15/01/2022
15 জানুয়ারি 2022
সূত্র: Happy tv.Press/Nazmus Sakib
নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন।👇
COVID-19||GOVE INFO
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির বর্তমান যা হার তাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করা হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম যেভাবে চলছে সেভাবে চলবে।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে করণীয় ঠিক করতে গতকাল (রোববার) রাতে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
আজ সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী গতরাতের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানিয়ে বলেন: যেহেতু এ মাসের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে সেহেতু শিক্ষা প্রচিষ্ঠান খোলা রাখলে তেমন সমস্যা হবে না।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা দিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, বাকিরা অনলাইনে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। তাছাড়া, করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর নিবন্ধন করতে হবে না। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ দিলেই এখন থেকে টিকা নিতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে হবে কি না সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।
বাড়ছে সনাক্ত রোগী এবং মৃত্যুর হার
এদিকে, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে শনাক্ত রোগীর হার বেড়েছে ১১৫ শতাংশের বেশি আর মৃত্যুহার বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, প্রতিদিন রোগী লাফিয়ে লাফিয়ে রোগী বাড়ছে, বাড়ছে শনাক্তের হার। সংক্রমণ ও শনাক্তের হার বাড়ছে।
আরো নয়জনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত
বাংলাদেশে আরো নয়জনের দেহে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে শুক্রবার ১১ জনের দেহে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। গত ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত হয় জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের দেহে।
এখন পর্যন্ত যারা ওমিক্রনে শনাক্ত হয়েছেন তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় ওমিক্রনের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন হয়েছে। এখনও সারাদেশে ছড়ায়নি। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা তিন থেকে পাঁচগুণ বেশি। সেইসঙ্গে করোনার লক্ষণ উপসর্গ বিহীনও থাকেন অনেকে যা কিনা বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করে।
ওমিক্রন দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেলে সেখান থেকে আবার ফেরত আসা কঠিন হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর। তিনি বলেছেন, গত দুই মাস ধরে সব শপিংমল খোলা, বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে, ইনডোরে কনসার্ট হচ্ছে এবং এসবের কোথাও কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। #