Shanto Mojumder

Shanto Mojumder হরে কৃষ্ণ, সকল ধর্মিয় কথা জানতে আমার প? এটি একটা ভক্তি মুলক পেইজ আমরা চাই যে এই পেইজের মাধমে আমাদের সোনাতন ধর্ম প্রচার করার

08/12/2023

বাবার প্রতি মেয়েদের ভালোবাসা তো একটু বেশি থাকবেই।💞💞
কারন প্রত্যেক বাবা তার মেয়েকে মা বলে ডাকে।❤️❤️

08/12/2023
16/11/2023

যে হাত দিয়ে আপনি মোবাইল চালাচ্ছেন সেই হাত টা দিয়ে কি একটি বার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম লেখা যায় না
😍🥀হরে কৃষ্ণ🥀😍

দিব্যান্ লোকান্ সঃ গচ্ছতু "আমার ঠাম্মা (বৈষ্ণব) আজ রাত ১২ টায়। দেহ ত্যাগ করেছেন। আপনারা সবাই আমার ঠাম্মার জন্য আশীর্বাদ ...
08/10/2023

দিব্যান্ লোকান্ সঃ গচ্ছতু "
আমার ঠাম্মা (বৈষ্ণব) আজ রাত ১২ টায়। দেহ ত্যাগ করেছেন।
আপনারা সবাই আমার ঠাম্মার জন্য আশীর্বাদ করবেন। 🙏🙏🙏

03/10/2023

সকল সনাতনীদের পুরো ভিডিও টি দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

সবাই গভীর ঘুমে, হঠাৎ দরজায় ধুপধাপ ধাক্কা,
মুহূর্তেই আ-ক্র-ম-ণ হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে।

যা ঘটেনি স্বাধীনতার পূর্বে তা ঘটেছে স্বাধীনতার পরবর্তী কালে।

একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্পদায়ের উপর নির্মম অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, এবং নি*র্যা*তনের ইতিহাস শুনলে শরীরে কম্পন উঠে যাবে।

এজন্যই কি আমাদের পূর্ব পুরুষরা তারা তাদের বুকের ত্যাজা রক্ত দিয়ে দেশটিকে স্বাধীন করে ছিলো।

এটাই কি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

আপনাদের সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ ভিডিও টি সর্বোচ্চ শেয়ার করুন এবং সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
তথ্য সুত্র - ৭১ টিভি

25/09/2023

"হে গোবিন্দ"
আমার এই পোস্টটি যার চোঁখে পড়বে,তাকে তুমি
একবার হলেও তোমার নাম জপ করার শক্তি দাও প্রভু!
🌼❥◎⃝Hare krishna!🙏❤️‍🩹

22/09/2023

মানুষের চরিত্র হলো একটি দোকান । মুখ হচ্ছে তালা, আর তালা খুললে বুঝা যায় এটা কি স্বর্ণের দোকান না কইলার দোকান ।

09/09/2023

এশিয়া কাপ নিয়ে বাংলাদেশ দল
এখন বিমানে ✈️✈️

08/09/2023

পাসওয়ার্ড ছাড়া যেমন মোবাইলের লক খুলে না❌
☞ঠিক তেমনি কৃষ্ণ নাম ছাড়া স্বর্গের দরজাও খুলবে না.
🙏 HARE KRISHNA 🙏

13/08/2023

অতিরিক্ত চিন্তা বাদ দিন,
যা কপালে আছে তাই হবে, মুচকি হেঁসে বলে দিন।
🌼❥◎⃝হরে কৃষ্ণ!༊!!-❥🌼

আপনি যদি একজন সনাতনী হন তাহলে উওর না দিয়ে যাবেন না।আপনি কী মহাপ্রসাদ খেতে ভালবাসেন।🙏
11/08/2023

আপনি যদি একজন সনাতনী হন তাহলে উওর না দিয়ে যাবেন না।
আপনি কী মহাপ্রসাদ খেতে ভালবাসেন।🙏

প্রেম যদি করতেই হয়..!!তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের..!!       সাথেই করবো..!!     কারণ সঙ্গের সাথী..!!    হিসেবে একমাত্র কৃষ্ণ...
10/08/2023

প্রেম যদি করতেই হয়..!!
তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের..!!
সাথেই করবো..!!
কারণ সঙ্গের সাথী..!!
হিসেবে একমাত্র কৃষ্ণ..!!
নামই যাবে..!!
হরে কৃষ্ণ.. 🙏🙏

হরে কৃষ্ণ 🙏🕉️❤️
10/08/2023

হরে কৃষ্ণ 🙏🕉️❤️

Today,s Best photo ❤❤❤❤❤❤
09/08/2023

Today,s Best photo
❤❤❤❤❤❤
























ওঁ তৎ সৎওঁ শ্রীমদভগবদগীতা||নবম অধ্যায়ঃ- রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ ||[[শ্লোক :-১৬]]ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়অহং ক্রতুরহং যজ্ঞঃ স্...
08/08/2023

ওঁ তৎ সৎ
ওঁ শ্রীমদভগবদগীতা
||নবম অধ্যায়ঃ- রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ ||
[[শ্লোক :-১৬]]

ওঁ নমঃ ভগবতে বাসুদেবায়

অহং ক্রতুরহং যজ্ঞঃ স্বধাহমহমৌষধম্ ।
মন্ত্রোহহমহমেবাজ্যমহমগ্নিরহং হুতম্ ॥১৬॥

অহম্, ক্রতুঃ, অহম্, যজ্ঞঃ, স্বধা, অহম্, অহম্, ঔষধম্,
মন্ত্রঃ, অহম্, অহম্, এব, আজ্যম্, অহম্, অগ্নিঃ, অহম্, হুতম্ ॥১৬॥

অনুবাদ : আমি অগ্নিষ্টোম আদি শ্রৌত যজ্ঞ, আমি বৈশ্ব্যদেব আদি স্মার্ত যজ্ঞ, আমি পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে শ্রাদ্ধাদি কর্ম, আমি রোগ নিবারক ভেষজ, আমি মন্ত্র, আমি হোমের ঘৃত, আমি অগ্নি এবং আমিই হোমক্রিয়া।

গীতা মাহাত্ম্য :- ॥ গঁঙ্গা, গীতা, সাবিত্রী, সীতা, সত্যা, পতিব্রতা, ব্রহ্মাবলি, ব্রহ্মবিদ্যা, ত্রিসন্ধা, মুক্তিগেহিনী, অর্ধমাত্রা, চিদানন্দা, ভবগ্নী, ভ্রান্তি নাশিনী, বেদত্রয়ী, পরানন্দা, তত্ত্বার্থ, জ্ঞানমণ্জুরী ॥

[[হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে]]

জয় গীতা।
জয় শ্রী কৃষ্ণ।।

আত্মহত্যা মহাপাপ ?“ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। ”সুধী, সনাতনী দাদা ও দিদি...
07/08/2023

আত্মহত্যা মহাপাপ ?

“ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। ”

সুধী, সনাতনী দাদা ও দিদিরা নমহস্তুতে। অনেক কষ্টে এই মানব জনম পেয়েছি। তাই বৃথা ত্যাগ করবেন না ।

এবারে আসুন, মানুষ এই আত্মহত্যা কেন করে---- ?
মানুষ স্বভাবত কাম, ক্রোধ,লোভ-লালসা রয়েছে । তাই তার মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ।

কোন ব্যক্তির হৃদয়ে সৎ মনোভাব তো কোন ব্যক্তির হৃদয়ে লালসার আশা পুষে রাখেছেন ।যার কারণে আমাদের মধ্যে থাকা ইন্দ্রীয় গুলো অধিক থেকে অধিকতর সুখের আশা করে থাকে ।

যখন আমাদের বাসনা পূর্ণতা পায় তখন আমরা অন্য বাসনা সৃষ্টি করি। আর যখন তা পূর্ণ হয় না তখন আমরা দীর্ঘশ্বাস ফেলি ।

উদাহরণস্বরূপ ---
সিগারেট খেলে শরীরের ফুসফুস কে নষ্ট হয় জানি । আবার সিগারেট এর প্যাকেট এর লেখা থাকে “ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ” আমরা কি তা মানি , কখনো নয় । যদি তা মানতাম তবে অল্পবয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হতাম না ।
সুতরাং মানসিক চাপ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তাই আমরা অনুরোধ মৃত্যু পূর্বে, আপনার পিতা মাতা বা পরিবারের কথা ভাবুন , তবুও যদি মন শান্ত না হয় শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ করুন, যদি তবুও মন শান্ত না হয় ধর্মীয় মন্দির পরিদর্শন করুন কৃষ্ণ নাম ভোজন করুন ।

দেখবেন হয়তো মন শান্ত হতে পারে।

ওম শান্তিঃ ওম শান্তিঃ ওম শান্তিঃ
এই বিশ্ব সংসারে সকল প্রাণী শান্তি লাভ করুন ।

( ত্রুটি মার্জনীয় )
নমহস্তুতে 👏 ।।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🙏
07/08/2023

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে 🙏

আপনি  কোন ধর্মের উত্তর হিন্দু, আপনি,গীতা পড়েন,উত্তর নাআপনি একাদশি রাখেন,উত্তর নাআপনি মালা জপ করেন তুলসিমালা পরেচেন,আপনি ...
06/08/2023

আপনি কোন ধর্মের উত্তর হিন্দু, আপনি,গীতা পড়েন,উত্তর না
আপনি একাদশি রাখেন,উত্তর না
আপনি মালা জপ করেন তুলসিমালা পরেচেন,আপনি মাজে মাজে একটু হলেও মন্দিরে জান,ধুতি পড়েন মাজে মাজে প্রসাদ পান মাজে মাজে হলেও কপালে তিলক করেন,উত্তর না,থাহলে আপনি কি করে হিন্দু বা সনাতনি,জবাব আমি মনে মনে অনরগল ভগবান কে ডাকি,ভগবান কে ডাকতে গেলে এত কিছু করা লাগে না,এটা আমাদের বর্তমান হিন্দুদের অবস্থা

যে পরিস্থিতিতে থাকেন না কেন পরিস্থিতির চাপে কখনো নিজের সংস্কৃতি বদলাবেন না। নিজের সংস্কৃতি ও কর্মকে লজ্জা কিংবা উপেক্ষা ...
06/08/2023

যে পরিস্থিতিতে থাকেন না কেন পরিস্থিতির চাপে কখনো নিজের সংস্কৃতি বদলাবেন না। নিজের সংস্কৃতি ও কর্মকে লজ্জা কিংবা উপেক্ষা করলে চলবে না। বরং গর্ব করে বলুন, "আমি সনাতনী"।
হরিবল...!!!🙏🙏🙏

05/08/2023

বলুন তো,মহাভারতে অর্জুন ছাড়া আর কে কে গীতার বাণী শুনেছিল??

05/08/2023

ফুলের সাথী প্রজাপতি 🦋
চাঁদের সাথী তারা🌟 আমাদের সাথী কেউ হবেনা😢
🙏"ভগবান শ্রীকৃষ্ণ" ছাড়া!🕉️
🦚হরে*কৃষ্ণ🌿🙏

04/08/2023

ভাগ্য কাকে বলে জানেন?

-পৃথিবীতে ৪২০০ ধর্ম আছে, তারমধ্যে আমি-আপনি সনাতনী 🌸🖤
hare Krishna ❤️💜

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়...
30/07/2023

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের বাঁ দিক অবশ হয়ে গেলো। যে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো দেখাশোনা করার জন্য, সেই মেয়ে এখন উল্টো মাকে দেখাশোনা করতে লাগলো।

অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে গিয়ে স্ত্রীকে বললাম,"সন্তান জন্মের পরই বাড়িতে চলে এসো।"
স্ত্রী বললো,"বাবা সারাদিন চাকরিতে ব্যস্ত থাকেন। ছোটো ভাইও ভার্সিটি, টিউশনি নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে। গোটা দিন মাকে দেখার কেউ নেই। এই অবস্থায় অসুস্থ মাকে রেখে কী করে যাই?"
"কী বলতে চাও তুমি?"

"মা নিজে নিজে উঠতে বসতে পারলে, এবং কিছুটা হাঁটতে পারলে আমি চলে যাবো। সেই পর্যন্ত আমাকে থাকতে দাও।"
বিরক্ত হয়ে বললাম,"তোমার মায়ের ঐ অবস্থায় আসতে ছয় মাস লাগবে। ততোদিন থাকবে এখানে?"
"ছয় মাস লাগবে না। ডাক্তার বলেছেন দু মাসের মধ্যে মা সুস্থ হয়ে যাবে।"

অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলাম।
যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো।
স্ত্রী ঐ সদ্যজাত ছেলেকে নিয়ে মায়ের সেবা করে যেতে লাগলো।

এই সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লো। এবার তো স্ত্রীকে আনতেই হবে।

স্ত্রীকে যেদিন আনতে গেলাম সেদিন অসুস্থ শাশুড়ি বাচ্চাদের মতো কাঁদলো।
শাশুড়ি মেয়ের হাত ধরে বারবার বলছিলো,"তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো।
একদম মরে যাবো।"
উত্তরে মেয়ে বললো,"মাগো, মেয়েদের জীবন এতো কঠিন কেনো...?
নিজের অসুস্থ মাকে ফেলে কেনো চলে যেতে হয়...?

মেয়ে চলে যাক এটা ওদের বাড়ির কেউ চাইছিলো না। কিন্তু আমি নিরুপায়। স্ত্রী যেমন তার মায়ের কথা ভাবছিলো, আমিও তেমনি আমার মায়ের কথা ভাবছিলাম।

স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর শাশুড়ির শরীরের অবস্থার অবনতি হলো।
আমার মা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে স্ত্রী একদিন আমাকে বললো,"আমাকে এবার মায়ের কাছে যেতে দাও।
তুমি তো জানোই মায়ের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছে।"

স্ত্রী চলে গেলে মায়ের সেবা যত্নের ঘাটতি হবে।
এতে মা'র অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে।
তাই বললাম,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

সে স্তব্ধ হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
এর কিছু দিন পর আমার শাশুড়ি মারা গেলো।
সেদিন স্ত্রী আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো, যার অর্থ হলো, "তোমার জন্য আমার মা মারা গেলো।

জানি, মায়ের মৃত্যুর জন্য সে আজীবন আমাকে দায়ী করবে।
কিন্তু সে কখনোই আমার অবস্থার কথা ভাববে না।

তবে সাতাশ বছর পর এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যখন আমি প্রমাণ করতে পারলাম, শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নই ¡!¡

#ঘটনা_কী_হয়েছিলো_বলি।
আমার স্ত্রী তখন অসুস্থ। ছেলের বউ তার সেবা করছিলো। এই সময় আচমকা ছেলের শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে পড়লো।
তাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই।

ছেলের বউ তখন বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ছেলে ঠিক আমার কথাটাই বললো,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।

ছেলের বউ স্তব্ধ হয়ে তার স্বামীর দিকে তাকালো, ঠিক যেভাবে আমার স্ত্রী একদিন আমার দিকে তাকিয়েছিলো।

আমি সেদিন আমার স্ত্রীকে বললাম,তোমার মায়ের মৃত্যুর জন্য তুমি আমাকে দায়ী ভাবো।
কিন্তু এখন নিজের ছেলেকে দেখে বুঝলে তো, আমি পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
আমার মা যদি সে সময় অসুস্থ না থাকতো, তাহলে তোমাকে যেতে দিতাম। আমার কিছু করার ছিলো না।"
স্ত্রী শোয়া অবস্থায় বললো,"কিছু করার ছিলো না?"
--না--..?

