Humans of CGHS

  • Home
  • Humans of CGHS

Humans of CGHS A CGHS based page monitored by Ex-CGHSians.

পুরনো দিন কত রঙ্গিন,তাকে আটকে রাখি মায়ায়! ❤️📸Mustaqim Billah
09/10/2023

পুরনো দিন কত রঙ্গিন,
তাকে আটকে রাখি মায়ায়! ❤️

📸Mustaqim Billah

Fahim Ashab Faroquee, from CGHS-14, has won the Silver Medal at the prestigious ARCASIA Thesis of the Year 2023, at the ...
09/10/2023

Fahim Ashab Faroquee, from CGHS-14, has won the Silver Medal at the prestigious ARCASIA Thesis of the Year 2023, at the 20th Asian Congress of Architects In Boracay Island,Philippines.

Congratulations to him on his brilliant success! ❤️

চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবির বড়ুয়া(২০১১ ব্যাচ) ৪১তম বিসিএসে(ডিপিএইচই) উত্তীর্ণ হয়েছেন!অভিনন্দন...
04/08/2023

চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবির বড়ুয়া(২০১১ ব্যাচ) ৪১তম বিসিএসে(ডিপিএইচই) উত্তীর্ণ হয়েছেন!
অভিনন্দন! ❤️

চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সৌরভ চক্রবর্তী(২০১২ ব্যাচ) ৪১তম বিসিএস (শিক্ষা) এ ব্যবস্থাপনায় ১ম স্থা...
04/08/2023

চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সৌরভ চক্রবর্তী(২০১২ ব্যাচ) ৪১তম বিসিএস (শিক্ষা) এ ব্যবস্থাপনায় ১ম স্থান অধিকার করেছেন!
অভিনন্দন! ❤️

Among various parameters,we believe this is comparably a suitable one.Percentage of A+ is shown in graph. We respect tha...
28/07/2023

Among various parameters,we believe this is comparably a suitable one.Percentage of A+ is shown in graph. We respect that every school is the best to their own ex and current students. Congratulations to all of you.

Yes! ❤️
14/06/2023

Yes! ❤️

CGHS Batch 2019 in school! ❤️
21/04/2023

CGHS Batch 2019 in school! ❤️

CGHS Batch 2018 in school! ❤️
21/04/2023

CGHS Batch 2018 in school! ❤️

CGHS Batch 2017 in school! ❤️
21/04/2023

CGHS Batch 2017 in school! ❤️

CGHS Batch 2016 in school! ❤️
21/04/2023

CGHS Batch 2016 in school! ❤️

CGHS Batch 2015 in school! ❤️
21/04/2023

CGHS Batch 2015 in school! ❤️

Mighty CGHS! ❤️
12/04/2023

Mighty CGHS! ❤️

15/03/2023

Raha Chowdhury,a little but brave soul of our school!
রাহা চৌধুরী,বর্তমানে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও আজ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় গান গেয়েছে সবার জন্য,আনন্দে মাতিয়েছে সবাইকে।আমরা রাহার অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে সম্মান জানাই,কৃতজ্ঞতা জানাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাহার পরিবারকে রাহার এই ইচ্ছাশক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য!
Keep going champ! You have the spirit of a true CGHSIAN! ❤️
Video collected from Shahidullah sir's Facebook id.

Story No. 2 "একজন বিশ্বজয়ীর গল্প" চট্টগ্রাম সরকারি হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন সুবীর চৌধুরী। এখন তিনি কোয়ালিটি বা গুণগত মান ব...
16/02/2023

Story No. 2

"একজন বিশ্বজয়ীর গল্প"

চট্টগ্রাম সরকারি হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন সুবীর চৌধুরী। এখন তিনি কোয়ালিটি বা গুণগত মান বাড়াতে পরামর্শ দেন বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে। তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট বা ব্যবস্থাপনা পরামর্শকদের একজন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে ফেলোশিপ আছে, তাঁর নামে ফেলোশিপ আছে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসেও। ৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে বক্তা ছিলেন তিনি।

শুভ সকাল। এই সেই সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটি। যেখানে এসে আমি অফুরন্ত জীবনীশক্তি পাই!

