Islamic Message

  • Home
  • Islamic Message

Islamic Message যখন শিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে, তখনই মানুষ দলে দলে কবর থেকে উঠে তাদের রবের দিকে ছুটে আসবে ।
(ইয়াসিন :৫১)

01/02/2024

আল্লাহ তা'য়ালা ৭ টি গুণ পছন্দ করেন,

১. তওবা
"আল্লাহ তওবাকারীকে ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)

২. তাহারাত (পবিত্রতা)
"যারা পবিত্র থাকে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন"
(বাকারাহ, ২২২)

৩. তাক্বওয়া (আল্লাহ ভীতি)
"নিশ্চই আল্লাহ মুওাকিদের ভালোবাসেন"
(তওবাহ, ৪)

৪. ইহসান
"আল্লাহ নেককারদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৩৪)

৫. তাওয়াক্কুল
"নিশ্চই আল্লাহ ভালোবাসেন তার উপর ভরসাকারীদের"
(আল ইমরান, ১৫৯)

৬. ন্যায়বিচার
"আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন"
(মায়িদাহ, ৪২)

৭. সবর
"আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন"
(আল ইমরান, ১৪৬ )

সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার মনোনীত বান্দা হওয়ার তাওফিক দান করুক৷
আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন

11/01/2024

“ কিছু কিছু পাপের কারণে উপকারী জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হতে হয়। বরং সেগুলো জ্ঞান ভুলে যাওয়ারও কারণ হয়। ”
__________ইবনু তাইমিয়্যা (রাহিমাহুল্লাহ)
[ মাজমুউল ফাতাওয়া: ৭/৯৬ ]
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ মজুমদার

06/01/2024

‘যে আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দুনিয়া চায়, সে তো হিসাবের দিন বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে চায়!’
[ জামেউল উলূমি ওয়াল-হিকাম: ২/১৯৭ ]

05/01/2024

ারী_গল্প

সবর...

ঠিক কয়টা বিয়ে ভেঙে গেছে আমার হিসেবটাও ভুলে গেছি, শেষেতো আর বিয়েই আসেনি, বয়সটাও ত্রিশ পার হয়ে গেছিল।তারপর বাসাতে একটা স্কুল খুলে বসেছিলাম, ছোট মিষ্টি বাচ্চাদের ক্বুরআন তেলাওয়াত শেখাতাম, একা একা আর ভাল লাগতনা।
আমি যে দেখতে অসুন্দর এমটা না আবার খারাপ স্টুডেন্টওনা ছিলাম না। তবুও বিয়ে এসেছে, ভেঙেছে। তখন আমি ঢাবির হোস্টেলে থাকি, পাত্রপক্ষ আসল দেখল পছন্দ করল, দু পক্ষই বেশ রাজি; আম্মু আব্বু বলল থাম একটা ইস্তেখারা করি। পরপর সাতদিন পনেরদিন কোন রেজাল্ট নেই, আমিও করলাম, নো রেজাল্ট। বাবামা নিষেধ করে দিল, বলল এ যাত্রা ধৈর্য্য ধর, এরচেয়েও ভাল কাউকে পাবি।
চোখের সামনে ছোটছোট রুমমেট ক্লাসমেট আত্মীয়া বোনদের বিবাহিত জীবনের গল্প শুনে ধৈর্যের মজবুত শিকলটাও ছিড়ে যায় যায়, সে সময়ে না পারতে চলে যায় নামাজ রুমে, মোনাজাতে হাত তুলে শব্দ করে কাঁদি। বলি মালিক সব কি বলা যায়, জানোইতো এ মনের অবস্থা, শোকরের নেয়ামাতে ধন্য কর, মালিক তুমি তো সবরকারীদের সাথে আছো, অভয় দিয়েছো তাদের যারা না দেখেই তোমাকে এবং কিয়ামাত দিবসকে ভয় করে। বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তাম। খুব বেশি ডিপ্রেশনের সময় শব্দ করে করে তেলাওয়াত করতাম আর অর্থ পড়তাম, দেখতাম ধীরে ধীরে মনে স্বস্তি আসে।
বড় ভাইয়ার বিয়েটাও হল আমার রুমমেট এক ছোট বোনের সাথে। আব্বু আম্মু এসে দেখে পছন্দ করে বলল, আলহামদুলিল্লাহ। সেদিন খুব কেদেছিলাম, আম্মু বুঝতে পেরে স্নেহের পরশ বুলিয়ে বলেছিল আরেকটু ধৈর্য ধর মা! মালিককে বল আন্নি মাস্সানিয়াদ্দুররু ওআনতা আরহামুর রহিমিন।
একবার একটা ভাইয়ার বায়ো হাতে আসল, উপযুক্ত পাত্রী আমরা দুজন, ক্লাসমেট সমবয়সী। সবশেষে বিয়েটা ওরই হয়ে গেল। এতটা কষ্ট পেয়েছিলাম, বিয়ের দাওয়াতেও এটেন্ড করিনি।সবাই গেছে আমি বেডে জায়নামাজ বিছিয়ে ওদের সুখিদাম্পত্য জীবনের দোয়া করে রাসুলের কাছে থেকে শিখে আবু সালামার পড়া সেই দোয়াটা পড়েছিলাম! বারবার পড়েছিলাম।
কিন্তু যেতে যেতেও কখনো ধৈর্যচ্যুত হয়ে যাইনি। কারো জন্য বদদোয়াও করিনি, বিনিময় তার কাছেই চেয়েছি, বারবার চেয়েছি, যার কাছে চাইলে নিশ্চিত কোন একদিন পাবো!
হ্যাঁ পেয়েছি অবশেষে। একদিন আমার স্কুলের এক ছোট্টবাবুর মামাতো ভাই ওর মুখের ক্বুরআন তেলাওয়াত শুনে, আর সব বায়ো নিয়ে ফ্যামিলি মেম্বারসহ আমার বাসাতে হাজির! ছেলে তাবলীগের মেহনতেযুক্ত। খুব ভাল হাফেজ+ডাক্তার। বাবা মা তো রাজী। আমারও অমত নেই, ইস্তেখারার রেজাল্টও সুসংবাদ বহন করে। কিন্তু মাঝখান বাধ সাধল তার বিদেশের মামাটা। পর্দানশীন মেয়ে চলবেনা।
আবার হতাশার পালা শুরু! একরকম বিয়ের আশা বাদ দিয়ে কুরআন মুখস্থের দিকে ঝুকে পড়লাম
ছেলে অবশ্য আশা দিয়েছিল বাবাকে, আপনার মেয়েকেই ঘরণী করে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ!
দেখতে দেখতে আরো দেড়টা বছর কোনদিক দিয়ে চলে গিয়েছিল, বিয়ের টেনশনটা মাথা থেকে ঝেড়েই ফেলেছিলাম। এমনই এক দিনে সেই ছেলেটার বিদেশের মামাটা ত্রিশভরি স্বর্ণের এক গহনা সেট পরিয়ে আমার বিয়েকার্য সমাধা করে আবারো পাড়ি জমাল বিদেশে।
আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি বিবাহিত, দুটো বাচ্চার মা, এবং সেই ডিপ্রেসনের বদলে আজ আমি ত্রিশ পারা কুরআনের হাফেজা!!

