Rely News

Rely News WellCome to the Official “Rely News” Social Page! For more information Entertainment on using. String puppetry. Dhokra ART. Thanjavur painting. Handloom weaving.

Traditional art and crafts of Village are Dying Slowly-
Many traditional art an crafts of India are dying due to modernization and Techological Developments, These handmade tales of India are on the verge of extinction and getting replaced machine made products. Includes chamba rumal paintings, Madhubani paintings, craft, handloom weaving, rangoli designs and portraits:-

Rogan painting. Paitkar painting. Bamboo ART. Wildlife painting. Kalamkali etc. The most famous traditional folk dance of Village People:-
Chhau – WestBengal. Ghumura – Odisha. Rouff – Jammu and Kashmir. Bhangra – Panjub. Ras Leela – Uttar Pradesh. Garba – Gujarat. Ghoomar – Rajasthan. Bihu – Assam. Pulikali – Kerala.Lavani – Maharashtra. Rout Nacha – Chhattisgarh. Karakattam – Tamilnadu. Matki Dance – Madhya Pradesh. Dollu Kunitha – Karnataka. Veeranatyam – Andhra Pradesh. The most famous painting styles of People by Village:- India has been the country of ARTs whether it’s dancing, Singing, Crafting and never lets down to the lovers of ART. Pichwai. Midnapore Patachitra. Mysore Paintings. Gond. Kalighat Painting. Kalamkari. Mughal Painting. The Phad. Mandana Paintings. Madhubani. Minimature Paintings. Tanjor Glass Paintings. Rajput Painting. Cava Painting etc. For More Information online News RangaMati Protal This Pages to Share Video News and Entertainment News...!!! Village is Famous for its Terracotta Temple. Food LifeStyle Information, Village Animals LifeStyle Information, Village People LifeStyle Information and Village Lokogiti Music & Audio Information.....!!!!!!!!

29/12/2022

এখানে 31st এ ঘোরার জন্য বয়ফ্রেন্ড ভাড়া পাওয়া যায়। 🤪

 #ভিটামিনের গল্প 😊ইংরেজিতে লিখে Vitamin । কিন্তু একশো বছর আগে শব্দটি লেখা হতো Vitamine । কি করে Vitamin হলো ? কেন একটি অ...
27/12/2022

#ভিটামিনের গল্প 😊

ইংরেজিতে লিখে Vitamin । কিন্তু একশো বছর আগে শব্দটি লেখা হতো Vitamine । কি করে Vitamin হলো ? কেন একটি অতিরিক্ত E বাদ দেয়া হলো ?

নিশ্চয়ই কোনো গল্প আছে !

কারণটি ছিল মজার ।

১৯১২ সালে পোল্যান্ডের এক বায়োকেমিস্ট Casimir Funk প্রথম ভিটামিন আবিষ্কার করেন । পোলিশ আসল নাম Kazimierz Funk । ১৯১০ এর দিকে লন্ডন চলে আসেন । আবার পরবর্তীতে ১৯৪০ এর দিকে আমেরিকায় চলে যান, পরিচিতি পান Casimir Funk নামে ।

লন্ডনের বিখ্যাত Lister Institute এ গবেষণা করে তিনি প্রথম ভিটামিন আবিষ্কার করেন ।

এই প্রসঙ্গে বলে নেই - সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বেশিরভাগ চিকিৎসক কিংবা বিজ্ঞানীদেরও ধারনা নেই যে আজকের পৃথিবীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যত ভালো ভালো আবিষ্কার এবং সুফল মানুষ ভোগ করছে, তার সিংহভাগ এসেছে পৃথিবীর তিনটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে । লন্ডনের লিস্টার ইনস্টিটিউট, প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউট এবং আমেরিকার রকফেলার ইনস্টিটিউট ।

যাইহোক, Casimir Funk ভিটামিন আবিষ্কার করে নাম দেন : Vitamine । ভাঙলে হয় Vital Amine । ভিটামিনের রাসায়নিক গঠনে তখন তিনি ভেবেছিলেন এর মধ্যে Amine নামের গ্ৰুপের রাসায়নিক উপাদান আছে । Amine হলো একধরনের গ্রুপ যেখানে নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেনের বন্ধনে ক্যেমিক্যালটি তৈরি হয় । যেমন : অ্যামিনো অ্যাসিড ।

তিনি ভেবেছিলেন ভিটামিনের মধ্যে Amine আছে এবং এটি শরীরের জন্যে গুরুপ্তপূর্ণ । নাম দেন Vital Amine বা Life Amine । ল্যাটিন Vita মানে Life ।

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেলো যে সব ভিটামিনের মধ্যে Amine গ্ৰুপের কিছু থাকে না । শেষে E বাদ দিয়ে সংশোধন করে বলা হতে লাগলো : Vitamin !

উনিশ শতকে চিকিৎসকরা ভাবতো শরীরের চারটি মূল উপাদান দরকার । প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং মিনারেলস । তখনও ভিটামিনের কথা জানতো না ।

Casimir Funk বিশ শতকের শুরুর দিকে ডাচ বিজ্ঞানী Christiaan Eijkman এর একটি আর্টিক্যাল পড়েন । সেখানে Beriberi রোগের কারণ সম্পর্কে Christiaan Eijkman আলোচনা করেন । ১৮৯৭ সালে Eijkman প্রথম বেরিবেরির কারণ হিসাবে খাদ্যকে দায়ী করেন । তিনি দেখতে পান যে - যারা সাদা চালের পরিবর্তে বাদামি চাল খায়, তাদের এই রোগ হয় না । পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা জানে যে - এই বেরিবেরির কারণ ভিটামিন B1 বা Thiamine ।

রসায়নবীদ Casimir Funk বাদামি চালের উপর কাজ করে তার রাসায়নিক উপাদানটি পৃথক করে তার নাম দেন : Anti Beriberi !

