24/07/2022
Zunaid Ahmed Palak Sir MP, Minister of State, Bangladesh.
Md. Zahid Ahsan Russel Sir মাননীয় মন্ত্রী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ.
আপনাদের হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য করছি Sir.
বাংলাদেশে E sports সম্ভবনা অনেক বেশি এতে আমাদের দেশের অনেক উপকার হবে
পাবজি, Free fire এবং বাকি আরো যে সকল ভিডিও গেম গুলো আছে আমাদের ১ম কাজ টি হলো এটা কে সম্পূর্ণ সুস্থ মনিটরিং করে E sports দিকে নজর দেওয়া, E sports নিয়ে কাজ করা, দেশে E sports player দেরকে আলাদাভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া।
বিভিন্ন দেশগুলো তে গভমেন্ট কৃতক অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এতে দেখা যায় কিছু সুবিধা রাষ্ট্র ভোগ করে, যেমন বেকারত্ব কমে আসে, মাদকাসক্ত থেকে যুব সমাজ রক্ষা পায়, রাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে বাহির থেকে বিপুল পরিমাণ মুদ্রা অর্জন করতে পারে।
esports শুধুমাত্র গেম খেলা সম্পর্কে নয়. এতে মোটা টাকা জড়িত। খেলোয়াড়রা উচ্চ বেতন উপার্জন করতে পারে এবং তারা লাভজনক স্পনসরশিপ ডিল পেতে পারে। রেড বুল, কমকাস্ট, ইন্টেল, হোন্ডা, পেপসি, কোকা-কোলা, দ্য ক্রাফ্ট গ্রুপ এবং মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো বড় ব্র্যান্ডগুলি স্পনসর এসপোর্টস৷
esports খেলোয়াড়রা একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের সম্মুখীন হয়। তাদের সামগ্রিক খেলার দক্ষতা উন্নত করতে হবে এবং তারা পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারে না।
এআই-চালিত কোচিং অ্যাপগুলি Esports খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে পারে। এই অ্যাপগুলি খেলোয়াড়দের আরও ভাল কৌশলের পরামর্শ দিতে পারে এবং তারা খেলোয়াড়দের তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করতে কোচিং করে।
SenpAI একটি উদাহরণ। এই এআই-চালিত ডেস্কটপ এবং ওয়েব অ্যাপটি লিগ অফ লেজেন্ডস এবং ভ্যালোরেন্টের মতো জনপ্রিয় গেমগুলিতে খেলোয়াড়দের তাদের পারফরম্যান্স উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। অ্যাপটি খেলোয়াড়দের বিশ্লেষণ করার জন্য গভীরভাবে পরিসংখ্যান প্রদান করে। SenpAI এছাড়াও ইন-গেম নির্দেশিকা অফার করে।
নেতিবাচক খেলোয়াড়ের আচরণ চিহ্নিত করা
এস্পোর্টস প্লেয়াররা সব ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে। তাদের বেশিরভাগই বিনয়ী, পেশাদার এবং ইতিবাচক-মনস্ক মানুষ। যাইহোক, কিছু Esports খেলোয়াড়দের একটি প্রতিকূল মানসিক অবস্থা আছে।
অনেক Esports লিগ এবং টুর্নামেন্টের একটি উচ্চ অসুবিধা স্তর আছে. এই ধরনের খেলার জন্য খেলোয়াড়দের ভালোভাবে ফোকাস করতে হয়। খেলোয়াড়দের নেতিবাচক আচরণ সমস্ত গেমে অন্যান্য খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করতে পারে এবং প্রভাব কঠিন গেমগুলিতে বেশি হয়।
খেলার জগতে ক্রমাগত চাহিদা রয়েছে নেতিবাচক মানসিক বিস্ফোরণ এবং গুন্ডামি দূর করার এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। অনেক গেম খেলোয়াড়দের নেতিবাচক আচরণ রিপোর্ট করার অনুমতি দেয়। তবে জনবলের অভাবে ওই প্রতিবেদনগুলোর ওপর কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
AI সাহায্য করতে পারে। মেশিন লার্নিং এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়ার মতো এআই কৌশলগুলি খেলোয়াড়দের নেতিবাচক আচরণ এবং আক্রমণাত্মক মানসিক অবস্থার খেলোয়াড়দের সনাক্ত করতে পারে।
GGWP হল এমনই একটি AI সিস্টেম। এটি গেমারদের মধ্যে আপত্তিজনক আচরণ সনাক্ত করতে সাহায্য করে। gGWP স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়, যা গেমের সংযমকে সহজ করে তোলে।
আমাদের সকলকের কর্তব্য এখানে খারাপ দিক গুলো রোধ করে ভালো দিক গুলো নিয়ে কাজ করা।
🤔 E sports কি ?
