11/10/2020
নাগরিক কণ্ঠের ইতিহাস ও নব উদ্যোগ, প্রধান সম্পাদক শ্রী ছবিরঞ্জন মজুমদার মহাশয়ের কলমে
সবিনয় নিবেদন
(নবপর্য্যায় নির্ভীক নাগরিক কন্ঠ এবার আনন্দ স্রোতের অন- লাইনেও)
আটের দশকের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক জেলার সুপরিচিত সমাজকর্মী ও প্রগতিবাদী লেখক শ্রী চিররঞ্জন- মজুমদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জেলায় সুনামের সাথে গড়ে ওঠে নাগরিক কন্ঠ সংবাদ ও সাহিত্য পত্রিকা। মূলতঃ গ্রামীন অবহেলিত. সমাজের সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও নতুন প্রজন্মকে- ছাত্র যুবদের সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ দিয়ে, হাতে- খড়ি-র সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমেই-অবহেলিত গ্রামীন- নবীণ-প্রবীণ- সাহিত্য চর্চাকে সুলোলিত ধারায় বইয়ে দেওয়ার পবিত্র ইচ্ছেশক্তি-ই ছিল সেদিনের একমাত্র পুঁজি বা মূলধন।সাথে সাথে সমাজের সব রকমের অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার ও অন্ধকারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতি-বাদী কন্ঠস্বরকে মানুষের স্বার্থেই মাণ্য
নাগরিকদের কন্ঠস্বর কে এগিয়ে দেওয়ার পথ দেখানো, ও দিশা দেখানোর পবিত্র ব্রত নিয়ে 1984 সালে নাগরিক কন্ঠের পথ চলা শুরু হয় ।।
প্রগতিশীল লেখক ও সমাজকর্মী সেই সময় সরকারী কর্মচারী থাকার কারনেই স্বনামে পত্রিকাপ্রকাশ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিলনা বলেই, প্রচার বিমূখ পারিবারিক বন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী রোহিনী দাস কে সম্পাদক ও শিক্ষিকা-স্ত্রী শ্রীমতি প্রতিভা মজুমদার কে সহযোগী সম্পাদিকা করেই নাগরিক- কন্ঠ পত্রিকার আত্ম প্রকাশ ঘটে ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরের লালবাগ সিংহী হাই স্কুল প্রাঙ্গনে।।অচিরেই জেলার বুকে জনপ্রিয়তা অর্জন করে মাণ্য পাঠক কুলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা কুঁড়িয়েক্রমাগত বলিষ্ঠ রচনা শক্তিশালী কলমের গুণেই জেলা ছাড়িয়ে অন্যান্য জেলায়ও নাগরিক কন্ঠ'র গুণ- গ্রাহী পাঠকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি ঘটতেই থাকে।।
ক্রমশঃএকসময় রাজ্যস্তরে ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকার গুণাবলীর বৈশিষ্টে নাগরিক কন্ঠ পত্রিকা নিজেকে উত্তোরণ ঘটিয়ে পাঠক কুলের শ্রদ্ধা ও আশির্বাদ কুড়াতে সক্ষম হয়।প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতি বিদ্ ও রাজ্যের জনপ্রিয় অর্থমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় ডঃ অশোক মিত্র মহোদয়ও সেই সময় নিয়মিত প্রগতিবাদী লেখক চিরবাবুর এ হেন গ্রামীণ নাগরিককন্ঠ পত্রিকার বলিষ্ঠ লেখনিকে ভালবেসেই চোখ রাখতেন।।পরবর্তীতে,মূলতঃ আর্থিক দৈন্যতার কারনেই নাগরিক কন্ঠ পত্রিকার প্রকাশনা হঠাৎই থমকে যায়।কাগজ বন্ধ হয়ে যায়।।শ্রদ্ধেয় চিরবাবুও অসুস্থ হয়ে পড়েন,এবং আমাদের সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয়,প্রগতিশীলএই লেখক হঠাৎই গত 16-04-16,তাং আমাদের ছেড়ে অন্তিম দেশের দিকশূণ্য পুরে চলে যান।জেলা ও শহরের গুণিও বিশিষ্টজনদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে চিরবাবুর স্মরণসভায় সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়--,
