Jahid Robin

Jahid Robin “I'm passionate about business growth” SEO Expert | Facebook & Google Ads Expert |

19/08/2025

আজকের দিনে কনটেন্ট বানানো খুব সহজ হয়ে গেছে। একটা ভালো ক্যামেরা বা স্মার্টফোন হাতে থাকলেই কেউ একজন ছবি তুলছে, রিল করছে, মিম বানাচ্ছে বা লম্বা পোস্ট লিখছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টিকটকে প্রতিদিন লাখ লাখ নতুন কনটেন্ট আপলোড হচ্ছে।

এগুলোর কিছু হয়তো ভাইরাল হচ্ছে, কিছু মানুষের মনেও জায়গা করে নিচ্ছে। কিন্তু যে উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী তার প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য এই কনটেন্ট বানাচ্ছেন, তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটা একটাই

“এত কনটেন্ট বানানোর পরও আমার সেল আসছে না কেন?”

এই প্রশ্নের উত্তরটা তেমন সহজ নয়। কারণ কনটেন্ট বানানো আর কনটেন্টকে সেলসে রূপান্তর করা এই দুই কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। একটা কনটেন্ট সুন্দর হতে পারে, ভাইরালও হতে পারে, কিন্তু সেটা যদি সঠিক মেসেজ না দেয়, সঠিক অডিয়েন্সের কাছে না পৌঁছায়, বা কাস্টমারের মনের দ্বিধা ভাঙতে না পারে, তাহলে সেটা সেলস জেনারেট করবে না।

অনেক ব্যবসা তাই ফাঁদে পড়ে যায়। তারা ভাবে, যত বেশি কনটেন্ট তত বেশি সেল। অথচ বাস্তবতা হলো, অগণিত কনটেন্ট তৈরি করার পরও বিক্রি শূন্য থেকে যায়।

বড় মার্কেট রিসার্চ কোম্পানি HubSpot-এর এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬০ শতাংশ মার্কেটার মনে করেন কনটেন্ট ব্র্যান্ড গ্রোথের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, মাত্র ২০ শতাংশ ব্র্যান্ড তাদের কনটেন্টকে সেলসে রূপান্তর করতে সক্ষম।

এই তথ্যটা আমাদের চোখ খুলে দেয় সমস্যাটা কনটেন্টে নয়, সমস্যাটা কনটেন্টের স্ট্র্যাটেজিতে।

তাহলে সমস্যা আসলে কোথায়? সবচেয়ে বড় ভুলটা হয় অডিয়েন্স রিসার্চ ছাড়া কনটেন্ট বানানোর মধ্যে। ব্যবসায়ীরা ধরে নেয়, তাদের প্রোডাক্ট সবারই লাগবে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি কাস্টমারের আলাদা প্রয়োজন, আলাদা ভয়, আলাদা আশা।

যদি সেই মনস্তত্ত্ব বোঝা না যায়, তাহলে কনটেন্ট যতই সুন্দর হোক না কেন, সেটি মানুষকে প্রভাবিত করবে না। আরেকটা সাধারণ ভুল হলো ভ্যালু না দেওয়া। অনেকেই শুধু প্রোডাক্ট শো-কেস করে। সুন্দর ছবি, ঝকঝকে ভিডিও কিন্তু কোথায় সেই গল্প, যা বলবে প্রোডাক্টটা কেনার পর জীবনে কী বদল আসবে? মানুষ প্রোডাক্ট কেনে না, মানুষ কেনে সেই সমাধান যা প্রোডাক্টটা দিতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং লিডার নীল প্যাটেল একবার বলেছিলেন, “People don’t buy products, they buy better versions of themselves.” অর্থাৎ কাস্টমার প্রোডাক্ট দেখে না, সে দেখে তার নিজের ভবিষ্যত এই প্রোডাক্ট কিনে আমি কেমন দেখাবো, কেমন অনুভব করবো, কীভাবে উপকার পাবো। যদি কনটেন্ট সেই ছবি আঁকতে না পারে, তাহলে সেলসও আসবে না।

আরেকটা সমস্যা হলো Call-to-Action এর অভাব। লাইক, কমেন্ট, শেয়ার হয়তো প্রচুর আসছে, কিন্তু মানুষকে সঠিকভাবে কেনার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না। ধরুন একজন দেখলো সুন্দর একটা শাড়ির ভিডিও। তার ভালো লাগলো, কমেন্টে লিখলো “ওয়াও”। কিন্তু সে জানলোই না, কোথায় অর্ডার করতে হবে, কীভাবে পেমেন্ট করতে হবে, বা অফারটা কতক্ষণ থাকবে। তাহলে কি সে কিনবে? না।