তারমানে ভিটামিন শব্দটি লেখার আগে ১৯১১ সালে তাকে প্রথম বলা হতো Anti Beriberi । তিনি তখন আসলে ভুল করে অন্য একটি ভিটামিন B3 যা Niacin নামে বর্তমানে পরিচিত, সেটি আবিষ্কার করেন । বাদামি চালের ভেতর ভুল করে B3 কে ভাবেন বেরিবেরির উপাদান । আসলে সেটি ছিল B1 Thiamine । এমন করে পরবর্তীতে চারটি মূল ভিটামিন তিনি আবিষ্কার করেন । ভিটামিন B1, B3, C এবং D ।

কিন্তু নামগুলো এমন আলফাবেট ছিল না ।

তখন তাদের নাম ছিল বেশ মজার । যেমন :

বেরিবেরির কারণ Antiberiberi Vitamin এর অভাব, যা পরে নাম দেয়া হলো ভিটামিন B এর সাবগ্রুপ B1 বা Thiamine ।

স্কার্ভির কারণ Antiscorbut Vitamin এর অভাব, যা পরে নাম দেয়া হলো ভিটামিন C ।

Pellagrar র কারণ Antipellagric Vitamin এর অভাব, যা পরে নাম দেয়া হলো ভিটামিন B3 বা Niacin ।

রিকেটস এর কারণ Antirachitic Vitamin এর অভাব, যা পরে নাম দেয়া হলো ভিটামিন D ।

এ নিয়ে ১৯১২ সালে তিনি একটি পপুলার বই লিখেন : The Vitamines ।

১৯১২ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে সকল ধরনের ভিটামিন আবিষ্কার হয় একে একে ।

ভুল করে প্রথম ভিটামিন হিসাবে ভিটামিন B আবিষ্কৃত হলেও পরবর্তীতে ১৯১২ সালেই Gowland Hopkins ভিটামিন A আবিষ্কার করেন, যা পরে ১৯২০ সালে নামকরণ করে A হিসাবে ।

শুরুর দিকে প্রতিটা আবিষ্কারের একটি নাম থাকলেও পরবর্তীতে আবিষ্কারের ক্রম অনুযায়ী ভিটামিন গুলোর নাম A, B, C, D, E এবং K করা হয় । B মূলত বেরিবেরি থেকে নেয়া, ভিটামিন K রক্ত জমাট বাঁধায় দরকারি বলে জার্মান koagulation বা ইংরেজি Coagulation থেকে K নেয়া হয়েছে ।

মানুষের শরীরে দরকার ধরা হয় ১৩ টি ভিটামিন । কেউ কেউ Choline নামের একটি উপাদানকেও ভিটামিন গ্ৰুপের অন্তর্ভুক্ত করে ১৪ টি বলে ।

ভিটামিন D ছাড়া আর কোনো ভিটামিন শরীর নিজেকে জোগাতে পারে না । তাই বিভিন্ন খাবার খেয়ে ভিটামিনের প্রয়োজনটি পূরণ করতে হয় ।

ভিটামিনের মূল কাজ শরীরে কোষের ভেতর বিভিন্ন মেটাবলিক কাজে সাহায্য করা ।

সূত্র :

1. Harvard Health Publishing : Harvard Medical School
2. Journal of State Medicine
3. The Merck Manual
4. National Institute of Health USA
5. NHS UK

© অপূর্ব চৌধুরী । চিকিৎসক এবং লেখক । জন্ম বাংলাদেশ, বসবাস ইংল্যান্ড । গ্রন্থ ৭ । উল্লেখযোগ্য বই : অনুকথা, জীবন গদ্য, বৃত্ত ।

আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, খালি পায়ে বল নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে, কারণ এতে বলটাকে অনুভব করা যায়।  আমিও আমার বাবা কে কথা দিয়েছি...
27/12/2022

আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, খালি পায়ে বল নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে, কারণ এতে বলটাকে অনুভব করা যায়। আমিও আমার বাবা কে কথা দিয়েছিলাম, আমি এমন ভাবে বল কন্ট্রোল করবো, যেমনটা আগে কেউ করতে পারেনি। কিন্তু বাস্তবতা হল, এক জোড়া জুতা কিনে দেওয়ার টাকা আমার বাবার কাছে ছিলো না।

আমি যখন আমার প্রথম গোল্ডেন বল জিতি, তখন আমি আনন্দে কাঁদিনি, আমার বাবা না থাকায় কেঁদেছিলাম।
-রোনালদিনহো

#সংগৃহীত

১০ তলা একটি ভবনে ৩ জন ব্যক্তিকেউঠতে দেওয়া হল।সময় ২ মিনিট। অপশনআছে দুটি। কেউ চাইলে সিঁড়ি দিয়েওউঠতে পারবে, কেউ চাইলে লিফট ...
27/12/2022