ই-স্পোর্টস ক্রিকেট/ফুটবলের মতই একধরনের খেলা তবে পার্থক্য হল এটা অনলাইনে হয় এবং এগুলো ভিডিও গেমস। এখানেও টিম থাকে, লিডার থাকে, কোচ থাকে, প্ল্যান থাকে, স্ট্র্যাটেজি থাকে এবং দর্শক থাকে। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, বেডমিন্টন, কাবাডি, বিস্কুট দৌড়, ষাড়ের লড়াই, মুরগীর লড়াই যেমন আলাদা আলাদা খেলার নাম, তেমনি DOTA, CS GO, Valorant, PUBG, Call of Duty, League of Legends, Street Fighter -ও কিছু খেলার নাম যেগুলো কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহার করে খেলতে হয়। আর এই গেমগুলো অনলাইনে প্রতিযোগিতার মতো করেও খেলা যায়। এই প্রতিযোগিতা গুলো ক্রিকেট ফুটবলের মত গ্লোবাল স্টেজেও হয়ে থাকে।
🤔 ই-স্পোর্টস কি জুয়া খেলা?
ক্রিকেট ফুটবলে যেমন ট্রফি থাকে, প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার থাকে ঠিক তেমনি ভাবে ই-স্পোর্টস ইভেন্টেও ট্রফি এবং অন্যান্য পুরস্কার থাকে। সেটা টাকা কিংবা মেডেল যেকোনোটাই হতে পারে। তারমানে, ই-স্পোর্টস যদি জুয়া হয় তাহলে ক্রিকেট ফুটবলও জুয়া।
🤔 ই-স্পোর্টসের ভবিষ্যত কি?
ই-স্পোর্টস ইতিমধ্যে বিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিনত হয়েছে। আর যা ধারনা করা হচ্ছে তাতে এই ইন্ডাস্ট্রি কেবলি গ্রো করবে। সেই সাথে প্রচুর কোম্পানি স্পনসর করছে, ইভেন্ট গুলো ন্যাশনাল টিভিতে ব্রডকাস্ট হচ্ছে এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড বিশাল বিশাল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। উন্নত দেশ গুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অফিশিয়াল ভাবে ই-স্পোর্টস ইভেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে।
🤔 ই-স্পোর্টস খেলে কি সাকিব আল হাসান হওয়া যাবে?
ধারে কাছেতো অবশ্যই যাওয়া যাবে। Johan “N0tail” Sundstein কে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ধনি ই-স্পোর্টস স্টার বলা হয়। সে একজন ড্যানিস DOTA প্লেয়ার। তার সকল টুর্নামেন্টের আর্নিং একসাথে প্রায় ৬৯ কোটি টাকা।
🤔 তাহলে ই-স্পোর্টস খেললে বাংলাদেশে জেলে দেওয়া হয় কেন?
ভাই রে, অন্ধের দেশে আয়না বিক্রি করতে আসলে ফলাফল এরচেয়ে বেটার আর কি আশা করতে পারেন?
🤔 ভিডিও গেম তো একটা নেশা, এটা মানুষকে নষ্ট করে ফেলে, ঠিক না?
অতিমাত্রায় ভুল!! কারন নেশা যেকোনো কিছুরই হতে পারে। বই পড়াও একধনের নেশা। কেউ যদি নাওয়া, খাওয়া, ফ্যামিলি, সমাজ ভুলে শুধু বই পড়তে থাকে তাহলে তাকে কেউই নরমাল বলবে না। ঠিক তেমনি মাত্রাতিরিক্ত গেমের নেশাও ভালো না।
🤔 পাবজি গেমটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?
এটা অন্যান্য ভিডিও গেমসের মতোই একটি গেম। কিন্তু এটা মোবাইলে খেলা যাওয়ার কারনে একটু বেশি রুট লেভেলে পৌছে গেছে। এবং সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন থাকার ফলে কেউ কেউ অনিয়ন্ত্রিত ভাবে এই গেমে আসক্ত হয়ে পরছে যা তাদের জন্য মোটেই কল্যানকর না। তবে হ্যা, কেউ যদি কেবলই বিনোদনের উদ্দেশ্যে না খেলে তার দক্ষতাকে প্রোফেশনালি কাজে লাগায় তখন ভিন্ন কথা।
🤔 পাবজি এবং Free fire কি ব্যান করা উচিত?
সঠিক রিসার্চে যদি প্রমানিত হয় যে পাবজি, free fire আসক্তির কারনে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা হচ্ছে না, বা অতিরিক্ত সময় নষ্ট করছে তাহলে আমি ব্যান করার পক্ষেই। তবে হ্যা, ব্যান করার চেয়েও ভালো পদ্ধতি হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করা, সঠিক বয়সের আগে মোবাইল ফোন না দেওয়া এবং ফ্যামিলি থেকে সঠিক গাইডলাইন দেওয়া।
মোটকথা, গ্লোবাল ট্রেন্ড আমাদেরকে বেছে বেছেই ফলো করতে হবে। গ্লোবালি কিছু একটা হচ্ছে বলেই যে আমাদের দেশেও সেরকমই হবে বা হতে হবে তেমনটা একদমি না। আমাদের দেশে কিছু জিনিস ডেভেলপ হতে সময় লাগে। কিন্তু তাই বলে হুট করে কাউকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়াটা মোটেই কাম্য নয়। ই-স্পোর্টস বিষয়ে আমাদের জানার অনেক কমতি আছে বলেই আজ এই ঘটনা ঘটেছে। তারা কেউ জানেই না যে এই গেম খেলেও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যাওয়া যায়।
ধন্যবাদ ❣️