Posh & poise (2025)

15/07/2025

এই যে, ফোনের ওপাশে থাকা আত্মীয়স্বজন বা আশেপাশে থাকা ৩০ বছর পার হওয়া সন্তানের জননী বা জনক —
যখন আপনাকে দেখে হেসে হেসে মন্তব্য করে,
“আরে, তোমাদের তো কোনো কাজই নেই! বাচ্চা সামলাতে কষ্ট ছিলো আমাদের সময়। কত কত কাজ গরু ,ধানের কাজ সহ গাদা গাদা কাজ করছি ,আবার বাচ্চাও হইছে ৬-৭ টা …” কই আমাদের ত এত ডিপ্রেশন হয়নাই। তোমাদের ১-২ টা পালতেই কত ডিপ্রেশন তাও তোমাদের কত সুবিধা কত কাজের লোক থাকে।

এমন লোকদের আপনি/আপনাদের তখন কী করতে মন চায়, বলুন তো?

আমার তো মন চায় বলি —
“ একদিন এসে আমার জীবনে বেঁচে দেখা।আমি যেভাবে পালি , ঠিক সেই স্টাইলেই আমার বাচ্চাকে দুইটা দিন রাখ— একদম একইভাবে!
আমি তোর পেছনে একটা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে, নাক ডেকে ঘুমিয়ে পড়ি। দেখি কেমন পারোস?”

আচ্ছা, আপনাদের বাচ্চা বড় হয়ে গেছে বলেই কি আপনারা সব কষ্ট ভুলে গেছেন? ভুলে যেতে পারেন কিভাবে?

একবার ভাবুন তো —
এই ৩০ বছরে ঠিক কতটা চেঞ্জ হয়েছে!

মানুষ গ্রাম থেকে শহরমুখী হয়েছে, মানুষের খাবার বদলেছে, রোগ-বালাই বেড়েছে,
মানুষের লাইফস্টাইল বদলে গেছে — সবকিছুতেই এসেছে পরিবর্তন।

আপনারা যখন বাচ্চার জন্ম দিচ্ছিলেন, তখন তো চারদিকে ছিল —
গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ, ক্ষেতভরা শাকসবজি, গাছভরা ফল।
ছিল যৌথ পরিবার, ছিল সহানুভূতি।
আপনারা কি তখন hormonal issues বুঝতেন?
আপনার বাচ্চা কি শুধুই আপনার একার বাচ্চা ছিল? একা বড় করতে হতো?
চাচা-চাচি, দাদা-ফুপু, প্রতিবেশী — সবাই মিলে বড় করতেন বাচ্চাকে।
পুরো বাড়ির সবাই মিলে বাচ্চা মানুষ করতে হেল্প করতো ,
বাড়ির উঠোনে বাচ্চা ছেড়ে রাখতেন, কেউ না কেউ খেয়াল রাখতো।
এক থালা ভাত দিয়ে রাখলে, সে নিজেই তুলে খেত।

আপনারা তখন কতটা অনুকূল পরিবেশ পেয়েছেন —
C-section ব্যাপারটাই হয়তো আপনারা জানতেন না!

কিন্তু এখন?
মানুষ যেটা খায়, তার বেশিরভাগই ভেজাল।
রোগ বেশি, যৌথ পরিবার কম।
এখনকার মায়েদের হয়তো একটা বা দুইটা সন্তান থাকে —
কিন্তু তারা সেই “কমফোর্ট জোন” পায় না।
তারা একা হাতে মানুষ করে সন্তান।

বাচ্চা দেখার লোক থাকলেও, নিজের হাতে গোসল করায় —
কারণ ভরসা করতে পারে না। যদি কেউ ভুল করে বাচ্চার কান বা নাকে পানি ঢুকিয়ে ফেলে?

তারা নিজের হাতে খাওয়ায় — ধৈর্য নিয়ে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে।
(বিশ্বাস করুন, অনেক মা সেই সময়টায় চুপচাপ বসে কাঁদেন…এমন অনেমে মা দেখেছি যাদের হাতে খাবার শুকায় যায় তারপর বাচ্চা একটু খাবার মুখে নেয় হয়ত..)
তারা নিজেরাই বাচ্চার সাথে খেলে — ক্লান্ত থাকলেও।
রাত ১টা, ২টা, ৩টা — প্রতিদিন চলতে থাকে যুদ্ধ।
এটা এখনকার মায়েদের যুদ্ধ।
এদের যুদ্ধ আপনার বোঝার ক্ষমতা নাই কারণ সময়টা আলাদা।
অনেকে তো মায়েদের দেখে বলে —
“ফ্যাশন করে, দুধ খাওয়ায় না।”
কিন্তু কজনকে দেখে বলেন এই কথা আমার বোধগম্য না—
এখনকার working mother-রা বাচ্চার জন্য বুকের দুধ স্টোর করে বাইরে বের হন।আপনাদের এত প্যারা নিতে হতোনা।
আপনারা কাজ করতেন সিজন অনুযায়ী ধানের সময় ধান,আলুর সময় আলু আর বাকি দিন একবেলা রান্না করে পুরা দিন পরনিন্দা বা গল্প করে ঘুরতেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে।( সরি আমি এভাবে বলতে চাইনি কিন্তু আপনাদের মেমোরিতে এই সময়গুলা নাই ত তাই মনে করায় দিলাম )

