তথাগত গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা,Tathagata Gautama Buddha & Buddhism

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • তথাগত গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা,Tathagata Gautama Buddha & Buddhism

তথাগত গৌতম বুদ্ধ ও  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা,Tathagata Gautama Buddha & Buddhism We want to Share all Buddha Messages for All Buddhists...Namo Buddhaya...May we reach all Buddhists in this page..

02/03/2023
Namo Buddhaya
10/02/2023

Namo Buddhaya

Namo Buddhaya—💞💞💞—"Silence is something that comes from your heart, not from outside.  Silence doesn't mean not talking ...
01/05/2022

Namo Buddhaya—💞💞💞—

"Silence is something that comes from your heart,
not from outside.
Silence doesn't mean not talking and not doing things; it means that you are not disturbed inside. If you're truly silent, then no matter what situation you find yourself in you can enjoy the silence."

-Thich Nhat Hanh-💞💞💞-

অনিত্য সংবাদ😭😭উত্তর ফটিকছড়ি ভুজপুর আঞ্চলিক ভিক্ষু সমিতির , উপদেষ্টা হাইদচকিয়া গৌতমাশ্রম বিহারের অধ্যক্ষ পরম পূজনীয় এস.এম...
22/05/2021

অনিত্য সংবাদ😭😭

উত্তর ফটিকছড়ি ভুজপুর আঞ্চলিক ভিক্ষু সমিতির , উপদেষ্টা হাইদচকিয়া গৌতমাশ্রম বিহারের অধ্যক্ষ পরম পূজনীয় এস.এম.সংঘরত্ন মহাথের মহোদয় ১২ঃ৪৫ মিনিটের সময় মৃত্যু বরণ করেন।

ভান্তের নির্বাণ সুখ কামনায় পূণ্য দান করছি।

🎪বৌদ্ধ ভিক্ষু আসলেই দোষী!!!🍁একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু আসলেই একজন দোষী মানুষ?? কি কি কারনে সেটা  আলোচনা করি -(১) প্রথম তিনি দোষী ...
05/11/2020

🎪বৌদ্ধ ভিক্ষু আসলেই দোষী!!!

🍁একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু আসলেই একজন দোষী মানুষ?? কি কি কারনে সেটা আলোচনা করি -

(১) প্রথম তিনি দোষী কারণ তিনি তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধের অনুসারী এবং নির্বাণ পথের যাত্রী।২২৭ শীল প্রতিপালন করে ত্যাগী জীবন যাপন করেন তাই তিনি দোষী।

(২) তিনি সংসারের মায়া পরিবার বন্ধু বান্ধব সবাইকে ত্যাগ করে সন্যাসী জীবন যাপন করেন তাই তিনি দোষী।

(৩) তিনি আমাদের(গৃহীদের) মত বিকালে আহার গ্রহণ করেন না তাই তিনি দোষী।

(৪) তিনি গৃহীদের মত স্ত্রী-পুত্র নিয়ে জীবন যাপন না করে একাচারী হয়ে বিহারে বা অরণ্যে বাস করেন তাই তিনি দোষী।

(৫) তিনি গৃহীদের মত চুরিবিদ্যা-মদ্যপান-ব্যাভিচারী এসব করেন না -তাই তিনি দোষী।

(৬) তিনি জগৎতে আলোর পথ দেখান-নির্বাণের পথের অনুসারী করেন তাই তিনি দোষী।

(৭) তিনি জগৎতের সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রী প্রদর্শন করেন তাই তিনি দোষী।

(৮) তিনি আমরা সাধারণের মত মারা-মারি,রাজনীতি, চোরনীতি ইত্যাদি থেকে সদা বিরত তাই তিনি দোষী।

(৯) তিনি সমাজের সকলে সংঘবদ্ধ রাখতে কাজ করেন তাই তিনি দোষী।

(১০) জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অনাহারীর মুখে অন্ন তুলে দেন তাই তিনি দোষী।

(১১) রাষ্ট্রোদ্রোহী বা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনরুপ অপপ্রচার বা ঝামেলাহীন ভাবে জীবন যাপন করেন তাই তিনি দোষী।

(১২) অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনড় ও সত্য ধর্মে বিশ্বাসী তাই তিনি দোষী।

(১৩) সাধারন পুরুষের মত কাপড়ের স্টাইল-চুলের স্টাইল-খেলাধূলা করেন না তাই তিনি দোষী।

(১৪) সুরম্য বিহার নির্মাণ করে বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন তাই তিনি দোষী।

(১৫) শান্তি বিনষ্টকারী কোন কর্মকান্ডে জড়িত নয় তাই তিনি দোষী।

(১৬) কর্মফলে বিশ্বাসী তাই তিনি দোষী।

(১৭) ক্ষান্তিবাদী তাই তিনি দোষী।

(১৮) করুণাকামী-নিরব সাধক তাই তিনি দোষী।

( ১৯) ঝগড়াঝাঁটি - উচ্চ স্বরে কথা বলা বা কাউকে অপমানিত করা থেকে বিরত থাকেন তাই তিনি দোষী।

(২০) সাধারণের মত যখন-তখন, যেখানে-সেখানে গমন করেন না তাই তিনি দোষী।

(২১) সকল কষ্ট নিরবে সহ্য করেন এবং প্রতিবাদ করেন না তাই তিনি দোষী।

(২২) সর্বদা মৈত্রী ভাবনায় রত থাকেন তাই তিনি দোষী।

(২৩) সকলে মঙ্গলকামী তাই তিনি দোষী।

(২৪) সারাজীবন বিহারে বা অরন্যে বসবাস করেন তাই তিনি দোষী।

(২৫) সাধারণ গৃহীদের মত খোশগল্প করতে পারেন না তাই তিনি দোষী।

(২৬) বিনয় বহিভূত আচরণ করতে পারেন না তাই তিনি দোষী।

(২৭) নিজের স্বার্থে অন্যদের মাঝে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারেন না তাই তিনি দোষী।