সে তখন ছেলেকে আর ছেলের বউকে ডাকলো।
ওরা এলে প্রথমে ছেলেকে বললো,"তুই নিজের মায়ের কথা ভাবছিস, এটা মা হিসেবে আমার জন্য আনন্দের। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, তোর শাশুড়ি হলো তোর স্ত্রীর মা।

তোর যেমন মন কাঁদছে মায়ের জন্য, তোর বউয়েরও তেমন মন কাঁদছে তার মায়ের জন্য।
ছেলে তখন বললো,"কিন্তু আমি কী করতে পারি...?

তোমাকে এই অবস্থায় রেখে বউকে তো আর বাপের বাড়িতে পাঠাতে পারি না।"

আমার স্ত্রী তখন যে কথা বললো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
সে বললো,"তোর শাশুড়িকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়।

নতুবা আমাকে নিয়ে চল তোর শ্বশুরবাড়িতে।
তারপর ছেলের বউকে বললো, এক সাথে দুই অসুস্থ মায়ের সেবা করতে আপত্তি নেই তো তোমার...?

ছেলের বউ অপ্রত্যাশিত এই কথা শুনে আমার স্ত্রীর হাত ধরে কেঁদে দিলো।
এবং বললো,"কোনো আপত্তি নেই মা।
ছেলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,"শাশুড়িকে এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি।

খরচ নিয়ে ভাবতে হয় নি।
ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে সব খরচ বহন করা হয়েছিলো। এমনকি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচও তারা অনেকখানি দিয়েছিলো।

মেয়ের সান্নিধ্যে থেকে ছেলের শাশুড়ি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো।
এবং যেদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলো, সেদিন থেকে অপরাধ বোধের কারণে স্ত্রীর চোখের দিকে আর তাকাতে পারি নি।
কেননা, অবশেষে শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়ে গেলাম।

আমার স্ত্রী ছেলের শাশুড়িকে এনে যে সমাধান দিয়েছিলো সেটা আমার শাশুড়ির ক্ষেত্রেও করতে পারতাম।
কিন্তু করতে পারি নি, কারণ সেদিন শুধু আমার মায়ের কথা ভেবেছিলাম।
স্ত্রীর মায়ের কথা নয়।
আর তাছাড়া আমার স্ত্রী যদি সেদিন এই সমাধানের কথা বলতো, তবে ঝামেলা হবে ভেবে রাজি হতাম না।

আসলে অন্যের জন্য ভাবতে গেলে বড়ো মন লাগে।
যা আমার স্ত্রীর আছে। আমার নেই।

এই শেষ বেলায় চাওয়া এখন একটাই, ছেলে তার মায়ের মতো হোক। বাবার মতো নয়।

_Collected

অফিসে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী শ্রাবণী রান্নাঘর থেক কড়াই এনে আমার সামনে রেখে বললো,-"বলো তো কড়াইয়ের ...
14/07/2023

অফিসে যাওয়ার জন্য যখন তৈরি হচ্ছিলাম তখন আমার স্ত্রী শ্রাবণী রান্নাঘর থেক কড়াই এনে আমার সামনে রেখে বললো,
-"বলো তো কড়াইয়ের মধ্যে কি আছে? "
আমি শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে কড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- পানিই তো মনে হচ্ছে।
শ্রাবণী আমার চোখে চোখ রেখে বললো,
-" হয় নি, এটা পানি না।এটা বসুন্ধরা সয়াবিন তেল। আমি ৩০মিনিট ধরে আগুনে রেখে গরম করে এনেছি। আমার কথার যদি সোজাসাপ্টা জবাব না দাও, তাহলে এই গরম তেল আমি তোমার শরীরে ঢেলে দিবো।"

শ্রাবণীর কথা শুনে আমি ওর সামনে থেকে দুইহাত সরে গিয়ে বললাম,
-- কি সব পাগলে মতো কথা বলছো!
শ্রাবণী বললো,
-"আমি সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতোই কথা বলছি। অর্পিতা কে?"
-- কোন অর্পিতা?
-" যাকে নিয়ে ফেসবুকে আজকাল খুব লেখালেখি করছো?"
আমি মুচকি হেঁসে শ্রাবণীকে বললাম,
-- আরে এই নামতো আমি এমনি ব্যবহার করেছি। তাছাড়া তুমিই তো সেদিন বলেছিলে আমার ছাইপাঁশ গল্পে তোমার নামটা যেন ব্যবহার না করি। তাই তো আর তোমার নাম দেই না
শ্রাবণী মুখটা মলিন করে বললো,
-"তোমারা স্বামীরা এমন কেন? স্ত্রীদের মন বুঝতে চাও না। আরে আমি মুখে না করেছি ঠিকিই কিন্তু মনে মনে চাই তুমি আমার নামটাই সব সময় ব্যবহার করো। শুনো আমি যদি কখনো মুখে না করি অথচ মাথা নিচু করে মিটমিট করে হাসি তাহলে ধরে নিবে আমি মনে মনে হ্যাঁ বলছি। মনে থাকবে কথাটা?"
আমি হেঁসে বললাম,
-- মনে থাকবে শাহজাদী গুলবাহার।
আমার কথা শুনে শ্রাবণী বললো,
-"তোমায় না বলেছি আমায় এই নামে না ডাকতে.."

খেয়াল করে দেখি শ্রাবণী মুখে না করেছে ঠিকিই কিন্তু মাথা নিচু করে মিটমিট করে হাঁসছে। আমি বুঝেগেছি আমার বউয়ের মনের কথা। তার মানে সে মনে মনে চাচ্ছে আমি যেন তাকে এই নামে বেশি করে ডাকি। আমি সমানে শাহজাদী গুলবাহার, শাহজাদী গুলবাহার বলে ডাকতে লাগলাম। আর শ্রাবণী হাঁসতে লাগলো। এমন সময় কলিংবেলের শব্দ হলো। শ্রাবণী আমায় বললো,
-" তুমি তৈরি হও, আমি দেখছি কে এসেছে।"

আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শার্টের কলার ঠিক করতে লাগলাম। শ্রাবণী দরজা খুলে বললো,
-"কাকে খুঁজছেন?"
বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটা বললো,
~"আসসালামু আলাইকুম ভাবী। আমি অর্পিতা, স্যারের অফিসে কাজ করি। পাশেই আমার ফুফুর বাসা। কাল একটা দরকারে এইখানে এসেছিলাম। আজ যখন অফিসে যাবো তাই ভাবলাম স্যারের সাথেই যাই। তা স্যার কি আছেন, নাকি অফিসে চলে গিয়েছেন?"