১০ তলা একটি ভবনে ৩ জন ব্যক্তিকে
উঠতে দেওয়া হল।সময় ২ মিনিট। অপশন
আছে দুটি। কেউ চাইলে সিঁড়ি দিয়েও
উঠতে পারবে, কেউ চাইলে লিফট দিয়েও
পারবে। লিফটটি নষ্ট নাকি ঠিক আছে তা
কেউ জানে না।যদি লিফটটি ঠিক থাকে
তথাপি ঠিক দুই মিনিট পর এটি আর সচল
থাকবে না।
সময় শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রথম আর
দ্বিতীয় ব্যক্তি সিঁড়ি বেয়ে দৌড়াতে
লাগল এই ভেবে যে ‘ লিফট যদি নষ্ট হয়?’
তৃতীয় ব্যক্তি ভাবল, এতো কষ্ট করে কী
লাভ? লিফট দিয়েই উঠবো। ওরা সিঁড়ি
দিয়ে উঠতে উঠতে আমি পৌঁছে যাব।
ততক্ষণে প্রথম ব্যক্তি অষ্টম আর দ্বিতীয়
ব্যক্তি ৪র্থ তলায় পৌঁছেছে। দেখা গেল
চতুর্থ তলায় লিফট এর দরজা খোলা,
দ্বিতীয় ব্যক্তি লিফট করে ১০ম তলায়
পৌঁছে এবং তার কয়েক সেকেন্ড পূর্বে
প্রথম ব্যক্তি দশম তলায় পৌঁছে।তখনও তৃতীয়
ব্যক্তি নিচ তলায় লিফটের আশায়।
ততক্ষণে লিফট বন্ধ হয়ে গেছে দুই মিনিট
অতিক্রম করেছে বলে।
এখানে, দশম তলা হল লক্ষ্য। প্রথম ব্যক্তিটি
খুবই কর্মঠ। অদম্য ইচ্ছা আর পরিশ্রমের
মাধ্যমে সে সিঁড়ি বেয়ে প্রথমে লক্ষ্যে
পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তিটিও কর্মঠ
কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয়েছে বলে প্রথম
ব্যক্তির চেয়ে অনেক পিছিয়ে থেকেও,
লিফট এর মাধ্যমে মাত্র কয়েক সেকেন্ড
পরেই লক্ষ্যে পৌঁছে। লিফট তার ভাগ্য
হিসেবে কাজ করেছে।
প্রথম ব্যক্তি প্রতিটি ফ্লোরে কী কী
আছে সব দেখেছে, জেনেছে,
শিখেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তি শুধু
ভাগ্যের জোরে লক্ষ্যে পৌছতে
পারলেও জীবনের প্রতিটি স্তরে কী
কী আছে তা দেখেনি, শিখতে
পারেনি, জানতে পারেনি।অপরদিকে,
তৃতীয় ব্যক্তি লিফটের আশায় সিঁড়ি
দিয়েও উঠতে পারল না; পারল না লিফট
দিয়ে উঠতে। কেননা, ঠিক দুই মিনিট পর
লিফট বন্ধ হয়ে গেছে। জীবনে সে ব্যর্থ।
প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা না
থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো অসম্ভব। কারণ,
ভাগ্যও অলস ব্যক্তির সহায় হয় না। ভাগ্য
বুঝেশুনে অলস ব্যক্তিকে এড়িয়ে যায়;
কড়া নাড়ে পরিশ্রমী ব্যক্তির দরজায়।
কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি সময় ও সুযোগ
বুঝে সেই ভাগ্যকে লুফে নিয়ে কাজে
লাগাতে হবে।

-সংগৃহিত

বিয়ের চার বছর হয়েছে এখনো মা হতে পারিনি।পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের।প্রথম প্রথম আমি আর তুষার খুব সুখের সময় কাটিয়েছ...
28/10/2022

বিয়ের চার বছর হয়েছে এখনো মা হতে পারিনি।
পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের।প্রথম প্রথম আমি আর তুষার খুব সুখের সময় কাটিয়েছি। শশুড় শাশুড়ীও খুব আদর করতো আমাকে নিজের মেয়ের মতই ভালবাসে। দুই ননদের তো আমার সাথে খুব ভাব।

কিন্তু গত ছয় মাস ধরে শশুড় শাশুড়ী ননদেরা উঠে পরে লেগেছে কেন আমার বাচ্চা হয়না।তুষারও এতোদিন বাচ্চা না হওয়ায় তেমন কিছুই বলতো না, কিন্তু আজকাল তুষারও ওদের সাথে পাল্লা দিয়ে বলে চার বছর কেটে গেলো এখনো কেন বাচ্চা হয় না, ওর মা বাবা নাতির মুখ দেখতে চায়।

গতকাল রাতে শাশুড়ী এসে বললো আর কত দিন অপেক্ষা করবো, বাড়িতে একটা বাচ্চাও নেই, বাচ্চা টাচ্ছা ছাড়া কি বাড়ি ভাল লাগে, নাকি শান্তি লাগে, পাশের বাড়ির শেফালির ছেলেকে তুষারের এক বছর পরে বিয়ে দিয়েছে, ছয় মাস হয়েছে বাচ্চা হয়েছে আর আমার ছেলের বৌয়ের ঘরে এখনো কোন বাচ্চা হলো না, আমরা কি ঠাকুমা দাদু হবো না...?

