15/03/2024
আজ আমি কলেজের কথা বলব-দুষ্টুমি করতাম কিন্তু কিন্তু শান্ত ছিলাম 😊 সেবার আমার ক্লাস রুম থেকে মানে যে রুমে আমি অনার্সের ক্লাসে বসতাম তার থেকে একটু দূরে একজন ফুচকা ওয়ালা বসত। প্রতিদিনের নিয়ম করে আমি ফুচকা খেতে যেতাম সাথে দুই একজন সাংগো,পাঙ্গ থাকত। এখানে নাম বলা যাবে না তারা বড্ড ভীতু, যদি কোন টিচারের চোখে পড়ে যায়। এই ভয়ে পুরো ফুচকা খেতে পারত না কিন্তু আমি পুরো শেষ করতাম আমার খাওয়াটা।
একদিনের কথা: মিতালীদের ক্লাস আছে আমি রেডি হয়েছি ফুচকা খাওয়ার জন্য ক্লাসের জন্য হাতে খানিকটা সময় ছিল। কিন্তু ফুচকা মাখতে একটু দেরি হয়েছিল। তাই যথারীতি হাতে আসতেও দেরি কিন্তু আমি কোন দিকে না তাকিয়ে ফুচকা খাচ্ছিলাম যখন মিতালী দি পাশ থেকে হাসতে হাসতে ক্লাসের দিকে যাচ্ছেন। আমার বান্ধবীর প্রায় ফুচকা খাওয়া বন্ধ আমি ওর হাতটা চেপে ধরে বললাম প্লিজ পুরোটা শেষ কর। কুড়ি টাকার পুরো ফুচকা খেয়ে আমি হেলতে দুলতে ক্লাসে গেলাম কারণ আমার কাছে তখন ফুচকা খাওয়ার কাজটা কমপ্লিট করাটা বেশি প্রায়োরিটি ছিল।
যথারীতি ক্লাসের প্রথমে বাইরে গেলাম দুজনে মানে বার করে দেওয়া হলো। তারপর দেখলাম আমি দাঁড়িয়ে আবার ভাবছি কি খাওয়া যায় কারণ আমি জানি আমি পড়াশোনাটা ঠিক করে নেব। আর আমার বান্ধবীর চোখ দিয়ে তখন টস টস করে জল পরছে। আমার নিজের জন্য খারাপ লাগছিল না ওর জন্য কষ্ট হচ্ছিল বেচারী, 🌚
তার খানিকক্ষণ পরে আমি ক্লাসে গেলাম চুপ করে বসলাম পিছনে বসতে বললেন সামনে বসার অধিকার হলো না। পেছনে বসেও আমার মুখে এতটুকু অপরাধবোধে ছাপ দেখতে পাননি দিদি কারণ আমি জানতাম পড়াটা আমার হবেই। পুরো ক্লাসের শেষে পড়া আমি পারলাম কিন্তু পিছনের বেঞ্চে দাঁড়িয়ে। ক্লাসের গুড গার্ল হওয়ার জন্য সবসময় বাধ্য হওয়াটা দরকার কিন্তু সেদিন দরকার ছিল ফুচকা খাওয়ার। বেরিয়ে যাওয়ার সময় মিতালী দি হেসে বললেন এরপর থেকে একটু আগে করে খেয়ে নিও কেমন ? আমার বান্ধবীর চোখটা দেখার মতন ছিল আঘাতে কষ্টে ওর যে কি কি হচ্ছিল আমি ওকে বারবার বলছিলাম এটা কিছু না উনি বকবেন না আমাদের অত দোষ হয়নি। তাও কেমন যেন ভ্যাবলা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এখন কলেজ নেই টিচার নেই শুধু বইগুলো পড়ে রয়েছে আর আমার দিনগুলো রয়ে গেছে আমার সাথে। ❤️