শ্রাবণী তখন উত্তর দিলো,
-" আপনার স্যার বাসায় নেই। কিছুক্ষণ আগে গরম তেল উনার শরীরে পড়ে গেছে। উনি এখন হাসপাতালে ভর্তি।"

শ্রাবণীর কথা শুনে আমার গলা শুকিয়ে গেলো। শ্রাবণী যখন রুমের দিকে আসতে লাগলো আমি তখন দৌড়ে ওয়াশরুমে গিয়ে দরজা লক করে বসে রইলাম। বাহির থেকে শ্রাবণী দরজা ধাক্কাতে লাগলো আর বলতে লাগলো,
-"তুমি দরজা খুলো বলছি, তা না হলে আমি কিন্তুু পুরো বাসায় আগুন লাগিয়ে দিবো।"

আমি তাড়াতাড়ি পকেট থেকে ফোনটা বের করে আমার বন্ধু মামুনকে ফোন করে বললাম,
--তুই তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স নিয়ে আমাদের বাসার সামনে আয়। আর আসার সময় হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে একটা সিট বুকিং দিয়ে আসিস....।
|
|
কয়েকদিন পর আমি আর শ্রাবণী আমার বন্ধু মামুনের বাসায় দাওয়াত খেতে গেলাম। খাওয়া-দাওয়ার এক পর্যায়ে মামুন শ্রাবণীকে বললো,
~"ভাবী আরো একপিস রোস্ট দেই?"
শ্রাবণী মুচকি হেসে বললো,
--না ভাই, আমি আর খাবো না।

তাকিয়ে দেখি শ্রাবণী মুখে না করছে ঠিকিই কিন্তু মিটমিট করে হাঁসছে। তারমনে শ্রাবণী আরো রোস্ট খেতে চায়। আমি তখন মামুনকে বললাম,
-- আরে বেটা, জিজ্ঞেস করার করার কি আছে? একপিস না আরো দুইপিস রোস্ট দে...

আমার কথা শুনে মামুন শ্রাবণীকে দুইপিস রোস্ট দিলো। শ্রাবণী তখন আমার দিকে কেমন করে জানি তাকালো। একটু পর মামুন আবার শ্রাবণীকে বললো,
~"ভাবী, রোস্ট খেতে মনে হয় আপনার ভালো লাগছে না। আপনি একটু গরুর গোশত নেন

শ্রাবণী আবারও হেঁসে জবাব দিলো,
-" না ভাই, আমার পেট ভরে গেছে।"

খেয়াল করে দেখি শ্রাবণী আবার মুখে না করছে ঠিকিই কিন্তু ঠোঁটে হাঁসি লেগে আছে। আমি বউয়ের মনের কথা বুঝে গেছি। আমি মামুনকে তখন বললাম,
--আরে বেটা, এতো জিজ্ঞেস করার কি আছে? তুই তরকারি দে। আমার বউয়ের খেতে ইচ্ছে করছে ঠিকিই কিন্তু লজ্জায় না করছে কিন্তু আমি হলাম আমার বউয়ের আদর্শ স্বামী। আমি ঠিকিই আমার বউয়ের মনের কথা বুঝতে পেরেছি।

এই কথা বলে আমি মামুনের হাত থেকে তারকারির বাটিটা নিয়ে পুরোটা শ্রাবণীর প্লেটে ঢেলে দিলাম।

শ্রাবণী রাগে টেবিল থেকে উঠে বললো,
-"তুই আজ বাসায় আয়। বউয়ের মনের কথা কিভাবে বুঝতে হয় সেটা তোকে আমি নতুন করে শিখাবো।"

এইকথা বলে শ্রাবণী চলে গেলো। আমি মামুনকে বললাম,
-- বন্ধু খাবারটা নষ্ট করে লাভ নেই। তুই প্যাকিং করে আমায় দিয়ে দে। অবস্থা যা দেখছি বাসায় দুইদিন ভাত-পানি পাবো না। এইগুলো খেয়েই বেঁচে থাকতে হবে....

বাসায় আসার পর শ্রাবণী রাগে লাল হয়ে বললো,
-"ছিঃ শেষে কি না নিজের বউকে বন্ধুর চোখে রাক্ষস বানালে। আমি খেতে পারছিলাম না দেখেও জোর করে আমার প্লেটে কেনো খাবার দিলে?"
আমি মাথা নিচু করে বললাম,
-- আমার কি দোষ! তুমিতো সেদিন বললে তুমি যদি মুখে না করো কিন্তু ঠোঁটে মিটমিট হাসি থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে তুমি মনে মনে হ্যাঁ বলছো।

শ্রাবণী তখন শান্ত হয়ে বললো,
-"আরে হাঁদারাম, এটা শুধু স্বামী -স্ত্রীর ক্ষেত্রে। অন্যদের বেলায় যদি আমি মুখে না বলি মানে না, আর যদি হ্যাঁ বলি মনে হ্যাঁ। মনে থাকবে এখন?"

আমি মাথা নেড়ে বললাম,
-- মনে থাকবে শাহজাদী গুলবাহার....।
|
|

মা অসুস্থ থাকার জন্য আমরা দুই ভাই স্ত্রীদের সাথে নিয়ে মাকে দেখতে যাই। শ্রাবণী মাকে বললো,
-" মা, আপনার শরীরটা এখন ভালো নেই। আপনি নাহয় এখন আমাদের সাথেই থাকবেন।"
মা হেঁসে বললো,
~"না বউমা, আমি শহরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে এমনিতেই মরে যাবো।"

তারপর মা আলমারি থেকে একটা সোনার হার বের করে শ্রাবণীর হাতে দিয়ে বললো,
~"বউমা, আমার বয়স হয়েছে। কখন কি হয় কি জানি! তুমি আমার প্রথম ছেলের বউ। এই গলার হারটা তুমি রাখো।"

শ্রাবণী মাথা নিচু করে হেঁসে বললো,
-" না মা, আপনার জিনিস আপনার কাছেই রাখুন। আমি নিয়ে কি করবো?"

মা বারবার জোর করছিলো আর শ্রাবণী বার বার না করছিলো। আমি আমার স্ত্রীর মনের কথা বুঝতে পারি। শ্রাবণী বলেছিলো, স্বামী স্ত্রী বাদে অন্য কারো কাছে স্ত্রীর না মানে না আর হ্যাঁ মানে হ্যাঁ। তারমানে শ্রাবণী সত্যিই মন থেকে নিতে চায় না। আমি তো আর্দশ স্বামী স্ত্রীর মন বুঝি। আমি তখন মাকে বললাম,
-- মা, বাদ দাও তো। শ্রাবণী যেহেতু নিতে চাচ্ছে না শুধু শুধু ওকে জোর করো না। তোমার এতই যদি দেওয়ার ইচ্ছে থাকে তোমার ছোট ছেলের বউকে দিয়ে দাও।

আমার কথা শুনে মুহূর্তের মধ্যে শ্রাবণীর মুখটা কেমন জানি হয়ে গেলো। বুঝতে পারছিলাম না ও রাগ করেছে নাকি খুশি হয়েছে....।

পরদিন যখন ঢাকায় ফিরি শ্রাবণী পুরো রাস্তা আমার সাথে একটা কথাও বলে নি। বাসায় যখন ঢুকতে যাবো শ্রাবণী রেগে বললো,
-- তুমি বাসায় ঢুকবে না। তোমার এই গাধা টাইপের মুখটা আমি দুইদিন দেখতে চাই না....।
---
-----

রাত ১১টা বাজে। মামুন আমার কাঁধে হাত রেখে বললো,
~" তুই ভাবীর সাথে কেন সংসার করছিস বল তো? প্রতিদিন তোদের ঝগড়া হয়। দুইদিন পর পর তোকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এইসবের কোন মানে হয়?