#সংগৃহীত_পোস্ট

26/12/2023

৩০ জন মহিলা সাহাবির নাম:

অনেকেই নারী সাহাবীদের নামে মেয়ে সন্তানের নাম রাখতে চান। এটা প্রশংসনীয়। সাহাবীরাও জেনেবুঝে সাহাবীদের নামে তাঁদের সন্তানদের নাম রাখতেন। ৩০ জন নারী সাহাবীর নাম দেয়া হলো। আপনারা চাইলে নিজেদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজনদের সন্তানের জন্য প্রস্তাব রাখতে পারেন।

১। রুমাইসা (রুমাইসা বিনতে মিলহান রা.)

২। নুসাইবা (নুসাইবাহ বিনতে কা’ব রা.)

৩। ফারিয়াহ (ফারিয়াহ বিনতে আসয়াদ রা.)

৪। আনিসা (আনিসা বিনতে তালহা রা.)

৫। আতিকা (আতিকা বিনতে যায়িদ রা.)

৬। লুবাবা (লুবাবা বিনতে হারিস রা.)

৭। নাফিসা (নাফিসা বিনতে উমাইয়্যা রা.)

৮। জুয়াইরিয়া (জুয়াইরিয়া বিনতে আবি জাহেল রা.)

৯। সাওদা (সাওদা বিনতে জাম’আ রা.)

১০। উমামা (উমামাহ বিনতে আবিল আ’স রা.)

১১। তামিমা (তামিমাহ বিনতে ওয়াহাব রা.)

১২। বারাকাহ (বারাকাহ বিনতে ইয়াসির রা.)

১৩। খাওলা (খাওলা বিনতে হাকিম রা.)

১৪। আরওয়া (আরওয়া বিনতে কুরাইজ রা.)

১৫। জামিলা (জামিলাহ বিনতে সা’দ রা.)

১৬। সুহাইলাহ (সুহাইলাহ বিনতে মাসউদ রা.)

১৭। খালিদা (খালিদাহ বিনতে হারিস রা.)

১৮। সাবিয়াহ (সাবিয়াহ আসলামিয়া রা.)

১৯। লুবনা (লুবনা বিনতে সাওয়ার রা.)

২০। আফরা (আফরা বিনতে উবাইদ রা.)

২১। সালমা (সালমা বিনতে উমাইস রা.)

২২। মাইমুনা (মাইমুনা বিনতে হারিস রা.)

২৩। মারিয়া (মারিয়া কিবতী রা.)

২৪। সুমাইয়া (সুমাইয়া বিনতে খুববাত রা.)

২৫। শিফা (শিফা বিনতে আব্দিল্লাহ রা.)

২৬। আসমা (আসমা বিনতে উমাইস রা.)

২৭। শায়মা (শায়মা বিনতে হারিস রা.)

২৮। বুশরা (বুশরা বিনতে সাফওয়ান রা.)

২৯। লাইলা/লায়লা (লাইলা বিনতে মিনহাল রা.)

৩০। রুফাইদা (রুফাইদা আল আসলামিয়া রা.)

[এই ত্রিশজন সাহাবীর নাম অনেকেই রাখেন, কিন্তু বেশিরভাগই জানেন না যে এগুলো সাহাবীর নাম। এই কারণে এখানে তুলনামূলক ‘আনকমন’ ত্রিশটি নাম দেয়া হয়েছে। সাহাবীদের কমন নাম প্রায় সবাই জানেন। নাম পছন্দের পর সিদ্ধান্ত নেবার আগে আশেপাশের কোনো আলেমের কাছ থেকে অর্থ জেনে নিবেন।]

শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল মাদানী হাফিজাহুল্লাহ।

26/12/2023

দুয়ার মাধ্যেমে ভাগ্য পরিবর্তন হয় না মূলত। দুয়ার মাধ্যমে ভাগ্যের পরিবর্তন হয় উক্ত হাদীস এর ব্যাখ্যা হচ্ছে দুয়ার মাধ্যমে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হবে এটাও আপনার ভাগ্যে লিখা আছে।

🌿প্রশ্ন: (৬২) সৃষ্টির পূর্বে মানুষের ভাগ্যে যা লেখা হয়েছে, তা কি দো‘আর মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব?