সবশেষে আসে বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়। আজকের কাস্টমার অনেক সচেতন। সে বিজ্ঞাপনের কথায় সহজে বিশ্বাস করে না। সে প্রমাণ দেখতে চায়। রিভিউ, টেস্টিমোনিয়াল, বাস্তব ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এসব কিছু ছাড়া শুধু ফটোশুট করা প্রোডাক্টের ছবি দেখে সে টাকা খরচ করতে চাইবে না।

তাহলে সমাধান কী? সমাধান হলো কনটেন্টকে ভাইরাল নয়, স্ট্র্যাটেজিক করা। কনটেন্ট বানাতে হবে এমনভাবে, যাতে সেটা অডিয়েন্সের আসল সমস্যা টার্গেট করে। কাস্টমারের বয়স, লাইফস্টাইল, চাহিদা বুঝে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

শুধু প্রোডাক্ট নয়, দেখাতে হবে কীভাবে সেই প্রোডাক্ট কাস্টমারের সমস্যার সমাধান করছে। কনটেন্টে স্পষ্টভাবে বলতে হবে পরবর্তী ধাপ কী কীভাবে অর্ডার করতে হবে, কতদিন অফার থাকবে, আর কোথায় যোগাযোগ করতে হবে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, কনটেন্টে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে। মানুষের রিভিউ, আগে-পরে তুলনা, কাস্টমারের গল্প এসব কনটেন্টে যুক্ত হলে অডিয়েন্সের মনে একটা ট্রাস্ট তৈরি হয়। আর মজার ব্যাপার হলো, মাঝে মাঝে একটু মিম বা হালকা মজা কনটেন্টে ঢুকিয়ে দিলে সেটি আরও বেশি রিলেটেবল হয়। কাস্টমার তখন শুধু তথ্যই পায় না, কনটেন্টের সাথে একটা আবেগীয় কানেকশনও তৈরি করে।

গ্যারি ভি বলেন, “Content is king, but context is God.” অর্থাৎ শুধু কনটেন্ট বানালেই হবে না, সেই কনটেন্টকে সঠিক সময়ে, সঠিক প্রেক্ষাপটে, সঠিক অডিয়েন্সের সামনে হাজির করতে হবে। এই কনটেক্সট ছাড়া কনটেন্ট যতই সুন্দর হোক না কেন, সেটি ফলাফল আনবে না।

শেষ পর্যন্ত আমরা যদি দেখি, তাহলে কনটেন্ট আসলে একধরনের ব্রিজ একদিকে আছে আপনার ব্যবসা, অন্যদিকে আছে কাস্টমারের প্রয়োজন। কনটেন্ট সেই ব্রিজ হয়ে কাজ করে, যাতে কাস্টমার আপনার কাছে আসতে পারে। কিন্তু যদি ব্রিজটা অর্ধেক হয়, অথবা দুর্বল হয়, তাহলে মানুষ মাঝপথে থেমে যাবে।

তাহলে কনটেন্টকে বিক্রিতে রূপান্তর করার মূল চাবিকাঠি হলো: অডিয়েন্সকে বোঝা, ভ্যালু দেওয়া, ট্রাস্ট তৈরি করা এবং স্পষ্টভাবে পরবর্তী ধাপ দেখানো। ভাইরাল হওয়া একটা বাড়তি সুবিধা, কিন্তু মূল লক্ষ্য সবসময় হওয়া উচিত কাস্টমারকে কিনতে অনুপ্রাণিত করা।

আপনার কনটেন্ট যদি অনেক ভিউ আর লাইক পাচ্ছে, কিন্তু সেল আসছে না, তাহলে সময় এসেছে স্ট্র্যাটেজি পাল্টানোর। কারণ সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া কনটেন্ট শুধু দেখাবে, কিন্তু বিক্রি করবে না।

বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা সাধারণত ভাবে—🔹 তাদের ব্র্যান্ড বাজারে একেবারে আলাদা।🔹 তারা নতুন ট্রেন্ড সেট করছে।🔹 তাদের প্রোডাক্ট...
17/08/2025

বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা সাধারণত ভাবে—

🔹 তাদের ব্র্যান্ড বাজারে একেবারে আলাদা।

🔹 তারা নতুন ট্রেন্ড সেট করছে।

🔹 তাদের প্রোডাক্ট আন্তর্জাতিক মানের।

কিন্তু কাস্টমার ভাবে—

🔹 দামটা কি আমার বাজেটে আছে?

🔹 অন্যরা এ নিয়ে কী বলছে?

🔹 একি জিনিস গুলিস্তান/নিউ মার্কেটে কমে পাওয়া যায় না তো?

🔹 আমার জীবনে এর আসলেই কোনো ভ্যালু আছে তো?

