HuePage

HuePage This page aims to let you experience the cutting edge of the world around us in a relaxed atmosphere

খোসা না ছাড়িয়ে, নাকি ছাড়িয়ে ধোবেন?ফল ও সবজি ধুয়েই খেতে হয়। তবে খোসা ছাড়ানোর পর ধুলে কোনো লাভ নেই।বরং খোসাতে থাকা ময়লা ও ...
13/09/2021

খোসা না ছাড়িয়ে, নাকি ছাড়িয়ে ধোবেন?

ফল ও সবজি ধুয়েই খেতে হয়। তবে খোসা ছাড়ানোর পর ধুলে কোনো লাভ নেই।
বরং খোসাতে থাকা ময়লা ও জীবণু ফল এবং সবজীতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার খোসা ছাড়িয়ে ধুলে ফল ও সবজিতে থাকা পুষ্টিগুন অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
ক্যালরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সোডিয়াম ছাড়া ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে ফল ও সবজি অন্যতম। সুস্থ থাকতে খাবার তালিকায় ফল ও সবজি যোগ করা যেতে পারে।
দা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন(সিডিসি)অনুযায়ী, অনেকেই ফল ও সবজির সম্পর্কে কিছু ভুল করে থাকেন যা তাদের গুরুতর অসুস্থ করে ফেলতে পারে।

খোসা ছাড়িয়ে ধোয়া ভুল

সিডিসি বলে, ফল ও সবজি খাওয়ার আগে তা ছিলে ধুয়ে নেওয়া একটা ভুল ধারণা। বরং ধুয়ে তারপর খোসা ফেলতে হবে।
না ধুয়ে কোনো ফল বা সবজি কাটার অর্থ হল এসবের ত্বকে লেগে থাকা ব্যাক্টেরিয়া সরাসরি খাবারের ভেতরে প্রবেশ করা।
পুষ্টি ও ভিটামিনের জন্য ফল ও সবজির খ্যাতি থাকলেও সঠিক উপায়ে তৈরি করা না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে। স্যালমোনেলা, ই.কোলি ও লিস্টেরিয়া খাদ্যজনিত অসুস্থতার জন্য শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে।
ধোয়ার আগে ফল বা সবজির খোসা ছাড়ানো হলে এতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া খাবারকে দূষিত করে যা গুরুতরভাবে মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
সিডিসির সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৪২০ জন লোক স্যালমোনেলা, ১০০ জন ই.কোলি এবং ২৬০ জন লিস্টেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

পরিষ্কার করার পদ্ধতি হতে পারে নানান ক্ষতির কারণ

ইউ.এস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেইশন (এফডিএ) সুপারিশ করে যে, চলমান পানি দিয়ে ফল ও সবজি ধোয়ার সময় পরিষ্কার কোনো ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিতে হবে। অন্যথায় তা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ফল ও সবজি ছিদ্রযুক্ত। সাবান বা ডিটারজেন্টের সংস্পর্শে আসলে তা শোষিত হয় এবং শরীরকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন রাসায়নিক পণ্যের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে কোনো পরীক্ষা করা হয়নি বলে সতর্ক করেন, এফডিএ।

খাবারের কিছু অংশ না খাওয়া উচিত

ফল বা সবজি ভালো মতো পরিষ্কার করা হলেও কিছু অংশ না খাওয়া উচিত। সিডিসি এবং এফডিএ উভয়ই সুপারিশ করে যে, ফল বা সবজির যে কোনো অংশ ক্ষত বা ক্ষতিগ্রস্ত বলে মনে হলে তা কেটে ফেলে দেওয়া উচিত।
‘টেক্সাস এ-অ্যান্ড-এম ইউনিভার্সিটি কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স’য়ের খাদ্য নিরাপত্তা-বিষয়ক ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কারী রেবেকা ডিটিমার ‘অ্যাগ্রিলাইফ টুডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “কোনো ফল বা সবজিতে ক্ষত ও কাটা থাকলে জীবাণু ভেতরে ঢুকে ফল বা সবজিকে দ্রুত নষ্ট করে ফেলতে পারে।”

আলুতে সবুজ দাগ মানে বিষক্রিয়ার লক্ষণ‘গ্রিন সিগনাল’ ভালো হতে পারে, তবে আলুর ক্ষেত্রে নয়।আলু এমন একটা সবজি যা সব কিছুতেই খ...
09/09/2021