এ দেশে পা রেখে আমার প্রথম রাতটি কেটেছিল মিশিগানের মাউন্ট প্লেজেন্ট শহরে। আমার বিমান যাত্রা বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মিশিগানে ছিল না। কিছু খরচ বাঁচাতে আমি একটা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ড। এরপর তাইওয়ান, সিয়াটেল, ডেট্রয়েট হয়ে সবশেষে নেমেছিলাম ল্যান্সিংয়ে। ওখানে নেমে একটা গাড়ি ভাড়া করে চলে এসেছিলাম মাউন্ট প্লেজেন্ট; আমার ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল মিশিগানে।

সেটি ১৯৯১ সালের আগস্ট মাস। আমার হাতে তেমন কোনো টাকাপয়সা ছিল না। এ দেশে এসেছি মাস্টার্স করতে। সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির এক ডিপার্টমেন্টে আমার ডাক পড়েছে। স্কলারশিপসহ ফেলোশিপের অফার। আমাকে বলা হয়েছিল দুই সপ্তাহ আগেই আমেরিকা চলে আসতে। আমি দুই সপ্তাহের জায়গায় তিন সপ্তাহ আগে এসে উপস্থিত হলাম। আমার অধ্যাপককে খুশি করতে।ঘরে কোনোরকমে ব্যাগ-ব্যাগেজ ফেলে ছুট লাগালাম অধ্যাপকের খোঁজে। তিনি আমাকে দেখে যেন চমকে গেলেন। বললেন, ‘তোমার না পরের সপ্তাহে আসার কথা?’ আমি বললাম, ‘জি স্যার, আমি এক সপ্তাহ আগেই চলে এসেছি; আপনি খুশি হবেন ভেবে!’ তিনি কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে চেয়ে রইলেন। বললেন, ‘দুঃখিত সুবীর, আমি ফেলোশিপের জন্য আরেকজনকে সিলেক্ট করে ফেলেছি!’

আমি হতভম্ব। কেঁদেই ফেললাম। প্রায় চিৎকার করে বললাম, ‘স্যার, আপনি এ কাজ করতে পারেন না!’ কোনো লাভ হলো না। আমি স্কলারশিপ পেলাম না।

পরদিন কিছু প্রবাসী শিক্ষার্থী আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। তারা আমার অসহায়ত্ব অনুভব করল। পরামর্শ দিল, ক্যাম্পাসের বাইরে একটা চাকরি খুঁজে নেওয়ার। কিন্তু আমার ওয়ার্ক ভিসা নেই। ক্যাম্পাসের বাইরে চাকরি আমার জন্য বেআইনি। আমি এ দেশে এসেছি স্টুডেন্ট ভিসায়; কিন্তু কোর্স রেজিস্ট্রেশন করার মতো টাকা নেই!
এবার আমি ঘুরতে লাগলাম ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্টগুলোতে। খুঁজতে লাগলাম স্কলারশিপের সুযোগ। সমাজবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, এমনকি ইংরেজি বিভাগেও ঢুঁ মেরে এলাম। তাদের বোঝাতে চেষ্টা করলাম, আমার ইংরেজিতে ভালো দখল আছে। এভাবে প্রায় সব ডিপার্টমেন্ট ঘুরলাম। শেষ মুহূর্তে কড়া নাড়লাম গণিত বিভাগের দরজায়! চেয়ারম্যান ড. রিচার্ড ফ্লেমিং আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। বললেন, ‘তুমি এরই মধ্যে ২০টি ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ফেলেছ। ওরা সবাই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এবার যদি আমিও তোমাকে নিরাশ করি, তুমি কী করবে?’ আমি বললাম, ‘২২তম ডিপার্টমেন্টের দরজায় গিয়ে উপস্থিত হব।’ রিচার্ড সাহেব বললেন, ‘তুমি পলিমার বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে পারবে?’ আমি জানালাম, ‘খড়গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আমি পাস করে বেরিয়েছি। যেকোনো বিষয়েই আমি মাস্টার্স করতে পারব।’

তিনি আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিলেন। পেয়ে গেলাম ডোউ ফেলোশিপ। এর জন্য আমি সারা জীবন ড. লীলা রাকেশের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।

ডোউ ফেলোশিপ দিয়ে আমার সব পড়াশোনার খরচ জুটে গেল। ১৯৯৩ সালে আমি স্নাতক হলাম। পেলাম বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড। সব কটি গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ভেতর আমার থিসিস হলো সবচেয়ে সেরা।

