16/08/2023
"ফ্যাসিস্ট ও পাপীস্টা নারীর পাপের ভারে ডুবতে বসেছে বাংলাদেশ"
মাটির কথা, মানুষের কথা - বাংলাদেশের কথা বলি আমরা। আধিপত্যবাদকে অস্বীকার করি, স্বাধীনতার কথা বলি।
(1)
Be the first to know and let us send you an email when জনপ্রতিরোধ - The People's Resistance posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to জনপ্রতিরোধ - The People's Resistance:
Want your business to be the top-listed Media Company?
ডুবন্ত জাহাজকে সামলে নিয়ে তীরে পৌঁছে দেয়া, এ আমার সামর্থ্যের বাইরে। সহজ-সরল, নির্ভেজাল স্বীকারোক্তি। কিন্তু দক্ষ নাবিকদের সহযোগিতা নিয়ে তীরে পৌঁছবো, বাঁচার এই শ্বাশতঃ স্বপ্ন আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে, যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে, দেখিয়েছে এগিয়ে যাবার পথ। আশা জাগানিয়া পংথিগুলো স্বপ্ন বাতায়নে শ্বাস জোগায়, “কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে?” তাইতো ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে বলতে চাই “পৃথিবী আবার শান্ত হবে, বসতি আবার উঠবে জেগে”। হ্যাঁ, সেই স্বপ্নের পথ ধরে একটি সুষম সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি শোষণ ও নিপীড়নহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার, যেখানে মত প্রকাশের জন্যে “আব্রারদের” লাশ হতে হবে না, “লিমনদের” পা কেটে ফেলতে হবে না, কিংবা মায়ের পেটে থাকা “নামহীন অনাগত শিশুকে” গুলিবিদ্ধ হতে হবে না।
স্বাধীনতার চেতনা কি ছিলো? যুদ্ধটা আসলে কেন হয়েছিলো? কেন এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, লাখো মা-বোনের ইজ্জতের দামে কিনতে হয়েছিলো “সবুজ জমিনের উপর রক্তলাল সূর্যটাকে?” এতো ২৮শে অক্টোবরে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার আঘাতে কিশোরের লাশের জন্যে নয়, এতো নয় চাপাতির আঘাতে “অভিজিতদের” তারুণ্যদীপ্ত জীবনকে ফালা ফালা করে দেবার জন্যে। কাঁটা তারের উপর “ফেলানীদের” জুলন্ত লাশ, নিরাপদ সড়কের দাবী তোলা কিশোরদের উপর হায়েনার তান্ডব, ডেস্টিনি-বিসমিল্লাহগ্রুপ-পি.কে হালদারদের লুপাট, ব্যাংকের সোনা তামায় বদলে যাওয়া, প্রতিপক্ষকে ভোট দেবার অপরাধে (?/!) গণধর্ষণ, মধ্যরাতের ভোটার বিহীন নির্বাচন, গ্রেনেড হামলায় ছিন্ন-ভিন্ন জনসভা আর লাশের মিছিল, নিজ দেশের পুলিশদের হাতে “ইয়াসমিনদের” গণধর্ষণ, অন্নযোগানের সৈনিক সারের দাবী তোলা কৃষকদের উপর গুলিবর্ষণ – এতো সেই চেতনা নয়, যার জন্যে কৃষকের আনাড়ি হাত হয়ে উঠেছিলো দুর্বার, দুর্জয়। আর রাইফেলের নিশানা শানিত হয়েছিলো শ্রমিকের শক্ত বাহুতে।
যুদ্ধটা কি হয়েছিলো বিভাজনের জন্যে, নাকি ঐক্যের জন্যে? মুক্তির জন্যে, নাকি নিজ দেশের নতুন প্রভুদের বৃত্যে পরিণত হবার জন্যে? পিন্ডির গোলামী ছেড়ে দিল্লীর গোলামীর ফাঁদে পরার জন্যে তো নয়? কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় সেই ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদল? যুদ্ধ পিন্ডির বাঁধন থেকে মুক্তি দিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু “লাল ফিতার দৌড়াত্ব থেকে নয়, ক্ষুধা থেকে নয়, বঞ্চনা থেকে নয়, অশিক্ষা আর অপুষ্টি থেকে নয়। কই, এখন তো দেশ স্বাধীন কিন্তু ধর্ষণ তো থামেনি, গুম আর হত্যা তো বন্ধ হয়নি? যে হাতে থাকার কথা ছিলো বই সে হাতে ইট ভাঙ্গার হাতুড়ি কেন? কেন সেই হাতে খালি প্লাস্টিকের বোতল কুড়ানোর জন্যে পলিথিনের ব্যাগ?
তাহলে চেতনাটা কি ছিলো? এতো শোষণের নতুন মন্ত্রে বদলে যাবার জন্যে কোন “যুতসই শব্দ” নয়? কিংবা উন্নয়নের ফাঁপা ডামাঢোলে হরিলুটের মহাযজ্ঞ? নাকি এ এখন মুক্তিসেনানীদের স্বপ্নকে পায়ে দলে মসনদে আরোহণের বাহন?