হক্বের দাওয়াত

  • Home
  • হক্বের দাওয়াত

হক্বের দাওয়াত ❝হক্বের দাওয়াত পৌঁছে যাক সবার নিউজফিডে❞

14/01/2025

শবে-মি’রাজের রোজা || শবে-মি'রাজের রোজা রাখার হুকুম কি?? মুহাম্মদ আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী

আপনার সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে   যোগাযোগ করুন হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার, সুন্নতী জামে মসজিদ বগুড়ায়🤎
13/01/2025

আপনার সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে যোগাযোগ করুন হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার, সুন্নতী জামে মসজিদ বগুড়ায়🤎

11/01/2025

৩০শে মার্চ ২০০৩, পাকিস্তান। করাচী এয়ারপোর্টের দিকে ছুটে চলা ট্যাক্সিটার পেছনে বসা চারজন যাত্রী। একজন মা এবং তাঁর তিন সন্তান। তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ৬ বছর বয়েসী আহমাদ, তারপর ৪ বছরের মারইয়াম, সবার ছোট সুলাইমান। ওর বয়স ছয় মাস।
ট্যাক্সির ভেতর মা-র সাথে আহমাদের তুমুল তর্ক চলছে। আহমাদের ইচ্ছে ছিল ট্রেনে চড়ে করাচী থেকে ইসলামাবাদ যাবার। এই ইচ্ছার পেছনে থমাস দা ট্যাংক কার্টুনের একনিষ্ঠ ভক্ত হওয়াটা সম্ভবত বড় একটা কারণ। কিন্তু মা ঠিক করেছেন ইসলামাবাদ যাওয়া হবে প্লেনে করে। তাই আহমাদ বেশ ক্ষুব্ধ।
তর্ক চলার সময় হঠাৎ ভোজবাজির মতো ওদের ট্যাক্সিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো কয়েকটা গাড়ি। টেনেহিচড়ে ওদের নামানো হল ট্যাক্সি থেকে। সুলাইমান ওর মা-র কোলে। আহমাদ আর মারইয়াম তখন চিৎকার করে কান্না করছে। জোর করে ওদের বসানো হল একটা গাড়ির ব্যাকসিটে। গাড়িটা চলতে শুরু করার পর পেছনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আহমাদ দেখলো সুলাইমানের ছোট্ট শরীরটা মাটিতে পড়ে আছে। ওর চারপাশে রক্ত।
এই চারজন মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাবে না পরের পাঁচ বছর। তারপর কাবুলের এক কিশোর সংশোধানাগারে পাওয়া যাবে আহমাদকে। গলায় রহস্যময় কলার লাগানো অবস্থায় এক নির্জন ভোরে মরিয়মকে পাওয়া যাবে করাচীর রাস্তায়। ওদের হতবিহবল, বিধ্বস্ত ও মূমুর্ষু মা নিজেকে আবিস্কার করবেন টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থের এক জেলে। যেখানে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে। আর ঘটনার ২০ বছর পরও খোঁজ পাওয়া যাবে না ছোট্ট সুলাইমানের। ফোর্ট ওয়ার্থের জেলে বন্দী তিন সন্তানের এই মায়ের নাম ড. আফিয়া সিদ্দীকী।
আফিয়ারা তিন ভাইবোন। বড় ভাই মুহাম্মাদ আর্ক্টিটেক্ট। হিউস্টনের বেশিরভাগ মসজিদের ডিসাইন তাঁর করা। বোন ফৌজিয়া পড়াশোনা করেছেন হার্ভাডে। একসময় ছিলেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজির হেড। সবার ছোট আফিয়া গ্র্যাজুয়েট করেছেন এমআইটি থেকে, তারপর ব্র্যান্ডেইস ইউনিভার্সিটি থেকে নিউরোসায়েন্সের ওপর পিএইচডি। এমআইটি থাকা অবস্থায় কাজ করেছেন বিখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ও বুদ্ধিজীবি নৌম চমস্কির সাথে। তবে আফিয়ার মূল আগ্রহ ছিল শিক্ষা নিয়ে। বিশেষ করে পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নিজ উদ্যোগে ভালোরকমের গবেষণা করেছিলেন তিনি।
ওয়ার অফ টে-র-রের সেই দিনগুলোতে সন্দেহভাজন ‘সন্ত্রাসীদের’ ধরিয়ে দেয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ পুরস্কার ঘোষণা করে মার্কিনীরা। সেই সুযোগে পাকিস্তানের ‘মহান ইসলামী’ শাসকগোষ্ঠী ও আর্মি বিভিন্ন আরব ও পাকিস্তানী নাগরিকদের ধরে মার্কিনীদের কাছে বিক্রি করতে থাকে। এগুলো কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব না কিন্তু। খোদ পারভেজ মোশাররফ, সেই সময়কার পাক প্রেসিডেন্ট, নিজের আত্মজীবনীতে মার্কিনীদের কাছে মুসলিমদের বিকিকিনির বিষয়টা স্বীকার করেছে গর্বের সাথে।
এই বিকিকিনির ফাঁদে পড়ে যান আফিয়া। ‘সন্ত্রাসী’ হবার অভিযোগে তাঁকে খুজতে শুরু করে অ্যামেরিকা। যেহেতু আফিয়া উচ্চশিক্ষিত এবং দীর্ঘ সময় অ্যামেরিকাতে থাকার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্র্যাকটিসিং মুসলিম; তাই মার্কিনিদের ধারণা হয় আফিয়া নিশ্চয় অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের ‘সন্ত্রাসী’দের সাথে মিলে কাজ করছে। পুরস্কারের কথা শোনামাত্র লোভে উদগ্রীব হয়ে ছুটে আসে পাক শাসকগোষ্ঠী এবং আর্মি।
বলা হয়ে থাকে ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে আফিয়াকে মার্কিনীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ টাকার প্রায় পুরোটাই যায় পাকিস্তানের ‘মহান ইসলামী’ আর্মির পকেটে। যাদের মতো ভালো মুসলিম বাহিনী পৃথিবীতে নাকি আর একটাও নেই।