আমি হেসে মামুনকে উত্তর দিলাম,
-- কেন সংসার করি বলবো? তাহলে শোন, আমি যদি কখনো অসুস্থ থাকি রাত ৩টার সময়ও যদি আমার ঘুম ভেঙে যায় চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি শ্রাবণী জেগে থেকে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে শ্রাবণী। বিয়ের আগে রান্না করবে তো দূরের কথা নিজের ভাত কখনো বেড়ে খায় নি।অথচ সেই মেয়েটা বিয়ের এত বছর পরেও আমাকে একবেলা না খাইয়ে রাখে নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একটা মেয়ে। চাইলেই নিজের মেধা খাটিয়ে জব করতে পারতো। কিন্তু সে জব করে নি। সংসারটা মন দিয়ে করছে।
এখন তুই বল, যে মেয়েটা আমার জন্য এতোটা সেক্রিফাইজ করছে তার সাথে সংসার না করে উপায় আছে?

আমার কথা শুনে মামুন তখন বললো,
~"তাহলে তুই কেন ভাবীকে বুঝতে পারিস না?"

আমি আবারও মুচকি হেসে বললাম,
-- কে বলেছে আমি আমার স্ত্রীকে বুঝতে পারি না! আমি সব বুঝি। তবুও আমি ইচ্ছে করে গাধামি করি কারণ আমি চাই না আমি শ্রাবণীর চোখে পরিবর্তন হই। ভার্সিটি জীবনে শ্রাবণী আমাকে ভালোই ভেসেছিলো আমার বোকা বোকা কাজ দেখে।

মামুনের সাথে কথা বলে হাঁটতে হাঁটতে বাসার সামনে এসে গেলাম। মামুনকে তখন বললাম,
-- একটা সিগারেট দে তো
মামুন সিগারেটের প্যাকেটটা আমার হাতে দিয়ে অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
~" তুই তো সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলি। আবার ধরলি নাকি?"

আমি সিগারেটে আগুন ধরিয়ে বললাম,
--উপরে বেলকনিতে তাকিয়ে দেখ শ্রাবণী আমার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি সিগারেট খেয়ে বাসায় যাবো। ও রেগে যাবে। আমায় প্রচন্ডরকম বকাঝকা করবে। ওর রাগী চেহারা আর ওর শাসনটা আমার খুব ভালো লাগে। তাই একটা সিগারেট খাচ্ছি আর কি....।
---
------
পিয়াস বাসার ভিতর ঢুকে গেছে আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মামুন ভাবছে,
সময়ের বিপরীতে পিয়াস, শ্রাবণী হাঁটছে। যে সময়ে স্বামী- স্ত্রী টুকটাক কথা কাটাকাটি হলেই ডিভোর্স হয়ে যায়। সেখানে ওরা দিনের পর দিন রাগারাগি ঝগড়া করে ভালোবাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে....

গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ দিয়ে বলেছিলাম-আমি বোধহয় ডিপ্রেশনে মরেই যাবো। বাড়িতে থাকা দূর্বিষহ হয়ে পড়ছে মানুষের কথার চাপে।তুমি প...
13/07/2023

গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ দিয়ে বলেছিলাম-আমি বোধহয় ডিপ্রেশনে মরেই যাবো। বাড়িতে থাকা দূর্বিষহ হয়ে পড়ছে মানুষের কথার চাপে।
তুমি পারলে প্লিজ খোঁজ নিও মাঝে মাঝে আমার।
বন্ধুদেরকেও বলেছিলাম আমি ভালো নেই। তোরা ফ্রি হলে কল দিস প্লিজ। এই শহরের আবহাওয়ায় আমার দম বন্ধ লাগছে। তারা কেউ ই খোঁজ রাখেনি।
আমিও অবশ্য জীবিত আছি। কিন্তু এক সরল ও চিরন্তন সত্য জেনেছি-"অবশেষে জেনেছি মানুষ একা। জেনেছি মানুষ আর চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা।

এরাই সিন্ডিকেট এর মুল হোতা, মন্ত্রীর পদ থেকে বানিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।
27/06/2023

এরাই সিন্ডিকেট এর মুল হোতা, মন্ত্রীর পদ থেকে বানিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

একবার চিন্তা করে দেখুন তো , কেউ একজন আপনার মৃ*ত্যুর জন্যে অপেক্ষা করে আছে। আপনি মা*রা গেলে তবেই সে কিছু পণ্য বিক্রি করে ...
19/06/2023

একবার চিন্তা করে দেখুন তো ,
কেউ একজন আপনার মৃ*ত্যুর জন্যে অপেক্ষা করে আছে।
আপনি মা*রা গেলে তবেই সে কিছু পণ্য বিক্রি করে তার এবং পরিবারের জন্য খাবার এর ব্যবস্থা করতে পারবে।

আমি_ক্লান্ত পর্ব_০৩_০৪ দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, এই পনেরো দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু মা...
17/06/2023

আমি_ক্লান্ত
পর্ব_০৩_০৪


দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, এই পনেরো দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু মাএ ছোট বোন মোন্তাহা ছাড়া এক কথায় আমি বাড়িতে যে আমি আছি সবাই ভুলে গিয়েছে,, মোন্তাহা সব সময় আমার খবর রাখে,, আমি এই কয় দিন ঘয় থেকে বাহিয়ে যাই নাই,, বাহিরে গিয়ে কি যেখানে আমার কোনো মূল্য নেই,, সকাল বেলা,, ছোট বোন আমার রুমে আসে,, এসে বলে

মোন্তাহা : ভাইয়া বাবা তোমাকে ডাকে বাহিয়ে
— কেনো
মোন্তাহা : জানি নাহ্,, হয়তো তোমার সাথে কথা বলবে
— ও আচ্ছা তুই যা আস্তেছি
ছোট বোন চলে গেলো আমি ও বাহিয়ে আসলাম,, দেখি সবাই বসে আছে,, তখন বাবা বললো