(২৮) আমার বাড়ি-আমার গাড়ি এসব করে জোড়াজুড়ি করেন না তাই তিনি দোষী।

(২৯) বিহার কমিটি যা বলে তাই করতে হয় তাই তিনি দোষী।

(৩০) টাকায় নিজের বিনয়-ধর্ম বিক্রি করেন না তাই তিনি দোষী।

(৩১) বৌদ্ধ বিহারগুলোকে জ্ঞানের আলোর বাতিঘর বানানোর জন্যও তিনি দোষী।

(৩২) সংখ্যালঘুর ধর্মীয় গুরু হয়েও তিনি দোষী।

(৩৩) গুজব রটিয়ে কারও ক্ষতি করেন না তাই তিনি দোষী।

(৩৪) কারও উপর জোর বা খবরদারী করেন না তাই তিনি দোষী।

(৩৫) তিনি ঋজু সম্পন্ন, সম্যক দৃষ্টি-জীবিকা সম্পন্ন তাই তিনি দোষী।

(৩৬) ধর্মের জন্য প্রাণী হত্যা থেকে আমাদের বিরত রাখেন তাই তিনি দোষী।

(৩৭) কারও হাতে অস্ত্র তুলে দেয়নি তাই তিনি দোষী।

(৩৮) সাম্যবাদী তাই তিনি দোষী।

আসলেই কি এই পূণ্য পুরুষরা দোষী???নাকি দোষী আমরা যারা সবকিছুতে ভাগ বসাই -নিজেদের মহৎ করতে নিজের জাতি-ধর্ম ও সমাজকে হেয় করি।

🙏বন্দনা জানাই পরম পূজনীয় ভিক্ষুসংঘদের যারা যুগ যুগ ধরে ধর্মের ধ্বজা হাতে ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আমরাই ভিক্ষুক!  লেখক— আশিন ধর্মপালসত্যিই, গেড়ুয়া বসন ধারী সন্যাসী মাত্রই ভিক্ষুক৷ ভোরের সূর্য দেখা দিলেই কালো একটা কৃষ্ণ...
04/11/2020

আমরাই ভিক্ষুক! লেখক— আশিন ধর্মপাল

সত্যিই, গেড়ুয়া বসন ধারী সন্যাসী মাত্রই ভিক্ষুক৷ ভোরের সূর্য দেখা দিলেই কালো একটা কৃষ্ণপাত্র হাতে ধরে ঘরের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরে বেড়ানোই আমাদের কাজ৷

জানতাম, এই শাসনে আসলে আমাদের এক রঙে শেলাই করা বিশাল বস্ত্রটা গায়ে দিতে হবে৷ সবার মতো বাহারি রঙের, বাহারি নকশা ডিজাইনের কাপড় আমাদের গায়ে আর উঠবে না৷

জানতাম, এখানে এই শাসনে আসলে আমাদের একবেলা আহার বাদ দিতে হবে৷ যখন ইচ্ছে তখন খেতে পারব না৷

জানতাম এই শাসনে আসলে নিজের পছন্দের অপছন্দের মূল্য থাকবে না৷ অন্যের পছন্দই আমাদের পছন্দ৷

জানতাম, এই শাসনে আসলে শত জনের শত অপবাদ মাথায় এসে পড়বে৷ সময়ে অসময়ে অন্যের কল্যাণে ডাকা হবে৷ যদি না যাই, নামের পেছনে স্বার্থপরের তকমা লাগিয়ে দিবে৷ প্রয়োজন পরলে তাদের জন্য ভগবান আমরা, আর কাজে না আসলে বসে বসে ভক্ষণকারী ভন্ড৷

জানতাম, এই শাসনে আসলে সব প্রিয়দের মায়া ত্যাগ দিতে হবে৷ পাব না আর তাদের উষ্ম প্রেম, অাদর, মমতা৷ সবাই যেখানে মায়ের কোমল হাতের সুস্বাদু খাবারে পেট ভরে, সেখানে অামাদের অন্যের দেয়া প্রিয় অপ্রিয় সবখাবারে পেত ভরাতে হবে৷ অপ্রিয় বলে দূরে রাখার উপায় নেই৷ শ্রদ্ধায় হোক আর বোঝা ভেবেই হোক, দিয়েছে তো, তাই মুখে নিয়ে সন্তুষ্ট করতে হয়৷

মাঝে মধ্যে মায়ের হাতের রান্না খুব খেতে ইচ্ছে করে৷পৃথিবীতে কোন সন্তান চাই না তার মায়ের পাশে পাশে থাকতে৷ শুধু আমরা বঞ্চিত৷ কিন্তু কার জন্যে?

জানা সত্বেও এই মানুষগুলি মাথার চুল ছাঁটাই করে গেড়ুয়া বসন নিয়ে ভিক্ষুকের পথ বেছে নিয়েছে৷ কেন জানেন? কেবল তথাগতের অমৃতসম শাসন বিলুপ্ত হওয়ার ভয়ে৷ তথাগতের শাসনে রক্ষার্থে৷ তথাগতের শাসনকে অনুসরনকারীদের অভয় দিতে৷ পথ নির্দেশনা দিতে৷

আমাদের নিজস্ব কোন প্রতিষ্ঠান নেই৷ যা আছে সবই সংঘের(আজকের যুগে সংঘের বললেও ভুল হবে৷ বলতে হবে বড় বড় বাবুদের) মাসে মাসে বেতনধারীও নই আমরা৷

তাই প্রতিদিন ভোরে আপনাদের ঘরের দোয়ারে দোয়ারে দারস্থ হতে হয় আমাদের৷ কিন্তু তাতে এটুকু বলতে পারি, আমাদের কারণে আপনাকে অপায়ে যেতে হবে না৷

তথাগতের পুত্র হওয়ার কারণে পূর্ব পূর্ব তথাগতের প্রজ্ঞাপ্তিতে "ভিক্ষান্ন করেই আহার করতে হবে" বলায় আমরা আমাদের শ্রী পিতার অাজ্ঞাকে অন্তর হতে অগাধ শ্রদ্ধা রেখেই ভিক্ষা করি৷

আসলে এই শাসন সবাই যেমনটি ভাবে তেমনটা নয়৷ এটা তারাই বুঝে যারা নিজের কাঁধে এই শাসনকে ক্ষণিকের জন্য হলেও বহন করেছে৷

কে চায় বলুন, এমন অবজ্ঞা, পরিহাস কে সহ্য করে শাসনের ভার বইতে৷ কে চায় বলুন, শরীরে যথাশক্তি থাকা সত্বেও অন্যের দোয়ারে দোয়ারে ভিক্ষা করতে৷

কে চায় বলুন, নিজের যৌবনকে, মনের শত আকাঙ্খাকে দমিয়ে একটা জায়গায় বসিয়ে রাখতে৷ আপনি পারবেন? বা আপনার সন্তানকে সারাজীবনের জন্যে শাসনের হিতে দান দিতে?