করাচী থেকে কিডন্যাপ করার পর আফিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়ে আফগানিস্তানের কুখ্যাত বাগরাম কারাগারে। পৃথিবীর বুকে প্রায় এক টুকরো নরকে পরিণত হওয়া বাগরামে বন্দীদের ওপর চালানো হতো চরম পর্যায়ের টর্চার। সেই বাগরামেও আফিয়ার জন্য ছিল ‘বিশেষ ট্রিটমেন্ট’। বাগরাম থেকে মুক্ত হওয়া অনেকে পরে জানাবে প্রতি রাতে এক নারীর আর্তচিৎকার শোনার কথা, এই নারীই ছিলেন আফিয়া সিদ্দিকী।
আফিয়া যখন বাগরামে নির্যাতিত হচ্ছেন ঠিক সেই সময়টাতে আহমাদকে কাবুলের এক কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ৬ বছরের আহমাদকে বলা হয়, এখন থেকে ওর নাম ‘আলী’। নিজের আসল পরিচয় কাউকে জানালে, ওকে স্রেফ মেরা ফেলা হবে। অন্যদিকে ৪ বছরের মারইয়ামকে দুই মার্কিন নাগরিকের কাছে দত্তক হিসেবে দেয় মার্কিন সরকার।
২০০৮ সালে আফিয়াকে বাগরাম থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। বলা হয় গজনীতে গেলে মেয়ে মারইয়ামকে তিনি পাবেন। ৫ বছরের ভয়ঙ্কর নির্যাতন সহ্য করা, সন্তান হারানোর ভয়ে পাগলপারা আফিয়া ঐ অবস্থাতেই ছুটে যান গজনীতে। কিন্তু তাঁকে কিডন্যাপ ও বিক্রি করা ‘মহান পাক’ আর্মি, সেই সময়কার আফগান গোয়েন্দাবাহিনীর সাথে মিলে শেষ একটা চাল চালে। তারা অ্যামেরিকানদের জানায় খুব শীঘ্রই আফিয়া নাকি গজনীর গভর্নরের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালাতে যাচ্ছেন।
একে তো নাচুনে বুড়ি, তার ওপর ঢোলের বাড়ি…এ খবর পাবার পর মার্কিনীরা পারলে রেড অ্যালার্ট জারি করে। দেখামাত্র তারা গুলি চালায় আফিয়ার ওপর। কিন্তু তারপর হতাশ হয়ে আবিস্কার করে আফিয়ার কাছে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ কিছুই নেই। ‘দুঃখজনক’ভাবে গুলি খাবার পরও বেঁচে গিয়ে মার্কিনীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন আফিয়া।
মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের মহান অগ্রপথিক অ্যামেরিকা তখন নতুন এক গল্প ফাঁদে। বলে: ‘সন্দেহভাজন’ আফিয়াকে মার্কিনীরা গজনীতে বন্দী করে। সুস্থ অবস্থায়। ভয়ঙ্কর বন্দী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়নি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক সেনার বন্দুক কেড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে থামাতে বাধ্য হয়ে মার্কিনীরাও গুলি করে। এতেই আফিয়া আহত হন। তবে ‘সৌভাগ্যবশত’ আফিয়ার ‘এলোপাথাড়ি’ গুলিতে কোন মার্কিনী আহত হয়নি।
আফিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। আর এ অভিযোগেই নিউইয়র্কের এক কোর্টের রায়ে তাঁকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই থেকে ড. আফিয়া সিদ্দীকী বন্দী টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে। মজার ব্যাপার হল এ মামলায় আফিয়ার বিরুদ্ধে আগেকার সেই ‘সন্ত্রাসবাদ’-এর কোন অভিযোগ আনা হয়নি। হয়তো অভিযোগ আনা হলে তা প্রমান করতে হবে, আর এসব অভিযোগ প্রমান করা সম্ভব না জেনেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন সরকার।
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, কিডন্যাপ হবার বিশ বছর পর অল্প কিছুদিন আগে আফিয়ার সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন তাঁর বোন ড. ফৌজিয়া এবং আইনজীবি ক্লাইভ স্মিথ। ক্লাইভ স্মিথ সম্প্রতি একটি পডক্যাস্ট ড আফিয়া সিদ্দীকীর কেইস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ওপরের লেখার তথ্যগুলো সেই আলোচনার থেকে নেয়া। মূল পডক্যাস্টের লিঙ্ক কমেন্ট দেয়া হল। আলোচনাটুকু শোনার জন্য আমি জোরালোভাবে সবাইকে অনুরোধ করবো।
আফিয়ার আইনজীবি ক্লাইভ স্মিথ এর আগে গুয়ানতানামো বে-র অনেক বন্দীদের নিয়ে কাজ করেছেন এবং এসব বন্দীদের অনেকে আলহামদুলিল্লাহ মুক্তি পেয়েছেন। তিনি আশাবাদী এক সময় না এক সময় আফিয়াও মুক্তি পাবেন। আমরা আশা করি আল্লাহ অতি দ্রুত সেই দিনটি নিয়ে আসবেন। মহান আল্লাহ মুসলিম বন্দীদের কল্যাণময় মুক্তি ত্বরান্বিত করুন। আমাদের অক্ষমতা, অকর্মণ্যতা ও গাফেলতি ক্ষমা করুন।
ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পিটিশন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ স্বাক্ষরের টার্গেট পূরণ করতে আরও ১ লাখ ৭৫ হাজার স্বাক্ষর দরকার, রবিবারের মধ্যে। পিটিশনের লিংক কমেন্টে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না ইন শা আল্লাহ।