এই value-perception gap-টাই অনেক সময় ব্যবসার growth থামিয়ে দেয়।

17/08/2025

🔹 Harvard Business Review জানায়— ৮০% ব্র্যান্ড owner ভাবে তারা কাস্টমারকে দারুণ ভ্যালু দিচ্ছে। কিন্তু মাত্র ৮% কাস্টমার সেটা বিশ্বাস করে।

🔹 LightCastle Partners Bangladesh (2023) এর গবেষণা বলছে— ৭০% অনলাইন কাস্টমার প্রোডাক্ট কেনার আগে ফিচারের চাইতে দাম দেখে।

অর্থাৎ, কাস্টমার সবসময় নিজের দিক থেকেই ব্র্যান্ডকে বিচার করে।

17/08/2025

ব্র্যান্ড হলো শুধুই কোনো নাম, লোগো বা রং না। এটা হলো সেই অনুভূতি আর বিশ্বাস, যা কাস্টমারের মাথায় আপনার ব্যবসা নিয়ে গড়ে ওঠে।

Jeff Bezos বলেছিলেন— Your brand is what people say about you when you’re not in the room.

Marty Neumeier আরও স্পষ্ট করে বলেছেন— A brand is not what you say it is. It’s what they say it is.

অর্থাৎ, আপনি যতই বলেন “আমাদের প্রোডাক্ট প্রিমিয়াম,” যদি কাস্টমার সেটা না ভাবে, তবে আপনার ব্র্যান্ড আসলেই প্রিমিয়াম নয়।

04/08/2025

“Scarcity creates value.
Urgency creates action.”

- Robert Cialdini

04/08/2025

“আপু, কালেকশনটা দারুণ—but এখন টাকা নাই, পরে নিবো।”

এই একটাই ডায়লগ, শুনে মনে হয় যেন বাংলাদেশের ৮০% কাস্টমার এক সিক্রেট মিটিং করে রিহার্সাল দেয় 😅 কিন্তু আপনি জানেন কি—এই “পরে নিবো” কথাটার পেছনে আছে মানসিকতা, ভয়, decision delay, এবং ইমোশনাল conflict?

রাইসা, অনলাইনে থ্রিপিস আর শাড়ি বিক্রি করে। পোস্ট দিলে কমেন্টে লাইনে লাইনে “Price pls” In-box vibrate করে… কিন্তু যখন প্রাইস পাঠায়— বেশিরভাগ মানুষ বলে: “এখন হাতে টাকা নাই, পরে নিবো।”

প্রথমে রাইসা ভেবেছিল, মানুষ দরকার হলে নিজে থেকেই আসবে। কিন্তু তারা আসে না।

আসে নতুন মানুষ, আবার সেই একই কথা— “পরে নিবো আপু…”

একদিন সে এক ক্লায়েন্টের প্রোফাইলে গিয়ে দেখে, একই প্রোডাক্ট সে অন্য পেজ থেকে কিনেছে।

রাইসার মাথা তখন চক্কর খায়: “মানে ও তো বলেছিল এখন কিনবে না!
তাহলে এখানে না কিনে অন্য জায়গা থেকে কেন?”

এই প্রশ্নের উত্তর সে খুঁজে পেল Alex Hormozi এর বই "$100M Offers"-এ:
“When people say ‘later’, it’s often code for ‘not convinced yet.’”

রাইসা বুঝলো— কাস্টমার টাকার অভাবে না, মন থেকে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

রাইসা একদিন তার বন্ধু তামান্নাকে বলে, “এই ‘পরে নিবো’ কথাটা শুনলেই আমার মেজাজ নেমে যায় ব্যাংক ব্যালেন্সের মতো।”

তামান্না হেসে বললো:
“ওদের কাছে তো একটা হ্যান্ডবুক আছে মনে হয়:
‘প্রোডাক্ট পছন্দ হলে বলবে – পরে নিবো’” 😏

আরেকবার এক ক্লায়েন্ট বলেছিল— “ভাইয়া বাসায় নেই, জিগাইয়া অর্ডার করুম।”

রাইসা মনে মনে বলেছিল:
“ভাইয়ার হাতে কি কোনো কিতাব আছে নাকি, যেখানে অর্ডার ছাড়া কিছু বলার নাই?” 😤

মানুষ ৯৫% সময় সিদ্ধান্ত নেয় ইমোশন দিয়ে— বাকি ৫% দিয়ে সেটা যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করে। (সূত্র: Harvard Business School)

আপনি যদি তাকে সেই ইমোশন না দেন, তাহলে সে যুক্তি দিয়ে নিজেকে বলবে—"এখন দরকার নাই।"
Dan Lok বলেন: “If you don’t create urgency, logic wins. And logic always says: wait.”

তখন সেই চিন্তায় পড়ে গেল,কাস্টমার আসলে কী ভাবে?

