![লগো কত প্রকার ও কি কি?লগো হচ্ছে একটা ব্যবসায়ের অঙ্গ। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বৈশিষ্ঠের মধ্যে লগোও একটি গুরুত্বপ...](https://img3.medioq.com/806/870/112233168068704.jpg)
05/03/2022
লগো কত প্রকার ও কি কি?
লগো হচ্ছে একটা ব্যবসায়ের অঙ্গ। একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বৈশিষ্ঠের মধ্যে লগোও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ঠ। যদিও এটি অতি ক্ষুদ্র একটি বৈশিষ্ঠ, কিন্তু একটি লগো আপনার ব্যবসায়ের সাফল্যের জন্য আনেক ক্ষেত্রে দায়ী। লগো আমদের জীবনের একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। আপনি ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করতে গেলে লগো চোখে পড়ে, আপনার গাড়িতে লগো, অফিসের কম্পিউটারে লগো। বলতে গেলে লগো আমাদের আশপাশটা দখল করে নিয়েছে। এবং আমাদের চারপাশে এক এক লগো এক এক রকম। কিন্তু সবলগোই কোন ছবি এবং বর্ণ এবং কোন শেইফ এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। প্রত্যেক লগো আপনাকে আলাদা উপলদ্বি দিবে।
আমাদের আশেপাশের সমস্ত লগোকে গঠনগত দিক দিয়ে ৭ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি লগোর আলাদা সুবিধা বা অসুবিধা রয়েছে। তাই আপনার ব্যবসায়ের শুরুতে আপনি কোন ধরণের লগো আপনার ব্যবসায়ের জন্য ঠিক করবেন সেটা ভেবে নেওয়া জরুরী। নিচে ৭ প্রকার লগোর নাম ও তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১. ওয়ার্ডমার্ক
২. লেটারমার্ক
৩. পিক্টোরিয়াল মার্ক
৪. অ্যাবস্ট্রাক্ট মার্ক
৫. ম্যাসকট
৬. কম্বিনেশন মার্ক
৭. অ্যাম্বলেম
Abstract Mark: আবস্ট্রাক্ট লোগো সাধারণত কোম্পানির আইডিয়া , গুণাগুণকে উপস্থাপন করে।আবস্ট্রাক্ট লোগো শেপ কিংবা ছবিভিত্তিক হয়ে থাকে। এটা হতে পারে আপেল/ফুল। রঙ এবং অন্যান্য স্টাইলের মিশ্রণে ডিজাইন করা হয় এই ধরণের লোগো।
Mascot Logo: ম্যাসকট শব্দটা শুনলেই কার্টুন বা ফানি কিছুর কথা প্রথমে মাথায় আসে। মুলত ম্যাসকট লোগো বিভিন্ন ইলাস্ট্রেশন ভিত্তিক কার্টুন বা কোন ফানি শেইফ বা ছবির সাথে কালার যোগ করে ডিজাইন করা হয়। এই লোগো ডিজাইনের মুল থিওরি হচ্ছে ব্রান্ড বা পন্যকে বন্ধু ভাবাপন্ন, মিশুক, আনন্দদায়ক, মজা ইত্যাদি এমন কোন কিছুকে উপস্থাপন করা । ম্যাসকট লোগো সাধারনত শিশু বা ফ্যামেলিকে টার্গেট করে ডিজাইন করা হয়। খেলাধুলার পণ্যতেও ম্যাসকট লোগো ব্যবহার করা হয়। মাস্ককোটস লোগোর শ্রেষ্ঠ উদাহর বলা যায় কেএফসির লোগো কে ।
Combination Mark: কম্বিনেশন মার্ক লোগো হচ্ছে উপরের সবধরনের লোগোর সমন্বয়ে গঠিত লোগো ডিজাইন কম্বিনেশন মার্ক লোগোতে ছবি বা পণ্যের সাথে টেক্সটের সমন্বয় থাকে । বর্তমানে নতুন কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে কম্বিনেশন মার্ক সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয়। কারণ এতে ওয়ার্ড থাকায় কোম্পানীর নাম যেমন থাকছে ,তেমনি শেইফ ব্যবহারের ফলে কোম্পানীটির নির্ধারিত প্রতীক ব্রান্ড হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত পাচ্ছে । উদাহরন হিসবে যদি বার্গার কিং এর কথা ধরি তবে , বার্গার কিং থেকে যদি বার্গার কিং নামটা ফেলে দেওয়া হয় তারপরও মানুষ এটাকে বার্গার কিংয়ের লোগোহিসেবেই বুঝে নেবে। ঠিক একইভাবে বার্গারের ছবিটা তুলে ফেলা হয় তারপরও বার্গার কিং নামেই মানুষ চিনবে।