আলুতে সবুজ দাগ মানে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

‘গ্রিন সিগনাল’ ভালো হতে পারে, তবে আলুর ক্ষেত্রে নয়।

আলু এমন একটা সবজি যা সব কিছুতেই খাওয়া যায়। সহজলভ্য হওয়াতে আলুর বিষয়ে অনেকেই খুব একটা সচেতন নয়। আলুতে অনেক সময় দাগ-ছোপ দেখেও আমরা অনায়াশে তা খেয়ে ফেলি।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, আলুতে থাকা দাগ ছোপ হতে পারে নানান রোগের কারণ।

আলুতে সবুজ দাগ থাকলে তা খাওয়া উচিত নয়

সূর্যালোক ও উষ্ণতার কারণে আলুর গায়ে সবুজ দাগ সৃষ্টি হয়। যা মূলত উচ্চমাত্রার বিষাক্ত উপাদান সোলানিন। এই বিষ থেকে শরীর খারাপ হতেই পারে। তাই আলুতে সবুজ দাগ দেখা দিলে না খাওয়াই ভালো।
ভাবতে পারেন যে আলুর সবুজ অংশ কেটে ফেলে বাকিটা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটা কোনো সমাধান না।
‘হেলথলাইন ডটকম’য়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, আলুতে ক্লোরোফিল উৎপাদন শুরু হলে তা সবুজ হয়ে যায় যা একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। তবে যখন এই দাগ চোখে পড়ে ততদিনে আলুতে সোলানিন উৎপাদন শুরু হয়ে যায় যা প্রাণী, পোকামাকড়, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাসের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে।
সোলানিন হল একটি বিষ যা আলুতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শুধু সবুজ দাগ নয়, এবং এর উচ্চ মাত্রা মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

একটা খারাপ আলু হতে পারে অসুস্থতার কারণ

আলুর খোসায় সোলানিনের মাত্রা বেশি থাকে এবং আলুতে থাকা সবুজ দাগ কেটে ফেললেও সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয় না।
২০০৫ সালে ‘রেগুলেটরি টক্সিকোলজি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি ‘কেস স্টাডি’তে দেখা গেছে, খোসা ছাড়ালে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিষ হ্রাস পায়। তবে বাকিটা আলুতে রয়ে যায়।
‘হেলথলাইন ডটকম’য়ের মতে, কতটা সোলানিন গ্রহণ করলে মানুষ অসুস্থ হতে পারে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। তবে ‘কেস স্টাডি’তে দেখা গেছে, দেহের প্রতিগ্রাম ওজনকে দুর্বল করতে ০.৬ মি.লি. গ্রাম সোলানিন যথেষ্ট।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাড়তি ২০ মি.লি. গ্রাম সোলানিন যুক্ত ১৬ আউন্স আলু গ্রহণ করলে প্রতি ৩.৫ আউন্স (১০০ গ্রাম) দেশের ১১০ পাউন্ডকে অসুস্থ করে ফেলে।
দুর্বল ও শিশুদের সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ যাদের দেহের ভর কম। ফলে সোলানিনের বিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে মনে করে, ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’।

সোলেনিনের বিষক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি

ইতোমধ্যে খোসা যুক্ত বা ছাড়া অবস্থায় সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া হয়ে গেলে তার বিষক্রিয়ায় লক্ষণগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
‘মেডিকেল নিউজ টুডে’ অনুযায়ী, সোলানিনের বিষক্রিয়ার লক্ষণগুলো হল- জ্বর, মাথাব্যথা, পেটেব্যথা, ডায়রিয়া, দেহের তাপমাত্রা কমা, বমিভাব, ধীর হৃদগতি এবং ধীর শ্বাসক্রিয়া।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
মৃদু লক্ষণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হয়ে যায়। তবে মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা পক্ষাঘাত, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, কোমা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

আলুসঠিক উপায়ে সংরক্ষণ

‘হেল্থ লাইন ডটকম’য়ের মতে- আলুতে কোনো প্রকার আঘাত লাগা, অতিরিক্ত আলো ও উচ্চ তাপমাত্রা আলুতে বিষক্রিয়া বাড়াতে পারে।
তাই আলু ঠাণ্ডা, অন্ধকার স্থানে মাটিতে ছড়িয়ে রাখা ভালো। এতে সোলানিন বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস পায়।
আলু অস্বচ্ছ বস্তা বা প্লাস্টিকে রাখা ভালো যেন বাড়তি আলো সংবেদন বাড়াতে না পারে।
আর বাজার থেকে আলু কেনার আগে তা ভালো মতো দেখে নেওয়া দরকার। যেন এতে কোনো সবুজ দাগ না থাকে।