আব্বু : নিলয় কি খবর তোর
— বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, কারণ এই কয় দিনে একবার ও দেখা করে নাই,, আর এখন জিজ্ঞেস করছে, কি খবর,, একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,, এইতো ভালো বাবা
আব্বু : আচ্ছা শুনো তোকে যেই জন্য ডাকা
— বুঝতে পারলাম প্রয়োজন পরছে তাই এতো দিন পর মনে পড়েছে,, জ্বী বলেন
আব্বু : তোর রিটার্ন টিকিট কবে,,
— কেনো বাবা
আব্বু : কেন মানে তোর জন্য কেনা কাটা করতে হবে নাহ্,, তাই জিজ্ঞেস করছি,, তোর রিটার্ন টিকিট কবে
— আসলে বাবা অনেক বছর পড়ে বাড়িতে আসলাম,, এই হলো কিছু দিন,, আরো কয়েক মাস পড়ে যাবো,, আর যদি এখানে একটা কিছু করতে পারি,, তাহলে আর যাবো নাহ্,, দেশের বাহিরে,,
আমার কথা শুনে,, আমার পরিবারের সবাই এমন ভাবে তাকালো যেনো তাদের উপর অনেক বড় একটা বোঝা এসে পড়েছে,, তখন মা বললো
আম্মু : নিলয় তুই এখানে কি করবি,, আর মাসে বা কতো টাকা ইনকাম করবি,,
— কেন মা ব্যাবসা করবো,,
আব্বু : বুঝলাম ব্যবসা করবি,, কিন্তু ব্যাবসা করতে হলে টাকা লাগবে এতো টাকা আছে তোর কাছে,,
— কেনো এতো বছরের টাকা গুলো কই,, আমি তো প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম
আব্বু : এতো বছরের টাকা মানে,, সেই গুলো তো সংসারে পিছনে খরচ হয়ে গেছে,, তাহলে টাকা আসবে কই থেকে
— বাবা আমাদের সংসারে প্রতি মাসে,, ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় সেই টা আমার জানা ছিলো নাহ,,
আব্বু : আমি বলেছি পুরো টাকা শুধু আমার খেয়ে ফেলেছি,, এই টাকা দিয়ে,, তোর ছোট ভাই ছোট বোন পড়া লেখা চালিয়েছে,, একটা ঘর উঠাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে,,
— ওওও
আব্বু : শুনো তুই যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা তোর ছোট কাকা আমাদের,, কাছে তিন লক্ষ টাকা পাওনা
— কি সের তিন লক্ষ টাকা পাওনা,, আমাদের তো কোনো লেনাদেনা ছিলো নাহ,, তাহলে
আব্বু : আরে তোর ছোট ভাই কে একটা বাইক কিনে দিয়ছি,, তিন লক্ষ টাকা দিয়ে,, সেই টাকা আর কি
— কই বাবা আমাকে তো বলো নাই,,
আব্বু : এখানে তোকে বলার কি আছে,, ও তোর ছোট ভাই,, আর আমি ভেবে ছিলাম তুই এখন দেশে আসবি নাহ্,,
— ওওও
আব্বু : হুম আর শুনো তোর রিটার্ন টিকিট তারাতাড়ি কেটে ফেল,,

এই বলে সবাই চলে গেলো,, কি আজব আমার মা বাবা,, মানুষ তার ছেলে মেয়েকে কাছে রাখতে চায় আমার বাবা মা আমাকে দৃরে ঠেলে দিচ্ছে,, যদি বাড়িতে না আসতাম হয় তো বা এই গুলো কখনো জানা হতো নাহ্,, আর আমার পরিবার যে আমাকে শুরু টাকার জন্য মনে রেখেছে সেই ও টা জানা হতো নাহ্,, তবে ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছিলাম আমার আর এই দেশে বেশি দিন থাকা হবে নাহ্,, কারণ সাবাই চায় আমি চলে যাই,, কেটে গেলো আরো এক মাস এক মাস পর বাবা আমার রুমে আসে,, বলে

আব্বু : কিরে নিলয় তোকে সেই কবে বললাম কখন যাবি আমাকে বলতে তোর কোনো খোঁজ খবর নাই
— বাবা আমি তো চার মাসের ছুটি নিয়ে আসছি,, ছুটি শেষ হলে চলে যাবো,,
আব্বু : আমি বলি কি,, চার মাস থাকতে হবে নাহ্,, তুই এখন চলে যা আবার না হয় তিন চার বছর পড়ে চলে আসবি,, দেখতে তো পতেছিস সংসারে অবস্থা,, তার পড়ে আবার তোর ভাই কে একটা চাকরি দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে,, মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, সেখানে ও অনেক টাকা লাগবে,,
— আচ্ছা বাবা দেখি,,
বাবা চলে গেলো কি মা বাবা আমার আমি বাড়িতে চার মাস থাকলে তাদের সমস্যা,, কথা গুলো ভাবতে হাসি পায়,, মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, ওহ একটা কথা,, আমার পরিবারের কেউ আমার সাথে ভালো কথা বলে নাহ্,, কথা বলা দৃরের কথা,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, তার দুই দিন পর,, আম্মু বলে

আমি ক্লান্ত
পর্ব_০৪

মা তো আমাকে ভুলেই গিয়েছে,, আমার সাথে কেউ বসে খাবার খায় না,, মোন্তাহা কে দিয়ে খাবার পাঠিয়ে দেয়,,, যখন সাবাই খাবার খেতে বসে তার আগে আমার রুমে আমার জন্য খাবার পাঠিয়ে দেয়,, হয়তো বা যেনো তার সাথে খাবার না খাই সেই জন্য,, কেটে গেলো দুই দিন,, দুই দিন পর আম্মু আমার রুমে আসে হঠাৎ আম্মু কে আমার রুমে দেখে কিছু টা অবাক হলাম,,, কারণ এই দুই মাসে আম্মু আমার একবার ও খবর নেয় নাই,, আম্মু আমার কাছে এসে বলে

আম্মু : বাবা নিলয় কি করসি
— কিছু না মা
আম্মু : বাবা তুই কি আমাদের উপর রেগে আচ্ছিস
— রেগে থাকবো কেন মা তোমার তো কিছু করো নাই
আম্মু : নাহ তোর ছোট ভাই তোর আগে বিয়ে করে ফেলছে তাই
— নাহ্ মা রাগ করবো কেনো,, তোমরা যা ভালো মনে করছো তাই করছো এখনে রাগ করার কি আছে,,
আম্মু : আসলে বাবা আমারা ভেবে ছিলাম,, তুই এখন দেশে আসবি না তাই ওকে বিয়ে করিয়ে ফেলি,, আর ঘরে অনেক কাজ এই কাজ গুলো আমি একা একা করতে পারি নাহ্,, তাই বিয়ে করি দিয়েছি
— হুম মা বুঝতে পারছি,, সমস্যা নাই,, ভালো হইছে
আম্মু : বাবা তুই কবে যা আবার,, অনেক দিন তো হলো
— আম্মু কথা শুনে অনেক অবাক হলাম,, নিজের অজান্তে চোখ পানি চলে আসছে,, নিজেকে সামলে নিয়ে,, বললাম,, কেনো মা আমার এখানে থাকাতে কি তোমাদের সমস্যা হয়
আম্মু : না সমস্যা না আসলে তুই দেশে আসলি অনেক দিন হলো তাই জিজ্ঞেস করলাম,, কখন যাবি
— আমি চলে যাবো মা চিরদিনের জন্য,, তখন চাইলে ও আর ফিরতে পারবো নাহ্,, আর মাএ কিছু দিন,,
আম্মু : আচ্ছা যত তারাতাড়ি পারিস চলে যা,, সংসারে এখন অনেক টাকার দরকার,, তোর ছোট চাচা টাকা চাচ্ছে,, ওনার টাকা দিতে হবে,, আবার মোন্তাহা কে বিয়ে দিতে হবে,, অনেক টাকা লাগবে বুঝতে পারছিস তুই ছাড়া টাকা দিবে কে

এই বলো আম্মু চলো গেলো,, আম্মুর কথা গুলো তীরের মতো আমার বুকে এসে বিদলো প্রথমে ভেবে ছিলাম আম্মু মনে হয় সান্ত্বনা দিতে এসেছে,, এখন বুঝলাম আম্মু সান্ত্বনা না আমি কতো দিন এখানে আছি তা জানতে এসেছে,, ভেবে ছিলাম সাবাই যদি এক রকম হয় মা হয়তো আমাকে আগলে রাখবে,, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম কারণ সাবাই টাকার পাগল টাকা দিতে পাড়লে সাবাই আপন হয় থাকে,, যখন টাকা থাকে না,, তখন নিজের মা বাবা ভাই বোন সবাই পর হয়ে যায়,,