▪️উত্তর: সন্দেহ নেই যে, ভাগ্যের লিখন পরিবর্তনে দো‘আর প্রভাব রয়েছে। তবে জেনে রাখা দরকার, পরিবর্তনটাও পূর্বে লেখা আছে যে, দো‘আর মাধ্যমে অমুকের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। এ ধারণা যেন না হয় যে, আপনি ভাগ্যের কোনো অলিখিত বস্তু পরিবর্তনের জন্যে দো‘আ করছেন। সুতরাং দো‘আ করবেন এটাও লেখা আছে। আর দো‘আর মাধ্যমে যা অর্জিত হবে, তাও লিখিত আছে। এ জন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সৈনিক কোনো একদিকে প্রেরণ করলেন। তারা কোনো এক গোত্রের নিকটে মেহমান হিসাবে উপস্থিত হলে গোত্রের লোকেরা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। রাতের বেলা সেই গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত সাঁপে দংশন করল। তাকে ঝাড়ার জন্য কবিরাজ অনুসন্ধান করা হলো, কিন্তু কোনো কবিরাজ পাওয়া গেল না। অবশেষে লোকেরা সাহাবীগণের নিকট এসে কবিরাজ অন্বেষণ করল। একজন সাহাবী বললেন, আমি ঝাড়-ফুঁক করতে রাজি আছি, তবে আমাকে বিনিময় দিতে হবে। তারা একশটি ছাগল দিতে রাজি হলে উক্ত সাহাবী রোগীকে সূরা আল-ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করলেন। ফলে রোগী এমনভাবে সুস্থ হয়ে উঠল মনে হয় যেন রশির বাঁধন হতে মুক্ত করা হল।

উক্ত হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে, রোগ মুক্তর জন্য ঝাড়-ফুঁক যথেষ্ট কার্যকর। দো‘আর প্রভাব রয়েছে। তবে তাতে ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না; বরং ভাগ্যে এটাও লেখা রয়েছে যে দো‘আ করবে তার ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। সব কিছুই সংঘটিত হয় ভাগ্যের লিখন অনুযায়ী।

[আল্লাহু আলাম]
▬▬▬◄❖►▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
[শায়েখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন]
[গ্রন্থঃ ফতোয়া আরকানুল ইসলাম]

✍️@প্রশ্নকারী

22/12/2023

যে ব্যক্তি তার রবের সামনে হাজির হওয়ার ভয় রাখে,তার জন্য রয়েছে দুটি জান্নাত।

আর রহমান ৫৫ঃ৪৬

22/12/2023

আজকের আয়াত/হাদীস

আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ.

তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির পেছনে পেছনে যায়- তার পরিবার-পরিজন, তার ধন-সম্পদ ও তার আমল। তা থেকে দুটি জিনিস ফিরে আসে, একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। ফিরে আসে তার পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ আর থেকে যায় তার আমল।

রেফারেন্সঃ
সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৫১৪

22/12/2023

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের আকৃতি ও ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না ; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টি দিবেন।
[ (সহীহ মুসলিম :২৫)

21/12/2023

হযরত মাওলা আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত__
❝ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের মিসওয়াক করার জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। কেননা যখন কোন বান্দা সালাতে দাঁড়ায় তখন তার কাছে ফেরেশতা এসে তার পিছনে দাঁড়ায় ও কুরআন তেলাওয়াত শুনতে থাকে এবং তার নিকটবর্তী হতে থাকে, এমন কি ফেরেশতা নিজের মুখকে তেলাওয়াতকারীর মুখের সাথে লাগিয়ে দেয়। ফলে প্রত্যেক আয়াত ফেরেশতার ভিতর প্রবেশ করে। ❞

[সুনানে কুবরা,, বাইহাকী:- ১৬২,, বায়হাকী:- ১৯৩৭]

সুবাহানাআল্লাহ্

21/12/2023

"স্ত্রীর খাদ্যের ব্যবস্থা করা,এবং তাকে পর্দায় রাখা,স্বামীর উপর ফরজ।"

[হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)]

21/12/2023

কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম কার বিচার হবে জানেন কি ?

কিয়ামতের দিন প্রথম যার বিচার হবে, সে একজন শহীদ। তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। আল্লাহ তাকে তাঁর দেওয়া নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন। সে তা স্মরণ করবে। এর পর আল্লাহ বলবেন, ওই নিয়ামতের বিনিময়ে তুমি কী আমল করে এসেছ? সে বলবে, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ করে শহীদ হয়েছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। তুমি আসলে এ জন্য জিহাদ করেছ, যাতে লোকেরা তোমাকে বলে, অমুক একজন বীর পুরুষ। তা–ই বলা হয়েছে। এর পর (ফেরেশতাদের) আদেশ করা হবে, আর তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে জাহান্নামে ছুড়ে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় লোক সে, যে ইলম শিক্ষা করেছে, অন্যকে শিখিয়েছে এবং কোরআন পড়েছে। তাকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। আল্লাহ তাকে (পৃথিবীতে দেওয়া) তাঁর সব নিয়ামতের কথা মনে করিয়ে দেবেন। সে সবকিছু মনে করবে। এর পর আল্লাহ বলবেন, এসব নিয়ামতের বিনিময়ে তুমি কী আমল করে এসেছ? সে বলবে, আমি ইলম শিখেছি, অন্যকে শিখিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়েছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। তুমি আসলে এ উদ্দেশ্যে ইলম শিখেছ, যাতে লোকেরা তোমাকে আলেম বলে, এ উদ্দেশ্যে কোরআন পড়েছ, যাতে লোকেরা তোমাকে কারি বলে। আর (দুনিয়াতে) তা বলা হয়েছে। এর পর (ফেরেশতাদের) আদেশ দেওয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