Emblem Logo: এমব্লেম লোগো টেক্সট এবং আইকন বা সিম্বল সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়। এই ধরণের লোগোর ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে । সাধারণত এই লোগো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংগঠন এবং সরকারী সংস্থা সূমহে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কফিশপ ,ফুড বা পানীয় ভিত্তিক ব্যবসা বা কোম্পানীর ক্ষেত্রে এই লোগোর ব্যবহারের প্রচলন আছে ।
Letter Mark: লেটার মার্ক লোগোর আরেক নাম “মনোগ্রাম লোগো” । এই লোগোতে সাধারনত এক থেকে চারটি অক্ষর বা বর্ণ ব্যবহার করা হয় । কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর কিংবা বড় নামের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে সংক্ষিপ্তকরণ পদ্ধতিতে এই লোগো তৈরি হয় ।এটিও টাইফোগ্রাফি ভিত্তিক লগো অর্থাৎ লেটার মার্ক লোগোতেও টেক্সট অথবা ফন্ট দিয়ে ডিজাইন করা হয়। যেমন ঃ ওয়ার্ডপ্রেস, ম্যাকডোনাল্ডস,নাসা, এইচবিও ইত্যাদি । লেটারমার্ক লগো দেখতে এবং উচ্চারণগত দিক দিয়ে অনেকটা অন্যান্য লগোর চাইতে সহজ হয়।
pictorial Mark: একটি প্রতীক নিয়ে যে লোগো ডিজাইন করা হয় তাকে পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগো বলে । এই লোগো ওয়ার্ড মার্ক বা লেটার মার্কের সম্পুর্ণ বিপরীত অর্থাৎ এই লোগোতে কোন লিখা বা কোম্পানির নাম থাকেনা। ডিজাইনের মাধ্যমে কয়েকটা শেইফকে ব্যবহার করে একটি ছবি বা প্রতীক দাড় করানো হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লোগোর মাধ্যমে কাস্টমারদের বার্তা দেওয়া হয় কোম্পানির কেমন পন্য বাজারে রয়েছে । তাই সাধারণত নতুন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এই লোগোর ব্যবহার খুবই কম , কারণ এইলোগোতে কোম্পানির নাম এড়িয়ে যাওয়া হয়। পিক্টোরিয়াল মার্ক লগো কাস্টমার দেখলে অটোমেটিক কোম্পানির পন্য সম্পর্কে কাস্টমারের মনে ধারণা চলে আসে। তবে নতুন কোম্পানির বেলায় সেটা তেমন ঘটে না।
Wordmark: ওয়ার্ড মার্ক লোগো সাধারণত টাইপোগ্রাফি ভিত্তিক হয়ে থাকে। অর্থাৎ টেক্সটের মধ্যেই কোম্পানির নাম বা ব্রান্ড নাম থাকে এবং এধরণের লোগো শুধু মাত্র একটি ব্যবসার নামের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়। যেমন: google, cocacola, visa ইত্যাদি ।এই ধরনের লোগোর মুল উদ্দেশ্য থাকে কোম্পানির নামকে ব্র্যান্ড করা। ওয়ার্ডমার্ক লগোতে কোন প্রতীক বা কোন গ্রাফিক নিদর্শণ ব্যবহার করা হয় না । শুধু মাত্র ফন্ট এবং কালার দিয়েই এই ধরনের লোগো ডিজাইন করা হয়। যে কোন কোম্পানীর সংক্ষিপ্ত এবং সতন্ত্র নামের সাথে এই ধরণের লোগো বেশ ভালো মানায়। তবে নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়ার্ডমার্ক লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছোট এবং ইউনিক হওয়া জরুরী। কারন কম্পানির নাম দেখেই মানুষ যেন বুঝতে পারে কোম্পানীর সার্ভিস সম্পর্কে এবং কি ধরনের রয়েছে সেটা বদলে দিতে পারে।