03/08/2024
১৬ জুলাই বেলা আড়াইটা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। হাতে লাঠি ছিল বটে, ইট-পাটকেল ছোড়ার মত ক্ষমতাও ছিল তার, তবে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হলেন তিনি।
এ তো কেবল শুরু!!
মাত্র ৬ বছর বয়সি রিয়া গোপ, বাসার ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এই ছোট্ট শিশুটি। হেলিকপ্টার থেকে তার দিকে গুলি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ; আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
সাদ মাহমুদ, ১৪ বছর বয়সী এক ছেলে, তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে খেলা করছিলেন।২০ জুলাই সাভারে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
হৃদয় চন্দ্র তরুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর বয়সী এক ছাত্র, ১৮ জুলাই প্রতিবাদের সময় গুলিবিদ্ধ হন এবং ২৩ জুলাই বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তরিত হওয়ার পর মারা যান।
"পানি লাগবে পানি?" সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এই ভিডিও টি দেখেন নি এমন কেউ নেই। মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ (২৫) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের স্নাতক। ১৮ জুলাই ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময়আন্দোলনকারীদের জন্য পানি ও বিস্কুট বিতরণ করছিলেন এবং তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর মৃত্যু সকালের মধ্যে গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে।
২৫ বছর বয়সী সবুজ আলী, ঢাকা কলেজের কাছাকাছি সংঘর্ষে নিহত হন।
২৪ বছর বয়সী, মো. শাহজাহানঢাকা কলেজের কাছাকাছি সংঘর্ষে মারা যান।
মো. ওয়াসিম আক্রাম,চট্টগ্রাম কলেজের ২২ বছর বয়সী এক ছাত্র, তিনি চট্টগ্রামে প্রতিবাদের সময় নিহত হন।
ফয়সাল আহমেদ শান্ত,২০ বছর বয়সী এক ছাত্র, চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহত হন।
মো. ফারুক: ৩২ বছর বয়সী একজন পথচারী, তিনি চট্টগ্রামে প্রতিবাদের সময় প্রাণ হারান।
নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আসিফ ও শাকিল,কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত হন তাঁরা।
দিপ্ত দে,মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রতিবাদের সময় প্রাণ হারান।
শাহীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২১ জুলাই গুলিতে নিহত হন।
সাকিব,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২১ জুলাই নিহত হন।
নাসির,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ১৮ জুলাই গুলিতে মারা যান।
রাকিব,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২০ জুলাই নিহত হন।
ফিরোজ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, ২১ জুলাই গুলিতে নিহত হন।
আলিফ,খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ১৮ জুলাই নিহত হন।
মো. মিজান,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২২ জুলাই গুলিতে নিহত হন।
জাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ২১ জুলাই নিহত হন।
এক মুহূর্তের জন্য ধরে নেই যেন ছাত্র নন তারা। তারা তো মানুষ। খুঁজলে এরকম আরো শতশত মানুষের নাম বের হয়ে আসবে। সংখ্যা আর শেষ হবে না।
এ যেন মৃত্যুর মিছিল!!!
রিপোর্ট- সানজানা তিশা
সম্পাদক- সানজানা তিশা