তৃতীয় লোকটি হলেন তিনি, যার রুজিকে আল্লাহ প্রশস্ত করেছিলেন এবং সব ধরনের সম্পদ দিয়েছিলেন। তাকে আল্লাহর দরবারে হাজির করা হবে। আল্লাহ তাকে তাঁর দেওয়া সব নিয়ামতের কথা মনে করিয়ে দেবেন। সে সবকিছু মনে করবে। এর পর আল্লাহ প্রশ্ন করবেন, তুমি ওই সব নিয়ামতের বিনিময়ে কী আমল করে এসেছ? সে বলবে, যেসব রাস্তায় দান করলে আপনি খুশি হন, সেসব রাস্তার মধ্যে কোনোটিতে আপনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে খরচ করতে ছাড়িনি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। তুমি আসলে এ কারণে দান করছিলে, যাতে লোকে তোমাকে দানবীর বলে। আর তা বলা হয়েছে। এর পর (ফেরেশতাদের) হুকুম করা হবে এবং তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম শরীফ - ১৯০৫)

21/12/2023

মজার ছলে মিথ্যা বলা হতে সাবধান 🚫

⛔ তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চান?
তাহলে দেখুন see more..

সেখানে কিছুই লেখা ছিল না, মজা করে পোষ্ট দিয়েছিল।

⛔ চলুন সবাই একটা করে চাপা মারি, আমি মঙ্গল গ্রহ থেকে বলছি, আর আপনি...? মজা করতে সবাই একটা করে মিথ্যা কথা কমেন্টে লিখেছিল।

⛔ এই যে আমার উনি লেখে এক আপু পোস্ট করল। কিন্তু সে পুতুলের সাথে ছবি দিয়েছে মজা করে।

⛔ আমের ছবি আপলোড করে লেখেছে আমাদের গাছের তরমুজ।

⛔ এই পোস্ট দেখে আমি হাসতে হাসতে আব্বুকে ভাই বলে ডেকে ফেললাম। মজা করে এক আপু কমেন্ট করলো।

◾এমন অহরহ ঘটনা আছে যেইটা শুধু মাত্র লোক হাসানোর জন্য, মজা করার জন্য মিথ্যা বলা হয় বা হচ্ছে।

🔴 প্রশ্ন : মজা করে মিথ্যা বললে গুনাহ হয় কি?

🟥 উত্তর: জ্বী অবশ্যই।

🔹 রাসুল (সাঃ) বলেছেন,

"যে বক্তি হাসির ছলেও মিথ্যা বলে না আমি তার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি প্রাসাদ বানানোর দায়িত্ব নিলাম" (আবু দাউদ - ৪৮০০)

"যে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার ধ্বংস হোক, তার ধ্বংস হোক, তার ধ্বংস হোক " (তিরমিজি - ২৩১৫)

🔹 উপরোক্ত রাসূল (সাঃ) এর উক্তি থেকে স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় যে আমরা মজার ছলে যেইটা বলি সেইটার সাথে বাস্তবে মিল না থাকলে সেইটা মিথ্যা বলেই গন্য হবে।

🔹 সুতরাং মজা করার জন্য এই সব ছোট ছোট মিথ্যা কথা পরিহার করুন। হয়তো এই সামান্য মিথ্যার জন্য আমাদের কিয়ামতের দিন কঠিন হিসাব দিতে হতে পারে।

🔹 মাথায় রাখবেন একটা মিথ্যা জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। হোক না সেটা মজা! মিথ্যা তো মিথ্যাই।

18/12/2023

"কোন একদিন হযরত জিবরাঈল ( আঃ) নবী করিম ( সাঃ) এর কাছে বসে ছিলেন। হঠাৎ প্রচন্ড একটি শব্দ শোনা গেল। হযরত জিবরাঈল ( আঃ) নিজের মাথা উচু করে বললেন, এটা আকাশের সেই দরজা খোলার শব্দ যা আজকের পূর্বে আর কখনো খোলা হয় নি। উক্ত দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেছেন, যিনি ইতিপূর্বে আর কখনো পৃথিবীতে আগমন করেন নি। সে ফেরেশতা নবী করিম ( সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আপনার জন্য দুটো নূরের সুসংবাদ রয়েছে। সূরাতুল ফাতিহা ও সূরাতুল বাকারার শেষ দুটো আয়াত উক্ত দুটো নূর। যা আপনার পূর্বে অন্য কোন নবীকে প্রদান করা হয় নি। সূরা ফাতিহা ও সূরাতুল বাকারার শেষ দুটো আয়াত থেকে একটি অক্ষরও পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে আপনি যা প্রার্থনা করবেন তা প্রদান করা হবে।

[ মুসলিমঃ ৮০৬]