✅ কাস্টমার "না" বলে না—তারা ভাবে “আরও দেখি…”
✅ কাস্টমার “টাকা নাই” বললেও, সেদিনই অন্য কিছুতে খরচ করে
✅ কাস্টমার আপনাকে রিজেক্ট করে না, তারা বিষয়টিকে ঠিকমতো বুঝে না

According to Baymard Institute, ৬৯.৮২% কাস্টমার অনলাইনে "cart এড" করার পরও অর্ডার করে না। এর মূল কারণ: lack of urgency বা doubt about value.

রাইসা এবার ভাবলো, “ক্লায়েন্ট বললে পরে নিবো, আমিও বলবো—না আপু, এইটা আপনি মিস করতে পারবেন না।”

সে এবার বললো:
🗣️ “এই কালারটা আর রিস্টক হবে না আপু—তাই আগেই জানিয়ে রাখলাম।”

অথবা:

🗣️ “মাত্র ১০০ টাকা অ্যাডভান্স দিলেই আমরা প্রি-অর্ডার কনফার্ম করে ফেলি। আর দেরি হলে দামটা একটু বাড়বে।”

ফলাফল?
আগে যে কাস্টমাররা শুধু “price pls” লিখে গায়েব হতো,
তারা এখন ৩০%-৪০% পর্যন্ত একই দিনেই অর্ডার কনফার্ম করছে।

Grant Cardone বলেন: “Biggest mistake? Believing customers when they say 'later.’ They never call back—unless you close now.”

Robert Cialdini তার বিখ্যাত বই Influence এ বলেন: “Scarcity creates value. Urgency creates action.”

“পরে নিবো” বললে, আপনি যদি শুধু ধৈর্য ধরেন— তাহলে আপনি ক্লায়েন্টকে হারালেন। কিন্তু আপনি যদি তখনই বলেন: “এই অফারটা কালকের মধ্যে available” বা “প্রি-অর্ডারে বুকিং করা যাচ্ছে, আগ্রহ থাকলে এখনই কনফার্ম করুন”

তাহলে আপনি একটা মনের দোলাচল থেকে তাকে নিয়ে আসলেন ক্রিয়ার স্থিরতায়।

“সবাই প্রোডাক্ট বিক্রি করে কিন্তু যারা objection হ্যান্ডেল করতে জানে, তারাই আসলে ব্র্যান্ড গড়ে।”

14/06/2025

সবুজ তার কন্টেন্টের বীজ ছড়িয়ে তো দিলেন নানা প্রান্তে। ফেসবুকের আকাশ থেকে শুরু করে ইমেলের উষ্ণ আঙিনা পর্যন্ত, তার গল্পের সুবাস যেন ধীরে ধীরে মানুষের মনে জায়গা করে নিতে শুরু করলো।

কিন্তু একজন বাগানীর যেমন জানতে ইচ্ছে করে তার লাগানো চারাগাছটি কতদূর বাড়লো, তেমনই সবুজও ভাবছিলেন – "এত কষ্ট করে লিখছি, শেয়ার করছি, এর কোনো ফল তো দেখতে হবে!"

ঠিক তখনই, এক ঝলমলে সকালে অর্ণব এসে হাজির সবুজের স্টুডিওতে। হাতে তার একটা চকচকে ল্যাপটপ।

"কী দোস্ত, সব কেমন চলছে?" জিজ্ঞাসা করলেন অর্ণব।

সবুজ একটু চিন্তিত হয়ে বললেন, "ভালোই মনে হচ্ছে, তবে ঠিক বুঝতে পারছি না কতটা কী কাজ হচ্ছে।"

অর্ণব হেসে বললেন, "এই তো আসল জায়গায় এসেছো। কন্টেন্ট তৈরি আর শেয়ার করাই শেষ কথা নয়। এর একটা হিসাব রাখতে হয়, দেখতে হয় কোন পথে আলো বেশি পড়ছে আর কোন পথে একটু অন্ধকার।"

অর্ণব ল্যাপটপ খুলে সবুজকে দেখাতে শুরু করলেন:

ওয়েবসাইটের ভিড় – যেন বাজারের আনাগোনা

"প্রথমে তোমাকে দেখতে হবে তোমার ওয়েবসাইটে কতজন আসছে," বললেন অর্ণব। "গুগল অ্যানালিটিক্স নামে একটা টুল আছে, সেটা ব্যবহার করলে তুমি সহজেই জানতে পারবে কত মানুষ তোমার ওয়েবসাইট দেখছে, কোন পেজে বেশি ভিড় করছে, আর তারা কতক্ষণ সেখানে থাকছে।"