©

04/01/2025

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন ইসলাম বিনির্মাণের নেতা৷
সাহাবারা ছিলো সেই বিনির্মাণের সৈনিক৷
যাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে ইসলাম।

রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথা বলতেন৷ তখন সাহাবায়ে কেরাম উনার সাথে এমন সতর্ক ও আদব সহকারে কথা বলতেন যে।
তাদের কণ্ঠস্বর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কখনো উঁচু হতো না৷

আফসোস আমাদের জন্য৷ আজ আমাদের মুখের লাগাম থাকে না উনার বিষয়ে কথা বলতে৷
আর নির্বোধ গুলো যুক্তি দিয়ে অপরাধ ঢাকতে চায়।

©

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হারাম ও কুফরি।প্রতি বছর ইংরেজি ৩১শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠা...
29/12/2024

থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হারাম ও কুফরি।

প্রতি বছর ইংরেজি ৩১শে ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে বর্তমান বিশ্ব একটি নতুন বর্ষে পদার্পন করে। এ অনুষ্ঠানগুলো কি ইসলাম সমর্থিত?

মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, “তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাক যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।” (সূরা আলে-ইমরান: ১৩১)

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন বর্জন সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।

■ উৎপত্তি:

প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জামশিদ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে নববর্ষ প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ব্যাবিলনের সম্রাট জুলিয়াস সিজার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ সালে ইংরেজি নববর্ষ প্রচলন করেন। প্রথমদিকে নববর্ষ বিভিন্ন তারিখে পালন করা হতো।

পরবর্তীতে ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর পহেলা জানুয়ারিতে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়। বাংলাদেশে থাটি ফার্স্ট নাইটের ব্যাপক প্রচলন ঘটে ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর মধ্যরাতের মিলেনিয়াম বা সহস্রাব্দ পালনের মধ্য দিয়ে। (সূত্র ইন্টারনেট)

■ থার্টি ফার্স্ট নাইট কি ইসলাম সমর্থিত?

✪ ১. অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা:

এ রাত্রিকে কেন্দ্র করে চলে অশালীন ও বেহায়াপনার মহোৎসব। যুবতীরা আঁটসাঁট, অশালীন ও অর্ধ নগ্ন পোশাক পরিধান করে অবাধে চলাফেরা করে। অথচ এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

“ঐসব নারী যারা হবে পোষাক পরিহিতা কিন্তু প্রায় নগ্ন। যারা পরপুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা বক্র উঁচু কাঁধ বিশিষ্ট উটের ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না।” (সহীহ মুসলিম: ২১২৮)

আল্লাহ্‌ তা’য়ালা বলেন,
“তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ও পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।” (সূরা আত-তাহরীম: ৬)

✪ ২. শিরক যুক্ত শ্লোগান:

মুসলিমদের অনেকেই বর্ষবরণ করতে গিয়ে শিরকের মধ্যে লিপ্ত হয়ে ইমান হারা হচ্ছে। আর তাদের শ্লোগান হচ্ছে-

“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে সূচি হোক ধরা।”

উক্ত শ্লোগানে অগ্নিপূজকদের আগুন দ্বারা পবিত্র হওয়ার ভ্রান্ত বিশ্বাস সু-স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ অগ্নিকে সম্মান করা, আগুনের কাছে সাহায্য চাওয়া এবং আগুন দ্বারা পবিত্র হওয়ার ধারণা করা শিরক। আর আল্লাহ তা’য়ালা বলেন,

“নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা উনার সাথে শিরককারীকে ক্ষমা করবেন না।” (সূরা নিসাঃ ১১৬)

✪ ৩. বিজাতীয় সাদৃশ্য:

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন সম্পূর্ণরূপে বিজাতীয় সংস্কৃতি। এ রাত্রিতে বলে ও ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো, আতশবাজি, পটকাবাজি, ফ্যাশন শো, ফায়ার প্লে, ট্যাটাে বা উল্কি অংকন, ডিজে পার্টি ও কনসার্ট, নেশা সেবনসহ বিজাতীয় সংস্কৃতির সাথে সাদৃশ্য রাখে। ইসলাম এটি কঠোরভাবে নিষেধ করেছে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনাে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪৩৪৭)

■ যুব সমাজকে ধ্বংস ও নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার নীল নকশা:

যুব সমাজকে ধ্বংস ও নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট করার জন্যই থাটি ফার্স্ট নাইট বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে। ২০০০ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১২টা ২৫ মিনিটে গুলশানে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনকারী এক তরুণীকে কিছু মাতাল যুবক শ্লীলতাহানি করে ও তার শরীরের বেশীর ভাগ কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। (সূত্র- দৈনিক মানবজমিন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ইং)