আরো অনেক গুলো কথা শুনিয়ে গেলো, বাচ্চা না হলে আমি কি করবো, আমি ও তো চাই আমার একটা সন্তান হোক, যে আমাকে মা মা বলে ডাকবে।

ননদ রিমি এসে বলল, বৌদি এক কাজ করলে কেমন হয় তোমরা বরং ডাক্তারের কাছে যাও, গিয়ে দেখো কারো কোন সমস্যা আছে কিনা।

রাতে তুষারকে রিমি কথাটা বলতেই তুষার বলল ও কোন ডাক্তারের কাছে যাবে না, পারবে না যেতে, অফিসে কাজের অনেক চাপ। অনেক জোরাজুরি করে তুষারকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম, দুজনেই পরীক্ষা করালাম। যত রকমের টেষ্ট আছে সব গুলোই টেষ্টই করলাম। ডাক্তার বললেন রিপোর্ট আসতে দেরি হবে, দুজনেই অপেক্ষা করছি আর মনে মনে ঈশ্বরকে ডাকছি, যেনো কোন দুর্সংবাদ না শুনতে হয়। আধ ঘন্টা পরেই তুষারের মোবাইলে ফোন আসলো তাড়াতাড়ি অফিসে যাওয়া জন্য, আর্জেন্ট মিটিং আছে। তুষার আমাকে বলল, খুশি তুমি রিপোর্ট দেখে ডাক্তারের সাথে কথা বলে বাড়ি চলে যেও, আমাকে এক্ষুনি অফিসে যেতে হবে, বস ডাকছেন। আমি বাড়িতে এসে রিপোর্ট দেখবো, বলেই হনহন করে হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে গেলো।

আমার হাতে ডাক্তারের দেওয়া রিপোর্ট আর সেই রিপোর্টে কিছু কঠিন সত্যি কথা লেখা আছে, যা মেনে নিতে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। বাড়িতে আসবার পর থেকে শ্বশুর শাশুড়ী ননদেরা বার বার জিজ্ঞেস করছে রিপোর্টে কি আসছে ডাক্তার কি বলেছে। চোখের জলের জন্য কথা বলতে পারছি না, ওদেরকে কি উত্তর দেবো। শাশুড়ী কঠিন সুরে বলল কি ব্যাপার বলছো না কেন কি হয়েছে।

বললাম ডাক্তার বলেছে সমস্যা টা আমার আমি কোনদিন মা হতে পারবো না, সেই ক্ষমতা নাকি আমার নেই।

কথা টা বলার সাথে সবাই কেমন করে জেনো আমার দিকে তাকাচ্ছিলো। শাশুড়ীতো রীতিমতো কান্নাকাটি শুরু করে দিলো, আমার ছেলে এই জন্মে কি আর সন্তানের মুখ দেখবে না, আমাদের বংশ কি এখানে শেষ হয়ে যাবে, কি কুলাঙ্গার অপয়া মেয়ে এনে সংসারে ঢুকিয়েছে মা হতে পারবে না, শাশুড়ীর সাথে শ্বশুরও সুর মিলিয়ে বকে যাচ্ছে। ননদেরাও যা তা বলছে একটা বন্ধ্যা মেয়ে আমার ভাইয়ের কপালে জুটেছে।
রাতে তুষার বাড়িতে এলে সবাই মিলে ওকে বোঝালো যাতে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।আমাকে দিয়ে আর সংসার করা হবেনা।

ফল বিহীন গাছ রেখে লাভ কি, উপরে ফেলে দিয়ে সেখানে নতুন গাছ লাগাতে চাই, আরো অনেক কথাই বলে যাচ্ছে। আমি শুধু দেখছি তুষার কি বলে, কিছুক্ষণ পর নীরবতা ভেঙ্গে তুষার বলল তোমরা যা ইচ্ছে তাই করো আমার আর এইসব ভাল লাগে না।

রাতে তুষার আমার সাথে একটা কথাও বলেনি, সারাটা রাত কেঁদে বুক ভাসিয়েছি আর ভাবছি চেনা মানুষগুলো এতো তাড়াতাড়িই অচেনা হয়ে গেলো, আমি এখন ওদের কাছে হয়ে গেলাম অপয়া বন্ধ্যা।

সকালে আমাকে ডাকা হলো শ্বশুরের ঘরে, ডেকে নিয়ে বলল তুষারকে যেন ছেড়ে দি, ওরা তুষারকে আবার বিয়ে দিবে, ওদের বংশের প্রদীপ চাই , আর সেটা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না, তাই আমি যেনো ডিভোর্সের ব্যপারটা মেনে নিয়ে তুষারকে চিরদিনের জন্য মুক্ত করে দিই।তুষারের ও নাকি তাইই মত।

তুষারের দিকে তাকাতেই ও বলল মা বাবা যা বলবে তাই হবে, তুমি এটা নিয়ে আর বাড়াবাড়ি কোরো না খুশি প্লিজ, আর কোন টেনশন আমি আর নিতে পারছি না

ভাবতেই কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে কি করে মানুষ এতোটা বদলে যায়। আজ আমি সন্তান দিতে পারবো না বলে আমাকে ওরা তাড়িয়ে দিচ্ছে, কতোটা স্বার্থপর মানুষ।

দুই দিন হয়ে গেলো কেউ আমার সাথে তেমন একটা কথা বলে না, সবাই এড়িয়ে এড়িয়ে চলে।খাবারের সময়ও কেউ ডাকে না। সন্ধ্যার পর শ্বশুর শাশুড়ী এসে বলল তুমি কবে আমার ছেলেকে মুক্তি দিচ্ছো বলো, আমি তুষারের জন্য অন্য মেয়ে পছন্দ করেছি।

মেয়ে পছন্দ করেছেন মানে?