_❝ আলহামদুলিল্লাহ❞_

17/12/2023

একগুচ্ছ মনি-মুক্তা

মনি-মুক্তা, হিরা-জহরত, ডায়মন্ড ইত্যাদি পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু। কিন্তু আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিটি হাদিস এসব থেকেও মহামূল্যবান। এখানে হাদিসের রত্ন ভাণ্ডার থেকে একগুচ্ছ মনি-মুক্তা আপনাদেরকে উপহার প্রদান করা হল। হাদিসগুলোর ভাষা খুব সংক্ষিপ্ত ও সহজ-সরল কিন্তু অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক ও সুদূর প্রসারী। এগুলো ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিটি কথাই মুখস্থ রাখার মত। প্রতিটি বাক্যই সোনার হরফে লিখে রাখার মত। তবে আসুন, হাদিসগুলো পড়ি। সেই সাথে সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি।

আল্লাহ আমাদেরকে সব সময় ইসলামের আলোকিত সরল পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।

১. اتَّقِ اللَّه حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعْ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ
“আল্লাহকে ভয় কর যেখানেই থাক না কেন আর গুনাহের কাজ হয়ে গেলে পরক্ষণেই নেকির কাজ কর তাহলে তা গুনাহটিকে মুছে দিবে। আর মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ কর।“ [তিরমিযী-সহীহ]
২. إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ
“সকল কাজই নিয়তের উপর নির্ভরশীল।“ [সহীহ বুখারী]
৩. الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
“প্রকৃত মুসলিম সে ব্যক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলিমগণ নিরাপদে থাকে।“ [সহীহ বুখারী]
৪. مَنْ غَشّنا فَلَيْسَ مِنِّا
“যে আমাদের সাথে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।” [মুসলিম]
৫. مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُؤْذِ جَارَهُ
“যে আল্লাহ এবং আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।“ [বুখারী]
৬ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ
“যে আল্লাহ এবং আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।“ [বুখারী]
৭.مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَصْمُتْ
“যে আল্লাহ এবং আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন ভালো কথা বলে নতুবা চুপ থাকে।“ [বুখারী]
৮. مِنْ حُسْنِ إِسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ
“একজন মানুষের একটি সুন্দর ইসলামি বৈশিষ্ট্য হল, সে অনর্থক কাজ পরিত্যাগ করে।“ [মুওয়াত্তা মালিক]
৯. مَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللَّهُ فِي حَاجَتِهِ
“যে তার কোন ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন।“ [বুখারী]
১০. مَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرُبَاتِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
“যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের একটি কষ্ট দূর করবে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে অনেক বিপদাপদের মধ্যে একটি বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।“ [বুখারী]
১১. مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
“যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন।“ [বুখারী]
১২. عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَالْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ
“সব সময় সত্যকে আঁকড়ে ধরে থাক। কারণ সত্য কথা ভালো কাজের পথ দেখায়। আর ভালো কাজ জান্নাতের পথ দেখায়।“ [মুসলিম]
১৩. إِيَّاكُمْ وَالْكَذِبَ فَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَالْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ
“মিথ্যা থেকে দূরে থাক। কারণ মিথ্যা অন্যায় কাজের পথ দেখায় আর অন্যায় কাজ জাহান্নামের পথ দেখায়।“ [মুসলিম]
১৪. الدَّالُّ عَلَى الْخَيْرِ كَفَاعِلِهِ
“যে ব্যক্তি ভালো কাজের রাস্তা দেখায় সে ঐ ব্যক্তির মতই সাওয়াব পায় যে উক্ত ভালো কাজ সম্পাদন করে।” [তিরমিযী-সহীহ]
১৫. اتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ
“মজলুমের বদদুআ থেকে বেঁচে থাক। কারণ, তার বদদুআ আর আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই।“ [বুখারী]
১৬. اتَّقُوا الظُّلْمَ فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
“তোমরা জুলুম থেকে দূরে থাক। কারণ জুলুম কিয়ামতের দিন অনেক অন্ধকার হিসেবে আবির্ভূত হতে।“ [মুসলিম]
১৭. لَيْسَ الشَّدِيدُ بِالصُّرَعَةِ إِنَّمَا الشَّدِيدُ الَّذِي يَمْلِكُ نَفْسَهُ عِنْدَ الْغَضَبِ
“কুস্তি লড়ায়ে পরাস্ত করার মাধ্যমে প্রকৃত বীর হওয়া যায় না বরং প্রকৃত বীর তো সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।“ [বুখারী]
১৮. لَا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ
“এক মুসলিমের জন্য অপর মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা বৈধ নয়।“ [বুখারী]
১৯. مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ
“দান করলে সম্পদ কমে না।“ [মুসলিম]
২০. مَا زَادَ اللَّهُ عَبْدًا بِعَفْوٍ إِلَّا عِزًّا
“ক্ষমা করলে আল্লাহ বান্দার সম্মান বাড়িয়ে দেন।“ [মুসলিম]
২১. مَا تَوَاضَعَ أَحَدٌ لِلَّهِ إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ
“আল্লাহর উদ্দেশ্যে কেউ বিনয়ী হলে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।“ [মুসলিম]
২২. لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيرَنَا
“যে ছোটদেরকে দয়া এবং বড়দেরকে শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়।“ [তিরমিযী]
২৩. الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ
“অন্তরের সচ্ছলতাই প্রকৃত সচ্ছলতা।“ [বুখারী] [অর্থাৎ যে ব্যক্তি মনের দিক দিয়ে ধনী সেই আসল ধনী, শুধু অর্থ-সম্পদ বেশি থাকলেই ধনী হওয়া যায় না।]
২৪. “হে লোক সকল! তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও আর মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় কর তবে শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।“ [তিরমিযী]
২৫. لَا تَأْكُلُوا بِالشِّمَالِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَأْكُلُ بِالشِّمَالِ
“বাম হাতে খেও না। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়।“ [মুসলিম]
২৬. لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ
“তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না।“ [বুখারী]
২৭. لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
“তোমাদের কেউ প্রকৃত ইমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে অন্য ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করবে।” [বুখারী]
২৮. قُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ ثُمَّ اسْتَقِمْ
“বল, আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম। অতঃপর তার উপর অবিচল থাক।“ [মুসলিম]
২৯. الْبِرُّ حُسْنُ الْخُلُقِ وَالْإِثْمُ مَا حَاكَ فِي صَدْرِكَ وَكَرِهْتَ أَنْ يَطَّلِعَ عَلَيْهِ النَّاسُ
“মানুষের সাথে সুন্দর আচরণ করা হল সৎ কাজ। আর ঐ কাজটাই পাপ যা তোমার মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং মানুষ সেটা জেনে ফেলাকে তুমি অপছন্দ কর।“ [মুসলিম]
৩০. إِنَّ مِنْ خِيَارِكُمْ أَحْسَنَكُمْ أَخْلَاقًا
“নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যার চরিত্র সবচেয়ে মধুপূর্ণ।“ [বুখারী]
৩১.مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ
“তোমাদের কেউ অন্যায় কাজ দেখলে তার কর্তব্য হল, [সাধ্য থাকলে] হাতের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা, না পারলে মুখের ভাষা দ্বারা, তাও না পারলে অন্তর দ্বারা। আর এটাই হল দুর্বলতম ঈমানের পরিচয়।“ [মুসলিম]
৩২. خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
“তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে নিজে কুরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।“ [বুখারী]
৩৩. ارْحَمُوا مَنْ فِي الْأَرْضِ يَرْحَمْكُمْ مَنْ فِي السَّمَاءِ
“তোমরা পৃথিবীবাসীদের প্রতি দয়া কর তাহলে যিনি আসমানে আছেন (মহান আল্লাহ) তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।“ [তিরমিযী]
৩৫. لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ
“চুগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।“ [মুসলিম]
৩৬. الحياءُ شُعبةٌ من الإيمانِ
“লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।” [বুখারী]
অনুবাদক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।