নাগরিক কন্ঠ পত্রিকাকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন অধ্যাপক সুজিত ভট্টাচার্য্য ও ছবিরঞ্জন মজুমদার মহাশয়। স্বাভাবিক ভাবেই সম্পূর্ণ নতুন উৎসাহ ও উদ্দিপনায় অধ্যাঃ সুজিত ভট্টাচার্য্য, ছবি রঞ্জন মজুমদার, শিক্ষিকা- বলাকা মজুমদার, শিক্ষক- স্বপন দাস ও শিক্ষক জগন্ময় চক্রবর্তী কে নিয়ে আপাততভাবে সম্পাদকমন্ডলী গড়ে তুলে পত্রিকাপ্রকাশনার প্রাথমিক কাজ শুরু হয় গত 26শে সেপ্টেম্বর 2016,বহরমপুর শহরের ঐতিহ্যশালী গ্রান্টহল সভ্যাকক্ষ্য উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে শ্রদ্ধেয় রামকৃষ্ণমিশণের মহারাজ জেলার কবি,সাহিত্যিক, অধ্যাপক, শিক্ষক, চিকিৎসক,সরকারী কর্মচারীও প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যাক্তি সহ সমাজের বিশিষ্ট জনের উজ্জ্বল উপস্থি তির মধ্য দিয়ে, নবপর্য্যায়ে নির্ভক নাগরিক কন্ঠ পাক্ষিক সংবাদ সাহিত্য পত্রিকা সহ,
দেশ বিদেশের একাধিক গুণি লেখকদের নানান সম্ভার সাজিয়ে একটি মনলোভা রঙীন শারদ অর্ঘ্যও একই সাথে প্রকাশ করা হয় মহাণ যুগপুরুষ বিদ্যাসাগরের শুভ জন্মজয়ন্তী উদযাপন ও সংক্ষিপ্ত মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।।
বিগত 2016-2019,অত্যন্ত উৎসাহ - উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই আমাদের বিদ্যাসাগর জয়ন্তী সাফল্যমন্ডিত হলেও-চলতি অতিমারীর সর্বগ্রাসী সংকটের মধ্যেও, আমরা আমাদের পবিত্র ইচ্ছে- শক্তি দিয়ে,দ্বিশততম বিদ্যাসাগর জয়ন্তীকে পবিত্র ভাবধারায় স্মরণীয় করে রাখার স্বার্থেই নির্ভীক নাগরিক কন্ঠকে আধুনিকতার মোড়কে (নতুন- পোশাকে) অনলাইনের শুভযাত্রায় নতুনভাবে আবির্ভাব ঘটানো হলো, আমাদের 200কোটি বিনম্র প্রণতি জানিয়ে,এসবই সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রিয় পত্রিকার অগনিত মাণ্য পাঠক কুলের প্রিয় নির্ভীক নাগরিককন্ঠ পত্রিকাকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসা ও ভালো লাগার কারনে, এবং অবশ্যই মানুষের
অকৃত্রিম আশির্বাদের কারনে।।এই সব কিছুই আমাদের পত্রিকা গোষ্ঠীর কাছে অত্যন্ত শ্লাঘার বিষয়। বিশেষত পত্রিকাকে অনলাইনের নতুন সংস্করণের পথে উত্তোরণ ঘটাতে শ্রীমতি অঙ্কিতা সিংহ রায়, শ্রী চিন্ময় মজুমদার ও শ্রীমতি বলাকা মজুমদারের উদ্যোগ ও কর্মপ্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।। নাগরিক কন্ঠ পরিবারের এই আনন্দধারায় আমরা সর্বদা খুশি মনেই, মানুষের স্বার্থে,মানুষের পক্ষে, মানুষের পাশে, সর্বদাই শিড়দাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকবো এবং মানুষের আশির্বাদ মাথায় করেই সর্বদা এগিয়ে যাবো নতুন নতুন দিশা আর নতুন নতুন প্রত্যয় আর শপথ নিয়ে এবং নবীন- প্রবীণ সকল পাঠকগণকে সাথে পাবো,শুধুমাত্র এইটুকুই প্রার্থণা আমাদের।।
ধন্যবাদান্তে
ছবিরঞ্জন মজুমদার
প্রধান সম্পাদক
বহরমপুর, পশ্চিমবঙ্গ