সবুজ দেখলেন, অর্ণবের দেখানো সেই টুলটিতে সত্যিই অনেক মজার তথ্য দেখাচ্ছে। কোন কন্টেন্ট পড়ার পর মানুষ তার ওয়েবসাইটে আসছে, কোন পণ্যে ক্লিক করছে – সব যেন একটা বাজারের আনাগোনির মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার উষ্ণতা – লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের গুঞ্জন

"সোশ্যাল মিডিয়াতে তোমার পোস্টগুলোতে কেমন সাড়া মিলছে, সেটাও খুব জরুরি," অর্ণব বললেন। "কতজন লাইক করছে, কমেন্ট করছে, শেয়ার করছে – এগুলো দেখলে বোঝা যায় তোমার কন্টেন্ট মানুষের মন ছুঁতে পারছে কিনা।"

সবুজ তার ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম পেজের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ তার পোস্টেreact করছে। তাদের উৎসাহ আর ভালোবাসার গুঞ্জন যেন তার কাজকে আরও উদ্দীপিত করে তুলছে।

ইমেলের বাক্স – খুলে দেখলেই বোঝা যায় ভালোবাসা

"ইমেলের মাধ্যমে তুমি যাদের বার্তা পাঠাচ্ছো, তারা সেই ইমেলগুলো খুলছে কিনা, ভেতরের লিঙ্কে ক্লিক করছে কিনা – এটাও ট্র্যাক করা যায়," অর্ণব জানালেন। "এতে বোঝা যায় তোমার পাঠানো খবর তাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।"

সবুজ দেখলেন, তার পাঠানো ইমেলগুলো অনেকেই খুলছেন এবং আগ্রহ নিয়ে তার ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন। এটা যেন সরাসরি ভালোবাসার বার্তা পাওয়ার মতো আনন্দ দিলো তাকে।

সেল-এর হিসাব – আসল লক্ষ্যের দিকে নজর

"অবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তোমার বিক্রি কতটা বাড়ছে," বললেন অর্ণব। "তুমি যে এত কন্টেন্ট বানাচ্ছো, তার প্রভাবে কি তোমার পণ্যের বিক্রি বাড়ছে? কোন কন্টেন্টের মাধ্যমে বেশি সেল আসছে, সেটাও তোমাকে খুঁজে বের করতে হবে।"

সবুজ তার সেলসের ডেটা পর্যালোচনা করে দেখলেন, সত্যিই আগের থেকে তার বিক্রি বেড়েছে। এবং মজার ব্যাপার হলো, যে কন্টেন্টগুলোতে তিনি তার পণ্যের গল্প বলেছিলেন, সেগুলোর মাধ্যমেই বেশি কাস্টমার এসেছেন।

অর্ণব আরও বুঝিয়ে বললেন, এই ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করে সবুজ বুঝতে পারবেন কোন ধরনের কন্টেন্ট তার দর্শকদের বেশি পছন্দ, কোন প্ল্যাটফর্মে তার বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত, এবং কোথায় তার আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে।

সবুজ বুঝতে পারলেন, কন্টেন্ট মার্কেটিং আসলে একটা চলমান প্রক্রিয়া। শুধু তৈরি করে থেমে গেলে হবে না, নিয়মিতভাবে তার ফলাফল ট্র্যাক করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিজের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। এই ট্র্যাকিং যেন এক অদৃশ্য মানচিত্র, যা তাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনি কি তৈরি আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের সাফল্যের মানচিত্র তৈরি করতে? আজই শুরু করুন তোমার ডেটা ট্র্যাক করা আর খুঁজে বের করুন আপনার বিজয়ের পথ!

13/06/2025

প্রথম পর্বে আমরা জেনেছি কিভাবে সবুজ পেইড অ্যাডের বাইরেও তার অনলাইন স্টোর ‘সবুজ স্টোর’ এর জন্য সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করতে শুরু করেছিলেন।

তবে শুধু কন্টেন্ট তৈরি করলেই তো আর হবে না, সেটা মানুষের কাছে পৌঁছানোও জরুরি। সবুজ ভাবছিলেন, “এত সুন্দর গল্প, এত যত্ন করে বানানো জিনিস, কিন্তু সেগুলো দেখবে কারা?”

ঠিক তখনই আবার মনে পড়লো সেই বন্ধু অর্ণবের কথা। সবুজ আবার ফোন করলেন তাকে।

অর্ণব হেসে বললেন, "আমি জানতাম তুমি এই প্রশ্নটা করবে। কন্টেন্ট তৈরি তো হলো, এবার এটাকে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পালা।"

অর্ণব বুঝিয়ে বললেন বেশ কিছু কার্যকরী উপায়:

সামাজিক মাধ্যমের জাদু

"প্রথমত," বললেন অর্ণব, "তুমি তোমার তৈরি করা গল্পগুলো তোমার সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলোতে শেয়ার করো। শুধু ছবি দিলেই হবে না, লেখার কিছুটা অংশ ক্যাপশনে যোগ করো আর পুরো গল্পের লিংক দাও। যারা তোমার পেজ ফলো করে, তারা তো এমনিতেই তোমার জিনিস পছন্দ করে। তাদের কাছে নতুন কিছু জানতে পারাটা আনন্দের হবে।"
সবুজ বুঝতে পারলেন, তার ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম পেজটা আসলে একটা শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে। তিনি নিয়ম করে তার পণ্যের গল্পগুলো সেখানে শেয়ার করতে শুরু করলেন।

ই-মেলের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ

অর্ণব এরপর ইমেল মার্কেটিংয়ের কথা বললেন। "যারা পুরনো কাস্টমার, তাদের একটা তালিকা তৈরি করো। তাদের কাছে নিয়মিতভাবে তোমার নতুন কালেকশন আর তার পেছনের গল্পগুলো ইমেলের মাধ্যমে পাঠাও। এটা সরাসরি তোমার কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ করার একটা দারুণ উপায়।"
সবুজ আগে কখনো এটা নিয়ে ভাবেননি। অর্ণবের পরামর্শে তিনি একটি ইমেল তালিকা তৈরি করলেন এবং সেখানে তার নতুন কন্টেন্টগুলো পাঠাতে শুরু করলেন।

অনলাইন কমিউনিটির শক্তি

"বিভিন্ন অনলাইন ফোরাম আর গ্রুপে দেখো যেখানে তোমার পণ্যের ব্যাপারে আলোচনা হয়," পরামর্শ দিলেন অর্ণব। "সেখানে তুমি সরাসরি তোমার গল্পগুলো শেয়ার করতে পারো। তবে হ্যাঁ, স্প্যামিং কোরো না যেন। যেখানে তোমার কন্টেন্ট মানুষের কাজে লাগবে, সেখানেই শেয়ার করো।"

সবুজ দেখলেন, অনলাইনে অনেক ফ্যাশন আর হস্তশিল্প বিষয়ক গ্রুপ রয়েছে। তিনি সেখানে তার কন্টেন্টগুলো শেয়ার করতে শুরু করলেন।

অন্যের আঙিনায় নিজের কথা

অর্ণব আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন – গেস্ট ব্লগিং। "দেখো, অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা একই ধরনের জিনিস নিয়ে লেখে। তুমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ওয়েবসাইটেও তোমার গল্পগুলো লেখার সুযোগ চাইতে পারো। এতে করে তাদের পাঠকরাও তোমার ব্যাপারে জানতে পারবে।"

এই আইডিয়াটা সবুজের বেশ পছন্দ হলো। তিনি কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে তাদের সাথে গেস্ট ব্লগিং করার জন্য যোগাযোগ করলেন।

SEO-এর সঠিক ব্যবহার

"তুমি তো আগেই ওয়েবসাইটের জন্য SEO করেছো," বললেন অর্ণব, "এবার যখন তুমি নতুন কন্টেন্ট লিখছো, তখনও সেই SEO-এর নিয়মগুলো মেনে চলো। সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করো যাতে গুগল তোমার গল্পগুলোও খুঁজে পায়।"

সবুজ বুঝতে পারলেন, শুধু পণ্যের পেজ নয়, তার ব্লগের পোস্টগুলোকেও SEO-অপটিমাইজ করতে হবে।

এভাবে ধীরে ধীরে সবুজ তার তৈরি করা গল্পগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে শুরু করলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেমন লাইক আর শেয়ার বাড়তে লাগলো, তেমনি ইমেলের মাধ্যমে পুরনো কাস্টমারদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাওয়া গেল।

বিভিন্ন ফোরাম আর গেস্ট ব্লগের মাধ্যমে নতুন অনেক মানুষ তার ‘সবুজ স্টোর’ এর ব্যাপারে জানতে পারলো। আর এসইও-এর কারণে গুগল সার্চেও তার কন্টেন্টগুলো ধীরে ধীরে উপরের দিকে আসতে শুরু করলো।

সবুজ দেখলেন, তার কন্টেন্টগুলো যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে – ঠিক যেমন একটি বীজ থেকে চারাগাছ হয়ে তা চারপাশে ডালপালা বিস্তার করে।

তিনি বুঝতে পারলেন, শুধু ভালো জিনিস বানালেই হয় না, সেই ভালো জিনিসের গল্পটা সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াও জরুরি। আর এর জন্য পেইড অ্যাডের ওপর সবসময় নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে, ধৈর্য ধরে কাজ করলে অনেক কিছুই সম্ভব।

তাহলে আপনিও কি চাইছেন আপনার ব্যবসার গল্পগুলো এমনি করে ছড়িয়ে পড়ুক? আজই শুরু করুন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করা!