কিন্তু জানেন?
এই অকর্মা ভিক্ষুকরা না থাকলে আজ শাসন বলে কিছুই থাকতো না৷ এমন অকর্মা ভিক্ষুকরাই যুগ যুগ ধরে শাসনকে বহন করে আসছে৷ এই অকর্মার হাত ধরেই শাসন জীবিত আছে৷ এই অকর্মাদের মগজেই তথাগতের শতশত মুখবাণী সংগ্রীহিত আছে৷ সেই সিংহলের মহাবিহারের কথা কার অজানা৷

চিন্তা করবেন না৷ দিন দিন এই অকর্মা ভিক্ষুকদের সংখ্যা কম থেকে কমেই যাচ্ছে৷ গত কয়েকবছর আগে মায়ানমারে এমন ভিক্ষুকদের সংখ্যা ছিল ছয় লক্ষ, গত দুই বছর আগে চার লক্ষ, গত বছর প্রায় দুই লক্ষের মধ্যে নেমে এসেছে৷ আর এবছর এই দুই লক্ষ থেকে অনেক অনেক ঝরে যাবে৷ আমার কয়েকজন বন্ধুও চলে গেছে গৃহীকূলে৷

হয়তো রোদে তাপে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে দোয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই অকর্মা ভিক্ষুদের অার দেখবেন না কয়েকযুগ পরে৷ তখন কিছু দিতে চাইলেও আর দিতে পারবেন না৷ কারণ অকর্মা ভিক্ষুকগুলি সব সবল হয়ে গেছে৷ হারিয়ে যাবে৷

সংগৃহীত

28/10/2020
07/10/2020

মন ধর্ম সমূহের পূর্বগামী, মন ইহাদের প্রধান, এবং ইহারা মনোময়। যদি কেহ দ্বেষযুক্ত মনে কোন কথা বলে কিংবা কাজ করে, তবে শকটবাহীত (বলদের)পদানুগামী চক্রের ন্যায় তাহার অনুসরণ করে।
(ধর্মপদ)

12/07/2020

আজ শুভ অষ্টমী তিথি।
১২ জুলাই ২০২০-রবিবার, দিব ৩টা ৩০মিঃ হতে, সোমবার অপরাহ্ন ৫টা ৩০মিঃ পর্যন্ত।

🙏🙏বুদ্ধ ধাতু চৈত্যে একটি ঝিংগা ফুল দান করতে গিয়ে কি পুণ্যফল লাভ করলো?🙏🙏👉বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রু বুদ্ধের শ...
11/07/2020

🙏🙏বুদ্ধ ধাতু চৈত্যে একটি ঝিংগা ফুল দান করতে গিয়ে কি পুণ্যফল লাভ করলো?🙏🙏

👉বুদ্ধের পরিনির্বাণের পর রাজা অজাতশত্রু বুদ্ধের শারীরিক ধাতুচৈত্য নির্মাণ করেন। সেখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ সেই চৈত্যকে পূজা করতে যায়। একদিন এক গরীব মেয়ে চারটি ঝিংগা ফুল নিয়ে বুদ্ধ ধাতু চৈত্য পূজা করতে যাচ্ছিল। কারণ সে গরীব বলে তার দামী ফুল কেনার সামর্থ্য ছিল না। পূজা করতে যাবার সময় বুদ্ধগুণে নিমগ্ন ছিল। হঠাৎ একটি গাভী এসে মেয়েটিকে শিং দিয়ে মেরে ফেলে। মৃত্যুর পর মেয়েটি দেবলোকে জন্মলাভ করে। তখন দেবলোকের সকলে একটি দেবতাদের সভা হবে সেখানে যাচ্ছিল। হঠাৎ মাঝখানে এই মেয়েটির দেবকন্যা রূপে আবির্ভূত হবার পরে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্র তাকে জিজ্ঞাসা করলেন--- হে দেবতে, তুমি মনুষ্যলোকে কি এমন পুণ্য করেছিলে যার জন্য তোমার স্বর্ণ-চন্দন-উৎপল বিমন্ডিতা, স্বর্ণ বস্ত্রালংকারে বিভূষিতা, স্বর্ণ-ভাজনে ভোজিনী, স্বর্ণ-প্রাসাদ-আসন-শয়ন-শায়িনী, স্বর্ণ-বিজনী-সেবনী, স্বর্ণ-ছত্র-ধ্বজাধারিণী, স্বর্ণ-অশ্বরথারোহিনী।

উত্তরে দেবকন্যা বললেন--- আমি চারটি কোসাতকী (ঝিংগা ফুল) নিয়ে বুদ্ধগুণ স্মরণ করতে করতে বুদ্ধ ধাতু চৈত্য পূজা করতে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে একটি গাভী আমাকে হত্যা করে। সেই পুণ্যফলেই আমি এমন সৌভাগ্য শ্রী লাভ করেছি এবং আপনার সহচরী হতে পেরেছি।

তাহা শুনে দেবরাজ ইন্দ্র বললেন ----হে দেবগণ, দেখ তথাগত সম্যক সম্বুদ্ধকে অথবা তার শ্রাবককে প্রসন্ন চিত্তে অল্প দান দিলে মহাপুণ্যফল প্রসব করে। সৎ কর্মের কি আশ্চর্য বিচিত্র প্রভাব। পুণ্যের উৎপাদনই সুখ। সমচিত্তে জীবিত অথবা নিবৃত বুদ্ধ পূজায় সমান ফল। সম্যক সংকল্প হেতু প্রাণিগণ সুগতি প্রাপ্ত হন।

জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।

🙏🙏সবাই কে আমার দানময়,শীলময়, ভাবনাময় পূণ্য রাশি দান করছি। 🙏🙏

🙏বৌদ্ধ ধর্মীয় পতাকার পরিচিতি🙏ভগবান সম্যক সম্বুদ্ধের পবিত্র শরীর থেকে যে ছয় প্রকার রশ্নি বিচ্ছুরিত হয়েছিল, তার সমাহারে বৌ...
08/07/2020

