![১৫ বছরেও বিচার হয়নি ফেলানী হত্যার। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ গুলি চালিয়ে, হত্যা ক...](https://img3.medioq.com/795/597/581599617955978.jpg)
07/01/2025
১৫ বছরেও বিচার হয়নি ফেলানী হত্যার। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ গুলি চালিয়ে, হত্যা করে ফেলানীকে। শুধু ফেলানী নয়, পনেরো বছরে সীমান্তে ৬ শতাধিক হত্যার একটিরও বিচার হয়নি।
আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। তবে সাজানো বিচারে মাত্র এক মাসের মধ্যে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় আসামি বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষকে।
বাদীপক্ষের না রাজিতে ২০১৪ সালে ফের শুরু হয় পুনঃবিচার। তাতেও সাজা হয়নি আসামির। ২০১৫ সালে ফেলানীর পরিবারের পক্ষে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে রিট করে মানবাধিকার সংস্থা-সুরক্ষা মঞ্চ। এরপর দফায় দফায় পেছাতে থাকে শুনানির তারিখ। ৯ বছর ধরে বিচারের নামে চলছে প্রহসন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি চোখের সামনে ছটফট করে মেয়েকে মরতে দেখেছেন মা। ফেলানীর সেই মৃত্যুযন্ত্রণা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। ফেলানীর মা জাহানারা বেগম আক্ষেপ করে জানান, ৩ ঘণ্টা পানির জন্য চিৎকার করেছিল ফেলানী। তবে তিনি মা হয়ে তার মেয়ের পাশে যেতে পারেননি।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নতুন সরকার অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারকে এই মামলাটি দেখভাল করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বছরওয়ারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে সীমান্তে ৬ শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে বিএসএফ। আহত ও পঙ্গু হয়েছে সাড়ে সাতশ মানুষ। এসব ঘটনার একটিরও বিচার হয়নি।