হ্যা করেছি তো আমার ছোট বোনের মেয়ে রেশমির সাথে আমি তুষারের বিয়ে দেবো। এখন তুমি বলো তুমি কখন চলে যাচ্ছো। আর আমি তুষারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছি ওর কোন আপত্তি নেই, তোমার কাছে আমি আমার ছেলের একটা সুন্দর স্বাভাবিক জীবন চাইছি, আশা করি তুমি এটা নিয়ে কোন রকম ঝামেলা করবে না।তুষারের দিকে তাকায়ে দেখি ও ওর মায়ের কথায় সায় দিচ্ছে, আমার সাথে সংসার করতে চাইছে না।

সবার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললাম ঠিক আছে, তাড়িয়ে দিতে চাইছেন চলে যাব, তবে এখন নয় যেদিন তুষারের বিয়ে হবে সেদিনই সবাইকে মুক্ত করে চলে যাব, আর ফিরবো না, কখনো জ্বালাতে আসবো না। তুষার আমার দিকে তাকিয়ে বলল সত্যি তো? হ্যা সত্যি চলে যাব।

আজ তুষারের বিয়ে, মহা ধুমধামে না হলেও বেশ আয়োজনই করেছে, একটু আগে তুষারকে দেখলাম শেরোয়ানি পড়ছে, আমিও বেশ সেজেছি, আমার স্বামীর বিয়ে বলে কথা সেই সাথে আজ যে ওর মুক্তির দিন আর নতুন খুশির দিন। তুষার বরযাত্রীসহ বের হবে আমিও ব্যাগ এ কাপড় গুছিয়ে চলে যাচ্ছি এমন সময় দেখি তুষার বর বেশে সেজেগুজে রেডি হয়ে আছে, খুব হাসিখুশি লাগছে, ওকে ছেড়ে যেতে মন টা মানছিলো না, তবুও যে যেতে হবে। যাবার আগে একবার দুচোখ ভরে তুষারকে দেখে নিলাম, তুষার আমার থেকে মুখটা ফিরিয়ে নিলো।তুষারের কাছে গিয়ে বললাম, তোমার নতুন জীবন অনেক সুখের হোক, বিয়েতে তোমাকে দেবার মত আমার কাছে কিছুই নেই, তবে এই ছোট্ট একটা উপহার তোমার জন্য, নাও। কাগজ টা তুষারের হাতে দিয়ে সবার সামনে দিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম, কেউ আটকালো না। চোখ দুটো বাধ মানছে না অশ্রু অঝরে পড়েই যাচ্ছে।

খুশি চলে যাওয়ার পর তুষার ওর দেওয়া উপহারের কাগজটা খুলে যা দেখলো তাতে ওর সারা শরীর কাঁপছে, চোখ দিয়ে জল পড়ছে। ঘরের সবাই উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে তুষারের মুখের দিকে, কি হয়েছে জানার জন্য। কাগজটা পড়ার পর তুষার দাঁড়ানো থেকে বসে পড়লো, শরীরটা যেনো অবশ নিথর দেহের মত লাগছে।কাগজটা অার কিছু নয়, এটা সেই রিপোর্ট যেটাতে লেখা আছে বন্ধ্যা খুশি নয় বন্ধ্যা তুষার, ওই দিন ডাক্তারের রিপোর্টে রেজাল্ট এসেছিলো তুষার কোন দিন বাবা হতে পারবে না, সেই ক্ষমতা তার নেই, আর খুশি সম্পূর্ণ সুস্থ ওর কোন শারীরিক অক্ষমতা নেই।

রিপোর্টের ভিতরে খুশির একটা চিঠি আছে তাতে লেখা আছেঃ

তুষার,
আমি চাইলেই প্রথম দিনই সত্যিটা বলতে পারতাম, আমি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম রিপোর্টে আমার দোষ আছে জানলে তুমি কি বলো, তুমি যদি একবার আমাকে বুকে টেনে নিয়ে বলতে তুমি আমাকে ভালবাসো সন্তান না হওয়ায় তোমার কোন আক্ষেপ নেই, আমার কপাল ছুয়ে একটু শান্তনা দিতে তাহলে আমি সারা জীবন তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনটা পার করে দিতাম, সন্তান সুখ বিসর্জন দিতাম, কিন্তু তুমি তা করো নি, তুমি আমাকে ত্যাগ করেছো, তোমার থেকে আলাদা করেছো, ছিঁড়ে ফেলেছো ভালবাসার বন্ধন। রিপোর্টের ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে তোমাকে পরীক্ষা করতে চাইনি শুধু দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমাকে কতটা ভালাবাসো।তুমি হেরে গেছো।
চলে যাচ্ছি পৃথিবীর যেখানেই থাকি প্রার্থনা করি তুমি ভাল থেকো, সুখী হও।