আপনারা ৩০ বছর আগে মা হয়েছেন —
তাই হয়তো সব কষ্ট ভুলে গেছেন।

একটু থামুন না, মানুষকে এমনি করে খোঁচা দেওয়া বন্ধ করুন।
একটু বোঝার চেষ্টা করুন — দুই সময় এক না।

দেখবেন, দোয়া পাবেন।
আর না বোঝার চেষ্টা করলে —
মুখে হাসলেও, সেই দোয়া আর মনের ভেতর থেকে আসবে না।
মেয়েদের কষ্ট যদি মেয়েরাই না বোঝেন তাহলে হবে কিভাবে?

11/07/2025

মা হ‌ওয়ার পর জানলাম
বাথরুমের জানালা দিয়ে আমেরিকা যাওয়া যায়, কানাডা যাওয়া যায়, শপিংয়ে যাওয়া যায়।পার্কে গিয়ে অনেক ফান এক্টিভিটি করা যায় 😂

না মানে বাচ্চা যেমন ভাবে মা এর সাথে ওয়াশরুম যাওয়ার জন্য লাফায় ,এমন ভাবাটাই স্বাভাবিক। 😂🫢

08/07/2025

“ফেসবুকে যেসব আপুরা ড্রেস বিক্রি করেন, তাদের কমেন্ট বক্সে একটা কমন দৃশ্য — ‘Prize koto?’
মানুষ কি দাম জানতে চায় নাকি পুরস্কার? 🤔

আপনারাও কি লক্ষ্য করেছেন এই ‘বিষয়টা’?

03/07/2025

নজর -

ফেসবুকে ছবি দিলে নজর লাগে? সত্য, নাকি শুধু ভয়?

আজকাল একটা কথা খুব শোনা যায় —
👉 “ফেসবুকে ছবি দিও না, নজর লাগবে।”
কেউ ছবি দিলেই কমেন্ট আসে — “নজর না লাগে।”
না দিলেও ইনবক্সে প্রশ্ন — “ছবি দাও না কেন? কোনো সমস্যা?”

কিন্তু একটু ভাবুন তো —
নজর কি শুধু ফেসবুকের ছবি বা ভিডিওতেই লাগে?

⸻

🔍 নজরের উৎস কী?

নজরের মূল হলো হাসাদ (হিংসা)।
এটা কারো মনের ভেতরের অনুভূতি — কারো সুখ, সৌন্দর্য, সাফল্য দেখে সে ক্ষুব্ধ হয়, ঈর্ষান্বিত হয়।
এমনকি অনেক সময় ‍নিজের কাছের মানুষ — আত্মীয়, বন্ধু, বা প্রতিবেশীও এই হাসাদের শিকার করে ফেলে।

তারা তো আপনার ফেসবুকে নেই।
তারা তো আপনার সাথেই বাস করে, কথা বলে, দেখে আপনি কী খাচ্ছেন, কী পরছেন।

তাহলে শুধু ফেসবুকে ছবি পোস্ট করলেই কি নজর লাগার ভয় আছে?

না!
👉 নজর লাগতে পারে যেকোনো সময়, যেকোনো মাধ্যমেই। এমনকি আপনি কোনো কিছু প্রকাশ না করলেও।

⸻

🧕 তাহলে ছবি পোস্ট করা কি ভুল?

না, ইসলাম ছবি পোস্ট করাকে হারাম বলেনি।
বরং কুরআনে বলা আছে:

📖 “আর তোমার প্রতিপালকের দেয়া নেয়ামতের কথা ঘোষণা করো।”
— (সূরা আদ-দুহা, আয়াত ১১)

আপনি যদি ভালো জামা পরেন, সুন্দর জায়গায় যান, কিছু অর্জন করেন — সেটা শেয়ার করা অন্যায় নয়। বরং নেয়ামতের শোকর।

কিন্তু এতে যেন অহংকার বা রিয়া (লোক দেখানো) না থাকে। আর যাদের দেখানোর দরকার নেই — তাদের সামনে নিজের জীবনের সবকিছু প্রকাশ করাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

👀 নজর থেকে আসল বাঁচার উপায় কী?

মানুষের দৃষ্টি আপনি আটকাতে পারবেন না।
কিন্তু আপনি পারেন —
✅ আল্লাহর আশ্রয় নিতে।
✅ প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়তে।
✅ নিজের ও সন্তানের জন্য দোয়া করতে।
✅ প্রশংসা পেলে বলা — “মাশাআল্লাহ”, এবং অন্যদের জন্য বলা — “বারাকাল্লাহ”।

⸻

নজর থেকে বাঁচতে এখন দোকানে যে পেনড্যান্ট বা প্রতীক পাওয়া যায়…🧿

অনেকে একচোখের ইমোজি, তাবিজ বা নীল পেনড্যান্ট ব্যবহার করেন।
কিন্তু এসব জিনিস কি আল্লাহর চেয়ে শক্তিশালী?
🔴 এগুলো দাজ্জালের প্রতীক — যেগুলো অজান্তেই শয়তানের ভাবনা ছড়ায়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।

