিডিও এডিটিং ও এনিমেশন টেকনোলোজির এগ্রেসিভ প্রগ্রেস... (পর্ব ০১)এনিমেশন (সিমুলেশন) সফটওয়্যার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা২০২০ সালে...
26/02/2024

ভিডিও এডিটিং ও এনিমেশন টেকনোলোজির এগ্রেসিভ প্রগ্রেস... (পর্ব ০১)

এনিমেশন (সিমুলেশন) সফটওয়্যার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা

২০২০ সালে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা সফটওয়্যার দিয়ে এনিমেশন ভিডিও বানিয়েছিলাম। বলছিলাম ইউটিউব দেখে Plotagon (PC Software) এবং Plotagon Story (Android App) ব্যবহার করে বানানো এনিমেশন ভিডিওর কথা।

Plotagon Story নামানো যায় Google Play Store থেকেই, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেটিং 4.2/5 এবং ৫০ লাখ+ ডাউনলোড এপ্লিকেশনটির। Plotagon দিয়ে আমার বানানো সোশ্যাল কন্সার্ন বেজড একটা ভিডিওর লিংক কমেন্টে দিয়ে রাখবো।

Plotagon বা Plotagon Story-তে ক্যারেক্টার তৈরি করা যেতো ফরম্যাট অনুযায়ী। সেই সাথে এনভায়রনমেন্টও। আবার টেক্সট টু ভয়েস ছিল। যেখানে লিখে দিলে সেই কথাগুলো ভিডিও ক্যারেক্টারগুলো বলতো, এক্সপ্রেশন ঠিক করার জন্যও অপশন ছিল। যেমনঃ হেসে কথা ব্ললা, রাগে কথা বলা প্রভৃতি ইমোশন প্রকাশের জন্য ব্যবস্থা ছিল ভয়েসে।

বেশ পাওয়ারফুল সফটওয়ার। অনেক ইউটিউব চ্যানেল এই Plotagon ব্যবহার করে ভিডিও বানিয়ে চ্যানেল দাঁড় করিয়েছে। এক কথায় ক্রিয়েটিভদের জন্য দারুণ টুল ছিল তখনকার সময়েই! যার সেলিং পয়েন্ট ছিল কনভেনিয়েন্স। হাতে আকা এনিমেশনের যুগ শেষ হলেও তখনো ডিজিটালি ফ্রেম বাই ফ্রেম এনিমেশন আকাই স্বাভাবিক ছিল। মেইনস্ট্রিম এনিমেশন ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে এখনো প্রধান ভরসা ফ্রেম বাই ফ্রেম ডিজিটালি আঁকা এনিমেশন। যাতে হয়তো ভিন্নভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইম্পোজ করা।

যাইহোক Plotagon রিলিজ হয়েছিল ২০১৩ সালে, পিসি ভার্সন। মাসি ভার্সন, আই মিন Android ভার্সন Plotagon Story রিলিজ হয় ২০১৭ সালে। দুইটাই ভারি সফটওয়্যার, হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমি স্মার্টফোনেই প্রথম নামিয়েছিলাম প্রথম। ফোনটা একটু পুরাতন হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোন হওয়ায় সফটওয়্যার ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করতে পেরেছে। সমসাময়িক অন্যান্য এনিমেশন বানানোর এপ্লিকেশনগুলো নামিয়ে ব্যবহার করে এটাই ভালো এবং কনভ্যানিয়েন্ট লেগেছে। আর হ্যাঁ, ফ্রি ভার্সনে যতটুকু সার্ভিস পেয়েছি সেটার হিসেবে বলেছি। ক্র‍্যাক যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, অভ্যাস করে নিয়েছি এটা।