আর ২০০১ সালের শাওন আখতার বাধনের ক্ষত-বিক্ষত দেহ কে না দেখেছেন? আরও কত বাধন। এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় থার্টি ফার্স্ট নাইট একটি যৌন উৎসব। যা তাদের জন্য অসম্মানজনক। অথচ, আল্লাহ তা’য়ালা বলেন:

“আর তোমরা জেনার নিকটবর্তী হয়ো না।” (সূরা বনী-ইসরাইল: ৩২)
“মহান আল্লাহ যাবতীয় অশ্লীল অন্যায় কাজ হারাম করেছেন।” (সূরা আল আ’রাফ: ৩২)

■ আমাদের আহবান:

পরিশেষে সকলকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি যে, জেনা, মদ্যপান ও অমুসলিমদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণের এই নিকৃষ্ট সংস্কৃতিকে চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিলীন করতে আমরা সচেষ্ট হই। এ লক্ষ্যে সকল মুসলিমকে সীসা ঢালা প্রাচীরের মত প্রতিরোধ বুহ্য সৃষ্টি করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা ও অন্যদেরকে এই বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করার জন্য আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত হয়ে যাবে, আর কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত ছুটে যাবে—আমরা কেউ বলতে পারি না৷ তাই তাচ্ছিল্য কিংবা অহ...
25/12/2024

কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত হয়ে যাবে, আর কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত ছুটে যাবে—আমরা কেউ বলতে পারি না৷ তাই তাচ্ছিল্য কিংবা অহংবোধ, কোনোটাকেই জীবনে জায়গা দেবেন না।
©

20/12/2024

তাবলীগ জামাত সম্পর্কে দলিলভিত্তিক আলোচনা

#তাবলীগ #তাবলীগ_জামাত

দেশের সম-সাময়িক প্রেক্ষাপটে হক্বের দাওয়া’ত সিদ্দীক্বিয়া দরবার শরীফ হতে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ এ “সংবাদ বিজ্ঞপ্তি” প্রকাশ কর...
20/12/2024

দেশের সম-সাময়িক প্রেক্ষাপটে হক্বের দাওয়া’ত সিদ্দীক্বিয়া দরবার শরীফ হতে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ এ “সংবাদ বিজ্ঞপ্তি” প্রকাশ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মিডিয়ায় নিম্নলিখিত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে-

- সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সুন্নীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা -

সুন্নীয়তের সকল হক্বানী আলেম, পীর-মুর্শিদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ (সকল জেলা) বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সভাপতি ও হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুহাম্মাদ এমএমডি. আশরাফ আলীমুল্লহ্ সিদ্দীকী।

প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোনো হক্বানী অলীর মাজার ও দরবার শরীফে ওহাবী-খারেজী গোষ্ঠীর আক্রমণ এবং সুন্নীয়তের কোন আলেমের মাহফিল বন্ধের অপচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব অন্যায় কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ করতে হবে।

তিনি স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যদি সুন্নীয়তের হক্ব পীর-মুর্শিদ ও হক্বানী আলেমদের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলা ও হামলা বন্ধ করা না হয়, তবে কোটি কোটি ভক্ত-মুরিদগণ প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে, ইনশা-আল্লাহ্।"

তিনি আরও জানান, সুন্নীয়ত রক্ষার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল অপশক্তির মোকাবিলা করা হবে।

এ সম্পর্কিত বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদসমূহের লিংক -

1. দৈনিক করতোয়া- https://www.ekaratoa.com/epaper/edition/1636/december?map_id=337011
2. দৈনিক চাঁদনী বাজার- https://echandnibazar.com/epaper/m/136433/676543ad407c9
online- https://dailychandnibazar.com.bd/bogra-today/2024/12/19/133018
3. NCN - https://northcapitalnews.com/মিথ্যা-মামলা-প্রত্যাহার
4. পুন্ড্র কথা - https://pundrokotha.com.bd/post/78724
5.বগুড়া টাইম- https://theboguratimes.com/13607-2/

© Nirob Shifat ভাই

সিরিয়ার হারানোর কিছু নেই। দেড় যুগের গৃহযুদ্ধে ৬লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। দেড় লক্ষ মানুষ আসাদের কারাগারের অন্ধকার গর্তে বন্...
10/12/2024