সাবাই শুধু নিজের সার্থ খুঁজে,, সার্থ ছাড়া দুনিয়া অচল,, রাতের খাবার খেয়ে বসে আছি,, তখন বড় আপু আব্বু আম্মু আমার রুমে আসে,, আব্বু চেহারায় অনেক টা বিরক্ত ভাব বুঝতে পারছি,, হয়তো কিছু বলতে চায়,, তখন বড় আপু বললো

বড় আপু : নিলয় তুই কি বিয়ে করবি,,
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,, হঠাৎ এই কথা কেনো
বড় আপু : নাহ্ অনেক দিন হলো, দেশে আসলি তাই জিজ্ঞেস করছি,, বিয়ে করবি নাকি
— নাহ্ আপু বিয়ে করবো নাহ্,,
বড় আপু : তাহলে একটা কাজ কর তুই কিছু দিনের মধ্যে চলে যা বাড়িতে থেকে কি করবি,, অনেক দিন তো হলো
আব্বু : নিলয় তোর আপু কিন্তু ঠিক বলছে যদি বিয়ে না করিস তাহলে এখানে থেকে কি করবি
— ওহ তোমার তাহলে এই জন্য আমার কাছে আসছো
বড় আপু : হুম তারাতাড়ি চলে যা অনেক দিন হলো,,
— হুম আপু চলে যাবো আর পাচ দিন পর

তারপর সবাই চলে গেলো আমার থকে কেউ জিজ্ঞেস করে নাই আমি কেমন আছি,, বা আমি কি চাই সাবাই শুধু আমি কবে যাবো তা নিয়ে ব্যস্ত,, পাচ দিন পর ছোট বোন যখন আমার খাবার নিয়ে আসে এসে দেখে আমার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছে,, রক্তে পরিমাণ এতো যে সারা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে আছে,, এইটা দেখে ছোট এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ,, ছোট বোন এর চিৎকার শুনে সাবাই চলে এলো

এসে দেখা এই অবস্থা,, মা ও এক চিৎকার দিয়ে বেহুশ হয় পড়ে,,কারণ নিলয় এর দেহটা এক দম সাদা হয়ে গিয়েছে সারা বিছানায় রক্ত লেগে আছে,, ছোট ভাই দেখে নিলয় নিশ্বাস নিচ্ছে না,,হয়তো বা অনেক আগে মারা গেছে নিলয় নিলয় এর ছোট ভাই যখন নিলয় কাছে যায় দেখে তার মাথার পাশে একটা চিরকুট,, চিরকুটা হাতে নিলো,, চিরকুট এর উপরে লেখা আমার পরিবার,, এইটা দেখে ছোট ভাই এই বার পড়তে শুরু করলো,,

চলবে.......

শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জল দেখে নদী পার হওয়া যায় না।” “আলাদা কিছু বলার চেয়ে, আলাদা কিছু করা ভালো।” “তুমি যদি নিজে শক...
17/06/2023

শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জল দেখে নদী পার হওয়া যায় না।” “আলাদা কিছু বলার চেয়ে, আলাদা কিছু করা ভালো।”
“তুমি যদি নিজে শক্তিশালী হও, তবে ব্যর্থতা তোমাকে বাধাঁ দিতে পারবে না।"

"যদি তুমি হাল ছেড়ে না দাও, তবে কেউ তোমাকে হাড়াতে পারবে না।"

আমি_ক্লান্ত পর্ব_০২সাব্বির রহমানতারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া,, আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি  দেখতে দেখত...
16/06/2023

আমি_ক্লান্ত
পর্ব_০২
সাব্বির রহমান

তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া,, আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন,, এই দুই দিনে আমার পরিবারের কেউ আমার কোনো খুজ খবর রাখে নাই,, শুধু আমার ছোট বোন,, মোন্তাহা ছাড়া,, দুই দিন পর আব্বু আম্মু আমার রুমে আসে,, সাথে ছোট ভাই,, বড় আপু,, মোন্তাহা,, আব্বু বলে

আব্বু — নিলয় কি করিস
— কিছু না আব্বু বলেন
আব্বু — তা আসার সময় কি নিয়ে আসলি,, এখনো দেখলাম না যে
— বুঝতে পারলাম সাবাই এখন আমার রুমে কেনো আসছে,, আসলে আব্বু তোমার বিয়ে নিয়ে ব্যাস্ত তাই,, কিছু বের করি নাই
আব্বু — ওওও তাহলে এখন বের কর তর বড় আপু আছে, দেখি সবার জন্য কি নিয়ে আসলি,,
— আসলে আব্বু কারো জন্য কিছু নিয়ে আসি নাই,, শুধু মোন্তাহার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে আসছি,,
দেখলাম,, ছোট ভাই,, বড় আপুর চেহারা,, মলিন হয়ে গেছে,, তখন আম্মু বললো,,
আম্মু— দেখি কি নিয়ে আসলি,, মোন্তাহার জন্য,,

তার পর,, আমার সব কিছু বের কি,, যা বের করেছি সেখানে,, শুধু মোন্তাহার,, জিনিস ছিলো,, তখন বড় আপু বললো
বড় আপু— শুধু এই জিনিস গুলো নিয়ে আসলি
— হুম কেনো
বড় আপু— আমি না বললাম কিছু দিন আগে,, তুই যখনি বাড়ি আসবি তোর দুলা ভাইয়ের জন্য একটা লেপটপ নিয়ে আসবি,,
— আসলে আপু হঠাৎ করে চলে আসছি তাই কিছু নিয়ে আসি নাই,,
বড় আপু— তোকে কে বলছে হঠাৎ করে চলে আসতে,, আরো দুই বছর পড়ে আসলে কি হতো,, সেই দিন তো গেলিদেশের বাহিরে,, এতো তারি চলে আসা লাগে,, হুম
— আপু আট বছর পড়ে আসলাম,,
বড় আপু— তো কি হইছে,, মানুষ তো দশ বছর পড়ে আসে বাড়িতে,, আর শুধু আট বছর আট বছর করিস,, এই আট বছরে কি করছিস আমাদের জন্য,,
আপুর কথা শুনে কিছু বললাম না,, আমি শুধু একটা মুচকি হাসি দিয়ে,,আব্বুর দিকে তাকালাম
ছোট ভাই — ভাইয়া আমার জন্য আই ফোন আনতে বলে ছিলাম নিয়ে আসছো
— নাহ্ বললাম তো হঠাৎ করে চলে আসছি,, তাই কিছু নিয়ে আসি নাই
— তা তো দেখতে পারতেছি,, ছোট বোনের জন্য জিনিস,, নতুন ফোন,, তারপর কসমেটিক,, আরো কতো কিছু,, আর আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসো নাই,,
— আরে সেই রকম কিছু না,, ওর জন্য আগে এই গুলো কিনে রেখে ছিলাম,,
ছোট ভাই — হুম বুঝতে পারছি,, আর বলতে হবে,, কিছু দিন পড়ে আসলে তো হতো এতো তারা তারি আসার কি দরকার ছিলো শুধু শুধু,, আর আপু তো ঠিক বলছে,, কি করছো তুমি আমাদের জন্য,,

ছোট ভাইয়ের কথায় ও কিছু বলি নাই,, শুধু ছোট ভাই আর আপুর দিকে তাকিয়ে ছিলাম,, কি বলবো যেখানে আমার মা বাবা আছে,, তাদের সামনে এতো কিছু বললো তারাই কিছু বলে নাই,, সেখানে আমি কি বলবো,, ভেবে ছিলাম আব্বু কিছু বলবে দেখলাম আব্বু আম্মু দুই জন চুপ,, তখন আম্মু বললো,,

