না লেখা চিঠি
কলমে: ঋদ্ধি
কন্ঠে: স্বরূপ কর
ভালোবাসাটা সবকিছুর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে, শুধু আমরা খুঁজে পাই না সবসময়।
© আরশি
আমরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি ঠিকই তবে আমরা দু'জনে দু'জনের পরিচিত কেউ নই, আমরা কোনো পুরোনো প্রেমিক প্রেমিকাও নই, কিংবা প্রিয় বন্ধু। তবুও চলতি পথে আমরা মাঝে মাঝেই চোখে চোখ রাখছি নিজেদের অজান্তেই, কিংবা কখনও লুকিয়ে সন্তর্পণে। সরাসরি দেখতে গেলে পাছে যদি প্রশ্ন ওঠে বা আচমকাই কেউ এসে জিজ্ঞেস করে কেন দেখছি, উত্তর কিছুই নেই আমাদের কাছে। গেটের সামনে ভিড় করে আসা দমকা হাওয়ায় কুহক জালে আটকা পড়লে প্রতিবার আগাগোড়াই যেন আলাদা রকম অনুভূতি কাজ করে, তবে আজ সেই অনুভূতিরা মুখরী ছেড়ে সুর তুলেছে ইমন-এ। ট্রেনের স্পীড আজ দ্বিগুণ হয়েছে, তবে তা আমাদের যাত্রা শেষের তাগিদে নাকি টেনে তুলে ধরার জন্য তা নিশ্চিত ভাবে বলতে আমরা কেউই পারবো না।
হঠাৎ করে আমরা সামনে এগিয়ে এলাম, না! ইচ্ছাকৃত নয় ওটা মনে হয় পর্দাতেই হয়। এখন আমরা নিঃশ্চুপ, থেমে গেছে আমাদের অযাচিত ভাবনা, অথচ দুজনেই ভী
-ওই শোন না, ঘুরতে যাবি?
-এখন? আকাশের অবস্থাটা দেখেছিস?
-হ্যাঁ তো, কি হয়েছে?
-আরে পাগল, রাস্তায় ঝড় বৃষ্টি নামলে কি হবে বলতো?
-কি আর হবে তুই আর আমি একসাথে ভিজবো।
-হ্যাঁ, তারপর ঠান্ডাটা লাগুক, দুদিন পর না তোর পরীক্ষা ভুলে গেলি? বলি জ্বর হলে কিভাবে দিবি পরীক্ষাটা?
-আরে কিছু হবে না।জ্বর হলে ঔষধ খেয়ে নেব, আর পরীক্ষা তো এখনও সাত দিন বাকি।
-রেজাল্ট ভালো না হলে সেই তো বাড়িতে তুই বকা খাবি রাই, আর তাছাড়া এই ওয়েদারে তোকে এখন বাড়ি থেকে বেরাতে দেবে যে ঘুরতে যাবি বলছিস?
-উফ!!!আচ্ছা রাহুল আগে তুই বল আমার বাড়ির কার কথায় তুই এসব শত্রুতা করছিস?
-হ্যাঁ, ভালো কথা বললেই তো শত্রুতা মনে হয়।
-ছাড়, যেতে হবে না। আমি একাই যাবো, আমি চিনি না নাকি... হুঁ।
(রাহুল আর রাই অনেক দিনের বন্ধু, সাথে একে অপরের পরিপূরকও বলা যেতে পারে, ওদের সম্পর্কটা বাকি গুলোর থেকে একেবারে আলাদা। ওদের ভালোবাসা এতোটাই অটুট
বোকা স্টেশন অপেক্ষায় থাকে সেই শেষ ট্রেনের যে থেকে যাবে চিরকালের মতো 🍁
© আরশি
আজ আমাদের দু'জনের জীবনেরই খুব শান্তির দিন, বহু প্রতীক্ষিত।
ওদিকে তুমি সেজেছ চন্দনে। তোমায় ঘিরে চারপাশে শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনি, মঙ্গল যজ্ঞের আয়োজন চলছে।
এদিকেও এক মহাযজ্ঞের আয়োজন হচ্ছে। আমিও সেজেছি চন্দন পরে। তুমি তো জানো আমার বরাবর খুব শখ চন্দন পরে বউবেশে সাজার, তাই মা বাবাকে জানিয়েছিলাম ইচ্ছেটা, তারাও ফেলতে পারেন নি। তবে কেমন এক নিস্তব্ধতা যেন।
দুই জায়গায় যজ্ঞের আয়োজন সমাপ্ত। তোমার মঙ্গল যজ্ঞের কুণ্ড জ্বলে উঠল, সাক্ষী থাকল জীবনের, তুমি ভাবী স্ত্রীকে রাঙিয়ে দিলে সিঁদুরে।
একইসাথে জ্বলে উঠল আরো একটা যজ্ঞকুণ্ড, যা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে; জ্বলে উঠলাম আমি, আমার চিতায়।
© আরশি
ভিডিও ও গান : সংগৃহীত
অফিস ফেরত ব্যস্ত বাসস্টপে একটা চেনা গলা আটকে দিল শ্রেয়াকে। গলাটা খুব চেনা, তাই প্রায় বছর তিনেক পর শুনলেও চিনতে অসুবিধা হল না ওর, রাহুল।
-কিরে, কথা বলবি না?
-হ্যাঁ বল, কেমন আছিস? সব ভালোই আশা করি, নতুন জীবন। তা এখানে হঠাৎ?
-আছি কোনরকম। এখানে বলতে পারিস তোর সাথে দেখা করতেই, খোঁজ নিয়ে জানলাম এখানে তোর অফিস, তাই...
-আমার সাথে? হঠাৎ তিন বছর পর কি দরকার পড়ল আমার সাথে?
-দরকার! নারে আর দরকারে নয়। জানি একসময় হয়তো শুধু দরকারের স্বার্থেই ছিলাম তোর সাথে, তোর ভালোবাসাকে সন্মান করিনি। আমার বাড়ির অমতে আর্ট কলেজে ভর্তি হলাম যখন একমাত্র তুই ছিলিস আমার পাশে। তুই তোর টিউশনি করে পাওয়া টাকা থেকে বেশীটাই তুলে দিতিস আমার হাতে, আমার ড্রয়িং-এর জিনিস, হাতখরচ তুই-ই চালিয়েছিস। সবসময় পাশে থেকে সাহস দিয়েছিস, মায়ের মতো যত্ন করেছিস। আর আমি সেই তোকেই আঘাত করেছি, অপমান করেছি। আমি তোর চার বছরের ভালোব
টেডি ডে -তে চারপাশের কিছু সাধারণ হয়েও অসাধারণ ভালোবাসার গল্পদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, তাদের প্রতি....
লেখা : রিয়া পাল
কন্ঠ : স্বরূপ কর এবং ঋদ্ধি