সিরিয়ার হারানোর কিছু নেই। দেড় যুগের গৃহযুদ্ধে ৬লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। দেড় লক্ষ মানুষ আসাদের কারাগারের অন্ধকার গর্তে বন্দি ছিল। হাজারো নারী ধর্ষিত হয়েছে। দেড় কোটি মানুষ মাতৃভূমি ছেড়ে শরনার্থী হয়েছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম জনপদ সিরিয়ার আলেপ্পো, হামা, রাক্কাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল সিরিয়া। ১৯৮২ সালে আসাদের পিতা হাফিজ ৪০হাজার সুন্নীকে হত্যা করে হামা শহরকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল। এখন আসাদের সৈন্য বাহিনীর ফেলে যাওয়া সামরিক স্থাপনা ধ্বংসে নেমেছে ইজরায়েল। সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখলে নিয়েছে তারা। সব নিয়ে যাক। শুধু বালি আর বাতাস থাকলেই হবে। আফগানিস্তানের বিশ্বাসীদের বালির তোপে উড়ে গিয়েছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার। কোন সামরিক স্থাপনা, বিমান ঘাঁটি, অস্ত্র কারখানা না থাকার পরেও আফগান মুজাহিদদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন। আফগানিস্তানের জমিন থেকে উধাও করে দেয়া ছাত্ররা উইপোকার মত ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে এক সপ্তাহে পরাজিত করেছিল ট্রিলিয়ন ডলারের আমেরিকার সেনাবাহিনীকে। পবিত্র ভূমির রানতিসি ও কাসিমের পুত্ররা পরাজয় চিনে না। মাটি খেয়ে তারা যুদ্ধ করতে জানে। সিরিয়ার আইয়ুবির হাতে পতন হয়েছিল ক্রুসেডারদের। অটোমান তুর্কিদের হাতে নাস্তানাবুদ হয়েছিল টেম্পেলাররা। সিরিয়ার সম্রাট বাইবার্স একাই হারিয়েছেন কুখ্যাত মোঙ্গল সেনাবাহিনী এবং ফরাসী বাহিনীকে। মামুলুক, অটোমান, আইয়ুবির রক্ত যাদের শিরায় বহে তারা পরাজয় চিনে না। তারা সামান্য হেসে নিক, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনেক বেশি কাঁদবে (সুরাহ তাওবাঃ ৮২)

08/12/2024

বাশার আল-আসাদের পতনের পর দ|মেস্কে°র উমাইয়া মসজিদে প্রথম আযান (নামাজের জন্য আযান)। আযান চলাকালীন আল-জাজিরার সাংবাদিক নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কান্না করে!

এটিই সি-রিয়ার দ|মেস্কে°র সেই (الجامع الأموي) উমাইয়া মসজিদ। যেখানে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন।

03/12/2024

ভারতের অনেকে বলে থাকেন, ইউক্রেইন মডেলে তারা বাংলাদেশ দখল করে নিতে চায়। এমনকি তাদের অনেক উঁচু পর্যায়ের ব্যক্তিরা এধরণের বক্তব্য দিয়ে থাকে। ইউক্রেইন - রাশিয়া যুদ্ধের শুরুতে আমি এটা নিয়ে লিখেছিলাম যে, এই যুদ্ধ আমেরিকা বা ন্যাটোর জন্য সুবিধাজনক হবে না। এর মূল কারণ সামরিক নয়, এর মূল কারণ মেটাফিজিক্যাল বা ফিলোসফিক্যাল।

সোজা কথায় বললে, ইতোপূর্বে আমেরিকা রাশিয়াকে আ-ফ-গানের মাটিতে পরাজিত করতে পেরেছিলো, কারণ সেখানে গ্রেটার বা বৃহৎ কজ ছিলো। সেখানে আফ-গানীরা এটাকে কমিউনিজম ভার্সাস ইসলামের যুদ্ধ হিসেবে অবলীলায় আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছিল। পুরো মানব জাতির ইতিহাসে এর চেয়ে গ্রেটার ফিলোসফিক্যাল কজ হতে পারে না। এর চেয়ে বড় উদ্দেশ্য আর হতে পারে না। এজন্য সেসময় রাশিয়া বড় পরাশক্তি হলেও এই ফিলোসফিকে ডিফিট করতে পারেনি।

কিন্তু ইউক্রেইনে আমেরিকা বা ন্যাটো এরকম কোন বড় বা মহিমান্বিত উদ্দেশ্য বের করতে পারেনি। সেখানে ইসলা-মিক জি-হা-দ বা শাহাদাতের মতো গ্রেটার কজ ডেভলপ করা কঠিন। যার কারণে সব ধরণের সহযোগিতার পরেও আমেরিকা - ন্যাটো সেখানে সুবিধা করতে পারছে না।

এবার আসি ভারত - বাংলাদেশের আগ্রাসন নিয়ে। ভারতের এখানে সবচেয়ে বড় ফিলোসফিক্যাল রেজিস্টেন্স ফেইস করতে হবে। সেটা হলো বাঙ্গালী মুসলিমদের শাহাদাতের তামান্না। তাদের কাছে এই ফিলোসফিকে ডিফিট করার কোন উপায় নেই। এটা সম্ভবও নয়। এই দিক থেকে তুলনা করলে বাংলাদেশ কোন দিক থেকেই ইউক্রেইন নয়।

মুসলমানদের মাঝে কী পরিমাণ রেজিলিয়েন্সি, রেজিস্ট্যান্স পাওয়ার আছে সেগুলো সাম্প্রতিক সময়ের হা-মা-স ইসরাইল, হি০জবুল্লাহ - ইজ-রাইল কিংবা হুতি - আমেরিকার মুখোমুখি যুদ্ধগুলো অনেক বড় উদাহরণ। টেকনোলজিতে ভারত অবশ্যই ইসরাইল বা আমেরিকার ধারে-কাছেও নেই। আমেরিকা - ইজরাইল যেখানে সুবিধা করতে পারছে না, সেখানে ভারতের পক্ষে এতো বড় রেজিস্ট্যান্স পাওয়ারকে তুড়ি দিয়ে উড়ি দেয়ার চিন্তা করলে সেটা হবে বোকার স্বর্গে বাস করা। আপনাকে বাঙ্গালী মুসলমানকে বিচার করতে হবে ইয়াহইয়া সিনওয়ারকে দিয়ে। তারা শহীদ হবে। কিন্তু একেবারে শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত রেজিস্ট করে যাবে।

এখন প্রশ্ন হলো, ভারতের হিন্দুত্ববাদ রাজনৈতিক ময়দানে বড় বড় বুলি আওড়ালেও ফ্রন্ট লাইনে এখনও তাদের বিশেষ কোন ট্র্যাক রেকর্ড নেই। তাদের হিন্দুত্ববাদের ফিলোসফি কি এতটা শক্তিশালী যে মুসলিমদের জি-হা-দ ও শা-হাদাতের তামান্নাকে মোকাবিলা করতে পারে? করলে সেটা কীভাবে?