মশা কেন কানের কাছে এসে শব্দ করে?কানের কাছে মশার প্যানপ্যানানি যে কতটা বিরক্তিকর, তা আর বিতং করে বলার কিছু নেই। কিন্তু রক...
08/09/2021

মশা কেন কানের কাছে এসে শব্দ করে?

কানের কাছে মশার প্যানপ্যানানি যে কতটা বিরক্তিকর, তা আর বিতং করে বলার কিছু নেই। কিন্তু রক্তখেকো এই পতঙ্গ কেন মানুষের কানের কাছে এসে এমন বিরক্তিকর শব্দ করে?
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল রিহলে বলেন, ‘মশার যে শব্দ আমরা শুনি, তা মূলত ওদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ। এই শব্দ একেবারেই মৃদু। তাই মশা যখন কেবল আমাদের কানের কাছে আসে, তখনই তা শোনা যায়।’
সাধারণত স্ত্রী মশার ডানার শব্দই আমরা শুনতে পাই। কারণ, পুরুষ ও স্ত্রী মশার জীবনধারণে বড় ধরনের পার্থক্য আছে। পুরুষ মশা সাধারণত ফুলের মধু পান করে, মানুষের রক্তের প্রতি কোনো ঝোঁক নেই। কিন্তু মিলনের পর ডিম্বাণু উৎপাদনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত শক্তির জন্য স্ত্রী মশাকে রক্ত পান করতে হয়। প্রাকৃতিকভাবেই স্ত্রী মশারা মানুষকে সহজে চিহ্নিত করতে পারে।
অধ্যাপক রিহলে বলেন, ‘দূর থেকেই স্ত্রী মশা মানুষের নিঃসৃত কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করতে পারে। এই কার্বন ডাই–অক্সাইড দিয়েই স্ত্রী মশারা তাদের লক্ষ্য ঠিক করে।’
সোজা কথায় বললে, মশারা আমাদের মাথার পাশে বেশি ঘুরঘুর করে; কারণ, আমরা শরীরের এই অংশ দিয়েই কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন করি।
মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর শরীরের রক্ত তাদের জন্য উপযোগী কি না, সেটি স্ত্রী মশারা তাদের পায়ে থাকা টেস্ট সেন্সর দিয়ে যাচাই করে। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ও’ গ্রুপের রক্ত মশাদের বেশি পছন্দ। তবে অধ্যাপক রিহলে তেমনটা পুরোপুরি মানতে রাজি নন।
তাঁর মতে, এখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জেনেটিকস এবং ডায়েটের মতো বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোনো কোনো মানুষের শরীরের গন্ধের ওপরও নির্ভর করে কোন মশা তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হবে, আর কোন মশা কম আকৃষ্ট হবে। যেসব পুরুষের ত্বকে কম বৈচিত্র্যময় ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি থাকে, স্ত্রী মশারা তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
আবার যাদের ত্বকের রং গাঢ়, তাদের প্রতিও স্ত্রী মশারা বেশি আকৃষ্ট হয়। স্ত্রী মশা প্রতি সেকেন্ড পাঁচ শ বারের মতো ডানা ঝাপটায় এবং এই শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি ৪৫০-৫০০ হার্টজ। পুরুষ মশার শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি কিন্তু স্ত্রী মশার চেয়েও বেশি। মশার এই প্যানপ্যান শব্দ আমাদের কাছে অত্যন্ত বিরক্তিকর মনে হলেও পুরুষ মশার কাছে সুমধুর! মিলনের জন্য যখন পুরুষ মশা স্ত্রী মশার খোঁজে থাকে, তখন তারা এই শব্দ শুনেই সঙ্গী বাছাই করে।

মহাকাশে দূরত্ব কেন মাইল-কিলোমিটারে মাপা হয় না?মহাকাশে দূরত্ব মাপা হয় আলোকবর্ষে। শব্দটিতে ‘বর্ষ’ থাকলেও সেটি দূরত্ব মাপার...
26/08/2021

মহাকাশে দূরত্ব কেন মাইল-কিলোমিটারে মাপা হয় না?