16/12/2023

একজন সাহাবী লুকিয়ে কয়েকজন মহিলার কথা শুনছেন। মহিলারা রাতের বেলা নিজেদের মতো করে আড্ডা দিচ্ছে, তিনি আড়ালে থেকে তাদের গল্প শুনছেন।

তাঁর নাম ছিলো খুয়াইত ইবনে আমর আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি পরিচিত ছিলেন 'আবু আব্দুল্লাহ' নামে।

যখন তিনি মহিলাদের গল্প শুনছিলেন, তখন দেখতে পেলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসছেন। কী বিব্রতকর অবস্থা! লুকিয়ে মহিলাদের গল্প শুনাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দেখলে তিনি কী জবাব দিবেন? মনে মনে একটি অজুহাত খুঁজলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে দেখামাত্র জিজ্ঞেস করলেন, "ও আবু আব্দুল্লাহ! তুমি এখানে কী করছো?"

আবু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার উট হারিয়ে গেছে। আমি আমার উট খুঁজছি।"

বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জবাব শুনে চলে যান।

ফেরার পথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার তাঁকে সেই জায়গায় দেখলেন।

এবার জিজ্ঞেস করলেন, "ও আবু আব্দুল্লাহ! তুমি তোমার উট এখনো খুঁজে পাওনি?"

আগের চেয়ে এবার তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। কিছু বললেন না।

এরপর থেকে খুয়াইত আল আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এড়িয়ে চলতেন, তাঁর মুখোমুখি হতেন না। সেদিনের বিব্রতকর অবস্থা তিনি ভুলতে পারেন না। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে নববীতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। ঐখানে গেলে তো রাসূলের সাথে দেখা হবে!

রাসূলের যুগে মদীনায় মসজিদে নববী ছাড়াও আরো মসজিদ ছিলো।

অনেকদিন পর খুয়াইত মসজিদে নববীতে যান। তিনি ভাবেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়তো সেদিনের ঘটনা ভুলে গেছেন। তিনি দুই রাকআত নামাজ পড়া শুরু করেন।

'যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়'।

খুয়াইত আল-আসলামী দেখলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। রাসূলকে দেখে তিনি নামাজ লম্বা করলেন। তিনি ভাবলেন, তার দীর্ঘ নামাজ দেখে রাসূলুল্লাহ যদি চলে যান, তাহলে তো ভালোই, বাঁচা গেলো।

তিনি নামাজ পড়ছেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেন, "তোমার যতোক্ষণ ইচ্ছে নামাজ পড়ো। আমি কোথাও যাচ্ছি না!"

খুয়াইত আল-আসলামী নামাজ শেষ করলেন। নামাজ শেষ করতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "ও আবু আব্দুল্লাহ! তোমার হারানো উট কি খুঁজে পেয়েছো?"