অনেকে হয়ত বলবে, ভারত কাশ্মির বা এই জাতীয় কিছু অঞ্চলে তো তাদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেে। এখানে একটা বিষয় তো খুবই স্পষ্ট যে, এসব জায়গায় পরিপূর্ণ কোন যুদ্ধ এখনও হচ্ছে না। ভারত - পাকিস্তান বা আগে যতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, সেগুলো শর্ট টার্ম যুদ্ধ। যেটাকে খন্ডকালীন যুদ্ধ বলা যায়। ফলে ভারত যদি লং টার্ম এবং প্রকৃত কোন শক্তিশালী রেজিস্টেন্সের মুখোমুখি হয়, তাহলে কেমন পারফর্ম করবে সেটা এখনও ক্লিয়ার নয়। তাদের ট্রাক রেকর্ড না থাকায় বিষয়টা ভবিষ্যতের খাতায় রইল।

এখানে বলে নেয়া ভালো, বলিউড সিনেমা আর বাস্তব ব্যাটল ফিল্ড এক নয়। বলিউডে আপনি সারা দুনিয়া বিজয় করতে ফেলতে পারবেন। কিন্তু বাস্তব ব্যাটল ফিল্ডে শক্তিশালী কোন রেজিস্টেন্সকে আপনি ২-৫ বছর মোকাবেলা করতে পারবেন কি না, সেটা কিন্তু অনেক ক্যালকুলেশনের বিষয়। আর বাস্তব সত্য হলো, পৃথিবীর অধিকাংশ যুদ্ধের ক্যালকুলেশন দিন শেষে ভুল প্রমাণিত হয়। আপনি খাতা কলমে দেখাতে পারবেন, ভারতের বিমান - বাহিনী এক মাস বোম্বিং করে, বিশাল ট্যাংকের বহর নিয়ে বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এটা যদি বড় কোন যুদ্ধে রুপ নেই, তাহলে এই সব ইকুয়েশন সঠিক নাও হতে পারে। এজন্য খাতা কলমে কোন দেশের মিলিটারি পাওয়ার আর বাস্তব ব্যাটল ফিল্ডে লং টাইম যুদ্ধ করা কখনও এক নয়।

আমরা কেউ-ই যুদ্ধ চাই না। এটা দেশের প্রত্যেকটা মানুষের একেবারে মনের কথা। কিন্তু অনেক কিছু আপনি না চাইলেও আপনার গায়ে এসে পড়বে। আপনার সেখানে কিছু করার থাকবে না। ইসলামের শিক্ষাও এটা। কখনও যুদ্ধ বা বিপদ ডেকে আনতে হয় না। এগুলো থেকে সব সময় আল্লাহর কাছে পানাহ চেতে হয়। কিন্তু বিপদ, মুসীবত বা যুদ্ধ এসে পড়লে সীসা ঢালা প্রাচীর হয়ে যেতে হবে। ধৈর্য্য, সাহসীকতা আর সর্বোচ্চ কুরবানীর জন্য মানসিক প্রস্তুত হতে হবে।

দেশের পরিস্থিতি যেদিকে আগাচ্ছে, এখন আমাদের চীন ও পাকিস্তানের সাথে জ্বরুরি ভিত্তিতে কিছু মিলিটারি কোয়ালিশনের চেষ্টা চালাতে হবে। দেশে সাধারণ জনগণের একটা নির্বাচিত অংশকে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে ট্রেইনিং করানো যেতে পারে।

সরকার, জনগণ, নীতি-নির্ধারক, বুদ্ধিজীবি, আলিম - উলামা সবাইকে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। এই প্রশ্নে ভিন্ন কিছু চিন্তার অবকাশ নেই। এক ও অভিন্ন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

মাহমুদুর রহমান একটা কথা গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন। আমাদের জনগণের জন্য মিলিটারি ট্রেনিংকে বাধ্যতামূলক করা। সেটা হতে পারে এস এস সি বা এইচ এস সির পর ৬ মাসের মিলিটারি ট্রেনিংকে বাধ্যতামূলক করা। সারা বিশ্বে যুদ্ধ এখন নিত্য - নৈমত্তিক বিষয়। সুতরাং এটাকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আর আমাদের এ অঞ্চল গ্রেটার ব্যাটল ফিল্ড হতে যাচ্ছে। এটাকে এভয়েড করে চীন, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান যদি শুধু তাদের ডেভলপমেন্টে ফোকাস করে ৫০ বছর কাজ করত, তাহলে এ অঞ্চলের মানুষ আমেরিকা - ইউরোপের কাছাকাছি চলে যেতে পারত। কিন্তু সেটা হয়ত সম্ভব নয়। কারণ, অনেকেই এটা হতে দিবে না। উল্টো পুরো অঞ্চলকে একটা বিশাল ব্যাটল ফিল্ডের রুপান্তর করার প্রক্রিয়ায় অনেকেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতির ব্যাপারে কোন রকম গাফিলতি পুরো জাতির জন্য ভয়াবহ সংকটের কারণ হবে।