সবুজ, তরুন এক উদ্যোক্তা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন তার অনলাইন স্টোর – ‘সবুজ স্টোর’। বাহারি সব হাতে তৈরি পোশাক আর ঘর...
12/06/2025

সবুজ, তরুন এক উদ্যোক্তা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন তার অনলাইন স্টোর – ‘সবুজ স্টোর’। বাহারি সব হাতে তৈরি পোশাক আর ঘর সাজানোর জিনিসপত্রে ঠাসা তার ভার্চুয়াল দোকান। প্রথম দিকে কিছু বন্ধু-বান্ধব আর পরিচিত মহলের কেনাকাটায় বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু মাস ঘুরতেই দেখা দিলো সেই চেনা হতাশা – নতুন কাস্টমার নেই, সেল বাড়ছে না।

সবুজ ভাবলেন, "তাহলে কি শুধু পেইড অ্যাডই ভরসা?" আশেপাশে দেখলেন অনেকেই ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামে চড়া দামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা করছেন। মনে কিছুটা দ্বিধা নিয়ে তিনিও শুরু করলেন পেইড ক্যাম্পেইন। প্রথম কয়েকদিন কিছু সেল এলো বটে, তবে বিজ্ঞাপনের খরচ বাদ দিলে লাভের অঙ্কটা তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। বরং মাঝে মাঝে মনে হতো যেন খরচের খাতাই ভারী হচ্ছে।

একদিন রাতে, হতাশ হয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করতে যাচ্ছিলেন সবুজ, হঠাৎ তার মনে পড়লো পুরনো এক বন্ধুর কথা – অর্ণব, যে কিনা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে। ভাবলেন, একবার অর্ণবের সাথে কথা বলে দেখা যাক।

পরের দিন সকালেই অর্ণবকে ফোন করলেন সবুজ। সব শুনে অর্ণব মুচকি হেসে বললেন, "দোস্ত, শুধু পেইড অ্যাড নয়, সেল বাড়ানোর আরও অনেক রাস্তা আছে। বরং কিছু ক্ষেত্রে ওগুলো পেইড অ্যাডের থেকেও বেশি কার্যকর হতে পারে।"

সবুজ অবাক হয়ে বললেন, "যেমন?"

অর্ণব শুরু করলেন তার গল্প:

"দেখো সবুজ, তোমার স্টোরটা দারুণ। কিন্তু মানুষ জানবে কী করে যে এমন একটা সুন্দর দোকান অনলাইনে আছে? এর জন্য দরকার সঠিক প্ল্যানিং আর কিছু ধৈর্য। পেইড অ্যাড অবশ্যই একটা উপায়, তবে এটা অনেকটা সাময়িক বৃষ্টির মতো। যখন বিজ্ঞাপন বন্ধ, তখন হয়তো সেলও কমে যাবে। আমরা বরং এমন কিছু করি যাতে তোমার স্টোরে কাস্টমাররা নিজেরাই খুঁজে আসে।"

অর্ণব বুঝিয়ে বললেন কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী একটা সম্পর্ক তৈরি করা যায় কাস্টমারদের সাথে। তিনি বললেন, "তুমি যে সুন্দর পোশাক আর ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করো, সেগুলো নিয়ে আকর্ষণীয় গল্প লেখো। যেমন ধরো, কোন কারিগর এই পোশাকটি বানিয়েছেন, তার পেছনের অনুপ্রেরণা কী ছিল? অথবা, কিভাবে তোমার ঘর সাজানোর একটি জিনিস একটি সাধারণ ঘরকে অসাধারণ করে তুলতে পারে।"

সবুজ মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। অর্ণব আরও বললেন, "শুধু তাই নয়, তুমি তোমার পণ্যের ভালো মানের ছবি আর ভিডিও শেয়ার করো। কিভাবে একটি পোশাক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরা যেতে পারে, অথবা কিভাবে একটি শোপিস ঘরের কোন কোণে রাখলে বেশি সুন্দর লাগবে – এই ধরনের টিপস তোমার কাস্টমারদের অনেক কাজে দেবে।"

অর্ণব এরপর SEO (Search Engine Optimization) এর কথা বললেন। বুঝিয়ে বললেন, কিভাবে সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে সবুজ স্টোরের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চের প্রথম দিকে নিয়ে আসা যায়। "মানুষ যখন অনলাইনে 'হাতে তৈরি পোশাক' বা 'ঘর সাজানোর জিনিস' লিখে সার্চ করবে, তখন যেন তোমার দোকানটা তাদের সামনে ভেসে ওঠে," বললেন অর্ণব।