আমার অধ্যাপকেরা তখন চেয়েছিলেন আমি পিএইচডির জন্য লেগে পড়ি। কিন্তু আমার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। লক্ষ্য—নিজের ক্ষেত্রে সেরা হওয়া। একজন ব্যবস্থাপনা-বিশেষজ্ঞ হওয়া। বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোয়ালিটি বা গুণগত মানবিষয়ক পরামর্শ দেওয়াই যার কাজ।

আমার অধ্যাপকেরা আশাহত হলেন। আমি তাঁদের চিন্তা করতে মানা করলাম, বললাম, ‘একদিন দেখবেন সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটিই আমাকে ডেকে নিয়ে অনারারি ডক্টরেট দেবে।’

আজ সে কথা সত্য হলো।

আমি তোমাদের আমার জীবনের কিছু গল্প শোনাতে চাই। সেগুলো তোমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আজ থেকে তোমরা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই পরে তোমার ও তোমাদের আশপাশের সবার জীবনকে সাজিয়ে দেবে।

যেহেতু আমি তোমাদের চেয়ে বয়সে বড়, তাই আমার অভিজ্ঞতাও তোমাদের চেয়ে বেশি। আর এই অভিজ্ঞতাগুলো তোমাদের জীবন গঠনে কাজে লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি এখন বিশ্বের বড় কোম্পানিগুলোকে পণ্য বা অন্যান্য বিবিধ বিষয়ে পরামর্শ দিই। এতে তাদের গুণগত মান নিশ্চিত হয়। এটাই আমার ব্যবসা। যখন সিএমইউয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম, এ ব্যবসা সম্বন্ধে আমার কোনো ধারণা ছিল না। ব্যবসাজগতে এই ‘কোয়ালিটি’ শব্দটির একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমি সে সময় তা জানতাম না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় অধ্যাপকদের একটা ক্লাবে যোগ দিয়েছিলাম। নাম আমেরিকান সোসাইটি ফর কোয়ালিটি। এর সদস্য হতে লেগেছিল ১০ ডলার! ওখান থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যে কোয়ালিটির এই ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারি। গ্র্যাজুয়েশনের পর অধ্যাপকদের বলেছিলাম, ‘একদিন দেখবেন আমেরিকার সেরা সব বাণিজ্য বিভাগে আমার লেখা বই পড়ানো হবে।’

কথাটা তখন উদ্ধত শোনালেও আজ তা বাস্তব হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশনের পাঁচ বছর পর আমার লেখা কোয়ালিটিবিষয়ক বইগুলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর আমি ১০ বছরের মধ্যেই কোয়ালিটি বিষয়ে বিশ্বের সেরা বিশেষজ্ঞদের তালিকায় স্থান পেয়েছি। তবু আজ উচ্চশিক্ষায় সর্বোচ্চ দুটো ডিগ্রি হাতে নিয়ে বলব: এখনো অনেক কিছুই শেখার বাকি।

এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আমরা বেশির ভাগ সময় যন্ত্র নিয়েই পড়ে থাকি। পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে কদাচিৎ সময় কাটাই। কিন্তু যখন ছোট ছিলাম, আমাদের কম্পিউটার ছিল না; আইফোন ছিল না। আমার ছেলেবেলা কেটেছে দাদা-দাদির সঙ্গে। এর জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি! আমার জীবনে দাদা ছিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি বিশ্বের একটি দরিদ্রতম দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু জ্ঞানবিচারে তিনি ছিলেন সমৃদ্ধ।

তিনি সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে জোর দিতেন। প্রায়ই বলতেন, ‘সুবীর, বলো তো কোন সংখ্যাটি সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাশীল? ০ নাকি ৯?’ আমার বয়স তখন ৫ বছর। আমি স্বভাবতই ৯-কে বেছে নিতাম। আর তিনি বলতেন, ‘নাহ, শূন্যই সবচেয়ে শক্তিশালী। শূন্যের একার কোনো মূল্য নেই বটে। কিন্তু এর আগে অন্য কোনো সংখ্যা জুড়ে দাও, দেখবে শূন্যের মূল্য দ্রুত বেড়ে গেছে।’

স্নাতকেরা, মনে রাখবে, তোমরা একেকজন সেই শূন্যের মতো। যখন তোমরা সবাই মিলে কাজ করবে, তখনই সেই কাজ পূর্ণতা পাবে। জীবনে বড় হবে। জগতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে। তখন কিন্তু বড় হওয়ার পেছনে যাঁদের অবদান, তাঁদের কথা ভোলা যাবে না।

স্নাতকদের জন্য আমার প্রথম উপদেশ, শূন্য থেকে শেখো। যখন বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছিলাম, দাদার কথা প্রায়ই মনে করতাম। তিনি বলতেন, ‘দাদু, যদি বলি ছাদ ছোঁবে নাকি আকাশ ছোঁবে? কোনটি বেছে নেবে?’

