03/05/2020
ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’
প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে চলতি মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। শুরুতেই এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছরে পড়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে সাগরতীরবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রোববার (৩ মে) ভোররাত্রি থেকে চট্টগ্রাম শহরে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে তা মুষলধারে রূপ নেয়। টানা একঘন্টা সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গেছে, এই বৃষ্টি আরও দুই দিন থাকতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, তবে একটানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকলেও এ মৌসুমে তার সম্ভাবনা নেই। বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া থাকবে দুইদিন। এটি মৌসুমি বৃষ্টি।
এদিকে ধেয়ে আসা বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টির উৎপত্তিস্থল ও গতিপথ নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে এটি যে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানবে-তা নিয়ে সকলেই একমত প্রকাশ করেছেন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আগামী ৫ মে এর পর তার গতিপথ কোনদিকে পরিবর্তন করে সেদিকেই চেয়ে আছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’। সেটি দেশের উপকূলীয় পটুয়াখালি, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষীপুর ও ফেনীতে ক্যাটাগরি-৪ মাত্রার শক্তি নিয়ে আঘাত করতে পারে।
যদিও ঘূর্ণিঝড়টি সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-৩ মাত্রার হবে এবং ক্যাটাগরি-২ মাত্রার শক্তি নিয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং যতই উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে ততই শক্তি অর্জন করতে থাকবে। এটি উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি সর্বোচ্চ শক্তি অর্জন করতে পারে-এমন পর্যবেক্ষণও রয়েছে।
সর্বশেষ আগামী ১২ ও ১৩ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বরিশাল পর্যন্ত যে কোনও এলাকা অতিক্রম করতে পারে। উপকূল অতিক্রমের পূর্বে কিছুটা দুর্বল হতে পারে।