31/10/2020
✔ ইসকন : আসল পরিচয় কি ?
✔ ইসকন নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা কিন্তু ভারতে নয়, আমেরিকার নিউইয়র্কে। মাত্র ৪৮ বছর আগে, ১৯৬৬ সালে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেনি, লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী, কিন্তু হঠাৎ করেই তার মাথায় কেন হিন্দু ধর্মের নতুন সংস্করণের ভূত চাপলো, কিংবা কোন শিক্ষাবলে চাপলো তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। স্বামী প্রভুপাদ নতুন ধরনের হিন্দু সংগঠন চালু করতেই প্রথমেই তাতে বাধা দিয়েছিলো মূল ধারার সনাতন হিন্দুরা। অধিকাংশ হিন্দুই তার বিরুদ্ধচারণ শুরু করে। কিন্তু সেই সময় স্বামী প্রভুপাদের পাশে এসে দাড়ায় জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত ইহুদী-খ্রিস্টানদের চিহ্নিত এজেন্টরা।
✔ মূলত: ইসকন হচ্ছে হিন্দুদের মধ্যে পশ্চিমাদের তৈরী নতুন ফেরকা, যারা কৌশলে ভারতবর্ষে মূল হিন্দুদের সরিয়ে নেতৃত্ব দখল করতে চায় (এজন্য ইসকনে সাদা চামড়া লোক বেশি দেখবেন)। ইসকনকে উপর দিয়ে অতিহিন্দুমনে হলেও এরা হিন্দুদের মধ্যে বিভ্রান্তি চালু করতেই বেশি তৎপর। যার কারণে মূল সনাতন হিন্দু ও ইসকনদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক, রয়েছে ধর্মীয় বহু অমীল। ইসকনিরা এমন অনেক কিছু চালু করেছে, যা মূল হিন্দু ধর্মে নেই এবং অনেকের মতে তা হিন্দু ধর্মকে ধ্বংস করার সামিল।
✔ সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ম হচ্ছে, তারা যদি কোন নতুন মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তবে তারা এর জন্য প্রথমে বেছে নেয় রিমোট এলাকা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীগুলোকে।এজন্য দেখবেন ইসনকনির সেখানেই তাদের কার্যক্রম বেছেনেয়, যেখানে রয়েছে নিম্নবর্ণ, অশিক্ষিত ও চরম দরিদ্র শ্রেণীর হিন্দুদের বসবাস। ইকসনিদের ফান্ডবেশি থাকায়, তারা কৌশলে অনেক অনেক সনাতনী মন্দিরও দখল করে নিচ্ছে। এ নিয়ে ঠাকুরগাওয়ে সনাতনীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভও করেছে, সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক সনাতনী।
✔ বলাবাহুল্য, নতুন এ মতবাদ বিস্তার করতে ইসকন ব্যবহার করে প্রচুর পশ্চিমা ইনভেস্টমেন্ট, যার মাধ্যমে দরিদ্র হিন্দুদের মূল হিন্দুত্ববাদ থেকে সরিয়ে নতুন মতবাদে দিক্ষিত করা হয়। ইসকনের অতিহিন্দুপনা দেখে অনেক হিন্দু তাদেরকে বাহবা দিতে পারে, কিন্তু সত্যি বলতে এ ইসকন বাংলাদেশে এসেছে হিন্দুদের উপকার করতে নয় বরং ক্ষতি করতে। বাংলাদেশে হিন্দুরা যে সুখের স্বর্গে বাস করে তা ধ্বংস করাই এ গোষ্ঠীটির কাজ। বাংলাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় জগতে হিন্দু-মুসলিম বিভেদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টির মূল ইন্ধনদাতা হচ্ছে এই ইসকন। বাংলাদেশে অতি সম্প্রতি যে ‘হিন্দু-মুসলিম বিভেদ’ মিডিয়ায় জোরালো করে দেখানো হচ্ছে, সেটারও কলকাঠি নাড়ছে ইসকনের অঙ্গসংগঠনগুলো (ইসকন সরাসরি আসে না, টাকা দিয়ে চালায়। যেমন জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু ইত্যাদি)।
✔ গোয়েন্দা সংস্থা সাবেক সেনাপ্রধানদের কথা- ‘বাংলাদেশে র’ নামক বইটির ১৭১ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট লেখা আছে- ‘ইকসন হচ্ছে একটি ইহুদী সংগঠন’। আসলে ইহুদীরাই ইসকন নাম দিযে হিন্দুদের ভেতর ঢুকে গেছে, এবং ভারতবর্ষে তাদের কার্যসিদ্ধি করা ।
source:page পর্দা