মহাকাশে দূরত্ব মাপা হয় আলোকবর্ষে। শব্দটিতে ‘বর্ষ’ থাকলেও সেটি দূরত্ব মাপার একক, সময়ের নয়। এক বছরে আলো যতটুকু দূরত্ব পেরোয়, সেটিকে আমরা এক আলোকবর্ষ বলি। সেই দূরত্বকে আমরা মাইল-কিলোমিটারেও প্রকাশ করতে পারি। যেমন এক আলোকবর্ষ ৫ লাখ ৮৭ হাজার কোটি মাইলের সমান, কিলোমিটারে ৯ লাখ ৪৬ হাজার কোটি। তবু মহাকাশে দূরত্ব মাপা হয় আলোকবর্ষে, মাইল-কিলোমিটারে নয় কেন?
স্পেস ডটকমে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বের মতো বিশাল পরিসরে মাইল বা কিলোমিটারে পরিমাপ ঠিক ‘পোষায়’ না। ব্যাপারটা অনেকটা হাঁটাপথে দূরত্ব মাপার মতো। যেমন আমরা বলি, হেঁটে গেলে ২৫ মিনিট লাগবে, জ্যাম না থাকলে বাসে ৪৫ মিনিটের রাস্তা ইত্যাদি। আর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নক্ষত্র থেকে আমাদের কাছে আলো আসতে যত সময় লাগে, সে হিসাবে নক্ষত্রের দূরত্ব মাপেন। যেমন, সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টারাই পৃথিবী থেকে ৪ দশমিক ২ আলোকবর্ষ দূরে।

এক আলোকবর্ষ কত দূর?

গাড়িতে কোথাও যাওয়ার সময় যেমন গতি ওঠানামা করতে পারে, আলোর গতি তেমন নয়। মহাশূন্যে আলোর গতি অপরিবর্তনীয়। ঘণ্টায় ৬৭ কোটি ৬ লাখ ১৬ হাজার ৬২৯ মাইল বা ঘণ্টাপ্রতি ১০৭ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ৮৪৯ কিলোমিটার।
এক আলোকবর্ষের দূরত্ব জানতে চাইলে এই সংখ্যাকে এক বছরের মোট ঘণ্টার সংখ্যা (৮ হাজার ৭৬৬) দিয়ে গুণ করতে হবে। অর্থাৎ এক আলোকবর্ষ মানে ঘণ্টায় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার মাইল। সংখ্যাটির দিকে চোখ দিলে দূরত্বটাকে ব্যাপক মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তবে মহাবিশ্বের আকার মাথায় রাখলে, সেটি তেমন কিছুই না।

মহাকাশে আলোকবর্ষে দূরত্ব মাপা হয় কেন?

মহাজাগতিক হিসাব-নিকাশে মাইল-কিলোমিটারে হিসাব রাখা বেশ কষ্টসাধ্য, অবাস্তবও। যেমন কালপুরুষ নীহারিকা আমাদের কাছ থেকে ৭৮ কোটি ৬১ লাখ কোটি মাইল দূরে। অন্যভাবে বললে ১৩০০ আলোকবর্ষ দূরে।
আমাদের গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের কেন্দ্র পৃথিবী থেকে ২৭০০ আলোকবর্ষ দূরে। অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথের দূরত্ব ২৫ লাখ আলোকবর্ষ। আবিষ্কৃত অনেক ছায়াপথের অবস্থান কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে। এই দূরত্বকে মাইল-কিলোমিটারে প্রকাশ করার কোনো মানে হয় না।
আলোকবর্ষে হিসাব করার আরেকটি সুবিধা হলো, নক্ষত্রের যে দৃশ্য আমরা এখন দেখছি, সেটি কত আগের, তা জানা যায়। রাতের আকাশে আমরা যা দেখি, তা বেশ আগেই ঘটে গেছে। আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছাতে সময় লেগেছে। আকাশে এক আলোকবর্ষ দূরের কিছু এখন দেখা মানে সেটি ঠিক এক বছর আগের ছবি। অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি দেখা মানে ছায়াপথটির ২৫ লাখ বছর আগের চিত্র দেখা।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HuePage posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to HuePage:

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share