🙏বৌদ্ধ ধর্মীয় পতাকার পরিচিতি🙏
ভগবান সম্যক সম্বুদ্ধের পবিত্র শরীর থেকে যে ছয় প্রকার রশ্নি বিচ্ছুরিত হয়েছিল, তার সমাহারে বৌদ্ধ ধর্মীয় পতাকাটি নির্মিত হয়। রশ্মিগুলোর তাৎপর্য নিচে দেওয়া হলঃ
👉০১। নীলঃ প্রথম নীলরশ্মি ভগবান বুদ্ধের কেশ রাশি ও চক্ষুদ্বয়ের নীলবর্ণ স্থান হতে বিচ্ছুরিত হয়েছিল। ইহা তথাগত বুদ্ধের সর্ব প্রাণীর প্রতি সীমাহীন মৈত্রী পরায়ণতা ও বিমুক্তির চিহ্ন। এই রশ্মির অর্থ মৈত্রী পারমী।
👉০২। পীত বা হলদেঃ দ্বিতীয় পীতরশ্মি সম্যক সম্বুদ্ধের গেরুয়া চীবর হতে বিচ্ছুরিত হয়েছিল। ইহা ত্যাগ বা সাধুতা ও বৈরাগ্যের চিহ্ন। এই অর্থ নৈষ্ক্রম্য পারমী।
👉০৩। লোহিত বা লালঃ তৃতীয় লোহিতরশ্মি বুদ্ধের ত্বকের মধ্যে হতে বিচ্ছুরিত হয়েছিল। ইহা তেজবান,ধৈর্য ও বীরত্বপূর্ণ গুণ। এই রশ্মির অর্থ বীর্য পারমী।
👉০৪। শ্বেত বা সাদাঃচতুর্থ শ্বেতরশ্নি বুদ্ধের শ্বেতবর্ণ দন্তরাজি ও চক্ষুদ্বয়ের শ্বেতস্থান হতে বিচ্ছুরিত হয়েছিল। ইহা সরলতা ও উদারতার চিহ্ন। এই রশ্মির অর্থ দান পারমী।
👉০৫। কমলাঃ পঞ্চম কমলারশ্নি বুদ্ধের শরীর ও চীবরের সমন্বিত পতীক। ইহা সাম্য, অহিংসা ও মুক্তি মার্গে উপনীত হবার চিহ্ন। এই রশ্মির অর্থ ক্ষান্তি পারমী।
👉০৬। প্রভাস্বরঃষষ্ঠ প্রভাস্বর রশ্নি উপরোক্ত পাঁচটি রশ্নির মিশ্রিত রশ্মি। ইহা মহামানব বুদ্ধের ৩২ প্রকার মহাপুরুষ লক্ষণের চিহ্ন।ইহা সম্যক সম্বুদ্ধের প্রজ্ঞা পারমী।
এ ষড়রশ্মিযুক্ত বৌদ্ধ ধর্মীয় পতাকা বুদ্ধের প্রদর্শিত দুঃখ হতে মুক্তি লাভের পথ নির্দেশক।

🙏সবাইকে আমার দানময়,শীলময়, ভাবনাময় সঞ্চিত পূণ্য রাশি শ্রদ্ধার সহিত দান করছি।🙏

✒️ S Sumanapriya Sramon

🙏মৈত্রী ভাবনার এগার ফল🙏যাঁরা সর্বদা মৈত্রী ভাবনা করেন, নিমোক্ত এগারটি ফল তাঁরা লাভ করতে পারেন। যথাঃ👉০১।মৈত্রী ভাবনাকারী ...
06/07/2020

🙏মৈত্রী ভাবনার এগার ফল🙏
যাঁরা সর্বদা মৈত্রী ভাবনা করেন, নিমোক্ত এগারটি ফল তাঁরা লাভ করতে পারেন। যথাঃ
👉০১।মৈত্রী ভাবনাকারী ব্যাক্তির সুখে নিদ্রা যান।
👉০২।নিদ্রা হতে সুখে জাগ্রত হন।
👉০৩। কোন প্রকার পাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখেন না।
👉০৪।মনুষ্যগণের তাঁরা প্রিয় হন।
👉০৫।অমনুষ্যগণের ও তাঁরা প্রিয় হন।
👉০৬। তাদের রক্ষা করেন।
👉০৭। অগ্নি,বিষ বা অস্ত্র দ্বারা দুঃখ প্রাপ্ত হয় না।
👉০৮।তাদের চিত্ত শ্রীঘ্রই সমাধিস্থ হয়।
👉০৯।মখবর্ণ উজ্জ্বল হয়।
👉১০।সজ্ঞানে মৃত্যুবরণ করে।
👉১১।মৈত্রী ভাবনাকারী অরহত্ব ফল প্রাপ্ত না হলে মৃত্যুর পর ব্রহ্মলোকে উৎপন্ন হয়।

🙏সবাইকে আমার সঞ্চিত পূণ্য রাশি দান করছি।🙏

 #গৌতম_বুদ্ধের_অতীত_জন্ম ১ম পর্ব  #সুমেধ_তাপস , ®আজ হতে লক্ষাধিক চার অসংখ্য কল্পেরও আগের কথা। তখন অমরাবতী নামে এক দর্শনী...
03/07/2020

