16/11/2022
চবির সাবেক শিক্ষার্থী কানাডিয়ান প্রবাসী সাংবাদিক সওগাত আলী সাগরের টাইমলাইন থেকে তুলে ধরা হলো হুবুহুঃ
১. বাকিতে খাইয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ’প্রয়াস হোটেল’ এর মালিক অলিমুদ্দিনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। আমাদের বন্ধুরা, অগ্রজ, ছোটো ভাই বোন – সবাই অলিমুদ্দিনের সহায়তায় স্বত:স্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসছেন।সবার প্রতিক্রিয়া দেখে, সহায়তার আগ্রহ দেখে মাথাটা উঁচু হয়ে যাচ্ছে, বুকটা ভরে যাচ্ছে। অল্প সংখ্যক খারাপ মানসিকতার শিক্ষার্থী অলিমুদ্দিনকে ঠকিযেছে, কিন্তু সিংহভাগ শিক্ষার্থীই ভালো মানুষ, বড় মনের মানুষ- সেটাই যেনো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
২. ঢাকার ‘আজকের পত্রিকায়’ অলিমুদ্দিনের খবরটি বেরোনোর পর এ নিয়ে ফেসবুকে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। সেই পোষ্টের সূত্র ধরে আবু হেনা মোরশেদ জামান ফেসবুকে আলাদা পোষ্ট দিয়ে আহ্বান জানিয়েছিলেন- ‘ভিক্ষা নয় , দায় শোধের তাগিদ থেকে সব চবিয়ান আসুন তাঁর পাশে দাঁড়াই মহৎ সাজার ভানে নয় , অপরাধ মোচনের তাগিদে আসুন আমরা অলিমুদ্দিনের পাশে দাঁড়াই’। শুধু মোরশেদই নন, অসংখ্য চবিয়ান কিছু একটা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, চেয়েছেন কেউ একটা উদ্যোগ নিক।
অগ্রজ মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন আজিজ – আমাদের আজিজ ভাইর সাথে এ নিয়ে কথা হয়। তিনি কথা বলতে শুরু করেন, কথা বলেছেন অনেকের সাথেই । আজিজ ভাই জানাচ্ছেন, আগামীকাল সিইউ এলামনাই এসোসিয়েশন এর সমাজসেবা সম্পাদক শ্রদ্ধেয় রোখসানা ইসলাম রিতা আপা,এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব, ঢাকার সভাপতি শ্রদ্ধেয় আমিন হিলালী ভাই, সাধারণ সম্পাদক স্নেহের মারুফ আহমেদ মনসুর,সিলেট ক্লাবের সভাপতি এটি এম শোয়েব, ফেনী ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক বন্ধু সুখদেব তপন, নোয়াখালী এক্স স্টুডেন্টস ক্লাবের সভাপতি মঞ্জু চৌধুরী ভাই, সাধারণ সম্পাদক খিজির হায়াত খান ভাই, উত্তরার ছোটি ভাইদের সাথে এবং সিইউ ফ্রেন্ডস গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকদের সাথে আলাপ করার ইচ্ছা রাখি। সিইউ এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব কুমিল্লার সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সেলিম ভাই কুমিল্লা ক্লাবের পক্ষ সহযোগিতা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।’
কেবল আজিজ ভাই নন, বন্ধু কমিশনার মনসুর ঢাকায় আমাদের বড় ভাইদের সাথে, বন্ধুদের সাথে কথা বলেছেন, প্রশাসনে, সমাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এইসব বন্ধু, ভাইয়েরা সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। বন্ধু মনসুর ফোন করে যখন এই খবর জানায়, তখন তাকে বেশ উচ্ছ্বসিত মনে হচ্ছিলো। আর সি ইউ গ্রুপে আমাদের অসংখ্য বন্ধু সহযোগিতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ে রেখেছেন।
৩. অলিমুদ্দিনের খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর ঢাকায় ’আজকের পত্রিকা থেকে নম্বর নিয়ে রিপোর্টার মিনহাজ তুহিনকে ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে ফোন করেছিলাম ধন্যবাদ দেয়ার জন্য। তাঁকে আমি বলেছি- মিনহাজ, আপনি শুধু ভালো রিপোর্টই করেননি, ভালো একটা কাজ করেছেন। মিনহাজ আপনাকে আবারো ধন্যবাদ দেই।
৪. আবারো বলি, সবাই নয়, অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী হয় তো বাকি খেয়ে পয়সা দেয়নি। কিন্তু সিংহভাগ শিক্ষার্থী পয়সা দিয়ে খেয়েছেন। আজ যখন একটি অন্যায়ের ঘটনা সবার সামনে এসেছে তখন সিংহভাগ শিক্ষার্থীই মানবিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য মানবিক মানুষ তৈরি করতে পেরেছে- এই সত্যটা কী কম আনন্দের!