@সংগৃহীত

🙏🙏🙏

** শঙ্খ পুষ্প ** ~~~~~~~~~~বিরল এই ফুলটির নাম শঙ্খ পুষ্প । কর্ণাটকে মহীশূরের  #রাজবাড়ীর বাগানে এই ফুলটি নাকি ৫০ বছরে একব...
28/10/2022

** শঙ্খ পুষ্প **
~~~~~~~~~~

বিরল এই ফুলটির নাম শঙ্খ পুষ্প । কর্ণাটকে মহীশূরের #রাজবাড়ীর বাগানে এই ফুলটি নাকি ৫০ বছরে একবার ফোটে এবং এর #গন্ধ ও সতেজতা এক বছর স্থায়ী হয় ।

 #প্রেক্ষাপট_১উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,- তুমি কোথায় চাকুরি করো?- একটা কোম্পানিতে ।- স...
03/10/2022

#প্রেক্ষাপট_১
উচ্চ বেতনে চাকুরি করা এক যুবক আরেক গরীব যুবককে প্রশ্ন করলো,
- তুমি কোথায় চাকুরি করো?
- একটা কোম্পানিতে ।
- স্যালারি কতো?
- ১০০০০ টাকা।
- মোটে দশ হাজার? চলো কিভাবে? তোমার মালিক তোমার প্রতি অবিচার করছে। তুমি যেই ছেলে তোমার যা যোগ্যতা,তাতে হেসেখেলেই তুমি অনেক টাকা বেতন পেতে পারো।
যুবকের মেজাজ খাট্টা হয়ে গেলো। নিজের কাজের প্রতি ও বসের প্রতি
বেজায় রুষ্ট হয়ে উঠলো। পরদিন গিয়ে সরাসরি বসকে বেতন বাড়ানোর কথা। জানালো। কথা কাটাকাটি হওয়ার একপর্যায়ে বস তাকে চাকরিচ্যুত করলো।
এখন যুবকটি বেকার।
#প্রেক্ষাপট_২
- তোমার প্রথম সন্তান হলো বুঝি?
- জ্বি।
- তোমার স্বামী এ উপলক্ষ্যে তোমাকে কিছু দেয় নি? উপহার, টাকা বা এ জাতীয় কিছু?
- না। কেন দিবে? এ তো আমাদেরই সন্তান! উপহার বা টাকা দিতে হবে কেন?
- কেন তোমাকে হাত খরচার জন্যেও তো দু’চার পয়সা দিতে পারে। তার কাছে কি তোমার কোনও মূল্য নেই? তুমি চাকরানি?
স্ত্রীর মনে ধরলো কথাটা।
সারাদিন কথাটা ভাবতে ভাবতে মনটা বিষিয়ে উঠলো। সত্যিই তো! আমাকে একটা টাকাও কখনো ছোঁয়ায় না! রাতে কর্মক্লান্ত স্বামী ঘরে ফিরলো।
স্ত্রীর মুখ দিয়ে বোমা বিস্ফোরিত হলো। রেগে গেলো দু’জনে, কথা কাটাকাটি ঝগড়া আর ঝগড়া। পরে হাতাহাতি, শেষ পর্যন্ত তালাকে গিয়ে গড়ালো।
#প্রেক্ষাপট_৩
- এই বৃদ্ধ বয়েসে কষ্ট করছেন? ছেলে ঢাকায় থাকে,বড় চাকুরি করে শুনেছি। মস্ত বড় ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকে। আপনাদের দু’জনকে সাথে নিয়ে যেতে পারে না? আপনাদের দেখতেও তো আসে না!
- না না, ছেলে আমার খুবই ব্যস্ত। টাকা পাঠায় তো। ফোনে ও খোঁজ-খবর নেয় নিয়মিত।
- কী এমন ব্যস্ততা তার শুনি? নিজের জন্মদাতা-জন্মদাত্রীকে দেখতে আসার সময় হয় না?
- সারাদিন অফিস-বাসা করতে করতেই তো তার সবটা সময় চলে যায়!
- আপনি খোঁজ নিয়েছেন? সে ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে।
আর আপনারা অজপাড়াগাঁয়ে ধুঁকছেন?
বৃদ্ধ বাবা বাসায় এসে স্ত্রীকে খুলে বললো।
স্ত্রীও বাধা দিল,
- আপনি ভুল শুনেছেন। সে আসলেই ব্যস্ত।
- নাহ,সেকি কি মিথ্যা বলতে পারে ?
আহা রে! কাকে বুকের রক্ত পানি করে বড় করলাম। এটা ভেবেই করে বসলেন ব্রেইন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক!
# এবার_আসি_মূলকথায়
-কিছু নিরীহ-অযাচিত প্রশ্ন আমাদের সুখী জীবনকে ক্ষণিকের মধ্যেই দুঃখী করে দিতে সক্ষম।
-আমাদের সমাজে ছদ্মবেশী দরদীরা নিরন্তর শান্ত জীবনে অশান্তির দাবানল জ্বালিয়ে দেয়।
-ছদ্মবেশী ডাইন/ডাইনীগুলো নিজের থেকে কিন্তু আপনাকে কিছুই দিবেনা। কিন্তু অন্যের থেকে অবৈধভাবে আদায় করার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে আপনাকে জিতিয়ে দেয়ার নামে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে।
#গল্পের_হিতোপদেশঃ
---জীবনে ৩য় ব্যাক্তি কে প্রবেশ করার সুযোগ দেবেন না। আর যদিও কোন ভাবে ঢুকে যায় তাহলে যথা সম্ভব তার কথা কানে তুলবেন না। ৩য় ব্যাক্তি হতে সাবধান।
(সংগৃহীত)

15/08/2022
বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ 🇮🇳জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব (চন্দ্রাভাগা) নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে, জানাল রেল...
29/06/2022

বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজ 🇮🇳
জম্মু-কাশ্মীরে চেনাব (চন্দ্রাভাগা) নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ ৮৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে, জানাল রেল মন্ত্রক। এই সেতু তৈরির পর কাশ্মীরে রেল চলাচল আর ব্যাহত হবে না। যে কোনও আবহাওয়ায় সারা বছরই রেল চলাচল অব্যাহত থাকবে। খুব শীঘ্রই ওই সেতু তৈরির কাজ শেষ হবে বলেও জানানো হয়েছে। এটি শেষ হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে। AFCONS INFRASTRUCTURE LIMITED-এর সহযোগিতায় তৈরি হচ্ছে এটি।