আম্মু — নিলয় আম্মু জন্য কি নিয়ে আসলি,,
— নাহ্,, মা আমি কিছু নিয়ে আসি নাই,,
আম্মু— তোকে না বলে ছিলাম আসার সময় আম্মু জন্য এক জোড়া জিনিস নিয়ে আসবি,, তাও নিয়ে আসিস নাই,,
— না মা আমি কিছু নিয়ে আসি নাই,, আর তোমাকে তো আমি অনেক বার জিনিস দিয়েছিলাম,, সেই গুলো কই
আম্মু— সেই গুলো পৃরনো হয়ে গেছে,, তাই বলে ছিলাম,, জিনিস নিয়ে আসতে
— ওহ,,আচ্ছা আবার দেশের বাহিরে গিয়ে,, তোমার জন্য জিনিস পাঠিয়ে দিবো
আম্মু— হুম,, এখন বল তোর আব্বুর জন্য কি নিয়ে আসলি
— বললাম তো,, মা আমি কারো জন্য কিছু নিয়ে আসি নাই,, তাহলে বার বার জিজ্ঞেস করো কেনো,, তখন আব্বু বললো
আব্বু — বুঝলাম তুই কিছু নিয়ে আসিস নাই,, তাহলে টাকা পয়সা কই
— আমি টাকা পাবো কই,, মাসের সব টাকা তো বাড়িতে পাঠাই দিতাম,, তাহলে আমার কাছে টাকা আসবে কই থেকে,,
আব্বু — তাহলে আমি মানুষের লেনাদেনা দিবো কি করে,, আর তোর ছোট বোন মোন্তাহার বিয়ে দিবো কি ভাবে,,
— এতো বছরের,, টাকা পয়সা কই,,
আব্বু — সেই টাকা তো সংসারের করছ হয়ে গেছে,, এখনো অনেক দেনা বাকি,, তুই যত তারা তারি পারিস চলে যা,, আর তোর রিটার্ন টিকিট,, কবে
— আব্বার কথা শুনে,, আব্বুর কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, হুম আব্বু চলে যাবো,,

তারপর আব্বু চলে গেলো,, কি আজব দুনিয়া আমি কেমন আছি তা কেউ জিজ্ঞেস করে নাই,, সবাই শুধু টাকা আর জিনিস নিয়ে ব্যাস্ত,, কি আজব দুনিয়া,, আর দুনিয়ায় হিসেব,,তার পর ছোট বোন আমার কাছে আসে,,
মোন্তাহা — ভাইয়া কি দরকার ছিলো,, এই গুলো আনার
— আরে তুই আমার এক মাএ ছোট বোন,, তোর জন্য আনবো না তো কার জন্য আনবো শুনি
মোন্তাহা — ছোট ভাইয়া শুধু রাগ করলো,,

— আরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে,, আর তো পনেরো দিন,,

মোন্তাহা — কেনো ভাইয়া পনেরো পর কি হবে,,
— কিছু না তুই যা

মোন্তাহা চলে গেলো,,দেখতে দেখতে কেটে গেলো পনেরো দিন,, সকাল বেলা,, ছোট বোন আমার রুমে আসে,, এসে দেখে..........

চলবে???

দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ...
15/06/2023

দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউ কে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সবাই কে সারপ্রাইজ দিবো বলে। বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাই। কারণ আজকে আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি। আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পাড়েনি। আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারছিলাম। কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো। সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই।তখন বাবা আমার পিছন পিছন পিছন আসে।

বাবা :কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে।
— না বাবা সমস্যা হয় নাই তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম।
বাবা : ওওও তা আবার কখন যাবি

(বাবার কথা শুনে কিছু টা অনেক টা অবাক হলাম এই মাএ বাড়ি আসলে আর এখন জিজ্ঞেস করছে কখন যাবি। একটা মুচকি দিয়ে বললাম)

– কিছু দিন পর চলে যাবো বাবা,,
বাবা : ওহ্ এখন না এসে কিছু দিন পর আসতি।এখনো অনেক লেনাদেনা বাকি আছে আমাদের।

বাবার কথা শুনে কিছু বললাম না,, তখন মা বললো

মা : কিরে বাবা চলে আসলি কেন কোন সমস্যা হইছে
— না মা সমস্যা হয় নাই। এমনি আসলাম তোমাদের দেখতে।
মা : ওও আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আর,, আজকে আবার রাকিবের বিয়ে তুই যাবি নাহ্ তোর ভাইয়ের সাথে।
— নাহ্ মা আমি আমি ক্লান্ত,, তাই যাবো নাহ্

আমি আমার মা বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম। বড় ছেলে বিয়ে করে নাই। তাকে জিজ্ঞেস করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাবে কি নাহ্।সবাই ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেলো শুধু মা ছাড়া। সারা দিনের জার্নি করে আমি অনেক টা ক্লান্ত।তাই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুম ভাঙ্গে মানুষের হইচই শুনে। বুঝতে পারলাম বউ নিয়ে চলে আসছে এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বা দেখা হয় নাই। ওই ভাবে শুয়ে আছি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি কিছু খেয়েছি কি না। একটু পর ছোট বোন আসলো।

মোন্তাহা : ভাইয়া কেমন আছো তুমি
— ভালো তুই কেমন আচ্ছিস
মোন্তাহা : ভালো ভাইয়া তুমি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওনি
— আরে তেমন কিছু না খাওয়া হইছে আমার
মোন্তাহা : ভাইয়া তুমি মিথ্যা টা ও ভালো ভাবে বলতে পারো নাহ্। তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসি।

মানুষ বলে মা নাকি মুখ দেখে সন্তানের দুঃখ বোঝে কিন্তু আমার বেলা উল্টো। আমার আম্মুর মনে নাই আমি বাড়িতে আসছি।এতো খন যার সাথে কথা বললাম। সে হলো আমার ছোট বোন। এক মাএ আমার ছোট বোন আমার চেহারা দেখে বলতে পারে আমি কি চাই। তাই তো বুঝতে পারছে আমি কিছু খাই নাই।কিছু খন পর খাবার নিয়ে আসলো

মোন্তাহা : ভাইয়া খাবার টা খেয়ে নাও।
— হুম।
মোন্তাহা : ভাইয়া একটা কথা বলি।
— হুম বল কি বলবি।
মোন্তাহা : আমার হাতে খাইয়ে দিবো তোমাকে।
— হুম দে অনেক দিন হলো কারো হাতে খাবার খাই না।

তার পর ছোট বোন।খাবার খাইয়ে চলে গেলো।রাতের বেলা সবাই আমার ঘরে আসলো। সাথে ছোট ভাই ও ছিলো আম্মু বললো।

মা : নিলয় কি নিয়ে আসলি আসার সময়। আমাদের একটু দেখা
— এনে ছিলাম অনেক কিছু। কিন্তু কা কে দিবো বুঝতে পারছি না।

তখন বাবা বললো।

বাবা : কা কে দিবি মানে আমরা তোর পরিবার আমাদের কে দিবি।

একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম।

– তোমরা আমার পরিবার

বাবা : কেনো
— নাহ্ এমনিম আমি এখন কিছু খুলতে পারবো নাহ্। দুই দিন পড়ে খোলবো।

তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া। আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি। দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন পর

চলবে 🥰

ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Address

Son La
3700

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shanto Mojumder posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Video Creators in Son La

Show All

You may also like