#গৌতম_বুদ্ধের_অতীত_জন্ম
১ম পর্ব
#সুমেধ_তাপস

, ®আজ হতে লক্ষাধিক চার অসংখ্য কল্পেরও আগের কথা। তখন অমরাবতী নামে এক দর্শনীয় মনোরম নগরী ছিল। সেই সৌভাগ্যবতী নগরী সর্বদা হাতির বৃংহতি ধ্বনিতে, ঘোড়ার হ্রেষা রবে, গাড়ির ঘর্ঘর শব্দে, ভেরীর লহরি ছন্দে, মৃদঙ্গের সুমধুর তালে এবং বীণা ও গানের মধুর সুরে ঝংকৃত হতো। এ ছাড়াও পরমাদরে বন্ধুসম্ভাষণে, বায়ু সঞ্চালিত তালপাতার মর্মর ধ্বনিতে এবং ‘স্নান করো’ ‘পান করো’ ও ‘ভোজন করো’—এই দশটি সুমিষ্ট শব্দের দ্বারা সব সময় মুখরিত থাকত। সেটি ছিল সব দিক দিয়ে সুশোভিত সপ্ত রত্নসম্পন্ন এবং জনাকীর্ণ এক সমৃদ্ধ নগরী, যেন মনে হতো কোনো দেবনগরী। সেখানে সুমেধ নামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন যিনি ছিলেন বহু কোটি ধনে ধনী, অঢেল ধনধান্যসম্পন্ন, অধ্যাপক, মন্ত্রধারী, ঋক-সাম-যজুঃ—এই ত্রিবেদে পারদর্শী এবং লক্ষণশাস্ত্র, ইতিহাস ও স্বকীয় ধর্মে অতুলনীয় পণ্ডিত। মাতাপিতা উভয় কুলের সাত পূর্বপুরুষ পর্যন্ত জাতিতে তিনি সুপরিশুদ্ধ ছিলেন। বংশমর্যাদায় তিনি ছিলেন অনিন্দনীয় এবং অসাধারণ ছিল তাঁর রূপলাবণ্য। তিনি অন্য কোনো প্রকার শিল্পবিদ্যা শিক্ষা না করে ব্রাহ্মণবিদ্যাই শিক্ষা করেছিলেন। কিন্তু তিনি শৈশবেই মাতৃপিতৃহীন হয়ে পড়লেন। এরপর একদিন তাঁদের ধনরক্ষক মন্ত্রী-লিখিত লোহার পাত এনে মণিমুক্তা ও সোনারুপায় পরিপূর্ণ সিন্দুকের দরজা খুলে বালক সুমেধকে বললেন, ‘কুমার, এই ধনসম্পত্তি তোমার মাতৃকুল হতে প্রাপ্ত, এগুলো পিতৃকুলের, আর এগুলো হচ্ছে তোমার বাপ-দাদা থেকে শুরু করে সাত পুরুষের সঞ্চিত ধনসম্পদ; তুমি এই ধন সযত্নে রক্ষা করো এবং ইচ্ছানুরূপ পরিভোগ করো।’
তা শুনে ব্রাহ্মণপুত্র সুমেধ ভাবলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষগণ পরলোকে যাবার সময় এই সঞ্চিত ধনসম্পত্তির এক টাকাও সঙ্গে নিতে পারেননি। আমি যেন এগুলো সঙ্গে নিয়ে যেতে পারি, আমাকে তার উপায় বের করতে হবে।’—অপদান অর্থকথা
এরপর তিনি একসময় নির্জনে বসে বসে চিন্তা করলেন, ‘পুনরুৎপত্তি ও মরণ দুঃখজনক।’ যেহেতু তিনি জন্ম-জরা ও ব্যাধি ধর্মের (স্বভাবের) অধীন, তাই তিনি সংকল্প করলেন, ‘আমি জরা-মরণবিহীন নিরাপদ স্থান নির্বাণের অন্বেষণ করব।’ মলমূত্র ও অন্যান্য বহু অশুচিতে পরিপূর্ণ এই দুর্গন্ধময় শরীরের প্রতি অনাকাঙ্ক্ষী হয়ে, নিরালয় হয়ে তা ত্যাগ করে নির্বাণে চলে যাই না কেন? যে পথ ধরে নির্বাণ লাভ হবে, সেটা নিশ্চয়ই আছে এবং থাকবে। এমন একটা পথ না থেকে পারে না। আমি সংসার হতে মুক্তির জন্য সে পথের অনুসন্ধান করব। যেমন শারীরিক-মানসিক দুঃখ বর্তমান আছে বলে সুখও বর্তমান আছে, সেরূপ ভব বিদ্যমানে ভবমুক্তিও বিদ্যমান আছে বলে আশা করা উচিত। উষ্ণতা বিদ্যমান থাকলে যেমন তার বিপরীতে শীতলতাও বিদ্যমান থাকে, তেমনই রাগ-দ্বেষ-মোহ—এই ত্রিবিধ অগ্নির বিদ্যমানে এদের নির্বাণও আকাঙ্ক্ষা করা উচিত। পাপ বিদ্যমান থাকলে যেমন পুণ্যও বিদ্যমান থাকে, তদ্রূপ জন্মগ্রহণ থাকলে জন্মের হেতু বিনাশেরও কামনা করা উচিত।
মলমূত্রে লিপ্ত পুরুষ জলপূর্ণ পুকুর বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও যদি পুকুরের খোঁজ না করে, তাতে যেমন পুকুরের দোষ হয় না, তেমনই ক্লেশমল ধোয়ার উপযোগী অমৃত পুকুর বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তার সন্ধান না করলে সেটা অমৃত পুকুরের দোষ হতে পারে না।
চারদিকে শত্রুপরিবেষ্টিত অবস্থায় পালানোর পথ থাকলেও কোনো ব্যক্তি যদি পালিয়ে না যায় তা যেমন পথের দোষ নয়, তেমনই ক্লেশ দ্বারা অবরুদ্ধ ব্যক্তি যদি নির্বাণের পথ বিদ্যমান থাকতেও তার অনুসন্ধান না করে, সেটাও নির্বাণপথের দোষ নয়।
কোনো ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তি যদি চিকিৎসক বিদ্যমান থাকতেও তার ব্যাধির চিকিৎসা না করায়, তা যেমন চিকিৎসকের দোষ নয়, তেমনই ক্লেশব্যাধির দ্বারা দুঃখিত পীড়িত ব্যক্তি যদি নির্বাণপথের নির্দেশকারী আচার্যের অন্বেষণ না করে, তা হলে সেটাও নির্বাণপথের নির্দেশক আচার্যের দোষ নয়।
কোনো সুখী ও স্বাধীন পুরুষের গলায় সাপ-কুকুর ইত্যাদির মৃতদেহ বেঁধে দিলে, সে যেমন তা ঘৃণার সঙ্গে ত্যাগ করে চলে যায়, তেমনই আমিও বহু পচাগলা জিনিসের আধার এই দুর্গন্ধময় শরীরের প্রতি নিরপেক্ষ ও অনাকাঙ্ক্ষী হয়ে তা ত্যাগ করে চলে যাব। ময়লা স্থানে স্ত্রী-পুরুষেরা যেমন মলত্যাগ করে অনাকাঙ্ক্ষী ও অপ্রত্যাশী হয়ে চলে যায়, সেরূপ আমিও নানা অশুচিপূর্ণ এই ভৌতিক দেহকে পায়খানাঘরে পায়খানা করে যাওয়ার মতো ত্যাগ করে চলে যাব। নৌকার মালিকগণ যেমন জীর্ণ, ছিন্নভিন্ন ও পানি ওঠে এমন নৌকার প্রতি নিরপেক্ষ ও অনাকাঙ্ক্ষী হয়ে সেটাকে ফেলে চলে যায়, সেরূপ আমিও চোখ-কান প্রভৃতি নয়টি ছিদ্রযুক্ত নিত্য গলিত অশুচিপূর্ণ এই পচা দেহকে জীর্ণ নৌকার মালিকের মতো ত্যাগ করে চলে যাব।
কোনো ব্যক্তি যদি সোনারুপার জিনিস সঙ্গে নিয়ে চোর-ডাকাতদের সঙ্গে যাবার সময় সেই জিনিসগুলো কেড়ে নেওয়ার ভয় দেখলে সেগুলো পরিত্যাগ করে চলে যায়, তেমনই এই দেহও হচ্ছে মহাচোরের মতো। তাই কুশলকর্মের ব্যাঘাতের ভয়ে আমিও এই চোরের মতো শরীর ত্যাগ করে চলে যাব।—বুদ্ধবংশ
এভাবে তিনি বহু কারণ চিন্তা করে, বহু শতকোটি ধন ধনী-গরিবদের দান দিয়ে হিমালয় পর্বতে চলে গেলেন। হিমালয় পর্বতের কিছু দূরে ধম্মক নামে একটি পর্বত ছিল। সেখানে তাঁর আশ্রম ও পর্ণশালা সুন্দরভাবে নির্মিত হয়েছিল। দেবরাজ ইন্দ্র সেই আশ্রমের মধ্যে পাঁচটি দোষমুক্ত চংক্রমণপথ বা পায়চারির পথ নির্মাণ করিয়েছিলেন। সুমেধ তাপস সেখানে নয় প্রকার দোষযুক্ত বস্ত্র ত্যাগ করে বারো প্রকার গুণযুক্ত চীবর পরেছিলেন। আটটি দোষযুক্ত পর্ণশালা পরিত্যাগ করে দশ প্রকার গুণসম্পন্ন গাছের নিচে অবস্থান করেছিলেন। বপিত ও রোপিত ধানের অন্ন একদম ত্যাগ করে অনেক প্রকার গুণযুক্ত ঝরে পড়া ফলমূল খেয়েছিলেন। সেই আশ্রমে বসে, দাঁড়িয়ে ও চংক্রমণ করতে করতে তিনি উৎসাহসহকারে ধ্যান করে সপ্তাহের মধ্যেই পঞ্চ অভিজ্ঞাবল ও অষ্ট সমাপত্তি লাভ করেছিলেন।
--------অপদান অর্থকথা।