এজন্য সর্বপ্রথম আমাদের কাজ হলো, রাসেল ভাইপার আসতেছে, রাসেল ভাইপার আসতেছে, এইটা প্রচার করে করে প্যানিক না ছড়িয়ে রাসেল ভাইপার এসে গেলে আপনার করণীয় কী সেটা চিন্তা করুন। সেটাকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন, সেটা নিয়ে সর্বমহল থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন। এর জন্য অতিরিক্ত প্যানিক ছড়ান কিংবা অতিরিক্ত হম্বি-তম্বি কোনটায় কাজে আসবে না। ঠান্ডা মাথায় সঠিক কুটনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, জনগণকে সাথে নিয়ে সাহসিকতার সাথে এগিয়ে যাওয়া। বড় ধরণের বিপদ আসলে সেটাকে কীভাবে আমরা ম্যানেজ করব, সেটাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কাজ করে যাওয়া।

© Ijharul Islam

17/11/2024

ভেঙ্গে পড়ো না কভু হতাশ হয়ে
জ্বলে-পুড়ে খাঁটি সোনা হও গো শেষে🤎

ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বিবৃতি দিয়েছে হি'ন্দু  গ'ণ'হ'ত্যা নিয়ে৷ এটা এক ঐতিহাসিক মেরুকরণ। ভ।রত কে বাংলাদেশে আ'ক্রমণের বৈধতা দি...
01/11/2024

ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বিবৃতি দিয়েছে হি'ন্দু গ'ণ'হ'ত্যা নিয়ে৷ এটা এক ঐতিহাসিক মেরুকরণ।
ভ।রত কে বাংলাদেশে আ'ক্রমণের বৈধতা দিয়েছে আম্রিকা৷
যদি টাম্প ক্ষমতায় আসে। তাহলে নভেম্বর ডিসেম্বরে ভ।রত সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাস্তবে কতটুকু আগাতে পারবে সেটা বলা মুশকিল। যেহেতু এটা চূড়ান্ত যে। তাদের সাথে আমাদের সর্বশেষ যুদ্ধ গা-জ-ও-য়াতুল হি--ন্দ হবে৷

তাই সময় টা বেশিদিন নেই। ই য রা ঈ ল যেহেতু দা জ্জা লের জন্য ক্ষেত্র তৈরী করেছে।
তাই ভ।রত ও বসে থাকবে না৷

©

মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আমাদের পীর ভাই যদি কেউ সহযোগিতা করতে চান ইনশা-আল্লাহ করতে পারেন।
29/10/2024

মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আমাদের পীর ভাই যদি কেউ সহযোগিতা করতে চান ইনশা-আল্লাহ করতে পারেন।

এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাইজের কিছু পেট, নফস পূজারী মুন্সির ছবি-ভিডিও জায়েজ(দলিল বিহীন) ফতোয়ায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের ...
25/10/2024

এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাইজের কিছু পেট, নফস পূজারী মুন্সির ছবি-ভিডিও জায়েজ(দলিল বিহীন) ফতোয়ায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের খতিব আব্দুল মালেক সাহেবের ঘোষণাও দেখি ফেসবুক, ইউটিউব মুন্সির ভক্তরা মেনে নিতে পারছে না

[আজকের জুমার বয়ানের ঘটনা]

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন যেন দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের...
16/10/2024

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে কথা হচ্ছে কয়েক দশক ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব কেমন যেন দ্রুত এগোতে শুরু করেছে। আগের দুই বিশ্বযুদ্ধের পুর্বাবস্থার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি মিলে যায়।

আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন দুটো ব্যাপারঃ

প্রথমতঃ নতুন নতুন দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। আমিরাতের মত পুরোদস্তর ব্যবসায়ী আর প্যাসিফিস্ট একটি রাষ্ট্র সুদানে একটি ফুলস্কেল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

এই সপ্তাহেই ইউক্রেন যুদ্ধের এক শকিং নিউজ সামনে এসেছে। রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। তাদের লাশ পাওয়া যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উল্টোদিকে, আমেরিকার পরে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশী গোলাবারুদ দিয়েছে সাউথ কোরিয়া।
ইউরোপের একটা যুদ্ধে সাথে কোরিয়ানদের কী সম্পর্ক? ঠিক যেন ২য় বিশ্বযুদ্ধের জার্মানি আর জাপানের মত পরিস্থিতি।

মধ্যপ্রাচ্যে এক বছরের মধ্যে চারটে দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো - ফিলিস্তিন, ইসরাইল, ইয়েমেন ও লেবানন। এবং এটাও সবাই বুঝতে পারছে, এখানেই শেষ না। কারণ ইসরাইল ইরানে হামলা করা মাত্রই জর্ডানের মত দেশেও অস্থিরতা নিশ্চিত।

বাইরে থেকে নিউট্রাল অনেক দেশও সামরিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে - তুরস্ক ও বেলারুশ। তুরস্ক লাস্ট ১ বছরে প্রায় ৬ থেকে আটটা ওয়ারজোনে অ্যাক্টিভ ছিলো।