আমি ছেলেমানুষ। বলতাম, ‘সে তো সহজ হিসাব। আমি ছাদ ছোঁব।’

দাদু মাথা নেড়ে বলতেন, ‘উঁহু, সব সময় আকাশ ছোঁবার চেষ্টা করবে।’

আমি অবাক হয়ে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলতেন, ‘ছাদ ছোঁয়া অতি সহজ কাজ। সেটা যে কেউ পারে। তোমার যদি লক্ষ্য থাকে আকাশ ছোঁয়ার, তবে জীবনে বহুদূর যেতে পারবে।’

স্নাতকেরা, জীবনে এক পা, দুপা করে অনেক দূর যেতে হবে। নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়েও চেষ্টা করতে হবে। ছাদ ছোঁয়া সহজ। তাই সেটুকু করেই বসে থাকা চলবে না। ছাদ ছাপিয়ে আকাশের দিকে হাত বাড়াতে হবে। সমাজ, পরিবার, চাকরি—সবক্ষেত্রেই ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য নিজের সবটুকু ঢেলে দিতে হবে। তবেই সাফল্য আসবে।

এখন তোমাদের সর্বশেষ গল্পটি শোনাব। সেটিও আমার দাদাকে নিয়েই। এক দিন তিনি আমার হাতে একটা কলম ও একটি মুদ্রা দিয়ে বললেন, ‘সুবীর, কোনটি নেবে, বলো?’

আমি মুদ্রাটি তুলে নিলাম। কারণ সেটি নিয়ে দোকানে গেলেই কিছু না কিছু কেনা যায়। কিন্তু দাদার উপদেশে কলমকেই বেছে নিতে হলো। তিনি বললেন, ‘কলম দিয়ে তুমি জগৎ বদলে দিতে পারবে। মুদ্রা দিয়ে খেলনা কেনা যায়, চকলেট কেনা যায়। কিন্তু কিছু না কিছু কিনলেই মুদ্রা ফুরিয়ে যায়। অন্যদিকে কলম দিয়ে তুমি লিখতে পারবে, আঁকতে পারবে, সেটাকে সৃষ্টিশীল কাজে লাগাতে পারবে। একদিন হয়তো কেউ তোমার কাজের মূল্যায়ন করবে। আর তোমার কাজ সমাদৃত হলেই টাকা আপনা-আপনি তোমার পকেটে চলে আসবে।’ কথাগুলো সরল, কিন্তু অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ।

ছেলেবেলায় আমি বিভিন্ন নামকরা ব্যক্তিদের কাছে চিঠি লিখতাম। যাঁদের কাজ আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাত। তাঁদের অনেকেই আমার চিঠির উত্তর দিতেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে আমার জীবনে মেন্টর হয়ে উঠেছিলেন। এখনো বড় হয়ে আমি লেখালিখি করি। লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তাধারা প্রকাশ করি। এভাবেই ইতিবাচক পরিবর্তনের পক্ষে আমি কাজ করে যেতে চাই। গড়ে তুলতে চাই আরও সুন্দর একটু পৃথিবী।

স্নাতকদের বলছি, তোমরা কলম বেছে নাও। নিজের সৃষ্টিশীলতা ঝালাই করো। এতে পরিবর্তন আসবে। কলম ব্যবহার করেই জগতের জন্য মঙ্গলজনক উদ্যোগ নাও। কারণ এটি অর্থের চেয়েও মূল্যবান।

আমি আর সময় নেব না। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার বক্তব্য শেষ করছি। যাওয়ার কালে আমার লেখা একটি বই তোমাদের উপহার দিয়ে যেতে চাই। সেটি সাম্প্রতিক প্রকাশ পেয়েছে। নাম দ্য ডিফারেন্স। ওতে আমার জীবনের কিছু গল্প আছে। আশা করি, বইটি তোমাদের অনুপ্রাণিত করবে। যেমনিভাবে আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা, আমার পরিবার ও বন্ধুরা এবং আমার সহকর্মী ও ক্লায়েন্টরা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।