অবশ্য Plotagon পিসি সফটওয়্যারের খোঁজ যখন পেলাম তখন সেটাই ভালো লেগেছিল। যদিও টুকটাক হ্যাং-ট্যাং মেরেছে বহুবার (পিসিও ছিল একরকম পটেটো পিসি)। কিন্তু ফোনের চেয়ে পিসির ফ্রি ভার্সনে ফিচার অনেক বেশি! ক্যারেক্টার, এনভায়রনমেন্ট (সিনারি/ব্যাকগ্রাউন্ড), ভয়েস প্রভৃতি ফিচারগুলো।

ফ্রি ভার্সনে ওয়াটারমার্ক থাকতো এনিমেশন গুলোতে।

আর সফটওয়্যারটা ক্লাউড বেজড ছিল না, ডিভাইসের প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করে। এই বিষয়টা মাথায় রাখবেন পরবর্তী আলোচনায় কাজে আসবে।
...........................(চলবে)
(উল্লেখ্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেখা সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয় পোস্ট করার পরেও। আপনার অভিজ্ঞতা/মতামত জানান কমেন্টে)

07/04/2022

ছোটবেলার পুরনো ছবি নষ্ট হয়ে গেছে এলবামে রেখে?
চিন্তা নেই, দোকানে নেয়ার আগে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন!
কিভাবে করবেন টিউটোরিয়াল লাগবে? কমেন্টে জানান।
এমন আরো টিপস ও টিউটোরিয়ালের জন্য ফলো করুন পেজটি। সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলঃ https://www.youtube.com/channel/UC605h5Gnqg7r1TTP0Ke8U_A

27/09/2021

কেমন আছে প্রাথমিক শিক্ষা? ।। কেন্দুয়া উপজেলা
DAWN TALES-এর নিয়মিত শো D TALES এর অন্যতম সিরিজ। যেটার BGM করা হয়েছে Groovepad App দিয়ে।
মিউজিক মিক্সিং/মাস্টারিং জটিল বিষয় হলেও Groovepad এপ্লিকেশনটি দিয়ে টুকটাক মিউজিক বানানো যায়। বড় সুবিধা হলো কপিরাইট স্ট্রাইক আসার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে!
ইনশাআল্লাহ, টিপ্স-ট্রিক্স শেয়ার করবো একদিন। কিভাবে আপনার প্রয়োজনে বানিয়ে ফেলবেন BGM!
DAWN TALES-এর ইউটিউব চ্যনেল সাবস্ক্রাইব করে ফেলতে পারেন সুন্দর, বাস্তবসম্মত ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে চাইলেঃ https://youtube.com/channel/UC_v5p2PBfhwlmD3Udly7pDw

If video editing processes are lovely creatures, Davinci Resolve is an ecosystem.Almost no reason I could choose anythin...
05/09/2021

If video editing processes are lovely creatures, Davinci Resolve is an ecosystem.
Almost no reason I could choose anything else without it!
Tutorial coming soon...! Stay tuned.
(By soon I mean later)

Eid Mubarak!Hope Allah keeps you happy from this day onward ✨
14/05/2021

Eid Mubarak!
Hope Allah keeps you happy from this day onward ✨

27/04/2021

D TALES with Bodrul's this episode’s guest Assadujjaman Bappy. Owner of Anchor Clothing, brand with exclusive custom designed t-shirt. We talked about the starting of Anchor Clothing, their products. Also asked for special buying tips! Hope you like their story. Anchor Clothing Facbook Page:

https://www.facebook.com/anchorclothing.bd

D TALES

WE ALL HAVE A STORY TO SHARE

It's an exclusive interactive interview show hosted by Bodrul Islam (Shaon). If you think your story can inspire others, leave a response in the comment. Our team will contact you. Keep on doing and inspiring good works!

Watch Bappy, Owner of "Anchor Clothing" sharing their story on D TALES with Bodrul.Today at 5:00PM.Stay tuned!
27/04/2021

Watch Bappy, Owner of "Anchor Clothing" sharing their story on D TALES with Bodrul.
Today at 5:00PM.
Stay tuned!

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bodrul in sight posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bodrul in sight:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share