খুয়াইত ভাবলেন, আর মিথ্যা বলে লাভ নেই। সত্য বলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা শুনে তিনি বুঝতে পারছেন, রাসূলুল্লাহ হয়তো জেনে গেছেন তিনি মিথ্যা বলছেন। এজন্য বারবার তাকে ঐদিনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মজা করছেন।

"ইয়া রাসূলাল্লাহ! যেই আল্লাহ আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তার কসম করে বলছি! ইসলাম গ্রহণের পর আমার কোনো উট হারায়নি। সেদিন আমি মিথ্যে বলেছিলাম।"

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জন্য দু'আ করলেন, "আল্লাহ তোমার ওপর রহম করুন, আল্লাহ তোমার ওপর রহম করুন, আল্লাহ তোমার ওপর রহম করুন।"

একই দু'আ তিনবার করেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মজাচ্ছলে খুয়াইত আল-আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বুঝালেন, মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় না। জীবনের যেকোনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ো না কেনো, সবসময় সত্য বলবে। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে মিথ্যা বললে সেই মিথ্যা বলার কারণে অসংখ্যবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। তখন ঐ মিথ্যার জন্য আফসোস করতে হবে। অথচ ঐ একবার সত্য বললে সাময়িক লজ্জাবোধ হলেও পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যাবে।

এরপর থেকে খুয়াইত আল-আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু লুকিয়ে লুকিয়ে মহিলাদের কথা শুনতেন না, বিপদ থেকে বাঁচার জন্য মিথ্যা বলতেন না।

তথ্যসূত্র:
তাবাকাত ইবনে সা'দ: ৩/ ৩৬২-৩৬৪।

-------

✒️ আরিফুল ইসলাম

13/12/2023

“একজন মুমিনের অন্তর নরম হওয়ার প্রমাণ এই যে, সে অন্য মুমিন ভাইকে হোঁচট খেতে দেখলে, এতটাই কষ্ট পাবে যেন সে নিজেই হোঁচট খেয়েছে। কখনোই এতে সে খুশি হবে না।”

- ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ
[ মাদারিজুস সালিকীন: ১/৪৩৬ ]

12/12/2023

অন্তরের কষ্ট এবং অন্তরের চাহিদা পূরণের আমল

لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللٌّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ ~

❝লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।❞

অর্থ:- আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার এবং সৎকর্ম করার কারোর কোনো উপায় ও শক্তি নাই।

( সহিহ্ মুসলিম,,, সহিহ্ তিরমিজি )

07/12/2023

জীবন সঙ্গী নির্বাচনে তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দিবে.. না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে!

[সহিহ বুখারী -: ৫০৯০]

07/12/2023

"দু'আ ছাড়া আর কোনো কিছু আল্লাহর সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে না!

তিরমিজি : ২১৩৯

06/12/2023

‘মহান আল্লাহকে ভয় করাটাই দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের মূল।’
___
ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ)
[ জামিয়ুল মাসায়িল : ৯/১৭৯ ]

03/12/2023

আপনি প্রতিদিন "লা হাওলা ওয়ালা কুওঁ ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" ১০০ বার করলেন।

তবে আপনার আমলনামায় মাস শেষে জমা হবে ৩ হাজার জান্নাতি ধন-ভান্ডার।(আর যতই আপনি পাঠ করার পরিমাণ বাড়াবেন, ততই ধনভান্ডার বাড়তে থাকবে )

- আপনি কি জানেন ,জান্নাতের ভান্ডার কেমন হয়???

তবে শুনে নিন, তা এমন - কোনো চোখ যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেনি, কোনো কান যার বর্ণনা শুনেনি, কোনো মানব হৃদয়ে যার কল্পনা কখনো উদিত হয়নি- এমন অকল্পনীয় ও অভিনব সে ধনভান্ডার।

- তাছাড়া এটি পাঠ করলে মানুষ শক্তি ও স্বংকল্পে দৃঢ়তাপ্রাপ্ত হয়, তার থেকে অলসতা ও অক্ষমতা দূর হয়ে যায়!

[বই: পরকালের প্রস্তুতি]

29/11/2023

যথাসময়ে বাচ্চার আকিকা করতে অক্ষম বাবার করণীয়:

প্রশ্ন :
বাচ্চার বাবার আকিকা করার সামর্থ না থাকলে সেক্ষেত্রে কি করবে?

উত্তর :
আকিকা দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত)। তাই যথাসম্ভব এই সুন্নতটি পালনের চেষ্টা করা উচিত। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে কোন কিছুই করার নেই।
হ্যাঁ, ভবিষ্যতে যদি কখনো আর্থিক সংগতি হয় তখন আকিকা করবে। (যারা বলে, সপ্তম দিনের পরে আকিকা করা যাবে না-তাদের বক্তব্য সঠিক নয়)

উত্তর প্রদানে :
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব।

29/11/2023

‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : কোন কিছুকে অশুভ মনে করা শির্‌ক। (আহমাদ হা/৩৬৮৭, শায়খ আলবানী ও ইবনু হিব্বাস একে সহীহ বলেছেন)

[ সহিহ ফাযায়েলে আমল, হাদিস নং ৭ ]

28/11/2023

হাদিস টা ভাল করে জেনে নিবেন। হাসান বসরি রহি. বলতেন, “খাওয়ার সময় বারোটি কাজ রয়েছে - চারটি ফরজ, চারটি সুন্নাত ও চারটি আদব।
ফরজগুলো হলো - বিসমিল্লাহ বলা, খাবারের দোষ না ধরা, উপস্থিত খাবারের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা এবং নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা।
সুন্নাতগুলো হলো - ডান পায়ের ওপর বসা, নিজের সামনে থেকে খাওয়া, ডান হাতের তিন আঙুল দিয়ে খাওয়া এবং (খাওয়ার শেষে) আঙুল চেটে খাওয়া।
আদবগুলো হলো - খাবার আগে ও পরে হাত ধৌত করা, ছোট ছোট লোকমা গ্রহণ করা, ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া এবং আহারকারীদের প্রতি দৃষ্টি না দেওয়া।