জেনেভা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বে ১১০ অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। যার মধ্যে অন্ততঃ ৫টার মতো পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ।
মাত্র তিন-চার বছর আগেও কিন্তু এমন পরিস্থিতির কথা ভাবা যায়নি। করোনার সময়ে মাত্র একটা যুদ্ধের কথা শোনা গেছে, আজেরি-আর্মেনিয়ানদের যুদ্ধ। তারপর এই কয়দিনেই এতগুলো যুদ্ধ লেগে গেলো।

দ্বিতীয়তঃ যুদ্ধ একবার লেগে গেলে আর থামছে না। ইউক্রেনে রাশিয়া কিয়েভের কাছাকাছি চলে আসলে ধরা হচ্ছিলো এবার হয়ত যুদ্ধ শেষ। অথচ দুই বছর ধরে চলছে।

কিংবা গাজাতে। ইসরাইল আর হামাস-ইসলামিক জিহাদের যে শক্তির পার্থক্য, তাতে ইহুদীরা তো বটেই আমরাও ভেবেছিলাম হয়ত মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ইসরাইল গাজা দখলে নেবে। তা তো দুরের কথা, হামাসের গায়ে সেইরকম আচড়টাও কাটতে পারেনি। উলটো নতুন যুদ্ধে জড়িয়ে গেছে। এখন মনে হচ্ছে হামাস হয়ত আরো দুই বছর ইজিলি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।

একই কথা গৃহযুদ্ধগুলোর ক্ষেত্রেও। সিরিয়ারটা ১২ বছরেও শেষ হলো না। সুদান কিংবা মায়ানমার, শেষ দূরের কথা - লড়াইয়ের মাত্রা কমারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

ব্যক্তিগত মতামত, এই যুদ্ধগুলোর অধিকাংশই আর থামবে না। একেবারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে মিলবে।

ট্রাম্প ফ্যাক্টঃ
ট্রাম্প লাস্ট এক-দেড় বছর ধরে 'সে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকাবে' বলে মার্কেটিং করে আসছে। বহুবার বলেছে, সে প্রেসিডেন্ট হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। এছাড়া ইউএফসিতে খাবিবের কথার উত্তরে সে গাজার যুদ্ধ থামিয়ে দেবে বলে জানায়।

কিন্তু গত ৬ মাসে ট্রাম্প পুরোপুরি উলটে গেছে। এখন এমন কোন ক্যাম্পেইন নেই যেখানে সে ইসরাইল চাটছে না। বারবার ইরান আক্রমণের কথা বলছে।
ইসরাইলের যে অভ্যন্তরীণ ভঙ্গুরদশা, তাতে তারা যেকোনো মূল্যে ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা আনতে চায়। এবং এটা যে নিশ্চিত করতে পারবে সে-ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবে।
সব বিবেচনায় ট্রাম্পের জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

বাংলাদেশ ফ্যাক্টঃ
চিন্তাশীল ব্যাক্তিমাত্রই দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশ আগামী দিনে আর শান্ত হবে না। লীগ এখন অ্যাসেসমেন্ট পিরিয়ডে আছে। এই দিনগুলোতে সাকিবের মত যেসব সফট পারসোনা রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে। ট্রাম্প জিতলেই আসল দিন।

একটা বাস্তবতা বুঝতে হবে, ভারত দরকার পড়লে অরুণাচল চীনের কাছে ছাড়তে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়তে পারবে না। এটা তাদের জন্য অনেক রিস্কি। লাস্ট ১৫ বছরের ইনভেস্টমেন্ট তারা এত সহজে ভাসিয়ে দেবে?
লীগের লোকজনের পয়সা আর ক্ষমতার ক্ষুধা রয়েছে, আর ইন্ডিয়ার দরকার কিছু ক্ষুধার্ত লোক। যদিও লাস্ট দেড় দশকে ডানে-বায়ে ইন্ডিয়ান স্বার্থরক্ষীরা পদে বসেছে, তবু ওই ফ্রি-পাস-নিশ্চয়তা কেবল হাসিনা থেকে মিলতো।

লীগের লোকের হাতে টাকা আর অস্ত্র রয়েছে। যেকোনো দিন লীগের কেন্দ্র থেকে লাশ ফেলতে বলুক, ঠিকই দেখবেন ওরা ফেলে দিয়েছে।

র যেভাবে কাজ করে, তাতে আগামী দিনে টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন বাড়বে - এতে সন্দেহ নেই। আর কিছু লোককে, বিশেষ করে ইসলামপন্থীদেরকে এক্সিকিউট করবে, কিন্তু সেটা অপিনিয়ন ইঞ্জিয়ারিং এর মাধ্যমে, ফলে লোকের সমর্থন থাকবে ওই হত্যাকান্ডে।

আগামীতে আমাদের দেশ শান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এভাবেই বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হবে।

- আহমাদ খান

15/10/2024

প্রত্যেক পীর ভাই/বোনদের জন্য এই আলোচনাটি শোনা জরুরী। অনলাইনে আজাইরা দিকে সময় ব্যয় না করে, দীর্ঘ হলেও সম্পূর্ণ আলোচনাটি শোনার অনুরোধ রইলো।

28/09/2024

উর্দু নাশিদঃ ফাদায়নাহু রাসূলুল্লাহ ﷺ || Nasheed Bangla Subtitle


Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হক্বের দাওয়াত posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হক্বের দাওয়াত:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share