২০১৯ সালের গ্র্যাজুয়েশনপ্রাপ্ত স্নাতকদের অভিনন্দন জানাই। আমাকে সম্মাননা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। (সংক্ষেপিত)

| ইংরেজি থেকে অনুবাদ: শাহরোজা নাহরিন
প্রথম আলো পত্রিকা হতে সংগৃহিত |

Story No.1 "একজন বড় আপার গল্প"আমার শৈশবটা কেটেছে নিজ গ্রামের বাড়ি কুতুবদিয়াতে।আমি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করি কুতুব...
11/02/2023

Story No.1

"একজন বড় আপার গল্প"

আমার শৈশবটা কেটেছে নিজ গ্রামের বাড়ি কুতুবদিয়াতে।আমি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করি কুতুবদিয়ায়।এরপর আসি চট্টগ্রামে এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই ডাঃ খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।ওখান থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি ১৯৭১ সালে এবং ভালো পাশও করেছিলাম।চারিদিকে তখন যুদ্ধের ভয়াবহতা।এ অবস্থায় দেশ স্বাধীনতা লাভ করলে পাকিস্তানের ওই রেজাল্ট বাতিল হয়ে যায়।অবশ্য এটা নিয়ে আমার কোনো মন খারাপ ছিলো না।কারণ আমরা ততদিনে বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন,সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছিলাম।এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।
পরবর্তীতে আবারও ১৯৭২ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ আমার রেজাল্টও খুব ভালো হয়।আমি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করি চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে।ওই সময় আমি খেলাধুলার প্রতি প্রচুর আগ্রহী ছিলাম।ইন্টার কলেজ স্পোর্টসে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলাম।সেই বিরাট চ্যাম্পিয়ন শিল্ডটা এখনো কলেজে আছে।তারপর সুযোগ পাই জেলা পর্যায়ে,কুমিল্লা যাওয়ার।কিন্তু বাবা এসব খেলাধুলা পছন্দ না করায় আর যাওয়া হয়নি।
তারপরও এখনো আমি খেলাধুলাকে ভালোবাসি এবং যেসব বাচ্চারা খেলাধুলায় আগ্রহী তাদেরকে আমি খুব পছন্দ করি।

আমার চাকরি জীবনের শুরু ১৯৭৭ সালে,কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে।আমি ১৯৯০-৯১ সেশনে এমএড(মাস্টার্স অফ এডুকেশন) ডিগ্রী সম্পন্ন করি।
এরপর যোগদান করি খাগড়াছড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।সেখানে দীর্ঘ এগারো বছর চাকরি করার পর আমাকে বদলি করা হয় চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন গার্লস স্কুলে চাকরি করার পর হঠাৎ বয়েজ স্কুলে যাওয়া,আমার জন্য অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো।যেদিন আমি প্রথম গভঃহাই স্কুলে আসি সেদিন ছিলো ৩০শে ডিসেম্বর,২০০১ ইংরেজী।ওইদিন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট ছিলো।সবাইকে দেখি বিরানীর প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে স্কুল থেকে।

ভয়,ভীতি,আশা নিয়ে আমার এক নতুন যাত্রা শুরু হলো চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে।আমার স্কুলের ছাত্রদের আমি প্রথম থেকেই আমার ছেলে বলে ডাকি।আমার ছেলেগুলো খুব বেশিই দুষ্টু ছিলো।তবে যতই দুষ্ট হোক একটু বুঝানো গেলেই তারা কন্ট্রোলের মধ্যে চলে আসে।তোমরা নিজেরাই তো দেখেছে-"তিন তলা থেকে ব্যাগ ফেলে দিয়েছো,পালানোর চেষ্টা করেছো,চুল বড় রেখেছো,স্যান্ডেল পড়ে এসেছো" এসব কিছু নিয়ে তোমাদের সাথে আমার একরকম মারামারির সম্পর্ক ছিলো বলা যায়।তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমার ছেলেরা হাজার দুষ্টামি করলেও কখনো আমাকে বিপদে ফেলেনি।আমি তোমাদেরকে যতটুকু শাসন করেছি তার চেয়েও বেশি আদর করেছি এবং এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