উত্তর জম্মুর রিয়াসি জিলায় নির্মীয়মান বিশ্বের সর্বোচ্চ এই সেতু উধমপুর থেকে শ্রীনগর এবং বারামুল্লা সংযোগ প্রকল্পের অংশ। ওই রেল সেতু তৈরি করতে আনুমানিক ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। এতে ২৫,০০০ মেট্রিক টন ইস্পাত লাগছে। উত্তর রেলওয়ের অধীনে নির্মীয়মান এই বিশেষ আর্ক ব্রিজটি আইফেল টাওয়ার থেকেও ৩৫ মিটার বেশি উঁচু হবে (নদী থেকে মোট ৩৫৯ মিটার)।

সূত্র : Ministry of Railways, Government of India

🤔🤔☹️🙂
24/06/2022

🤔🤔☹️🙂

ভালো থাকার মতোন কিছু কথা। এগুলো মেনে চলতে পারলেই জীবন সুন্দর ❤️© সংগৃহীত
23/06/2022

ভালো থাকার মতোন কিছু কথা। এগুলো মেনে চলতে পারলেই জীবন সুন্দর ❤️

© সংগৃহীত

ছুটি          - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমেঘের কোলে রোদ হেসেছে,বাদল গেছে টুটি,আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,আজ আমাদের ছুটি।।কী করি আজ ভে...
22/06/2022

ছুটি
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে,
বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন্‌ বনে যাই,
কোন্‌ মাঠে যে ছুটে বেড়াই,
সকল ছেলে জুটি।।
কেয়াপাতায় নৌকো গড়ে’
সাজিয়ে দেব ফুলে,
তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেবো,
চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু
চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু
চাঁপার বনে লুটি।
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।

যোগ্য জবাব ♦হিতেশবাবু ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পা...
22/06/2022

যোগ্য জবাব ♦

হিতেশবাবু ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন বাবা মার দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হল। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। হিতেশের মনে আনন্দ ধরে না ।

এরপরই ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

হিতেশ এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়ীতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জবা আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জবা এই মাতৃহারা দুই ছেলেকে দিদির স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--দাদারা কেউ এনে দেবে। বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন। হিতেশের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন--মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?
বড় বৌ বললো না যাবার সময় হয়নি। বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না ? সারাদিন তো বসেই থাকে। হিতেশের কানে গেল ভাবলেন--যুগধর্ম!

এরপর এক রবিবারে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।
জবা প্লেটে গরম লুচি, আলু ছেঁচকি আর সন্দেশ
পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবাএকটা কথা ছিল। হিতেশ বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন বল। বড় ছেলে বললো জানো বাবা কাল অফিসের কাজে টাকি গিয়েছিলাম। ওখানকার দর্শনীয় জায়গা দেখলাম। নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস? ছোট ছেলে বলল বেশ ভালো হবে।

হিতেশ হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা--আমার একটা প্রস্তাব আছে। তোমরা বরং
একটা যুতসই যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে সেখানেই থাকনা কেন। বাড়ীও আমার,পেনশনও পাই। জবা মাকে নিয়ে বাপ বেটিতে ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি একটা ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জবাকে বললেন--জবা মা, লুচিগুলো
ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।
ছেলে বৌয়েরা হতভম্ব হয়ে বসে রইল.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ....নাহলে বড়ই বিপদে পড়তে হতে পারে।
©

 #ঘটনাটি পুরুলিয়ার একটি স্কুলে। School " বানানটাও লিখতে পারছে না , এদের নিয়ে কী Troll হবে? তাহলে তাদের কাছ থেকে যারা শিখ...
21/06/2022

#ঘটনাটি পুরুলিয়ার একটি স্কুলে।
School " বানানটাও লিখতে পারছে না , এদের নিয়ে কী Troll হবে?

তাহলে তাদের কাছ থেকে যারা শিখছে, তারা কী শিখবে!🤔🤔☹️😟

সাপ সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি 😮🐍🐍🐍
18/06/2022

সাপ সম্পর্কে আমরা কমবেশি জানি 😮🐍🐍🐍

ছুটি              – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরমেঘের কোলে রোদ হেসেছে,বাদল গেছে টুটি,আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,আজ আমাদের ছুটি।।কী করি আ...
17/06/2022

ছুটি
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে,