,শুভ সকাল
01/07/2020

,শুভ সকাল

➡️🙏মানুষও বুদ্ধে রূপান্তরিত হতে পারে🙏⬅️👉বুদ্ধের মতে মানুষ তাঁর সৎকাজের মাধ্যেমে বুদ্ধ রূপান্তরিত হতে পারে।  অন্যান্য ধর্...
27/06/2020

➡️🙏মানুষও বুদ্ধে রূপান্তরিত হতে পারে🙏⬅️

👉বুদ্ধের মতে মানুষ তাঁর সৎকাজের মাধ্যেমে বুদ্ধ রূপান্তরিত হতে পারে। অন্যান্য ধর্মের মতে ভগবানকে উপাসনা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁর আশীর্বাদ লাভ।এতে শুধুমাত্র তার মৃত্যুর পরে স্বর্গসুধা লাভের কথা রয়েছে। কিন্তু এই স্বার্গীয় সুষমা মানুষকে ঈশ্বরে রূপান্তরিত করার ইঙ্গিত বহন করে না।অবশ্য বুদ্ধের প্রচারিত ধর্মে ঈশ্বরের রূপ আলাদা। এ পর্যন্ত কোন ধর্ম প্রচারকেরা বলতে শুনিনি যে মানুষ ও তাঁর সমপর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বুদ্ধ বলেছেন,তাঁর শিষ্য-প্রশিষ্যরা তাদের কর্মের দ্বারা সত্যধর্মের অনুসরণের মাধ্যমে প্রকৃত বিমুক্তি লাভ করতে পারেন,এমনকি বুদ্ধও হওয়া সম্ভব।🌹

🙏সবাইকে আমার দানময়, শীলময়, ভাবনাময় পূণ্য রাশি দান করছি।🙏

জগতের সকল প্রানী সুখী হোক।সাধু সাধু সাধু।

🌹পুণ্যকারীকে সুখ, দেহের ছায়াতুল্য হয়ে অনুসরণ করে থাকে।🌹➡️পালি ⬅️মনোপুব্বংগমা ধম্মা মনোসেট্ঠা মনোময়া,মনসা চে পসন্নেন ভাসত...
25/06/2020

🌹পুণ্যকারীকে সুখ, দেহের ছায়াতুল্য হয়ে অনুসরণ করে থাকে।🌹
➡️পালি ⬅️মনোপুব্বংগমা ধম্মা মনোসেট্ঠা মনোময়া,
মনসা চে পসন্নেন ভাসতি বা করোতি বা;
ততো নং সুখমন্বেতি ছায়া'ব অনপাযিনী🍁

➡️বাংলা⬅️ মনোবৃত্তি জন্মস্থান হয় নিজ মন,
মনই সে সবে করে শাসন গঠন।
সু-উদ্দেশ্যে কেহ কিছু করে কিবা বলে,
নিসংশয় সুখ তার পাছে পাছে চলে।
কায়ার সহিত যেন ছায়ার গমন,
কায়া ছাড়া ছায়া ভবে থাকে না যেমন।🍁

(পালি)👉 ঃমনোপুব্বংগমা ধম্মা মনোসেট্ঠা মনোমযা,মনসা চে পদুটঠেন ভাসতি বা করোতি বা;ততো নং সংক্খমন্বেতি চক্কং'ব বহতো পদং।(বা...
24/06/2020

(পালি)👉 ঃমনোপুব্বংগমা ধম্মা মনোসেট্ঠা মনোমযা,
মনসা চে পদুটঠেন ভাসতি বা করোতি বা;
ততো নং সংক্খমন্বেতি চক্কং'ব বহতো পদং।

(বাংলা)🙏 মনোবৃত্তি জন্মস্থান হয় নিজ মন,
মনই সে সবে করে শাসন গঠন।
কু-উদ্দেশ্যে কেহ কিছু করে কিবা বলে,
নিশ্চয় দুর্দশা তার পাছে পাছে চলে।

👉যেমন রথের চাকা পাছে পাছে ধায়,
যখন গাড়ীর গরু গাড়ী টানি যায়।

🙏🙏অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা না করিলে স্বর্গ-মোক্ষের অন্তরায় ঘটে কী?🙏🙏রাজগৃহ নগরে “বর্ষকার” নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন। ...
23/06/2020

🙏🙏অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা না করিলে স্বর্গ-মোক্ষের অন্তরায় ঘটে কী?🙏🙏

রাজগৃহ নগরে “বর্ষকার” নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন। তিনি মহাকচ্চায়ন স্থবিরকে গৃধ্রকূট পর্বত হইতে অবতরণ করিতে দেখিয়া “ইনি-ত বানরের ন্যায়” এইরূপ কটুক্তি করিয়াছিলেন। বুদ্ধ ব্রাহ্মণের এই কথা পরষ্পর জানিতে পারিয়া বলিলেন- “বর্ষাকার ব্রাহ্মণ যদি অপরাধ স্বীকার করিয়া কচ্চায়ণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, উত্তম। যদি না করে, তাহা হইলে মৃত্যুর পর বানর হইয়া এই বেণুবনেই বিচরণ করিবে।” বর্ষকার পরষ্পরের নিকট বুদ্ধের এই ভবিষ্যৎ বাণী শ্রবণ করিয়া চিন্তা করিলেন- “সর্বজ্ঞ বুদ্ধের বাক্য অন্যথা হয় না। যাহা বলেন তাহাই হয়।” তিনি অভিমানবশে স্থবিরের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন না। “বানর হইলে খাইতে পারিব,” মনে করিয়া অতি যত্নে বেণুবনে নানাবিধ ফলের বৃক্ষ রোপণ করিতে লাগিলেন। তিনি যথাকালে মৃত্যুর পর বেণুবনে বানর হইয়া জন্মগ্রহণ করিলেন। তাহার রোপিত সেই বাগানের ফল-মূল ভক্ষণ করিয়া জীবন ধারণ করিতে লাগিল। তখনও তাহাকে বর্ষকার বলিয়া আহ্বান করিলে সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াইত। এই ঘটনাই বুঝা যায় যে অপরাধের ক্ষমা প্রার্থনা না করিলে স্বর্গ-মোক্ষের অন্তরায় ঘটে।