লেখা - তমা।

23/06/2025

AgDoom BagDoom আয়োজিত গেটটুগেদারে এতগুলো ছানাপোনা ❤️।এই দিনটা বাচ্চাদের কাছে ঈদ আনন্দের থেকে কম কিছু ছিলোনা। Benzir Ishrat আপুর জন্য আমরা আবারো অপেক্ষায় রইলাম। Tooba’s Tiny Tale Tabid’s Territory Sujana Zahedi

03/06/2025

ভাই আমি ChatGPT এর কাছে বুয়া বস করার টিপস চাইলাম আর সে আমার কিডনি খোলার পরামর্শ দিছে 😑🤐....

02/06/2025

🌺 UJJWALA – যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন পায় নতুন ডানা… 🌺প্রত্যেক মেয়ের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে কিছু করে দেখানোর তীব্র ইচ্ছে। কিন্তু পথটা সব সময় সহজ হয় না।Ujjwala ঠিক সেই জায়গা, যেখানে মেয়েদের হাতে ধরে শেখানো হয়—কীভাবে নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে হয়।কম খরচে শেখানো হয় প্রফেশনাল মেকআপ, হেয়ার, স্কিন কেয়ার সহ বিভিন্ন কোর্স—আর সবটাই হয় একদম আপন পরিবেশে। 🔐 নিরাপত্তা রয়েছে,🏠 হোস্টেল সুবিধা রয়েছে দূরের ছাত্রীদের জন্য,🎓 সার্টিফিকেট দেওয়া হয় কোর্স শেষে,আর রয়েছে এক টুকরো সাহস—নতুনভাবে শুরু করার।

31/05/2025

একঝাঁক সুন্দরীদের মেলা। সাথে পেলাম Ujjwala -উজ্জ্বলা er apu k

জিনিসপত্র যা আছে তার দামে একঘণ্টা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো। 🙂কিন্তু aesthetic-er ঝলকে bar bar jete ichcha kore!

29/05/2025

ঢাকা শহরের মানুষ কত অসহায় আর জিম্মি এই জ্যামের কাছে তা কেবল তারাই বোঝে।এই শহরের মানুষ অফিস থেকে ফিরতেই আবার অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়…
এই শহরে ঘুম নয়, শুধু ঘোরে বাঁচতে হয়।
যেখানে সকাল মানে দৌড়, আর রাত মানে ক্লান্তির ঘুম নয়—শুধু চোখ বন্ধ রাখা।

রাস্তায় নামলেই শুরু হয় আরেক অধ্যায়—অসহনীয় জ্যাম।জ্যামে বসে একটা কথাই বারবার মাথায় ঘুরছিল…
শুধু বাসার ছোট্ট বাচ্চাটাই নয়—বয়স্ক মা-বাবা, অসুস্থ আত্মীয়, অপেক্ষমাণ পরিবার—সবাই এই জ্যামের বলি।
একটা গাড়ি থেমে থাকে মানে শুধু একজন না, তার পেছনের অনেক কষ্ট আটকে থাকে।

🚦এই শহর আমাদের ভালোবেসে নয়, আমাদের গিলে খায়।
প্রতিটা সিগন্যাল একটা জীবনের মুহূর্ত ছিনিয়ে নেয়।
প্রতিটা জ্যাম কারো না কারো ইমার্জেন্সি কে থামিয়ে দেয়।

চাইলেও সময়মতো ডাক্তারের কাছে পৌঁছানো যায় না।
অসুস্থ কারো ডাকে সাড়া দেয়া যায় না।
আর এসবের কোনো মূল্যও নেই—শুধু ধৈর্য হারিয়ে ফেলি, কষ্টটা চুপচাপ জমে থাকে।

📷 এই ছবিটা শুধু একটা জ্যামের নয়—
এটা একটা হারিয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিচ্ছবি।
এই শহরে সময় একটা বিলাসিতা....

#ঢাকারজ্যাম #রোজকারসংগ্রাম #শহরেরকষ্ট

29/05/2025

Benzir Ishrat আপু Tooba’s Tiny Tale তুবার হাতের রিং কিন্তু খুবই আনকমন 🫢...
Don’t forget to say Mash Allah ❤️

27/05/2025

কেউ কাউকে দেখতে পারেনা সবাই তাই ই বলে কিন্তু আমার তা মনে হয়না।
আমার মনে হয় দুজন দুজনকে খুব পছন্দ করে।
নাইলে কিভাবে দুজনের পোস্ট একই হয়! তার মানে লুকিয়ে লুকিয়ে দুজন ই দুজনকে ফলো করে 🫢😀....

18/05/2025

সিঙ্গাপুরের প্রথম দিনেই যেভাবে তিনটি স্পট ঘুরলাম।

Posh & poise

15/07/2025

11/07/2025

08/07/2025

03/07/2025

23/06/2025

03/06/2025

02/06/2025

31/05/2025

29/05/2025

29/05/2025

27/05/2025

18/05/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share