বাদল গেছে টুটি,
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন্‌ বনে যাই,
কোন্‌ মাঠে যে ছুটে বেড়াই,
সকল ছেলে জুটি।।
কেয়াপাতায় নৌকো গড়ে’
সাজিয়ে দেব ফুলে,
তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেবো,
চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু
চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু
চাঁপার বনে লুটি।
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই,
আজ আমাদের ছুটি।।

খুকি ও কাঠবেড়ালি                      - কাজী নজরুল ইসলামকাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?   গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খ...
16/06/2022

খুকি ও কাঠবেড়ালি
- কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!

কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!

কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি' হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ'মা দেখে যাও!-
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

কানা বগীর ছা                   - খান মুহম্মদ মঈনুদ্দীনঐ দেখা যায় তাল গাছঐ আমাগের গাঁ,ঐ খানেতে বাস করেকানা বগীর ছা।ও বগী ...
16/06/2022

কানা বগীর ছা
- খান মুহম্মদ মঈনুদ্দীন

ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাগের গাঁ,
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।
ও বগী তুই খাস কী?
পানতা ভাত চাস কি?
পানতা আমি খাই না
পুঁটি মাছ পাই না
একটা যদি পাই
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই।

বাবুরাম সাপুড়ে                        - সুকুমার রায়বাবুরাম সাপুড়ে,কোথা যাস বাপুরে?আয় বাবা দেখে যা,দুটো সাপ রেখে যা!যে...
16/06/2022

বাবুরাম সাপুড়ে
- সুকুমার রায়

বাবুরাম সাপুড়ে,
কোথা যাস বাপুরে?
আয় বাবা দেখে যা,
দুটো সাপ রেখে যা!
যে সাপের চোখ নেই,
শিং নেই নোখ নেই,
ছোটে না কি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁসফাঁস,
মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ,
নেই কোন উৎপাত,
খায় শুধু দুধ ভাত—
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আন্ তো!
তেড়ে মেরে ডাণ্ডা
করে দেই ঠাণ্ডা।

ফড়িং বাবুর বিয়েফড়িংবাবুর বিয়ে!টিকটিকিতে ঢোলক বাজায় ধুনচি মাথায় দিয়ে। বেহারা হল  তেলাপোকা পালকি কাঁধে নিয়ে। দেখতে এলো সেজ...
16/06/2022

ফড়িং বাবুর বিয়ে

ফড়িংবাবুর বিয়ে!
টিকটিকিতে ঢোলক বাজায়
ধুনচি মাথায় দিয়ে।
বেহারা হল তেলাপোকা
পালকি কাঁধে নিয়ে।
দেখতে এলো সেজেগুজে
পিঁপড়েরা মায়-ঝিয়ে।
আরে, ফড়িংবাবুর বিয়ে!

ফড়িংবাবুর বিয়ে!
ঘাসের পাতা লুচি হল
ভাজা শিশির-ঘিয়ে,
দই-সন্দেশ তৈয়ার হল
মাটিতে জল দিয়ে,
ব্যাঙের ছাতার নিচে সবে
খেতে বসল গিয়ে
আরে, ফড়িংবাবুর বিয়ে!

খুকি ও কাঠবেড়ালি                      -কাজী নজরুল ইসলামকাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?   গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খা...
15/06/2022

খুকি ও কাঠবেড়ালি
-কাজী নজরুল ইসলাম

কাঠবেড়ালি! কাঠবেড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও-
ডাইনি তুমি হোঁৎকা পেটুক,
খাও একা পাও যেথায় যেটুক!
বাতাবি-নেবু সকলগুলো
একলা খেলে ডুবিয়ে নুলো!
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস চাও?
ছোঁচা তুমি! তোমার সঙ্গে আড়ি আমার! যাও!

কাঠবেড়ালি! বাঁদরীমুখী! মারবো ছুঁড়ে কিল?
দেখবি তবে? রাঙাদাকে ডাকবো? দেবে ঢিল!
পেয়ারা দেবে? যা তুই ওঁচা!
তাই তোর নাকটি বোঁচা!
হুতমো-চোখী! গাপুস গুপুস
একলাই খাও হাপুস হুপুস!
পেটে তোমার পিলে হবে! কুড়ি-কুষ্টি মুখে!
হেই ভগবান! একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুকে!
ইস! খেয়ো না মস্তপানা ঐ সে পাকাটাও!
আমিও খুবই পেয়ারা খাই যে! একটি আমায় দাও!

কাঠবেড়ালি! তুমি আমার ছোড়দি' হবে? বৌদি হবে? হুঁ!
রাঙা দিদি? তবে একটা পেয়ারা দাও না! উঃ!
এ রাম! তুমি ন্যাংটা পুঁটো?
ফ্রকটা নেবে? জামা দুটো?
আর খেয়ো না পেয়ার তবে,
বাতাবি-নেবুও ছাড়তে হবে!
দাঁত দেখিয়ে দিচ্ছ ছুট? অ'মা দেখে যাও!-
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

Unsuccessful ??? 🙃বানান দেখে আমি তো অবাক । 🙂
14/06/2022

Unsuccessful ??? 🙃
বানান দেখে আমি তো অবাক । 🙂

🤔😅
14/06/2022

🤔😅

12/06/2022

Puspa Shot || Hindi Movie

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rely News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share