29/07/2023
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান প্রযুক্তিময় বিশ্বে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া কর্মজীবীরাও অবসরে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। আজ সেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের স্বপ্ন ও বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব- ফ্রিল্যান্স কী ‘ঘরে বসে আয় করুন লাখ লাখ টাকা’- এরকম চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখেই আমরা ফ্রিল্যান্স করছি। ইউরোপ, আমেরিকা, দুবাই বা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকা কিছু মানুষ যাদের আপনি চোখে দেখেননি। তারা একটি কাজ একটি প্লাটফর্মে ছেড়ে দেবে। আপনাকে সেটা বিড করে উইন করতে হবে। কাজ শেষে তারা আপনাকে পে করবে, রেটিং দেবে। কী ধরনের কাজ অনেক রকমের কাজ আছে। প্রোডাক্ট রিভিউ লেখা, ই-মেইল মার্কেটিং, ডিজাইন, ড্রইং ইত্যাদি হাজার হাজার কাজ আছে। এ সুযোগে বিদেশে পড়তে আসা কিছু ছাত্র তাদের অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট ও থিসিসের কাজও সেখানে দিয়ে দেয়। এছাড়া আপনি কন্টেন্ট, ব্লগ অনেক কিছুই লিখতে পারেন। তবে আমি একজন স্টুডেন্টের অ্যাসাইনমেন্ট বা পরীক্ষা দিয়ে দেওয়াটা সমর্থন করি না।
কাজের ক্ষেত্র আপনি যদি ফ্রিল্যান্স করতে চান? নাকি জব পাওয়ার আগ পর্যন্ত করতে চান। পাকা সিদ্ধান্ত নিন। আপনাকে প্যাশন থেকে কাজ করতে হবে, ডেস্পারেট হতে হবে। আপনি ইঞ্জিনিয়ার। ডিজাইনের কাজ নিন, বাইরের দেশের কোম্পানিগুলো থেকে কাজ নিন। কাজের রেট জানুন। ডাইরেক্ট ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করুন। তাহলে তা সেটা আপনাদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে কাজে আসবে।কাজের মূল্য লেখালেখির কাজগুলোতে ১০০০ শব্দের জন্য প্রায় ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। ৬ মাস ডেডিকেশন দিয়ে কাজ করলেই সেটা সম্ভব।।তৃতীয় পক্ষ সহজ ভাষায় বলতে তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে ক্লায়েন্ট ও রাইটারের মাঝে মধ্যস্থতাকারী। এরা কিছুই করে না, ক্লায়েন্টের কাজ রাইটারকে দেয়, রাইটারের কাজ ক্লায়েন্টকে দেয়। মাঝখানে থেকে তারা হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। স্বপ্ন ও বাস্তবতা নিজে প্রকৃত ফ্রিল্যান্সার হোন। অন্যদের কাজ দিন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইথিক্স বজায় রাখবেন। স্বপ্ন দেখুন আর বাস্তবতা যতই কঠিন হোক না কেন কাজে লেগে থাকুন। তৃতীয় পক্ষের সাথে নয় নিজেই হোন নিজের মালিক। তবেই স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দেওয়া সম্ভব।