বই - হাসান বসরি রহি. (পৃষ্ঠা - ৪৮)

28/11/2023

❝মানুষকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয় এবং মানুষের সমালোচনা থেকে বাঁচারও কোনো উপায় নেই। সুতরাং তুমি তোমার জন্য যা উপকারী তা আঁকড়ে ধরো।❞

ইমাম শাফি'ঈ (রাহিমাহুল্লাহ)
[আবু নু‘আইম, হিলয়াতুল আউলিয়া: ৯/১৩০]

28/11/2023

প্রিয় রাসূল (স.) বলেছেনঃ সৌভাগ্যবান হবে সে- যার ‘আমালনামায় ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়া বেশি পাওয়া যাবে।"

(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৩৫৬)

28/11/2023

দোয়া কবুল হবে এই বিশ্বাস রেখে দোয়া করো,
কেননা, আল্লাহ তায়া’লা কোন উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না!

[ তিরমিজিঃ-৩৪৭৯ ]

27/11/2023

"যারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনে এবং আল্লাহর যিকিরে তাদের অন্তকরণ প্রশান্ত হয়। জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।"

[সূরা আর-রাদ, আয়াত: ২৮]

24/11/2023

❝মহিলাদের জন্য ১৪ জন মাহরাম পুরুষ ব্যতিত অন্য পুরুষদের দেখা দেয়া হারাম
মাহরাম পুরুষগণ হলেন:

বাবার মত ৫ জন

১...নিজের বাবা
২...দুধ বাবা
৩... চাচা
৪...মামা
৫... শশুর

ভাইয়ের মত ৫ জন

১... আপন ভাই
২...দুধ ভাই
৩... দাদা ভাই
৪...নানা ভাই
৫...নাতী

ছেলের মত ৪ জন

১... নিজের ছেলে
২... ভাইয়ের ছেলে
৩...বোনের ছেলে
৪...মেয়ের জামাতা

"‌মোট উপ‌রের ১৪জন মাহরাম পুরুষ

❝ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের গোপন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, কামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও

[২৪:৩১]

❝পুরুষ‌দের জন্য ১৪ জন মাহরাম নারী ব্যতিত অন্য নারী‌দের দেখা দেয়া হারাম

মায়ের মত ৫ জন

১... নিজের মা
২... দুধ মা
৩... খালা
৪... ফুফু
৫...শাশুড়ী

বোনের মত ৫ জন

১... আপন বোন
২...দুধ বোন
৩... দাদী
৪...নানী
৫...নাতনী

মেয়ের মত ৪ জন

১.... নিজের মেয়ে
২....ভাইয়ের মেয়ে
৩....বোনের মেয়ে
৪.... পুত্রবধু

❝তোমাদের কারো মাথায় যদি লোহার সুঁচ দিয়ে আঘাত করা হয় তবে সেই আঘাত এর যন্ত্রণা তার জন্য উত্তম এমন কোনো মহিলা কে স্পর্শ করা থেকে যাকে স্পর্শ করা তার জন্য জায়েজ নেই।
(অর্থাৎ গায়ের মাহরাম মহিলা)

[ হাদিস টি সহিহ, তাবারানী, ২০ /২১২, সহীহ আল-জামী, ৪৯২১]

এছাড়া বাকিদের সাথে দেখা করা তো দুরের
কথা, অযথা কথাবার্তা বলাও কবীরা গুনাহ্

❝তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করো তবে বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন করো না যাতে দুষ্ট মনের কোন ব্যাক্তি লালসা করতে পারে; বরং সোজা ও স্পষ্ট বলো
[৩৩:৩২]

সতর্ক হোন⚠

❌কাজিনরা ভাইবোনের মতো!

❌ভাবি মায়ের মতো!

❌দেবর ছোট ভাইয়ের মতো!

❌শালী ছোট বোনের মতো!

❌দুলাভাই বড় ভাইয়ের মতো!

❌ভাসুর বড় ভাইয়ের মতো!

থামুন। উপরের সম্পর্কগুলো সব নন মাহরাম।
ইসলামে যাদের সাথে বিবাহ জায়েজ তারা সবাই নন মাহরাম। এদের সামনে যাওয়া, দেখা দেওয়া যায়না।
এখন আপনি বলবেন না আমার কাজিনরা/দুলাভাই / দেবররা ফ্রি মাইন্ডের। ওদের মধ্যে এসব বাজে জিনিস নেই। আরে আমি চিনি না তাদের!

⬇যারা ফ্রি মাইন্ডের তাদের জন্য ⬇

❗শালী কখনো বোন হতে পারেনা আড়ালে একা থাকলেই বুঝবেন।

❗দেবর কখনো ভাই হতে পারেনা একটু চান্স দিলেই বুঝবেন।

❗বিপরীত লিঙ্গের ফ্রেন্ড কখনো হালাল হতে পারেনা চোখ কান খোলা রাখলেই বুঝবেন।

❎এগুলো শয়তানের ধোকা ছাড়া কিছুইনা❎

তারপরও বলবেন আমি ওদের চিনি

⏩ আপনার মনগড়া যুক্তি দিয়ে হারামকে হালাল বানিয়ে আপনি জাহান্নামকে ঠেকাতে পারবেন না।

🔶 হে দীনি ভাই,বোন এখনো সময় আছে ফিরে আসুন হারাম সম্পর্ক থেকে।
তওবা করুন দেখুন আল্লাহ এখনো অপেক্ষা করে আছে আমাদের সকলকে ক্ষমা করার জন্য।

__আমিন ইয়া রাব্বুল আলামিন__

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Islamic Message posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share