সোশ্যাল মিডিয়াতেও মনোযোগ দেওয়ার কথা বললেন অর্ণব। নিয়মিত পোস্ট করা, কাস্টমারদের সাথে Engage করা, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া – এগুলোও যে সেল বাড়াতে কতটা সাহায্য করে তা অর্ণব বুঝিয়ে বললেন। এমনকি কাস্টমারদের রিভিউ আর তাদের শেয়ার করা ছবিও যে নতুন কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পারে, সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন।
ধীরে ধীরে অর্ণবের কথাগুলো সবুজের মনে গেঁথে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন, শুধু টাকার জোরে বিজ্ঞাপন দিলেই হবে না, বরং কাস্টমারদের সাথে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

সবুজ এরপর অর্ণবের দেখানো পথেই কাজ শুরু করলেন। নিজের তৈরি প্রতিটি পণ্যের গল্প লিখতে শুরু করলেন, ভালো মানের ছবি আর ভিডিও শেয়ার করতে লাগলেন। ওয়েবসাইটে মনোযোগ দিলেন, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের ব্যবসাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

প্রথম দিকে খুব বেশি পরিবর্তন দেখা না গেলেও, ধীরে ধীরে সবুজ লক্ষ্য করলেন তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লাইক আর কমেন্ট বাড়ছে। মানুষ তার পণ্যের গল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছে। ওয়েবসাইটেও আগের থেকে বেশি ভিজিটর আসছে। আর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো, তার সেলও ধীরে ধীরে বাড়ছে – তাও আবার কোনো পেইড অ্যাড ছাড়াই!

সবুজ বুঝতে পারলেন, আসলে কাস্টমারদের সাথে একটা বিশ্বাস আর ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করাই আসল কাজ। যখন তারা আপনার পণ্যের গুণগত মান এবং আপনার আন্তরিকতা অনুভব করতে পারবে, তখন তারা নিজেরাই আপনার কাছে ফিরে আসবে।

পেইড অ্যাড হয়তো দ্রুত কিছু সেল এনে দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য দরকার ধৈর্য, সঠিক কন্টেন্ট, আর কাস্টমারদের সাথে আত্মিক যোগাযোগ। সবুজ এখন তার সবুজ স্টোরের স্বপ্ন পূরণের পথে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন, যেখানে পেইড অ্যাড নয়, বরং তার তৈরি করা সুন্দর জিনিস আর আন্তরিকতাই মূল চালিকাশক্তি।

তাহলে, আপনিও কি সবুজের মতো তোমার ব্যবসার জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তি তৈরি করতে চাইছেন? আজই শুরু করুন আপনার পণ্যের গল্প বলা!

🌧️
20/04/2025

🌧️

09/03/2025

সেল বাড়ানোর জন্য আপনাকে "Vanity Metrics" (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার) থেকে "Conversion Metrics" (Engagement, Lead, Purchase) এ যেতে হবে।

Engagement-Based Content – কুইজ, স্টোরিটেলিং, রিয়েল লাইফ প্রবলেম সলভিং কনটেন্ট তৈরি করুন।
UGC (User-Generated Content) – রিয়েল কাস্টমারদের রিভিউ, অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
Pain-Point Focused Approach – কাস্টমারের সমস্যা তুলে ধরুন, এবং দেখান আপনার প্রোডাক্ট কিভাবে সমাধান দিতে পারে।

Messenger & Community Marketing – ইনবক্সে এনগেজ করুন, গ্রুপ তৈরি করুন, কাস্টমারদের সাথে ব্যক্তিগত লেভেলে কানেক্ট করুন।

09/03/2025

ফেসবুক মার্কেটিং অনেকটা মাছ ধরার জালের মতো। আপনি যদি শুধু সংখ্যা বাড়ানোর জন্য লাইক ক্যাম্পেইন চালান, তাহলে আপনার জালে হয়তো অনেক মাছ ধরা পড়বে, কিন্তু তার মধ্যে সত্যিকারের কাস্টমার কয়জন? একটা ভুল ধারণা হলো— পেজ লাইক মানেই পটেনশিয়াল কাস্টমার!

বাস্তবে, ৮০% লাইক শুধুই ওয়ান-টাইম এনগেজমেন্ট, যারা আপনার পোস্ট দেখবে, কিন্তু সেলসে কনভার্ট হবে না। ফেসবুকের বর্তমান অ্যালগরিদম "Engagement-Based Reach" পছন্দ করে।

অর্থাৎ, যদি আপনার অডিয়েন্স পোস্টে কমেন্ট না করে, শেয়ার না করে, লাইক করেও স্ক্রল করে চলে যায়— তাহলে ফেসবুক আপনার কন্টেন্টকে আরও কম মানুষের সামনে দেখাবে! ফলে লাইক বেশি হলেও পোস্টের রিচ এবং কনভার্সন দিন দিন কমতে থাকবে।

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jahid Robin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share