স্কুলে জয়েন করার পর দেখলাম স্কুলে কোনো মাঠ নেই।ছেলেদের টিফিন ছুটিতে দৌড়াদৌড়ি করার মতো জায়গাটুকুও ছিলো না।কিছু মাটির ঢিবি ছিলো যেগুলোকে সরিয়ে একটা মাঠ তৈরী করি।খুব ছোট হোক,তাও বাচ্চারা যেনো একটু হলেও ছোটাছুটি করতে পারে।পরে মাঠের একদিকে মুক্তমঞ্ছটাও স্থাপন করি।যখনই যে কাজ এসেছে নিজ দায়িত্বে করার চেষ্টা করে গিয়েছি।আমার ছেলেরা আমাকে "বড় আপা" বলে ডাকতো।সবচেয়ে মজার বিষয় আমার স্কুলের টিচাররাও আমাকে "বড় আপা" বলে সম্বোধন করতো।তারাও আমাকে ছাত্রদের মতো বড় বোনের মতো দেখতো।

দেখতে দেখতে চোখের সামনেই চলে গেলো ১৪ টি বছর।সাথে আমার বিদায় নেওয়ার সময়টাও এসে গেলো।
২০১৫ সাল।বিদায়ের দিন যখন মঞ্চে উঠলাম,মাইকের সামনে গেলাম তখন কি বলেছি ঠিক আমার মনে নেই।তবে এটুকু মনে আছে যে আমি আমার ছেলেদের দিকে তাকাতে পারছিলাম না,আমি আমার টিচারদের দিকে তাকাতে পারছিলাম না,আমি আমার স্কুলের দিকে তাকাতে পারছিলাম না।তোমার আমাকে যখন বিদায় দিচ্ছিলে তখনো আসলে হারানোর বেদনাটা আমি ঠিকমতো বুঝতে পারছিলাম না।কিন্তু পরদিন ঠিক সকালে যখন আমি ঘুম থেকে উঠি তখনই আমি অনুভব করলাম, হায়! আমি তো আজকে থেকে আর স্কুলে যাবো না,কোনো টিচারকে ডাকবো না,কোনো ছাত্রকে মারবো না,তোমাদের শাসন করবো না।
তখন থেকেই আমি অনুভব করতে শুরু করি স্কুলের প্রতি আমার যে দায়িত্ব ছিলো তা এখানেই শেষ।এই চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আমার জীবনের এক অমূল্য রত্ন।আমার ছেলেরা,আমার টিচাররা এখনো আমাকে ফোন করে খোঁজ খবর নেয়। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখলেই ছাত্ররা দৌঁড়ে আসে সালাম করার জন্য,একটা জটলা পেকে যায়।আশেপাশের গাড়িগুলোও আটকে যায়,মানুষজন ভাবে একজন মহিলাকে ঘিরে এতো মানুষ কেন?
আমি আমার ছাত্রদের বলি,"তোদেরকে না পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে নিষেধ করেছি?"
তারা বলে," আপা,আপনাকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম না করলে শান্তি লাগে না।"
আমিও আর কিছু বলি না।আমার ছাত্ররা আমাকে এতো ভালোবাসে,এতো শ্রদ্ধা করে এর শুকরিয়া আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে করে শেষ কর‍তে পারবো না কখনোই।

আমি মহান আল্লাহর নিকট সবসময় দোয়া করি আমার ছেলেরা পৃথিবীর যেই প্রান্তেই থাকুক সবসময় যেন সৎভাবে থাকুক,ভালো থাকুক।আমি মনে করি ভালো চাকরি করাটা বড় কথা না,একজন চরিত্রবান মানুষ হওয়াটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।একজন অশিক্ষিত চরিত্রবান মানুষ একজন শিক্ষিত চরিত্রহীন মানুষের চেয়ে উত্তম।চরিত্রই একজন মানু্ষের জীবনে সবচেয়ে মুল্যবান সম্পদ।সেইসাথে সবসময় বাব-মার কথা শুনতে হবে।মিথ্যা কথা বলা যাবে না,কারণ মিথ্যাই সকল খারাপ কাজের মূল।যেকোনো কাজে সবসময় মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ভরসা রাখতে হবে।যে যেই ধর্মেরই হও না কেনো নিজের ধর্মটাকে সুন্দরমতো ধারণ করতে হবে।তাহলেই তোমরা সফলকাম হবে ইনশাল্লাহ।আমার জন্যও তোমরা সবসময় দোয়া করো।সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।

মিসেস মাহবুবা বেগম
সাবেক প্রধান শিক্ষিকা
চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

Italy;the new champion of Euro 2020! ✨Full time:Italy 1(3)-(2)1 England.
11/07/2021

Italy;the new champion of Euro 2020! ✨
Full time:
Italy 1(3)-(2)1 England.