🙏🙏সবাই কে আমার দানময়,শীলময়, ভাবনাময় পূর্ণ্য রাশি দান করছি।🙏🙏

জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।সাধু সাধু সাধু।

22/06/2020

মহামঙ্গল সূত্র।

🍁🍁ধর্মান্তর হবার ক্ষেত্রে যেগুলো কারণ বলে মনে হয় সেগুলো হলো....🍁🍁👉 ১।শৈশবে মাতা পিতা কর্তৃক সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শি...
18/06/2020

🍁🍁ধর্মান্তর হবার ক্ষেত্রে যেগুলো কারণ বলে মনে হয় সেগুলো হলো....🍁🍁

👉 ১।শৈশবে মাতা পিতা কর্তৃক সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দান না করা।
👉২।মা-বাবা ও স্বজনদের প্রতি যুবক-যুবতীদের দায়বদ্ধতা মূল্যবোধের অসচেতনতার অভাব।
👉৩।অন্য ধর্মের কৃষ্টি সংস্কৃতি বা রীতি নীতির ব্যাপারে অজ্ঞতা এবং অপরিণামদর্শিতা।
👉৪।বৌদ্ধ যুবক-যুবতীদের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে মেলামেশার অভাব।
👉৫। উচ্চ বিলাসী ওঅহংকারী মনোভাব।
👉৬।আমাদের উচ্চশিক্ষিত মেয়ের উপযুক্ত ও আমাদের মত বিত্তশালী পরিবারেরসাথে সম্পর্ক করার মতো পাত্র বৌদ্ধ সমাজে নেই, মাতা-পিতার এমন হীনমন্য, ভয়ংকর ও মিথ্যা ধারণা এবং সন্তানদের সামনে এরকম ধারনার প্রকাশ করা। 👉৭।ছেল মেয়েরা কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে ভেবে মা বাবারা ছেলে মেয়েদের যথাযথ দেখাশোনা করে না।
👉৮।ছেলেমেয়েদের আচরণগত পরিবর্তন, পড়ার টেবিলে কি করছে, কতক্ষণ বাড়ির বাইরে অসময়ে অযথা সময় কাটাচ্ছে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের উদাসীন মনোভাব।
👉৯।সৎ বন্ধু সাহচর্য না গিয়ে অসৎ বন্ধুর সাথে মেলামেশা এবং অভিভাবক কর্তৃক তাদের সন্তানদের বন্ধুটিকে, কোন প্রকৃতির তার ধারণা না রাখা।
👉১০।অচেনা পরিবেশে অসহায়ত্ব ও একাকিত্বের কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরতা বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরতা পাহাড়ী মেয়েরা যৌন লিপ্সা ও লাম্পট্যের শিকারে পরিণত হওয়া।
👉১১।নিরন্তর বিদেশি টিভি চ্যানেলগুলোতে যৌন-আবেদনময়ী অনুষ্ঠান দেখার ফলে তরুণ ও যুব সমাজের অনেকের মধ্যে বিকৃত কামনার প্রতি আসক্তি বেড়ে যাওয়া।
👉১২।ক্ষণিকের মোহ সাময়িক উত্তেজনা আবেগ এবং নির্বোধ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে সহজ-সরল অধিকাংশ ক্ষেত্রে বৌদ্ধ মেয়েরা খারাপ ও লম্পট ছেলেদের সাথে অবৈধ সম্পর্কের জালে আটকা পড়া।
👉১৩।বিত্তবান ও সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা অতিরিক্ত আধুনিকতা ও উদারতার নামে বেশি বেশি মেলামেশার সুযোগ পায় এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
👉১৪। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়ে হিসেবে সহজলভ্য লম্পট মাস্তান ও সুযোগ সন্ধানী সহপাঠী ওসহকর্মীর তার বা তাদের পেছনে লেগে পড়া যাদের খপ্পর থেকেঐ মেয়েদের মুক্ত হওয়া অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
👉১৫।নিজেদের সুসমৃদ্ধ জীবনাদর্শ ইতিহাস-ঐতিহ্যও সভ্যতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না পাওয়ায় ছেলেমেয়েরা গর্বিত মানুষ হয়ে গড়ে না উঠা।
👉১৬। বিকৃত রুচি ও মানসিকতার বশবর্তী হয়ে উত্ত্যক্তকারী দুশ্চরিত্র লম্পট বখাটে ও মাস্তানদের কে স্মার্ট মনে করা এবং আবার নিজ সম্প্রদায়ের ভদ্র ও চরিত্রবান ছেলেদের আনস্মার্ট মনে করার কারণেই অনেক মেয়ের এইসব ছেলেদের বিকৃত লালসার শিকারে পরিণত হওয়া।
👉১৭।দেশী-বিদেশী নানা, স্বার্থান্বেষী,প্রক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক ও ধর্ম ব্যবসায়ী মহল কর্তৃক নানা কৌশলে (প্রলোভন,অর্থ,যৌনতা) যুব সমাজকে বিভ্রান্ত ও উশৃঙ্খল করার মাধ্যমে তাদের স্বধর্ম ত্যাগ অবারিত করা।
👉১৮।সমাজ অবৌদ্ধসুলভ সংস্কার ও কুসংস্কার জেঁকে বসা। যেমন একজন তথাকথিত যশ-খ্যাতি বা বিত্ত বৈভবসম্পন্ন পরিবারের সাথে আর একটা যশ খ্যাতি বা বিত্ত বৈভবসম্পন্ন পরিবারের সম্বন্ধ হতেই হবে, তা না হলে মান মর্যাদা চলে যাবে ধরনের মানসিকতা।
👉১৯।বৌদ্ধদের উদাসীনতার সুযোগে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক এ সম্প্রদায় কে গ্রাস করার অপতৎপরতা।
👉২০। নিজেদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে মাতা-পিতা অভিভাবক ও ছেলে মেয়েরা নিজেরা যথেষ্ট সজাগ ও সচেতন না থাকা।
👉২১।সমাজ নেতৃত্বে পারস্পরিক রেষারেষি, অনৈক্য ও ঈর্ষা পরায়নতা বিরাজ করা এবং অনেকের মধ্যে আত্মপ্রচারের মানসিকতার কারণে শিক্ষিত যুব সমাজের মধ্যে নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে নিরুৎসাহ অনাগ্রহের সৃষ্টি হওয়া।
👉২২।অনেক পিতা মাতা অভিভাবক আরো ভাল পাত্র চাই এই মনোভাবের বশবর্তী হয়ে মেয়েকে যথাসময়ের পাত্রস্থ না করায় মেয়ের বিপথগামী হওয়া।
👉২৩।বৌদ্ধদের জীবনধর্মী অনেক সংস্কৃতি, পর্ব, অনুষ্টান ও আমোদ প্রমোদ ইত্যাদি গাড়িয়ে যাওয়া এবং বৌদ্ধদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হওয়া।
👉২৪।সমাজের কারো স্বেচ্ছাচারিতা, উশৃংখলতা, বিপথগামীতা, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সামাজিক চাপ, বিধি নিষেধ, নিন্দা, তিরস্কার, শাস্তি বা কোনো রকম প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিকার ও প্রতিবিধানের ব্যবস্থা না থাকায় তরুণ সমাজে স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে যাওয়া।
👉 ২৫।বৌদ্ধদের সভা-সমিতিতে গতানুগতিক ধর্মদেশনা ও আলোচনার বাইরে বিজ্ঞান মনস্ক, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের কাছে ধর্মের যুক্তিক, বৈজ্ঞানিক, প্রয়োগিক বিষয়গুলোর এবং সামাজিক বিভিন্নবিচ্যুতির ও তা প্রতিকারের নির্দেশনা আলোচনা না হওয়া।
👉২৬।ধর্ম-দর্শন মূলক বই পাঠে ও ক্রয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করার অভাব এবং ধর্মীয় বিধি-বিধানের অধ্যয়নহীনতা।
👉২৭। ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে বিহারে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা।
👉২৮। অভিজ্ঞ ভিক্ষুদের সাথে ধর্মালাপ না করা, ভিক্ষুদের সাথে মিশতে অতিরিক্ত সংকোচ বা ভিক্ষুদের প্রতি অবহেলার মানসিকতা।
👉২৯।ধর্মীয় বিষয়াদি সম্পর্কে সন্দেহ উৎপন্ন হলে তা নিরসনার্থে উপযুক্ত ব্যাক্তির কাছে না যাওয়া।
👉৩০।শহরাঞ্চলের বিভিন্ন বাসায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনেক পরিবারে শুধু বয়স্কদের উপস্থিতিতে ধর্মানুষ্ঠান করে ছেলেমেয়েদের যার যার রুমে ব্যক্তিগত কাজে নিমগ্ন থাকা, বাসায় ভিক্ষু এসেছে, ধর্মানুষ্ঠান হচ্ছে, ছেলেমেয়েদের উপস্থিতি থেকে ভিক্ষুদের সাথে কুশল বিনিময় করা উচিত, ধর্মদেশনা, সুত্রাদি শোনা উচিত এই বোধ জাগ্রত না হওয়া।

