![ভ*য়া*ন*ক কিছু শিরক... ⚠️ঈমান নষ্টের শিরক... 🚫ছোট থেকে দেখছি গর্ভবতী নারী কোথাও গেলে, মুরব্বি, মাঝ বয়স্ক নারীরা প্রথমেই য...](https://img5.medioq.com/417/595/122199350534175959.jpg)
05/01/2025
ভ*য়া*ন*ক কিছু শিরক... ⚠️
ঈমান নষ্টের শিরক... 🚫
ছোট থেকে দেখছি গর্ভবতী নারী কোথাও গেলে, মুরব্বি, মাঝ বয়স্ক নারীরা প্রথমেই যে প্রশ্ন করেন।
সাথে ম্যাচ, রসুন, লোহা (আর কি সব জিনিস জানি বলতেও ভুলে গিয়েছি) এগুলো সাথে এনেছো,,?
শুনো সব সময় এগুলা সাথে রাখবা, নইলে বাচ্চার ক্ষতি হবে, জ্বীন, ভুত এর আছর পড়বে..(নাউজুবিল্লাহ)
কত বড় শিরক!! ⚠️ এটা শিরকে আকবরের বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে পড়ে, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া অন্য কিছুর উপর এই ভেবে ভরসা করা যে উক্ত জিনিস আমাকে বিপদ বালা মুছিবত থেকে রক্ষা করবে তা বড় শিরকের অন্তভুর্ক্ত হয়ে যায়।। আর বড় শিরক হচ্ছে শিরকে আকবর।।
📌 এই ধরনের কতো শিরকের মধ্যে আমরা জড়িত আল্লাহু তা ভালো জানেন।
জমজ কলা খেলে জমজ বাচ্চা হবে, বাচ্চার কপালে টিপ দিলে নজর লাগবেনা, হায়েজগ্রস্থ নারী অপারেশন করা রোগি বা খতনা করা বাচ্চার কাছে গেলে তাদের ক্ষতি হবে, গর্ভবতী নারী চন্দ্র, সুর্য গ্রহনের সময় কিছু খেলে বা কাটাকাটি করলে বাচ্চার ক্ষতি হবে, গর্ভবতী নারী হাস খেলে বাচ্চার গলা হাসের মত হবে ইত্যাদি (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহ অবশ্যই তার সঙ্গে শিরকের গুনাহ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্যান্য যত গুনাহই হোক না কেন, তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেছে সে তো এক বিরাট মিথ্যা রচনা করেছে এবং কঠিন গুনাহের কাজ করেছে।
(সূরা নিসা : আয়াত ৪৮) 🍂
যদি তাঁরা (নবী রাসূলগণ) শিরক করতেন তবে অবশ্যই তাদের সমস্ত নেক আমল বরবাদ হয়ে যেত। (সূরা আনআ’ম : আয়াত ৮৮)
(হে নবি) আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওহি করা হয়েছে যে, যদি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার স্থাপন করেন, তাহলে আপনার সব আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
(সূরা যুমার : আয়াত ৬৫) 🍂
যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করল, আল্লাহ তার ওপর জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন। তার পরিণতি হবে জাহান্নাম। এ সব যালিমদের কেউই সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়িদা : আয়াত ৭২)
আর সকল আলেমগনের ঐক্যমতে শিরকে আকবর এর কারনে উক্ত ব্যক্তি মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়৷
🟩 প্রশ্নঃ অনেক গর্ভবতী মহিলা রাত্রে ঘর হতে বের হওয়ার সময় জিন-ভূতের আছর হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য হাতে আগুন, ম্যাচ কিংবা লোহা জাতীয় কোন জিনিষ নিয়ে বের হয়। এটা কি জায়েয?
🔸উত্তর: এগুলো সামাজিক কুসংস্কার মাত্র। এ ধরনের আকীদা রাখা শিরক। এ থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। আগুন, ম্যাচ বা লোহা কারো উপকার বা ক্ষতি করা করার ক্ষমতা রাখে না। জিন ভূতের আছর হতে রক্ষা পাওয়ার উত্তম পন্থা হলো-
দৈনন্দিন সূরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস, সূরা বাক্বারাহর শেষ দুই আয়াত পাঠ করা ও বিভিন্ন আযকার নিয়মিত আমল করা। যাদু থেকে বাঁচতে নিয়মিত সূরা বাকারাহ তিলাওয়াত করুন। ইনশাআল্লাহ কোন জিন-ভুতের আছর হবে না।
(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২১২৫ ও ২১৩২)।