AFA - Selección Argentina ; Champions of Copa América 2021.Final score: Argentina 1-0 Brasil.
11/07/2021

AFA - Selección Argentina ; Champions of Copa América 2021.
Final score:
Argentina 1-0 Brasil.

Nazionale Italiana di Calcio & England football team will face each other in the FINAL of UEFA EURO 2020. Kick-off at sh...
07/07/2021

Nazionale Italiana di Calcio & England football team will face each other in the FINAL of UEFA EURO 2020.

Kick-off at sharp 12th July 01:00 AM 🇧🇩.

AFA - Selección Argentina & Confederação Brasileira de Futebol will face each other in the FINAL of Conmebol Copa Améric...
07/07/2021

AFA - Selección Argentina & Confederação Brasileira de Futebol will face each other in the FINAL of Conmebol Copa América 2021.

Kick-off at sharp 11th July 06:00 AM 🇧🇩.

Selección Colombia - FCFSeleccionCol  & Selección Peruana - FPF will face each other for achieve Third place of Copa Amé...
07/07/2021

Selección Colombia - FCFSeleccionCol & Selección Peruana - FPF will face each other for achieve Third place of Copa América.

Kick-off at sharp 10th July 06:00 AM 🇧🇩.

Semifinal fixture is confirm from Conmobel Copa América 2021.Thoughts??
04/07/2021

Semifinal fixture is confirm from Conmobel Copa América 2021.

Thoughts??

🗣 Pele: "People argue between Pele or Maradona. Di Stefano is the best, much more complete."🗣 Maradona: "I think the bes...
04/07/2021

🗣 Pele: "People argue between Pele or Maradona. Di Stefano is the best, much more complete."

🗣 Maradona: "I think the best was Di Stefano, he was superior to everyone - even me."

Happy Birthday The Great Alfredo De Stefano! ⚽

AFA - Selección Argentina & Selección Colombia - FCFSeleccionCol will face each other in the second Semifinal of Copa Am...
04/07/2021

AFA - Selección Argentina & Selección Colombia - FCFSeleccionCol will face each other in the second Semifinal of Copa América.

Kick-off at sharp 7th July 07:00 AM 🇧🇩.

04/07/2021

GOAT material 🔥💙🇦🇷

Semifinal fixture is confirm from UEFA EURO 2020 .Thoughts??
03/07/2021

Semifinal fixture is confirm from UEFA EURO 2020 .

Thoughts??

England football team & Herrelandsholdet will face each other in the second Semifinal of UEFA EURO 2020. Kick-off at sha...
03/07/2021

England football team & Herrelandsholdet will face each other in the second Semifinal of UEFA EURO 2020.

Kick-off at sharp 8th July 01:00 AM 🇧🇩.

Selección Peruana - FPF & Confederação Brasileira de Futebol will face each other in the first Semifinal of Copa América...
03/07/2021

Selección Peruana - FPF & Confederação Brasileira de Futebol will face each other in the first Semifinal of Copa América.

Kick-off at sharp 6th July 05:00 AM 🇧🇩.

Nazionale Italiana di Calcio & Selección Española de Fútbol (SeFutbol) will face each other in the first Semifinal of UE...
02/07/2021

Nazionale Italiana di Calcio & Selección Española de Fútbol (SeFutbol) will face each other in the first Semifinal of UEFA EURO 2020.

Kick-off at sharp 7th July 01:00 AM 🇧🇩.

Ex- Wolverhampton Wanderers FC 's Portuguese manager Nuno Espirito Santo has signed his contract as new Tottenham Hotspu...
01/07/2021

Ex- Wolverhampton Wanderers FC 's Portuguese manager Nuno Espirito Santo has signed his contract as new Tottenham Hotspur manager until June 2023.

BREAKING: Netherlands fire head coach Frank de Boer after failing to get past the round of 16 at EURO 2020
29/06/2021

BREAKING: Netherlands fire head coach Frank de Boer after failing to get past the round of 16 at EURO 2020

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Humans of CGHS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share