🍁🍁 উল্লিখিত ধর্মান্তরিত হবার কারন গুলোর বাইরে হয়তো আরো কারণ অনুসন্ধিৎসুজন খুঁজে পাবেন। ধর্মান্তর হবার কারণগুলি সম্পর্কে যুবক যুবতীদের অভিভাবকদের সর্বোপরি সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। বাস্তবতাকে ভুলে গিয়ে আবেগবশতঃ ধর্মান্তরের মত বৌদ্ধ যুবক-যুবতীদের যে মারাত্মক ব্যাধি হয়েছে তা ধর্মান্তরিকদের প্রকৃতার্থেই যেমন জীবনে বয়ে আনে না তেমনি তাদের মা-বাবার ও আজীবন কষ্টকে লালন করে অনুতাপ অনুশোচনা করে। এই যে দুঃখময়,ঘোর বিচ্যুতি,মহা অনর্থকর, সমাজ সংস্কৃতি ঐতিহ্য বিধ্বংসী কাজ তা থেকে বৌদ্ধ সমাজের যুবক-যুবতীরা নিজেদের নিরাপদে রাখবে প্রত্যাশা করি।বিশ্বাস করি,
কাটবেই কাটবেই অমানিশা ঘোর
আসবেই আসবেই আলোময় ভোর,
টুটবেই টুটবেই দ্বিধা আর ভয়
হবেই হবেই সত্যার জয়।

সবাইকে আমার দানময়,শীলময় ভাবনাময় পূণ্য রাশি দান করছি।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।সাধু সাধু সাধু।

✒️ S Sumanapriya Sramon

নয়গুণসম্পন্ন বুদ্ধবন্দনা ১। ইতিপি সাে ভগবা অরহং সম্মাসম্মুদ্ধো বিজ্জাচরণসম্পন্নো সুগতাে লােকবিদূ অনুত্তরাে পুরিসদম্মসার...
16/06/2020

নয়গুণসম্পন্ন বুদ্ধবন্দনা
১। ইতিপি সাে ভগবা অরহং সম্মাসম্মুদ্ধো বিজ্জাচরণসম্পন্নো সুগতাে লােকবিদূ অনুত্তরাে পুরিসদম্মসারথি , সথা দেব - মনুস্সানং , ৰুদ্ধো ভগবাতি ।

২। ৰুদ্ধং যাব মহাপরিনিৰ্বানং , পরিযন্তং সরণং গচ্ছামি ।

৩। যে চ ৰুদ্ধা অতীতা চ , যে চ ৰুদ্ধা অনাগতা , পছুন্না চ যে বুদ্ধ , অহং বন্দামি সৰ্ব্বদা ।

৪। নন্থি মে সরণং অং , ৰুদ্ধো মে প্রণং বরং , এতেন সচ্চবজ্জেন , হােতু মে জয়মঙ্গলং ।

৫। উত্তমঙ্গেন বন্দেহং , পাদপংসু বরুত্তমং , ৰুদ্ধে যাে খলিতাে দোসাে , ৰুদ্ধো খমতু তং মমং ।

Address


Telephone

+8801864156087

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তথাগত গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা,Tathagata Gautama Buddha & Buddhism posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category